বাঙালিকে রেসিস্ট বলে গালি দিলে সবার আগে গালিটা এসে পড়ে নিজের উপর, আমি নিজেই যে বাংলায় কথা বলি।তারপরও প্রশ্নটা মনে আসে, ‘বাঙালির চেয়ে বড় রেসিস্ট পৃথিবীতে আর কারা আছে?’ নিজেরাই আমরা সবসময় বলি, বাঙালি একটা পরনিন্দাকারী জাতি। পরনিন্দাটা আসলে ঠিক নিন্দা নয়, অনেকাংশেই ঘৃণা।রেসিজমের অনেক প্রকারভেদ আছে; গায়ের রঙের প্রতি ঘৃণা, চেহারার ভিন্নতার প্রতি ঘৃণা, ভাষার পার্থক্যের জন্য ঘৃণা, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি ঘৃণা- এ সবকিছুকেই মোটাদাগে রেসিজম বলা চলে, আর বাঙালির মধ্যে এ সব কটি ঘৃণাই প্রচণ্ডভাবে বিদ্যমান।আমি জানি, এভাবে বলাটা সাধারণীকরণ হয়ে যাচ্ছে, বাঙালির মধ্যেই এমন আদর্শ মানুষ আছেন যাঁরা নিজেদের সমস্ত তুচ্ছ অভিমানের ঊর্দ্ধে তুলে নিয়ে গেছেন। শুধু লালনের নাম বললেই চলে। তবে লালনের দেশের অধিকাংশ মানুষই লালন নয়। তাদের অনেকেই ভেবে মরে লালন হিন্দু কি মুসলিম ছিল এ নিয়ে। আর লালনের প্রোফাইল ছবি আঁকা টি-শার্ট গায়ে ঘুরে বেড়ানো অনেকের কাছেই লালন মানেই কল্কি(অবতার নয়)। চে গুয়েভারার মত লালনও এখন বিজনেস আইটেম।
রেসিস্ট, রেসিজম শব্দগুলো বাঙালি এখন অহরহ ব্যবহার করছে। বিদেশ ঘুরে এসে সে বলে, ‘সাদারা অসম্ভব রেসিস্ট, ট্রেণে-ট্রামে আমার দিকে তাকালও না।’(আসল ব্যাপার হল, ব্যস্ত মানুষের হাতে সময় নষ্ট করার মত অত সময় কই?) তারপর শহরের এমাথা ওমাথা রেসিস্ট সাদা মানুষদের গল্প বলে এসে বাড়ির সামনে রিক্সা থেকে নেমেই রিক্সাওয়ালাকে দুইমনি একটা থাপ্পড় মেরে বলে, ‘ শালা হারামখোরের বাচ্চা, দশমিনিট টান দিলি তার জন্য ত্রিশ টাকা চাস?’ পকেটে পয়সা থাকলে বাঙালি কথায় কথায় মুটে-মজুর-শ্রমিক-রিক্সাওয়ালাকে ছোটলোক ডেকে নিজে বড় হয়ে যায়। এভাবে আরেকটা মানুষকে খোলামেলাভাবে অপমান করার মাঝে বাঙালির কোন কুণ্ঠাবোধ নেই।বিত্তবানের বিত্তহীনকে এভাবে ঘৃণা করাটাও এক ধরণের রেসিজম। বাঙালির মত এমন প্রবলভাবে ঘৃণা অন্য কেউ করে কিনা কে জানে?
এই বিষয়টাই আসলে চর্বিত-চর্বণ হয়ে গেছে। হঠাৎ করে লিখতে বসলাম কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে।
কাল রঙের সাথে বাঙালির শত্রুতা নিয়ে বলার আর কিছুই নেই। বাঙালির কাছে কাল মানেই অশুভ, শয়তান, খারাপ ইত্যাদি। মানছি এটার পেছনে ঔপনিবেশিক(শুধু ইউরোপিয় নয়) কারণ রয়েছে। অথচ বাঙালি গর্ব করে শ্যামল শব্দটা উচ্চারণ করে। বাঙালির গায়ের রঙটা খুব একটা সাদা নয়, এটা সে জানে, তবু কাল রঙের মানুষদের প্রতি তার অবজ্ঞা বা ঘৃণা অতুলনীয়। এমনিতে মুখে মুখে সে কাব্য করে, ‘ কাল যদি মন্দ তবে চুল পাকিলে কান্দ কেনে ’, অথবা কাল কৃষ্ণের পটের সামনে ভক্তিতে গদগদ হয়ে ওঠে কিংবা ছেলেকে আদর করে ডাকে কালোমানিক। অথচ ঘরের বাইরে গেলেই মানুষকে নির্দ্বিধায় সে গালিগালাজ করে গায়ের রঙের হেরফেরকে মাথায় রেখে।‘কাউলা’, ‘কালাইয়া’, ‘কাইল্ল্যা’ শব্দগুলোর মধ্যে সে জমিয়ে রাখে অনির্বচনীয় এক ঘৃণা। ইউরোপ আমেরিকায় বাস করেন এমন অনেক(সবাই নন) বাঙালির পছন্দের শব্দ উপরিল্লিখিত শব্দগুলো।
অবস্থাটা এমন যেন গায়ের রঙ কাল হওয়াটা বাঙালির চোখে একটা অপরাধ। সে বলে থাকে, ‘ অমুকের গায়ের রঙ ময়লা।’ ময়লা মানে নোংরা, মানে কাল রঙের মানুষটি অপরিচ্ছন্ন না হয়ে যায় কোথায়। কারো সন্তান হয়েছে? বাঙালি আগে খবর নেবে নবজাতকের গায়ের রঙটি কেমন। শিশুটি যদি কন্যা হয়, তদুপরি তার গায়ের রঙটি যদি কালো হয়, তবে আত্মীয়কূল কেঁদে বুক ভাসিয়ে বলে, ‘ এ মেয়ের বিবাহ দিব কী করিয়া?’
সত্যিই তো। বাঙালি মেয়ের গায়ের রঙ কালো হলে তার দুঃখের আর সীমা থাকেনা। বাঙালি ছেলে সে প্রেমের মাঠে যাক আর বিয়ের বাজারে যাক, পছন্দ তার একটাই, নায়িকাকে হতে হবে ধবল। অতএব ধবল-ধোলাইয়ের জন্য বাজারে এল রঙ ফর্সা করার ক্রীম। বিজ্ঞান বলে, চামড়ার রঙ কালো হলে মেলানিনের আধিক্যের কারণে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি মানব শরীরের অত ক্ষতি করতে পারেনা। রঙ ফর্সা করার ক্রীমগুলোর বিজ্ঞাপণে প্রায়শই শুনি এরা ত্বকের মেলানিন নিয়ন্ত্রণ করে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে দেহকে রক্ষা করে। ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকে আমার কাছে।মেলানিন তো আর মেলামাইন নয়, এর উপস্থিতি শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন তো নয়। বরং মেলানিন কমে গেলেই অতিবেগুনী রশ্মিদের কাছে অসহায় হয়ে পড়বে চামড়া।
তার উপর জেনেটিক্যালি প্রাপ্ত গায়ের কালো রঙ মলম মাখার ফলে আদৌ কতটুকু ফর্সা হয় সে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
এক আত্মীয়াকে সেই ছোটবেলা থেকেই দেখছি দেশী এবং বিদেশী হরেক রকমের রঙ ফর্সা করার ক্রীম সর্বাঙ্গে ডলতে।উনার গায়ের রঙ আমার চোখে সে একই রকমই আছে।
সেদিন এমনই এক বিজ্ঞাপণে দেখলাম বন্ধুর বিয়েতে এসে বউ দেখে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে, ‘আমাদের ‘ক’ এইটা কী বি্যা করল? মাইয়া তো দেখতে আফ্রিকানদের মত কালা।’ বিজ্ঞাপণটির নির্মাতার মাথায় একবারও আসেনি যে এই মন্তব্যটি বিদ্বেষপূর্ণ বা রেসিস্ট হতে পারে। এই বিজ্ঞাপণটি শেখায় যে কাল মানেই অসুন্দর, আফ্রিকানরা কুৎসিত। এরকম বিজ্ঞাপণগুলো বছরের পর বছর চলছে আমাদের বোকা বাক্সগুলোতে। আমাদের ঘিলু ধোলাই হয়ে গেছে ভালমতই। আমরা দেদারসে কিনছি ‘ফর্সা এবং সুন্দর’ এবং আফ্রিকান দেখলেই সিটকাচ্ছি নাক।
আফ্রিকায় বছর দেড়েক থাকার কারণে এখানের মানুষের সাথে তাদের পরিবেশেই মেশার সুযোগ হয়েছে আমার।আমিও এসেছি ‘ ফর্সা এবং সুন্দর’ এর বিজ্ঞাপনে ভেসে যাওয়া সমাজ থেকে। প্রথমদিকে তাই আমারও মনে হত আফ্রিকানরা অপরিচ্ছন্ন, নোংরা। হাত মেলাতে গেলে আড়ষ্ট ভাবটা থাকত। আফ্রিকানদের এই দৈন্যদশার পেছনে যে একটা অর্থনৈতিক শোষণের সাদা(?)হাত আছে এটা বুঝতে চাইতাম না। এই দেড় বছর বৃষ্টি-অরণ্য ছাওয়া প্রত্যন্ত একটা গ্রামাঞ্চলে থেকে আমার উপলব্দি গেছে বদলে। আমি দেখতে পাই প্রাণশক্তিতে ভরপুর আফ্রিকান মানুষগুলো, সুন্দর, সুঠাম তাদের দেহ। এখানের শিশুগুলিই আসলে দেবশিশু, এখানের নারীরাও অপ্সরা। সহকর্মীদের অনেককেই বলতে শুনি, ‘ আফ্রিকানদের গা থেকে বোটকা গন্ধ বেরোয়, শালারা গোসলও করেনা।’ আমি তখন ভাবি আমার দেশের কতজন দরিদ্র কৃষক-শ্রমিকের ঘামে জর্জরিত শরীর থেকে পারিজাতের সুবাস বের হয়, যেখানের গ্রামে গ্রামে খাবার পানিই অপ্রতুল, সেখানে নিয়মিত গোসল করাটা কতটুকু সম্ভব।
বাঙালি তার ঘরে যে ছেলেটি বা মেয়েটি কাজ করে তাকেই বা কতটুকু মানুষ মনে করে? সে কুয়ার ব্যাঙ, দৈবাৎ কুয়ার বাইরে বড় যে পৃথিবী আছে সেখানে গিয়ে থাকতে হলে ঐখানেও একটা কুয়া বানিয়ে নেয় সে। তাই বাইরের বিশাল, উদার পৃথিবীর আহবানে সাড়া না দিয়ে সে হয়ে থাকতে চায় ঘুরে ফিরে সে পুরোনো ব্যাঙই।
বাঙালি বুঝতে চায়না জন্মে তার কোন হাত নেই, নেই কোন গৌরব। তার উপর পরিবারের চাপিয়ে দেওয়া রীতি-নীতি-ধর্ম-ভাষা নিয়েই সে আস্ফালন করে। কখনও সে ভাবেনা এসবের কোনটাই তার অর্জন নয় যেটা নিয়ে সে ন্যূণতম অহংকারও করতে পারে। ভাবেনা সে, শিশু অবস্থায় পিকনিকে গিয়ে হারিয়ে গিয়ে সেও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারত চিরতরে, কোন সদাশয় চীনা দম্পতি তাকে নিয়ে নিতে পারত ভালবেসে, তারপর নিজ সন্তানরূপে বড় করে তুলতে পারত তাকে, তখন তার মুখের ভাষা যেত পালটে, তার রীত-নী্তি-ধর্ম হয়ে যেত চৈনিক।
দিনশেষে আমরা সবাই মানুষ। একটু খাবার, একটু ঘুম, একটু আশ্রয়, একটু নিবিড় ভালবাসাই তো চাই সবাই।এ চাওয়াটা কফি ক্ষেতে কোদাল মারতে থাকা দিওমান্দেও যেমন চায় তেমনি আমার মত ভেতো বাঙালও চায়। মানুষের এই উপলব্দিটুকু আসুক। মানুষ মানুষের কাছে আসুক।
মন্তব্য
চমৎকার লেখা। আপনার মতই আমার নিজের অভিজ্ঞতা।
প্রবলভাবে সহমত।
হাঁহ? এই বিজ্ঞাপন প্রচার হইসে? বলেন কি?
আর গায়ের রঙ ফর্সা করার ক্রিম এর ব্যবসা দেশে যেমন জমজমাট তেমনি সাদারা লাখ লাখ ডলার ঢালে ট্যানিং লোশন এর পিছনে যেন সাদা ক্যাটক্যাটে রং বাদামী করা যায়. নদীর ওপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস টাইপ ব্যাপার.
..................................................................
#Banshibir.
হুম। এই জিনিস দেখায় টিভিতে।
এই বিজ্ঞাপণ কেন শুধু, গায়ের রঙ ফর্সা করার যেকোন বিজ্ঞাপনই কি যথেষ্ট রেসিস্ট নয়?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লতা হারবালের বিজ্ঞাপন দেখে আমি একটা জিনিস বুঝেছি। জাতে উঠতে গেলে মেয়েদের খালি ফর্সা হলেই হবে না, বুকও বড় হতে হবে। লতা হারবালের ফর্সাকারী মলমের বিজ্ঞাপনে কোনো কমসিন লেড়কি নাই। তারা সবাই অ্যাকশন হিরু আবদুল জলিল অনন্তের মতো পীনপয়োধরাঢ্য। সেটা মলমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি না, বিজ্ঞাপন দেখে বোঝার উপায় নাই।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
মলমের এরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আবিষ্কার করা গেলে তো লতা হারবাল সারা বিশ্বের অর্ধপরিবাহী ব্যবসার একটা বিশেষ অংশের পুটু মেরে দিতে পারবে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সেটাই তো বলতে চাই। গায়ের রঙ সে বাদামী হোক, কি কালো হোক কি সাদা, মানুষটাই তো গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বাঙালীর রেসিজম নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু সত্যপীরের কমেন্টটাও একটু রেসিজম হয়ে গেলো না? সাদাদের রং ক্যাটক্যাটে না, বাদামীদের জন্য এমন কোন আলাদা ফ্যাসিনেশনও চোখে পড়েনি। কিছু মানুষ পাশে দাড়িয়ে দুয়েকটা ছবি তুলে বন্ধুদের সাথে ভাব মারতে পছন্দ করে, আরে ওরা তো আমার জন্য একেবারে পাগল।
গ্রোসারি স্টোরে হঠাৎ একদিন বয়স্ক এক মহিলা আমার পাশে এসে দাঁড়াল। আমি আম শুঁকে গুণ পরীক্ষা করছিলাম। আগেও এরকম হয়েছে-- হয়তো ঢেরস কিনছি কিংবা আম কিনছি, কেউ এসে জিজ্ঞেস করল কোন আমটা ভালো সেটা আমি কিভাবে বুঝি।
ইনি সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি জানো নিশ্চয়ই, ইন্ডিয়াতে ছেলেরাও নাকি রং ফর্সা করার ক্রীম ব্যবহার করে?"
আমি একটু অপ্রস্তত হয়ে কী বলবো ভাবছি। উত্তরের অপেক্ষা না করে মহিলা হাসতে হাসতে বললেন, "তুমি জানো গাইজরা কেন এমন করে? এটা করলে মেয়েরা তার সাথে ডেট করবে"। বলে উনি চলে গেলেন।
আমি অনেক্ষণ ধরে বোঝার চেষ্টা করলাম ঘটনা কী হলো; কিন্তু কিছুতেই কিছু বুঝলাম না।
আসলে সব কথার শেষ কথা হচ্ছে আমরা মানুষ, এবং এই সত্যিটাকেই আমরা বারবার ভুলে যাই। দুঃখজনকভাবে একজন মানুষের মানবিক গুণাবলী ছাপিয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় তার গাত্রবর্ণ। পশ্চিমা এবং আফ্রিকানদের সম্পর্কে অনেককেই বলতে শুনেছি হালারা হাইগা ছোচে না, ছয়মাসে একদিন গোসল করে, হালারা পাদ দিলে মুর্দার জিন্দা হইয়া উইঠা দৌড় দেয়, ইত্যাদি। এবং যারা এই জাতীয় মন্তব্যগুলো করে থাকে তাদের অধিকাংশই জীবনে সামনাসামনি একজন পশ্চিমা বা আফ্রিকান দেখেনি।
তবে বিষয়টা এমনও হতে পারে যে, ঔপনিবেশিক আমলের চরম বর্ণবাদী আচরনের স্বীকার এই ভুখণ্ডের মানুষের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বিদ্বেষ থেকে এমনটি হয়। কিন্তু সেখানে আফ্রিকানদের কি দোষ তবে? আর গাত্রবর্ণের কৌলীন্যের কথায় যদি আসতে হয় তবে বলবো আমি আফ্রিকার যতোগুলো দেশে ঘুরেছি, তার প্রতিটা দেশেই আমার থেকে উজ্জল গাত্রবর্ণের অনেক আফ্রিকান দেখেছি।
আরেকটা ব্যাপারও এখানে বিবেচ্য হতে পারে, মানুষ হীনমন্যতা থেকেও কিন্তু অনেক অযৌক্তিক আচরণ করে থাকে। ৩৫ বছর আগে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমিনুল হকের মুখ থেকে শোনা একটি ছড়ার উল্লেখ এখানে বোধকরি মন্দ শোনাবে না-
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
"আরেকটা ব্যাপারও এখানে বিবেচ্য হতে পারে, মানুষ হীনমন্যতা থেকেও কিন্তু অনেক অযৌক্তিক আচরণ করে থাকে" এই কথাটা মনে হয় বহুলাংশে সত্যি, সাথে ইন্ধন যোগায় কম জেনে "সুখী এবং নির্বোধ" থাকার প্রবণতা
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
দাদা আপনার সাথে সহমত। আমাদের এই দৃষ্টি ভঙ্গী থেকে বের হতে হবে। কালোর প্রতি ঘৃণা আর সাদার প্রতি অতিভক্তি আমাদের মগজে মিশে আছে। সাদা চামড়া দেখলেই তাকে প্রভু ভাবা শুরু করে দেই মনে হয় সে আমার থেকে সুপিরিওর। এইটাও আমার খুব বাধে। অসাধারণ লাগলো । চালিয়ে যান ।
গ্রোসারিতে আমারেও একবার একজন পাকড়াও করে বলে- 'তোমাকে দেখলে সাউথ আমেরিকান মনে হয়; তুমি যে ইন্ডিয়ান(তরে কইছে)!সেটা একেবারে বোঝা যয় না!' বোঝ! শুনে বেকুবের মতন হয়ে গেলাম, মাথা কাজ করছিল না কিছুক্ষণ!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
হাহা! আমাকে বলেও নাই যে আমাকে হিস্পানিক দেখায়। স্টোর ক্রেডিট কার্ডের এপ্লাই করছিলাম, আলগা উপকার করতে বিলের কাগজপত্রে সোজা ল্যাঙ্গুয়েজ স্প্যানিশ সিলেক্ট করে দিয়েছে। মাস শেষে বিলের কাগজ পুরোই স্প্যানিশ ভাষায় আসে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমরা একটা অসভ্য জাতি। অশিক্ষিত দের কথা বাদ দিলাম,শিক্ষিত রাও যখন মানবিকতা আর ভাল মানুষ হতে পারে না তখন এই জাতির আর কি বা আশা আছে বাকি।
খুব ভাল লিখা ।
"‘বাঙালির চেয়ে বড় রেসিস্ট পৃথিবীতে আর কারা আছে?’"
খুবই আপত্তিকর বাক্য, racism তো এমন কোনো টপিক না যে অন্য জাতির লোকজন আপনার সাথে সেইটা নিয়া আলোচনায় বসবে|সাদা কেউ তো আপনেরে ডাইকা বলবে না, এই যে ভাই আমি racist | তারা নিজেরা যখন তাকে তখন আপনেরে কালা বললে বুজবেন কেমনে?
"বিত্তবানের বিত্তহীনকে এভাবে ঘৃণা করাটাও এক ধরণের রেসিজম। বাঙালির মত এমন প্রবলভাবে ঘৃণা অন্য কেউ করে কিনা কে জানে?"
পুরাই হাস্যকর sentence | সারা পৃথিবীর সব বিত্তবানই বিত্তহীনদের ঘৃনা করে, শুধু শুধু বাঙালিদের উপর দায় চাপায় দিলে হবে?
"বাঙালির কাছে কাল মানেই অশুভ, শয়তান, খারাপ ইত্যাদি।"
কালো মানে খারাপ কি শুধু বাঙালির কাছে? তাইলে ব্লাক magic কি বাঙালিদের আবিস্কৃত word ?
" ‘ এ মেয়ের বিবাহ দিব কী করিয়া?’"
এটা কোন আমলের কথা বলতেসেন জানি না| আমি আমার ২৬ years life এ এইরকম কোনো ঘটনা দেখি নাই|
রং ফর্সা করার ক্রিয়াম মাখলে যদি রাসিস্ট হয় তাইলে সাদারাও রাসিস্ট কারণ ওরা রং brown করার sun টান মাখে|
আপনার লেখার theme ভালো, কিন্তু এইটারে support দিতে যেয়ে আজিরা বাঙালিদের গালগালি করবেন এইটা ভালো লাগে নাই|
আপনার এই লাইনটা পইড়া মনে হইল আফনে হেরা পর্বতের আশেপাশে কোন ধবলগিরিতে দিন গুজরান কইরা থাকেন, বাংলাদেশে না। এইমাত্র সচলে উঁকি মাইরা লাইনটা পইড়া বেজায় টাস্কি খাইসেন।
আহা! আমাদের সবার অভিজ্ঞতাই যদি আপনার মতো হৈত!!
--------------
পথিক পরাণ
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ভাইজান রাজনীতিতে আপনার ভবিষ্যত খুবই উজ্জল। আপনি এইখানে কী করেন?
কালো মেয়েদের বিবাহ দিব কি করে সেটা এখনো আছে, তবে আগের থেকে অবশ্যই কম। গ্রামের দিকে হয়তো একটু বেশি, আগের থেকে অবস্থা অবশ্যই ইমপ্রুভ করেছ; এবং যেহেতু আগের থেকে এই ব্যাপারটা ইম্প্রুভড, সো আশা করা যায় সামনে আরো কমে আসবে ব্যাপারটা।
সব বাবা-মা তার ছেলের জন্যে রাজকন্যা চায়! আর রাজকন্যার গায়ের রঙ তো দুধে-আলতা, যা আমরা ছোট বেলার রূপকথা থেকে মনের মধ্যে নিয়ে আসি। বিবাহযোগ্য সন্তানের পিতা-মাতা যদি এই রাজকন্যা বা রাজপুত্র খোঁজা থেকে সুপুত্র-সুকন্যা খুঁজতো তবে আরো উন্নতি হতো অবস্থার। এবং এই অবস্থাটা মেক্সিমাম ক্ষেত্রে এরেন্জড ম্যারেজে দেখা যায়।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
মনু ভাই, কি দেখে আপনি আমার পলিটিকাল career সম্পর্কে আশাবাদী হইলেন জানলে সুবিধা হইত|
পথিক ভাই, BD তে থেকেই আমি কখনো দেখি নাই নবজাতকের সুস্বাস্থ্য কামনা না করে বিয়ের জন্য দুশ্চিন্তা করতে|আপনার জন্য sympathy |
আতাহার
"এই মেয়ের বিয়ে কিভাবে দেব" এর মধ্যে কিন্তু "নবজাতক" টার্ম টা নেই আতাহার ভাই। জন্মাবার সাথে সাথে "এই মেয়ের বিয়ে কিভাবে দেব" বলে না; কিন্তু ছোট থাকা অবস্থায় বলে কেউ কেউ, সেটা শুধুমাত্র পারিবারিক রসিকতা বা মজা করে; আর বড় হলে কি হয় সেটা উপরে বলেছি একটা পোস্ট-এ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ক্রেসিডা আপু ,
"কারো সন্তান হয়েছে? বাঙালি আগে খবর নেবে নবজাতকের গায়ের রঙটি কেমন। শিশুটি যদি কন্যা হয়, তদুপরি তার গায়ের রঙটি যদি কালো হয়, তবে আত্মীয়কূল কেঁদে বুক ভাসিয়ে বলে, ‘ এ মেয়ের বিবাহ দিব কী করিয়া?’"
এই লাইন কয়টা পরে আমার মনে হইসে নবজাতক সম্পর্কেই বলা হইসে|
ক্রেসিডা আপু!
আমার রঙ কালো
p.s- আমি আপু না রে, ভাই! বিয়ায় গ্যাঞ্জাম কইরেন না! যদিও কইরা ফালাইছি
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আতাহার ভাইডি
আমি নিজেই নিজের উপ্রে সিমপ্যাথাইতে আছি।
আর বাংলার তামাম ঘরেঘরে আপনার ২৬ বছরের লাইফের অভিজ্ঞতার মতন সাধু সংবাদের জন্ম হয়না কেনু, লতা হার বাল কোং এর কাছে জবাব চাই- দেতে হপে-
পথিক পরাণ
জবাব পাইলে আমারে জানাইয়েন
ঠিক আছে নিজে থেকে যখন বুঝতে পারেন নাই তাইলে আমিই বলি। নিচের দুইটা কারণে আমি আপনার পলিটিকাল career সম্পর্কে আশাবাদী হইলাম -
১. লেখক কী বুঝাতে চাইছেন সেটা বুঝেও না বোঝার ভান করা।
২. শুধুমাত্র বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা।
"বাঙালির চেয়ে বড় রেসিস্ট পৃথিবীতে আর কারা আছে?" এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে যে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে বোঝা গেল যে পৃথিবীর সবাই রেসিস্ট তাই বাঙালির রেসিস্ট হতে কোনো ক্ষতি নাই। অথবা এইটা আপনার কাছে আপত্তিকর মন্তব্য কারণ এখানে বাঙালি জাতিকে ঢালাওভাবে বড় রেসিস্ট বলা হয়েছে।
"পুরাই হাস্যকর sentence | সারা পৃথিবীর সব বিত্তবানই বিত্তহীনদের ঘৃনা করে, শুধু শুধু বাঙালিদের উপর দায় চাপায় দিলে হবে?" এইখানে এসে আবারও একই যুক্তি দিলেন যে পৃথিবীর সকল বিত্তবানই বিত্তহীনদের ঘৃনা করে কিন্তু এইবার ঢালাওভাবে সব বিত্তবানদের আক্রমন করাটা আপনার কাছে আপত্তিকর মনে হলনা।
এইরকম স্ববিরোধি মন্তব্য এখানে সচরারচর খুব একটা দেখিনা তাই বলছিলাম আরকি।
explain করার জন্য ধন্যবাদ|
ভাই আপনি মনে হচ্ছে mindreader , নইলে আমি বুজেও না বজার ভান করতেসি বুজলেন কেমনে?
আর বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা বলতে আপনি কি বুজায়সেন?লেখককে আমি চিনিনা, তার লেখাও পরসি কিনা মনে পরে না, তাইলে শুধু শুধু বিরোধিতা করব কেন?নাকি আমি সব পোস্ট এ যেয়ে নেগাতিভে কমেন্ট করি?
"বাঙালির চেয়ে বড় রেসিস্ট পৃথিবীতে আর কারা আছে?"
এই কথার against এ আমি যেটা বলসি, সেটা হয়ত তেমন ক্লিয়ার হয় নাই, তাই আপনি বুজেন নাই|কেউ যখন কোনো racist কমেন্টস করে তখন সে নিজের লোকেদের কাছেই সেটা করে, কোনো সাদা যদি racist হয় সে নিচ্চয় আপনার সামনে এসে বলবে না যে বাঙালিরা কালো?কাজেই আপনি আপনার চারপাশে যেসব recist দেকতে পাবেন সেসব বাঙালিই হবে অন্য কালারের না|
" সারা পৃথিবীর সব বিত্তবানই বিত্তহীনদের ঘৃনা করে"
এইটা লেখা ঠিক হয় নাই, আরেকটু ক্লিয়ার করা যাইত| মেনে নিচ্ছি|
আতাহার
বাঙালি/বাঙালিয়ানা নিয়ে বুঝে কিংবা না বুঝে তর্ক করছেন ভাল কথা, তর্কের ভাষাটা ইংরেজি কিংবা অশুদ্ধ বানানে না হলে ভাল হয়।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনি কোন কুয়ায় বসবাস করছেন জানি না। কিন্তু বুঝতে পারছি আপনার অভিজ্ঞতা আসলেই অনেক কম। চিন্তাভাবনাও এলোমেলো।
রেসিজম মানে শুধু যখন সাদা চামড়ার লোকেরা কালো চামড়ার লোককে দেখে গালি দেয় তা নয়, রেসিজম মানে মানুষকে অযথা আলাদা করে দেখা। শুধু কথা বলাই রেসিজম নয়, মানুষকে পৃথক করে ক্লাসিফাই করার চিন্তাভাবনা, ধারনা করাও রেসিজম। আপনি ঐ ব্যাক্তিকে সরাসরি বলুন আর না বলুন, নিজের লোকেদের মাঝেও যদি তাকে ক্লাসিফাই করে মন্তব্য করেন, তবে তাও রেসিজম। যেসব আমেরিকানরা যে মুসলমান নাম দেখে মনের মধ্যে চট করে, " এলার্ট " বাত্তি জ্বালায় দেয় ( মুখে হয়ত মধুর হাসি) সেটাও রেসিজম। আপনি অমুক জেলার লোক বলে যখন আপনাকে বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য জেলার পাত্রীপক্ষ বাতিলের খাতায় ফেলে দেয় সেটাও রেসিজম। আপনি অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন বলে অন্যদের সামনে বেশি ডাঁট মেরে চলেন, অন্যদের গরু গাধা ভাবেন, সেটাও রেসিজম। রেসিজমের সংজ্ঞা অনেক বিস্তৃত কিন্তু খুবই সহজ। ও! আরো একটা কথা, কাউকে শুধু খারাপ ভাবাই রেসিজম না, কাউকে অহেতুক ভালো ( উদাহারনঃ কি সুন্দর নুরানী চেহারা, নিশ্চয়ই খুবই সৎ লোক) ভাবাও রেসিজম।
আর আপনার এই বাক্যটা
দেখে একটা কথা মনে হইছে, যদিও পরে বুঝতে পেরেছেন বলা ঠিক হয়নি, কিন্তু মানুষের ইনিশিয়াল রি-একশন থেকেই কিন্তু তার ধ্যানধারনা অনেকখানি প্রকাশ হয়ে যায়, তাই মনে হলো আপনি নিজে হয়ত আশেপাশে বিত্তশালী পরিবেশ দেখে আসছেন, যেখানে বিত্তহীনদের শুধুমাত্র সাহায্যপ্রার্থী, সুযোগসন্ধানী হিসেবেই আবির্ভাব ঘটেছে। কিন্তু অনেক বিত্তবান ব্যাক্তিই বিত্তহীনদের ভালবেসে তাদের সেবায় এগিয়ে আসেন, সেটা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন ( আশা করছি আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এরকম উদাহারণ আছে)।
আশা করি 'সুচিন্তিত' মতামত অব্যাহত রাখবেন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আরেকটা কথা আত্নসমালোচনা করা খারাপ কিছুনা বরং নিজের ভুলগুলো জানা সত্ত্বেও সেগুলো নিয়ে চিন্তা না করাটাই আমার কাছে খারাপ মনে হয়।
মনু
সচলায়তনের সম্মানিত অতিথি, আমি বাক্যটা প্রশ্নাকারে করেছি। আপনার আপত্তি থাকতেই পারে, কোন সমস্যা নেই। কেউ যদি আমাকে কালো বলে আমি কীই বা আর বুঝব,হুঁ বলে মাথা নাড়ব, আমি তো কালই। রেসিজম টপিক নিয়ে এখানে তো অন্য জাতির গুণগান করা হচ্ছেনা ভাইজান। আর পয়সাওয়ালা যে ফকিরদের ঘৃণা করে সেটা বিশ্বজনীন, তারপরও বিল গেটসদের আন্তর্জাতিক চ্যারিটি ফাউন্ডেশন আছে আর আমগো সাহেবরা গরীবের গুয়া মেরে তার শেষ পয়সাটাও হাসিল করার ধান্ধায় আছে। হাসি আসলে ভাইজান হাসেন, হাসি হৃদয়ের জন্য ভালো। ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানরা তো কালা ছিলনা ভাই, ইউরোপ-আমেরিকায় যে উইচক্রাফট চালু ছিল সেটাকেই চার্চ এবং রাষ্ট্র ব্লাক ম্যাজিক বলত। শয়তান যেহেতু আণ্ডারওয়ার্ল্ডে আণ্ডারউইয়ার পড়ে বসে থেকে সব শয়তানি চালায় আর আণ্ডারওয়ার্ল্ড যেহেতু অন্ধকার আর সেই অন্ধকারের শয়তানের স্তববন্দনাটাই চার্চ ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল জনাব। ভাই আপনার বয়স তো বেশী না, অনেক কিছু তাই দেখেন নাই। কালো মেয়েরে এদেশে যে সবাই বিয়ে করতে চা্যনা এটা বোঝার জন্য ২৬ বছর বয়স তো যথেষ্ট। সাদাদের মধ্যে রেসিস্ট আছে তো ভাই, ভালোমতই আছে, আমি কি নাই বলছি কোথাও?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ব্লাক মাজিক এর উতপত্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে কৃতজ্ঞ হলাম| কিন্তু আপনার explaination এ যা বুজলাম অন্য জাতির লোকেরাও কালো বলতে অশুভ বোঝায়|তাইলে "বাঙালির কাছে কাল মানেই অশুভ, শয়তান, খারাপ ইত্যাদি।" এই কথাতা কি ভুল না?
কালো মেয়েরে এদেশে যে সবাই বিয়ে করতে চা্যনা এটা আমিও জানি কিন্তু কালো নবজাতকের জন্ম সংবাদে আত্মীয়কূলএর কেঁদে বুক ভাসানোর বেপারটা মনে হয় অতিরঞ্জিত|
" কালো মেয়েরে এদেশে যে সবাই বিয়ে করতে চা্যনা ", "সবাই? আপনি শিওর? সবাই কথাটা ঠিক না মোটেও।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
"কালো মেয়েরে এদেশে যে সবাই বিয়ে করতে চা্যনা"----২৭ নং কমেন্টস থেকে কপি করসি|
আপনি কয়টা বাংলাদেশী পরিবারকে চিনেন সে ব্যাপরে প্রশ্নের অবকাশ আছে। আর ২৬ বছরের অভিজ্ঞতার উপরে যে অনেক জোর দিচ্ছেন, তো বাদবাকি লোকজনের (যাদের অনেকের অভিজ্ঞতা আপনার চেয়ে অনেক বেশি) অভিজ্ঞতার কি কোন দাম নাই?
আমার ঘরের মানুষের কথা বলি, মোবাইলে কোন এক নবজাতকে কন্যার খবর পেয়ে, তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল "গায়ের রং কি ফর্সা হইসে?"
[বলে রাখি আমার অভিজ্ঞতার বয়স আপনার চেয়ে ২ বছর বেশি ]
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
- ধরেই নিচ্ছি আপনি দূর ভবিষ্যৎ হতে টাইমমেশিনে করে একবিংশ শতাব্দীতে চলে আসছেন!!! তাই "একবিংশ শতাব্দী' অহরহ ঘটা ঘটনা আপনার কাছে "কোন আমলের' মনে হতেই পারে!!!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনি যেভাবে বললেন তাতে মনে হল আপনি বাংলাদেশে থাকেন না। তাহলে আপনার ভয় কি? আপনার দেশ নিয়ে তো বলে নাই।
আমি এখানে আফ্রিকান-কেনেডিয়ানদের সাথে কাজ করি। প্রচুর বাঙালীর খুব চিন্তা এই নিয়ে- কালোরা এই, কালোরা সেই, ওদের সাথে কীভাবে এতদিন কাজ করছ, ইত্যাদি। সাধারণ বাঙালী ট্রেন্ডে বিরাজ করে, দুর্ভাগ্যবশতঃ এমন একজনকেও আমি অপরের সংস্কৃতি,সামাজিকতা,পোশাক,এক্সপ্রেশান,গায়ের রঙ, ভদ্রতাবোধ ইত্যাদি কোনোকিছু নিয়ে পজিটিভ মন্তব্য করতে দেখিনি। আমাদের সব কথার বড় কথা হলো--'আমরা সবাই লক্ষ্মীসোনা-তোমরা ভারি দুষ্টু' টাইপ। এমনকি যখন কথাবার্তায় খুব চোস্ত,মানবাধিকার, ইউরোপীয় সভ্যতা, ধনতান্ত্রিকতা, নোবেল লরিয়েট সম্পর্কিত সাহিত্য চিন্তা ইত্যাদি 'আমি বুঝিনা" ধরনের গুরুগম্ভীর বিষয়াদি নিয়ে ফল্গুধারার মতন বাক্য ছোটানো বীর বক্তাদেরও যখন দেখেছি মানুষের চামড়ার রঙ দেখে উৎকর্ষতার বিচার করতে-(উদাহরনঃ ওবামা নিঃসন্দেহে ভালো পলিটিশিয়ান, কিন্তু হোয়াইট হাউসে থাকবে ওই পাতিলের পাছার মতন কালো মহিলা!)মন বন্ধ করে পালিয়ে এসেছি সে সমস্ত পরিচিত-বন্ধুদের নিকট থেকে।আমার আসলে কপাল খুবই খারাপ এইসব ক্ষেত্রে!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেক বছর ধরে দেশের বাইরে স্থায়ী হয়ে গিয়ে অনেক বাঙালি বিদেশের মূল-ধারার সাথে মিশতে পারেনা। তারা নিজেরা ছোট একটা কম্যুনিটি তৈরী করে ঐখানেই আবার শুরু করে পরচর্চা-নিন্দা।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
হাজার বছর ধরে ফর্সা লোকের হাতে শোষণ
তাই করি কালো রং নিয়ে বাঁকা মনোভাব পোষণ
সেই ভাব খরতর
স্বাধীন হওয়ার পরও
ঘরে ঘরে শোভা পায় কালা রং ঘোচানোর লোশন
খুবই সত্যি কথা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ডাকঘর | ছবিঘর
মাঝে একটা কথা শুনেছিলাম কার কাছে যেন ঠিক মনে করতে পারছিনা, দেখতে সুন্দর বাচ্চারা নাকি ডে-কেয়ারে খুব আদরযত্ন পায়, আর অন্যরা নাকি বেশ অযত্নই পায়। একটা শিশু কিছু বোঝার আগেই রেসিজম এর স্বীকার হয়।
লেখাটার বক্তব্যের সাথে খুব খুব সহমত।
কথাটা সত্য। সবগুলার কথা জানিনা, একটার কথা জানি।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হাজার হাজার বছরের 'ইয়ে' খাওয়া জাতি আমরা! বলতে লজ্জা হচ্ছে!!
ডাকঘর | ছবিঘর
গায়ের রঙ নিয়ে আমাদের মনোভাবকে ঠিক রেসিজম বলা যায় না। রেসিজম হয় যখন কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কেউ ডিসক্রিমিনেশন বা বৈষম্যের শিকার হয়। গায়ে রঙ ফর্সা করার ক্রিম মাখলে বা আড়ালে কাউকে 'কাউলা' বলে গালি দিলে সরাসরি কেউ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না। এগুলোকে বরং অনেকটা আমাদের কলোনিয়াল মনমানসিকতার পরিচয় বলা যায়। কিন্তু রেসিজম হবে তখন যখন কালো হবার কারণে বা কারো কোন ধর্মীয় বা জাতিগত এফিলিয়েশনের তাকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হবে। আফ্রিকান আমেরিকানদের উদাহরণ এখানে দেয়া যায় যারা আমেরিকায় দীর্ঘদিন রেসিজমের শিকার ছিলো। এরা যে গায়ের রঙের কারণে বৈষম্যের শিকার ছিলো বা এখনো শিকার হয় তা কিন্তু নয়। এরা রেসিজমের শিকার তাদের একসময়কার ক্রীতদাস হিসেবে পরিচয়ের কারণে। ঠিক একই কারণে ওবামাও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছে, কারণ তার গায়ের রঙ কালো হলেও দাস হিসেবে তার কোন পারিবারিক পরিচয় নাই। আমেরিকায় রেসিস্ট আইন-কানুন বিলুপ্ত হলেও এখনো একজন আফ্রিকান আমেরিকান যার স্লেইভ হিস্টরি আছে তাকে প্রেসিডেন্ট বানানোর মতো পর্যায়ে যেতে অনেক দেরি আছে। আর্ল শার্প্টন, জেসি জ্যাকসনের মতো নেতাদের তাই এখানে কোন বেইল নাই।
তানভীর ভাই বোধ হয় এখানে রেসিজম এর শিকার হওয়াটাই বোঝাতে চাচ্ছেন। আমার মনে হয় ইউরোপিয় ঔপনিবেশিকতার অনেক আগে থেকেই আমাদের অঞ্চলে কালো বর্ণের মানুষদের প্রতি একটা ঘৃণা বা বিদ্বেষ বিদ্যমান ছিল। হিন্দু পুরানে দেখা যায় আর্যরা গৌর বর্ণের আর রাক্ষস, অসুর বা অনার্যরা কৃষ্ণবর্ণের। গাত্রবর্ণের কারণে উদ্ভুত ঘৃণার কারণে আমাদের দেশে হয়ত সেভাবে কেউ শারীরিকভাবে বা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন না, তবে মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে ঠিকই হচ্ছেন। বিয়ে তার একটা উদাহরণ। এমনকী বিশেষ কিছু চাকরির ক্ষেত্রে স্মার্ট, সুদর্শণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। আমরা অনেকের সুদর্শণ বলতে নিশ্চয়ই কালো রঙের কাউকে মনে করিনা। আমি আসলে 'বাঙালির রেসিজম' কথাটার মধ্য দিয়ে বাঙালির চরম জেনোফোবিয়া এবং বর্ণবিদ্বেষকেই বোঝাতে চেয়েছি। প্রশ্ন করেছি। ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। আমার মনে হয়েছে লেখক আমাদের কলোনিয়াল মনের কথা বলতে যেয়ে বর্ণবাদকে টেনে এনেছেন। লেখক যেসব ঘটনা বলেছেন, তার বেশিরভাগই সত্য হতে পারে, কিন্তু এগুলোকে সরাসরি বর্ণবাদ বলা যায় কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান।
মূল আবেগটার সাথে সহমর্মিতা আর সহমত প্রকাশ করছি, কিন্তু বাকি বক্তব্যের অধিকাংশের সাথেই একমত হতে পারলাম না। দুঃখিত।
****************************************
দুঃখ পাবার কিছু নেই, কিন্তু কোন কোন বক্তব্যের সাথে আপনি দ্বিমত পোষণ করছেন তা জানা দরকার। ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনি মনে হয় কোন বিশেষ কারনে সাময়িকভাবে একটু বেশি উত্তেজিত বা ক্ষুব্ধ আছেন, তাই 'বাঙালি'-র একটু গুষ্ঠি উদ্ধার করলেন। এটা হতেই পারে। আপনি বাঙালি সম্পর্কে অনেক অব্জার্ভেশন দিয়েছেন, আমিও একটা দেই -- আমরা বাঙালিরা (অন্তত বাংলাদেশিরা) যখন অন্য কোন বাঙালির আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হই বা তার দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত/অপমানিত হই, তখন অনেকসময়ই ঘনিষ্ট পরিচত মহলে'বাঙালি'র জাত তুলে গালাগালি করি। এই জিনিষটা ব্যক্তিগত পরিসরে প্রায়ই দেখি আমি। খুব সহজেই আমরা সাধারনীকরণ করে ফেলি, ভুলে যাই যে অল্প কিছু লোকের আচরণ সমস্ত জাতির উপর বর্তায় না। আরও ভুলে যাই যে ঐ একই ত্রুটিবিচ্যুতি হয়ত পৃথিবীর অধিকাংশ জাতির লোকের মধ্যেই কমবেশি বিদ্যমান, আলাদাভাবে বাঙালিকে চিহ্ণিত করার কিছু নাই। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, আমাদের এই আত্ননিন্দার প্রবণতাটাই বরং কিছুটা কলোনিয়াল উত্তরাধিকারপ্রসূত আত্নকরুণাবোধ বা হীণমন্যতাবোধ থেকে উদ্ভূত। পাকিস্তানি-উত্তর ভারতীয় থেকে শুরু করে ব্রিটিশ-মোগল হয়ে সেই বৈদিক আর্য পর্যন্ত বাঙালিকে হেয় করার চেষ্টা হয়েছে নানাভাবে - আমরা মনে হয় বহুসহস্র বছরের এই প্রক্রিয়ার ফলে তাদের প্রচারণাগুলি আমরা কিছুটা ইন্টার্নালাইজ করে ফেলেছি। এর দরকার ছিল না। যাহোক সাইকোব্যাব্ল এপার্ট, আপনার (এবং অধিকাংশ অন্য বাঙালি যারা এমন করেন তাদের) ক্ষোভের বিস্ফোরণকে আমি অত সিরিয়াসলি দেখছি না, বরং এটাকে একটা সাময়িক উত্তেজনাপ্রসূত নন-ম্যালিশাস (এমনকি ভালবাসাপ্রসূত!) আউটপোরিং বলেই ধরে নিচ্ছি। তা নইলে, একটু ঠাণ্ডা মাথায় যদি নিজের লেখাটা আরেকবার পড়েন, দেখবেন আপনার লেখাটাই বরং বহুগুন বেশি 'রেসিস্ট' হয়ে গেছে!!
