পোস্টম্যানটিকে কেউ চিঠি লিখে নি কখনও,
কত কত মানুষের হাতে দিয়ে গেছে সে পরম আকাঙ্খিত হলুদ খাম, পোস্টকার্ড;
দূর মরুভূমির রোদের গল্প কিংবা সফেদ বরফের ছবি
অভিমান, স্নেহ, বিরহ, ভালবাসা - ভুল বানানে লেখা অল্প কথার চিঠি।
পোস্টম্যানের বাড়ির কোন ঠিকানা যেন নেই।
ফুল নিয়ে ছুটে আসে যে কাল মেয়েটি রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লে
কতদিন লাল গোলাপ আর কদম কিনে নিয়ে গেছে প্রেমিকের দল
প্রেয়সীর অমূল্য হাসি কিনে নেয় দু'টাকার ফুল বসন্তে-বর্ষায়;
কাল মেয়েটির খোঁপায় কেউ গুঁজে দেয়না কখনো
শুভ্র শেফালির মালা ভালবাসার নামে।
এই গভীর বৃষ্টির রাতে হঠাৎ করেই আমার
খুব পেতে ইচ্ছে হয় দু'পৃষ্ঠার একটা চিঠি
মাঝখানে ছড়ানো অচেনা কোন ফুলের সুগন্ধি পাপড়ি।
মন্তব্য
না রে ভাই, পোস্টম্যানও চিঠি পায় - প্রমোশনের চিঠি, ভাতিজার ইসকুলের বই কেনার জইন্য ট্যাহার অনুরোধ-এর চিঠি, বৌ-এর বাপের বাড়ির থিক্যা ছ্যানা হওয়ার চিঠি - চিঠির অভাব কি! আর সবচেয়ে খলিফা হইতাসে তার সাথে বিয়া না বইতে পারা তার পরকীয়া প্রেমিকা, তার দিল-কা-চান্দ! সে ত তারে নিশচিন্তে চিঠি পাঠায় - জানে, অই চিঠি ভুল হাতে পড়নের কুন-ই চান্স নাই! তয় আইজকালকার পোস্টম্যান তো, বুকের ভিতর সব সময় একটা কেমন জানি ভাব খেলা করে - মনে লয় তেমন-তেমন একটা চিঠি আজো পাওয়া হইল না! এতে দোষের কিছু নাই, বরং ভালোই! এই ধরেন, কোনো ভাল কবির সাথে ঠিকমত আলাপ-সালাপ লাগাইতে পারলে, সেই কবি ঝুম বৃষ্টির রাতে মনটা যখন উলুস-ঝুলুস, চমৎকার একটা কবিতা হাসিল কইরা ফালাইতে পারে, যেমন, আফনের এই কবিতা!
আর আফনেরা কবিরা পারেন-ও বটে! খোঁপায় শেফালি ফুলের মালা! কে জানে, হইতেও পারে। আমি কিন্তু বেলফুলটাই চয়েস দিই। এ বাদে আর একটা কথা চুপে-চাপে কই - আমার মত কালা-কুলা, ছিরিছাঁদহীন মাইনষের কাছে কুন খোঁপা যদি জোটে, আর সে যদি অনুমতি দ্যায় - থাউক গা, কবিতা ভালা হইসে এইটাই আসল কথা, বাকি প্যাঁচাল ফিক্কা ফালায় দিয়েন, মনে নিবনা কিসু।
পরের কবিতার অপেক্ষায় থাকলাম
***
একলহমা
এর দুঃখের কথা জানবে না কেউ, শহরে ও গ্রামে/ এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই, কালো রাত্রির খামে...
আইচ্ছা, ঠিকানাটা জানিয়েন। চিঠি একটা নাহয় পাঠাবো ফুলের পাপড়ি ইত্যাদি দিয়ে। তবে প্রমপত্র হয়তো হবেনা কিন্তু তাতে ভালবাসার কমতি থাকবেনা।
হথাৎ কি হইলো দাদা।
দুই পৃষ্ঠা!
কী সুন্দর প্রতিটা শব্দের বুনোন !
মোহময় কবিতা ♥
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
facebook
বাহ, ভালো লাগল কবিতাটা, বিশেষ করে শুরুর অংশটুকু।
আমার লেখা দীর্ঘতম চিঠি হলো ২২ পৃষ্ঠার।
নতুন মন্তব্য করুন