২৫ তারিখ সকালে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে একরকম বিশ্রামহীন সময়। খবর দেখা আর খবর শোনা, শুনতেই থাকা দেখতেই থাকা। মাঝে মাঝে বাড়ির খবর নেওয়া আর সচলায়তনসহ বিভিন্ন সাইটে ঢুকে পোস্ট আর কমেন্টগুলির দিকে বোবা দৃষ্টি দিয়ে আবার এখানে সেখানে সংবাদের সন্ধানে। দেখতে থাকি শুনতে থাকি। কিছুই কি বলার নেই? অনেক কিছুই আছে। কিন্তু সবই কেউ না কেউ বলছেন। তবে কারো বলাতেই আমার ভাবনাগুলোর মতোই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বাইরের কোন সারমর্ম নেই।
১.
উঁচুতলার মানুষের বিরুদ্ধে নিচুতলার মানুষের যেকোন বিক্ষোভ-বিদ্রোহেই শ্রেণী সংগ্রামের মৌলউপাদান থাকে। তবে নেতৃত্ব স্ট্র্যাটেজি আর শেষতক ধান কার গোলায় উঠলো সেখানে বিপ্লবী/প্রতিবিপ্লবী চরিত্র নির্ধারণ হয়। যেভাবে ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর ভোররাতের সেপাই সেপাই ভাই ভাই অফিসারদের রক্ত চাই দুপুর নাগাদ তার প্রতিবিপ্লবী চরিত্র স্পষ্ট করে; সামরিক শাসন উপদ্রুত প্রাক-ঔপনিবেশিক রাজনৈতিক কাঠামো সেই দুষ্টচক্রেই পরবর্তী বিক্ষোভগুলির সমাধি পাকাপোক্ত করে। সেপাইরা ক্ষনিকের জন্য হয়তো বুঝতে পারে দাবা খেলায় বড়ের ভুমিকা কী এবং কেন।
কিছু রেকর্ডপত্র ঘাঁটলাম বিভিন্ন দেশের। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো কিছু সামরিক শাসন উপদ্রুত দেশ বাদে বেশীরভাগ গণতান্ত্রিক অবকাঠামোর দেশেই (জার্মানী, ভারত) সীমান্তরক্ষী বাহিনি সামরিক বাহিনির কর্তৃত্বের বাইরে। জনপ্রতিনিধিত্বশীল শাসন কাঠামোতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র বাহিনিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমরা ঔপনিবেশিক কাঠামোতে ঠিক কবে বা আদৌ কোন পরিবর্তন অদূর বা সুদুর ভবিষ্যতে আশা বা আশঙ্কা করতে পারি কী না তার কোনটাই জানা নেই।
২.
রাষ্ট্র তাঁর চরিত্র মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে। কতিপয় কলাম লেখক/ব্লগ লেখকের কলমের তোড়ে তাঁর চরিত্রে আঁচড় পড়বে না। যেভাবে পড়বে বা কীভাবে পড়বে সেই ধাঁধাঁ থেকে মুক্তির পথ কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই আছে এরকম ভেবে একেকটা সঙ্কট থেকে আপাতত স্বস্তি পাওয়াকেই পরমার্থ ধরে নিতে মধ্যবিত্ত রক্ত অভ্যস্ত। সেই অভ্যাসগুলিকেই বরং ঝেড়েপুছে চকচকে করে রাখি।
৩.
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে থামবে সেই প্রশ্নও সাধারণ প্রশ্নের সীমা ছাড়িয়ে ধাঁধাঁয় পরিণত। অভিজ্ঞতা বিশ্লেষন কতটা কার্যকর সেই প্রশ্নের অস্তিত্ব স্বীকার করেও অভিজ্ঞতাগুলিকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। অভিজ্ঞতা বলছে গরীবের ঘরে আগুন না দিয়ে মহাজন সঙ্কটমুক্ত হন না। এই অভিজ্ঞতা বিশ্লেষন ভুল হোক। আর ঠিক হলেও আগুন লাগা গরীবের ঘরটা যেন আমার ঘর না হয়, তসবীহ্ র পুঁতিতে সে কথাই খোদাই করে রাখছি।
৪.
ডিলানকেই স্মরন করে এই সব মেনে নেওয়া দীর্ঘশ্বাস প্যাকেট করে পকেটে পুরি। মন খারাপ করা গুড়ি গুড়ি মেঘলা দিন কাটিয়ে তুমুল বৃষ্টি নামুক।
মন্তব্য
এইটা হইল গিয়া খাঁটি কতা! আরো অনেক অনেক খাঁটি কতার সন্ধান পাইলাম পোষ্টটাতে। "বুইড়া আঙ্গুল" উপরে তোল্লাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
হ।
ইজি থাকতে হবে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সঠিক লক্ষ্য ও নের্তৃত্বহীন বিদ্রোহ, সবচেয়ে বিপদে ফেলে বিদ্রোহীদেরই। কিন্তু এ ছাড়া কি তলার খবর যে এরকম, বাহিনীগুলো যে অরক্ষিত, তা কি জানা যেত? এগুলো সুপরা-ইভেন্ট। যেমন ৯-১১, এগুলোর ভেতরের সত্য কখনোই আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার করা হয় না।
মগজের কারখানা তাই চালু রাখাই কাজ।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ঐ জন্যই অন্তত কী-বোর্ডটা এট্টু আট্টু চলে....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
চলুক মগজের কারখানা। মগজকেও বেঁধে রাখা যায়, কিন্তু কঠিন।
শস্য-ফল কার গোলায় উঠলো সেইটা দিয়ে সবসময় বিপ্লব/প্রতিবিপ্লব নিয়ে সিদ্ধান্ত টানা যায় না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তাই কি?
বিপ্লব/প্রতিবিপ্লব দুইটাই তো মনে হয় অবস্থান সাপেক্ষে ফলাফল নির্ধারিত মন্তব্য। যতদূর মনে হয় সেইখানেই বিদ্রোহ আর বিপ্লবের পার্থক্য।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ঘোলাটে বক্তব্য। কষে পাঁচতারা দাগানো হইলো। অর্থনৈতিক সঙ্কটই এখন সবচেয়ে এলেমদার প্রবলেম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পরিস্থিতি ঘোলাটে বক্তব্যের অনুকূল।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হুম, সিরাতুল মুস্তাকিমে গেলে বিপদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মোহাম্মদপুরে মুস্তাকিম নামে একজন কাবাব বিক্রেতা ছিলেন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
যার কুয়াব মাইষ্যে খাইত। আর হে খাইত চিড়া দই।
লেকা টাইট হৈছে। ভ্রান্তির কোপানলে পইড়া কোপাকুপিই তো জীবন এবং যৌবনের হেনদু খিস্টান বোইদ্দ এবং ইসলাম ধর্ম।
সাধু সাধু সাধু....
সাধু?!!!???
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তাইলে সাধু...
মোস্তাকিমের কাবাবের সেই স্বাদ এখনার নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
লেখা গুল্লি হইছে
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ঠিকাছে
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
ডাঙ্কে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
গানটাই শুন্তাছি বরং...
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
যতদিন মহাজন থাকবে গরীবের ঘরে আগুন লাগবেই........
নতুন মন্তব্য করুন