প্রথম এই রাসায়নিক তরলটির সাথে পরিচয় ঘটে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময়, রসায়ন কি জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক ক্লাসে। তখন বেশ রোমাঞ্চিতই হয়েছিলাম বলব ফরমালিনের কার্যকারিতা দেখে। মৃত প্রাণীগুলো ফরমালিনের জারে চোখ বুজে যেন রিপ ভ্যান উইংকলের মত লম্বা ঘুমে আচ্ছন্ন। কোথাও কোন ক্ষয় নেই, পচন নেই। এর আগে জানতাম মিশরীয়রাই শুধুমাত্র পচনের হাত থেকে মৃত প্রাণীকে রক্ষা করার উপায় জানত। তবে ওরা ফরমালিন ব্যবহার করত এই খবর শুনিনি। ফরমালিনের এই আশ্চর্য গুণ দেখে এক বন্ধু রসিকতা করেই বলেছিল, ' এখন থেকে খাবারে একটু একটু করে ফরমালিন খাব, বডি আর কোনদিন পচতে পারবেনা।'
ব্যাপারটা এভাবে আংশিকভাবে সত্যি হয়ে যাবে কয়েক বছর পর কে জানত! এখন আমরা সব খাবারেই ফরমালিন খাচ্ছি, একটু একটু করে, অথবা বেশ খানিকটুকু করেই, বডির ভেতরে যে কেমনতরো সব ভাংচুর হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
একটা রাষ্ট্র দুর্বৃত্তপনা, অসততা আর অসভ্যতার কোন প্রান্তসীমায় এসে ঠেকলে এভাবে তার জনগনকে ধীর বিষক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত নিশ্চিহ্নতার দিকে ঠেলে দেয়? সেই রাষ্ট্রের জনগন কতটুকু আহাম্মক বা অসহায় বা অন্যায়-সহ্যকারী হলে এরকম একটা ভয়াবহ ব্যাপারকে দেখেও না দেখার ভান করে, আমলে নেয় না, অথবা অন্যান্য সকল বিষয়ের মত এই ব্যাপারটিকেও মেনে নেয়?
কিন্তু ব্যাপারটা কি এতটাই সরল যে মেনে নিলেই হয়ে গেল, জীবন কেটে যাবে আগের মতই? না।
আপনি, আমি সবাই বাঁচতে ভালবাসি। বেঁচে থাকার জন্যই এত ঝক্কি-ঝামেলা। একটু খেয়ে-পড়ে আটপৌরে বেঁচে থাকার মধ্যে সুখ খুঁজছি সবাই। সবাই ভাবছি কম-পক্ষে সত্তুর বছর তো বাঁচতেই হবে। জীবনটাকে উপভোগ করতে হলে মোটামুটি সত্তুরের কাছাকাছি যেতেই হবে। দৌঁড়-ঝাপ করছি, করছি নর্তন-কুর্দন। কিন্তু শরীরের জ্বালানি হিসেবে কী দিচ্ছি গত এক দশক? ভাল-বাসি খাবার যেটা আপনার আমার ভাই বেরাদরেরাই ডুবিয়ে রাখে ফরমালিন নামের একটা নীরব ঘাতকের ভেতর।
এই ঘটনাটা আপনি-আমি জানি। কিন্তু কই কারো মাথায় কোন ব্যাথা নেই, থাকলেও হয়ত মাথায় মলম মেখে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিই, অথবা গরম কফিতে চুমুক দিতে দিতে ইলিয়াস আলীর গুম হয়ে যাওয়া আর কোন এক সুদের কারবারীকে কেন জাতি প্রাপ্য সম্মানটা দিলনা এটা নিয়ে দেশ উদ্ধার করি। হায়, হয়তো ঐ কফির দুধটাও আপনার অধরে আসার আগে ফরমালিনের চুমো খেয়ে এসেছে।
ছোটবেলায় যখন গ্রামে ছিলাম দেখতাম দুধওয়ালারা বড় বড় কলসী নিয়ে স্টেশনের দিকে চলছে। এরা সব সকালের ট্রেন ধরে শহরে গিয়ে বাড়ি বাড়ি রোজ-দুধ দিয়ে আসত। স্টেশনে যাওয়ার পথে আমাদের বাড়ির পাশের টিউবওয়েলের কাছে তারা খানিক দাঁড়িয়ে গল্প-গুজব করত আর কোন এক ফাঁকে কলসীর ভেতর চালান করে দিত কয়েক লিটার বিশুদ্ধ পানি। ঐ দুধ আমরা খেতামনা কারণ আমাদের রাঙা গাই দুধ দিত ঢের, ওতে পানি মেশানোর প্রয়োজন হতনা। তবে শহরের লোকরা এভাবে ঠকে যাচ্ছে দেখে ওদের জন্য বেশ করুণা হত। এখন ঐ ব্যাপারটা ভাবলে শহরের লোকেদের অনেক ভাগ্যবান মনে হয়, দুধওয়ালাদের হাতে তখনও ফরমালিন এসে পৌঁছায়নি যে!
আপনি-আমি কী খাচ্ছি? মাছের বাজারে গিয়ে বেশ দরদাম করে, মাছের পেটটি টিপে, ফুলকাটি লাল দেখে নিশ্চিত হয়ে বাসায় এসে গিন্নির কাছে বাহবা নিচ্ছেন। সবজির বাজারে থেকে একেবারে সতেজ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সির মত দুর্দান্ত সবুজ, ভেজা-ভেজা পটল, বেগুন, মূলা, ঝিঙ্গা, করলা, আলু কিনে এনে ঘরে এনে সবাইকে বোঝাচ্ছেন ভিটামিনের উপকারিতার কথা। ফলের বাজারে গিয়ে রসে ভরপুর আঙ্গুর, কমলা,বেদানা, আম দেখে জিভে জল এসে যাচ্ছে আপনার আর ঘরের অসুস্থ লোকটি কিংবা শিশুটির কথা ভেবে ঝটপট কিনে ফেলছেন দামের কথা না ভেবে তেমন। এই তীব্র গরমের জুনে বাসায় আপনার আমার সবার শরীর থেকে ঝোল বের যাচ্ছে, অথচ ফলগুলি আমাদের দিকে চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে, ' দেখ আমাদের রূপের বাহার, কোথাও একটুকুও কুঞ্চণ নেই।'
কিন্তু কী এই রূপের রহস্য? উত্তর একটাই ফরমালিন। আমাদের সুন্দরীরা এতে অনুপ্রাণিত হয়ে সর্বাঙ্গে ফরমালিন মাখা শুরু করেছেন কিনা জানিনা, হয়তো তাঁরাও জানেননা তাঁদের ব্যাবহৃত কমলার খোসাচূর্ণটির মাঝেও লুকিয়ে আছে ফরমালিনের লুল্পুরুষ।
ফরমালিন মানবদেহের জন্য কী উপকারটা বয়ে আনছে আমি জানিনা, তবে ক্ষতি হচ্ছে নিশ্চিত। আমরা জেনে শুনে নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে দিচ্ছি। এটার প্রভাব ভয়াবহ। কে দিচ্ছে খাবারে ফরমালিন? কে খাচ্ছে ফরমালিন? উত্তর- আমরা।
আফ্রিকার দারিদ্র্য জর্জরিত, যুদ্ধপিড়ীত একটা দেশে আছি বছর দেড়েক। রোগ-শোক আছে। ম্যালেরিয়া, এইডস। দুবেলা খায় এখানের মানুষ, সাধারণ খাবার, কাসাভা, ভাত, আগুতির মাংস। অথচ কী সুঠাম এদের দেহ! বলিষ্ঠ শরীর বোধয় এটাকেই বলে। এদের খাবারে ফরমালিন পাওয়া গেছে এমনটা শুনিনি। দেশের কথা ভাবলে চোখে ভাসে ঘরের মানুষগুলোর চেহারা। মাকে ফোন করলে বলে, '' আজ অমুক পদটা রেঁধেছি''। আমার উৎকণ্ঠা তখন আরো বেড়ে যায়। বড় ভাইয়ের ছোট্ট একটা ফুটফুটে মেয়ে সারা দেয়ালময় রং-বেরঙের আঁকিবুকি করে চলেছে। ওর কান্না শুনলে বৌদি বলে, '' মেয়েটাকে খাইয়ে আসি, খিদে পেয়েছে মনে হয় ওর।'' আমার উৎকণ্ঠা তখন বেড়ে যায়।
সচলে আজ একটা মিষ্টি মেয়ের মুখ দেখে সন্ধ্যায় মনটা খুব ভাল হয়ে গিয়েছিল। একটু পর ''শিশু-খাবারেও ফরমালিন'' খবরটা পড়েই মনটা আবার খিচে গেল। এভাবে ফরমালিন খেতে থাকলে বাংলাদেশীদের গড় আয়ু সামনে কততে গিয়ে ঠেকবে? আমাদের আগামী প্রজন্মের ভাগ্যে কী আছে কে জানে।
তবে কী মানুষ না খেয়ে থাকব? ফুলটি থেকে ফলটি হয়ে পেকে যাওয়ার পর বাজারের থলিতে আসা পর্যন্ত তার পেছনে কে লেগে থাকবে? নাকি ঘরে ঘরে একুরিয়ামে মাছ চাষ, ছাদে পোল্ট্রি ফার্ম, টবে সবজি চাষ শুরু করে দিতে হবে?
আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী নই। আমাদের রক্তে-মজ্জায় অসততার পরজীবিরা ঢুকে শক্ত প্রতিরক্ষা দূর্গ গড়ে তুলেছে। সুতরাং ফরমালিনও টিকে থাকবে সগৌরবে খাবার-দাবারে। সচলের অনেকে লেখকই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন।ফরমালিন মেশানো খাবারকে ফরমালিনবিহীন করার সত্যিই কোন পদ্ধতি থাকলে তারা তা নিয়ে লিখবেন আশা করছি।
মন্তব্য
আমাদের প্রজন্মের একটা বড় অংশই হয়তো মারা যাবে পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারে।
অপটিমাইজেশনের খেরোখাতায় দুই ধরনের অপটিমা থাকে, লোকাল আর গ্লোবাল। লোকাল অপটিমা খুঁজে পাওয়া কষ্টকর নয়, গ্লোবাল অপটিমা খুঁজে পাওয়া মোটামুটি দুষ্কর। যারা খাবারে ফরমালিন মেশাচ্ছে, এরা লোকাল অপটিমা খুঁজে পেয়েছে। তারা লাভকে প্রাধান্য দিচ্ছে, জনস্বাস্থ্য চুলায় যাক। গ্লোবাল অপটিমার সুলুক সন্ধান করার দায়িত্ব সরকারের, সরকার এই ব্যাপারে কী করে, আমার জানার আগ্রহ। খাবারে ফরমালিন মেশালে আমার মোটাবুদ্ধি বলে সেটা মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মতো অপরাধ। সরকার কি কোনো আইন পাশ করে এ ধরনের চর্চাকে নিরুৎসাহিত করেছে? জানি না। কেউ এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসাও করেন না। আমাদের এতো বেশি সমস্যার ভেতরে ফেলে দেয়া হয়েছে যে আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত, একটা পর্যায়ে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে থেমে যাই। লোকাল অপটিমা বজায় রাখার নিয়মও তাই। এনডিউরেন্স হান্টিঙে যেমন মানুষ ছুটে চলে, আর শিকার হাঁপিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, আমাদের ক্ষেত্রেও তা-ই। উই আর টু ফাকিং টায়ার্ড টু কেয়ার ফর এনি লংটার্ম সলিউশন।
ফেসবুকে একটা পেইজ শেয়ার হতে দেখলাম সেদিন। সেখানে বলা হয়েছে, রান্নার আগে লবণাক্ত পানিতে খাবার ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিন মোটামুটি ৯০% দূর হয়। আর ১০% ভিনেগারের দ্রবণে (মানে এক কাপ ভিনেগার আর নয় কাপ পানির মিশ্রণ) ভিজিয়ে রাখলে পনেরো মিনিট পর প্রায় সব ফরমালিন দূর করা সম্ভব। তবে সত্যাসত্য জানি না। এ ব্যাপারে কোনো রসায়নজ্ঞ কি মন্তব্য করবেন?
১৯৫৯ সালের বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশের ৬(ক) ধারায় খাদ্যে ফরমালিন মেশানো বা ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা আছে। ১৫ ধারায় ফরমালিন সম্পর্কে অজ্ঞতা দায়ী ব্যক্তিকে আইনী সুরক্ষা দেবে না বলা আছে। ৩৩ ধারায় প্রতি চার মাস পরপর পাবলিক অ্যানালিস্ট কর্তৃক বিশ্লেষণের প্রতিবেদন দাখিলের বিধি আছে। ৪৪ ধারায় শাস্তির ছকে ফরমালিনের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান আছে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অথবা সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড।
অর্থাৎ, আমাকে ফরমালিনের মতো একটা সক্রিয় বিষ মেশানো খাবার বিক্রি করলে, যার পরিণতিতে আমি অনেক ভুগে এবং অনেককে ভুগিয়ে মরতে পারি, তার শাস্তি মাত্র ছয়মাস - এক বছরের জেল, অথবা ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা।
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য চালকের শাস্তি তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড করার বিধান চান অনেকে। এদিকে কি তারা একটু নজর দেবেন?
ভাইয়া এ ব্যবস্থা তো ফরমালিন মেশানো কে বন্ধ করবে না । অসাধুরা ফরমালিন মিশিয়েই যাবে, ভেজাল খাইয়ে যাবে, কেমিক্যাল খাইয়ে যাবে আমাদের- আর আমরা যথাসম্ভব গা বাঁচিয়ে চলতে শিখব? আসলেই আমরা অনেক দুষ্টচক্রের ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছি । আপনিই যেমন বলেছেন-[iআমাদের এতো বেশি সমস্যার ভেতরে ফেলে দেয়া হয়েছে যে আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত][/i] ।
কাউকে সজ্ঞানে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে(আসলে পুরো দেশটাকে) এর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র ৫০হাজার টাকা বা ১বছরের জেল!!! এতে ভয় পাওয়ার কী আছে? আর ফরমালিন মেশানোর কারণে কাউকে জেলে যেতে হয়েছে জানা নেই- সংবাদমাধ্যমে তো ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করার কথাই জেনে আসছি এতকাল । কিছু জরিমানা দিয়ে- অনেকগুণ বেশি লাভ ব্যবসায়ীরা কেন করবে না যেখানে মুনাফাটাই ওদের কাছে মুখ্য ।
যারা বড় বড় দায়িত্বে আসীন- বড় বড় ক্ষমতার বগল বাজান- তাদের কার্যক্রম আসলেই কত বড় বা কার্যকর তার (সুফল!!!) তো সাধারণ মানুষ ভোগ করছেই । এতসব সুফলভোগের পর মানুষ একদিন হৃষ্টপুষ্ট হয়ে দাড়াবে না দাড়ানোর আগেই ভবলীলা সাঙ্গ হবে সময়ই বলবে হয়তো ।
কড়িকাঠুরে
আমার মনে হয় এরমধ্যেই আমাদের বিশাল একটা জনগোষ্ঠির পরিপাকতন্ত্রে ভাল ভাল অসুখেরা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। দেশে হঠাৎ করে গ্যাস্ট্রোলিভারের চিকিৎসকের সাইনবোর্ড বেড়ে যাওয়া এটারই ইঙ্গিত দেয় হয়তো। ফেসবুকের ঐ পেইজটি আমারও নজরে এসেছে, তবে নির্ভরযোগ্য কিনা জানিনা।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ফেইসবুকের এটা আপনার চোখে এলো কেমন করে? আপনি তো ফেইসবুকে নাই!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
যে দেশে হোটেলে ভেজাল খাবার, বা ফার্মেসীতে মেয়াদউত্তীর্ন মেডিনিস বা মুদির দোকানে বা মেগা শপগুলোয় শিশুর পচা দুধ ধরা পড়ার পরো তার লাইসেন্স বাতিল হয় না, শুধূ কয়েক হাজার বা লক্ষ টাকা জরিমানা হয়, সেখানে কোনদিনই এই অবস্থার উন্নতি হবে না।
নিউটনের তৃতীয় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা বিপরীত পতিক্রিয়া আছে। তেমনি হয়তো - " দেশটা স্বাধীন হলো, শুধু মানুষগুলো একটু একটু করে পরাধীন হয়ে গেল!"
এই পরাধীনতা থেকে রক্ষা পেতে আরো একটা যুদ্ধ খুব দরকার। নিজের সাথে বা সরকার বা সিস্টেম এর সাথে!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
খাবারে ফরমালিন তো দেশের স্বাধীনতাজনিত সমস্যা না। আপনার কি মনে হয়, দেশ স্বাধীন না হলে খাবার ফরমালিনমুক্ত থাকতো?
