কুকুর আর বেড়ালের মাঝে যেভাবে শত্রুতা শুরু হল
অনেক দিন আগে, তখন ভয়ানক ত্রাস চালাচ্ছিল এক দূর্ভিক্ষ। অমন করালগ্রাসী কাল দূর্ভিক্ষ আগে কেউ কখনো দেখেছে বলে কারো মনে পড়েনা। সমস্ত পশু-পক্ষী, সমস্ত মানবকূল ক্ষুধায় হয়ে পড়েছিল কাতর।খাওয়ার মত কোথাও কেউ কিছু খুঁজে পাচ্ছিলনা, কিচ্ছু না।এমনই এক সময়ে ঝোপের ইঁদুরের শয়তানী ঘিলুতে উদয় হল এক বুদ্ধির-আপন ভাতৃকূলকে সাবাড় করে দেয়ার ঘৃণ্য এক উপায়।
ইঁদুর বেরিয়ে গেল হাতিকে খুঁজতে এবং তার সাথে দেখা হওয়ার পর সে হাতিকে একটা অদ্ভুত খেলা খেলার প্রস্তাব দিল- খেলাটি তেমন কিছুই না, একে অপরকে কয়েকটা ঘা লাগানো, এই।
- ‘একদিন তুই আমাকে মারবি তো তারপর দিন আমি তোকে। এটা চলতেই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের যেকোন একজন মারা যাচ্ছে অথবা অন্যজনের কাছে দয়া ভিক্ষা করছে।’ ব্যাপারটা ইঁদুর দামরা হাতিকে বুঝিয়ে বলল।
- তুই যা বললি সেটা ভেবেচিন্তেই বলছিস তো ইঁদুর? তুই কি মনে করিস আমার কয়েকটা ঘা সহ্য করে তুই টিকে থাকতে পারবি?
- মাথাটা একটু ঠাণ্ডা কর, বরং নিজের কথা ভাব বেটা।
- হুম, সেতো বটেই।
- হ্যাঁ, সেটাই…
তাদের হাঁটা শেষ হল। ঠিক হল তার পরের দিন ভোর চারটার সময় হাতির বাড়িতে তাদের প্রথম সাক্ষাৎটি ঘটবে, ইঁদুরই প্রথমে খেলার শুরু করবে।
যথাসময়ে, আমাদের বন্ধুটি হাতির বাড়ির দরজায় করাঘাত করল। মোটকু হাতি দরজা খুলে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে শরীর টানটান করে দাঁড়াল আর সেয়ানা ইঁদুর বেশী দেরী না করে ধুপধাপ মেরে দিল দুটো ওজনদার কিল। হাতি সেই কিলের যন্ত্রণায় অভিভূত হয়ে পড়লেও মুখে তার কোন চিহ্নই প্রকাশ করল না। মনে মনে ঠিক করল পরদিনই বিটকেল ইঁদুরটাকে মাটির সাথে সে পিষে মারবে।
সকাল গড়িয়ে যেতে না যেতেই ইঁদুর গেল হরিণের ডেরায়।
- সুপ্রভাত হরিণ ভায়া। একটা ঝামেলায় পড়ে গেছি হে, একটু সাহায্য করবে আমায়?
- বল দেখি। যদি তোমার কোন কাজে আসতে পারি, তো খুশিমনেই সেটা করব।
- খুব ভাল। দেখ, প্রতিদিন ভোর চারটার দিকে আমার শ্বাশুরি আমাকে খেতে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসে। কিন্তু প্রতিবারই অনুষঙ্গী খাবার হিসেবে ফুতু আর পাম মদ খুঁজতে বাইরে যেতে যেতে আমার বিরক্তি ধরে গেছে। আজ রাতে তুমি আমার ওখানে ঘুমাবে? খাবারটা তুমিই তাহলে আজ নিয়ে আসো আর আমরা দুবন্ধু গল্প করতে করতে একসাথে খাই।
‘হে দয়াময় ঈশ্বর’ মনে মনে বলল হরিণ, ‘ তোমার কৃপা বর্ষিত হল এমনই সময় যখন এই ক্ষুধার জ্বালা আমাকে দুদণ্ডেরর তরেও শান্তি দিচ্ছিল না।’
- ‘ এখনই যাচ্ছি আমি তোমার সাথে।’ ইঁদুরকে বলল সে।
এবং হতভাগ্য পশুটি ধূর্ত সঙ্গীটির পিছু পিছু চলল। সন্ধ্যা নেমে এল, কিছু না খেয়েই তারা দু’জন বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। ভোর চারটা বাজতে না বাজতেই, হাতি এসে ইঁদুরের দরজায় দুমদাম পেটানো শুরু করে দিল। চতুর ইঁদুর তখন তার সঙ্গী হরিণকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে বলল
- ঐ যে আমার শ্বাশুরি দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাড়াতাড়ি গিয়ে আমাদের খাবারটা নিয়ে এসো।’
হরিণ বিছানা ছেড়ে নামল আর গিয়ে দরজাটা খুলে খুলল। যেইনা সে ঘরের বাইরে একটু বেরুল অমনি কোত্থেকে কয়েকমনি একটা ঘা এসে তার মাথাটাকে দু’টুকরো করে দিল। দামরা হাতি সন্তুষ্ট চিত্তে অতঃপর বাড়ির দিকে রওনা দিল।হাতির পায়ের আওয়াজ মিলিয়ে যেতেই ধূর্ত ইঁদুর ঝাঁপিয়ে পড়ল বন্ধুর মৃত দেহটির উপর। তারপর সেটিকে কেটে টুকরো টুকরো করে হাঁড়িতে চাপিয়ে উনুনে আগুন দিল আর রান্না শেষ হলে আরামসে পেট পুরে খেল।
পরদিন ভোর চারটায়, গাব্দু হাতিকে অবাক করে দিয়ে দরজায় আবার পড়ল সেয়ানা ইঁদুরের মুঠির আঘাত।মোটুর মনে হল সে বুঝি স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু হায়! আবারও পুঁচকে ইঁদুরের মারের যন্ত্রণা সয়ে যেতে হল দাঁতে দাঁত চেপে।
সেদিনই ইঁদুর বেরিয়ে পড়ল তার দ্বিতীয় শিকারের খোঁজে। ঘুরতে ঘুরতে তার সাথে দেখা হয়ে গেল আগুতির।
- সুপ্রভাত বন্ধু আগুতি। এক যন্ত্রণায় পড়েছি ভাই, তুমি কি একটু সাহায্য করবে?
- বল দেখি। যদি তোমার কোন কাজে আসতে পারি, তো খুশিমনেই সেটা করব।
- ঘটনাটা হল, প্রতিদিন ভোর চারটার দিকে আমার শ্বাশুরি আমাকে খেতে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসে। কিন্তু প্রতিবারই অনুষঙ্গী খাবার হিসেবে ফুতু আর পাম মদ খুঁজতে বাইরে যেতে যেতে আমার বিরক্তি ধরে গেছে। আজ রাতে তুমি আমার ওখানে ঘুমাবে? খাবারটা তাহলে তুমিই আজ নিয়ে আসো আর আমরা দুবন্ধু গল্প করতে করতে একসাথে খাই।
‘অতি উত্তম প্রস্তাব’ আগুতি বলল, ‘আমি যাচ্ছি তোমার সাথে, চল।’
সন্ধ্যা নেমে এল, পেটে কিছু না দিয়েই তারা দুজন বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। ভোর চারটার দিকে এল হাতি, তারপর ইঁদুরের দরজায় পড়তে লাগল দুমদাম কিল।
- বন্ধু আগুতি, একটু উঠে দরজাটা দেখ না, আমার শ্বাশুরি মা চলে এসেছেন মনে হচ্ছে।
সবেমাত্র আগুতি দরজার বাইরে তার নাকটি বের করেছে, অমনি কোত্থেকে কয়েকমনি একটা গদাম এসে মুহুর্তেই ধরাশায়ী করে দিল বেচারাকে। পরপর দু’দিন পেটে এরকম আমিষ চালান করে দেওয়ায় মেজাজটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আসল ইঁদুরের। পরদিন যখন সে তার নায্য দুটো ঘুঁষি হাতির নাদুস-নুদুস শরীরটাতে বসিয়ে দিতে তার বাড়ি গিয়ে হাজির হল, এরমধ্যেই মুষিক-ধোলাইয়ে কাবু হয়ে পড়া গজুমিয়ার তখন শয়তান ইঁদুরটার দ্বিদন্ত বিকষিত ঊজ্জ্বল মুখটা দেখেই মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হল।কিন্তু কীইবা সে করবে, খেলার শর্ত তো তাকে মানতেই হবে। অতএব, এবারও মুখ বুঝে সে সয়ে গেল ইঁদুরের মার।
এভাবে শয়তান ইঁদুর তার ফাঁদে একে একে জড়াল মায়া হরিণ, চিতা বাঘ আর সিংহকে। এই পশুগুলোকে একটার পর একটা উদরাস্থ করতে পারলেও তার আশা ছিল শেষ পর্যন্ত হয়ত হাতিটাকেও পেটে পোরা যাবে। হাতিটা ইদানিং ব্যথায় কঁকাতে কঁকাতে তার দুয়ার পর্যন্ত আসে।
সব প্রাণীকেই কিন্তু সে তখনও পেটে চালান করতে পারেনি। বাকী রয়ে গিয়েছিল বেড়াল আর কুকুর। সেদিন, সে ঘুমাচ্ছিল বেড়ালের সাথে। যেই মুহুর্তে তার দরজায় হাতি শব্দ করল, তখন অন্যান্য সবসময়ের মত সে বেড়ালকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলল।হাই তুলতে তুলতে বেড়াল দরজা খুলে বাইরে গেল, কিন্তু হয় সে বাদবাকী পশুদের চেয়ে ক্ষিপ্রতর ছিল নয়ত তার কপাল ছিল ভাল, হাতির গদামটা তার আশেপাশেও পড়লনা। নিশ্চিৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়ে বেড়ালটি এক লাফে চলে গেল বন্ধু কুকুরের কাছে ব্যাপারটা বলার জন্য। তারপর তাকে পরামর্শ দিয়ে বলল-
‘ যখনই দেখবি শয়তান ইঁদুরটা তোকে দরজা খোলার জন্য বলছে, তখনই হারামীটাকে তোর ভয়ংকর দাঁতগুলো দেখিয়ে হিংস্রভাবে গরর-গরর করবি, যাতে ও ভয় পেয়ে নিজেই দরজাটা খুলতে বাধ্য হয়।’
-ঠিক আছে।
তারপর তারা যার যার কাজে দুজন দুদিকে চলে গেল। এদিকে ইঁদুর ঘুরতে ঘুরতে কুকুরের বাড়িতে এসে হাজির। ইঁদুরের সব কথা শুনে সে তার বাড়িতে গিয়ে পরদিন ভোরে খাওয়ার ব্যাপারে রাজী হল। সন্ধ্যার দিকে এল সে। তারপর রাতের চারটা বাজল, শোনা গেল শ্বাশুরি মা’র আসার সংকেত।
- বন্ধু সারমেয়, ওঠ।
- গরর-গরর-গরর।
- যাও, বুড়ীটা এসে গেছে।
- ঘেউ-ঘেউ-ঘেউ, গরর-গরর।
অন্যান্য পশুদের মত দরজার দিকে এক পাও না এগিয়ে আমাদের অতিথি কুকুর তার ভয়াল দাঁতগুলো বের করে গজরাতে থাকল। ব্যাপারটা যে এরকম হয়ে যাবে তার সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও ধারণা করতে পারেনি আমাদের চালাক ইঁদুর, ভয়ে তার শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাঁপতে লাগল। আর এদিকে দরজার বাইরে হাতিরও ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল, সে ঘরে ঢুকে বিছানাতেই ইঁদুরকে পিষে ফেলার হুমকি দিতে লাগল। নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ে অতিচালাক ইঁদুর অতএব দরজা খুলে ঘরের বাইরে বেরুতে বাধ্য হল। বন্ধু কুকুরের হিংস্র দর্শণ এমনই ভীতিকর ছিল যে সে ঘরের বাইরে বেরুনোর ঝুঁকিটাকেই উত্তম মনে করল, ভাবল বেড়ালের মত সেও হয়ত কোনভাবে হাতির গদামটাকে এড়াতে পারবে।
কিন্তু ব্যাডলাক তার। দরজার বাইরে বেরুনো মাত্রই মোটকু হাতির এক প্রকাণ্ড চাপড় এসে তাকে ধরাধাম থেকে পাঠিয়ে দিল মরাধামে। অবশ্য এটা ছিল হাতির জন্য শেষ সুযোগ, মুষিক-ধোলাই খেতে খেতে বেচারা এমনই কাহিল হয়ে পড়েছিল যে পুঁচকে শয়তানটার আরেকটা ঘায়েই সে পটল তুলত।
হাতি চলে যাওয়ার পর, কুকুর ঘরের ভেতর থেকে বাইরে এল। তারপর ইঁদুরের বডিটাকে নিয়ে চলে এল নিজের ঘরে। বন্ধু বেড়ালের সাথে মিলে সে ইঁদুরের শরীরটাকে কেটে-কুটে সাফ-সুতরো করে টেবিলে বসে গেল। এক একটা টুকরা তারা পরমানন্দে গিলতে লাগল, ক্ষিধেটাও তাদের পেয়েছিল ভালই। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিকারের মাথাটা ছাড়া টেবিলে আর কিছুই অবশিষ্ট রইল না। এই মাথাটা কার ভাগে যাবে এইবার তবে? দু’জনের প্রত্যেকেই দাবী করল মাথাটা তার কাছে আসবে। কিন্তু কেন?
বেড়াল বলল-
‘ আমি না থাকলে তুই তো বেঁচেই থাকতি না এতক্ষণ। কবেই মরে গিয়ে ইঁদুরের পেটে চালান হয়ে যেতি।’
কুকুর বলল-
‘ আমি না থাকলে ইঁদুরের পুত ইঁদুর কি কখনও মরত? ঐ বেটার মাংস খেয়ে পেট টাইটও আমরা করতে পারতামনা।’
দুজনের এরকম বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কুকুরের অমনোযোগিতার সুযোগ নিয়ে বিড়াল মিয়া করল কী, একলাফে ইঁদুরের মাথাটা মুখে নিয়ে উঠে পড়ল সে গাছটা্র মগডালে যেটার নীচে এতক্ষণ তারা দুজনে মিলে ভুরিভোজ করছিল। তারপর ক্রুদ্ধ কুকুরের রক্তচক্ষুর সামনেই পরম আয়েসে সে চাটতে লাগল সেয়ানা ইঁদুরের রক্তাক্ত মাথাটা।
আর এভাবেই সেই দিনের পর থেকে বেড়াল আর কুকুরের মাঝে কোন দোস্তি রইলনা।
[আইভরিয়ান সাহিত্যিক বার্নাদেত মোনে বাজো (Bernadette Monnet Badjo)-র সংকলিত ও লিখিত ' রাতের মিছে কথাগুলো' (Les Mensonges de la Nuit) গল্পগ্রন্থ থেকে নেয়া এই গল্পটি।]
মন্তব্য
ইন্দুর বেশ দামড়া ছিল বলতে হবে, তার কিলের যন্ত্রনায় হাতি অভিভূত হয় আবার তারে কেটেকুটে খেতে পারে কুকুর বিড়াল দুইজনেই
মজার গল্প
..................................................................
#Banshibir.
বিলাতি ইঁদুর মনে হয়!
কুকুর-বেড়ালের পেট থেকে চিঁহিচিঁহি আওয়াজ আসে, '' বিলাতি নয়কু আমি, আফ্রিকায় করি দুষ্টামি''।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বিলাতি না হলেও বাংলাদেশী হবার প্রবল সম্ভাবনা।
ভালো লাগলো ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
দারুণ গল্প।
facebook
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
গল্পের শেষ লাইনে মনে হয় "ইঁদুর" এর জায়গায় "বিড়াল" হবে, নাকি?
ভালো গল্প, ইঁদুর ব্যাটার উচিত শিক্ষা হয়েছে!
ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি এখন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বেশ মজার গল্প
হুম- অনেক রুপকথা পড়ছি... সুন্দর...
বেশ গল্প! স্যাড ব্যাপারস্যাপার যদিও, তবে সেগুলোই বাস্তব...
হাতির কথা ভাবলে দুঃখ হয় মনে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
উপকথাগুলি বোধহয় সব বয়সের উপযোগী হয়না অনেক সময়ই। বেশ ভাল লাগল।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
উপকথা সববয়সীদের পড়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে কেন? ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সেটাই। অধিকাংশ উপকথাই আজকের পরিমাপে বর্বর, হিংসাত্মক।
গল্পটা ইন্টারেস্টিং আছে।
টম অ্যান্ড জেরির কথা মনে পড়ে গেল। গল্প ভালো লেগেছে।
নতুন মন্তব্য করুন