শুধু একটু অনুরোধ করব, এই দেশ ও দেশের মানুষ সম্পর্কে খারাপ কথা বলার লোক অনেক আছে বা থাকতে পারে, কিন্তু আমরা নিজেরাও যেন অপ্রয়োজনে তাতে যোগ না দেই। অন্তত লঘুপাপে গুরুদণ্ড না দেই। লঘুপাপে গুরুদণ্ড দেয়াটা অন্যায়, আর একটা অন্যায় কখনই আরেকটা অন্যায় দ্বারা জাস্টিফায়েড হয় না। টু রংস ডোন্ট মেক আ রাইট! আপনি যেসবকে 'রেসিজম' বলছেন, সেগুলি আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই 'রেসিজম' নয়। বাঙালির যে আচরনগুলির উদাহরন আপনি দিয়েছেন, 'রেসিজম' তার থেকে অনেক অনেক বড় অপরাধ। উপ্রে তানভীর ভাই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রেসিজম জাতিবর্ণের ভিত্তিতে কারও স্বীকৃত মানবাধিকার বা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে তাকে বাস্তবেই বঞ্চিত করা বা তার ভিত্তিতে ডিস্ক্রিমিনেট করা বোঝায়। এটা একটা বিশাল ও সিরিয়াস রাজনৈতিক বিষয়। এর সাথে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক ভয়ঙ্কর সব অপরাধের ঘটনাও জড়িত। পক্ষান্তরে বাঙালির গাত্রবর্ণজনিত যে আচরনগুলির (কাইল্লা, নোংরা, ইত্যাদি) কথা আপনি বলেছেন, সেগুলি বোধহয় পারিবারিক/বন্ধুমহলের পরিসরে হীণমন্যতা, নিরাপত্তাবোধহীণতা, অগ্রসর শিক্ষা ও সংস্কৃতির ঘাটতির ফলাফলহীণ প্রকাশ। এগুলি 'ঘৃণা' বা 'বিদ্বেষের' প্রকাশও নয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আপনি বলেছেন, "‘বাঙালির চেয়ে বড় রেসিস্ট পৃথিবীতে আর কারা আছে?’" আপনি কি বলতে পারবেন, বাঙালিরা রেসিজমের কারনে ৬০ লক্ষ না হোক, কত লক্ষ, হাজার, শত, বা জন মানুষকে গ্যাস চেম্বারে পুরে হত্যা করেছে? আর তাদের কতজনের হাড় থেকে বোতাম আর শরীরের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছে? একজনও? কত লক্ষ স্বদেশবাসীকে স্রেফ ভিন্ন এথনিসিটির হওয়ার কারনে পাইকারিভাবে হাত-পা কেটে ফেলে রেখেছে কিন্তু ইচ্ছে করেই হত্যা করেনি স্রেফ এক বিকৃত-পৈশাচিক যন্ত্রনা দেয়ার উল্লাসে? কয়বার দখলীকৃত উপনিবেশের হীণজাতির মানুষকে সাফা করার জন্য তাদের মধ্যে পক্স জাতীয় সংক্রামক মহামারী সুচিন্তিত ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে? কয়বার কালোমানুষের বাচ্চাদের বাপ-মার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে, যাদের 'স্টোলেন যেনারেশন' আখ্যা দেয়া হয়? বাঙালি কি এদের চেয়েও বড় রেসিস্ট?
রেসিজম-সম্পৃক্ত এমন অজস্র ঘটনার উদাহরন দেয়া যায় যা পৃথিবী জুড়েই ঘটেছে ও ঘটেই চলেছে। আপনার সুন্দর আফ্রিকাও তার থেকে মুক্ত নয়, বরং সেখানেই বোধহয় ইদানীং ঘটছে বেশি (আফ্রিকানরা কেবলই ধোয়া তুলসী পাতা ভিক্টিম এটা বোধহয় ভুল ধারণা)। পৃথিবীর বহু দেশেই রেসিজমজনিত এমন ভয়ানক সব ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে - আফ্রিকা, ইউরোপের বলকান্স, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আম্রিকা, কোথায় না! আর আপনি কিনা এইসব ভয়ঙ্কর ঘটনার সাথে কে কাকে আড়ালে 'কাউল্লা' বলল কি বলল না, সুন্দর মনে করল কি করল না, বিয়ে করল কি করল না, ফেয়ার এণ্ড লাভলী মাখল কি মাখল না (শেষের তিনটাই আসলে যার যার ব্যক্তিগত চয়েস এণ্ড নোবডি এলসেস বিজনেস) - সেইসব তুলনায় অবিশ্বাস্য লঘুমাত্রার বিষয়কে একই পংক্তিতে মেপে ফেললেন??!!! এইজন্যই বলছিলাম দুঃখ পেয়েছি, কারন আপনি লঘুপাপে গুরুদণ্ড দিয়ে দিলেন। জাতিগত ভাবে ব্ল্যাঙ্কেট স্টেটমেন্ট দিয়ে বলে দিলেন - পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেসিস্ট জাতি?!!! আপনার এই কথাটাই তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেসিস্ট স্টেটমেন্টগুলির একটা!
যাইহোক, আপনি জিজ্ঞেস করলেন বলেই এত বড় জবাব দেয়া। কিন্তু আগেই যেমন বলেছি, আপনার লেখাটাকে একটা ইষৎ বিভ্রান্ত কিন্তু অসদুদ্দেশ্যহীণ সাময়িক আবেগিক বিস্ফোরণ বলেই ধরে নিচ্ছি আমি। তাৎক্ষণিক কোন তীব্র ক্ষোভের মাথায় আমরা অনেকেই অনেক সময় অতিরঞ্জন বা অতিশয়োক্তি করে ফেলি, যদিও অন্য সময় হয়তো সিরিয়াসলি সেটা বিশ্বাস করি না। আশা করি আপনার বেলাতেও তাই।
****************************************
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সহমত
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনার কথা ঠিক আছে, কিন্তু কাউরে "কাউলা" বলে গালি দেওয়া মনে হয় রেসিজম না, "কাউলা" হওয়ার কারণে ইন্টারভিউ তে ভাল করার পরও (বা সব যোগ্যতা থাকার পরও) চাকরি তে না নেওয়াটা রেসিজম -- আমাদের দেশে হয়ত এইসব ক্ষেত্রে রেসিজম হয়, কিন্তু সেইটা হয় একদম অন্য রূপে -- রাজনৈতিক দল ভিত্তিক (কিংবা মাঝে মাঝে ধর্ম ভিত্তিক)।
আর আমাদের দেশে গায়ের রং ভিত্তিক রেসিজম যা হয়, তা গোরা দের দেশের রেসিজমের তুলনায় খুবই নিরীহ মাত্রার। দুইটা গুলায়ে ফেললে মনে হয় ঠিক হবে না। রেসিজমের আসল রূপ দেখতে হইলে আপনাকে গোরা কমিউনিটির একদম ভিতরে গিয়ে দেখতে হবে মনে হয়।
এইটা বোধহয় কালারিজম, তবে প্রকাশ যতটা বা যেভাবেই ঘটুক, রেসিস্ট মানসিকতা এবং আচরণ নিশ্চয়ই একটা বড় সমস্যা।
ভাই গোরাদের রেসিস্ট বলে তো সারা দুনিয়া থেকেই গালিগালাজ, শাপশাপান্ত করা হচ্ছে। সেইটাকে তো অস্বীকার বা মিথ্যে প্রমাণে নামি নাই। রেসিজমটা শুধু যে ওদের পৈত্রিক সম্পদ নয়, আমরাও ও এই রেস এ প্রথমের দিকে থাকা পাব্লিক সেইটাই বলতে চাইছিলাম। এটা ঠিক যে আমাদের দেশে গায়ের রঙ কালো বলে কাউকে ট্রেণের প্রথম শ্রেণীর কামরা থেকে পুলিশ পিটিয়ে নামিয়ে দেয়না। তবে বাঙালি তো আর সাদা মানুষদের মত দুনিয়া দখল করে বসে নাই। দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর উপর বাঙালির অন্যায় আচরণ, নির্যাতন, শোষণ দেখলেই বোঝা যায় বাঙালি আসলে কতটুকু রেসিস্ট হতে পারে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
facebook
ভাইরে, রেসিজমের আসল কাহিনী তো দেখেন নাই, "গেটর-বেইট(gator-bait)" এর নাম শুনছেন? দেখেন রেসিজম কারে কয় --
http://superstartakeia.blogspot.com/2010/11/slave-babies-as-gator-bait.html
চামড়ার রং এর উপর ভিত্তি করে এইধরণের জাহেলীপনা মনে হয় শুধুমাত্র গোরাদের দ্বারাই সম্ভব রে ভাই, কোথায় আছেন?
-- রামগরুড়
আমার মনে হয় বাঙ্গালি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেসিস্ট জাতি নিশ্চয়ই নয় তবে রেসিস্ট যে এই ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নাই।
বাঙালীর রেসিজমের উদাহরণ-গুলো ঠিক জুতের হল না, একমাত্র বিয়ের ব্যাপারটা ছাড়া। তাও বিয়ের রেসিজমটা অনেকটা বিবর্তন-সম্মত হতে পারে (রেসিজম ব্যাপারটাও বিবর্তন-সম্মত)। বাঙালীরা ঠিক অন্যান্য জাতের সাথে তেমন-ভাবে মেশেনি, তাই রেসিজমটা ঠিক দানা বাঁধে নি - এরকমটাই আমার মনে হয়েছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
কি কাকতাল দাদা, আজকেই গাড়ী চালানোর সময় কি কারণে যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো বাঙ্গালী রেসিজমের কিছু তথ্য এক লেখা ব্যবহারের জন্য মাথায় এল ( খুব কমনটা- অনেক বাঙ্গালী পুরুষই বিদেশে শ্বেতাঙ্গিনী বিবাহ করেছেন কিন্তু কত জন কৃষ্ণাঙ্গিনী বিবাহ করেছেন? আবার শ্বেতাঙ্গ স্বামী আছে এমন জনাকয়েক বাঙ্গালী মহিলার সাথেও পরিচয় হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কৃষ্ণাঙ্গ স্বামী আছে এমন কথা শুনি নাই )
অনেক বড় আকারে পরে লিখতে হবে, তবে এই বর্ণ বৈষম্যবলেন আর শ্রেণীবৈষম্য বলেন এর শেকড় আমাদের অনেক অনেক গভীরে। জ্ঞানের অভাবও একটা মূল কারণ, কালো মানেই খারাপ, আরে হাবার দল জগতের সব মানুষ একসময় কালোই ছিল, যতোসব )
facebook
গায়ের রং নিয়ে বাঙ্গালীদের একাংশের মধ্যে যে চুলকানী আছে সেটা কতো শতাংশ জানার উপায় নেই। কিন্তু বিয়ের বাজারে এই ব্যাপারটা হেনস্থার পর্যায়ে পৌঁছে যায় কখনো কখনো। প্রেম করে যারা বিয়ে করেছে তাদের মধ্যে প্রচুর ফর্সা ছেলে কালো মেয়ে বিয়ে করেছে, প্রচুর ফর্সা মেয়ে কালো ছেলে বিয়ে করেছে। যখন পরিবারের পছন্দে বিয়ে হয়, তখন আমি একবারো দেখিনি কোন পাত্র পক্ষ কালো মেয়ের সন্ধান করছে। মেয়েটা ফর্সা হতে হবে এটা হলো প্রথম পূর্বশর্ত। তারপর বাকীগুলো। এটাকে বর্নবাদ বলা যায় কিনা আমি জানি না, তবে এটা আমাদের সংস্কৃতির একটা অঙ্গ হয়ে গেছে বলা যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সহমত একদম ।আমাকে ও লড়তে হয়েছে এই বিষয়ে, গাত্র বর্ণ কালো কিনা !!
কথাগুলো আমার নিজের মনেরও কথা। আল্লাহ মানুষকে যেই রঙই দিন না কেন সেটা তার নিজের রঙ। আমাদের কেন সবাইকে সাদা ধবধবা হতে হবেই? সাদা না হলে সুন্দর হয়না এই সব বর্ণবাদি কথা বার্তা বলা প্রডাক্টগুলো ব্যান্ড করা উচিত।
ভাল লাগলো। দারুন লেখা।
চমৎকার লেখা। আমি অন্তর দিয়ে আপনার লেখনি টা অনুভব করলাম কারন ঠিক একই কথা গুলো আমার নিজের মাথাতেও ঘুরপাক খায়। আমাদের মধ্যে এখনও কমপ্লেশন হেজিমনিটা আছে, আর হয়ত থাকবেও আর ঠিক এই কারনে এখনও পশ্চিমাদের সবকিছু আমাদের কাছে কতই না সুন্দর আর কৃষ্ণাঙ্গ বা কৃষ্ণাঙ্গিনী কাউকে সামনে পেলে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে, শালা কাউলা!!! কেউ ইউরোপ/কানাডা/আমেরিকায় গেলে পরিবার পরিজন হাত তালি দেয় আর আফ্রিকা/চীন এসব দেশে কেউ গেলে নাক কুঁচকে বলে, ওখানে কি কেউ থাকে নাকি! কারও স্বভাব পরিবর্তন হয়ত এতটা সহজ নয়, কিন্তু চেষ্টা করছি।।
আপনার লেখাটায় কঠিন কিছু সত্য উঠে এসেছে। প্রবাসে আসার পর বিভিন্ন সময় আমার বেশ কিছু ভালো বন্ধু হয়েছিল যারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। আমাদের 'স্টেরিওটাইপ' বাঙালী ধারণাটা তখন ধাক্কা খেয়েছিল। প্রথম যখন আসি, তখন উপদেশ হিসেবে বাঙালী কমিউনিটিতে শুনলাম 'ওরা' ভালো না, ভয়ঙ্কর, দূরে থাকা উত্তম ইত্যাদি। কিন্তু পরে কাছে গিয়ে দেখলাম তারাও অন্যদের মত মানুষ। তাদেরও আবেগ আছে, অনূভুতি আছে। আমরা এক সাথে পড়ছি, মজা করছি। স্কলারশিপের প্রথম মাসের টাকা আসতে যখন দেরী হচ্ছিল তখন আর্থিক সাহায্যের হাত আমার এক নাইজেরিয়ান বন্ধুই বাড়িয়ে দিয়েছিল। যখন নূতন শহর চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল তখন এক ঘানার বন্ধু শহর চিনিয়েছে। আমার সাথে ওদের পার্থক্যতো কোথাও নেই!
মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, মানুষের মানুষ হয়ে উঠতে এখনও অনেক বাকি। যখন সাদা-কালোর এই ধারণা থেকে বের হতে পারবো আমরা, যখন আমার-ঈশ্বর এবং তোমার-ঈশ্বর নিয়ে হানাহানি বন্ধ হবে, যখন মানবতা সব কিছুর উপরে স্থান পেতে শুরু করবে, কেবল তখনই আমরা মানুষ হয়ে উঠবো।
লেখাটা ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো।
টুইটার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এহহে সুমাদ্রীদা! আপনি তো বেজায় কালো!! এমন কী লেখাটাও কালো কালিতে! ছ্যা!!! আমি পড়বো না।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তারানা আপু
আপনার বেড়ালটাও কিন্তু কালো!!
কালো বেড়াল তো জানি বাংলাদেশ রেলওয়েতে থাকে। আপনি পাইলেন কৈ?
--------------
পথিক পরাণ
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
তবে কিছু ক্ষেত্রে সাধারণীকরন হয়ে গেছে।
মন মাঝি-র মন্তব্যে বেশ যুক্তি আছে।
তোর লেখার বিষয়বস্তুতে বেশ বৈচিত্র এসেছে, বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লিখছিস।
চালিয়ে যা।
এটা আমার বিড়াল না, সচলায়তনের বিড়াল।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেসিস্ট' দেশের পার্শ্ববর্তী একটা স্বর্গপুরী থেকে উদারতা আর মহত্বের প্রাসঙ্গিক সুসমাচার --
ফেয়ার এণ্ড লাভলীর বীভৎস-পৈশাচিক জনপ্রিয়তায় বীতশ্রদ্ধ মানুষেরা এখন কি বাংলাদেশের চেয়ে কম রেসিস্ট হওয়ার কারনে নোবেল কমিটিকে বলে কয়ে বার্মার জন্য আরেকটা নোবেল পুরষ্কারের ব্যবস্থা করে দেবেন প্লিজ?
****************************************
আবেগতাড়িত হলেও ভাল পোস্ট। আমার পোস্টখানা তাড়াতাড়ি দেবার জন্য খানিকটা ঠেলাও দিলেন বলা চলে।
আত্ম-সমালোচনা থেকেই আত্মোপলব্ধি আসে। বাঙালি নিজের সমালোচনা করে কম, অন্যের দোষ ত্রুটি পেলে রক্ষে নেই। আর তার থেকেও বড় কথা সে পরশ্রীকাতর!! এতগুলো বদ-গুনের অধিকারী হয়েও অনেকেই গর্ব বোধ করেন!! লেখাটি হঠাৎ আবেগতাড়িত হলেও এতে সত্য ঠিকই আছে। হয়তো কিছু জায়গায় সরলীকরণ হয়েছে কিন্তু তাতে লেখার মূলভাব বদলে যায়নি। ভালো লেগেছে এই তীক্ষ্ণ সমালোচনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাঙালি রেসিস্ট এই কথার সাথে একমত। হয়ত রেসিজমের বাহ্যিক প্রকাশ নিগ্রো দাসের প্রতি সাদা প্রভু, ইহুদীদের প্রতি নাৎসী বাহিনীর মত ভয়ানক নয়। কিন্তু বৈষম্য সৃষ্টি করার জন্য নানান মাপকাঠি বের করার দিক দিয়ে বাঙ্গালি বহুত আগায় আছে। আমরা কালা ধলা চামড়ার রঙ দিয়ে মানুষ আলাদা করি ( কালা মানেই কুচ্ছিত, ধলা মানেই রুপসী), ধনী গরীব দিয়ে আলাদা করি ( ধনী মানেই দেমাগী, অলস, অসৎ, ভাগ্যবান আর গরীব মানেই সৎপথে পরিশ্রমের রোজগার, কপালফাটা), ৬৪ জেলার ৬৪ রকমের লেবেল লাগানো তো আছেই, ঢাকাতেই এই এলাকার লোক ঐ এলাকার মানুষ সমন্ধে মনে মনে একটা ধারণা নিয়ে বসে থাকে, তার পরে ধরেন বুয়েট মেডিক্যাল পড়ুয়া ভার্সাস অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ইংলিশ বাংলা মিডিয়াম তো আছেই। সোজা কথায় স্টেরিওটাইপিং করতে আমরা ওস্তাদ, এবং এটা শুধু মনে চেপে রাখলেও হোত, কিন্তু আমাদের হাতে যেটুকু ক্ষমতা আছে সেটুকু ব্যাবহার করে আমাদের পছন্দের স্টেরিওটাইপকে আদর আহ্লাদ আর অপছন্দেরটাকে গাল মন্দ কি সুযোগ বুঝে লাথি ঝাটা করতে ছাড়ি না। তবে সবাই মিলে বৈষম্য করতে থাকায় হয়ত একটা ব্যালান্স চলে এসেছে। একমাত্র কালা-ধলা চামড়ার বিষয়টাই ব্যালান্স হচ্ছে না, কারন সুয্যি মামার বদান্যতায় কর্কট ক্রান্তিতে বসত গাড়া বাঙালি কম-বেশি সবাই কালো।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এই ধরনের স্টেরিওটাইপিং অবশ্য অন্য অনেক জাতির মানুষও বোধহয় কম করেন না, বাঙ্গালির চেয়ে বেশিই করেন।
১০০% সহমত লেখার সাথে।আমার হাসবেন্ড সবসময় এ কথা বলে। তাই মেয়ে হওয়ার সময় সে চেয়েছিল মেয়ে যেন কালো হ্য়। বলেছে, দেখবো কোন শা_ কালো বলে!!!!
Lekhata porar por kichu tukro tukro vabna amar mathay eseche
** American store e "fair & lovely cream" obossho paoa jay na, tobe fair skin to tan colored skin houar jonno bivinno dhoroner cream paoa jay. edesher manush beshir vag e sada chamrar bolei hoyto. jar jeta ache seta niye se kokhonoi satisfy hoy na.
R ha, eta shotti je amra bangalira kalo du chukhe dekhte pari na. meye kalo? Tailei hoiche, ei meyer kopale to prem valobasa nai! Cholera ore dekhe nak sitkabe. Meye kalo? Baba mar meyer biye diye niye chintar sesh nai, tar jonno boro ongker joutok ready kora lagbe. Meye kalo? Class er onno meye ra ore opoman korbe.
manush eta vule jay je, ekta dhob dhobe sada chamrar meyer cheharay Jodi maya r madhurjer ovab thake tahole seta to sundor bola jay na. ekta kalo cheharar meye dekhe tar dik theke ghrinay mukh firiye neyar age Jodi amra ekbar chukh mele sei meyetar dike takatam tahole dekhte petam ki oporishim maya r rup lukiye royeche meyetar cheharay je prokito orthek ekta opsori!
--USA er ekta TV channel e dekhechilam je beauty pageant e ekta kalo chamrar meye 2nd hoyechilo. Amra asole ondho, prokito soundorjo amra chini na.
** ami ekhane ekta white American couple dekhechilam, ora 2 ta African black baby & ekta Chinese baby adopt niyeche. oi 3 ta bachcha der ora ador jotner kono komti korche na!! Bangalirai (other Asian too) beshi dhormo/kormo/borno-rong/arthik status niye descrimination kore!
amar university (University of West Florida) te ekta dark colored er muslim ekjon mohila cleaningz(bathroom, building) er kaj koren-khub shomvoboto uni Jamaican. onek din por hothat hothat kore unar sathe dekha hoye gele amra purono bondhor moto kulakuli kore kusol jiggesh kori.
ami ekta restaurant e waitress er kaj kortam, okhane onek customers der sathe amar onek valo shomporko! ek mohila ekdin amar jonno nijer banano cake niye aslen!! arek jon mohilar sathe sei restaurant e mash khanek por dekha holo, uni amake dekhe eto tai khushi holen je eto jure chitkar kore dour diye ese amake jorai dhorlen je sobai voy peye gechilo!! arekta sweet old couple achen unara amake nijeder pashe bosiye kichu inspirational kotha amake bolechilen, oi dadar moton manush ta amake nijer meye nei bole amake unar meye baniye fellen!!
**bangladeshe amra koy jon manush kajer bua, riksha chalok, khabar dokaner chutto cheletar sathe valo vabe kotha boli? 8/9 bochorer pichka polapan der dekha jay je 40/50 bochorer kajer lok der tui tukari kore dakche!!! briddho riksha driver der sathe baje bebohar kori!! lojjay amader monoshotto chuto hoye jay na!! amra koto ta niche neme gechi seta amra nijerai ter pai na!
** matro koyek diner porichoye ekjon African American moddho boyosko lok amar proti ja momota bodh dekhiyechen seta ami basay prokash korte parbo na, emon omayik unar bebohar r ki shundor guchano ekjon manush uni!! Ami Internship korte chai sune uni nijer uddoge amar jonno internship jogar kore deyar chesta korlen!! Matro koyek diner porichoy othocho mone hoto koto jug jug kore uni amar apon, deshe back korbo sune ki mon kharap tai na korlen! Jodi r kono din dekha na hoy ejonno uni amake ekta sundor kichu likhe valobasa moy ekta card haate tule dilen!!
unader boro mon r valobasa dekhe sroddha bere jay amar, chukhe panic hole ase.
ekjon manush ke tar gayer rong, tar desh, tar taka poysa, tar poshak-asak dekhe bibechona kora uchit na.
__Amra boro hoi ei rokom mentality niye-- Amader char pashe ja dekhi, amra setai shikhi. Ekhon amader nijeder dayitto holo amader poroborti generation ke sothik shikkha ta deyar.
(লেখাটা Microsoft word -এ বাংলিশে লিখে এখানে কপি-পেষ্ট করার পর দেখলাম যে এখানে খুব সহজেই বাংলা লেখা যায়!! আবার একটু কষ্ট করলেই বাংলাতে লিখে ফেলা যেতো যদিও
দেবদ্যুতি
নতুন মন্তব্য করুন