বআমার পয়েন্ট ওটা না হিমু ভাই, আমি যেটা বলতে চেয়েছি, দেশ স্বধীন হলো, আমরা পরাধীন হয়ে গেলাম গুটিকয়েক নেতা-নেত্রীর হাতে। দেশ স্বাধীন না হলে না, মানুষ বা আমরা যদি স্বাধীন হতাম তাহলে ফরমালিনযুক্ত থাকতো না; আমাদের যেভাবে চালায়, আমরা সেভাবে চলি!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
দেশের স্বাধীনতার সাথে ফরমালিনের সম্পর্ক কী? আপনার প্রতিমন্তব্য পড়েছি। দেশের স্বাধীনতার সাথে ফরমালিনের সম্পর্ক বুঝতে পারিনি। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সাথে তুলনা করায় বুঝা যাচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ক্রিয়া আর ফরমালিন তার প্রতিক্রিয়া। আমার ভুল ভেঙ্গে দিন দয়া করে।
ঠিক আছে, আমি চেষ্ট করছি যতটা সম্ভব ক্লিয়ার করতে; এখানে দেশ এর স্বাধীনতাকে ততোটা বোল্ড বরে না দেখে মানুষের পরাধীনতাকে দেখলে ব্যাপারটা উজি হবে। দেশের স্বাধীনতা মূলত ঐ লাইনটার সাপোর্টিভ হিসেবে আসা।
"দেশটা স্বাধীন হলো, শুধু মানুষগুলো একটু একটু করে পরাধীন হয়ে গেল!"
আমি যেটা বলতে চেয়ে ছিলাম, দেশ যখন পরাধীন ছিল, তখন আমরা(মানে তখনকার সময়ের বাংঙালিদের) স্বাধীন ছিলাম মানসি ভাবে। যেটা বুঝাতে চেয়েছি, যে তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ, নিজেদের দাবী আদায়ে সোচ্চার ছিল।সব বাঙালি সেই অনিয়ম বা তাদের দাবিতে একাত্না ঘোষনা করতে পেরেছিল বলেই দেশটা স্বধীন করে ফেলেছিল।
এখন দেশ স্বাধীন, শুধু মানুষগুলো পরাধীন। মানে আমরা। আমরা জানি যে, আমরা গুটিকয়েক মানুষের বা নেতার হাতে বন্দি। যেমন, এই যে ফরমানির মিশ্র খাবার খাওয়ানো, সেটা যে বিষ, সেটা আমাদের সবার জানা; এরকম আরো অনেক অনিয়ম আমাদের জানা। শুধু আমরা জেনো খালাস। আমরা ওই সময়টার মতো স্বাধীন ভাবে সোচ্চার হই না, আমাদের যেভাবে চালানো হচ্ছে, অন্যায় জেনেও চলছি, মুখ বুজে খেয়ে যাচ্ছি; সিস্টেমের অংশ হয়ে যাচ্ছি। যখন সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছুই করছে না, সেখানে আমাদের সবার একসাথে আন্দোলন বা মাঠে নেমে এর বিরুদ্ধে শক্ত হাতে রুখে দাড়ানো ছাড়া আর পথ নেই।
ক্রিয়া:- দেশ স্বাধীন, পতিক্রিয়া: আমরা পরাধীন হয়ে গেছি, ফলাফল: অমাদের যেমর খুশি সেভাবে চালানো হচ্ছে, যেহেতু আমাদের ক্ষোভ আছে, রাগ আছে; শুধু তার সরব বহিঃপ্রকাশ নেই।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
দাদা অসাধারণ লিখেছেন । জাতি হিসেবে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ ক্রমেই ক্ষয়ে যাচ্ছে। সামান্য কিছু পাওয়ার জন্য সবাই নিজেদের অস্তিত্বকেও (বাবা , মা , সন্তান) জলাঞ্জলি দিতে প্রস্তুত কারণ ওই ব্যবসায়ী যিনি খাদ্যে এই বিষক্রিয়া চালাচ্ছেন তার পরিবারও এই কুখাদ্যের বাইরে নয়। আমাদের নৈতিকতা আমরা যে কোন বাজারে বিক্রি করে এই ব্যবসা শুরু করেছি তা হয়তো কেবল আমাদের দুর্দশাগ্রস্থ ভবিষ্যতই বাতলে দিবে।
ভালো লাগলো লেখা।
"ফরমালিন খেয়ে বাংলাদেশীরা কত দিন আর বাঁচবে?"
এটাও তো একধরণের গবেষণা বটে, একসময় হয়তো বড় কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্রে নিবন্ধ বের হবে, একটা জাতি, ফরমালিন খেয়ে এতোদিন বেঁচেছিল, আর্সেনিক খেয়ে এতোদিন বেঁচে ছিল। :/
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমেরিকায় একবার কুকুরের খাবারে মেলামাইন মেশানোর কারণে সেই ব্যবসায়িকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। মেলামাইন তো কবেই হজম করেছি, এখন খাচ্ছি ফরমালিন। আমরা জনগণ কুকুরের চেয়েও অধম হলাম আগে কার কাছে, ব্যবসায়িদের, না সরকারের?
উপরে জনাব হিমু'র মন্ত্যবের 'ফেসবুকে একটা পেইজ শেয়ার হতে দেখলাম সেদিন। সেখানে বলা হয়েছে, রান্নার আগে লবণাক্ত পানিতে খাবার ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিন মোটামুটি ৯০% দূর হয়। আর ১০% ভিনেগারের দ্রবণে (মানে এক কাপ ভিনেগার আর নয় কাপ পানির মিশ্রণ) ভিজিয়ে রাখলে পনেরো মিনিট পর প্রায় সব ফরমালিন দূর করা সম্ভব। তবে সত্যাসত্য জানি না। এ ব্যাপারে কোনো রসায়নজ্ঞ কি মন্তব্য করবেন?' এই ব্যাপারটা আমিও জানতে চাই। এটা সত্যি হলে ব্যাপক প্রচার করা দরকার।
প্রশ্নটা আমাদের অনেকের মাথায়। কিন্তু জানা নেই উত্তর খুঁজবো কোথায়। মাছ সবজি ফল এই তিনটা ফরমালিনে বাঁচে, এই তিনটা আমরা দৈনিক হজম করছি। বাকী খাদ্যগুলোতেও ভিন্নরকম সমস্যা আছে। খাবারে ফরমালিন মেশানোর অপরাধে সামান্য কিছু শাস্তির কথা প্রায় প্রতিদিন পত্রিকায় দেখি। কিন্তু সেই শাস্তিগুলো ফরমালিন রোধ করতে পারছে না। মূলক কারণ হলো শাস্তিটা এফোর্ডেবল। বিক্রেতা কিংবা ভেজালকারীরা ওরকম শাস্তির ভয় করে না। যদি সরকার সত্যি জনস্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিত, তাহলে অবশ্যই শাস্তিটা এমন কঠিন হতো যাতে অপরাধীরা ভয় পেত।
জরিমানা কোন শাস্তি মনে হয় না। শাস্তিটা অবশ্যই শারিরীক হতে হয়। বিশেষ করে এরকম অপরাধের জন্য যদি ঘোষণা করা হয় যে ধরা পড়ার পর সাতদিন ধরে পাছায় বেত মেরে রক্তাক্ত করে দেয়া হবে, তাহলে মনে হয় না মানবাধিকার খুব বেশী লংঘিত হবে। আমি নিশ্চিত, এরকম শারিরীক শাস্তি যে কোন অপরাধকে কমিয়ে ফেলবে করবে দ্রুততম গতিতে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়দা, শুনেছি সিঙ্গাপুরে নাকি ইলেকট্রিকের বেত দিয়ে দুঘা দিলে পরে ১মাস হাসপাতালে থেকে আসা লাগে। ফরমালিন দিয়ে স্লো-পয়জনিং করে ধীরেধীরে আয়ু কমিয়ে যারা আমাদেরকে এভাবে ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে ঠেলে যাচ্ছে, এই বেত দিয়ে সাতদিন পিটিয়ে এদেরকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়া যেতেই পারে।
কম খরচে দু ঘা দিয়ে যদি ভেজাল রোগ ঠেকানো যায়, সেটাই ভালো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ভয় ধরিয়ে দিলেন।
তবে এটা দরকার ছিলো।
ভীষন সময়োপযোগী লেখা।
একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে নানান পদের ডাক্তার দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত এক পরিপাকতন্ত্রের ডাক্তারের কাছে যেয়ে রোগ ধরা পড়লো। পরিপাকতন্ত্রে ইরোসান ও ডিওডেনাম ভাল্ভ ডিফর্মড। তবে পরিপাকতন্ত্রে ইরোসান হলে পালস বীট অস্বাভাবিক হবে কেন, মাথা ঘুরাবে কেন এগুলোর উত্তর ডাক্তার দিতে পারেন্নি। যাই হোক, সাধারণত আলসারে যেসব উপসর্গ দেখা যায় সেসব না থাকায় আমার সমস্যাটা সহজে ধরা যায় নি। প্রায় তিনমাস টানা অনেক ওষুধ পাতি খাওয়ার পর যখন ভাব্লাম সুস্থ হয়ে গেছি তখন একদিন আবার অসুস্থ হয়ে পড়লাম। অতঃপর ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়ে বললেন আজীবন চালিয়ে যেয়ে হবে। এই ইরোসান হতেই থাকবে, আর আমাকে ওষুধ খেয়ে সেটা রিপেয়ার করতে হবে। কারণ হিসেবে বলা হলো খাবারের ভেজাল (ডাক্তার শুধু ফরমালিনের কথা বলেননি, বলেছিলেন খাবারে বিভিন্ন ক্যামিকেল মিশানো হচ্ছে এই কারণ)। স্বাভাবিকভাবে অনেকের রিপেয়ারের কাজটা হয়ে যায়, আমার হয় না বলে সবসময় মেডিকেশানের মধ্যে থাকতে হবে। আমি যতদিন বাঁচি ততদিন হলো ফরমালিন খেয়ে মানুষের আয়ু।
(প্রসঙ্গত আমি খাওয়াদাওয়ায় একদম রেগুলার, না খেয়ে থেকে আলসার বাধানোর মত না।)
এই দেশে একটাও সুস্থ পরিপাকতন্ত্র আছে বলে মনে হয় না। যে ভেজাল দেয় তার পরিপাকতন্ত্রেও ফরমালিন আছে। মাছ অলা খায় সবজী অলার ফরমালিন, সবজিঅলা খায় মাছ বেপারীর ফরমালিন। সারা দেশেই ওরা একে অন্যকে ফরমালিন খাইয়েই যাচ্ছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাংলাদেশিদের শরীরে কত হাজার বিষাক্ত জীবাণু পাওয়া যাবে সেটা ভাবলে আর বেঁচে থাকার কোন আশা দেখি না।
_____________________
Give Her Freedom!
ফর্মালিন আমাদের দেশে উতপন্ন হয়না। শিল্প আকারে ফর্মালিন কাছাকাছি ভারত বা বেশী পরিমানে চীনে উতপন্ন হয়। নীট ফরমালিন মোটেও শস্তা নয়। তিয়ানজিন বা নাভাশেভাতে ১০০% ফরমালডিহাইড (পানিতে ৪০% ফরমালিন ও ১০% মিথানল দ্রবন) এর দাম টনপ্রতি ৩০০-৩৫০ ডলার হবার কথা।
আমাদের দেশে এর ব্যাবহার কি? মূলত চামড়া, বস্ত্র ও গার্মেন্টস শিল্পে রং পাকা করতে এটা ব্যাবহার করা হয়। আরেকটি বড় শিল্প যেখান ফরমালিন ব্যাবহার করা হয়, সেটা হল আমাদের দেশের ম্যালামাইন শিল্প। গবেষনাগারে ব্যাবহার্য ফরমালিন পরিমানে শিল্পখাতের কাছে অনেকটাই নগন্য।
দেখতে পাচ্ছি খাদ্যদ্রব্যে যে ফরমালিন ব্যাবহার করা হয় সেটা (১) ১০০% আমদানিকৃত (২) যেহেতু যেসব শিল্পে এর ব্যাবহার হয় তা বেশ সুসংগঠিত, তাই এর নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন হবার কথা নয়।
ফরমালিনদূষন একটা সমস্যা সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা একটা উপসর্গ। মূল রোগ আমার মতে আমাদের দেশের শিল্পক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের প্রতি নিরেট অবজ্ঞা।
যেহেতু এখনো শিল্পে ন্যুনতম মজুরি নিয়ে ব্যাস্ত, এবং দল নির্বিশেষে আমাদের ৩০০ সাংসদদের সকলেই যেহেতু গার্মেন্টস/চামড়া/প্লাস্টিক কারখানার মালিক বা আড়তদার,
সেহেতু সুরঙ্গের শেষে আলোর রেশটুকু বেশ স্তিমিত।
আমি একটা ওজোনাইযার ব্যাবহার করি। ফলমূল, শাকসবজি এমনকি মাছ মাংস আগে একটা গামলাতে চুবিয়ে ওজোনাইযারটা চালু করে দেই মিনিট বিশেকের জন্য। বাস, ফরমালিন পেস্টিসাইড সব খতম।
যাদের ওজোনাইযার সমন্ধে জানার ইচ্ছে আছে তারা গুগল করতে পারেন।
সেটা কই পাওয়া যাবে? আপনি যেহেতু ব্যবহার করেন তাহলে এটা নিয়ে একটা ব্লগ লিখে ফেলুন। সবাইকে জানান।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মনে হয় ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু করার নাই। জেনেশুনে বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ছাড়া।
গতদিন দেখলাম কাঠালেও নাকি রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে পাকানো হচ্ছে। এতো জীবন দেখলাম কাঠাল গরীবের খাবার। এটাও বর্তমানে এলিট পর্যায়ে চলে গেছে।
--ফ্রুলিক্স
আমার এক পিচ্চি কাজিনের চুল সব পেকে গেছে , স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেছেন খাবারের ভেজাল এর জন্য দায়ী। পরিপাকতন্ত্র তো সবারই কম বেশী আক্রান্ত।ভেজাল খাবার খেয়ে খেয়ে বাচ্চাদের তো ইমুউনিটিই ঠিকমত ডেভেলপ করবে না। কিন্তু ভেজালহীন খাবার কোথায় পাব ? আমরা যে বেচে বর্তে আছি এটাই তো মাঝে মাঝে অনেক কিছু মনে হয়।
অসাধারন ক্ষমতা সম্পন্ন পরিপাক-তন্ত্র নিয়ে আমরা জন্ম গ্রহন করেছি। তাই আমরা বেঁচে আছি হাজার রকমের ভেঁজাল খেয়েও।একটু না হয় ধুকছি-ই। তাতে কি? বেঁচে তো আছি! আলহামদুলিল্লাহ!
খাদ্যে ফরমালিন ব্যাবহার করা হয় কেন? তাকে টাটকা রাখতেই তো?
তো আসুন---
দুই বেলা দুই চামচ করে ফরমালিন সেবন করুন
টাটকা থাকুন---
সর্যি ব্যাড জোক
হিমু সাহেবের তথ্য সঠিক আছে। লবন পানিতে ২৫।৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে (অনেক পুষ্টি বিষয়ক ডাক্তার বলেছেন শুধু ঠান্ডা পানিতেই নাকি হয়) কেমিকেলের দোষ কেটে যায়।
শুধু ঠান্ডা পানিতে নাকি ফলমূল, লবন মিশ্রিত পানিতে শাকসবজি, আর ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে মাছ!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এইটা আজকের একটা খবর-
একটু ভুল করেছি। সংবাদটা গত বছরের এই সময়ের- দৈনিক সোনালী সংবাদ নামে এক পত্রিকার- গুগল করে পেলুম।
পথিক পরাণ
প্রয়োজনীয় লেখা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
একটা জোরালো পদক্ষেপ প্রয়োজন এই ভেজালের কারবার বন্ধ করার জন্য। মাননীয় মন্ত্রীবর্গ আর সাংসদরা নিশ্চয়ই নিজস্ব উদ্যোগে আমদানী করা শাকসবজি ফলমূল খান না, তাদের টনক নড়ছে না কেন? শিক্ষার অভাব?
ওনারা সিঙ্গাপুর সৌদি আরবে যান স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। এই বাবদ ভাতাও পান জনগণের পকেট থেকে। ফরমালিনের শরবত বানিয়ে খেলেও ওনাদের কোনো চিন্তা নাই।
ওনারা সিংগাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যায় দেখে আপনি হিংসা করেন? ওনাদের কিছু হয়ে গেলে আমােদর দেখবে কে বলেন?
ফরমালিন এত সুপ্রাপ্য তো হবার কথা না।
বিক্রেতারা এটা পান কোথা থেকে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এসিড নিক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একজন মানুষ, অবশ্যই মর্মান্তিক এবং এর সাজা যথাযথ। একটা জিনিকে এভাবে বিষপ্রয়োগে হত্যা করলে তার সাজা হওয়া উচিত গনহত্যার সমান। কঠোর শাস্তির বিধান না করলে এর হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন