১.
ছাত্র সংসদের স্পোর্টস বিভাগ থেকে শেষতম প্রত্যাখ্যানপত্র হাতে নিয়ে গট গট করে বের হয়ে আসে মুন্সী। মানুষের ইতিহাসে জার্মানদের মতো বর্ণবাদী সম্ভবত: আর নেই একথা জার্মানীতে রওনা দেবার বহু আগ থেকে জানলেও, অভিজ্ঞতা যখন চোখে পিন ফুটিয়ে জানান দেয় তখন নতুন যন্ত্রণায় শরির কুঁকড়ে ওঠে। কুমারণ আর চিন্তামণিও কোন আওয়াজ দিচ্ছে না। সবার মনেই ঘুরে ফিরে এক প্রশ্ন, জবাব যদি আগেই ঠিক করা থেকে থাকে তাহলে আর খামাখা বিদেশী ছাত্রদের দাবীদাওয়া নিয়ে একটা বিভাগই বা খোলা কেন আর বছর বছর তার একজন ফরেন স্টুডেন্টস রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচন করাই বা কেন? মৌলিক যন্ত্রণার বিষয় হচ্ছে এর জবাবটাও সবাই জানে। তারপরো এসেছিল কি মনে করে যেন। গতবারের নির্বাচনে বিদেশী ছাত্রদের মুখপাত্র পদে নির্বাচিত তারেক-আল-হিলাল নির্বাচনের আগে রীতিমতো ডিপার্টমেন্টে এসে হাতে ধরে অনুরোধ করে গেছে, আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের সব কথা শুনবো, দিনকাল আর আগের মতো নেই, সামনে পরিবর্তন আসন্ন ইত্যাদি। ছেলেটার চেহারার মধ্যে একধরণের সরল বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল। প্রায় সব বিদেশীরা (পূর্ব ইউরোপ বাদে) ভোট দিয়েছে। সেই ভরসাতেই আসা। মুন্সী এর আগে তুর্কী রেস্টুরেন্টে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে তেমন উৎসাহ না দেখালেও বাকিদের চাপে শেষ পর্যন্ত আশাবাদী হয়েছিল।
ঘটনা খুব সহজ। সামারের ছুটিতে কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন আউয়েস্টাডিওনের দুটি বড় মাঠের একটি পুরো আড়াই মাস খালি পড়ে থাকে। এমনিতে ছাত্র হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন মাঠে খেলা জায়েজ। কিন্তু ঐ মাঠের সমস্যা হচ্ছে সেটি ফুটবলের জন্য বরাদ্দ। খালি থাকার সময়টা তার চার দিকে কাঁটা তারের বেড়া থাকে। মুন্সীরা সেই মাঠটা পুরো সামারের জন্য না শুধু আসছে শনিবারের জন্য চেয়েছিল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার ছাত্ররা সেখানে রাগবী খেলেছে তারেকের সই করা অনুমতিপত্র নিয়ে। ঐ আশাতেই আসা।
তারেক হাইকোর্ট দেখানোর কায়দায় নানান কথা বলে ফিরিয়ে দিলো। মুন্সী শেষ মুহুর্তে রাগ ধরে না রাখতে পরে বলে ফেললো বার্লিনে যখন ইংরেজ বা অস্ট্রেলিয়ার ছাত্ররা মাঠ চায় তখন তো হোগার কাপড় উঠাইয়া নাচতে নাচতে মাঠ বরাদ্দ পায়। আমরা চাইলে দোষ? তারেক আত্মরক্ষা করতে বলে ক্রিকেট জার্মানীতে খেলা হয়না, ক্রিকেট খেলতে হইলে ক্রিকেটের দেশে যাও আর বার্লিনের গল্প কাসেলে ক্যান? মুন্সী বললো দেখো তোমারে আমরা ভোট দিছি ভদ্রতার সম্পর্ক, কিন্তু উল্টা পাল্টা কথা বললে আমরা ভোট ঘুরাইয়া দিতে পারি, মনে রাখবা আরবদের ভোট সব মিলাইয়া ১৩-১৪টার বেশী না, সাব কন্টিনেন্টের ভোট ছাড়া কোন শালা ফরেন স্টুডেন্টস রিপ্রেজেন্টেটিভ হইতে পারবো না। জার্মানীতে কোন আইনেই ক্রিকেট নিষিদ্ধ না। কোথাও লেখা নাই। মাঠটা খালি পইড়া থাকে বইলা ছাত্র হিসেবে ঐখানে খেলতে চাইছি। গত সপ্তাহে যখন আমেরিকার ছাত্ররা চাইলো তখন তো নাচতে নাচতে দিয়া দিলা, আমরা চাইলে তোমার হোগা কামড়ায় ক্যা? তারেক বললো দেখো তোমাদের সাথে আমি তর্ক করবো না। কারে ভোট দিবা না দিবা তোমাদের ব্যাপার। তবে ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠ বরাদ্দ দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
বাংলাদেশ হলে ধরে মাইর লাগানো যেতো। প্রবাসে আত্মরক্ষার্থেই ক্রোধ চেপে রাখতে হয়। চোখেমুখে চুড়ান্ত অপমান মেখে বের হয়ে আসতে হলো ছাত্র সংসদের অফিস থেকে। মুন্সী একা না। কুমারণরাও গলা তুলেছিল। তবে ওদের জার্মান ভালো না হওয়ায় মুন্সীই কথা বলছিল বেশী। বের হয়ে প্যাভিলিয়ন মানে সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থম ধরে বসে থাকলো কিছুক্ষণ ওরা তিনজন। মিনিট কুড়ি পরে চিন্তা মৃদু স্বরে বললো তাহলে মেইল করে ফোন করে সবাইকে বলে দেই ...কিছু তো আর করার নেই। মুন্সীর ইচ্ছা করছিল পৃথিবীটাকে ধরে চাপাতি দিয়ে কিমা বানাতে। পকেট থেকে ঘরের চাবিটা বের করে নাড়াচাড়া করছিল। কোন জবাব না দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললো, আমি বাসায় গেলাম। তোমরা যা ভালো বোঝ করো।
গত দুমাস ধরে আয়োজন করা হয়েছে। শুধু কাসেল না ফ্রাঙ্কফুর্ট, ডার্মস্টাডট থেকেও গোটা সাত বাংলাদেশী ছাত্রকে আমন্ত্রন করা হয়েছে। বাজার তো হয়েছেই, সব থেকে বড় কথা কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকুল্যে ৬জন বাংলাদেশী ছা,ত্র হাজার কাজের মধ্যেও প্রতিদিন না হোক গত চার-পাঁচ সপ্তাহ ধরে, সপ্তাহে অন্তত চারবার করে মেনজার পাশের পরিত্যক্ত হকি টার্ফে প্র্যাক্টিস করতে এসেছে। কারো তো কোন ঠ্যাকা নেই এসব করার। শুধু একটু ভালো লাগা আর ফাউ হিসেবে খানিকটা শরিরচর্চা। এই তো! ভারতীয় ছাত্ররাও আসে, সবাই না অনেকেই আসে। পাকিদেরকে নিজে থেকে ডাকা হয়না কখনো। ওরা মাঝেমধ্যে নিজ থেকে এসে পড়লে ভদ্রতা করে খেলায় নেওয়া হয়। এই পর্যন্ত যতবার পাকিদের নেওয়া হয়েছে কোন না কোন ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক এর মধ্যে ভারতীয় ছাত্ররা বেড়েছে। মুন্সীর এক কলিগ এসেছে জামাইকা থেকে। সেও ক্রিকেট বলতে অজ্ঞান। এর মধ্যে মে মাসের একদিন ঐ হকি টার্ফেই একটা খুব টানটান গেম শেষ করে বাংলাদেশী আর ভারতীয় ছাত্ররা মিলে গ্রীষ্মের ছুটিতে বড় করে একটা কিছু করার প্ল্যান করে ফেলে। ঐ সময় তারেকের সাথে রাস্তায় দেখা হয়েছে। তাঁকে জানানোও হয়েছে। সে আশ্বাস দিয়েছে কোন ব্যাপার না শুধু সময় মতো একটা দরখাস্ত করলেই চলবে ছাত্র সংসদ বরাবর।
প্যাভিলিয়ন থেকে বের হয়ে হপ্লার ট্রাম স্টেশনের দিকে এগোয় মুন্সী। মাথায় খুন চাপলে নিজের ছাড়া আর কারো বাল ছিড়ারও ক্ষমতা নেই, এই কথাটা আজ তারেক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। জোরে টান দিতে গিয়ে ফিল্টারের খানিক পুড়ে মুখে তেতো স্বাদ বাড়ি মারে। ট্রাম আসতে দেরী করছে। সামনের প্যারাম্বুলেটর থেকে একটা পিচ্চি অনামিকার উপর কনিষ্ঠা তুলে খিলখিল করে হাসছে, মুন্সীর দিকে তাকিয়ে। মুন্সীর হাসি পায়। হাসতে পারেনা। দুই নম্বর ট্রাম চলে আসে। চোখের পানি সামলাতে সামলাতে পিছনের দিকে একটা সীটে ধুপ করে বসে পড়ে। ট্রাম চলতে থাকে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবতে থাকে কাকে আগে জানানো যায় দু:সংবাদ।
২.
রাট হাউস পার হতে হতেই মোটামুটি সবাই ঘটনা জেনে যায়। আগামী হপ্তার অতিথিদের জানানো হয় না শুধু। ওরা আসুক এসে খেয়েদেয়ে ঘুরে যাক।
খুব অস্থির লাগছে। কির্শভেগে নেমে সোজা উদ্দেশ্যহীন হাঁটা ধরে মুন্সী। কিছুদুর গিয়ে আবার ফিরে এসে ফোয়ারার সামনের বেঞ্চে গিয়ে বসে। কী করলে ভালো লাগবে জানেনা। কিন্তু এতো কষ্টইবা হবে কেন? তারেকের কথাকে তো অনেকেই ঠিক বলে ধরে নেবে। জার্মানী আসলেই ক্রিকেট খেলার জায়গা না। এখানে ক্রিকেট খেলার জন্য যে পীচ দরকার তাও নেই। গতবছরের আগের বছর মিউনিখে ঘাসের উপর খেলতে গিয়ে সে এক কেলেঙ্কারী দশা। আর বার্লিনে ইংরেজরা নিজেরা পয়সা দিয়ে মাঠ ভাড়া করে তাতে গাঁটের পয়সায় পীচ বানিয়ে খেলে। কাসেলের বাংলাদেশী আর ভারতীয় ছাত্ররাতো সেরকম কিছু করতে চায় নি। নিতান্তই নিরিহ টেপটেনিসের খেলা। নিপাট আমোদের ব্যাপার। সেখানেই অস্বস্তিটা আবার ফিরে ফিরে আসে। আমেরিকানদের রাগবী খেলার জন্য ঐ মাঠ খুলে দিতে পারলে একবেলা ক্রিকেট খেলার জন্য বাংলাদেশীদের দিতে অসুবিধা কী? তারেক ছেলেটা হয় মেরুদন্ডহীন নাইলে তার জার্মান কলিগদের রেগুলেশনের বাইরে যাবার ক্ষমতা নেই। কাগজে কলমে আছে। কিন্তু সে হয়তো হিসেব করে দেখেছে ঐ মাঠে একবেলা আমাদের খেলতে দিলে ওর আসলে কোন লাভ আছে কি না। ভোটের চিন্তাও নেই। আর বোধহয় তার একটা সেমিস্টার বাকি। আগামী নির্বাচনে সে এমনিতেও প্রার্থী না।
কিন্তু মুন্সী কেন এইসব ছাইপাশ ভাবছে এতক্ষণ ধরে? মনটা শান্ত করা জরুরি। উঠে গিয়ে স্পারকাসের পেছনে রেভে সুপার মার্কেট থেকে গোটা চার সাদা বীয়ার(ভাইৎসেন) এনে বসে বসে গিলতে থাকলো ফোয়ারার ফুঁসে ওঠা পানির দিকে চোখ দিয়ে। তাপমাত্রা এখন প্রায় আঠাশ। ফোয়ারার জলের স্নিগ্ধতা আর বীয়ারের রসায়ণে সব কিছু ঝিমিয়ে এলো ধীরে ধীরে। খানিক ঝির ঝির বাতাস, উল্টোদিকের ইতালীয়ান আইসপার্লারে গ্রীষ্মের দাবদাহে উত্তেজিত বিকিকিনি, এক এক করে চারটি বীয়ার খতম .......চোখ লেগে আসে এক সময় ...চোখের সামনে বড় একটা রোলার ...মুন্সী আর রনি মিলে তাকে ঠেলছে....পীচের জায়গায় মাটি ঢালছে আজাদ, মাহবুব. তপন, অভি.......
(চলবে)
মন্তব্য
চৌধুরীর বর্ণনা সবসময়ই সুন্দর। এবারও।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
শুক্রিয়া.......
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
ঝুলায় রাখলেন কেন? টান দিয়ে আগে বাড়ান।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বাঁড়া বো। কাহিনি কিঞ্চিৎ লম্বা।
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
- তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ আর দুইবার নাউযুবিল্লা পইড়া বুকের ডাইনদিকে একদমে তিনটা ফুঁ দেন দক্ষিণ দিকে মুখ কইরা।
মিয়া খাচড়া কথা না কইলে হয় না!
আসেন, আলোর পথে আসেন।
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পৃথিবীর এক নম্বর দুই নম্বরী জাতির কাছে আর কী আশা করতে পারেন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বদ্দা, কাহিনির বাকিটা ছাড়েন।
কি মাঝি? ডরাইলা?
থামলেন কেন?
চলুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
উস্তাদ, এইটা খতম না করলে কিন্তুক খবর আছে কইলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সুমন ভাই, তোমার হয়... চালাইয়া যাও।
মামুন
সাবেক কালুর ম্যাচে খাদ্য ভক্ষনকারি
কাহিনী সত্যি সত্যি মনে হচ্ছিল তাই বলতে যাচ্ছিলাম অন্য কোনও মাঠে কি খেলা যায়না , তারপর দেখি ক্যাটেগরী:গল্প।
তারপর কি হল??
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বাকিটা ঝাইরা ফালান তাড়াতাড়ি। ৩৩ বছর অপেক্ষায় আছি।
---------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চলুক!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
প্রথমত চলুক...
দ্বিতীয়ত একটা গপ কই...
তখন আমাদের সাড়ে তিন তলা নাটক চলে... তিন দিনের হরতাল ডাকলো আ লীগ... আমি সিদ্ধান্ত নিলাম তিনদিন অফিসেই থাকুম... বই পইড়া গান শুইনা (তখনও নেটবাজ হইনাই) আর হুইস্কি খায়া দিন গুজরান করুম... তা করতে করতে প্রতি বিকালেই অফিসের পিয়ন দারোয়ানের লগে সামনের উঠানে ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম। তারপর সেইটা রেওয়াজ হইয়া গেলো... আস্তে আস্তে অনেকেই যোগ দিলো... হরতালের পরে শুটিং শুরু হইলে দেখা গেলো বিকালে ঘন্টা দুই শুটিং অফ রাখতে হয় সকলের দাবীতে। অবশেষে সিদ্ধান্ত হইলো একটা ম্যাচ হইবো... একদলে অভিনেতারা আরেকদলে কলাকুশলীরা... হেভী প্রেকটিস চললো কয়দিন। তারপর ম্যাচ। সে এক বিশাল আয়োজন। এখন যেখানে RAB এর প্রধান কার্যালয় সেই বিরাট মাঠ পুলিশের ছিলো তখন... তাগো অনুমতি নিয়া... বিকেএসপি থেকা রেফারি আইনা... পেপসির স্পন্সর নিয়া এক রাজকীয় যজ্ঞ। দেশের অধিকাংশ অভিনেতা অভিনেত্রি খেলা দেখতে উপস্থিত। চ্যানেল আই খবরে সেই খেলা দেখাইলো পর্যন্ত। আমরা মানে কলাকুশলীরা জিতছিলাম।
তারপরে RAB পয়দা হইলো... এবং এক দূর্ঘটনাবশত আমাদের এক কলিগ বন্ধু প্রয়াত মনিরুল হাসান তাদের হাতে ধরা পরলো... চোখ বাইন্ধা তারে প্রধান কার্যালয়ে নিয়া যাওয়া হইলো... এক কর্মকর্তা কয় আপনেরে চেনা চেনা লাগে... তখন সে বললো এই মাঠে আমরা একবার ক্রিকেট খেলতে আসছিলাম... সেই ঘটনা মনে হওয়ায় খুশি হয়া RAB তারে আর্টিস্ট মানুষ বিবেচনায় ছাইড়া দিলো।
তৃতীয়ত: অনেক আজেবাজে কথা বললাম... শেষে আবারো বলি চলুক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- হ, আজাদরে মাটি ঢালনের মইধ্যেই রাইখেন।
কাহিনী আসুক...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসুক।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
এই গল্পটার কি সম্ভাবনাতেই আটকায়া থাকা নিয়তি? শ্যাষ করা যায় না?
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন