বহুদিন থিকাই একটা বিষয় মাথা ঘুরতেছে। বহুদিন মানে প্রায় বছর পনের। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ছাত্রদের মধ্যে বিশেষ কইরা বিশেষ ভালো ছাত্রদের মধ্যে অন্ধবিশ্বাসের প্রবণতা ..সোজা কথা অলৌকিক বিশ্বাসের প্রবণতা বেশী। আমার নিজের দেখায় বেশ কিছু জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক আছেন যারা বিবর্তন মানেন না এবং তার এনকাউন্টারে মরিস বুকাইলি-হারুণ ইয়াহিয়া স্ট্যান্ডার্ডের যুক্তি ব্যবহার করেন।
আমার প্রশ্ন হইল সমস্যাটা আসলে কোথায় হইতেছে? কী কারণে বোর্ড-বিশ্ববিদ্যালয় কাঁপানো ছাত্ররা গণিতে সিদ্ধহস্ত হৈয়াও তার ইনার লজিক ধরতে পারতেছে না। কেন জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি কৈরাও কোষের বিবর্তন বা প্রজাতির জন্মের মতো বিষয়গুলার অর্থ ধরতে পারতেছে না?
শিক্ষার ত্রুটি? নাকি আসলেই ভুতাছে? এই বিষয়ে অনেক দিন আগে একবার আলাপ হইছিল উৎসর সাথে। ওরে দেখিনা অনেকদিন। যাই হোক সবাই মত দেন। বিষয়টা সিরিয়াস।
মন্তব্য
তাতো বটেই। তবে জিনিসটা বিশেষ কইরা গুডবয়দের মধ্যেই বেশী কইরা দেখা দেয় ক্যান সেইটা এক্টা প্রশ্ন...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
গুড বয়রা ছোটকাল থিকাই এ্যাম্বিশাস থাকে । এই এ্যাম্বিশনরে আয়ত্বে আনতে তারা কিছুরে আকড়ায় ধরতে চায় । এইটা তাদের পায়ের নিচে সর্ট অফ মাটির যোগান দেয় । সেই মাটির গাথুনী যাতে নরম না হয়ে যায় সেজন্য পরীক্ষা নামের ক্রান্তিকালে কোন ওয়াক্ত নামাজই মিস যাইতে দেয় না তারা । জাবির মসজিদেও একই জিনিস দেখা যাইতো ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি একমত খুবই সিরিয়াস।
আপাতত: হাসান মোরশেদের মত নিরপেক্ষ থাইকা খেলি।
ভূত মনে লয় আছে। আর শিক্ষার ত্রুটিতো অবশ্যই।
সংস্কৃতি ছাড়া শিক্ষা।
শিক্ষা তো আর শুধু বিদ্যানিকেতন থাইকা পায় না ছাত্ররা।
আঙুরলতার মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে। পরিবেশ প্রতিবেশের শিক্ষার সামাজিক জোরও আছে। ইস্কুল তো সার্টিফিকেট দেয়, চাকরি দেয় না বেতন দেয় না।
ভূত নিশ্চয়ই আছে। কারণ ভূত যে নাই সেই কথা তো কেউ জোর কইরা কয় না। আর স্কুলের কালাম স্যার কইলে কি অইবো। হেডমাওলানা কয় হেগো লগে এমুন ছাত্রও মদরাসায় আছিলো যে খাট থাইকা হাত বাড়াইয়া লাইটের সুইচ অফ করতে পারতো। জ্বিনের বংশধর। এক কালাম স্যাররে বিশ্বাস করুম কেমনে। চা দোকানদার নিজের চক্ষে ভূত দেখার যে গল্প কইলো। আর দারোয়ান বইলা গফুরের কথা তো আর ফেলায়া দিতে পারি না। ওরে তো পরীরা শুন্যে উড়াইয়া পরীস্থানে নিয়া গেছিলো। তিনদিন পর ফেরত দিয়া গেছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
পাশের বাসার সাহেদের নানী চুল প্যাচানি দেখছে ...সেই পেত্নি তার কাছে ইলিশ মাছ খাইতে চাইছে....চান্দে যেমন যিশু নীল আর্মস্ট্রং এর কাছে বিড়ি চাইছিল...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
বোজ্লাম্না
আরে ভুত আছে নাইলে
ছ্যাঙ্গা থেইকা বড়জোড় কদম ফুল হইতারে
প্রজাপতি হইবো ক্যান?
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
যুক্তিভিত্তিক চিন্তা ভাবনার জন্য ভালো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকতে হবে এমনতো কোন কথা নেই!
আবার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেই একজন মানুষ মুক্তভাবে চিন্তা করতে সক্ষম হবে এটা ভেবে নেয়ার ও কোন যৌক্তিকতা নেই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- ডিজিটাল ফোরট্রেস, হাতে নিছি মোটে। হেরপর লমু ডিসেপশন পয়েন্ট।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@ ধুসর গোধূলি
ইমানে কই ড্যান ব্রাউনের মোস্ট ভুয়া বই ঐ ২টা।
পইড়া মেজাজ বিগরাইয়া গেছে।
তবে আমি বরাবর ভুতের পক্ষে স্বয়ং নবুয়ত-প্রাপ্ত,বিশ্বাস না হইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
- ভূয়া দিয়াই যাত্রা শুরু করুম সুজন্দা। ভূতের কথা কইয়া লাভ নাই। আমি ভূত চাষ করি। ভূতের খামার আছে আমার। বিশ্বাস না হইলে রমাকান্তকামাররে জিগান।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর। ওইযে আ্যম্বিসনের কথাটা কইল না হাসিব? ওইটাই সব। বাই হুক অর ক্রুক কিছু পাইতে খুটি ধরা লাগে।
আর ধরেন আমার মত তর্কবাজ ভালমানুষ সাজা লোক ওইদিন লিডিল থেইকা ৬ ঠোঙা দুধ কিনলাম বাইরে আইসা দেখি একটার দাম নিছে। অনেক চিন্তা করলাম আবার বেটির কাছে যামু কিনা; দেশে ওইরকম পরিস্থিতে কি করতাম;আবার গেলে যদি কয় আমি ইচ্ছা কইরা ৫টা ঠোঙা কাউন্টারে না রাইখা ট্রলিতে রাখছি (আমি কিন্তু বেটিরে কইছিলাম)। এমন অবস্থায় উদ্ধার করল বউ। সে কইল দাম দিয়া আস আমি চিন্তা করা বাদ দিয়া -পে কইরা আসলাম। ওইযে খুটির কথা কইছিলাম না?
=================================
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
কিন্তু ভাবীর সিদ্ধান্তের পিছনে একটা র্যাশনালিটি কাজ করছে। পুরা বিষয়টাই দুনিয়াদারির।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
গুডবয়দের সমস্যাটা প্রকট হওয়ার কারণটা ব্যাপক।
প্রথমে আসা যাক এরা গুডবয় কেন ও কিভাবে? তারপর সমস্যা ..
- ছোটবেলায় সকলেরই কমবেশি একই রকম মেধা থাকা সত্বেও কেউ বাইরে খেলতে যায় আর কেউ গার্ডিয়ানের কথা মেনে পাতার পর পাতা পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। .... .... এরা পরবর্তীতে গুডবয়, ভালোছাত্র নামে পরিচিত হয়।
- এই সংজ্ঞার আলোকে (!) গুডবয়রা খুব অতিরিক্ত মেধার অধিকারী না কিন্তু বেসিকালি ভীতু। জুজুর ভয়ে বাবা মার কথা শুনে আর পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে ফলশ্রুতিতে।
- এই গুডবয়গুলোই যখন পরবর্তী লাইফে যায়, দেখবেন সেই জুজুর ভয়টা থাকেই -- এজন্য এদেরকে প্রচন্ড ধার্মিক হতে দেখা যায় (যদিও কী বোঝে সেটা ভিন্ন কথা)।
- বিবর্তনের ধারাতে এরাই পরবর্তীতে সেইসকল বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করে।
এবার আসি, অন্যরা (নট গুডবয়) এ থেকে অপেক্ষাকৃত মুক্ত কেন?
- ছোট থেকেই এরা বিদ্রোহী কিংবা বলা যায় নিজের চিন্তাকে প্রাধান্য দেয়। খেলতে যেতে ইচ্ছা করলে খেলতে যায়।
- ফলে জুজু মনে বাসা করতে পারে না, চোখ খোলা থাকে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
গুডবয়/ব্যাডবয় প্রসঙ্গে প্রশ্ন আসলে আলোচনা ভিন্ন দিকে চইলা যাইব ... আমাদের সমাজে এখনও ধার্মিক, নামাজ-কালাম পড়া ছেলেগোরে সবাই ভাল কয়, তাই তারা স্কোরের তাড়নায় বিশ্বাস করে ...
তবে ব্যাপারটা এত সরল না ...বাঙালী সমাজ ছাড়া অন্যান্য জায়গায়ও দেখা যায় সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন হিউম্যানিটিজ ব্যাকগ্রাউন্ডের চেয়ে বেশী ধার্মিক হয় ... এর মূল কারণ মনে হয়
১. ছোটেলায় সবাই কমবেশী ধর্মীয় শিক্ষা পায় ... পূবে বলেন, পশ্চিমে বলেন ... সামাজিক আর পারিবারিক আচার-আচরণেও ধর্মের প্রভাব থাকে ... তো বড় হয়ে সখন একজন সায়েন্স লাইনে যায়, তখন সে ধর্ম সম্পর্কে নতুন করে কিছু শেখেনা ...ধর্ম প্রসঙ্গটা আনটাচড থেকে যায় ... সে তুলনায় হিউম্যানিটিজ ব্যাকগ্রাউন্ডের অধিকাংশ মেজরেই সামহাউ ধর্ম বিষয়টা চলে আসে ... প্রাচীন আর সমাজে বিশাল ব্যাপ্তিটাই কারণ ... এবং মেইনস্ট্রীম এডুকেশনে এখন স্রষ্টার না থাকার বিষয়টাই বেশী ফোকাসড ... সেজন্যই হিউম্যানিটিজ লাইনের ছাত্ররা বেশী স্কেপটিক হয়
আরেকটা মজার এক্সপ্ল্যানেশন জানি ...
সায়েন্সের ছাত্ররা সাধারণত একটা প্রশ্নের সমাধান খোঁজে, প্রশ্নটার উত্তর কোনভাবে মেলানোটাই তাদের এ্যাপ্রোচ ... বিপরীতে, হিউম্যানিটিজে একটা প্রশ্নকে জিইয়ে নানাভাবে উল্টে-পাল্টে দেখে সমাধান খোঁজা হয় ... ক্রমাগত প্রশ্নধারন করাটা এ্যাপ্রোচ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আরেক্টা কারণ আছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বহু ভালো ছাত্রের মধ্যে নিজ ক্ষেত্র প্রসংগে এক ধরণের উন্নাসীকতা কাজ করে। দর্শন থেকে পাস করে যেহেতু মোটা বেতনের চাকরি পাওয়া যায় না সুতরাং দর্শন পড়তে যায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্ররা। তথ্য সঠিক। কিন্তু এই তথ্য থেকে যে বিষয় হিসাবে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা-অপ্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করা যায় না এই যৌক্তিকতার জায়গায় আসতে যে আঁকড়ে ধরা খুঁটি বাধা দেয় তার সাথে রুটির প্রশ্নটাও পাকে চক্রে জড়িয়ে থাকে।
বস্তুজগতের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং সেখান থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যের প্রয়োগের দিকে যাওয়া প্রযুক্তিবিদ্যা অধ্যয়ন করতে এই ঘোরতর র্যাশনালিটির মূলনীতি মেনে চলতেই হয়। প্রশ্ন হচ্ছে এই র্যাশনালিটি সে আত্মস্খ করতে পারছে কি পারছে না। যিনি মিরাজের ব্যাখ্যায় নভোযানের সমীকরণ টেনে আনেন বা ব্ল্যাকহোলের ভেতরে সাত আসমান খোঁজেন তার ক্ষেত্রে আমরা কি বলতে পারি যে বিজ্ঞানের দর্শন তিনি আত্মস্থ করতে পেরেছেন?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
বিজ্ঞানের দর্শন! এতক্ষণে জুইতের শব্দ বললেন। এইবার যদি কেউ আল্লার ওস্তে পপার, টমাস কুনের কথা বলেন।
ভালো ছাত্র নই মোটেই। তবে বিজ্ঞানের ছাত্র হবার ও বাংলাদেশে বিজ্ঞানের কাজে সংশ্লিষ্ট থাকার সুবাদে গুটিকয় অভিজ্ঞতা ও ভূত-সম্পর্কিত উপাত্তের কথা বলতে পারি।
গণিতের এক শিক্ষক ছিলেন, আমাদের হাইড্রোডাইনামিক্স পড়াতেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে (বিদেশী) উচ্চতর সনদসম্বলিত, 'ভালো ছাত্র' ছিলেন আশা করি। প্রথমদিন সুপারসনিক গতির উদাহরণ দিতে গিয়ে মেরাজের ব্যাখ্যায় নামলেন। ক্লাশে জনপ্রিয় হয়ে গেলেন কিছুদিন বাদেই। সপ্তাহখানেক পর্যবেক্ষণ করে দেখি, কথা সত্য, পরজনমে উনার মরিস বুকাইলি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ফলাফল, অধমের ক্লাশ পরিত্যাগ।
বাংলাদেশে বিজ্ঞানলেখক সমিতি আছে। তার নেতৃপর্যায়ে এখন দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদকস্থানীয় ব্যক্তি, যিনি ভূতকে মানেন দীর্ঘদিন।
আরেকজন নানোপ্রযুক্তির গবেষককে জানি, তিনিও ভূতে বিশ্বাসী, বিজ্ঞানবিষয়ক একটা সাইট চালান বাংলায়, বিজ্ঞান/প্রযুক্তি নিয়ে হরদম লেখালেখি চলে সেখানে।(নমুনা)
আমার মতে, বিজ্ঞান বিষয়ে (মৌলিক) লেখা বা অনুবাদ করার আগে 'বিজ্ঞানের দর্শন' বিষয়ে লেখকের অবস্থান পরিষ্কার হওয়া দরকার। নয়তো বিজ্ঞান আর দর্শনের
(Philosophy অর্থে, point of view নয়) মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে পাঠক/ছাত্র/ব্লাহব্লাহ জানবেন কী করে? আর যা জানবেন, সেটা হবে গোলমেলে, বিভ্রান্তিকর, ভুতুড়ে।
ফলে লজিকফজিক বোঝার চেয়ে আমাদের ম্যাজিক দেখতেই, এবং তা বিশ্বাস করতে বেশি ভালো লাগছে।
এ তো প্যারাডক্স, সিলেবাসে বিজ্ঞানশিক্ষা আছে, কিন্তু সংস্কৃতিতে বিজ্ঞানমনস্কতা নেই।
আমাদের বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র (সাইট আপডেট করা হয় না) দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছে শহরের বাইরে বিজ্ঞানমনস্কতা ছড়াতে। তবে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে এ ধরনের উদ্যোগ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
সাইড নোটে এটাও বাস্তব, বিজ্ঞানফিজ্ঞান করে অনেক সংগঠন ফুলেফেঁপে উঠছে। যেহেতু মুণিঋষিরা জানেন, এনজিও যুগে ভূতচর্চা হোক আর বিজ্ঞানচর্চা হোক, সবই বিদেশী ফান্ড সংগ্রহের কৌশলমাত্র।
_____________________________
জিকোবাজি | ফটো গ্যালারি | ইমেইল
ফান্ড তো ভূতপদার্থই।
জিকো যাহা কহিলেন মোটামুটি উহাই বক্তব্য ছিল।
পুনশ্চ : অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বর্তমান হাল কি? উহাদের কাউকে কাউকে একদা এট্টু-আট্টু চিন্তাম....
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
জনাব ম.আ.মি আছেন এখনও। বইমেলার সময় স্টল দেন। বছরশেষে সূর্য উৎসব করেন। ভুলেভর্তি মহাকাশবার্তা বের করেন। ভূতপদার্থের মূলা দেখেন ও দেখান। আমিন।
_____________________________
জিকোবাজি | ফটো গ্যালারি | ইমেইল
দীর্ঘশ্বাস...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
পড়তে দেরি হইলো আর আমার কথাগুলি সবাই কইয়া ফালাইলো। খেলুম না!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
চলুক...চলুক... মজা লাগতেছে আলোচনাটা।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আলোচনা জমেছে ... সময় নাই হাতে ... নাইলে আরো একটিভলি যোগ দিতাম ...আপাতত এটুকু বলতে পারি ...
বিজ্ঞানের দর্শনের ক্ষেত্রে আরো বেসিক জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করা যায় ... যেমন একেবারে মৃত্যুপরবর্তী অস্তিত্ব ... যেমন, জীবনের একটা ব্যাখ্যা অনেকটা এরকম যে 'আশা যখন শেষ হয়, তখন মৃত্যু হয়' ...
সেখান থেকে এরকম একটা অবস্থানে আশা যায় যে মৃত্যুর পর আর কিছু নেই, এরকমটা ভাবলে ডিপ্রেসিভ নিহিলিজম বাসা বাঁধতে পারে মনে ... অপটিমিস্ট সায়েন্টিস্টরা তাই বেসিক্যালি বলেন আরব ফিলোসফিকালিই বলেন সেটাকে এড়িয়েই চলবে
সুমন্দা, আপনি যে উদাহরনের কথা বললেন, নভোযান/মিরাজ বা ব্ল্যাক-হোল/সাতআসমান, সেখানে হয়ত বিশ্বাসীর অন্ধত্বটাই ব্যাখ্যাযোগ্য ... (তবে খেয়াল করবেন, এসব করে সাধারণত বিজ্ঞানীরা না বরং বিজ্ঞান লেখকরা ... তারা দুই পক্ষেই করে ব্যাপারটা ... ধর্মবিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতেও করে একদল, আবার স্রষ্টার অসারতা প্রতিষ্ঠিত করতেও করে ... এগোরে মাঝেমাঝে জঞ্জাল মনে হয় ...অনেকটা না বুইঝা ফালাফালির মতো করে)
তবে সায়েন্টিস্টরাও কিন্তু ভয়েড থাকেনা ... একটা বৈজ্ঞানিক পরিক্ষণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তাঁর মাথায় কিন্তু একটা আগে থেকে তৈরী হওয়া বিশ্বাস থাকে, যেমন এই এক্সপেরিমেন্টে এমন রেজাল্ট আমি আশা করছি ... তারপর সে সেটাকে প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যায়...
এই বেসিক জায়গায় স্পটলাইট ফেললে বলা যায় যে, সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকেরা র্যাদার রোমান্টিক ...বিশ্বাসপ্রবন ... সবচেয়ে ভাল উদাহরণ মনে হয় আলকেমিদের স্বর্ণ তৈরী করার ব্যাপারটা
অনেক ক্ষেত্রেই নিজের একটা ভুল ধারনা বা বিশ্বাসকে অনেক বিজ্ঞানীই গায়ের জোরে প্রমাণ করে যায় ... অনেকদিন পর ভুলটা বের হয়
বিপরীতে, হিউম্যানিটিজ ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্ররা আমার মতে সন্দেহপ্রবণ ... যেকোন বিষয়ে প্রশ্ন তোলাটা ঐতিহ্য
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বিজ্ঞানী রোমান্টিক হতে পারেন। তবু হাইপোথিসিস থেকে গবেষণার ফলাফলে পৌছতে তাকে যে পথ অতিক্রম করতে হয় বুকাইলির পাঠকেরা সেই পথে ভুলেও পা বাড়ান না। আর প্রশ্ন তোলার ঐতিহ্য না থাকলে তো বিজ্ঞানই থাকতো না।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
বিষয়বহির্ভূত মন্তব্যঃ
সুমন চৌধুরী বিরাট মজমা জমায়া ফালাইছে। এইরম মাহফিল আমি এই ব্লগীয় জীবনে দেখছি বলে মনে পড়ে না। আলোচনা নিশ্চয়ই আরো হবে। আমার প্রথম মন্তব্যে ভূত আনছিলাম সেইটা সিরিয়াস আলোচনায় বেজার হইয়া চালতা গাছে গিয়া বসছে। থাকুক ঐখানে।
আমিও বিজ্ঞানের ছাত্র কিন্তু আমার প্রথম প্রশ্ন দেখা দিলো পদার্থ বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে। নবম-দশম শ্রেণীতে বিভিন্ন সূত্রের, যেমন গতিসূত্র, সমীকরণ দিয়া কইতো প্রমাণ করো... । তারপর শুরু হইলো একেকটা সংখ্যা নিয়া যাত্রা। কিছুক্ষণ পর কয়, এইখানে সময় জিনিসটা তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র সুতরাং টি বাদ দেয়া যায়। কিছুক্ষণ পর বলে ডি বাদ দেয়া যায়। তারপর বলে এফ বাদ দেয়া যায়। সব বাদ দিয়া শেষে গিয়া কয় কইছিলাম না। এ সমান শুধু আধা জি আর আধা এন।
বিরক্ত হইয়া স্যাররে কইলাম, স্যার এরা তো রেজাল্ট দেইখা উত্তর মিলাইয়া ফালায়।
স্যার জানাইলেন, ইমুনই সিস্টেম এইটা।
বড় হইয়া বুঝছিবয়সের তুলনায় অনেক কঠিন প্রশ্ন করছিলাম। স্টিফেন হকিং ছাড়া কেউ উত্তর দেয়ার নাই।
এইবার আরেকটা জীবন থেকে নেয়া গল্প কই।
এইটা ভার্সিটি জীবনের গল্প। মার্কেট রিসার্চের ছুটা কাজ পাইছে এক বন্ধু। আমারে ধরছে সঙ্গ দিতে। এলাকা মেডিক্যাল কলেজ আর বুয়েটের কোয়ার্টার। সব বাসায় একবার কইরা উঁকি দিলাম আমরা হরলিক্স খায় না ওভালটিন খায় হিসাব করার জন্য। আমার জীবনে এক জায়গায় এত লম্বা দাঁড়ি আর এত বুরখা দেখি নাই। অনেকে আবার বেগানা পুরুষর ঢুকতে দিতে চায় না। আমার বন্ধু মেয়ে, সে যায় আমি সিঁড়ির গোড়ায় দাড়ায়া থাকতাম।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির সব কোয়ার্টারে পরে আমি গেছি। কি কমু।
রাইত আর দিন ভাই। রাইত আর দিন।
ঐখানে আছে ভাই পরী আর জ্বিন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
বুয়েটের ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতাও সেরকমই ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সাবধান বস। ব্লগে কিন্তু বুয়েট হেজিমনি আছে
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আরে সুমন। এইখানে যারা আছে তারা বিদ্রোহী মাল। সংস্কারবাদী। নিজ দলের দোষত্রুটি পত্র-পত্রিকায় ফাটাতে এরা উস্তাদ লোক।
ঐক্য ধইরা রাখা যাবে, আশা করতাছি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
কিসের ঐক্য!!! বুয়েট নিয়া গীবত করলে শেরিফ রে ডাকুম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শেরিফ তো তোমার বিশাল ভক্ত...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
চমৎকার একটা আলোচনা। সুমন চৌ-এর কল্যাণে। জ্বিনের বাদশা-র মতামতগুলার সাথে নৈকট্য বোধ করতেছি। অন্যদের সাথেও কম-বেশি। যুইতের সময়ে ছিলাম না, থাকলে আরো কথা কওন যাইত।
যুইত আছে তো! কৈয়া ফালান!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সবই তো বলা হৈয়া গেছে। কিঞ্চিত অফটপিক: আজকে একটা প্রেজেন্টেশন শুনলাম বিজেপি-র ডায়াসপোরা পলিটিকসের ওপর, লন্ডনের অবজার্ভেশন। বক্তা কৈতেছেন, সেকেন্ড জেনারেশন ডায়াসপোরা নাকি অনেক বেশি ধার্মিক এবং "বিজেপি" বায়াজড হৈয়া উঠতেছে। আমাদের দেশের জামাত কিন্তু এই লাইনে আগাইতেছে বেশ অনেক দিন। আমাদের দেশের বিজ্ঞান নিয়া ডিল করে এমন অনেক স্থাপনা/প্রকল্প/সংগঠন/ব্যবসা কিন্তু ধার্মিক কিংবা ধর্মব্যবসায়ীদের খপ্পরে। সেইটা চিকিৎসা বা রোগনির্ণয় ব্যবসায় জামাতীদের শেয়ার থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।
আইচ্ছা ভুত কি আসলেই আছে?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
শুধু সরিষার মধ্যে আছে।
একবার নাসা'র প্রকৌশলীদের আয়োজিত সেমিনারে গেসিলাম। গিয়া দেখি টপিক হইলো "ইসলাম ও দাওয়াহ"। জ্যোতির্বিজ্ঞানের আলোকে ধর্মের মহিমা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হইছিলো মনে হয়।
এই বিষয়ে জ্বিনের বাদশার সাথে একমত। যেহেতু বিজ্ঞান শিক্ষায় ধর্ম নিয়া নাড়াচাড়া কম, তাই সবাই মনে হয় নিরাপদ সমাধান খোঁজে।
শোমচৌ র ডি বাদ দেয়ার ঘটনার মত এখন অনেকেই তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র জিনিস গুলা বাদ দিয়ে ধর্ম বিশ্বাস করেন। যেমন আমি একজন বায়লজির লোকরে চিনি যিনি মনে করেন আদম হাওয়ার কাহিনী কোরান বাইবেলে শুধু রূপক অর্থে নিতে হবে। উনি বিবর্তনে বিশ্বাস করেন আর ধর্মগ্রন্থের যেই জায়গা তার সাথে মিলে না তারে রূপক বলে দাবি করেন। এই টেকনিকে আসলে আরো বহুদিন ধর্মে বিশ্বাস রাখা সম্ভব, খুবই দারূণ টেকনিক। কিন্তু যেহেতু উনি বিজ্ঞানরে ধর্মগ্রন্থের আগে স্থান দিছেন আর বিজ্ঞানরেই মাপকাঠি ধরতেছেন কিতাবে রূপক খোঁজার জন্যে উনার ধর্মবিশ্বাসটাও আমার লঘু বলে মনে হয়।
______ ____________________
suspended animation...
ব্যাপক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা । জ্ঞান আর যোগ না করি ।
একটা ফোঁড়ন কাটি কেবল-
এক মুরব্বী স্থানীয়া ঘনিষ্ঠা আত্নীয়া, ইম্পেরিয়াল কলেজের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার । বেচারী মাথার চুলে বাংলাদেশের কোন পীর সাহেবের দেয়া তাবিজ বেঁধে রাখেন, তাঁর ছোট মেয়ে অতিরিক্ত দুষ্টামী করলে দৃঢ় সন্দেহ পোষন করেন পিচচিটাকে স্কুলের সামনে পাইন গাছের ভুতে ধরেছে ।
জয়বাবা ভোলানাথ!
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তিনি সম্ভবতঃ তাঁর ল্যাবের বীকারে কেমিক্যাল জ্বিন-ভূত দেখিয়াছিলেন
এই আলোচনাতো আমার অস্তিত্বকে ভয়েড করে দিল
দুনিয়ার জ্বীন, এক হও
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
উৎসরে মিস করতেছি...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ব্যাপক আলোচনা হয়েছে দেখছি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র। অধম এর পাঠের বিষয় তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল।তা আমাদের পাঠ্যসূচীতে "কমুনিকেশন থিউরী" নামক এক খানা পাঠ্য আছে, যাহা পড়াইতে যাইয়া, দেশ এর একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য, এবং আক্ষরিক অর্থেই যোগ্য শিক্ষক ধর্মের যেই আসর বসান, তাতে মাঝে মধ্যে ,কোন বিষয় এর কেলাস চলে বুঝা মুশকিল। "নয়েস" কে শয়তান এর সাথে তুলনা কইরা, ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন উধ্বৃতি দিয়া, পুরা ব্যাপারটাই বেশ "আধ্যাত্নিক" হয়া উঠে।
তয়, স্যারে মানুষ খুবই ভাল, আর শুনসি গ্রেড ও দেয় ভাল
গ্রেড ভালো দিলে ঠিকাছে
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
তথাকথিত মেধাবী ছাত্ররা, অন্তত পক্ষে আমাদের দেশের মেধাবীদের অধিকাংশই আসলে মুখস্ত বিদ্যার প্রোডাক্ট। মাথা খাটানোর অপশন সেখানে খুব কম থাকে। কোনোমতে নোট আর চোথাবাজি করে ভালো একটা রেজালট হলেই হল। অঙ্কের যুক্তি আর সামাজিক যুক্তির মধ্যেও পার্থক্য আছে। তথাকথিত মেধাবীরা (পড়ুন, হাই জিপিএ ছাত্ররা) অধিকাংশই 'গুড বয়' ট্যাগ লাগিয়ে সামাজিক মেলামেশাটা এড়িয়ে চলে। ফলে জীবনের এই দিকটা সম্পর্কে অজ্ঞতাটা অনেক বড় আকারে থেকে যায়। ব্যাপারটা অনেক জটিলতার সৃষ্টি করে।
পরবর্তী জীবনে সবার সাথে অ্যাডাপ্ট করে চলতে কেউ কেউ পারে, কেউ কেউ পারে না। যারা পারে না, তাদের অনেকেই মানসিকভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। অলৌকিক বিশ্বাসের একটা কারণ এই নিঃসঙ্গতা।
আমি নিজে ধর্মে বিশ্বাস করি অন্য কারণে। ধর্ম আমার কাছে মানুষকে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানের নির্দেশনা। ঈশ্বর বা আল্লাহ আছে কি নেই, তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণে আমার আগ্রহ নেই এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আমার কাছে দরকারও নেই। সেই নিরাকার ঈশ্বর যদি এমন কিছু নির্দেশনা দেয় যেগুলো আমাকে প্রত্যেকটা সহনশীল মানুষের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে এবং কমনসেন্সকে মেনে নিয়ে সহঅবস্থানের সুযোগ দেয়, তাইলে তো কোনো সমস্যা দেখি না।
সমস্যাটা শুরু হয় অন্যখানে। যখনই মানুষের জন্য ধর্ম বা অলৌকিক বিশ্বাস না হয়ে অলৌকিক বিশ্বাসের বলি হতে হয় মানুষকে। অলৌকিক বিশ্বাস মানুষে মানুষে ক্যাচাল সৃষ্টি করলে সেটা যদি কোনো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ঈশ্বরেরও নির্দেশ হয়, আমি তার বিপক্ষে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিকাছে@বলাই
এই পোস্টটা দিছিলাম আসলে উৎসরে ফিরানোর জন্য। এই বিষয়ে একদিন ওর সাথে এমএসএনে ঘন্টা তিনেক কথা হইছিল। আমার পরিচিতদের তালিকায় অবিশ্বাসীরা দলে ভারী হলেও বুকাইলিভক্তদের সাথে যুক্তি দিয়ে লড়তে পারা বা লড়তে আগ্রহীদের তালিকার প্রথমেই উৎস তারপর অপ বাক। বামপন্থী অবিশ্বাসীদের সাথে দর্শনের জায়গায় একমত হলেও অলৌকিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজ্ঞানের রেফারেন্ম ব্যবহারে তাদের অনীহার সাথে একমত হতে পারিনি। অভিজ্ঞতা সুকৌশলে এড়ানো যেতে পারে। কিন্তু চোখে ঠেসে ধরা প্রমাণ এড়ানোর রাস্তা খোলা বাহাসে থাকে না। সেই ঠেসে ধরা এড়ানো হয় বলেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনে বুকাইলি ভক্তরা লুকিয়ে থাকেন।
গত বছরের প্রথমার্ধে একবার অপ বাকের একটি প্রশ্নের জবাবে (সাত আসমান কি ব্ল্যাকহোলের ভিতরে?) সাদিকের রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার পরামর্শ দিয়ে তর্ক এড়িয়ে যাওয়া থেকে প্রশ্নটা মাথায় আরো বেশী করে খোঁচাতে থাকে। সেইসূত্রই এই পোস্ট।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এইগুলার সমস্যা হলো অসামাজিকতা। এরা শৈশব এবং কৈশোরে একটা ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে বই মুখস্ত করা ছাড়া কিছু করে না। এদের মধ্যে একই সাথে হীনমন্যতা এবং অ্যারোগ্যান্ট সুপিরিয়রিটির অনুভব কাজ করে। কেউ কেউ পরবর্তী জীবনে এই লুপ থেকে বেরোতে পারে আর কেউ কেউ শুধু তলিয়ে যেতে থাকে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন