আমার দ্বারা আর কখনো নিয়মিত লেখা আদৌ হবে কিনা আজ সারা দুপুরবিকাল ধরে সেটাই ভাবছিলাম। সচলায়তন খোলাই থাকে মোটামুটি সারাদিন। মাঝে মাঝে লগইন করে এদিক ওদিক ধুনফুন কমেন্ট করি, তারপর ভুদাই হয়ে বসে থাকি। কখনো দুইলাইন তিনলাইন লিখলেও মনে হয় এইটা আবার কী লিখলাম? কখনো গুণ গুণ করি, আমি সব দেখেশুনে ক্ষেপে গিয়ে বলি বাংলায়, ধুর বাল!
১.
গতকাল ছিল ২ আগস্ট। ১৯৯৯ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব একটা ঘটনা ঘটে। ছাত্রজনতার ধাওয়ার মুখে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা প্রাণ নিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। দেড়মাসের জন্য হলেও জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস সম্পূর্ণভাবে আমাদের নির্বাচনী রাজনীতির দুই স্তম্ভ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুই লুম্পেন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকেছিল। ১৯৭২ সালে থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সেই আগস্ট-সেপ্টেম্বরের ঐ কয়টা দিনই আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন বাংলাদেশের কোন শিক্ষাঙ্গন লুম্পেনদের দখলদারিমুক্ত ছিল।
ঘটনা অতি সংক্ষিপ্ত। খিয়াল কৈরা এইটা আর এইটা , এই দুইটা পোস্ট পৈড়া আসেন আগে। তাইলে এই পোস্টের এই অংশের সাথে মোটামুটি কমিউনিকেট করতারবেন।
১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে গণঅভ্যুত্থানের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সত্যাসত্য যাচাই কমিটি ধর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতাদের নাম প্রকাশ করতে বাধ্য হলে ধর্ষণকারী এবং ধর্ষণকারীদের সমর্থনকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নেতৃস্থানীয়রা ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়। ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরের ২৭/২৮ তারিখ থেকে একেবারে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পাস একভাবে মুক্তই ছিল। যদিও কিলার গ্রুপ তখন ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছিল, কিন্তু কেন্দ্রের আর প্রশাসনের সমর্থনের অভাবে তাঁরা তাঁদের প্রত্যাশিত ক্যারিশমা দেখাতে পারছিলেন না। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ সেই সময় একভাবে ক্যাম্পাস পাহারা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই ছিল না। অন্তত আমার হলে ঐসময় ঠিক এই বাস্তবতাই বিরাজ করছিল। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণকারী বরকতের নেতৃত্বে ধর্ষণকারী গ্রুপ তার সমর্থকদের আর সাথে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে তখনকার পত্রিকার রেফারেন্সমতে মোহাম্মদপুরের ইমনগ্রুপের সন্ত্রাসীদের নিয়া জাবি ক্যাম্পাসে ঢোকে। খুব মজার ব্যাপার হৈল ছাত্রলীগের কিলারগ্রুপ এমনিতে ক্যাম্পাসের ভিতরে খুব হম্বিতম্বি করলেও সেদিন ঠিকই বামপন্থীদের সাথে একসাথে আন্ডারগ্রাউন্ডে যাইতে বাধ্য হইছিল। এর মোটামুটি ৪৮ ঘন্টা পরে এই বামপন্থীদের নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিলের ধাওয়া খাইয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ধর্ষণকারীগ্রুপের সমর্থকরা হল ছাইড়া ভাগতে বাধ্য হয়। ঠিক এইটাই ইতিহাস। এইটা এমনই একটা ইতিহাস যেইটা সম্পর্কে গাফফার চৌধুরী টাইপ আওয়ামী বুদ্ধিজীবিদের অ্যাবসলুউটলি কিছুই বলার নাই। ইতিহাসের রেফারেন্সগুলি এতোই শক্ত যে আ করতে গেলেই আলা জিবলা বরাবর জুতা ফিক্কা মারা হৈবো।
আমি ঐ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী না। ১৯ জুলাই থিকা আমি হাসপাতালে। ছিনতাইকারীর কোপ খাইয়া ডান হাত আর বাম ঠ্যাং আকাশে দিয়া চিৎ হইয়া আছি। বর্তমানে সচলদের মধ্যে যূথচারী, সবুজ বাঘ, শশাঙ্ক আর আয়েশা আখতার সেই ঐতিহাসিক ধাওয়ার প্রত্যক্ষ অ্যাক্টিভিস্ট। সবুজ বাঘ সেদিন ঘুষি দিয়ে জনৈক রেপিস্টের জানালা ভেঙে ফেলেছিলেন। কেউ যদি সেই সময়কার ছবিগুলি দেখতে চান তাহলে ডেইলী স্টারের ১৯৯৯ সালের ১-৩ আগস্টের ইস্যু আর স্টার ম্যাগাজিনের যেই ইস্যুটা ২ আগস্টের পরে বের হয়েছিল সেটা জোগাড় করতে পারেন। ঐটা আমার কাছেও নাই। কেউ পেলে আমাকে একটা মেইল কইরেন, পাওয়ার উপায়সহ
২.
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়া নানানকম পোস্ট পড়তেছিলাম বিভিন্ন ব্লগপাতায়। সচলায়তনে সমস্যাটা আসলে কী নিয়া এবং সেইটা কী কী ভাবে কতটা ক্ষতিকর হইতে পারে সেইটার আলাপ হইতেছিল। অন্যান্যব্লগের পাতায় দেখলাম এইটা নিয়ে একেবারে সিরাজশিকদারতাজউদ্দিনমুজিব নিয়া ব্যপক টানাটানি শুরু হৈয়া গেছে। খুবই হাস্যকর পরিস্থিতি। কারণ প্রত্যেকেই মূল সমস্যা বাদ দিয়া তার আশেপাশে উদ্দেশ্যহীন ডিগবাজিরেই ব্লগিঙের লাইন বইলা গ্রহণ করছে। বেশীরভাগ গ্রহণ করছে বামজুজুর ভয়ে আল্ট্রারাইট আওয়ামী অবস্থান আর বাকিদের অনেকেই মজহারপন্থী ছাগু অবস্থান। এর বাইরের অবস্থান দেখানোর মতো কাউরে এই মুহুর্তে বাংলাব্লগে উপস্থিত না দেইখা খারাপই লাগলো। ১৯৯৮ সালের শেষে যখন তেলগ্যাস লুঠের বিরুদ্ধে প্রথম রাস্তায় নামা হৈলো, তার প্রথম বা দ্বিতীয় মিছিল থিকাই ছিলাম। ঐ পাঁচ-ছয় জন নিয়াই কিন্তু আমরা রাস্তায় নামছিলাম। বড় বামসংগঠনগুলা মানে সিপিবির ছাত্র ইউনিয়ন আর বাসদের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট তখনো কীজানিএক্টা ভাবতেছিল। প্রথম মিছিলগুলি আমার ছাত্র ফেডারেশনের ব্যানারেই করছিলাম। এইটাই ইতিহাস। সেই একজন একজন কইরা গণসংযোগের কোন আউটপুট আছে না নাই পরের দশবছরের রাজনীতি পর্যবেক্ষকই ভালো বলতে পারবেন। টিপাইমুখ বাঁধ হইলে প্রথম যারা এফেক্টেড হবে কাজ করলে তো সেইখানে গিয়া তাঁদের মধ্যেই প্রথম প্রচারণা প্রয়োজন। এইখানে একমাত্র অপ্রয়োজন হইতেছে কাঠিবাজি। আর এফেক্টেডদের খুব প্রধাণ অংশই যেহেতু সিলেটের ঐ অঞ্চলের আদিবাসীরা, সুতরাং মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাকে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগও সেখানে কার্যত: অনুপস্খিত। সরকারি প্রতিনিধী দল নাকি টিপাইমুখে কিছু দেখেন নাই। অভিজ্ঞতা থেকে জানি সরকারি প্রতিনিধীদলরা ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা কথাই বলে থাকেন। সেইসূত্র ধরে বামপন্থীদের এইমুহুর্তের কর্তব্য আসলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে আগে গণসংযোগ করা পরে গ্রামসী কপচানো।
খুব দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি এইক্ষেত্রে মধ্যপন্থীদের কর্তব্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও বামে হেলে থাকা আর ডানপন্থীদের আজলা ভরে মুড়ি খাওয়া। ইস্যুর অর্ন্তগঠন তাঁর ঝোঁক নির্ধারণ করে। পৃথিবীর কোন ইস্যুই সবার সমর্থন পায় না।
৩.
এদিকে জামাত আর ধর্মীয় মৌলবাদ প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থানও প্রত্যাশিতভাবেই ধোঁয়াটে হয়ে আসছে। ভাবেসাবে মনে হচ্ছে সরকার এইবারও এদিকওদিক ধুনফুন করে এই কারণে হয় নাই ঐ কারণে হয় নাই এইসব বইলা পাশ কাটাইতে চাইতেছে। কোন শ্যালকপুত্রই পেটের কথা মুখে আনতে চায় না। খয়রাতি সাহায্য হিসাব করলে সৌদি আরবরে আমরা সোজা পাছা দেখাইয়া চলতে পারার কথা। না পারার একমাত্র কারণ হইতে পারে সৌদ রাজবংশের সাথে আঙ্কেল স্যামের যোগাযোগ। হাসিনা ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মাথায় সৌদি আরব গেছিল। আইসা থিকা যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গে আর কথা কয় না। ক্যামনে কী? সেদিন আবার দেখলাম গাফফার চৌ কইছে যুদ্ধাপরাধী গো বিচার করতে নাকি আউমিলীগরে আরো কয়েক টার্ম ক্ষমতায় থাকা লাগবো।
পাবলিকরে এতো ভোদাই মনে করেন ক্যান আপনারা?
মন্তব্য
বস, আপনে বস, কোট কইরা সারতে পারি নাই, আপনে সুপার বস,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কঠিন বলেছেন। জামাত আর মৌলবাদ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি সেটা আল্লাহ জানে।
দুইদিন পর পর দেখা যায়, টুপি পড়া কিছু 'মুরুব্বি' রে ধইরা গলায় নেমপ্লেট ঝুলায়ে 'প্রথমালু' পত্রিকার জন্য একটা ফটুক তুইলা লকআপে চালান দেয়। এখন পর্যন্ত সরকারের তৎপরতা এটাই। পাবলিকও এই লেবেঞ্চুস খাইয়া খুব খুশি। পাবলিক মনে হয় আসলেই একটু বুদাই......
#ওসিরিস
- ঠিকাছে ।
- আমি আইজকা দুপুরে ভাবতেছিলাম যদি ঢাকায় নেক্সট টাইম যাই তাইলে ঐসময় আগাচৌ, এবিএমমুসা ইত্যাদি ভাড়ের পাল কি কি লিখছিলো পত্রিকায় সেইগুলান স্ক্যান কৈরা আনুম । এগুলি জনসমক্ষে ডকুমেন্টেড অবস্থায় থাকা দরকার ।
- আর এখন যে আশপাশের ঝোপজঙ্গলে লাঠি পিটানোর মৌসুম চলতেছে এইটার আমি একটা ব্যাখ্যা করতেছি মনে মনে । টিপাই ইস্যুতে যখন বামপন্থীরা একত্র হৈতেছে তখন সব বামপন্থীরে এক ঝোলায় পুইরা দুইএকটার দোষে সবাইরে পিটায়া ক্ষমতাসীনদের কাজকর্মের প্রতিবাদ যারা করতেছে তাগোরে দুর্বল করার একটা প্রচেষ্টা এইটা । চরিত্রহানি রাজনীতিতে খুব প্রচলিত একটা কৌশল । নতুন কিছু না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক। তবে এইখানে ছাগলামীর কিছু দায় বামপন্থীদেরও আছে। বামপন্থীদের উপরে ব্লগোস্ফিয়ার কোনো পীয়ার প্রেশার তৈরী করতারে কি না সেইটা নিয়া ভাবা দরকার......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- একটা সমস্যা হৈলো ব্লগে যেই বামপন্থী অংশটা এখন রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়া বেশি মাত্রায় সক্রিয় আছে সেইটা বরবাদ মগবাজারিয় গ্রুপ । বাংলা ব্লগে টোটাল লাদির পরিমানে তাগো ভাগও আছে তয় সেইটা তারা উপস্থাপন করতেছে পোড়াবাড়ির চমচম ফর্মে ।
- পিয়ার প্রেশারের কথাটা বুঝলাম না ঠিক । খোলাসা কর ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
খোলসা মানে কি এইটা তো খুবই পরিস্কার। আমরা ভারতীয় বুর্জোয়াদের সমর্থক না এবং আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই এরকম একটা অবস্থান নিয়া ইন্টেলেকচুয়াল ফাইট করা। এই অবস্থানটাইতো একটা পিয়ার তৈরী করে..... না কি?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হাসিব ভাইয়ের মন্তব্যে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ঠিকাছে।
--ঠিকাছে বস।
..................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
বদ্দার লেখায় পাঁচ তারা । পাবলিকরে যারা এতো ভোদাই মনে করেন তারাই আসল ভোদাই ।
"পাবলিক বহুত খতরনাক জিনিস বুজলা মুন্সী । একবার ক্ষেইপা উঠলে তুমি ক্যান , তোমার চৌদ্দগুষ্টি শ্যাষ ।"(’এখন দুঃসময়,১৯৭৫, আবদুল্লাহ আল মামুন )
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বেশ কিছুদিন আগে সচলায়তনেই প্রস্তাবটা দিছিলাম, আপনেরা কেউ কানে তুলেন্নাই... আবারো দেই।
ধর্ষকবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় বড় একটা অংশ এখন সচলায়তনে আছেন। তারা সবাই মিলে বা কেউ একজন এই বিষয়টার একটা তথ্যমূলক লেখা নাজেল করে ফেলেন। আবেগ ছাড়া। ছোট একটা ইতিহাস হয়া থাকুক। নাইলে পরে দেখবেন অন্য অন্য ইতিহাসের মতো এইটা নিয়াও কামড়াকামড়ি হইবো। খিয়াল কইরেন, আবার কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ছাত্রলীগ ক্ষমতায়। বুঝতে হবে এখন মুক্তিযোদ্ধাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় জামাতিস্লাম...
এই টার্মেই যদি ছাত্রলীগ তার কলঙ্ক ঘুচাইতে উদ্যোগী হয়, তাইলে সবুজ বাঘের ঘুষি দিয়া জানালা ভাঙ্গা হইয়া যাইবো একটা ধুনফুন
আওয়ামী লীগ যে বরাবর যুদ্ধাপরাধী ইসুটারে নির্বাচনী স্বার্থেই কাজে লাগায় এইটা তো নতুন না। যুদ্ধাপরাধীর বিচার করলে তাগো মূলধন শেষ।
এই ক্ষেত্রে যা হইবো বইলা মনে হয় তা হইলো নানান ধুনফুন করতে করতে চাইর বছর পরে একটা মামলা তোলা হবে। তারপর কইবো কাজ শুরু হয়া গেছে, আরেকবার ভোট দেন, এইবার ক্ষমতায় গিয়াই নির্মূল করুম।
সবসময়ই আশা প্রত্যাশা থাকে আমাদের সরকারগুলা আমাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করবে। তারা তা করেও। কিন্তু সেইটা বরাবরই আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি পরিমাণ খ্রাপ হয়।
এই দোষ কি তাগো? আমরা পাবলিকরাই নিজেদের বার বার ভোদাই প্রমাণ করি নাই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই ঘটনাটার একখান ডকুমেন্টেশন জরুরী। নাইলে আওয়ামী ছাগুগুলান রিয়েল ছাগুগো মত ধর্ষন হয়নাই বইলা চিল্লাইবো।
১.
জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের যথাযথ ডকুমেন্টেশন থাকা দরকার। শুধু দরকার না, জরুরী। পত্রপত্রিকার কাটিং, খবরের অডিও-ভিডিও ক্লিপিংস, জ্ঞানীগুণীজনদের মন্তব্য-বানী-বিবৃতি সব। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী বা তাদের দোষরদের দ্বারা সংগঠিত নারী নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন কিন্তু স্বাধীন দেশে জাহাঙ্গীরনগরের প্রসঙ্গে নানা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান বা গলা মিনমিনে হয়ে যায় তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হওয়া উচিত। এবং এই দুমুখো সাপদের বর্জন করা উচিত।
২.
আমার ধারণায় টিপাইমুখ প্রসঙ্গে এই পর্যন্ত সবচে' সঠিক কাজটি করছে খোদ "সচলায়তন"। এই "সমস্যাটা আসলে কী নিয়া এবং সেইটা কী কী ভাবে কতটা ক্ষতিকর হইতে পারে" তা নিয়ে আলোচনা করায়। কোন কিছু ঠিকভাবে না জেনে আলোচনা-আন্দোলন করতে গেলে ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশি।
৩.
মহাজোটের অন্তর্ভূক্ত কোন দলই আসলে জামাত বা মৌলবাদকে পুরোপুরি নাকচ করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার প্রয়োজনে তাদের দ্বারা জামাত বা মৌলবাদকে কাছে টানার ঘটনা অতীতে আমরা দেখেছি। আওয়ামী লীগ আগামী একশ' বৎসর ক্ষমতায় থাকলে এবং সেই সময়ে বিশেষ কোন উন্নতি না হলেও আগাচৌ'রা আরো একশ' বৎসর ক্ষমতায় আওয়ামী লীগেরই কেন থাকা উচিত তার কঠিন কারণ বের করে ফেলতে পারবেন। এদের কাছে সব ধরণের রোগের একটাই ঔষধ - আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখা এবং তার ঠিক-ভুল সব কাজের অন্ধ সমর্থন দিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশের সরকারগুলোর এই অতি সৌদি-প্রীতির ব্যাপারে মনে হয় আরেকটু গভীরভাবে আমাদের খতিয়ে দেখা উচিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আশাবাদী যে, সরকার এই ভুল করবে না। তবে যদি করে, তবে ৫০ বছর পরে ইতিহাসটা এভাবে লেখা হবে:
১৯৭১- বাংলাদেশের স্বাধীনতা
২০০৯-পরাজয়
তখন "আম","জাম" "বান"এর জলে মিশা বংগোপসাগরে গা ধুইয়া কইবো, আমরা সবাই পবিত্র। আহারে, তখন কী নিয়া মানুষের কাছে ভোট চাইবো!
