দেশে ফিরতে না পারার যন্ত্রণা নিয়ে দুনিয়া ঘুরে বেড়ানো শিল্পী

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ২৩/০৭/২০১২ - ৭:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূ-মধ্যসাগরের ইউরোপীয় পার থেকে উত্তর আফ্রিকার দিকে তাকালেই চোখ দুটো তার সজল হয়ে ওঠে। ওপারে তার মাতৃভূমি, যে মাটিতে জন্ম নিয়েছিল তার পূর্বপুরুষের স্বপ্ন, যে মাটির কথা ভেবে ভেবে বিভুঁইয়ে লিখে গেছে সে হাজারো গান, বেঁধেছে সুর।ওখানেই সে ফেলে এসেছিল একদিন তার যৌবন, ওখানেই এখনও সে বারে বারে ফিরে যায় তার আন্দালুসিয় সুরে, ফরাসী কিংবা আরবি কিংবা আমাজিহ কথায়। ভূ-মধ্যসাগরের নীল জলে একদিন প্রাণ বাঁচাতেই নৌকা ভাসিয়েছিল শিল্পী, স্বদেশে তখন দখলদার ফরাসীদের বিরুদ্ধে চলছে যুদ্ধ। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ডেভিড-সলোমনের ধর্মের তকমা তার গায়ে, অথচ সে জানে জাতিতে সে আলজেরীয়, ভাষা তার আমাজিহ এবং আরবি। কিন্তু জাতীয়তাবাদী এফএলএন(National Liberational Front) গোষ্ঠীর কাছে সে একজন ইহুদি মাত্র, ইউরোপীয়দের মত সেও দুমুখো একটা সাপ, শত্রু দেশের। একদিন খুন হয়ে গেল সহশিল্পী শেখ রেমন্ড লেইরিস। রেমন্ডের ঈশ্বরও মোজেসের জেহোবা। বেঁচে থাকার জন্য দেশত্যাগকেই হয়ত একমাত্র উপায় ভেবে স্ত্রী স্যুজিকে নিয়ে নীল সাগরে তখন সে ভাসিয়ে দিয়েছিল নৌকা। সমুদ্রে ভেসে যেতে যেতে স্বদেশের দিকে ব্যথিত চোখে তাকিয়ে থেকে হৃদয়নিংড়ানো শব্দে-সুরে রচনা করে ফেলেছিল একটি গান, ‘ বিদায়, প্রিয় মাতৃভূমি, বিদায়’। শিল্পী কি তখন ভেবেছিল স্বদেশে আর তার হবেনা ফেরা কখনোই, নির্বাসনে কেটে যাবে পঞ্চাশটি বছর?

এনরিকো মাসিয়াস(Enrico Macias) সারা দুনিয়ায় গেয়ে বেড়ান সেই ব্যথিত হৃদয়ের গান। দেশ ছেড়ে আসার যন্ত্রণার গান। যে যন্ত্রণা নিয়ে তিনি বেঁচে আছেন ফ্রান্সে দীর্ঘকাল অথচ নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে মাথা উঁচু করে বলেন, ‘ আমি আলজেরীয় ছাড়া আর কিছুই নই, ফ্রান্স আমার আশ্রয়দাতা দেশ মাত্র।’ ইহুদিদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থণ করেন বলে স্বদেশে তিনি চিরতরে নিষিদ্ধ। অথচ দেশের মাটিতে একবার ফিরে আসার জন্য সমস্ত রকমের চেষ্টাই তিনি করে গেছেন অর্ধশত বছর। ফলাফল শূন্য। প্রচণ্ড রকমের ইসরায়েল বিরোধী ডানপন্থী আলজেরীয় সরকারের পাষান হৃদয় গলাতে পারেনি এনরিকোর গীটারের করুণ সুর। আজও এনরিকো গেয়ে যান গান, দেশে ফিরতে না পারার ব্যথায় আর্দ্র হয়ে ওঠে তাঁর কণ্ঠ, বারে বারে ফিরে যান শৈশব-কৈশোর-যৌবনের তার ফেলে আসা কন্সানন্তিন শহরে, তার অলিতে-গলিতে, ক্যাফের আড্ডায়, বন্ধুদের ভীড়ে; তাঁর গানে ভেসে আসে আলজেরীয় সমুদ্রের নোনা হাওয়া, তার মাছধরা ডিঙি নৌকাগুলোর ফোলা পালে লেখা আমাজিহ কবিতার লাইন, মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিঝড়ের ক্লান্ত হাহাকার। সেরকমই হাহাকার আমি শুনতে পাই দাউদ হায়দারের বেদনাবিধুর কবিতায়। তসলিমার ছোট্ট কোন লেখায়। সেই বিষাদ দুনিয়ার সকল ঘরে ফিরতে না পারা মানুষগুলোর। যে মানুষগুলো স্বপ্নে্র আকাশে নিয়ত উড়িয়ে চলেন প্রিয় স্বদেশের ছবিঅলা একটা ঘুড়ি।

এনরিকোর ‘ Adieu mon pays ’ গানটি পৃথিবীর সকল অভিবাসী মানুষের গান। ব্যর্থ ভাবানুবাদের চেষ্টা করেছি গানটির অন্ত্যমিল না রেখে।

Adieu mon pays(বিদায় প্রিয় মাতৃভূমি আমার)

J'ai quitté mon pays ছেড়ে এসেছি আমি আমার দেশ
J'ai quitté ma maison পেছনে ফেলে এসেছি আমার বাড়ি
Ma vie, ma triste vie জানিনা কী কারণে আজো আমি
Se traîne sans raison বয়ে চলেছি বিষন্ন এ জীবন।

J'ai quitté mon soleil রেখে এসেছি আমি সোনালী রোদ্দুর
J'ai quitté ma mer bleue ফেলে এসেছি আমার নীল সমুদ্দুর
Leurs souvenirs se réveillent তাদের স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে আজও
Bien après mon adieu বিদায় জানানোর দীর্ঘদিন পরও

Soleil! Soleil de mon pays perdu রোদ্দুর, আমার হারিয়ে ফেলা দেশের রোদ্দুর
Des villes blanches que j'aimais সেই শহরগুলো যাদের আমি ভালবেসেছিলাম
Des filles que j'ai jadis connues সেই তরুনীগুলো যাদের আমি চিনতাম

J'ai quitté une amie যে বান্ধবীটিকে ছেড়ে এসেছিলাম আমি
Je vois encore ses yeux আজও তার দুচোখ ভাসে আমার দুচোখে
Ses yeux mouillés de pluie ভেজা ছিল তার দুচোখ বৃষ্টির জলে
De la pluie de l'adieu যে বৃষ্টি নেমেছিল বিদায়ের কালে

Je revois son sourire আমি আবারও দেখতে পাই তার মধুময় হাসি
Si près de mon visage উপচিয়ে পড়ছে আমার মুখের খুব সামনেই
Il faisait resplendir সে হাসিতে ঝিকমিকিয়ে উঠত
Les soirs de mon village আমার গ্রামের সন্ধ্যাগুলো একদিন

Mais du bord du bateau ঘাট থেকে দূরে নিয়ে চলেছিল যে নৌকা আমায়
Qui m'éloignait du quai শিকলটি তার পড়ছিল ঢেউয়ের মাথায় সপাং সপাং
Une chaîne dans l'eau মনে হচ্ছিল স্রোতের গায়ে যেন নয়
A claqué comme un fouet সে চাবুক পড়ছিল আমারই খোলা পিঠে

J'ai longtemps regardé দীর্ঘক্ষণ আমি তাকিয়েছিলাম পলকহীন
Ses yeux bleus qui fouillent তার গভীর নীল দুটি চোখের দিকে
La mer les a noyés সফেন সমুদ্র তাদের ধীরে ধীরে ডুবিয়ে দেয়
Dans le flot du regret. অনুতাপ আর যন্ত্রণার নীল ঢেউয়ে।

Si nous nous sommes tant aimés হ্যাঁ, আমরা একে অপরকে ভালবেসেছিলাম গভীরভাবে
et que nous sommes séparés আর একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্নও হয়ে গিয়েছিলাম
non ce n'est pas que je peux me passer d'elle, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাকে ছাড়াও আমার চলে যাবে
je suis resté fidèle আমি ছিলাম তারই প্রতি নিবেদিতপ্রাণ

et quand on lui fait du mal আর যখন কেউ তাকে দেয় আঘাত
c'est tout mon corps qui a mal আমার সর্বাঙ্গেই এসে লাগে তার দাগ
c'est tout mon coeœur qui se tord elle est si belle, আমার হৃদয় তখন দুমরে মুচড়ে যায় কারণ
je suis resté fidèle সেই সুন্দরীর প্রতিই নিবেদিত ছিল আমার প্রাণ

j'ai tant rêvé de ce voyage কত দিন-রাত স্বপ্ন দেখেছি আমি দেশে ফিরে যাওয়ার
on m'a défendu le passage কিন্তু বারবার ওরা আটকিয়ে দিয়েছে আমার সে যাত্রা
moi qui n'avais dans mes bagages আমার সাথের ব্যাগে ছিলনা তেমন কিছুই
qu'une mémoire et des images শুধু টুকরো কিছু স্মৃতি আর কয়েকটা ছবি ছাড়া

elle m'attendait je le sais জানি আমি সে অপেক্ষায় ছিল আমার
c'est un parfum que je connais যেন সে একটা সুগন্ধ যার ঘ্রাণ আমার অতিপরিচিত
et la couleur de ce ciel au-dessus d'elle আর তার মাথার উপরের আকাশের রঙ ভাবলেই
la douleur c'est le miel যন্ত্রণাকে আমি বদলে দিই মধুতে

la fête n'était pas secrète সেখানে উৎসব ছিলনা কোনদিনও গোপনীয়
et oublions les souffrances বলত সবাই, চল ভুলে যাই দুঃখ যন্ত্রণাগুলো
les mains des femmes préparaient comme dans l'enfance রমণীরা সেখানে উনুনের আগুনে বানাত রুটি
le repas sur les flammes ছোটবেলায় যেভাবে আমরাও বানাতাম খাবার

j'ai tant rêvé de ce voyage কত স্বপ্ন দেখেছি আমি দেশে ফিরে যাবার
des fous m'ont barré le passage নির্বোধগুলো বারেবারে আটকিয়ে দিয়েছে আমায়
j'avais rêvé de retrouver স্বপ্ন দেখেছি আমি আবার ফিরে পাব সব
celle que j'ai simplement aimée যা কিছু আমি বেসেছিলাম ভাল একদিন সেখানে

les beaux jardins les matins সকালবেলাগুলোয় মোহনীয় বাগানগুলোতে
lorsque nos mains se rassemblent যখন আমরা হাতে হাত রেখে দাঁড়াই
les beaux chagrins quand on est tout seul ensemble কষ্টগুলোকেও তখন লাগে সুন্দর যখন আমরা একা একসাথে
la douleur c'est le miel , যন্ত্রণাগুলোকেও তখন মনে হয় যেন মধু

je ne l'ai pas fait ce voyage দেশে যাওয়ার সে যাত্রা করা হয়নি আমার
des fous m'ont barré le passage নির্বোধগুলো আটকিয়ে দিয়েছে আমার সফর
j'avais rêvé de retrouver স্বপ্ন দেখেছি আমি আবার ফিরে পাব সব
celle que j'ai simplement aimée যা কিছু আমি একদিন ভালবেসেছিলাম সেখানে

si nous nous sommes tant aimés হ্যাঁ, আমরা একে অপরকে ভালবেসেছিলাম গভীরভাবে
et que nous sommes séparés আর একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্নও হয়ে গিয়েছিলাম
non ce n'est pas que je veux vivre sans elle কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব আমি
je suis resté fidèle তার প্রতি আমি আজো রয়ে গেছি নিবেদিত।


মন্তব্য

উতপাখির হৃদয় এর ছবি

অনুবাদ টা দারুন হয়েছে সুমাদ্রি দা । মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ কে অবজ্ঞা করার খেসারত তসলিমাকে অবশ্যই দিতে হবে । ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি যেমন কাঙ্ক্ষিত নয় , ধর্মের অসম্মান ও অগ্রহণযোগ্য ।

অরফিয়াস এর ছবি

মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ কে অবজ্ঞা করার খেসারত তসলিমাকে অবশ্যই দিতে হবে ।

এখানে তসলিমা কোথায় পেলেন? !!

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি যেমন কাঙ্ক্ষিত নয় , ধর্মের অসম্মান ও অগ্রহণযোগ্য ।

ঠিক কি কি করলে ধর্মের অসম্মান হয়? নাকি ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলাই অসম্মান?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যা কথা বলা যাবে তবে ভালভাবে জেনে এবং বুঝে।অল্প বিদ্যা দিয়ে নয়! দ্বিতীয়বার ভালভাবে পড়লে আশা করি 'তসলিমা' খুঁজে পাবেন চোখ টিপি

অরফিয়াস এর ছবি

এনরিকো নিজের ধর্মের কারণে আর তসলিমা ধর্মের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য দেশছাড়া। এখানে দুজন দেশে ফেরার জন্য অধীর ঠিকই কিন্তু দুজনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ঠিক কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তসলিমা নাসরীনের প্রেক্ষাপটের সাথে মিল খুঁজে পেলেন জানান।

এনরিকোর দেশে ফেরার বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার। তসলিমার দেশে ফেরার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা, দেশের সরকার মৌলবাদীদের দিয়ে গঠিত নয়। একটা সরকার ছিলো যেটা মৌলবাদীদের সমর্থনপুষ্ট, কিন্তু গোটা সরকার নয়। তবে সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ পালনে ব্যর্থ। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মৌলবাদী না এবং অনেকেই তসলিমার দেশে ফেরার পক্ষে। এইদিক থেকেও কোনো মিল নাই।

ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য মহাজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না, তবে এটাও ঠিক যারা কথা বলেন তারা যথেষ্ঠ জেনেই বলেন, অন্তত লেখক হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠিত। বরং উল্টোটাই দেখি, ধর্মের ঝান্ডা উড়ানোর ব্যক্তিরাই কোনো কিছু না জেনে শুধু একটা ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করে পৃথিবীর তাবৎ বিষয়ে কথা বলে। শুধু বলেই না, মহাজ্ঞানীদের মতো অসংখ্য মতামত ও উপসংহার টানে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধর্মের অত্যাচার?!

অরফিয়াস এর ছবি

এটা তো ঠিকনা ভাইজান, এইমাত্র বললেন, ধর্ম সম্পর্কে জেনে কথা বলতে হবে, আর এখন নিজে না জেনেই "ধর্মের অত্যাচার" শুনে আঁতকে উঠেন !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক পৃথিবীতে কটি লোক ধর্ম সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার চেষ্টা করে ? লাইসেন্স প্রাপ্ত কিছু হুজুর বা ধর্মবেত্তাদের (ধর্ম ব্যবসায়ীও বলা যায়) কাছ থেকে সামান্য কিছু শুনেই মহা ধার্মিক বনে যায়। আর প্রচলিত কয়টা ধর্ম সম্পর্কেই বা তাঁদের আগ্রহ আছে ? কোন একটি ধর্ম সম্পর্কে সামান্য কিছু জেনেই মহাজ্ঞানীর মতো তর্কে লিপ্ত হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বরং উল্টোটাই দেখি, ধর্মের ঝান্ডা উড়ানোর ব্যক্তিরাই কোনো কিছু না জেনে শুধু একটা ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করে পৃথিবীর তাবৎ বিষয়ে কথা বলে। শুধু বলেই না, মহাজ্ঞানীদের মতো অসংখ্য মতামত ও উপসংহার টানে।

সবাই তাও বলে না। বেশিরভাগ বলে, আমার আসলে পড়াশোনা কম, কিন্তু আমি নিশ্চিত অবশ্যই আছে, অবশ্যই হবে। ধর্মগ্রন্থের সব ঠিক। আমি যদি বলি, তুমি কি পুরাটা পড়ছ? উত্তর আসে, নাহ পড়ি নাই, আমি অত জ্ঞানী না। কিন্তু যারা জানে এমন কারও সাথে কথা বললেই জানা যাবে। যুক্তিগুলা এতই ক্লিশে, এতই ক্লিশে যে শুনলেই এখন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের কথা বাদ ই দিলাম, ইউটিউবে বড় বড় থিওলোজিস্টদেরো একই অবস্থা। শুনলে মনে হয় স্টুপিডদের সাথে আসলে তর্ক করে লাভ নাই কোন। জেনারালিজেশান হলেও কথাটা সত্য।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইজান এত ক্ষ্যাপা! আপনি কি বলতে পারেন যুক্তি জিনিসটা কি?তার আকৃতি কেমন?কোন যুক্তিটা ঠিক কোনটা বেঠিক?একেকজনের যুক্তি একেক রকম।অন্যের যুক্তিগুলা নিয়ে আপনার মেজাজ খারাপ হতেই পারে কিন্তু সেটা নিয়ে এভাবে বলাটা মনে হয়না ঠিক।নিজেরটা নিজের কাছেই রাখেন??

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সবাই নিজেরটা নিজের কাছে রেখে দিলে তো আর ব্লগ, লেখালেখি আর মন্তব্য সবই অর্থহীন। আপনি যে আবার আমার মন্তব্যের পিঠে মন্তব্য করলেন! আপনি তো নিজের জিনিস নিজের কাছে রাখতে পারতেন! যুক্তির ঠিক বেঠিক থাকবে না কেন? যুক্তিবিদ্যা নামে আলাদা একটা বিষয়ই আছে। কোনটা কি রকম আর্গুমেন্ট সেগুলা ডিফাইন করা যায়, যুক্তির ভুল ধরা যায়, এটা এতটা আপেক্ষিক কিছু না যে সেটা একেক জনের কাছে একেক রকম। অনেক কিছুই এখন এভিডেন্ট, সেটা হয়ত এই পোস্টের আলোচনার সাথে যাবে না। সেদিকে আর কথা না বাড়াই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হিমু এর ছবি

মন্তব্যের নিচে আপনার নাম বা নিক দিলে বুঝতে সুবিধা হয় আপনি ঠিক কোন কাঠবলদ। নিকহারা কাঠবলদের ভিড়ে হারিয়ে যাবেন না প্লিজ।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু লোকের ভাষাজ্ঞান দেখে দুঃখ হয়।ভদ্রতার কোনো বালাই ই এদের নেই।কি কুৎসিত এদের মাত্রাজ্ঞান।একেই বলে বাকস্বাধীনতা আর এই আমাদের উদীয়মান লেখক সমাজ!! দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

আপনার দুঃখে পদ্মার পানি এক মিলিমিটার বেড়ে গেছে গো কাঠবলদ ভাইয়া।

Monjur Elahi এর ছবি

আমরা ব্লগে মন্তব্য প্রদানে একটু সংযত হলে বোধ হয় সকলেরই মঙ্গল । মন্তব্য প্রদানের এখতিয়ার সবারই আছে । সবার সাথে মতের মিল নাও হতে পারে ।কিন্তু অন্যকে ব্যাক্তি গত ভাবে আক্রমণ করে নিজের আচরনের দৈন্যতা প্রকাশ না করলেই কি নয় ? দয়া করে কেউ ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করবেন না । যার যার ধর্ম তার তার কাছেই থাকুক

হিমু এর ছবি

সোনাব্লগে যান। এইখানে সুবিধা করতে পারবেন না।

অরফিয়াস এর ছবি

বাকস্বাধীনতা কি জিনিস রে ভাই? খায় না মাথায় দেয়? তসলিমার বাক-স্বাধীনতা কই গেলো? তখন তো তার কল্লা নেয়ার দলে আপনেও শামিল!! তখন আপনার চুলকায় কেন? শালা, বলদের দল !! প্যাঁদানি পড়লেই বাক স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা বলে ম্যাতকার করতে থাকে!!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

যার যা ভাষা তার সাথে যোগাযোগ সেই ভাষায়ই করতে হয় কিন্তু।

আপনি মনে হয় ঠিকমত কোন নিক খুঁজে পাচ্ছিলেন না! হিমু ভাইয়ের দেয়া নিকটা নিয়ে দেখতে পারেন। তবে একেবারে পুরাটা ব্যবহার কইরেন না। 'কাঠবলদ_১' এভাবে লিখতে পারেন! সচলে মাঝে মাঝেই এরকম নিকহীন কাঠবলদ মন্তব্য করতে আসে তো, তাদের জন্যে তো আর নিত্যনতুন নিক খোঁজা সম্ভব না!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হাসান এর ছবি

নারে ভাই, যুক্তি হয় ঠিক নাহয় ভুল। মাঝামাঝি কিছু নাই।

অরফিয়াস এর ছবি

থিওলজিস্ট হচ্ছে এমন একটা শাখা যেটা আসলে কোনভাবেই শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত ছিলোনা, এই সম্পর্কে "দ্যা গড ডিলিউশন" এ বেশ দারুন কিছু উক্তি আছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমাদ্রী এর ছবি

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ব্যাপারটা যদি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হত তবে মনে হয় সমাজে বাস করা মানুষের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠত না। সমাজে বহু ধর্মের অনুসারীরা পাশাপাশি বাস করে। একজন অমুসলমান যখন প্রকাশ্যে শূয়োরের মাংস বেচে, বা খাবারে শূয়োরের মাংস দেয় কিংবা দোকানে মদ বেচে বা ইয়ার-বক্সী নিয়ে মদ খায় তাতে তো তার মুসলমান প্রতিবেশীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কথা। আবার একজন মুসলমান যখন গরু জবেহ করে খোলা ময়দানে, বা গরুর মাংসের নানা মুখরোচক খাবারের মৌ মৌ গন্ধে ভরিয়ে রাখেন পাড়া তাতে তার হিন্দু প্রতিবেশীর ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত লাগার কথা। আবার যে ধর্ম পালনকারীর কাছে জীবহত্যাই চরমতম পাপ, তার চারপাশে গরু, ছাগল, শূয়োর, মুরগী হত্যা করে বিক্রি-বাট্টা, খাবার সাজিয়ে রাখাটাও তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার সামিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই ব্যাপারগুলো ভাবে না কেন? প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলো নিশ্চয়ই শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়ানো, তাদের পালনকারীরা যদি সত্যিকারের বিশ্বাসী হয় তবে তাদের অনুভূতির চামড়া এত পাতলা হবার কথা নয়। কেউ একজন একটা কিছু বললে বা লিখলেই যদি ধর্মীয় অনুভূতির চামড়া খসে পড়ে গিয়ে তাতে সে আঘাত পায়, তবে তো মনে হয় ঐ ধর্মপালনকারী ব্যক্তির বিশ্বাসটাই অতি দূর্ব্বল। তসলিমা কোন গুরুতর অপরাধে অপরাধী নয়, সে মানুষ খুন করেনি, ব্যাংক ডাকাতি করেনি, কালো টাকার পাহাড় বানিয়ে ঋণ খেলাপি হয়নি,দেশের মানুষের ভাতের টাকা মেরে দিয়ে বিদেশে মহাসুখে দিনযাপন করছে এমনও নয়। তার লেখা যদি কারো পছন্দ না হয়, যদি তাতে আপত্তির কিছু থাকে তবে লেখার মাধ্যমেই তার জবাব দেওয়া যায়। অথবা তাকে উপেক্ষা করলেই চলে। তাকে বিতাড়িত করা বা তার জীবনের প্রতি হুমকি দেয়ার মানে হল তার লেখার শক্তির কাছে, শানিত যুক্তির বিরুদ্ধে যুতসই দাঁড় করার মত কিছু হাতে তাদের নেই যারা তাকে দেশছাড়া করাতে চেয়েছিল। এটা কাপুরুষতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তসলিমা এমন কোন অপরাধ করেনি যার জন্য সে তার মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পারবেনা। দেশটা কারো একার সম্পত্তি নয়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অরফিয়াস এর ছবি

হাততালি চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

উতপাখির হৃদয় এর ছবি

যার যার ধর্মীয় রীতি পালনে সমাজে বা রাষ্ট্রে কোন আইনগত বা সামাজিক বাধা নেই । তাই একজনের ধর্ম অন্যের অনুভুতিতে আঘাত হানার কথাও নয় । কোন ধর্ম ই অন্য ধর্মকে হেয় করার শিক্ষা দেয়না ।কিন্তু ধর্মীয় রীতিনীতি , আচার ব্যবহারকে কটাক্ষ করে কোন কিছু লেখা অবশ্যই ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার শামিল । তসলিমা ঠিক এ কাজটি ই করেছেন । তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে অন্য ধর্ম পালন করলেও কোন অসুবিধা ছিলোনা । একই কথা সব ধর্মের জন্য প্রযোজ্য ।

উতপাখির হৃদয়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

"কোন ধর্মই অন্য ধর্মকে হেয় করার শিক্ষা দেয়না"- কথাটা ভুল। আপনি চাইলে আমি প্রমাণ দেব।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

ধর্ম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান দেখে আর বুঝতে বাকি রয়না, আপনিও ঐ কাষ্ঠবলদদেরই দলে। এক ধর্ম আরেক ধর্মকে হেয় করেনা !! এই মহান উক্তি সেই কাষ্ঠবলদদের দলীয় সংগীত।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাবেকা এর ছবি

কোন ধর্ম ই অন্য ধর্মকে হেয় করার শিক্ষা দেয়না

দিন দুনিয়ার খবর দেখি ভাইজান খুবই কম রাখেন চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক তাই ধর্মমত ও পরমতসহিষ্ণুতার এই দেশে গরুর মাংস আর পাঁঠা্র মাংস খাওয়ার মতো ঠুনকো বিষয়গুলো নিয়ে এ দেশে কথা হয় না। কিন্তু এরা গুটিকয়েক লোকের দোষ চাপায় গিয়ে ধর্মের উপর।যা কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না। যাদের ধর্মীয় অনুভূতির চামড়া পাতলা তারা হয়তো সেই অনুভূতির চামড়া খসিয়ে নতুন চামড়া পরেৃ নিতে পারে কিন্তু যারা ধর্মকে জেনে তারপর বিশ্বাস করে তাদের কাছে তা পুরনো চামড়া খসিয়ে নতুন চামড়া পরে ফেলার মতো বিষয় নয়। আর ধর্মীয় বিশ্বাসের মুল্য কারো কারো কাছে আর সবকিছুর উপরে।।ধর্ম নিয়ে কোনো অযৌক্তিক অজ্ঞানতাপ্রসূত কথা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয়ত এ নিয়ে কাউকে দেশ ত্যাগে বাধ্য্ করতে যায় না তবে এভাবে যারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয় তাদের জন্য দুঃখও করতে যায় না।আর হ্যা দেশটা কারো একার সম্পত্তি নয় এবং ধর্ম ও কারোো বাপের সম্পত্তি নয়যে যেমন খুশি ব্যাখ্যা করলাম।কারো বাপ মা ভাইবোন নিয়ে কেউ যেমন ইছ্ছে করলেই ভিত্তিহীন সমালোচনা করতে পারে না ধর্ম নিয়েও নয়। কারণ ধর্ম এদের চেয়ে কম প্রিয় বা কমৄ গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয় বরং ধর্মীয় বিশ্বাসের স্থান সবকিছুর উপরে অবশ্য এ কথা যাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের চামড়া পাতলা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধর্ম নিয়ে কোনো অযৌক্তিক অজ্ঞানতাপ্রসূত কথা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়

ঠিকই বলেছেন অযৌক্তিক আর অজ্ঞানতাপ্রসূত কোন কথা কেবল ধর্মের একার অধিকার। সেদিকে হাত বাড়াবার ইচ্ছা বা ক্ষমতা কারও আছে বলে মনে হয় না!

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয়ত এ নিয়ে কাউকে দেশ ত্যাগে বাধ্য্ করতে যায় না তবে এভাবে যারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয় তাদের জন্য দুঃখও করতে যায় না।

এতেই আপনার মানসিক অবস্থা অনেকটাই পরিষ্কার হয়।

কারো বাপ মা ভাইবোন নিয়ে কেউ যেমন ইছ্ছে করলেই ভিত্তিহীন সমালোচনা করতে পারে না ধর্ম নিয়েও নয়

কারও বাপ মা ভাই বোন সমালোচনার যোগ্য হলে সমালোচনা তো হবেই! কে বলেছে বলুন তো আপনার কেউ প্রিয় হলে সমালোচনা করা যাবে না? যেটা সমালোচনার যোগ্য সেটার সমালোচনা হবেই। ধর্মকে সমালোচনার উর্ধে ভাবছেন কেন বলুন তো?

ধর্মীয় বিশ্বাসের স্থান সবকিছুর উপরে অবশ্য এ কথা যাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের চামড়া পাতলা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়

সেটা আপনার পার্সোনাল মতামত। আপনি সবাইকে আপনার পায়ের মাপে জুতা পরাতে কেন চাইছেন বলুন তো? ধর্মীয় বিশ্বাসের চামড়া যাদের মোটা, সেই চামড়া দিয়ে তখন আর আশে পাশের কোন কিছুই ভেদ করে ঢুকতে পারে না। গণ্ডারের নাম শুনেছেন তো? চামড়া মোটা হওয়া কোন ভাল বিশেষণ হতে পারে সেটা আপনার লেখা থেকেই জানলাম।

আর নিকটা যেন কি ভায়া?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

খুব খুব সহমত সুমাদ্রীদার সাথে।

সাবেকা এর ছবি

তাকে বিতাড়িত করা বা তার জীবনের প্রতি হুমকি দেয়ার মানে হল তার লেখার শক্তির কাছে, শানিত যুক্তির বিরুদ্ধে যুতসই দাঁড় করার মত কিছু হাতে তাদের নেই যারা তাকে দেশছাড়া করাতে চেয়েছিল। এটা কাপুরুষতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তসলিমা এমন কোন অপরাধ করেনি যার জন্য সে তার মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পারবেনা। দেশটা কারো একার সম্পত্তি নয়।

হাততালি

হাসান এর ছবি

নাম বদলায়ে উটপাখির মাথা রাখেন। বলদ!

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করাও আজকাল হাস্যকর দেখায়। ভাই যার যার ধর্ম তার তার মনে থাকতে দ্যান। আমি যেমন আমার ঈশ্বর মানি, কারো সাথে তর্কে যাই না ঈশ্বর কিংবা তার অস্তিত্ব নিয়া। কি দরকার গলা শুকানের? নিজে যা বিশ্বাস করেন তা নিজের কাছে রাখেন। আর ধর্মেই তো আছে ধর্ম নিয়া বাড়াবাড়ি না করতে।

ইয়াসির এর ছবি

এনরিকো ইসরায়েলকে সমর্থন করেন, কথাটার মধ্যে একটা অস্পষ্টতা আছে। সমর্থন অনেক ধরণের হতে পারে, এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন?

সুমাদ্রী এর ছবি

২য় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের উপর সারা দুনিয়া জুড়ে যে নির্যাতন হয়েছে তাতে যেকোন ইহুদির পক্ষেই নিজস্ব একটা রাষ্ট্র কামনা করাটা অস্বাভাবিক নয়। একটা রাষ্ট্র যেটি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এনরিকো হয়ত এ কারনেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সমর্থন করেন। যেমনটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থণ জানিয়েছিলেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বা আবদুর রাজ্জাকের মত লোকেরা। তবে এনরিকো কখনো ইসরায়েলকে নিজের দেশ বলতে যাননি। খেয়াল করবেন দুনিয়ার যেকোন ইহুদি চাইলেই ইসরায়েলের নাগরিক হতে পারে। সেদিক থেকে এনরিকো সবসময়ই ফিরে যেতে চেয়েছেন তার মাতৃভূমি আলজেরিয়াতে।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

দুনিয়ার যেকোনো ইহুদির মাতৃভূমি ইসরায়েল না। মাতৃভূমিতে ফেরত যেতে চাওয়াটই সবচেয়ে স্বাভাবিক।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুমাদ্রী এর ছবি

অনিন্দ্য ভাই, আমি বলেছি দুনিয়ার যেকোন প্রান্তের ইহুদিরা চাইলেই ইসরায়েলের নাগরিকত্ব পেতে পারে।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমি সম্পূরক তথ্য দিলাম। আপনারটায় দ্বিমত করি নাই।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অরফিয়াস এর ছবি

অনুবাদ ভালো হয়েছে। চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ অরফিয়াস।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

বাণীব্রত এর ছবি

লেখায় পাঁচতারা।

অনুবাদ পড়ে আমি মুগ্ধ।

আমার মনে হয়েছে ভাবটা যথার্থ প্রকাশিত হয়েছে;
অধিকন্তু বাংলা অনুবাদটিকে অনেক সরস মনে হলো। হাসি

এত সুন্দর ও কাব্যিক প্রকাশ সত্যিই প্রশংসনীয়।

সুমাদ্রী এর ছবি

থ্যাঙ্কস দোস্ত। তোর কয়েকদিন ধরে খবর পাচ্ছিনা। ব্যস্ত নাকি? স্কাইপে আসিস।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অমি_বন্যা এর ছবি

বেশ লাগলো, দাদা। চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সুমাদ্রী এর ছবি

থ্যাঙ্ক্যু ম্যাডাম।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

উচ্ছলা এর ছবি

ভারী সুন্দর পোস্ট। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

উত্তম জাঝা!

খুব ভাল লাগল। খুবই।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

"almost half of all Palestinians are registered refugees"
এনরিকোর চমৎকার পদ্য পাঠ করে, তাদের কথা মনে পড়ল।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুমাদ্রী এর ছবি

ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েল রাষ্ট্রের কৃত অন্যায়কে সমর্থন জানিয়েছে কিনা শিল্পী এনরিকো সেটা আমার জানা নেই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এইটা পাইলাম।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হে হে। ভালো বাইর করছেন। একটা কথা মনে হইলো। বিশুদ্ধ/খাঁটি মানুষ/মহাজন খোঁজা অভিযানের অবসান হইতে পারে। মানুষের ভিতর বিশুদ্ধতা খোঁজা হইলো আসমানে একশৃঙ্গী অশ্ব খোঁজার মতো। ধারণার কেইস বাই কেইস বিচার হোক। ধারণারে ব্যক্তির সাথে প্যাকেজ আকারে বিচার করার কারণে আমরা অনেকসময় সম্পূর্ণ গ্রহণ ও সম্পূর্ণ বর্জনের ডিলেমায় দুলি।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনের ডিলেমা আমার উপ্রে চাপানিটা ফ্যাসিবাদী হবে নাতো?

বিশুদ্ধ মানুষ খুঁজতেছে কে এইখানে?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এইখানের "আমরা"র মধ্যে কোনো আপনি বা আমি নির্দিষ্ট কইরা নাই। ফলে চাপানির প্রশ্ন আসে না। চাপাইলে উত্তরটা করতে পারতাম।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সেকেন্ড প্রশ্নে আসি। মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধতা খুঁজা আর ভেজাল খুঁজার মধ্যে কী গুণগত ঐক্য দেখতে পান? আমার তো মনে হয় দুইটা নিছক বিপরীত প্রক্রিয়া না। বরং, প্রথমটা আইডিওলজিকাল, দ্বিতীয়টা লজিকাল অবস্থান। তুলনার অযোগ্য বিষয়।

সম্পূরক প্রশ্ন, "এনরিকোর ‘ Adieu mon pays ’ গানটি পৃথিবীর সকল অভিবাসী মানুষের গান" কথাটা লিখায় পাইলাম। আমি 'সকল' শব্দে ব্যপ্তি নিয়া গবেষণা করলাম। আপনি তাতে বিশেষ কোনো সমস্যা দেখতে পান কি?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সম্পূরক প্রশ্ন, "এনরিকোর ‘ Adieu mon pays ’ গানটি পৃথিবীর সকল অভিবাসী মানুষের গান" কথাটা লিখায় পাইলাম। আমি 'সকল' শব্দে ব্যপ্তি নিয়া গবেষণা করলাম। আপনি তাতে বিশেষ কোনো সমস্যা দেখতে পান কি?

লেখার ওই জায়গায় আমারও চোখ আটকাইছে। আপনার গবেষণা তো ঠিকই আছে। আমার মন্তব্যটা কিন্তু আপনার উদ্দিষ্ট আলোচনার অনেকটাই বাইরের বিষয়ে ছিলো। মনে আসলো বইলা কথাটা বলছিলাম খালি। আপনার গবেষণার বিপরীতে বলা না কিন্তু।

আমার তো মনে হয় দুইটা নিছক বিপরীত প্রক্রিয়া না। বরং, প্রথমটা আইডিওলজিকাল, দ্বিতীয়টা লজিকাল অবস্থান। তুলনার অযোগ্য বিষয়।

এ ব্যাপারে আমার ভাবনাটাও কাছাকাছিই। "প্রথমটা আইডিওলজিকাল, দ্বিতীয়টা লজিকাল অবস্থান" কথাটা মনে ধরছে। এখন আলোচনাটা একটু আগাই। ধরেন, মানুষের ভেজাল খোঁজায় এমন হইতে পারে যে মানুষে ভেজাল পাওয়া গেছে অতএব গোটা মানুষটা বাতিল। তাতে মানুষটার সাথে লতায়পাতায় জড়ানো যতো ধারণা লাইগা আছে, সেইগুলাও প্যাকেজে বাতিল হইতে পারে। সেইটা অকার্যকর ভাবনা। সেইটা নিয়া বলতেছিলাম।

আরেকটা ব্যাপার হইলো যারে বিশুদ্ধ বানানির চেষ্টা চলতেছে, তার ভেজাল না পাওয়া গেলে কি তাইলে তারে অবাতিল মাইনা নিতে হবে? একটা ভেজাল খুঁইজা পাওয়া না গেলেও বা না খুঁইজাও মানুষরে বিশুদ্ধ বানানির এই আইডিওলজির বিপরীতে অবস্থান নেওয়া যায়।

আর এর মাঝখানে যেইটা বাদ থাইকা যাইতে পারে, সেইটা হইলো ভেজাল ধারণাটারে আলাদা করা। ফলে মানুষের চেয়েও ধারণাটারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যাইতে পারে। সেইটা মানুষের ভেজাল খোঁজার মধ্যেই করা যাইতে পারে।

সংক্ষেপে - বিশুদ্ধ মানুষ বইলা যে কিছু নাই, সেইটা প্রমাণের জন্যে ভেজাল বাইর করার ইগজোস্টিভ সার্চের চেয়েও সহজ পথ নেওয়া যাইতে পারে। আর যখন প্রতিষ্ঠা হইলো যে বিশুদ্ধ মানুষ বইলা কিছু নাই, তখন ধারণারে মানুষের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দেওয়া যাইতে পারে। আপাতত ভাবনাটা এইটুকুই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গে অনিন্দ্য একটা কথা বলেছিল - এইটাই হুমায়ূন আহমেদ না, এইটাও হুমায়ূন আহমেদ। এই ডিডাকশানটা বরং ঠিক। দুনিয়াতে যেহেতু পরম বলে কিছু নাই তাই প্যাকেজ হিসেবে বাতিল করার স্কোপ কম। কেন স্কোপ কম বললাম? স্কোপ নাই বললাম না কেন? গোলাম আজমও হয়তো জীবনে কোন ভিখেরীকে সাহায্য করেছে, কাউকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে, কারো বিপদে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তার দুষ্কর্মের পাল্লাটা এমন যে তার ক্ষেত্রে কেস বাই কেস বিচারের স্কোপ নাই - সে প্যাকেজ হিসেবে বাতিল। কিন্তু আমার মতো আম-পাবলিক যার সুখ্যাতি নেই, কুখ্যাতিও নেই তার ক্ষেত্রে কেস বাই কেস বিচারের স্কোপটা আছে। এনরিকো'র কীর্তি অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে প্রভাবিত করে বলে এনরিকো যখন গাজাতে গণহত্যার সপক্ষে প্যারিসে ইসরাইলী দূতাবাসের সামনে সমাবেশ করে তখন তাকে কেস বাই কেস বিচারের স্কোপটা কমে আসে। যারা এনরিকোর কবিতা-গানের বানীকে সত্য বা মান্য বলে মনে করে তাদের ওপর এই ঘটনার ইমপ্যাক্টটা কী রকম! উত্তরটা সেখানেই মিলে যায়।

কাউকে বিশুদ্ধ বানানোর চেষ্টাটা পৌত্তলিকতা। আদর্শবাদীরা যেদিন থেকে তাদের নেতাকে ঈশ্বর বা তার অবতারের পর্যায়ের বিশুদ্ধতায় নিতে চেয়েছে সেদিন থেকে তারা মৌলবাদী, গোঁড়া ও পৌত্তলিকে পরিণত হয়েছে। এই পৌত্তলিকতা যারা দেবতার মূর্তি গড়ে পূজা করেন তাদের সাথে সম্পর্কিত নয়। কারণ, তারা মূর্তিরূপে আসলে দেবতার ভজনা করে। পক্ষান্তরে আমি যাদের কথা বলছি তারা নেতা বা পছন্দের জনকে অভ্রান্ত ও দেবতাসমতুল মনে করে যুক্তির পথকে বিসর্জন দিয়ে তাকেই ভজনা করে। আদর্শবাদী রাষ্ট্র বলে দাবীদার রাষ্ট্রসমূহের ইতিহাস পাঠ করলে তাদের পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে এই পৌত্তলিকতাকে চিহ্নিত করা যাবে।

সুতরাং এ'টুকু নিশ্চিত করেই বলা যায় কেউ বিশুদ্ধ নয়, সেটা হবার দরকারও নেই। তবে কারো ওপর দেবত্ব, মহত্ত্ব ইত্যাদি আরোপ করে তাকে ঈশ্বর বানানোর আগে তার ব্যাকগ্রাউন্ডটা চেক্‌ করে নেয়াটা নিরাপদ। এতে ধারণা আর মানুষের মধ্যে কে কাকে ছাপিয়ে উঠবে সেটা স্পষ্ট হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

গোলাম আজমও হয়তো জীবনে কোন ভিখেরীকে সাহায্য করেছে, কাউকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে, কারো বিপদে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তার দুষ্কর্মের পাল্লাটা এমন যে তার ক্ষেত্রে কেস বাই কেস বিচারের স্কোপ নাই - সে প্যাকেজ হিসেবে বাতিল।

মানে মানুষটা প্যাকেজ হিসাবে বাতিল। আর এইরকম কন্সিস্টেন্ট কনভিক্ট নিয়া আমাদের কারও তর্কও নাই। তবে আমি কিন্তু এখানে ব্যক্তির বাতিল হওয়া নিয়া চিন্তিত না। বরং "ধারণারে ব্যক্তির সাথে প্যাকেজ আকারে" বাতিল করা নিয়া দুশ্চিন্তিত। মানে ভিখারিরে সাহায্য করার ধারণাটা যাতে প্যাকেজে বাতিল না হয়। অবশ্যই ভিখারিরে সাহায্য করা নিয়া আমরা সন্দিহান না। কিন্তু অনেক ভ্যালিড রাজনৈতিক অবস্থানের যখন এরা ফয়দা তুলতে যায়, তখন ভ্যালিড ধারণা আর বাতিল ব্যক্তির ডিলেমাটা ইন্টারফিয়ার করতে পারে।

এনরিকোর ক্ষেত্রেও আপনি একইভাবে ব্যক্তি হিসাবে "তাকে কেস বাই কেস বিচারের স্কোপটা" কম দেখতে পারেন। কিন্তু ধারণাগুলার কেইস বাই কেইস বিচারের স্কোপটা কিন্তু তখনও উন্মুক্তই থাকে।

এই কারণেই আমি ভাবতেছি যে হয়তো "ধারণারে মানুষের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দেওয়া যাইতে পারে"। সমস্যাটা মানুষের প্রতি আনড্যিউ ভক্তিতে। ফলে সেইটার বিপক্ষে "বিশুদ্ধ" মানুষটার ছিদ্র খোঁজাটা একটা অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসাবে দেখা দেয়। কিন্তু তাতে সেই দফা ওই বিশেষ মানুষটার "বিশুদ্ধতা" হয়তো নাকচ হয়। কিন্তু বিশুদ্ধতা খুঁজনেওয়ালা তার এই বাতিক থেকে, অন্ধতা থেকে, মুরিদিপনা থেকে মুক্তি পায় কই। পরদিন ঠিকই আরেক পীর খুঁজতে সে নেমে পরে। পীরের ছিদ্র খুঁজে তারে বাতিল করবেন, আরেকটা পীর আসবে। মানুষের মনে যে পীরভক্তি তারে সরাবেন কীভাবে?

তার জন্যে মানুষরে বিচার করার বাইরে, ধারণারে বিচার করার চর্চায় হয়তো আসা দরকার। মানুষ মানুষরে ভক্তি করে চিন্তার আলস্য থেকে। যেমন, সরকারের ইউনূস বিরোধিতা খারাপ কি ভালো জানি না, কিন্তু জাফর ইকবাল খারাপ বলছে, তাইলে নিশ্চয়ই খারাপ - এমন টাইপের নিশ্চিন্তায় থাকার সুযোগ দেয় এই মানুষভক্তি। তার বদলে মানুষের থেকে আলাদা কইরা ধারণারে বিচার করার চর্চা থাকা দরকার। তখন আলোচনা, সমালোচনা, সব হবে বিষয় নিয়া, ধারণা নিয়া। মানুষ নিয়া না।

আমরা এখনো হয়তো সেখানে নাই। কিন্তু ভাবনাটাও অনুপস্থিত থাকার তো কারণ নাই। তাই ভাবলাম।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ওস্তাদ, ব্যক্তির পিছলামির চাইতেও জরুরি হইল 'ধারণা'। 'ধারণা' মানে, আপাতত ধরি. ideology। ধারণার উপ্রে ব্যক্তির অগ্রাধিকার নাই। স্যুডো-ইন্ডিভিজুয়েশন ব্যক্তিরে হুদাই তারে তার ধারণার মালিক ঠাউরায়। পশ্চিমে এইটা ফ্রি চয়েস নামে খ্যাত। যদিও, There is no subject beyond ideology.আলথুসের জানাইছে। আরো পরিস্কার কৈরা বললে, ideology precedes the subject. (তুলনীয়, অস্তিত্ববাদী প্রস্তাব existence precedes essence?)

ব্যক্তির সাথে কিছু ধারণা যুক্ত থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাইরেও ঐসকল ধারণা সার্বভৌম। এইখানেই আলাদা আলাদা ডিল করার স্কোপ জন্মায়।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আলোচনার কর্তা তার আলোচনার সাবজেক্ট করবে ধারণারে, যতোটা না করবে ব্যক্তিরে, আমার প্রস্তাব সেথায় সীমিত। এবং সেইটা উপযোগবাদী অবস্থান, অস্তিত্ববাদী অবস্থান না। অর্থাৎ কেনো এই অবস্থান নিতেছি, সেইটার পর্যাপ্ত যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান সাপেক্ষে এই অবস্থান গ্রহণীয়, নিঃশর্ত না। ব্যাখ্যার গ্রহণযোগ্যতা ফুরালে অবস্থানও ঝুরঝুর কইরা ঝইরা পড়তে দেওয়া হবে।

তার তুলনায় "ideology precedes the subject" অনেকটা যেনো নিঃশর্তে মান্য হিসাবে দাবি করা হইতেছে। এর উল্টা ক্লেইম subject precedes the ideology এর মতোই। ফ্রি উইল তর্কের মূল দুই পার্টিই (তর্কান্তরে অপ্রমাণীয়) অবজেক্টিভ ক্লেইমের দোষে দোষী। ফলে পর্যাপ্ত খুঁটি ছাড়া এই ক্লেইমটাও হুদা-ই থাকে। আর এই ক্লেইমের উপর দাঁড়ানোর তত্ত্বসকলও হয় নড়বড়ে।

ideology আর subject-এর অবজেক্টিভ রিয়েলিজম-সংক্রান্ত তর্কে আমার সম্পূরক ভাবনা - ধারকের বাইরে ধারণা কীভাবে থাকে? তুলনীয় বৈজ্ঞানিক দার্শনিক প্রশ্ন - পর্যবেক্ষক না থাকলে পর্যবেক্ষণ বলতে কী বোঝায়? একটা আরেকটার সাথে যেইভাবে জড়ায়ে আছে, সেখানে স্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্স কীভাবে খাঁড়া করবেন? বরং একতরফা ব্যক্তিরে বাদ রাখাটাই "মুশকিল", যেমনটা নিচে স্বীকার করলেন।

এই দ্বন্দ্বের যেকোনো অবজেক্টিভ ক্লেইম নিয়া আমার ফলে রেজার্ভেইশন আছে। এই আলোচনা সর্বদাই আমার কাছে তর্কসাপেক্ষ। অন্যদিকে অনেক তর্ক কিংবা সমস্যার আপাত সমাধানেই কিন্তু পৌঁছানো যাইতে পারে অবজেক্টিভ ক্লেইমের ঝক্কি এড়াইয়া। মতান্তরে, সেইটাই কাজের। এই যেমন, ধারণারে ব্যক্তির আগে প্রাধান্য দেওয়ার প্রস্তাব আমি করতে পারি, "ধারণা সর্বদাই ব্যক্তির আগে আসে" এমন অবজেক্টিভ ক্লেইম না কইরা। আর পছন্দের কথা জানতে চাইলে আমি এইটারে এইভাবে দেখতে পছন্দ করবো যে ব্যক্তি এখানে ব্যক্তির বদলে ধারণারে প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেছে। অর্থাৎ ব্যক্তিরে বাদ দিয়া ধারণায় মনোনিবেশ করাটাও এখানে ব্যক্তিরই কর্ম। কিন্তু তাতে ইতরবিশেষ কী হয়?

অরফিয়াস এর ছবি

হাততালি চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মূল লেখকের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলছি, পাণ্ডবদার মন্তব্য আমি অনেক সময়ই মূল লেখার চেয়ে বেশি উপভোগ করি। ঠিক যেমন সত্যপীরের কোন লেখা আসলেই অপেক্ষা করি পাণ্ডবদা কখন মন্তব্য করবেন!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পান্ডবদা, প্রশ্নটা ফাইনালি থাকে রাজনীতির। মানুষের সৃজনশীল কাজকাম তার নিজস্ব রাজনীতির বাইরে থাকে না। আর যদি না-ই থাকে তাহলে ঐ কাজকামকে পাঠ করতে হইলে তার রাজনীতির খোঁজ নিলে ভাল। তবে, কিন্তু আছে। অথরের রচিত টেক্সটে অথরের পলিটিক্স খোঁজার প্রয়োজনটা ঐ টেক্সটকে অনুধাবনের জন্যও, শুধুই ঐ অথরকে অনুধাবনের জন্যই না। সুতরা ব্যক্তি অথর যদি আমাদের আগ্রহের বিষয় নাও হয়, তবু আমাদের আগ্রহের বিষয় যে টেকস্ট তাতে ব্যক্তি অথর হামলা করে। মুশকিল।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুমাদ্রী এর ছবি

দখলদার ইসরায়েলি রাষ্ট্রযন্ত্রের সাধারণ ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার, নির্যাতনকে সমর্থণ করাটা মানবিক বোধসম্পন্ন কোন শিল্পীর পক্ষে অসম্ভব বলেই বিশ্বাস করি আমি। এনরিকোর রাজনৈতিক বিশ্বাস আমাকে এই লিখাটা লিখতে প্রেরণা দেয়নি, তার গানটি শুনেই মনে হয়েছিল সে গান নিজ ঘরে ফিরতে না পারা দুনিয়ার তাবৎ অভিবাসী মানুষের দুঃখের প্রতিফলন। একজন ফিলিস্তিনি শরনার্থী বা অভিবাসী যে তার মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত সেও একই অনুভূতি বুকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। ' হামাস ' এর কার্যক্রমকেও নিশ্চয় সমর্থণ জানানো যায়না যেহেতু তারাও সমানভাবে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এনরিকো মাসিয়াসের উপর দেবত্ব আরোপের কোন অভিপ্রায় লেখাটিতে আমি ব্যক্ত করতে চাইনি। তিনি যদি মানবতার বিপক্ষে থাকেন, তাঁরই মত একজন ঘরহারা ফিলিস্তিনি যুবকের জন্য দুঃখ অনুভব না করেন তবে তিনি মানুষ হিসেবে অবশ্যই নিন্দিত।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

'খারাপ' হামাসকে শায়েস্তা করার জন্য ইসরাইলিরা প্যালেস্টাইনের বাচ্চাকাচ্চাসহ ছাই করে দিছে। এনরিকো মহাশয় তাতে হাত্তালি দিতে প্যারিসে আসর জমান। আপাতত এইটুকই মনে হইল। তাতে তার কবিতার নন্দনতত্ত্বের আস্বাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা, সেইটা ব্যক্তিগত অভিরুচির প্রশ্ন।

আপনি শ্রম ও মেধা ব্যয় করে একটা গান অনুবাদ করছেন। পাঠকদের ভালও লাগছে। আপনি কবি বিষয়ক কিছু তথ্য দিছেন। আমি আরো দুইয়েকটা তথ্য খুঁজার চেষ্টা করছি মাত্র। তাতে যেন একটা সম্পূর্ণ পাঠের কাছাকাছি যাওয়া যায়। লেখক, অনুবাদক, পাঠক মিলাই তো একটা সামগ্রিক অভিজ্ঞতা, একটা ভালো ঘটনা।

আপনি এনরিকোর উপ্রে দেবত্ব আরোপ করতে চাইছেন এইটা আমিও মনে করি না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বন্দনা এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর একটা অনুবাদ, দেশে ফেরার কী ভীষণ ব্যাকুলতা প্রতিটা লাইনের মাঝে। গানের লাইঙ্গুলা না বুঝলে ও বিষন্নতার সুর ঠিক ধরা যায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অসাধারণ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ক্রেসিডা এর ছবি

খুব সুন্দর লেখা।ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাল লেগেছে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অনুবাদ দারুণ লাগলো।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শাব্দিক এর ছবি

অনুবাদটা অসাধারণ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।