আফিং খেয়েই চলেছি। নানা মাপের নানা স্বাদের নানা রঙের জোসিলা আফিং। খেতে খেতে অনেক বেলা গড়িয়ে রাত পুড়িয়ে তারপর আবার বেলা পুড়িয়ে রাত গড়িয়ে পল্টি দিয়ে আফিং কিম্বা আফিং দিয়ে পল্টি খাই। আমরা খেতে আর খাওয়াতে ভালোবাসি। চাখতে চাখতে খাই খেতে খেত চাখি। খেতে খেতে আর চাখতে চাখতে নোয়াখালী বিহারে লাশ পড়ে। আবারো খাই। ত্রিশলক্ষ লাশ পড়ে দোরের কাছে ঘরের ভেতর আমার টেবিলে আর মেঝেতে। তারপর পড়তে থাকে তো পড়তেই থাকে। আমরা খেয়েই চলেছি আর পড়েই চলেছি...........
থুতু দিয়ে আফিং খাই। পল্টির সাথে থুতু মাখিয়ে ভুনা ভুনা করে খাই। আমরা নিজেরা থুতু খাই এবং অন্যকে দেই। আমাদের সবার গায়ে থুতু....
শুধু জেনারেল-বিবি-গোলামের পিন্ডি চটকে কী হবে গো? আফিংপট্টি কে বানালো?
বঙ্গবন্ধু! আপনিও মুক্ত নন ধিক্কারের এই থুতু থেকে......
মন্তব্য
..............
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সময় ময়দানে থাকালে ভালৈতো। ময়দানে না থাকায় পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারে নাই। এরশাদ ইমপোর্ট থেকে শুরু করে জনগণের প্রতি অবিশ্বাস - তার অযোগ্যতার মাশুল দিতেই আছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অজ্ঞানতা মার্জনা করবেন, সত্যিই খুব কম জানি তাই জানতে চাইছি: কেউ বঙ্গবন্ধুর এরশাদ আমদানি ও জনগণের প্রতি অবিশ্বাস নিয়ে একটা লেখা লিখুন না। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নানা পর্যায় ও ঘটনাবলীর কথা জানতে চাই । এ প্রসঙ্গে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা কোনো বই জানা থাকলে জানাবেন দয়া করে।
একটু অন্য কথা, স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের প্রসঙ্গে সহজে জানার একটা পথ বাতলাই। একটা হিন্দি ছবি আছে "হাজারোঁ খোয়াইশে অ্যায়সি" সুধীর মিশ্র'র, সরাসরি না হলেও ওতে দু-তিন দশকের ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট জানা যায়। ভালো সিনেমা, না দেখে থাকলে দেখতে পারেন।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমরা এখন শুধু আফিং খাই না, রাতবিরেতে আফিংপট্টিতেই থাকি, ঘুমাই, সেক্স করি, বগল বাজাই, সুরা-কেরাত পড়ি আর বলি, ওই, ক্যাডায় আফিং খায় রে!
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
এবং আফিং খাওয়ার কথা মনে পড়লে ফের একদলা থুতু ফেলে বলে উঠি- নাউঝুভিল্লা!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
খাইলে চাটভেন, না খাইলে ফস্তাভেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আর কী কিছু বলতে পারি?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন