১.
ষাটের দশকের মাঝামাঝি। পুরনো ঢাকার কোন ঐতিহ্যবাহী পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠাণ শেষে বরযাত্রী বাড়ি ফিরেছে। অনেক পরিবারের রীতি অনুসারে বৌয়ের সাথে তার ছোটবোনও এসেছে ছেলের বাড়িতে। নতুন বৌ এলে যা হয়। বাড়িময় বিশাল হুলুস্থুল। বৌয়ের পাধুইয়ে টাকা নেওয়া, গানবাজনা নাচানাচি সব কিছুর পরে একসময় সবাই ক্লান্ত হয়। যাদের বাড়ি কাছে তারা বাড়ি গেলো। বাকিদের সবাইকে ঐ বাড়িতেই চিৎকাৎ হতে হবে। বরকণে চলে গেলো সাজানো বাসরে। বাকিদের নিয়ে বাঁধলো ঝামেলা। স্থানের অনুপাতে লোকবেশী। বাড়ির মুরুব্বিরা সবাই একে একে হিসাব করে একে ওখানে তাকে সেখানে পাঠাতে লাগলেন। বরের ছোটভাই অস্থির মনোযোগে মুরুব্বিদের এই বিন্যাসসমাবেশ লক্ষ্য করছিলো। অস্থায়ী কাজের লোকের শালারো শোবার কথা বলা হলো কিন্তু একজনের কথা সবাই ভুলে যাচ্ছে।
প্রচন্ড ক্রোধে বিদ্রোহী দেবর বাড়িময় চেঁচিয়ে বেড়ায়, সালি হুইবো কৈ? সালি হুইবো কৈ?
২.
১৯৯৬'র মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ। একদিন খালি তো তিনদিন হরতাল। প্রাইভেট পড়ার নাম করে মোসাদ্দেক বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরে ঘুর ঘুর করে। হরতালের সুবাদে বাড়ি থেকে রিক্সাভাড়া কিছু বেশী পায়। বেশীরভাগ হেঁটে যাতায়াত করে বলে রিক্সাভাড়া থেকে কিছু ব্যালেন্সও জমছে কিছুদিন থেকে। হরতাল-অবরোধ মাসখানেক ধরে শহরের বাতাসটাকেও বেশ ফ্রেশ রেখেছে।
বেশ যাচ্ছিল মোসাদ্দেকের দিনকাল। কখনো আধাঘন্টা প্রাইভেট পড়ার পর অনির্দিষ্ট টাঙ্কি মেরে, কখনো অস্থায়ী ম্যাগাজিন স্ট্যান্ডে সানন্দ সম্ভার পড়ে আর সময় সুযোগ মিলে গেলে মল্লিকা-ছন্দ বা পর্বতে এক টিকেটে দুইটি ছবি দেখে।
তারপর সেমিফাইনালের দিন সন্ধ্যা সন্ধ্যা বাড়ি ফেরে। গরম গরম পিঁয়াজুভাজা সামনে থাকলেও মোসাদ্দেক মুখ ডেকচি করে খেলা দেখে। শেষবলে ডোনাল্ডের দোষে দক্ষিণ আফ্রিকা ধরা খেলে মোসাদ্দেক রাগের মাথায় " বালের ডগা !" বলে চেঁচিয়ে ওঠে।
- কী হৈছে তোর? বড় ভাই জিজ্ঞাসা করে...
- ......যেই পোস্টার দিছে হেই ছবি দ্যায় নাই.....
মন্তব্য
দ্বিতীয় গল্পটা মজা লাগলো।
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
এইডা কেঠা? ফ্রুজাফুতি দেহি হাচল হইয়া গেসেগা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
১.
২.
বস, পরথমটা এমন জটিল হইস যে কি কমু, হাসতে হাসতে বিষম খাইসি, এখনও হেঁচকি উঠতাসে।
আর ২ লম্বরটা পুরাই ২ লম্বরি, এক টিকিটে ২ ছবি দেখবার মন্চায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাহা মজা পাইলাম
'বালের ডগা' অনেকদিন পর শুনলাম, আমরা সচরাচর কই বালের মাথা, লোমের গোড়া
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুমম।
হাসতেই আছি
আরো কয়েক খাবলা দেন, বদ্দা ........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দূর্নীতি
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
প্রথমটা অত ভালো লাগেনি। হয়তো বুঝিনি দেখেই। দ্বিতীয়টা জব্বর লাগলো। কাটাকাটি।
হা হা হা
দুইটাই ফাটাফাটি !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
১.
২.
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাপগে!!
------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
"সালি হুইবো কই"
"যেই পোস্টার দিছে হেই ছবি দ্যায় নাই"
এক টিকেটে দুই বানী।
তোফা।
মজার।
অমাবস্যা
পারফেক্ট। অণুগল্প পড়ার শেষে যেমন 'এঁইয়, হ! খাইসে!' বলতে হয়, পুরা সেরম!
বদ্দা, পুরাই ড্যাবস! ঃ)
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জটিল
বদ্দা, সিরাম দিলেন... হাসি থামে না। আমার প্রথমটাই বেশী ভালা লাগসে।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
দুইটাই মারাত্মক। আরো কয়েকটা তাড়াতাড়ি ছাড়েন!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবাইকে ধন্যবাদ।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
খেক খেক খেক , পুরাই কশা। খাবলায়া খুবলায়া হাসতাছি।
- অনুপম ত্রিবেদি।
নতুন মন্তব্য করুন