তাসে নাশ

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতের খাবার শেষ হওয়ার পর প্রতিদিনই আমাদের রুমের সামনের একটুকু ফাঁকা জায়গায় সহকর্মীরা এসে গল্পগুজবে মাতেন। তারপর একসময় লাল কাপড়ে ঢাকা টেবিলটার এককোনায় পড়ে থাকা তাসের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে মহসীন স্যার হাঁক দেন, '' কই ফজলুল করিম, আসো শুরু হয়ে যাক, আজকে কিন্তু মঞ্জুরদের একদম শোয়াই ফেলতে হবে''। করিম ভাই সদ্য ব্রিজ খেলা শিখেছেন, উৎসাহে তার ভাটা নেই। এক পিয়নকে ব্রিজ খেলার জন্য বিশেষভাবে একটা খাতা তৈরী করতে বলা হয়েছিল, ও সুন্দর করে খাতা বাঁধাই করে তার মলাটে ততোধিক সুন্দর করে লিখে দিয়েছিল, '' ইন্টারন্যাশনাল বিরিজ''। ফজলুল করিম, মানে আমার রুমমেট সেই বিরিজ খেলার খাতাটির কয়েকপাতা উল্টিয়ে একটা পাতায় কলম রেখে আঁকিবুকি করেন। আমি তখন গুটিগুটি পায়ে রুমের দিকে হাঁটা দিই। কেউ একজন হয়ত বলে উঠল, '' আরে যাও কোথায়, বস। খেলাটা খুব ইন্টারেস্টিং, বুঝলে, দেখতে দেখতে শিখে যাবে একদিন, তখন দেখবে আর এখান থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না।'' আমি তখন মনে মনে দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়ি, তার আওয়াজ কারো কানে যায়না। কোনমতে সটকে পড়ার জন্য আমি অজুহাত দিয়ে বলি, '' না স্যার, আসলে আমি ইদানিং একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। তাছাড়া আমার মা বলতেন, ' তাসে নাশ।' তাই এই খেলাটার প্রতি কোন ভালবাসা জন্মায়নি কোনদিন।'' এই শেষোক্ত '' তাসে নাশ'' বাক্যটি সবার বেশ মনে ধরেছে বলেই মনে হয়। কেউ কোনদিন খেলায় বসতে না চাইলে বলে উঠেন, '' না খেলাটা নেশা হয়ে যাচ্ছে, সুমাদ্রি'র মা'র কথাটাই ঠিক, 'তাসে নাশ'।'' আমি তখন আবারও বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলি।

কোথাও কেউ তাস খেলছে দেখলে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সেদিকে না যেতে। তাসের কার্ডগুলোর ভেতরে আঁকা সাহেব-বিবি-গোলামগুলো যেন আমাকে দেখলেই বিশ্রী করে হেসে ওঠে। সে হাসি কেবল আমিই শুনতে পাই, আমিই কেবল বুঝি ওটার মানে। তখন আমার মনে ভেসে উঠে চৌদ্দ বছর আগের দিনগুলোর কথা।

আমি তখন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে। পড়ি বিজ্ঞান নিয়ে। গনিত আমার মাথায় ঢোকেনা কিছুতেই, ভাল লাগে প্রাণিবিজ্ঞান। ক্যালকুলাস, গতিবিদ্যা, স্থিতিবিদ্যা এসব আমার মস্তিষ্কে প্রবেশ করত না। আমি যাঁর কাছে অঙ্ক পড়তে যেতাম সেই রতন স্যার বলতেন, '' তোর মাথার চারিদিকে চীনের মহাপ্রাচীর আছে নিশ্চয়ই, দেয়ালটা ভাঙ, নইলে ভেতরে মঙ্গা শুরু হয়ে যাবে।'' স্যারকে তো আর বলিনি, অঙ্কের সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছি আমি সে অনেক আগে থেকেই। স্কুলে কোনদিন তাদের মাথার আশে পাশে ঘেঁষতে দিইনি। এক ব্যাটার নাম ছিল সরল। অথচ সহজ সরল ভাল মানুষটি বলে তাকে কোনদিন মনেই হয়নি। তার পাল্লায় পড়ে কত কাটাকাটি যে করেছি পরীক্ষায় খাতায় তার ইয়ত্তা নেই। আরেকজনের নাম ছিল সরল সুদকষা। এ ব্যাটাও খালি নামেই সরল, তলে তলে যে সেও কতবড় কষা তা আমার চেয়ে ভাল আর কে জানবে। হল কি, একবার কোন এক পরীক্ষায় এরকম কয়েকখানা সুদকষাই কষে মুখস্থ করে গেলাম পরীক্ষার হলে। প্রশ্নপত্রে চোখ বুলিয়েও মনটা বেজায় খুশি। অঙ্ক আমার কমন পড়ে গেছে। খাতার শুরুতেই ওই সুদকষা। হেঁহেঁ, এবার যাবি কই মামা? কলম বসাতেই দেখলাম লাইনের পর লাইন, সংখ্যার পর সংখ্যা অলিম্পকের হাই জাম্পারদের মতই লাফিয়ে লাফিয়ে ডিঙিয়ে যাচ্ছে আমার মস্তিষ্কের মহাপ্রাচীর। নিজের উপর হঠাৎ আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে এল। এমন সময়ই পেছন থে্কে কে যেন একজন গুঁতো দিল, জানতে চাইল সরলের উত্তর শূন্য হবে নাকি এক। আরে ব্যাটা গর্দভ, সরল অংকতো করবি সবার শেষে, শুরুতেই পেঁচকি লেগে গেলে সারাদিন খালি ঐ শূণ্য আর এক নিয়েই দৌঁড়াদৌঁড়ি করবি, উত্তর আর মিলবে না। দেখ, বুদ্ধি করে আমি তাই সুদকষা দিয়েই শুরু করেছি। ক্রিকেট খেলায় ব্যাটসম্যান আউট না হলে উইকেটকিপার উল্টো-পাল্টা কীসব বলে। ওতে ব্যাটসম্যানের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। তার সবকিছু গুবলেট হয়ে যায়। পেছনের এই হঠাৎ গুঁতোয় আমারও বোধয় তেমনই কিছু একটা হয়েছিল। মস্তিষ্কের মহাপ্রাচীরের ওধার থেকে শেষ কিছু সংখ্যা কিছুতেই আর এধারে আসবে না। আমি অনেক চেষ্টা করলাম, অনেক মধুর নামে তাদের ডাকলাম, মাথার কয়েকটা চুল ছিঁড়ে মহাপ্রাচীরে ফাটল ধরাতে চাইলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা। আমি উপরে তাকালাম, নীচে তাকালাম, ভাবলাম তারা হয়ত লাফিয়ে পড়ে এখানে ওখানে আটকে আছে। কিন্তু না কোথাও তাদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া গেলনা। এভাবে আধা ঘন্টায়ও কোন কূল কিনারা করতে না পারায় এরপর গেলাম সরলের দিকে। ও ব্যাটাকেও মনে হয়েছিল যেন বহুদিনের চেনা। কিন্তু সেও করে বসল বেঈমানি। সেই প্রথম অংক পরীক্ষায় আমার ঘ্যাচাং খাওয়া। কিন্তু কী বলতে এসে কোথায় চলে গেলাম।

গতিবিদ্যা, স্থিতিবিদ্যা, ক্যালকুলাস ইত্যাদি বাহারী নামধারী অঙ্কগুলো দেখেই বুঝেছিলাম এরা একেকটা গুনধর শয়তান। অন্যদিকে হাইড্রা ভালগারিস বা উদ্ভিদকোষ নিতান্তই সুবোধ। তাই উচ্চমাধ্যমিকে গনিতকে রাখলাম সাইডলাইনে বসিয়ে। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম, ' মেডিকেল পড়তে গেলে তো অঙ্ক লাগেনা, প্রানিবিজ্ঞাণ-উদ্ভিদবিজ্ঞানেই ভাল করতে হয়।' ততদিন পর্যন্ত '' আমার জীবনের লক্ষ্য'' রচনায় লিখেছি বড় হয়ে আমি ডাগদার হতে চাই। কাছেপিঠের বন্ধুরা আবার অঙ্ককেই পরানের সখা করে বুকে কোলে মাথায় নিয়ে ঘুরত। আমিও চেষ্টা করেছিলাম, 'চেষ্টা করিতে ক্ষতি কী' এই আপ্তবাক্যে অনুপ্রানিত হয়ে। কিন্তু কিছুতেই অঙ্ক আমার কোলে, বুকে, মাথায় থাকেনা, পিছল খেয়ে সে কেবল পড়ে যায়। কয়েকদিন পর আমিও তাই হাল ছেড়ে দিয়ে হাইড্রার দিকে মন দিলাম, অঙ্কের চেয়ে সে ঢের সুন্দরী। এমনই এক সময় এক বন্ধুর বাসায় পড়তে গিয়ে পরিচিত হলাম ঊনত্রিশের সাথে।ঊনত্রিশ একটা খেলার নাম। ঊনত্রিশ একটা নেশার নাম। ঊনত্রিশের প্রেমে পড়ে আমি ভুলে গেলাম অঙ্ক স্যারের বাসার পথ। ঊনত্রিশের মধুর সম্মোহনে আমি মিস করতে লাগলাম একের পর এক আমার মক টেস্ট। এদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন দেয়ালে টাঙানো হয়ে গেছে। বাসা থেকে নিয়মিত জানতে চাওয়া হচ্ছে আমার প্রস্তুতি কেমন।কিন্তু নিয়মিত ঊনত্রিশের আসরে হাজির না হলে আমার রাতে ঘুম হয়না। বেজায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমি ঊনত্রিশে।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের শেষ পরীক্ষাটি ছিল সেবার গনিত। আমার একই বেঞ্চির অন্য প্রান্তে সিট পড়েছিল আমার ঊনত্রিশে হাতে খড়ি দেওয়া বন্ধু জাহেদ। অঙ্ক তার ফেভারিট, অঙ্ক তার কাছে পানির মত। কিন্তু ও বেটার আবার জীবের প্রতি মায়া-মুহব্বাত কম। আমাকে একদিন কানে কানে বলল, '' দোস্ত, শোন অঙ্ক নিয়ে তুই কোন টেনশন করবিনা, আমি আছি না, অঙ্ক হইল আমার কাছে দুধ-ভাত, গতি-স্থিতি-ক্যালিগুলা সব আমারে সালাম দেয়। তুই খালি উদ্ভিদবিদ্যা-প্রাণিবিদ্যায় আমারে একটু হেল্প করবি। অঙ্কের দিন আমি তোরে খাতা খুইলা দেখামু।'' ওর কথায় আমি একটু ভরসা পেলাম। হাজার হোক, অঙ্ক ওর কম্পালসারি। সুতরাং অংকেও ভাল না হয়ে যায়না। তার উপর অঙ্ক পরীক্ষার আগে এক সপ্তাহ বন্ধ। ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে গেলে উতরে যাবই। আর চল্লিশ-চল্লিশ আশির উপরে পেলে তো কথাই নেই। বোটানি-জুলজি পরীক্ষায় আমি জাহেদকে সাধ্যমত টানলাম। বেশ কয়েকবার স্যারের ধমক খেলাম। একবার দশ মিনিটের জন্য খাতাও আটকে রাখল বেরসিক মাস্টার, হলের মেয়েগুলোর সামনে সে কী বেইজ্জতি! তাও আমি মুখ বুঝে সইলাম। কথায় আছে, 'শেষ ভাল যার, সব ভাল তার।' শেষ পরীক্ষাটা ভাল দিতে পারলে এই বেইজ্জতি আমি ভুলে যাব বেমালুম।

অঙ্ক পরীক্ষার আগে এক সপ্তাহের বন্ধ। ততদিনে আমার পরীক্ষা শেষ। অঙ্কে ফেল করলেও আমার কিছু আসে যায় না। জাহেদকে বললাম, '' দোস্ত, তোর দিকেই কিন্তু চেয়ে থাকবে আমার খাতা।'' '' আরে ব্যাটা তুই কোন চিন্তা করিস না, তোরে কইছি না, অঙ্ক আমার কাছে দুধ-ভাত। ল, টুয়েন্টি-নাইন পিটাই কিছুক্ষণ। মাথাটা একটু খালি হইব।'' আমিও আশ্বস্থ হলাম। এভাবে একদিন যায়, দু'দিন যায়, তিনদিন যায়। গতিবিদ্যা-স্থিতিবিদ্যা-ক্যালকুলাসের পুরোনো অঙ্কগুলো মুখস্থ করার বৃথা চেষ্টা চালাই আমি। জাহেদের সাথে নিয়মিত বসি আমি। ঊনত্রিশ খেলি। সে আমাকে সাহস দেয়। বলে, '' ডরানোর কিছুই নাই, ডরাইলেই ডর।'' এভাবে সপ্তম দিনটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি পরীক্ষার হলের দিকে রওনা দিলাম ফুরফুরে মেজাজে। হলে ঢুকেই বুঝলাম একটু তাড়াতাড়িই চলে এসেছি। মনে মনে বললাম, 'পরীক্ষা শেষ হলেই শুরু করে দিতে হবে ম্যারাথন ঊনত্রিশ।' প্ল্যান করতে লাগলাম কীভাবে কোন চালে ধরাশায়ী করব প্রতিপক্ষকে। এসব ভাবতে ভাবতেই পরীক্ষা শুরুর সময় হয়ে এল। কিন্তু আমার বেঞ্চটার অন্যপ্রান্তে কেউ নেই। 'আরে জাহেদ কই? জ্যামে পড়ে গেছে নাকি?' আমি খাতা আর প্রশ্নপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করতা লাগলাম। অনেকগুলো প্রশ্নকেই দেখলাম আমার দিকে হাত নাড়াচ্ছে, বুঝলাম তারা আমার পরিচিত। কতগুলোকে এই প্রথমবার দেখলাম বলেই মনে হল। কয়েকটা প্রশ্ন দেখলাম বাংলাতেই লেখা, কিন্তু ভাষাটা বোঝা গেলনা কিছুতেই। ' ধুর, অত মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। জাহেদ আসুক, ও আসলেই শুরু করে দেব লেখা।' পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট,বিশ মিনিট চলে গেল। জাহেদ আসেনা। আমি ভাবলাম নিশ্চয়ই রাস্তায় মারাত্মক জ্যাম। ত্রিশ মিনিট, চল্লিশ মিনিট, এক ঘন্টা হয়ে গেল। জাহেদের দেখা নেই। স্যার এসে '' এখানের পরীক্ষার্ত্রী কোথায়?'' বলেই জাহেদের সিটে বসে গেলেন। আমি তো, ' আরে আরে করে কী, করে কী, হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোথা' বলে মনে মনে স্যারকে উঠে যাওয়ার জন্য অনুনয় করতে লাগলাম। স্যার কয়েকবার আমার খাতার দিকে তাকিয়ে বললেন, '' কী ব্যাপার, লিখছনা কেন? প্রশ্নতো বেশ সরলই হয়েছে।'' ' আবারও সরল!' ''জ্বী স্যার, জ্বী স্যার, সরলই স্যার'' বলে হেঁ হেঁ করলাম। জাহেদের দেখা নাই। ও ব্যাটার গনিত কম্পালসারি। গতিবিদ্যা-স্তিতিবিদ্যা আর ক্যালকুলাস ওকে নাকি নিয়মিত সালাম দেয়। কী করব বুঝে ঊঠতে পারলাম। মস্তিষ্কের মহাপ্রাচীরের নীচ দিয়ে সিঁদ খোঁড়ার চেষ্টা করতে লাগলাম। হাল ছাড়া যাবেনা। আমি বারেবারে ঘড়ির দিকে তাকাই, দরজার দিকে তাকাই, জানালার দিকে তাকাই। এই বুঝি জাহেদ এল, বলল, ' টেনশনের কিছু নাই মামা, অঙ্ক ঊনত্রিশ খেলার মতই সোজা।'' জাহেদ আর এলনা।

প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়েই বুঝেছিলাম অঙ্কে আবারও আরেকটা ঘ্যাচাং খেতে যাচ্ছি। কিন্তু পরাজয় মানেনা বীর। তাই 'পরীক্ষায় পাশ নয় অংশগ্রহনই বড় কথা' মন্ত্রে উদবুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাটিও দিতে গেলাম। ফলাফল ওই যথাপূর্ব্বং। জাহেদের কোন খোঁজ নেই।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অঙ্ক আমার চতুর্থ বিষয় ছিল বলে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলাম। কিন্তু বেচারা জাহেদের সে সৌভাগ্য ছিলনা। অঙ্কে ফেলটুস মেরে আমার ডিমোশন হল। বিজ্ঞান নিয়ে পড়া আর হলনা আমার। ' আমার জীবনের লক্ষ্য' ও পূরণ করা গেলনা। সে দুঃখ ধীরে ধীরে ভুলেও গেছি আমি। কিন্তু সব নষ্টের মূলে ছিল যে ঊনত্রিশ তাকে আমি কোনদিনই ভুলতে পারিনি। এখনও মনে হয় তাসের ভেতরে বসে এক যাদুমন্ত্রে আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলেছিল সায়েব-বিবি-গোলামেরা। এখনও কোথাও তাস খেলা হলে তাসের হিসহিস শব্দ শুনে আমার মাথায় রক্ত চড়ে যায়। কানে বাজে তখন মায়ের গলা, ' তাসে নাশ।'


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাসে তো মাথা খোলার কথা। তবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে ভালো--না হলে তো বিপদ হতেই পারে।

সুমাদ্রী এর ছবি

আমার মাথার চারপাশে ঐ যে মহাপ্রাচীর ছিলনা, তাই মাথা একটু আধটু খুললেও প্রাচীর ডিঙিয়ে কেউ এপাশে আসতে পারেনি আর কি, বিপদ যা হওয়ার তা তো হয়েই গেল। ওঁয়া ওঁয়া

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

কৌস্তুভ এর ছবি

দিল্লির হস্টেলে একটা মাস থাকার সময়, রাত্রে যখন চারদিক একটু ঠাণ্ডা হয়ে আসত, তখন লনে বসে নিয়মিত তাস খেলতাম বন্ধুদের সাথে, প্রায় সারা রাত ধরে। তারপর শেষরাত্রে ঘুমোতে যেতাম। আটভাট ক্লাস হত কতগুলো, হয় সেগুলোয় যেতামই না নয়ত ক্লাসে গিয়ে ঘুমোতাম, দিল্লির প্রচণ্ড গরমে একমাত্র ক্লাসরুমেই ছিল এসি তাই ওখানে গিয়ে ঘুমোনোই শ্রেয় ছিল। কোনো পরীক্ষা ছিলনা তো, তাই পোয়াবারো। আহা, ওই একটা মাস তাস খেলে আর দিল্লির মোগলাই খানা চেখে (সিসি: সত্যপীর খাইছে ) কী আনন্দেই না কাটিয়েছি! দেঁতো হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনার তো ভাই মাথার ভেতর পদার্থ আছে, আমার আছে পদ্মফুল যেখানে জন্মায় তা। আপনার তাস-পরবর্তী হার্ভাডীয় জীবন আর আমার জীবনে আকাশ-পাতাল তফাতরে দাদা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সত্যপীর এর ছবি

আমি যাঁর কাছে অঙ্ক পড়তে যেতাম সেই রতন স্যার বলতেন, '' তোর মাথার চারিদিকে চীনের মহাপ্রাচীর আছে নিশ্চয়ই,

হো হো হো

টুয়েন্টি নাইন ভালু খেলা, তবে আমি তেমন পারিনা। পোকার ভালু পাই খালি কার্ডগেমের মধ্যে।

..................................................................
#Banshibir.

সুমাদ্রী এর ছবি

টুয়েন্টি-নাইন মজার খেলা। তবে একবার নেশা হয়ে গেলেই (সত্য)নাশ!

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

টুয়েন্টি নাইন খেলে যত নির্ঘুম রাত গেছে এবং হয়ত যাবে, আহা, আধা বিশ্ব ঘুরতে পারতাম সেই সময়ে। মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

ভাইরে, যদ্দুর ঘুরেছেন তাও যদি পারতাম!!!

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হাহাহা। এই জীবনের অর্ধেকটাতো তাস খেলেই কাটিয়েছি। কত রকম খেলা! সব কিন্তু পয়সা দিয়ে। জুয়া বলতে পারেন। এক সময় ঢাকার পূর্বানী হোটেলে একটা রুম বুক করা ছিল, তাস খেলার জন্য। যাহ্, গোপন কথা সব ফাঁস হয়ে গেল।
লেখা ভাল লেগেছে।

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারও কত অর্থ নাশ হল কবিরদা ভেবে দেখুন!

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ক্রেসিডা এর ছবি

থ্রি কার্ড রক্স দেঁতো হাসি শয়তানী হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুমাদ্রী এর ছবি

বাট টুয়েন্টি নাইন স্পইলস!!

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ক্রেসিডা এর ছবি

২৯ ও জোশ। কিন্তু থ্রি কার্ডের জুয়া বড় উত্তেজনা!!

লেখা ভালো লেগেছে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অমি_বন্যা এর ছবি

তাস খেলায় বরাবরই দুর্বল । কল ব্রিজ ভালো পাই খাইছে । এছাড়া তাসের অন্য খেলাগুলোতে বেশ দুর্বল । বর্তমানে পোকারে আছি সত্যপীর ভাইয়ের মত। আমারেও ভালো পাই।
তবে যে কোন কিছুতেই নেশা হউয়া খারাপ। আপনার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে সুমাদ্রি দাদা। কন্ট্রোল বস কন্ট্রোল - এই নীতিতে অটল থাকলে হয়তো নেশায় পেত না। তবে তাশে নাশ সবার ক্ষেত্রে না । যে এই খেলার মাধ্যমে একেবারে নেশায় মেতেছে তার ক্ষেত্রে হয়তো ঠিক তবে ঘরোয়া পরিবেশে এই খেলার মত বিনোদন অন্য কিছুর মাধ্যমে পোষানো সম্ভব না।

ভালো থাকবেন স্মৃতি চারণ ভালো ছিল। চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া আমার কন্ট্রোল আসে নাই, আসে নাই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

বাণীব্রত এর ছবি

লেখা যথারীতি সুমাদ্রীয় হয়েছে। হাসি
মজা পেলাম অনেক। দেঁতো হাসি

জাহেদ কেন শেষ পর্যন্ত আর আসলো না সেটা এক বিরাট রহস্য হয়ে থাকলো!

সুমাদ্রী এর ছবি

তোর কোন খবর নেই। নাকি তুইও তাস খেলা শুরু করেছিস নতুন করে। গার্ড, সাবধান!

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

যাহ, এটা কি আসলেই সত্য ঘটনা নাকি ??

...ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে তাস না চিনেই উনত্রিশ খেলা শিখবার চেষ্টা করেছিলাম। থ্রি-ফোর্থ শেখার পরেই প্রীতি ম্যাচগুলোতে খেলতে নেমে সাথের ঝানু প্লেয়ারদের এমন ঝাড়ি খেলাম রে ভাই- কী আর বলবো- দুঃখে খেলাই ছেড়ে দিলাম মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

হ সুহান ভাই, হাঁচা স্টুরি। আপনি ছেড়ে দিয়ে বেঁচে গেছেন, আমি নাশ হয়ে গিয়েছিলাম ওঁয়া ওঁয়া

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

শাব্দিক এর ছবি

লেখা ভালইসে, কিন্তু জাহেদ কই গেল?

সুমাদ্রী এর ছবি

জাহেদ ইন্টারে ফেল করে চিটাগং ছেড়েই চলে গিয়েছিল। এখন কোথায় জানিনা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন, "তাসে নাশ"
যতটা সময় তাস খেলে কাটিয়েছি ততটা সময়ে দুইবার রবিস্টাইনুস গোত্রীয় কিছু একটা করে ফেলতে পারতাম, আফসোস। এখন কীবোর্ড পেষা কেরাণী হয়েছি হা হা

ইয়াসির

সুমাদ্রী এর ছবি

ভুলগুলা আমরা কেন যে পরে বুঝি সবসময়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

Monjur Elahi এর ছবি

ভেবেচিলাম গনিতের প্রতি বিত্রিস্না শুধু আমার ই ! এখন দেখি পাব্লিক অনেক আচে , লেখা তা বেশ মজার হয়েচে সুমাদ্রি । একেবারে আমার আত্ম জিবনির মত লাগ্ ল

সুমাদ্রী এর ছবি

হায়রে মঞ্জুর স্যার, আপনিও অঙ্কে একটু ইয়ে? তবে আমাদের তো লস হয়ে যাবে তাতে, আপনার হাত দিয়েইতো মাস শেষে সেফাটা হাতে আসে আমাদের।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

মেঘা এর ছবি

তাস তো দেখা যাচ্ছে বড়ই দুষ্টু খেলা অ্যাঁ আমি আজকেই আমার একটা ফ্রেন্ডকে বলছিলাম আমি ক্যারাম লুডু দাবা খেলতে পারি কিন্তু কার্ড পারি না। সাথে সাথে আমার ফ্রেন্ড আমাকে বলছিলো থাক এই অকাজ আর শিখে দরকার নাই না পারাই ভালো!

আপনার লেখা পড়ে মনে হলো কিছু জ্ঞান না থাকাই ভালো। লেখা খুব ভালো হয়েছে। আমার কাছে একটা ছেলে পড়তে আসে। ক্লাস ফাইফে পড়ে। সব কিছু বোঝে সব কিছু করে কিন্তু অংক সে কিছুই বোঝে না। কেন বোঝে না আমি এই রহস্য এতোদিন বুঝতে পারি নি। এখন বুঝলাম! চীনের প্রাচীর যে ওর মাথাতেও ঢুকে বসে আছে সে তো জানা ছিল না এতো দিন‍!!!! অ্যাঁ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সুমাদ্রী এর ছবি

না না তাস খেলা শুরু করে দেন, পারলে আপনার ছাত্রকেও শিখিয়ে দেন, তাতে দুইয়ে দুইয়ে চার হয়ে যাবে চোখ টিপি

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তাপস শর্মা এর ছবি

কলেজের তিন বছর আর ভার্সিটির দুই বছর পুরাই তাসের উপ্রে আছিলাম। রাত নাই দিন নাই তাস্ময় জীবন। কত ঘুমহীন রাত কেটেছে তার ইয়েত্তা নেই। টোয়েন্টি নাইনটা বেশী প্রচলিত খেলা ছিল বটে, তবে আমরা ব্রিজও খেলতাম খুব। হায় সেই দিনগুলি, কত বছর হয়ে গেলো তাস ছুঁয়েও দেখার সুযোগ হয়নি.........

সুমাদ্রী এর ছবি

হাহা, মজা পেলাম পড়ে, তাস্ময় জীবন। শুরু করে দেন বস আবার।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

জুন এর ছবি

আমার বাবাকে দেখতাম আমার অনেক ছোটবেলায় তাঁর বন্ধুদের সাথে তাস-সিগারেটের আড্ডা বসাতে। ওই সময়টায় সেই রুম আমাদের জন্য ছিল নিষিদ্ধ। বোধহয় পয়সা দিয়েই খেলত। একটা ব্যাপার কেন যেন মাথায় ঢুকে গিয়েছিল তা হলো 'জুয়া খেলা খারাপ।' কোনও খেলাই জুয়া না যতক্ষণ তার সাথে টাকা-পয়সার যোগ হচ্ছে। লুডুর মতো নিষ্পাপ খেলাও ভয়ঙ্কর হতে পারে সেইক্ষেত্রে। কাজেই খেলতে বাঁধা ছিল না কখনই। বাসাতেই খেলতাম। সব খেলাই খেলা সেই হিসেবেই। মজা হলো মাধ্যমিকের পড়ে যে তিন মাস ফাঁকা ছিল তখন সকাল ৮টা-র পর পর আমাদের বাড়ির উঠানে গোটা দুয়েক ক্যারাম বোর্ড বসত। প্লেয়ার পরিবর্তন হতো দফায় দফায়। সন্ধ্যার অন্ধকার হলে একটা বোর্ড ঘরে নিয়ে গিয়ে চলত ম্যারাথন ক্যারাম খেলা। সেই রাত ১০টা ১১টা পর্যন্ত। ইন্টারে পড়ার সময় শুরু হলো গামছা বিছায়ে ২৯ খেলা। চলেছিল প্রায় টানা তিন বছর। তারপর আরও অনেক কিছুর মতই হারায় গেছে সেইসব সময়। মন খারাপ

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"তোর মাথার চারিদিকে চীনের মহাপ্রাচীর আছে নিশ্চয়ই..." দেঁতো হাসি
মজা পেলুম।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

সুমাদ্রী,
পড়তাম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাব্লিক কলেজে। টেস্ট পরীক্ষার পর একবার অডিটোরিয়ামের সামনে বসে ওপেন কল ব্রিজ খেলতে গিয়ে রীতিমত তুলাধুনা হতে হয়েছিল। জল্পাই কলেজ বলে কথা। এরপর আর ঐ খেলাটা শেখা হয়নি। ভার্সিটির শাটল ট্রেনে একবার পার্টনার কম হওয়ায় জুনিয়ররা অফার করায় খেলতে জানিনা বলাতে একজন বলেই ফেলল ,"আর কবে বড় হবেন ভাইয়া" ওফফ কি লজ্জা!!!!!!!!!!!!!!!!

নির্ঝরা শ্রাবণ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

স্প্যাম ফোল্ডার সহ ইমেইল চেক করুন।

সুমাদ্রী এর ছবি

আন্তরিক ধন্যবাদ, মুর্শেদ ভাই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তদানিন্তন পাঁঠা (জুন) এর ছবি

হাচলত্বের অভিনন্দন জানাব নাকি? মুর্শেদ ভাই কী মেইল করলগো দাদা? দেঁতো হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

হাসি

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অমি_বন্যা এর ছবি

পূর্ণ সচল হবার জন্যে অভিনন্দন সুমাদ্রি দাদা। চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ। খুব ভাল লাগছে, বড় একটা পরীক্ষা পাশের অনুভূতির মতই অনুভূতি হচ্ছে।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সচলত্বের অভিনন্দন

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

সচলত্তের অভিনন্দন সুমাদ্রীদা। তবে আপনি পুরাই ভয়ঙ্কর মানুষ, লোকের ভরসায় এভাবে কেউ পরীক্ষা দিতে যায় নাকি।ওহ আর একটা ব্যাপার আপনার নামটা বেশ সুন্দর দাদা।

তানিম এহসান এর ছবি

হল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল!

সাইদ এর ছবি

গণিত আমার পছন্দের। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে এই গণিতের কারণেই বারোটা বেজে গিয়েছিল। সারা রাত বিশ্বকাপ খেলা দেখে পরীক্ষা দিতে গিয়ে কিছুই আর মনে নাই পুরা সাদা। ভাগ্যিস ২য় পত্রতে ভাল করে পাস করেছিলাম। নাইলে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেইল হয়ে যেত। জীবনে এই একবারই গণিতে ধরা খাইছিলাম। আর এই ধরা অনেকদিন বয়ে বেড়িয়েছি। আর তাস খেলা ভাল যদি নেশা না হয়ে যায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।