প্রতিবার প্লেনে উঠতে গেলেই মুখোশটা খুলে ফেলি আমি,
তখন আর মনে মনেও বলিনা, ' মৃত্যুরে ডেকেছি আমি প্রিয়ের নাম ধরে '
ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার পর হঠাৎ করে আমি বুঝে ফেলি
স্বর্গ খুব একটা আহামরি জায়গা নয়, শীতল এবং নিঃসঙ্গ
তার চেয়ে ঢের ভাল আমাদের গ্রামের খেলার মাঠ এবং শহরের অলি-গলি
গ্রামে কিংবা শহরে মানুষের গল্প আছে, আছে কোলাহলের উষ্ণতা।
প্রতিবার প্লেন ছাড়বার আগমূহুর্তে আমি বুঝতে পারি
ঈশ্বরের চেয়েও অনেক বেশী কাছের আমার পিতা এবং মাতা
কেননা চোখ দুটো বন্ধ করলে তাদের আমি দেখতে পাই, ঈশ্বর নিরাকার।
বিমানের দিকে একটু একটু এগিয়ে যেতে যেতে আমি নিঃসংকোচে
স্বীকার করে ফেলি আমার সমস্ত অপরাধ, গোপন পাপ আর মিথ্যাচার
তখন কেবল ইচ্ছে করে লিখে ফেলতে একটা কবিতা কিংবা একটা চিঠি।
প্রতিবার প্লেনে উঠে অনেক উঁচু থেকে নীচের দিকে তাকালে মনে হয়
উপরে থাকাটা তেমন বৈচিত্র্যময় নয় যেমনটা সবার মনে হয়
নীচে থেকেই বরং টের পাওয়া যায় বস্তুর বিচিত্র গড়ন এবং রঙ
ছুঁয়ে দেখা যায় কফির পেয়ালা, চিনে নেয়া যায় মানুষের মন।
মন্তব্য
দারুণ লাগল
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
হাহাকার! হাহাকার!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হাহাহাহা!! কার? কার?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আমি কবিতার আবেগ আর জটিলতা বুঝি না তাই কখনও পড়া হত না। কিন্তু আপনার কবিতাগুলো এত বাস্ববতা্র বহির্প্রকাশ বলে মনে হয় যেন কবিতার প্রকাশিত অভিজ্ঞতাটা আমার নিজেরই।
ভাল থাকবেন সবসময়।
ইমা
লেখাটা তোমার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ভাল থেকো।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সুমাদ্রি দা, ভালো লাগলো বিশেষ করে আপনার থিম। ইদানীং আপনার কবিতা পাচ্ছি বেশ ভালোই । ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ। আপনার আসার সময় হয়ে গেল, ক্যামেরা কিনলেন?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
দাদা,আসার কথা মনে করিয়ে দিলেন? ক্যামেরা কেনা হয়নি এখনও ।
বাহ, বেশ তো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল'দা। কবির অনুপ্রেরণা-লোভী আমি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সুমাদ্রী দা,
দারুণ, গল্প দেন পারলে একখান।
অঃ টঃ আপনি কি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন?
নির্ঝরা শ্রাবণ
সচলে এত অসাধারণ গল্পকার সব। আমি তো গল্প পড়েই যেতে চাই। হুম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দশটা বছর কেড়ে নিয়েছে। সময় ১৯৯৯-২০০৯।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনার একদম নিজস্ব একটা ধরণ আছে, ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাবনাগুলোকে লিখে ফেলতে চাই। শব্দগুলো দিয়ে ছবি আঁকতে চাই। কী যে আদতে সেটা হয়ে দাঁড়ায় জানিনা।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বরং তার চেয়ে আপনার এই গদ্য কবিতাই (তাইতো, না কি ? আমি আবার অতশত বুঝিনা) বেশ।
হাহা। অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ভাল লাগল ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ অনিন্দ্য ভাই। ঐ বৃত্তগুলোর ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম, তখন দেখলাম বোবা হয়ে গেছি। তাই নিজের পথেই হাঁটা শুরু করলাম আবার।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ভাল লাগল।
এখন থেকে প্রতিবার প্লেন এ ঊঠার সময় মনে হতে থাকবে - কবিতার লাইন মনে হয়ত হবেনা কিন্তু ভাবটা মাথায় থাকবে আর মনে পড়বে সুমাদ্রীর লেখা একটা কবিতা পড়েছিলাম
হাহা। ভাল থাকবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
চমৎকার
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাই।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সুন্দর......
--- ঠুটা বাইগা
ধন্যবাদ। আপনার নিকটা কোন ভাষার?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বাইগা সম্ভবত কোন একটি আদিবাসীর নাম, এবং পদবী হিসেবেও তারা ব্যবহার করে। ঠুটা'র কোন অর্থ আছে কিনা জানা নেই। এই নামটি একটি বইএর আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্রের। সম্ভবত সবচেয়ে প্রিয়।
--- ঠুটা বাইগা
"নীচে থেকেই বরং টের পাওয়া যায় বস্তুর বিচিত্র গড়ন এবং রঙ
ছুঁয়ে দেখা যায় কফির পেয়ালা, চিনে নেয়া যায় মানুষের মন।"
অসাধারণ লাগলো, সুমাদ্রী।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুল আপা। অনেক দিন পর।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
খুবই ভালো লেগেছে!
ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
অসাধারন লাগল।
চমৎকার।
ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
অনেক ভালো লেগেছে । এইরকম কবিতা নিয়মিত চাই।
ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বাহ্- চমৎকার... দারুণ লেগেছে...
ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বাহ, বেশ লাগল।
facebook
ধন্যবাদ অনু ভাই।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
দারুণ হয়েছে।
অনুভূতির নান্দনিক প্রকাশ!
ধন্যবাদ দোস্ত।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
প্রতিবার ঘুমাতে জাবার আগে মনে হয় নিজের খুব কাছে আমি
প্রতিবার ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হয় আসলে নিজ থেকে দূরে আমি
প্রতিবার শিকারে যাবার আগে মনে হয় খুব নিষ্ঠুর আমি
কিন্তু রক্তাক্ত পাখির রক্ত দেখে মনে হয় খুব নিরীহ আমি
আসুন আমরা শিকার না করি
শিকার করা ভাল না...হা হা
খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
অনেক ভালো লাগলো সুমাদ্রীদা।
কিন্তু আপনি প্লেনে কেম্নে উঠলেন? ছোট মানুষ!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
নতুন মন্তব্য করুন