টুকরো টুকরো লেখা ১৯
ক্যাটেগরি:
বাংলা ব্লগিঙে চারবছর একমাসের মতো হতে চলল। প্রথম বছর দেড় ব্লগিং খুব সহজ মনে হতো। মাথায় বা আঙ্গুলে কুড়কুড় করলেই ঠুসঠাস টাইপ করে ফেলতাম। তারপর একসময় মনে হলো এভাবে না। খিয়াল করে লিখতে হবে। ধুনফুন ব্লগের দিন শেষ, দিন বদলের বাংলাদেশ। নাইলে পাঠক ধোলাই দিতে কার্পণ্য করবে না। আস্তে আস্তে দেখি এমনকি ধোলাই খাওয়ার মতো আইডিয়াগুলিও খুলির খানাখন্দকে খাবি খাচ্ছে। আঙ্গুল না চললে মাথা চলে না। মাথা নিজে থেকে কিছু কিছু চলার চেষ্টা করলে আঙ্গুলকে দিয়ে জোর করে এটাওটা নামাই। নামিয়ে মনে হয় এগুলি একেকটা ঐতিহাসিক ভুল। তার উপর আবার বেঁচে থাকার মতো খাইস্টা একটা কাজ করতে বাধ্য হই নিয়মিত। এইভাবেই তৈরী হয় একেকটা ভ্যাকুয়াম। এর সমাধান ব্রহ্মাবিষ্ণু জানেননা এটা নিশ্চিত। জানেন ভোলে বাবা। কিন্তু কৈলাস বহুদূর এবং তীব্বতে ট্যুরিস্ট যাওয়া নিশেধ। তাই গেছোদাদাকে খুঁজতে থাকি। এখনো খুঁজছি।
১.
রাজনীতিতে ভেল্কিবাজীর যূগ চলছে মোটামুটি মিলেনিয়াম তিনেক। বা তার থেকেও কিছু বেশী হতে পারে। অবিরাম তার নমুনাও দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। কোথাও একটু লাইন মতো কিছু হতে গেলেই দেখা যায় আমাদের কোন প্রবীণ বিচক্ষণ পূর্বপুরুষ লাইনের কোথাও না কোথাও কমপক্ষে একটা কলার খোসা ফেলে রেখেছেন। কী আর করবো, আমরাও বৃদ্ধসম্মতি নিয়ে পরবর্তী উস্টাগুলি খেতে থাকি।
এরকমই একটা কিছু দেখা গেলো বাংলাদেশে ৫ম সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হবার আগুপিছু রাজনীতিতে। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বাতিল হবে কিন্তু থেকে যাবে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম, আর তার বিগ্রহরূপ ধারণ করবে বিমানবন্দরের সামনে আল্লাহু। কি সাংঘাতিক ভুদাই আমি ! ২০০৮ সালের অক্টোবরে ফেইসবুকে "উই ওয়ান্ট দ্য স্কাল্পচারস ব্যাক" নামে একটা গ্রুপ খুলেছিলাম। আর তাতে সদস্য হয়েছিল আমার মতো দুহাজারের কাছাকছি ভুদাই। আসলেই ভুদাই। এই সময়টা আসলে টেবিলের উপর তরকারিকাটলারিজুতামুজাজাঈঙ্গাগুমুতের প্লুরালিস্ট সমাবেশের। কোন কিছুকে হেজিমনি হতে দেওয়াই ফেসিবাদ। তাই সংবিধানে সাম্প্রদায়িকতাও থাক আবার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের ঝাড়িপট্টিও থাক। অসুবিধা কী? সেকুলারিজমে তো আর পেট ভরবে না! আর দেখুন সাম্প্রদায়িকতা কি চমৎকারভাবে পেট্টা ভরিয়ে বিস্ফোরণমাত্রায় নিয়ে এসেছে। তেমন খারাপ লাগার কিছু নাই। সবুজ বাঘের মতো নিজেকে প্রশ্ন করি, ভুদাই হওয়া কি খারাপ?
২.
খাগড়াছড়িতে আবার বর্ণদাঙ্গা। আবারো সেটলারদের সমর্থনে সেই জলপাই। এরকম আগেও হয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষের কেউ কেউ এট্টুআট্টু প্রতিবাদের অভিনয় করে তেলেজলে মিশে গেছেন। আমরাও গেছি। তোমরা ছোটরাও যাচ্ছো। ভবিষ্যের প্রতি অক্ষম মিনতি করে বলি, আপনাদের আর তোমাদের মতো তোরা ঐভাবে মিশিস না। আমি জানি তোরা পারবি।
৩.
আগের পোস্টে বলছিলাম পিসির সামনে বসে লাফটার শো দেখে মুখে একটা হাসি মতোন আনার চেষ্টার কথা। আমার জানা সব ভাষাতেই দেখি এই শো গুলি পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে ভর্তি। অনেকদিন আগে অন্য কোথাও এক পরহেজগার বালিকা বলেছিল, স্যাটায়ার সবসময় বামপন্থী কেন হয়। ব্লগীয় পরিভাষায় নি:সন্দেহে সেটা একটা ছাগুপোস্ট ছিল। তারও কারণ হচ্ছে তিনি সেটা লিখেছিলেন একেবারে ডানপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। কিন্তু তাঁর প্রশ্নটা সঠিক। বামপন্থীদের নিয়ে নির্মমতম স্যাটায়ারগুলিও কোন না কোনভাবে বামপ্রান্ত থেকে আসে। সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ পড়ুন বা চন্দ্রবিন্দুর চন্দ্রিলের লেখা গানগুলি শুনুন। সেগুলি আর যাই হোক দক্ষিণপন্থী না। ডান বা মধ্যডান অবস্থান থেকে যা দুয়েকটা শোনা যায় ( আসলেও যায় কি?) সেগুলি মর্মান্তিক। আমি আসলেও এখনো সেইভাবে কোন ডানপন্থী স্যাটায়ার শুনি নাই বা দেখি নাই। কালকে শুতে যাবার সময় চোখ বুঁজে কিছুক্ষণ ভাবার চেষ্টা করলাম একটা ডানপন্থী লাফটার শো'র কথা। সেখানে অ্যাঙ্করিং করছেন কোন সিদ্ধ পুরুষ। কোন আলালের ঘরের দুলাল বলছে এরকম একটা কৌতুক :
একবার ওভার সীজ জার্নিতে নিউলি ম্যারিড এক ক্যাপ্টেন শীপে উঠেছেন। জাহাজ চলতে শুরু করেছে। এর মধ্যে হলো কি ক্যাপ্টেনের বৌ'এর চোখ পড়েছে একটা খালাসীর দিকে। সে তার হাবিকে খাঁমচে ধরে বলে কি, ও মাই লুক অ্যাট জ্যাট! খালাসীটার প্যান্ট ছিঁড়ে বাট দেখা যাচ্ছে! হিহিহিখিকখিকখিক্ !
পুরো হল কাঁপিয়ে তুমুল করতালি!
- সুমন চৌধুরী এর ব্লগ
- ৪৮৭বার পঠিত
মন্তব্য
- আমি চিন্তা কর্তেছি, ডানপন্থী লাফটার শো'র কৌতুকটাকে বামপন্থী লাফটার শো'র কৌতুকে রূপান্তর করলে কী দাঁড়াবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তুমার দিলে ময়লা
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- যাক, বাবলা পাতার কষ না তাইলে!
এই ময়লা সার্ফ এক্সেলে উঠবো?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেমনে ডলা দিবা তারুপর নির্ভর করে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তুমাকে অন্যলুকের মতো লাগজে....
আমারো
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সহমত!
এই অংশটুকুতে বড়সড় একখানা (কাল্পনিক) তারা!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লোভকে ঠেকানো...আমরা তো পারলাম না...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ওরা পারবে। কাউকে না কাউকে পারতেই হবে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আড়মোড়া ভেঙ্গে লেখা চলুক।
২ বাদে বাকি হেজিমোনি বুঝি নাই
২ কি একাত্তরে পাকি-জনসাধারণের অ্যাটিট্যুড সম্পর্কে কিছু বলে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিকাছে।
২য় কমেন্টে
শেষ প্রশ্নে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বদ্দা, কেমুন জানি হারাইয়া গেলাম, তারপর আবার শুরু করলাম, আবারো হারায়া গেলাম, আমার মনে হয় আমার লাইগা ভুদাই হওয়া এবং ভুদাই থাকাই ভালু, বুদ্ধি হইলে যদি পীপিলিকার মত আগুনে পুইড়া মরি? লেখা ভালু লাগছে, বিশেষ কইরা ডানপন্থি লাফটার শোর ব্যাপারটা, টেরাই মাইরা দেখেন, একখান লেখতাম পারেন কিনা? পারবেন কুনু সন্দেহ নাই, মাগার ঐটা লেখার পর সুস্থ থাকবেন কিনা সেইটা ভাবনের বিষয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সেই পরহেজগার বালিকা কই এখন ?
তারে আমি চোখে দেখিনি
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ভাইয়া কি ইদানিং ইস্টার জলসা বেশি দেখছেন
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
পামু কৈ? তুমিটিউবেই খুশী থাকা লাগে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আসলেই, মিজাজ ঠিক রাখা কঠিন হইয়া পড়তাছে।
এর উপর আবার হালায় কিমুন এক আজব উয়েদার পড়ল, সোয়েটার খুললে শীত লাগে, পড়লে পিঠ ঘাইমা আসে।
দুর্দান্ত ভায়া দেহি ত্রিথীডোর অইয়া গ্যালেন।
যত দোষ নন্দ ঘোষ...
দুঃখিত শুভাশীষদা,
আমি তিথী, ত্রিথী নই!!
আমার ভুল নিয়ে পরিহাস চলতে পারে, নাম নিয়ে নয়!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাবারে, হাসলাম-ই তো। এটা কিন্তু খুনসুটি, পরিহাস নয়। সবাই দেখি সিরিয়াস অইয়া গেছেন।
আপ্নেরে আমি ,পাণ্ডবদা, সুহান, সিমন ব্যাপক ভালু পাই। আপনার দুঃখ প্রকাশ করার কোন ব্যাপার এখানে নাই।
দুঃখিত
আমার ভুল নিয়ে খুনসুটি চলতে পারে, নাম নিয়ে নয়!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হ
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নতুন মন্তব্য করুন