নদী
লেখায় ।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
সেদিন আবার দেখলাম গাফফার চৌ কইছে যুদ্ধাপরাধী গো বিচার করতে নাকি আউমিলীগরে আরো কয়েক টার্ম ক্ষমতায় থাকা লাগবো।
সেটাই। যুদ্ধাপরাধীদের আমরা তো মরণোত্তর বিচার করব।
হ, মরনোত্তর তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে.............
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাল লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভালো লাগলো।
সত্যি কথা হচ্ছে তরুন প্রজন্মের ভোট পাওয়ার পেছনে একটা বড় ইস্যু ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। অহন এইটার করণীয় কী, তা কেউ মুখে আন্তেই চায় না...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
২-৮-১৯৯৯ নিয়ে আগের লেখাটাকে পাঁচতারা দিয়েছিলাম। এত বড় অর্জন তথাকথিত বড় কারো চোখে পড়েনা কেন বুঝিনা। আমার তো মনে হয় এই ঘটনা একটা ভাল উপন্যাস দাবী রাখে। আম কোয়নিঙ্গপ্লাত্স এর পথ ধরে হয়ে যাক, কি বল?
--
টিপাইমুখ এখনো আমার কাছে 'কান নিয়েছে চিলে'র মত ঘটনা। পূর্ব ভারতকে একবার উন্নয়নের স্বাদ দিলে তার ফলাফল কি হবে সেটা পুরোপুরি যাচাই না করে এরকম বড় বিনীয়োগ কেন্দ্র করবে না। ভারতেও প্রতিশ্রুতির রাজনীতি বেশ ভালই চলে। আর পূবদিকটা নিরব থাকলেই তো বরং লালপতাকাটা কম ওড়ে। লাল অঙগরাজ্যে টাটার ন্যানো কারখানার খেলটার কথা মনে হতে পারে। নর্মদা ভ্যালীর থেকেও কেন্দ্রের আমলারা কম শেখেনি। টিপাইমুখ নিয়ে এগুবার আগে বাংলাদেশের চাইতেও আরো বড় বড় আভ্যন্তরীন বাধা ভারতকে অতিক্রম করতে হবে। বাংলাদেশ তো ফর্দের আরো নিচে। এসময় আমাদের লাফালাফি বিনোদন ছাড়া আর কিছু ফল লাভ করছে বলে আমার মনে হয় না।
আগের পোস্টদুটো আগে পড়িনি। লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম। এই ঘটনাগুলো এত বিস্তারিত জানতাম না।
একটা জিনিস আমাদের বোঝার বোধহয় সময় এসে চলেও যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ এখন কোন "ভুল" করছে না। এটাই আওয়ামী লীগের স্ট্র্যাটেজী। যারা এখনও আশাবাদী আছেন, এই সত্যটা বুঝতে পারলে আখেরে লাভ হবে। নজরুল ইসলাম একটা খাঁটি কথা বলেছেন, আমরা পাবলিকরাই নিজেদের বার বার ভোদাই প্রমাণ করতে দেই।
লেখা প্রসঙ্গে: আপনার এই টুকরো টুকরো লেখাগুলো আমি বেশ পছন্দ করি। বেশ আই-ওপেনিং। অথবা এটাও হতে পারে যে জেনেসিস-এর লেখকের একটা লেখা পড়ে বুঝতে ও কমিউনিকেট করতে পারছি - এটাই হয়তো একটা বিরাট ব্যাপার ।
টুকরো টুকরোই তো লেখা, আরেকটু ঘন ঘন ছাড়া যায় না?
- পাবলিক যখন গোয়া বরাবর আড়াই মইন্যা উষ্ঠা লাগাইবো তখন টের পাইবোনে শ্যালকপুত্রস্যরা কে আসলে রামভুদাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন