১৯৯৯। নিবাস ছিল মীর মশাররফ হোসেন হলের ১০২/বি। মাথা ভর্তি নানারকম আজগুবি চিন্তাভাবনা। প্রাক্সিসে নানারকম প্রগতিশীলতার অভিনয়। কবিতা লেখারও। যা লিখতাম কবি-পাঠক প্রথম দর্শনে টাস্কি খাইতেন। প্রতিক্রিয়ায় বুঝতে পারতাম তাদের মতে ওগুলো ঠিক কবিতাও নয় গদ্যও নয় অন্য কোন কিছু। তো সেই অন্য কিছুর কপালে ছোট-বড় কোন কাগজেই জায়গা জুটতো না। এলোমেলো পড়ে থাকতো নিজের আর বিভিন্ন বন্ধুবান্ধবের খাতায়। খাতার পেছনের পাতায়। যারা সত্যিই ভালো লিখতেন তারাও একই কাজ করতেন। সেই ভরসাতেই অভিনয়ে স্বস্তি পেতাম।
ফারুক ওয়াসিফের সাথে সে সময় ঘুর ঘুর করতাম। সাধুসঙ্গে সিদ্ধিলাভের আশায়। লাভ হতো। তবে বেশী না। একবেলা ছ্যাঁচাঘুমেই আগের দিনের সিদ্ধি উবে যেত। পরদিন আবার ছুটতাম কলাভবন কিংবা ভাসানীতে। সিদ্ধিগুলো ধরে রাখতে পারলে অ্যাদ্দিনে বোধিসত্ব লাভ হতো।
সে যাক। সেই কল্কিও নাই, সেই তমাকও নাই। লেকে কচুরিপানার উত্তর প্রজন্ম। যে কথা বলতে লেখা শুরু করেছিলাম সেটাই ভুলতে শুরু করেছি। ক্রমশ শুরুর দিকেই সরে যাচ্ছি। ১৯৯৯এর মার্চের শুরুতে এক সকালে ফারুকের সাথে দেখা ক্যাফেটেরিয়ায়। চোখমুখ রীতিমতো উজ্জ্বল। বললো, বগুড়া যাচ্ছি। মাসখানেক পরে ফিরবো। খাতাটা টেনে নিয়ে দেখলাম পেছনের পাতায় বছর খানেক ধরে লিখতে থাকা দীর্ঘ কবিতা আরও কিছুদূর হিজিবিজি এগিয়েছে। ঠিক পাঠোদ্ধার করা গেলো না। উপসংহারে লিখে দিলাম গতরাতের সিদ্ধি :
টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কি?
ভদ্রলোক মাস দেড়েক পরে ক্যাম্পাসে ফিরে বললেন, ঠিকাছে।
মন্তব্য
ধারাবাহিক করবানি এইটারে?
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
ধারাবাহিক করতে গেলে সিকোয়েন্স রাখা লাগে। তাই ধরাবাহিকে যামু না। স্মৃতিতে গুতা দিলে লিখুম।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
হুমম...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
পরবর্তীতে সেই দীর্ঘ কবিতার কিছু হয়েছিল?
অন্য স্বর নামে একটা ছোটকাগজে ছাপা হয়েছিল যতদূর মনে পড়ে।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ফারুক ওয়াসিফ দেড় মাস ক্যাম্পাসে ছিল না, এটাও বিশ্বাস করতে হবে?
১৯৯৮-৯৯ সালে একবার অবশ্য পারিবারিক ঝামেলায় পড়ে ফারুককে মাঝে মাঝে বগুড়া যেতে হতো, আমি নিজেও সেই সময় একবার তার বগুড়ার বাড়ি গিয়েছিলাম, কিন্তু তার পরেও দেড় মাস?
কাভি নেহি!
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
কি জানি দেড়মাসের কমও হৈতারে । বুড়া হৈতাছি তো। স্মৃতিভ্রম হৈতেই পারে।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
কি বলেন? অন্য স্বর?
যদিও সব কাজই বান্না করেছিল, তথাপি অন্য স্বরের সম্পাদকের নাম ছিল রায়হান রাইন, আর সহযোগীদের দীর্ঘতালিকায় তো আমার নাম-ও ছিল।
আপনার দীর্ঘ কবিতা তাহলে হয়তো আমার কাছেই পাওয়া যাবে।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
কবিতাটা আমার না। ফারুকের। অন্য স্বরেই ছিল। নাম জলেশ্বরী ঘাটে রাত। ঐটার খসড়া যেই খাতায় ছিল ,ভদ্রলোক সেই খাতা লগে নিয়া ঘুরতো।
আর কোন তথ্যপ্রমাদ আছে কিনা দেখো।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আমাগো সিন কুনসুম আইব?
খালি ফারুগ নফলরে নিয়া থাকলেই অবো?
বি.দ্র: আমার সিনে এট্টু কালাট বেশি দিউ।
দিমু।
এইটা হইলো শিরোনামের ইতিহাস।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
যূথচারির কেমনে কি ? লেখে না ক্যান ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ও রে! এটিই তো সৃষ্টি রহস্যের মূল জিজ্ঞাস্য!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
"বাবুই পাখির বাসা সঙ্গে নিয়ে ব্রহ্মদেশে চলেছিল একটি কিশোরী...
এমন সবার হয়, সবার শৈশবই এ প্রকার"
স্মৃতিময়। আরো চলুক।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
শুক্রিয়া....
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
লেখা ভাল লাগছে। মাউস টিপে লিখতে বড্ড ঝামেলা।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সেসময়ে আমার একখান খাতাই ছিল। স্কুলের ছাত্রের মতো অঙ্ক খাতা, বিজ্ঞান খাতা ঐসব ছিল না। কবিতার জন্যও আলাদা করা খাতা ছিল না। সেই এক খাতাতেই ক্লাস নোট মায় লিফলেট ইত্যাদি চলতো। মনে আছে শাহনাওয়াজ স্যারের ক্লাসে প্রত্নতত্ত্ব নিয়া একখানা কবিতা ওই খাতাতেই লিখছিলাম। রাত্রে বেলা টেবিল ল্যাম্প ছাদের দিকে ফুকাস করে সেই আলোর সুড়ঙ্গমুখে সেই খাতা চাপা দিয়া আভা বানাইতাম। বিছানায় শুয়ে পড়তাম সেই আলোয়।
তো সুমন সেই খাতা ছুঁইবার কয়দিন পরের কথা। রাতে সেভাবেই সেই খাতা চাপাইছি ল্যাম্পের মুখে। সেদিন রুমে কেউ ছিল না। অনেক রাতে মাথার কাছে দেখি কুণ্ড জ্বলে। নিভাইলে পাইলাম ছাই। সেই থাইকা আমার খাতা নাই। তবে সুমনের স্মৃতি আছে। বড়শির মুখে ওরে বইসা থাকতে দেখছিলাম। বুঝলাম আজো নামে নাই, আজো ছাড়ে নাই।
স্মৃতির মাছ বিরাট পিছলা। আমার সেই চাই তোমার কাজে লাগতে পারে।
::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ছাই মাইখাই তো বাইচা আছি....
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
খুউব খিয়াল করতে না বললে, এই কাহিনী ধরতে খবরাছিল।
ফারুক ওয়াসিফ সম্পর্কে আমি যা জানি, তা আর বিবেচ্য নয়, লেখাটা তার টেক্সুয়াল সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। থামাইও না, আরো কিছু টোকাটুকি হোব।
''''''''''''''''''''''''''''''''''
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ঠিকাছে
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- আমার যে কী হৈলো, পড়ি সেক্সুয়াল। চোখমুখ কচলাইয়া দেখি নাহ, টেক্সুয়াল!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কচলাইলেতো পরিস্কার হইবোই
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন