নানা কারণে মনমেজাজ খারাপ। মোটামুটি তাৎক্ষণিক সমাধানের অযোগ্য সঙ্কটেই খারাপ। এরকম পরিস্থিতিতে বিষন্ন টাস্কিতে পড়ে থাকার বিকল্প নাই। তাই ছিলাম চুপচাপ পড়ে সন্ধ্যা থেকে। সচলায়তনে ঢোকা যাচ্ছে না। অসহায় অবস্থা জোরদার হলো। এর গুতাই তারে গুতাই। বিরক্তি বাড়ে। বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে নববর্ষে ঠিক কী যেন এক্টা পোস্টাতে চেয়েছিলাম সেই আইডিয়া বিলুপ্ত হয়। শেষমেষ জার্মান সময়ে নববর্ষ আসতে এই মোটে ঘন্টাখানি আগে মোটামুটি সব ঠিকঠাক হয়। তারপর লিখতে বসে কী লিখবো তাই আর মনে নাই।
আমার প্রতিবেশীরা রান্নাঘরে পার্টি করছে। ভেবেছিলাম যাবো না। ঘরেই বসে থাকবো। গত কয়েকবছর এইসময় রান্নাঘর ফ্রি পেয়েছি। প্রতিবছর পার্টি করেছি আমি। বিরানিখিচুড়ির পার্টি। এই বছর এক জার্মান প্রতিবেশী ২৯ তারিখ বাড়ি থেকে ফিরেছে। সে পার্টি করছে। সম্মতি দিতেই হবে। রান্নাঘর ওদের ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে সচল পরিস্থিতি মনিটর করছিলাম। পরে গেলাম। ক্ষুধাও পেয়েছিল। প্রতিবেশী ভোলফগাঙ ক্রেবস দারুণ পিৎসা বানিয়েছে। কিমার উপরে পনিরের মোটা আস্তর। রাক্ষুসে ক্ষুধার মুখে ফাটাফাটি লাগলো। সেই থেকে কিছুক্ষণ রসুইঘরে কিছুক্ষণ সচলে চলছে।
সবাই উৎসব করছে। নতুন আরেক্টা বছর এসেছে সেই খুশীতে উৎসব। নতুন বছরকে সামনে রেখে এত খুশীর কী আছে? সেই তো অভ্যস্ত আবর্তন আর নানান এঙ্গেলে মারা খাওয়ার রাস্তা ঝাড়ু। আমিও খুশী সবার সাথে। ক্যান খুশী?
মন্তব্য
নাইলে বেজার থাহন নাগে যে!
নববর্ষের শুভেচ্ছা বস।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- আমার মাথায় এখনো ঢুকতাছে না, এতো তাড়াতাড়ি তিনশো পয়ষট্টি দিনের একটা গোটা বছর শেষ হৈয়া গেলো কেমনে? এইখানে আমি বিশাল কারচুপির গন্ধ পাইতেছি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন