খুব ক্ষোভ থেকে কয়েকটা কথা লিখছি। কষ্ট থেকেই লিখছি বলা উচিত। এ লেখার কোন দাম নেই। গুরুত্বহীন এ লেখা। তবু লিখছি আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা বলেই।
জন্ম হয়েছে আমার মানুষ হিসেবে। আমাকে দেখতে কুকুরের মত বা শুয়োরের মত লাগেনা। আমার জন্ম আমি নিজে নির্ধারণ করিনি। ও সুযোগ থাকলে হয়তো দ্বিতীয়বার ভাবতাম আসলেই জন্ম নেব কিনা পৃথিবীতে। পিতা-মাতা যেভাবে বড় করে তুলেছেন, যে নাম আমার গায়ে সাঁটিয়েছেন, যে ভাষা আমার মুখে তুলে দিয়েছেন, যে ধর্মীয় পরিমন্ডল আমার জন্য তৈরী করেছেন তার কোনটাই আমি নিজে পছন্দ করে নিইনি। অথচ আজ মানতে না চাইলেও আমি নির্মলেন্দুর ছেলে অমলেন্দু, আমি হিন্দুর ছেলে হিন্দু। অথচ গলা ফাটিয়ে বলতে চাই আমি একটা মানুষ, আমি কুত্তার বাচ্চা বা শুয়োর নই।
বাংলাদেশে একটা ঘোরতর মিথ্যা প্রচলিত। এদেশে নাকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। দাঙ্গা জিনিসটা দ্বিপাক্ষিক। দু'দল দু'দলকেই মারে-কাটে। অথচ এ দেশে এরকম খেলাটা হয়না। এখানে যেটা সব সময়ই হয় তা হল দূর্বলের উপর সবলের অন্যায়, পরিকল্পিত আক্রমণ। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের লেবাস পরিহিত দুর্বৃত্তদের নির্যাতন। আমার অল্প বয়স। ত্রিশের কোঠায়। আমি এর মধ্যেই বহুবার দেখেছি এরকম নির্যাতন। ৯০ এর দশক থেকেই দেখছি। বারবার শুনছি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হল চট্টগ্রামে। বাঁশখালিতে। খুলনায়। শ্রীমঙ্গলে। অথচ দাঙ্গায় শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হয় মন্দিরগুলো। হিন্দু মা'টিই মানবতার দোহাই পেড়ে বলে, ' বাবারা, আমার মাইয়াটা ছোট, তোমরা একজন একজন কইরা আস।' হিন্দু লোকটির দোকানটিই আগুনে ছাই হয়ে যায়। এটা তো দাঙ্গা নয়।
মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমিও আসলে একজন সংখ্যালঘু। প্রায়শঃই বোকার হদ্দের মত নিজেকে মানুষ ভেবে আপন মনে কাজ করে যাই। হঠাৎ করে যখন কেউ বলে উঠে,' আপনার নামটা খুব ইন্টারেস্টিং?' ' দাদা'র বাড়ি কি আসলেই বাংলাদেশে?' তখন মনে হয়, নাহ আমি আসলেই নির্বোধদের স্বর্গে বাস করছি। আমি তো আসলে মানুষই নই। আমি শালার একটা হিন্দু। আমি একটা সংখ্যালঘু। নিজেকে মানুষ ভাবাটা এ দেশে একটা অন্যায়।
মন্তব্য
এভাবেই হয়ত একদিন বাংলাদেশ পরিণত হবে বাংলাস্তানে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি একজন সংখ্যালুঘু। জগ্ননাথ হলের ছাত্র হয়েও সিট সমস্যার কারণে দুই বছর ধরে একটি মুসলিম হলে আছি। যখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্প্রদায়ের বিহার পোড়ানো হচ্ছে, মা বারে বারে ফোন দিয়ে জানতে চাচ্ছে আমি কেমন আছি। আমার মায়ের এই আশঙ্কা অমূলক নয়। কারণ আমি যে সংখ্যালুঘু।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অভিজ্ঞতাটার কথা শুনে কষ্ট লাগলো খুব। পাশাপাশি এটাও মনে হচ্ছে, আপনার লেখাটার মতই, এটা ধর্মীয় বৈষম্যের চেয়েও বেশি সদৃশ দুর্বলের উপরে সবলের অত্যাচারের। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশ নানাভাবে অত্যাচারিত, ব্যক্তিভেদে অত্যাচারের ধরণ বদলায় মাত্র।
আমরা পশুদের দেশে বাস করি
বাংলাদেশে একটা নয়, প্রচুর মিথ্যা প্রচলিত। বাঙ্গালিরা নাকি শান্তিপ্রিয় - এটা যে কতবড় মিথ্যা !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
দিন দিন আমরা যে কোথায় যাচ্ছি আর কোথায় গিয়ে যে শেষ পর্যন্ত দাঁড়াবো সেই শঙ্কায় আছি।
অতি সত্যি কথা
আমার এক বন্ধু চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে গেছে।
প্রথম প্রশ্নঃ আদাব দিলা কেন? তুমি তো হিন্দু ।
উঃ আমি তো স্কুল থেকেই এমন দিচ্ছি, কই কেউ তো কিছু বলে নি?
ভার্সিটি তে কিছু অন্যায় দেখলে মুখ দিয়ে প্রতিবাদ আসে কারণ কিছু মুসলমান বন্ধু আছে যারা ভাইয়ের চেয়েও বেশী। কিন্তু এলাকায় সে সাহস ও পাই না ।
ওরা মানুষ না, ওরা যে দেশের সাচ্চা নাগরিক বলে গর্ব করে, সে দেশ আমার দেশ না।
facebook
কি বলব? নিজের উপর ঘেন্না হয়
টক শোতে শুনি বাংলাদেশ নাকি অসাম্প্রদায়িক দেশ। মাথা চুলকাই।
এরকম ঘটনা দেখলে বুকের ভিতর রক্তক্ষরণ হয়। কিছু করতে না পারার কষ্ট। শুভশক্তি দিন দিন মৌলবাদের কাছে পরাজিত হচ্ছে। আমারা কেন মুখবুজে সব সহ্য করে যাচ্ছি??????????????
ফাক দিস। আমার আর সহ্য হচ্ছে না! রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে শুওরের বাচ্চাগুলোকে ধরে একেকটারে ফায়ারিং স্কোয়াডে মারা দরকার। দমাতে না পারলে আফগানিস্থান বানিয়েই ছাড়বে এরা দেশটাকে। মিডিয়ার মুখে কুলুপ - আমলিগ, বিএনপি নিশ্চুপ, তারা রাজনীতি রাজনীতি খেলে। নিজের নামটাই পাল্টিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে। কেন যেন মনে হচ্ছে আমার আর দেশে কোনদিন ফেরাই হবে না
এই দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল চল্লিশের দশকে। ৪৮ এর পর যা হয়েছে তার প্রায় সবটাই সংখ্যালঘু নির্যাতন!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার জন্য খারাপ লাগছেনা বরঞ্চ খুব লজ্জা আর সংকোচ লাগছে । মন খারাপ করবেন না, আমরা সবাই বাঙালি, একটা পরিবার । পরিবারের ভেতর সমস্যা থাকটা অসাভাবিক না । সেক্ষেত্রে সবাই এক হয়ে সংশোধন করার চেষ্টা করতে হয় । আজকের অত্যাধুনিক রাষ্ট্র আমেরিকাতেও একসময় সংখ্যালঘু নির্যাতন হত কিন্তু আজকে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে । সকলের আন্তরিক চেষ্টা আর কিছু মহান ত্যাগের ফলেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছিল । আমরা কেউ কিন্তু থেমে নেই, সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করছে এবং প্রতিবাদীদের সংখ্যা অনেক বেশি । যেমন আমি কখনো সচলে লেখিনা কিন্তু আজ লিখছি । একদিন আমাদের দেশটাতেও সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ থাকবেনা, আমি আশাবাদী ।
ফাহাদ ভাই
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা খুবই ভয়াবহ। তথাগত মডারেটরাও এসব নির্যাতনের পক্ষে মৌন বা সবাক সমর্থন দিয়ে যান। কারণ হিসেবে ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। কেন আমাদের দেশের পরিস্থিতির জাস্টিফিকেশন হিসেবে অন্য একটি দেশের উদাহরণ টানা হবে? ভারতে দাঙ্গা হয়, গুজরাতে এক তরফা মুসলিম নির্যাতনও হয়েছিল। তবু কিন্তু ভারতে মুসলমান রাষ্ট্রপতি হয়! সেটা কিন্তু আমরা অনুসরণ করি না। আমার বন্ধু ছিল ভারতীয় মুসলমান আজহার। সেই মেধাবী ছেলেটি বলেছিল, ভারতের মুসলমানরা তুলনামূলকভাবে তোদের হিন্দুদের চেয়ে ভালো আছে। যদিও আমি জানি পৃথিবীর কোত্থাও সংখ্যালঘুরা ভালো নেই। তার মধ্যে যারা আবার মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন তারা তো সংখ্যালঘুদেরও সংখ্যালঘু!
নির্ঝর অলয়
বাংলাদেশে একটা নয়, প্রচুর মিথ্যা প্রচলিত। বাঙ্গালিরা নাকি শান্তিপ্রিয় - এটা যে কতবড় মিথ্যা !!!!!!!
বুনো পথিক
আপনার শেষ কথাগুলো শেলের মতো বিঁধল, কোথা থেকে এক তীব্র অপরাধ-বোধ জেগে উঠল মনে, হঠাৎই মনে হল, কই, আমিও তো মানুষ নই, একটা মুসলমান মাত্র। মানুষ হলে অন্তত মুখটা খোলার সাহস পেতাম। আমরা মুসলমান বলেই কিছু মুসলমানের নৃশংস উন্মাদনা আমোদে দেখে যেতে পারি! নির্বাক শুনে যেতে পারি, ''একদম ঠিক কাজ হইছে। শালারা কক্সবাজারের সব মানুষ বৌদ্ধ বানাইয়া ফালাইত।'' মানুষ হলে কি পারতাম?
৯০' এর দশকে আমি নিজের চোখে দেখেছি, কিভাবে এক ধর্মনেতা ঘোষনা দিয়ে মুসল্লিদের নিয়ে নেমে পড়েছিলেন রাস্তায়, মন্দিরে আগুন দিয়ে মেতে উঠেছিলেন নারকিয় উল্লাসে। বলা হয়, বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। হয়ত উন্নতি হয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে বেড়েছে ধর্ম-কেন্দ্রিক অ-সহিষ্ণুতা আর ফ্যাসিজম, মৌলবাদী মননের উন্মেষ ঘটেছে প্রায় জ্যামিতিক হারে (এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, ভুলও হতে পারে)। ছোটবেলায় যাদেরকে 'লাল সালু'র মজিদকে নিয়ে উপহাস করতে দেখেছি, এখন তাদেরকেই বলতে শুনি, 'লাল সালু' উপন্যাস নাকি পাঠ্য করা হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম বিদ্বেষ গড়ে তোলার জন্য। তারা তখন বুঝতে পারে নাই, কিন্তু ধর্মীয় গুরুদের সঠিক শিক্ষায় তারা নাকি এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে এখন সম্যক সচেতন! আগে নাকি বাইরের দুনিয়ার খবর পাওয়া যেত না, এখন মিডিয়ার দৌলতে আমাদের দেশের অনেক মানুষ নাকি দুনিয়ার খবরাখবর অনেক বেশি জানতে পারছে আর বুঝতে পারছে যে, তাদের ধর্মকে বিলীন করে দেয়ার জন্য দুনিয়াব্যাপি এক সর্বধর্মীয় ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্মগুরুরা এমনটাই প্রচার করছেন আর আহবান জানাচ্ছেন রক্তস্নাত তাজা বিদ্রোহের, আর সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হল, অনেক উচ্চশিক্ষিত লোক সেই বিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে মাঠেও নেমে পড়ছেন।
'' অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া জানেনা সন্তরণ
কান্ডারি আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি-পণ
''হিন্দু না ওরা মুসলিম'' ওই জিজ্ঞাসে কোন জন ? ''
---নজরুল
ডাকঘর | ছবিঘর
পাহাড় ও সমতলে বিরাজ করছে নিভেৃজাল শান্তি, উজানে ভাটিতে সর্বত্র শান্তি আর শান্তি। কোনও ব্যাত্যয় নেই। সাম্প্রদায়িকতা? সে আবার কি? ওটা এখনও যায়নি তাহলে? তাহলেতো নামতেই হয় আবার, ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে। কোথায়? পাহাড় না সমতলে? কোন কোন সম্প্রদায় টিকে আছে বল দেখি? একটা হিসেবতো করতে হবে।
লজ্জা পেয়ে লাভ কি? এই দেশেইতো এই কিছুদিন আগে (৫-৬ বছর) জেহাদি জোশে স্লোগান হয়েছে “আমরা সবাই তালেবান---”। তখনো আমরা লজ্জা পেয়েছি, মুখ লুকিয়েছি, চায়ের কাপে ঝড় তুলেছি, তারপর ভুলে গেছি। এটাই নিয়ম। আর ওরা চর্চা করেছে, সংঘটিত হয়েছে তারপর দল ভারি করে আবার আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দু একটা আঘাত হচ্ছে আর আমরা সহনশীল শান্তিপ্রিয় মোড়কে মাথা নিচু করে আর লজ্জা পেয়ে কর্তব্য সেরে নিচ্ছি। সেই একই পৌনপুনিকতা।
এর চেয়ে চর্চা আর মাঠের প্রতিবাদ অনেক বেশি জরুরি। জরুরি সামনে দাঁড়ানো। আমরা কতজন এটা করছি? চর্চাকে ব্যাক্তিগত, আর মাঠকে দুবৃত্তদের দখলে ছেড়ে দিয়ে পরিচিতদের মাঝে শুধু ক্ষোভের অপচয় ছাড়া আর কি কিরেছি আমরা? আর কিছু না পারি চিৎকারতো করতে পারি। আহ্ বলে একটা সুতীব্র অস্ত্রতো ছুঁড়ে দিতে পারি। ক্ষোভটাকে সংগোপন শ্বাস হতে না দিয়ে বরং খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে আহ্ বলে একবার চিৎকার দেই। বলা যায় না মিলিত ফুৎকারে একদিন সব গুড়িয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ঘটনার মধ্য দিয়ে মুসলিমরা আরও একবার প্রমান করল - 'ইসলাম শান্তির ধর্ম' আর 'মুসলমানরা শান্তিকামী' !
ভাই, আপনারা সবাই রোহিঙ্গা হয়ে যান। এইদেশের সুশীল শিক্ষিত সমাজের মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের দুক্ষে নাকের জল পশ্চাতের জলে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। শালার এমন দেশে আছি, এমন সব লোকজন চারপাশে দেখি যাদের কক্সবাজারে চলমান সন্ত্রাস সম্পর্কে কোনও মাথাব্যাথা নাই, সবাই আজকে বাপের দেশ ফাকিস্তানের খেলা আর সেমিতে ওঠা নিয়ে টেনশন করে উপর নিচ দু'জায়গারই চুল ফেলতেছে
২৫ নাম্বার মন্তব্যটা আমার নাম লিখতে ভুলে গেছি। আর মন্তব্য করতে সমস্যা হচ্ছে। ওয়ার্ড ভেরিফিকেশন চায়, কিন্তু কিছু দেখি না। কেউ জানলে বলবেন?
স্বয়ম
"ডান্ডি পোট্টাস... শালা মালাউন...."
"তর বাপেরে বল জমি জমা আমার নামে লিখে দিয়ে যেন যাযগা...."
"কিসের বাকী টাকা, আমাদের টাকা নিয়ে ইন্ডিয়াতে ব্যাংকে জমাস, শালা মালাউন"
এতো ছোট বেলা থেকেই শুনে বড় হচ্ছি... এটাকে সাভাবিক বলেই ধরে নিয়েছি আমরা....
নতুন মন্তব্য করুন