মে দিবসে সেই কালো লোকটার কথা

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০১/০৫/২০০৯ - ৫:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরোপুরি কর্পোরেট হতে কিংবা কর্পোরেট আচরনে পৌঁছতে মিডিয়ার খানিক সময় লেগেছিল। সময় লাগানোটা হয়তো ইচ্ছাকৃত হয়তো নয়। তবে বাজারে চাহিদা এমবেড করার ব্যাপারটা ঘটনা। এসব কথা কেন বলছি? কর্পোরেটায়িত মিডিয়ার কল্যাণে বিস্মৃত হয়েছেন হয়ে চলেছেন খুব নিকট অতীতের কিংবদন্তীরা। কার কাছে বিস্মৃত হচ্ছেন? সকলের কাছে নিশ্চয়ই না। তার একটা কারণ বাজার সামলাতে প্রযুক্তি এমনভাবে বিকশিত হয়েছে, যা দিয়ে অতীতের অনেক মার্কেটবাজীর গোমর ফাঁক হয়ে যাচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রকদের অতি অপ্রিয় কিংবদন্তীরা আড়মোড়া ভাঙছেন মিডিয়ার এখানে সেখানে।

আজ থেকে ১১১ বছর আগে, মে দিবসের বারো বছর পরে নিউজার্সীর প্রিন্সটনে পলাতক কৃতদাসের ঘরে জন্মেছিলেন এমন এক কিংবদন্তী পল রোবসন। বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, ফ্যাসীবাদ বিরোধী সংগ্রাম থেকে শুরু করে তাবৎ নির্যাতিত শ্রমজীবি মানুষের মুক্তি আন্দোলনে তাঁর অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠ বিশ্ববাসী শুনতে পেয়েছে।

রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য জন্মভুমিতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পল রোবসন। মুক্ত দুনিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর রেকর্ড বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছিল। তাঁর পাসপোর্ট পর্যন্ত আটক করা হয়েছিল। সারা পৃথিবীর প্রগতিশীল সংগ্রামী মানুষ প্রতিরোধ করেছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মতো সংগ্রামীরা তাঁকে নিয়ে গান গেয়েছেন।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

পল রোবসনের জীবনবৃত্তান্ত খানিক নেট ঘাঁটলেই বের হয়ে আসবে। আমার আগ্রহ তাঁর গানে। নব্য উদারতাবাদ একদিকে সস্তা শ্রমের বাজার বিস্তৃত করে চলেছে আর এক দিকে কৃত্রিম মধ্যশ্রেণীর মগজে গুঁজে দিচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর অনস্তিত্বের বাটপারি ধারণা। নিজে শ্রমিক বলেই শ্রমিকের অস্তিত্ব জানি, বুঝি। শ্রমিক শ্রেণীর মতো পল রোবসনের গানও তাই আমার কাছে জীবিত।

একটা ডকুমেন্টারি পাওয়া গেল ইউটিউবে :

পল রোবসনকে আমার মে দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

দুনিয়ার মজদুর এক হও !

ছবি উইকি থেকে।


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মে দিবসে এমন একটা বিপ্লবী লেখা ও গান উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে সাধুবাদ।
---
পল রোবসনকে মে দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
দুনিয়ার মজদুর এক হও!!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দুনিয়ার মজদুর এক হও!



অজ্ঞাতবাস

পলাশ দত্ত এর ছবি

মজদুর? এক হবে? মধ্যবিত্ত মজদুরদের নিয়ে সন্দেহ আছে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মজুর হলে সমস্যা নেই। মধ্যবিত্তের পৃথিবীকে শেষ কথা ভাবলে সমস্যা আছে।



অজ্ঞাতবাস

সবুজ বাঘ এর ছবি

হ্যারা আমাদের গান গাইতে দিব না পল রবজন.......

সুমন চৌধুরী এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসিব এর ছবি

কাগু কৈলাম বিজেপির হয়া ইলেকশনের খাড়াইছিলো । খুউউউব খিয়াল কৈরা ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গান বাতিল হয় না। গায়কের নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বাদ হয়।



অজ্ঞাতবাস

হাসিব এর ছবি

আমার কাছে হয় । এই একই কারনে আমি আল মাহমুদরে বাতিল করছি ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ এই লুক ডিগ্বাজী মারছে। হয়তো ইন্ডিয়ার মজহারগো কাছে এর নানান যুক্তিও আছে। কিন্তু আমি সেই তখন থিকা এর গান শুনা বাদ্দিছি। ( এই গানটা সে ভালৈ গাইছে)



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

নাৎসীদের বিরুদ্ধে কথা খুঁজতে হবে ক্যান? ওগুলাতো ডিফল্ট। যেই কারণে জামাত বিরোধী একই কারণে হিটলারের এনএসপিডি আর আজকের এনপিডির বিরুদ্ধে। এনপিডি নিষিদ্ধ করার জন্য এখনো নিয়মিত ক্যাম্পেইন হয়। একটা মামলাও ঝুইলা আছে কোর্টে। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন আর ক্রিশ্চিয়ান সোশাল ইউনিয়নের জন্য সম্ভব হইতেছে না।

এগুলি কথা না। কারণ তুলনাটা জুইতের হয় নাই। যেইসব জার্মানরা হিটলারের বিরুদ্ধে ছিল তারা তো আর সংখ্যায় কম না। তারা রীতিমতো যুদ্ধ করছে সেই সময় স্বদেশের বিরুদ্ধে। কথা হইতেছিল ব্যক্তির ডিগবাজী নিয়া। রাজনৈতিক অপরাধ ক্ষমা করা মুশকিল। তথাকথিত সামাজিক নৈতিক অপরাধরে ব্যক্তির সীমায় ফালানো যায়। রাজনৈতিক অপরাধের জের জনগণের উপর গিয়া পড়ে। আল মাহমুদের উদাহরণটা ঠিকাছে।



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার কিন্তু মনে হৈতেছে তুমিও আমার কথা বুঝো নাই।

আমি যদ্দুর জানি আমি নাৎসী জার্মানীতে আসি নাই।

পেটের দায়ের কথাটা ঠিক। তবে পেটের দায়ে নাৎসী জার্মানীতে আসতাম না।(আসার কোন সুযোগও থাকতো না)

আমি আবারো জাগামতো ফোকাস করি। কথাটা হইতেছিল ব্যক্তি নিয়া। প্রসঙ্গ ঠিক রাখো।



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অসুবিধামতো প্রয়োগ করার কোন তত্ত্ব কি আছে?

বর্জনের প্রসঙ্গটা দেশের ক্ষেত্রে আসতে বিরোধ যেই জায়গায় আসতে হয় তার মাত্রার কমবেশীর সম্পর্ক আছে। (ইসরায়েলের সাথে উদাহরনটা ভুল দিছো। ইজরায়েলের সাথে সম্পর্ক রাখতে পশ্চিম জার্মানীরে বাধ্য করা হৈছিল।) নীতির প্রশ্নে আসলে বলবো ন্যাটোভুক্তিই তোমার জন্য মোক্ষম উদাহরণ ছিল। জার্মান জাতির অনেক কিছুই আছে যা শুধু আমার না পৃথিবীরও প্রয়োজন। এইখানেই ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি, জাতি আর রাষ্ট্রের বিরোধটা সামনে চইলা আসতেছে। চাইরটার চাইর অর্থ। রাজনৈতিক বিচ্যুতির মাত্রা যেইখানে গেলে একজন ব্যক্তিরে বর্জন করা যায় ভূপেন হাজারিকা সেইখানে গেছেন। তিনি প্রবল বামপন্থী ছিলেন। পল রোবসনের কাছে গণসঙ্গীতের তালিমও নিছেন। পরে টাকা খাইয়াই হোক আর মস্তিস্ক বিকৃতি থিকাই হোক তিনি ডিগবাজী দিছেন। ব্যক্তি ভুপেন হাজারিকার সাথে আমার যে বিরোধ জার্মান জাতির সাথে সেইটা নাই।



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। কোথায় কিসের বৃত্তি, তার পরিমান কতো, পরে কী করার আছে না আছে এরকম অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আর তাছাড়া গবেষনার ফান্ডিং আমেরিকা জার্মানদের চেয়ে বেশী দেয় না। আমাকে যদি কখনো জার্মানী থিকা কোন পেপার পড়তে আমেরিকা যাইতে হয় তো যাবো!
আবারো বলতেছি জিনিসটা ব্যক্তির পর্যায়ে আনলে প্লাউজিবল থাকে। তোমার প্রশ্নটা হৈতে পারতো আমি পেন্টাগনের টাকা খাইয়া গরীব দেশে ভূয়া উন্নয়ন তত্ত্ব বেচতে যামু কি না। এই প্রশ্নটা ভূপেন হাজারিকা কেইসের সাথে মিলে।



অজ্ঞাতবাস

অমিত এর ছবি

হালাল পয়সা বইলা কিছু নাইগো বদ্দা

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি কি হালাল পয়সা নিয়া আলাপ করতেছি?



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমারো দেঁতো হাসি

পুনশ্চ: আইজকা অন্য আরেকজনের জন্য ইউটিউব থিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর কিছু লিঙ্ক বাছাই কইরা একটা আর্কাইভের মতো করার চেষ্টা করলাম। যদিও ইউটিউবের কোন ভরসা নাই।

সময় থাকলে উঁকি দিতারো।



অজ্ঞাতবাস

অমিত এর ছবি

"কোথায় কিসের বৃত্তি, তার পরিমান কতো, পরে কী করার আছে না আছে এরকম অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। "---

এটার জন্যই আর কি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই নির্ভরতায় কি হালাল হারামের প্যারামিটার আছে?



অজ্ঞাতবাস

অমিত এর ছবি

কেউ যদি সেইভাবে দেখতে চায়, তাইলে হয়ত পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
এঘুলা আপাতত থাক, গান শুনি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সেইটাই।

আমার মনে হয় এই পোস্টে কিছু গানই পোস্টাইছিলাম দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

হিমু এর ছবি

নাৎসি জার্মানীতে যেতে হলে একটা টাইম মেশিনও লাগবে। ১৯৪৫ সালে নাৎসি জার্মানীর আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটে। আরেকটা উপায় হচ্ছে পূর্ব জার্মানীর চিপাচাপার কোন শহরে বেকার ইয়াং পোলাপাইনরে প্রচুর বিয়ার খাওয়ানো। তখন একটা নাৎসি জার্মানীর সিম্যুলেটেড পরিবেশ পাওয়া যেতে পারে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হিমু এর ছবি

নাৎসিদের উদাহরণটা ছাগুটাইপ উদাহরণ হয়ে গেছে। গ্যালারিতে বইসা দেখলাম না। মাঝে মাঝে বল লইয়া নামলাম। সমস্যা আছে?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হিমু এর ছবি
হিমু এর ছবি

বিপুলানন্দ পাইলাম। জার্মানী ইসরায়েলের সাথে অস্ত্র বিনিময় করলে আমার কি? জার্মানী বা ইসরায়েল কেউ বাংলাদেশের (কিংবা আমার) পিছনে আঙুল দিয়েছে বলে আমি মনে করতে পারছি না। লেখাপড়া করে এরকম কোন উদাহরণ পেলে আমাকে জানাইস তো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশে তুই আমি অস্ত্র বানাইতে পারি নাই দেইখাইতো জার্মানরা ইসরায়েলের লগে খাতির করতে গেল। দোষ তো তোর আমার।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পোস্টের পরে এই আলাপ্টাও ভাল্লাগছে---

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দুনিয়ার মজদুর এক হও! মেহনতী মানুষের জয় অনিবার্য!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শাহীন হাসান এর ছবি

শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ অনেক...!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

হাসিব এর ছবি

দুনিয়ার মজদুর এক হও, লড়াই কর ।

আইজকা টিয়ার গ্যাস খাইলাম অনেকদিন পরে । তয় নিও নাৎসিরা কোন সুবিধা করতারেনাই । জাঝা খায়া ভাগছে । বানহফ পুরা এ্যানটিফার দখলে আছিলো ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পোস্টাও এইটার উপর।



অজ্ঞাতবাস

দ্রোহী এর ছবি

পল রোবসনকে আমার মে দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

দুনিয়ার মজদুর এক হও !

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লাল সালাম!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

অমিত এর ছবি

আমি একটা কথা ভয়ে ভয়ে জিগাইতে চাইছিলাম
দুনিয়ার মজদুর এক হও বলে যারা চিক্কুর পারলেন, তাদের মধ্যে কয়জনা কৃষিকাজ অথবা শ্রমিকদের মত কায়িক শ্রম করতে ইচ্ছুক ? অথবা একই পেস্কেলে কাজ করতে আপত্তি নাই ?
ভূপেন হাজারিকার প্রশ্নে আমি অরূপের লগে একমত। গান বলেন, বক্তব্য অথবা থিওরি যাই বলেন, এদের একটা স্ট্যান্ডঅ্যালোন এক্সিসটেন্স আছে বলে আমি মনে করি। ভুপেন, উপেন, নৃপেন গোল্লায়, ত্রিভুজে, চান্দে যেখানে খুশি যাক, "মানুষ মানুষের জন্য" কথাটাতো ভুল না !

হিমু এর ছবি

ভুপেন, উপেন, নৃপেন গোল্লায়, ত্রিভুজে, চান্দে যেখানে খুশি যাক, "মানুষ মানুষের জন্য" কথাটাতো ভুল না !

চলুকচলুকচলুক



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

একই পেস্কেলের কথাটা ঠিক। যেই কারণে দেশে কম বেতনে হোয়াইট কলার জব না কইরা ইউরোপে কামলা দিয়া খাই আর সেই কামলাটা এখনো কায়িক। তবে সেইটা অবশ্যই কামলাত্ব ঘুচানোর জন্য। দরিদ্র কৃষকরা বা শ্রমিকরা যেই কায়িক শ্রম যেই পেস্কেলে দেন সেইটা তো আর তারা হোগার বিষে দেন না। তাদের গলায় পাড়া দিয়া বাধ্য করা হয়। ঐটা কেউ স্বেচ্ছায় গ্রহণ করে না।

ভুপেন হাজারিকা প্রশ্ন আমি হাসিবরে দেওয়া আমার প্রথম জবাবটাতেই থাকবো। গানগুলি শিল্পকর্ম হিসাবে থাইকা যাবে শিল্পগুণের কারণে। যেই কারণে ফররুখ আহমেদের কবিতা থাকবে সেই একই কারণে। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়া উনি ব্যক্তি হিসাবে যেই রাজনৈতিক অপরাধ করছেন, কেউ তাঁরে যদি ক্ষমা না করে সেই ক্ষেত্রে তারে কোন দোষ দেওয়া যায় না। গানগুলির একটা রাজনৈতিক চরিত্র ছিল, যেইটা জনগণের পক্ষে। ব্যক্তি জীবনে উনি তার বিপরীতে এমন একটা ডিগবাজী মারছেন যেইটার গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা শুন্যের কোঠায়।



অজ্ঞাতবাস

তানভীর এর ছবি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাদেরকে এই পুঁজিবাদী দেশে কেন আছেন এতদূর পর্যন্ত কখনো জিগাইতে লাগে না, নিজে নিজেই সবসময় ঢোল পিটায়ে কয়- কার্ল মার্ক্স অথবা কমিউনিজমের কোন আব্বা নাকি ভবিষ্যদ্বাণী কইরা গেছে আম্রিকায়ও একদিন কমিউনিজম শুরু হবে। তাই তার উত্থানটা দেখার জন্যই নাকি তাদের এইখানে থাকা জরুরী!

এই কথা কেকৈছে? গড়াগড়ি দিয়া হাসি



অজ্ঞাতবাস

তানভীর এর ছবি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাঁর নৈতিক আত্মরক্ষা প্রচেষ্টার জায়গাটারে বিদ্রুপেই ফেললাম। তবে যেই বাক্যটা তিনি বা তাঁরা বইলা ফালাইছেন সেইটার সাবজেক্ট ম্যাটারটা কিন্তু খুব ভুল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজকে যে মাতবরের জায়গার আসছে সেইটা কিন্তু তারা পাইছে খুব বেশী হইলে বছর সত্তর। পুঁজিবাদের চলমান কাঠামোরে অপরিবর্তনীয় ধইরা নেওয়ার কোন সুযোগ অন্তত অ্যাকাডেমিক্যালি নাই। ঐটা করতে গেলে রিপাবলিকান সমর্থক সাদাছাগুখেরেস্তান হৈতে হবে।



অজ্ঞাতবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।