বাংলা ব্লগিঙের প্রথম যূগে ধুমধারাক্কা লেখা নামিয়ে দিতাম। আন্তর্জালে বাংলায় লিখতে পারাটাই তখন প্রধাণ উত্তেজনা। ক্রমশ দিন বদলালো। ব্লগের নিজের সবখানে। সচলায়তন খুলে বসে বসে পড়ি। কখনো মন্তব্য করি। কখনো শুধু পড়েই যাই। হাত আর চলে না আগের মতো। কারণ এখন আর বালছাল লিখে দিতে যে মন সরে না তা না, কারণ আমি মূলত বালছালই লিখি; বলতে গেলে হাতে আর আগের মতো বালছালও আসে না।
১.
বেশ কিছুদিন থেকে ভাবছিলাম, প্রবাসীরা যে যেখানে আছে সেখানকার স্বতন্ত্র প্রতিবেশ বাস্তবতা নিয়ে শুধু প্রবন্ধ, রম্য বা স্মৃতিকথা না রীতিমতো নাটক, সিনেমা, শর্ট ফিল্ম বানাতে পারে। এখন যেহেতু মুভি ক্যামেরার মূল্য অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার আওতায়, গল্প ফেঁদে স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলতে পারলে ধুমধারাক্কা নাটক নামানো যায়। অনেকে নামাচ্ছেনও হয়তো। কিন্তু এই পর্যন্ত যা দেখলাম তার মধ্যে এক অলৌকিক হাসানেরটা বাদ দিলে সবই একঘেঁয়ে। প্রফেশনাল লোকদের পক্ষে মনে হয় এই মুহুর্তে মিডিয়ার "খাই" এর বাইরে কাজ করা মুস্কিল। আবার নন প্রফেশনাল কেউ এইসব কাজে খুব একটা উৎসাহও পান না। সবাই প্রবাসে থাকেন হাজারটা ঝামেলা কাঁধে করে। বালছাল চিন্তাভাবনা আসে আমার মতো সবচাইতে বেশী চিপায় থাকা লোকজনের মাথাতেই। এইসব ভাবতে থাকলে একসময় মাথা গরম লাগে। ভাল্লাগে না। মাথায় পোকা কুড়কুড় করে। সেই কুড়কুড়ানি নিয়ে ঘুমাতে গেলে শাল্টুখোঁরি খোঁয়াব দেখি। (না খাইয়া। এইখানে শাল্টুর অনেক দাম। ঠোলা ধরতে পারলে খবরাছে। এই দিক থিকা তানবীরাদের শহরটা ভালো।)
গত শনিবার রাতে দেখি আমি স্টেয়ার্নের মোড়ে ড্যোনার কাবাবের দোকান কেবাপ আম স্টেয়ার্নের সামনে দাঁড়িয়ে রিকসা ডাকি, "ঐ খালি ! যাইবো নাকি"? স্লেকারের সামনে থেকে রিক্সাওয়ালা মাথা বের করে বলে, "কৈ"? বললাম, "হেলেব্যোন", কয়, "না। ঐদিক থিকা এদিকের খ্যাপ নাই। আমার রিক্সা নর্ডস্টাড্ট এর।" বললাম, "আরে চলো। ভাড়া না হয় ৫০ সেন্ট বেশী নিও।" রিক্সায় উঠলাম। স্টেয়ার্ন থেকে হাউপ্টবানহফের দিকে রিক্সা চলে ঠুনঠুন করে। স্টাড্টবাড পার হয়ে রিক্সা বাঁক নেয় রুডলফ শ্ভোন্ডারস্ট্রাসে ধরে শাইডেমানপ্লাৎসের দিকে।
- তোমারে কেমন জানি চেনা চেনা লাগে।
- লাগবোই। আমার রিক্সা নর্ডস্টাড্ট এর। দিনের বেশীরভাগ থাকি ফ্রিডরিখ্ প্লাৎসে সিন লেফার্সের সামনে।
- বলো কি! ঐখানে তো ফ্লোরিয়ান একটা রিক্সা নিয়া আসে।
- তো এইটা কোন্ রিক্সা?
বলে ঘাড় ফিরিয়ে আমার দিকে তাকায়।
এ কি! এতো ফ্লোরিয়ান!
- তুমি বাংলা শিখলা কবে?
-শিখি নাই।
- তাইলে বলতেছো ক্যামনে?
- বলতেছি না।
-তাইলে আমি শুনতেছি ক্যান?
- কারণ আপনে স্বপ্ন দেখতাছেন।
২.
ইউটিউব দুষ্ট হইয়া গেছে। গত মাস দেড়েকের মধ্যে বহুত কিছু মুইছা দিছে। আগে প্রচুর বাংলা সিনেমা ছিল, নাটক ছিল। সেগুলা গেছে। ইদানিং শুরু হইছে ম্লেচ্ছ জিনিসপত্র মোছা। গত এপ্রিলমাস থিকা আমার ঘরে টিভি নাই। পরের জিনিস। পর আইসা বছর দুই পর একদিন নিয়া গেল। "গুটে ৎসাইটেন শ্লেষ্টে ৎসাইটেন" (good times bad times) নামে একটা অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং জটিল ডেইলি সোপ দেখতাম। টিভি চইলা গেলে সেইটা দেখা বন্ধ। তারপর একদিন ফ্রাইবুর্গবাসী আমার এর বন্ধুর কাছে সবিস্তারে এপ্রিল থিকা আগস্ট পর্যন্ত কাহিনি জাইনা ইউটিউবে সার্চ দিয়া পাইয়া গেলাম। একেবারে গত বছরের শুরু থিকা আছে। খুটুর খুটুর কইরা দেখা শুরু করলাম। নুয়া দেখলে গুয়া কামড়ায়। কথাটা ডেইলি সোপের নিয়মিত দর্শকের ক্ষেত্রে সবিশেষ প্রযোজ্য। দেখতে দেখতে আবার গতিজড়তার মধ্যে। এখন প্রতিদিন না হইলেও প্রতি তিন দিনে একবার কইরা এই নেভার এন্ডিঙ কাহিনির আপডেট না পাইলে পরান অস্থির করে। কাহিনি শুধু জটিল না রীতিমতো গিট্টু। শুরু হইছে সেই ১৯৯২ সালে। সাড়ে চাইর হাজার পর্ব অলরেডি শ্যাষ। এর মধ্যে কত লোক যে আইছে আর গেছে তার কোন হিসাব নাই। আমি শুরু করছি ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। প্রথমে দুই একটা পর্ব দেইখা বিরক্ত হইয়া বাদ দিছিলাম। পরে দেখি একবার কাহিনির কোন একটা সূত্র মাথায় ঢু্ইকা গেলেই ডেইলি সোপ বাদ দেওয়া রীতিমত যমের অসাধ্য। বিশেষ কইরা যদি ঐ নাটক হওয়ার সময়টায় কেউ ফ্রী থাকে। সকালে ঘুম থিকা উইঠা পেটে কিছু দিতে থাকার সময়টাতেই আরটিএল চ্যানেলে ঐটা দেখায়। সেই থিকা শুরু।
কইতেছিলাম কাহিনির কথা। আমি যখন শুরু করছি তখন জনের সাথে এমিলির প্রেম কিন্তু একই সাথে ক্লাসমেট পাওলারেও জন ভালো পায়, টিমের সাথে লেনার প্রেম, প্রফেসর ভেয়ার্নারের সাথে কী যেন নাম ভুইলা গেছির প্রেম, সেই কী যেন নাম ভুইলা গেছিরে আবার কে যেন ভালো পায় তার নামও ভুইলা গেছি, ক্যাথরিনের সাথে লিওনের প্রেম হয় আবার হয় না স্টেজ, ভিনসেন্ট তখন জনদের স্কুলের হেড মিস্ট্রেসের জামাই যদিও মহিলার অনেক বয়স কারণ ভিনসেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক তার কাগজ দরকার, ওদিকে ভেরেনা ভিনসেন্টরে ভালো পায় এইসব মিলাইয়া একটা পরিস্থিতি। এরমধ্যে হঠাৎ আবিস্কার হইলো যে এমিলি আসলে জনের সৎবোন। সেই ছ্যাঁকের শোকে জন আর আবিট্যুর (ইন্টারমেডিয়েট) দ্যায় না। পরে কী জানি এক্টা ট্রেনিঙ করে। তারপর থিকা তারা ভাইবোন। এইসব বালছাল পার হৈয়া বছর খানি পরে পরিস্থিতি দাঁড়াইল ভিনসেন্টের সাথে হেডমিস্ট্রেসের ছাড়াছাড়ি হৈল কিন্তু ওদিকে আবার ভেরেনা বিরক্ত হৈয়া ভিক্টররে বিয়া করার ঘোষনা দিয়া দিছে। সেই বিয়ার দিনটা ছিল ৩৩৩৩ নম্বর পর্ব। সেইখানে অনেক কান্ড কইরা শেষ পর্যন্ত বিয়ার আসর থিকা ভেরেনা পলায়। ভিনসেন্ট গিয়া তারে উদ্ধার করে। তারপর তাদের প্রেম শুরু। ওদিকে বিয়ার আসরে এতগুলা লোক বইসা আছে তাদের কী হবে? এই যখন পরিস্থিতি তখন জন আর পাওলা বোম ফাটাইলো। তারা বিবাহ করতে চায়। চার্চের ইমাম সাহেব মহানন্দে তাগো বিয়া পড়াইলেন। এরপরে প্রায় বছর খানেক দেখা হয় নাই। এর মধ্যে বহুত নতুন লোক আইছে গেছে। ২০০৬ সালের জুনের শেষে অসুস্থ থাকার সময় আবার টিভি দেখা শুরু করলাম। একদিকে বিশ্বকাপ আরেক দিকে গুটে ৎসাইটেন শ্লেষ্টে ৎসাইটেন। দেখি জন আর পাওলা ঠিকাছে। এমিলি ফ্যাশান ডিজাইন করে। তার প্রেম হয় নাই। এমিলির জমজ ভাই ফিলিপের প্রেম হইছে ফ্রান্সির সাথে। প্রফেসার ভেয়ার্নারের সেই নাবালিকা বান্ধবী টিমের সাথে ঝুইলা পইড়া তারপর কোনভাবে মারা পড়ছে পোলা পয়দা কইরা। তারপর নানান মামলার পরে সেই পোলা টিমের কাছেই থাকে। লেনা যে কই গেছে আর জানা গেলো না। তারপর আবার অনেকদিনের গ্যাপ। সেই সময়টা ব্লগ গরম। ব্লগের থিকা বড় কোন এন্টারটেইনমেন্ট নাই দুনিয়াতে। ২০০৭ এর একেবারে শেষে একদিন উঁকি দিয়া দেখি কাহিনিতে অনেক নতুন টুইস্ট। তারপর আবার কিছুদিন বাদ গেলো নানান ঝামেলায়। এর মধ্যে এপ্রিলে টিভি চইলা যাওয়ার পরে একদিন ফ্রাইবুর্গের বন্ধুর কাছে আপডেট পাইয়া শুরু করলাম ইউটিউবে আবার দেখা। এইবার বিশাল ঝামেলা। হের বাখমান মরার পরে তার তিন পোলা মাইয়া( লেনা কৈ গেছে জানিনা) একলগে থাকা শুরু করার পরে এমিলি আলাদা বাসায় গেছে গা কারণ সে জনের বৌ পাওলারে দেখতে পারে না। এদিকে কেমনে কেমনে জানি ফ্রান্সির সাথে পাওলার খাতির বাইড়া গেল গা। বাড়তে বাড়তে একেবারে সব্জিকামের দিকে। সেইটা প্রথমে জানজানি হওয়ার পরে তো বিশাল কান্দাকাটি। দুই জা সমকামী হইলেও ওদিকে দুইভাই শেষ পর্যন্ত সামুকামীই থাইকা গেলগা। প্রথমে তারা দুইজনই ভাবতে চাইল, না তারা কেউই শাকসব্জি ভালোবাসে না। এরমধ্যে কী এক্টা জানি ট্রেনিঙের পরে পাওলা ঠোলা হইয়া গেলো। ওদিকে এমিলি শুরু করছে হেরোইন খাওয়া। পাওলা একদিন ধইরাও ননদের খাতিরে ছাইড়া দিলো। কিন্তু এমিলি আর থামে না। সে ফ্রান্সিরেও মাল ধরাইল। ওদিকে জনের লগে পাওলার দ্রবণ ক্রমশ ক্রিস্টাল হওয়া ধরছে। তার ডিরেকশান চিলিঙের দিকে। ঠোলার জীবনে অতিষ্ঠ পাওলা আবার যায় ফ্রান্সির কাছে। তারে তওবা করায় যে আর মাল খাইবা না। এদিকে পাওলা ডিউটিতে গেলে এমিলি তারে নিয়া নানান পার্টি ঘুইরা টালটক্কর হইয়া বাসায় ফিরে। ফ্রান্সি কী জানি এক্টা গরম করতে রান্নাঘরে গিয়ে স্টোভ বার্স্ট কইরা পটল তোলে। পাওলা মামলা করে এমিলির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে জনের লগে ডিভোর্সও হৈয়া যায়। তারপর সেই মামলা চলতে থাকে। ওদিকে আরো নানান চরিত্ররা আরো নানান কিছু করতে থাকে.......
আপ্নারাই কন, কাহিনিটা পৃথিবীর কোন সিরিয়াল থিকা কম জটিল?
৩.
১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে একটা অ্যাকসিডেন্টে ডান হাতের অনেকগুলি শিরা আর ধমনী কাটা পড়ে। তখন ছায়ানটে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলাম। তবলায়। হাসপাতাল থেকে বের হবার পর সবই ফেরত পেলাম। শুধু তবলাকে ভুলতে হলো। মোটেও ভালো বাজাতাম না। বাজনার হাত বেশ খারাপই ছিল। তবু চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম। তবলাগুলি কোথায় কার কাছে হারিয়েছে জানি না। ডায়রীটা অঞ্জনের কাছে। কিন্তু বোলগুলি মাথায় থেকে গেছে। সারেঙ্গীর বাজনা শুরু হতে কানিতে টোকা পড়লেই কে যেন খচ্ করে বুকের মধ্যে ছুরি মারে।
আজ বিকালে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ দেখি ওস্তাদ আহমদজান থিরাকাওয়ার কিছু ক্লিপ। ওস্তাদজীর নাম বলতে বলতে কানে হাত চলে গেল। তাহ্জীব-এ-মৌসিকী বলে কথা।
লিঙ্কগুলি সচলে দিলাম। আমি শুধু শুনে শুনে সঙ্গীতের ভক্ত। তত্ত্বকথা আমি জানি না।
মন্তব্য
!!!!!!!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এরেই বলে প্যাঁচ। বহু যত্ন করে কাহিণীসূত্র অনুসরণ করছিলাম। অবশেষে হাল ছাড়তেই হল।
প্রবাস জীবন নিয়ে কিছু করার চিন্তা আমারও মাথায় ঘুরে। আমারও অবস্থা খারাপ + বালছাল অবস্থা তো। নজু ভাইয়ের কাছ থেকে "স্ক্রিপ্ট রাইটিং ১০১" জাতীয় কিছু একটা দরকার। যা-সব দিন কাটাই বাইরে, তা কোন ড্রামা সিরিয়ালের চেয়ে কম না। টুকটাক লিখে নজু ভাইরে ধরায় দেওয়া যায়। আপনার এই জর্মনদেশে বঙ্গালী রিশকা দিয়েই শুরু হোক।
ডেইলি সোপের মহিমাই এইখানে....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এক মাইয়া স্বপ্ন দেখতেসে, সে নির্জন রাস্তা দিয়া হাঁইটা যাইতেসে, আর তারে ফলো করতেসে এক পুলা। মাইয়া যেইদিকে যায়, পুলাও সেদিকে। এক সময় মাইয়া ঘুইরা দাঁড়াইয়া পুলাডারে জিগায়, "আপনে আমার পিসে পিসে আসতেসেন ক্যান?"
পুলায় কয়, "সেইটা আমি কইত্তে জানুম? আপনের স্বপ্ন, আপনেরই তো জানার কথা!"
আপনার স্বপ্নের কাহিনী শুনে মনে পড়লো কৌতুকটা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- এক পর্যায়ে এসে ডেইলি সোপের খেই হারিয়ে ফেললাম। আমি একটা দেখতাম বিয়ানকা, ৎসেটডেএফ এ। এরকমই প্যাচানো কাহিনী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুয়েক্টা পর্ব দেখছিলাম মনে হয়। একবার উন্টারউনস্ শুরু করছিলাম। ঐটা মনে হয় সব থিকা ফালতু।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আপনার প্যাঁচ মারা সিরিয়ালের কাহিনী অর্ধেক পইড়াই আমার দম শ্যাষ। গিজগিজ্যা , পুরাই গিজগিজ্যা অবস্থা
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হুম পানপর্বের কথাই ভাবতেছিলাম। গুট প্রস্তাব।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- এইবার প্রতিযোগিতা হবে। সামনে রাখা হবে অদৃশ্য প্রাইম নাম্বার সিরিজ আর দৃশ্যমান সিলভার টিকিলার বোতল (ভরা)। ফোর্থ শটের পর প্রতি এক শট ডাবলের পর একবার করে সিরিজ বলতে হবে। ভুল গেয়া তো সামঝো হার গেয়া।
রেফারী আমি, সিরিজ ঠিক হইলো কি হইলো না, এই ডিসিশন কে দিবো সেইটা নিশ্চই আর বলে দেওয়া লাগবে না! আমার সামনে টিকিলা গোলডেনের ভরা বোতল থাকতে হইবো, স্পন্সরড বাই পার্টিসিপেন্টস!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুই খান কতা ওস্তাদ
১
ভাল-মন্দ সময়ের লেখায় মেলা কাহিনীর ভিত্রে এই কতাডা হাছা কইছেন-
ব্লগিং-এর চেয়ে বড় এন্টারটেইনমেন্ট নাই।
২
আমার কেছেও টিভি নাই।
৩
আমারও (তবলায়) চাটি মারার (বদ) অভ্যাস আছে।
ছায়ানটে চার বছর শেখার পর বাজাইতে না পারলে কেমন কষ্ট লাগে তার ধারে কাছে যাইতে না পারলেও কদ্দূর অনুমান করতারি। সমবেদনা ছাড়া আর কী করতে পারি!
তয় ওস্তাদ হাতে কম প্রেসার লাগে এমন কোন যন্ত্রের কতা চিন্তা কইরা দেকতারেন। বাঁশী জাতীয় কিছু।
৪
আর কিছু না বাজাইতারলে বালছালই লেহেন, এগুন মজাই লাগে।
বালা থাহেন গুরু।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এখন কীবোর্ড (কম্পুর )ছাড়া আর কিছুই বাজাইতে মন চায় না। তাই বালছালই লিখি।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ডাইরিটা আছে এখনও সাথে ...
আমার তবলা-বাঁয়াও খোয়া গ্যাছে ম্যালা আগে। ড্রামা'র সজল খচ্চরটা মেরে দিয়ে নানান গপ্পো ফাঁদছে, ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাইছে বহুদিন। পরে তিতিবিরক্ত হয়ে মাপ কইরা দিছি।
আমার অফিসটা ধানমন্ডি ২৭ এ ছিলো এতোদিন। প্রতি বৃহ:বার বিকেলে স্কুলটার পাশে গিয়ে দাঁড়াইতাম। একটা সিগারেট ধরাইয়া ভাইসা আসা লহরা, টুকরা গান, হারমোনিয়াম এর প্যাঁ পোঁ শুনতাম। কোন কোন দিন দেখতাম ওমর ভাই, সানি ভাই, মুকুল, শান্তুদা'রা বারান্দার কোনায় গোল হইয়া আড্ডা দিতাছে।
মন খারাপ হইয়া যায় কেন য্যান...
shafayet
ছায়ানটের দালানটা দেখা হয় নাই...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমি ডেইলি সোপ ডরাই। দেখি নাই জীবনে। নিজের হাউজে ডেইলি শুরু হইতেই ফুটলাম...
আপনার পুরা লেখাটাই পড়লাম শুধু কাহিনীটুক ছাড়া...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিতো বাসায় টি,ভি, লাইন কাইটা দিছি। গত দুইদিনে আমার যা অবস্থা বউ আবার অর্ন্তজালের লাইনটা না কাটলেই হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ওস্তাদ আহমদজান খিরাকাওয়ার সাহেবের এতদিন শুধু নামই শুনেছি আপনার কল্যানে আজ বাজনা শুনলাম। শব্দটা কী খিরকায়া নাকী থিরকাওয় হবে?
তবে গেড়ুয়া পোষাকের পিচ্ছিটার হাতরে ভাই। কত দ্রুত আর কত পরিস্কার বাজে বাণি গুলো বাপরে বপ!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এখানে ক্লিক করে শোনতে পারেন আমার টুংটাং..
http://www.sachalayatan.com/doll/19050
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
থিরাকাওয়া।
টাইপো মেরামত হৈল। আপনার বাজনা শুন্তেছি।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুন্দর সুন্দর মাইয়াই শুধু দেখা যায়। কাহিনীর কোন আগামাথা নাই। মাঝে মাঝে মাইয়া দেখতে চাইলে এই সিরিজ অন করি
আমি ফারলিভট ইন বার্লিন সিরিজটা মোটামুটি দেখেছিলাম। তারপর আর সিরিজের কাছে ঘেষা হয়নি। এখন হিরোস, ড: হাউস দেখা হয়। ড: হাউস দেখতে পারেন । বেশ ভালো অভিনয়।
হেহে...
ফেরলিবট ইন বার্লিন একসময় দেখছিলাম কিছু পর্ব। লিজা চইলা যাওয়ার পরে সেই যে বাদ দিছি আর দেখা হয় নাই। যেগুলার নাম কইলা ওগুলা দেখুমনে খুইজা।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- এইটা ঠিক, জার্মান সোপ গুলাতে কইত্তে যে এইরকম পেলাশটিকের মতোন সুন্দর ললনা ইমপোর্ট করে বুঝি না।
একবার ডর্টমুণ্ডে গিয়া টাংকি মারার সময় এক মাইয়া কয়, "তোমাগো কোলনের ললনারা তো অনেক সুন্দর!" আমি তো পুরা টাশকি, "কয় কি হালায়?"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খিচুরির লগে জগা মিশাইয়া যা ছাড়লেন তা খাইয়া আমার পেটের ভিত্রে যে বাজনা বাজতাছে তার বোল তো কইতে পারুম না। তয় তালটা যে আউলা সেইটা বইলা দিতে পারি।
এক্কেরে ধরাইয়া দিছেন। মাঝে মাঝে এমুন ধরানিও মন্দ না। চালাই যান।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আরো লিঙ্ক দিতাম কিন্তু ইউটিউব ছাড়ে না...কয় আপলোডারের মানা আছে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সিরিজের এরকম জটিল কাহিনী আপন মনে রাখলেন কী করে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মনে রাকে নাই তো। উ নতুন কইরা বানাইছে।
এ:
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
একসিডেণ্টের কথা শুনে খারাপ লাগলো। জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়া...
কাহিনি পড়ে আমার মাথা আউলাইয়া গেছে। ক্যাম্নে কী...
=============================
নতুন মন্তব্য করুন