গীটার, বেহালা আর বাঁশি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০১২ - ৪:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক বন্ধুই বলেছিল, ‘ একা লাগবেনা আর
কিনে ফেল একটা গীটার অথবা বেহালা
কিংবা নিদেনপক্ষে সস্তা দামের বাঁশের একটা বাঁশি।
গীটারের ছয়টা তারে আঙুল ছোঁয়ালেই দেখবি
অদৃশ্য এক জগত থেকে ছুটে এসেছে ছয়টা অপূর্ব ঋতু,
তাদের রূপ তোর অচেনা, তাদের গল্প তোর শোনা হয়নি কোনদিন,
দেয়ালজুড়ে দেখবি তখন ফুটে উঠেছে ফসলের ঊজ্জ্বল মাঠ
একটু আগের বিষন্ন ঘরে যেন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েছে
অতিপ্রিয় আড্ডাবাজ ছয়টি পুরোনো বন্ধু।
অথবা বেহালার ছড় যখন ছুঁয়ে দেবে চারটি তার,
যাদুকাঠি ছোঁয়ালে যেভাবে ঘুম থেকে জেগে ওঠে
রূপকথার সুন্দরী রাজকুমারী অনেক গল্প নিয়ে,
তেমনি মুহুর্তেই দীর্ঘ ঘুমের অতলান্তিক সাঁতরে পার হয়ে
তোর ঘরে এসে হাজির হবে করুণ, কোমল, শান্ত সুরের পরীরা
ভালবেসে ছুঁয়ে দিলে দেখবি বিষাদের সুরও হয়ে গেছে ঊচ্ছ্বল।
কিংবা বাঁশিটির ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দীর্ঘ চুম্বনে
যদি তুই জানিয়ে দিতে পারিস তোর প্রণয়াভিলাষ
দেখবি তার ছটা খোপ থেকেই বেড়িয়ে আসছে
বিভিন্ন স্বরগ্রামের শিষবাজিয়েওলা পাখির দল,
একা আর লাগবেনা তখন দেখিস নিজেকে।’
এরকম হেঁয়ালিপূর্ণ কথা বলে বন্ধুটি চলে যাবার
কদিন পরেই ঘরে নিয়ে এলাম গীটার, বেহালা, আর বাঁশি।

ভালবাসা শব্দটার শক্তি এতটাই প্রবল যে
কতগুলো নিছক যন্ত্রও একদিন হয়ে ওঠে
চিরসখা, বন্ধুজন।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রাণবন্ত লেখা, এক নিঃশ্বাস এ পড়ে ফেলার মত।

ভালবাসা শব্দটার শক্তি এতটাই প্রবল যে
কতগুলো নিছক যন্ত্রও একদিন হয়ে ওঠে
চিরসখা, বন্ধুজন

চলুক
দূর-দ্বীপবাসিনী

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অমি_বন্যা এর ছবি

গিটার বাজাতে পারিনা কিন্তু কেউ তা বাজালে কাছে না গিয়েও হয় না। সম্পূর্ণ আলাদা এবং বিশেষ বন্ধু মনে হয় এই ছ তারওয়ালা বাদ্যযন্ত্রকে । সকল মুহূর্তে কাছে পাবার এক নিখাদ নিশ্চয়তা পাবার মত পরম আপনজন এই গিটার ।
বেহালা আর বাঁশিও কিন্তু অসাধারণ । অনেক ভালো লেখা । চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

দেশে গিয়েই একটা যন্ত্র কিনে ফেলুন এবার। তবে অবশ্যই সুরের হাসি

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন ছুঁয়ে গেল।
-এক জোনাকি

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

নিলয় নন্দী এর ছবি

বাস্তবতা কিন্তু আরো কঠিন।
একটা বাদ্যযন্ত্রকে আয়ত্ত্বে আনতেই কয়েক বছর পেরিয়ে যায়। মন খারাপ

চলুক
লেখাটা ভাল লাগল।

সুমাদ্রী এর ছবি

সারা জীবনও লেগে যায় অনেকের ক্ষেত্রে।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কথা সত্য। আমি বহু বছর ধরে এই ইচ্ছেটা মনের মধ্যে লালন করছি। অঞ্জন দত্ত নাকি চল্লিশ বছর বয়সে গীটার ধরেছিলেন। আমি তো চল্লিশ পেরিয়ে এলাম তবে এখনো গীটার ধরতে পারলাম না। অঞ্জন দত্ত হতে চাই না, শুধু নিজের জন্য বাজাতে শিখতে চাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমাদ্রী এর ছবি

সুমন গীটার হাতে নিয়েছিল প্রথম বারের মত যখন তখন তার বয়স ৩৭। আর সুমনের গান শুনেই নাকি অঞ্জন গীটার হাতে তুলে নিয়েছিল। পাণ্ডবটা, স্টেজে কিংবা জলসায় মানুষের হাততালি পাওয়ার জন্যই কিন্তু নয় সঙ্গীত। যেকোন বয়স থেকেই আবার সব কিছু নতুন করে শুরু করা যায়। শুভকামনা আপনার জন্য।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ইয়াসির এর ছবি

লেখায় যেভাবে অনুভবের একটা জগত তুলে আনলেন, অ-সা-ধা-র-ণ গুরু গুরু

যেকোন বাদ্যযন্ত্রের বেলায়ই সম্ভবতঃ কথাগুলো সত্যি। লেভেল-২ টার্ম ১ এ যখন গীটার ধরি, অনেকেই মুখ বাঁকিয়ে বলেছিল, বয়স নেই, পারবি না। টানা বছর তিনেকের চেষ্টায় প্রারম্ভিকা পর্ব শেষ করেছিলাম দেঁতো হাসি । চাকরীতে ঢোকার পর আর ধরাই হয়ে ওঠে নি। আবার চারুকলার সামনে লাবু মিয়ার বাঁশি শুনে প্রবল ইচ্ছে জেগে উঠেছিলো সেটি শেখারও, কিন্তু সেই বাঁশি আর বাজানো হয় নি, বড়ই কঠিন যন্ত্র। আপনি কোনটা বাজান?

সুমাদ্রী এর ছবি

আমি গীটারে একটু টুংটাং করি। তবে গলাবাজিতে আমি ওস্তাদ দেঁতো হাসি আপনি আবার শুরু করে দিন। একটা স্কুলে ভর্তি হয়ে যান। সপ্তাহে একদিন করে প্র্যাকটিস করেন সময় না পেলে।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

শাব্দিক এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়) উত্তম জাঝা!

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ অনু'দা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

বন্দনা এর ছবি

ভিতরটা ছুঁয়ে গেল যেন কবিতার লাইনগুলা।

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনার বেহালায় সুর উঠছে কেমন?

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তানিম এহসান এর ছবি

অনুপ্রাণিত হাসি আমাকে দিয়ে বাঁশী হবেনা এটা বহু আগেই এক বাঁশরীয়া বলে দিয়েছে। গিটার বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারিনি, দারুণ পছন্দের হারমোনিকা কয়েকবার কিনেছি, ফেলে রেখেছি তারপর দিয়ে দিয়েছি কাজিনকে। ইদানীং ইচ্ছেরা প্রচণ্ড জাগ্রত।

প্রিয় সুমাদ্রী, আপনার জন্য হাসি কে বেশী পাগল, কবিতা না কবিতা...

কড়িকাঠুরে এর ছবি

"কবি না কবিতা"- হাসি - (অনিচ্ছাকৃত)
অনেক পছন্দের...

তানিম এহসান এর ছবি

ভুল হয়ে গেছে, সম্পাদনা করতে পারছিনা মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

শুরু করার জন্য যেকোন সময়ই আদর্শ। এমনকি ধ্বসে পড়ার আগ মূহুর্তটিও। প্রিয় একজন শিল্পির গান এটা। ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

তিন ধাপে (গীটার, বেহালা, বাঁশি) বৈচিত্র্য আনতে পারতেন আরও,
একটু predictable হয়ে গেছে, আরও অঘটন ঘটাতে পারতেন,
পাঠকের মনে আরও দাগ কাটতে পারতেন। শুভকামনা রইল।

______
অনুচ্ছেদ

সুমাদ্রী এর ছবি

কল্পনার ধার অতটা নেই হয়ত। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

দারুণ...

অসম্ভব পছন্দের তিনটি বাদ্যযন্ত্র । গীটারে টুং টাং করেছি- সুর তোলা হয়নি । বাঁশিতে ফু-ফা দিয়েছি- বাজানো হয়নি। বেহালা একদম পিচ্চিবেলায় এক চাচ্চু দিয়েছিলেন হাতে- ঐ পর্যন্তই । কিন্তু আমি শিখতে চাই- বাজাতে চাই- সুর তুলতে চাই । জানি না পারবো কিনা । দেখা যাক...

সুমাদ্রী এর ছবি

আরে পারবেন, পারবেন। ভালবাসলে সবকিছুই পারা যায়। ভালবেসে শুরু করে দিন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

উঁহু উঁহু সুমাদ্রী’দা কথাটা বড় ঠিক না,
মানুষ ই প্রেম বোঝে না...যন্ত্রের কোনো ঠ্যাকা না
যুগের পরে যুগ চলে যায় মনের নাগাল মেলে না,
করাত হয়ে কাটে গো পরাণ যন্ত্রের কথা বলো না।
ওরা থাকুক যেমন আছে মিছে হৃদয়ের বোঝা চাপিও না
নিঠুর রাজ্যে প্রজা ওরা মুকুট পরিও না...

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

ভালবাসা শব্দটার শক্তি এতটাই প্রবল যে
কতগুলো নিছক যন্ত্রও একদিন হয়ে ওঠে
চিরসখা, বন্ধুজন

কী আর বলব দাদা ! ! !
কতগুলো শব্দের গাঁথুনিই এলোমেলো করে দিতে স্মৃতিময় ঘুমের রাজ্য।

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ সজল ভাই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অরফিয়াস এর ছবি

বাহ বেশ হয়েছে। চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ হে বাঁশির যাদুকর।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

মেঘা এর ছবি

এতো চমৎকার হয়েছে! মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট সব এমন আপন লাগে! কেমন চির চেনা আত্মীয়ের মত সম্পর্ক গানের সাথে আমার। জন্মের থেকেই যেন আমার এক প্রিয় বন্ধু। যদিও অনেকদিন রাগারাগিতে এই বন্ধুর সাথে আর উঠা বসা নাই। হারমোনিয়ামটা হাত দিয়ে ছুঁই না প্রায় ৩ বছর! আজ কেমন যেন খুব মনে পরছে মন খারাপ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সুমাদ্রী এর ছবি

আবার বসে পড়ুন, হারমোনিয়াম রীডে আঙুল ছুঁইয়ে দেখুন খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছে ওরা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার লেখার মাধ্যমেই মনে হল যেন, গীটারের টুংটাং, বেহালার করুণ সুর, বাঁশির সুরেলা আওয়াজ শুনতে পেলাম।

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ স্যার। ভাল থাকবেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

আশরাফুল কবীর এর ছবি

‘ একা লাগবেনা আর
কিনে ফেল একটা গীটার অথবা বেহালা
কিংবা নিদেনপক্ষে সস্তা দামের বাঁশের একটা বাঁশি।
গীটারের ছয়টা তারে আঙুল ছোঁয়ালেই দেখবি
অদৃশ্য এক জগত থেকে ছুটে এসেছে ছয়টা অপূর্ব ঋতু

#অসাধারন প্রিয় সুমাদ্রী ভাই, ছয় ঋতুই যেনো পেয়ে বসেছে সুন্দর কবিতাটির মাধ্যমে।

ভালবেসে ছুঁয়ে দিলে দেখবি বিষাদের সুরও হয়ে গেছে ঊচ্ছ্বল।

#ঠিক তাই, ভালবাসাই সব, সবকিছুকে মুহূর্তেই বদলে দিতে পারে। ভাল থাকুন সবসময় উত্তম জাঝা! বাঘের বাচ্চা

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ আশরাফ। ভাল থাকুন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ও আপনার মতো কবিতায় অপটু। আমাদের মতো কাব্যের কাঙ্গাল অথচ কাব্যের নিষ্ঠুরতার শিকার-দের জন্য নিবেদন।।।আর নিবেদক সরল কাব্যের একজন অনুসারী।।।

কবিতা tumi…
কার্পণ্য লাগে না ভাল ওই কোমল কান্তি রে
যেথা প্রেম ডাকে উদাত্ত আহবানে সমগ্র ধরণীরে
যেথা উঁচু স্বরে দীক্ষা চলে যন্ত্রমানবের পরে।
আমি ডেকেছিনু তোমায় চন্দ্রিমা সাথে অস্ফুট কাকলিতে
চেয়েছিনু পালকের মতো তুমি চুপটি করে বসো
রোল টানা কাগজের পরে ,
আর শব্দ গেঁথে দাও একটু একটু করে।
তুমি হেঁয়ালি আড়ালে হারালে খেয়ালের টানে।
ডেকেছিনু তোমায় প্রশস্ত দিবসের ছায়াহীন দ্বারে।।
সহজ নৈকট্যের সহজাত আশে।।
তুমি এলে গৃহমুখী গোধুলীরে পার হয়ে।
তোমার চপল তারা শুধু পেছনের পথ খোঁজে।
হয়ত ছিলে শঙ্কায় কি জানি কি ভুলে
অত্যুচ্চ মহিমা তুমি হারাও অকালে।
অথচ চাইনি আমি অসামান্যা কোনো সাধারণে ফাঁসি দিয়ে
তাই সরাইনি দৃষ্টি আমার সরাইনি নিজেরে
যেথা সুহাসীনী কাশবন অকারণ হাসে।
যেথা ঐশ্বর্যের ভার চুমে গগন উল্লাসে।।
চাইনি গুটিশুটি তুমি বিপুল চটুল ঢঙ্গে
চাইনি কঠিন চিঁড় তোমার মাশরুম অঙ্গে ।
অথবা ক্ষুরধার আঁকে তোমায় রক্তিম রঙে।।
চাইনি তা কোনদিন... কষ্মিন কালে।
কারণ চিনেছি ডানা তোমার বিহঙ্গ ছন্দে।
আর ওই আশাহত মুখ ধূলিহত অভিমানে।
গিয়েছি জেনে।।।।স...ব গিয়েছি জেনে ততদিনে.
তুমি মায়া নও বাস্তব কায়া সে কথাটি তাই নিয়েছি মনে।
তাই নিঃস্ব করে ভাসাই নি তোমায় জগত প্রবাহে।।
অথচ কি জানি কি ভয়ে নাকি রোষে
অসীম কৃপণ তুমি কিঞ্চিৎ দানে।।
তাই বারেবারে কর পলায়ন দ্বিধাহীন প্রাণে
এতটুকু না থেমে...

সুমাদ্রী এর ছবি

মন্তব্যের ঘরে না লিখে আপনার এই লেখাটি নীড়পাতায় পোস্ট করে দিলেই তো পারতেন ব্রাদার।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

তাই বুঝি দাদুভাই??
হো হো হো

মন মাঝি এর ছবি

চলুক উফ্‌, দারুন!

****************************************

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার টবের সবগুলো আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনাকে।।। সবগুলো পুদিনা এবং থানকুনি পাতাও আপনাকে
দেঁতো হাসি ও একটা মজার কথা আমার ক্ষুদে ভাইটি আপনার ভয়ানক ভক্ত হয়ে গেছে।আপনার ক্ষুদে ছবিখানা দেখা মাত্রই বলবে ' এই ছবিটা দাও তো! আমি দেখব'।
আমি তখন বলি 'না ভাইয়। এটা দেওয়া যায় না'।
হাসি

রংতুলি এর ছবি

আক্ষেপ! এজিবনে এগুলার একটাও হলোনা, হারমোনিয়াম টা শিখেছিলাম কিছুটা তাও বুঝি ভুলে গেছি এতদিনে! মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

হতেই হবে কোনকিছু এমন কোন বাধ্যবাধকতা তো নেই। নিজের ভাললাগার জন্যও শুরু করে দিতে পারেন। আর শুরু করাটা যেকোন সময়েই করা যায়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

বাণীব্রত এর ছবি

চমৎকার লাগলো বন্ধু।

বিশ্বাস করি গান আর সুর পৃথিবীর সব একাকীত্বকে শোষণ করে নিতে পারে।
এই তিনটা যন্ত্রের একটাকেও যদি চিরসখা করতে পারতাম!
রঙ-তুলিও হারিয়ে ফেলেছি সেই কবে; সঙ্গ দেয়ার আর কেউ রইলো না।

সুমাদ্রী এর ছবি

দেশ থেকে এইবার আসার সময় রঙ-তুলি নিইয়ে আসিস। অফুরন্ত সময়। আঁকার বিষয়েরও অভাব নেই। ইচ্ছেটাই আসল বন্ধু।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

কবিতা বুঝিনা কিন্তু শেষটা একটা ধাক্কা দিল।

ভালবাসা শব্দটার শক্তি এতটাই প্রবল যে
কতগুলো নিছক যন্ত্রও একদিন হয়ে ওঠে
চিরসখা, বন্ধুজন

কাক্কেশ্বর কুচকুচে

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিংবা বাঁশিটির ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দীর্ঘ চুম্বনে
যদি তুই জানিয়ে দিতে পারিস তোর প্রণয়াভিলাষ

খুব ভালো লেগেছে।।।

শিষবাজিয়েওলা না শিষবাজিয়ে? কোনটা সঠিক??

অতিথি লেখক এর ছবি

কিংবা বাঁশিটির ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দীর্ঘ চুম্বনে
যদি তুই জানিয়ে দিতে পারিস তোর প্রণয়াভিলাষ

খুব ভালো লেগেছে।।।

শিষবাজিয়েওলা না শিষবাজিয়ে? কোনটা সঠিক??

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার গুরু গুরু

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে কবিতাটা দশ এ তিন
চোখ টিপি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

পড়বার পর আবারো বিশ্বাস দৃঢ় হয় যে আনন্দের মৃত্যু নেই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।