না বলিয়া পরের দ্রব্য নেওয়াকে কী বলে? ধরলাম কিছু যে বলতেই হবে এমন না। জিনিসের গায়ে তো আর নাম লেখা নাই। আর নাম লেখা থাকলেও সেটা যে তারই জিনিস তার প্রমাণ কী? সেই প্রমাণও যে প্রমাণ তাও বা আমরা শতভাগ নিশ্চিত হচ্ছি কী করে? এই দুনিয়ার কিছুই কারো না। যেই জিনিসগুলি আমরা আমাদের তোমাদের ওদের তাদের ওমুকের তমুকের বলি সেখানেও খোঁজ নিলে দেখবেন সকলে বলে না। কয়জনেই বা কয়জনের বিত্তিবেসাদের খবর রাখে? শেষমেষ দেখা যায় যেকোন মালিকানাই একগুচ্ছ বা কয়েকটা নির্দিষ্ট গুচ্ছ লোকের স্বীকৃত। সেইগুচ্ছ বা গুচ্ছসমূহের বাইরে হয়তো তার খবরই কেউ রাখে না। সুতরাং মালিকানা জিনিসটা নিয়ে এখনই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রতিটা প্রপঞ্চগুচ্ছ আলাদা আলাদা করে আগাপাশতলা করতে হবে। তারপরে সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে শতাংশসমূহের একটা হিসাব দেওয়া যেতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না। সিদ্ধান্ত দেবার মালিক কে? রাষ্ট্র? গবেষক? নাকি ঈশ্বর? তিনি কি তবে আছেন? সেখানেও একই কথা। থাকতেও পারেন আবার নাও থাকতে পারেন। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত দিতে গেলেই আপনাকে কারো না কারো পক্ষে যেতে হচ্ছে। সুতরাং আপনার সিদ্ধান্ত অবশ্যই নিরপেক্ষ কিংবা ত্রুটিমুক্ত না। শুধু আপনি না, এখন পর্যন্ত জানা বস্তুজগতে কারো পক্ষেই সম্ভব না।
অতএব একটা পক্ষ নিয়ে নিতেই হচ্ছে। এই লেখাটা দেখে আসা যাক। বেশি দিন আগের কথা নয়। ঠিক একবছর আগের কথা। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনিরের মৃত্যুর প্রতিবাদে সচলে এসেছিল লেখাটি। সেখানে ব্লগটির লেখকের আঁকা ছবিটা ঐসময় অনেকেই ফেইসবুকে বা অন্যান্য সোশাল কমিউনিকেশান সাইটে ব্যবহার করেছিলেন শিল্পীর অনুমতিক্রমে। তারপর বছর গড়িয়েছে। গত কালকে কালের কণ্ঠে এই খবরটা দেখে গত বছরের পোস্টটা আবার মনে পড়লো। স্বনামধন্য কালের কণ্ঠ পত্রিকার কোন এক শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক লেখকের অনুমতি না নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ছবিটা জুড়ে দিয়েছেন কোন এক রিপোর্টে। দৈনিক পত্রিকা অনলাইন/অফলাইন দুইভাবেই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠাণ। সেখানে ব্যবহৃত প্রতিটি মালমশলার অর্থমূল্য আছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের আইনকানুনের তোয়াক্কা করতে বাধ্য। আইনটাইন আমি এমনিতে কম জানি। যতটুকু জানি তার পুরোটাই এরতার কাছে শুনে। সেইভাবেই যতদূর জানি ইন্টারনেটে কোন লেখা বা ছবি বা শিল্পকর্ম যদি লেখক বা শিল্পী নিজে থেকে স্পষ্টভাবে যথেচ্ছ ব্যবহারোপযোগী বলে ঘোষণা না দেন তাহলে সেই লেখা বা শিল্পকর্মকে কপিরাইটেড বলে ধরে নিতে হবে। অর্থাৎ শিল্পী বা লেখকের অনুমতি ছাড়া সেই শিল্পকর্ম বা লেখা যে কোন মাধ্যমে প্রকাশ করার অর্থ না বলিয়া পরের দ্রব্য নেওয়া সংক্ষেপে চুরি। সেই চুরিটাই করেছে কালের কণ্ঠ পত্রিকার সেই নাম না জানা সাংবাদিক। শুধু তিনিই নন। বাংলাদেশ সরকারও। নিচের ছবিটাতে তাই দেখা যাচ্ছে
ফোটো সৌজন্য: সংসপ্তক ও রাশেদুল হক
কালের কণ্ঠের স্ক্রিনশট
এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিজ্ঞাপনের দায়িত্বে যারা আছেন বা কালের কণ্ঠের মতো প্রথিতযশা পত্রিকার সেই রিপোর্টটা যিনি করেছেন বা আরো যত স্থানে তঁরা আরো যেসব কপিরাইটেড আইটেম অনুমতিছাড়া ব্যবহার করছেন, তাঁরা কেউই কি জানেন না যে কাজটা চুরি এবং যে এই কাজ করে তাকে চোর বলে?
মন্তব্য
দুইদিনের ব্লগারদের কাছে আবার অনুমতি চাওয়ার কী আছে! ছবি ব্যবহার করায় বরং শিল্পীর ধন্য হওয়া উচিত!
১২/১৩ বছরের বিধবাদের সঙ্গে বিছানায় গিয়ে তাদের পাপমোচন করত যেমন ব্রাক্ষ্মণেরা, তেমনি পত্রিকাওয়ালারা ব্লাগার-শিল্পীদের ছবি/লেখা মেরে দিয়ে আমাদের পাপমোচন করে থাকেন! বড়রকমের ইতর না হলে এই দেশে উন্নতি করা দায়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই ধরণের চুরির নিন্দা জানাই। পাঠক আপনার প্রতি অনুরোধ
ইমেইল করে এবং পরিচিত সকল মাধ্যম দিয়ে এই পোস্টের লিংক ছড়িয়ে দিয়ে এই চুরি প্রতিরোধে সাহায্য করুন। একই ভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য শিক্ষা বুরোতেও ইমেইল পাঠান।
মেইল করলাম।
বারী, মেইল এর কোন রেসপন্স পেয়েছো?
-অয়ন
কালের কণ্ঠের পাতাতে গিয়ে ইমেজটি পাওয়া গেল না।
হুঁ, সরিয়ে ফেলেছে দেখলাম। বদ্দা আমার দেয়া স্ক্রিনশটটা আপনার পোস্ট যুক্ত করতে পারেন।
এই পোস্টটির দরকার ছিল
চুরির নিন্দা জানাই।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
তীব্র নিন্দা জানাই।
ছবিটি ব্যবহার করে সুজন্দার করা সচলায়তনের ব্যানার
মাহবুব ভাই - ২টা ব্যানার হয়েছিল আরেকটা এইটা
ওহ মনে ছিলোনা, আপনিও একটা করেছিলেন। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
২টা ব্যানার ই আসলে সেই অর্থে সুজন্দার ই করা - আমি শুধু সাইজ আপ করেছি - প্রথমটি পাঠিয়েছিলাম এক ঘন্টার মধ্যে - পরেরটি ১ দিন পরে - আমার কাছে প্রথমটিই ভাল লাগে এখনো - বেশী ভাল লাগে সুজন দার পাশে আমার নামটি দেখতে পেয়ে
আচ্ছা মাহবুব ভাই আরেকটি বিষয়- এরকম কিছু (সচলায়তন এর কিছু চুরি করে ব্যবহার) চোখে পড়লে সচল কে জানানোর তরিত ব্যবস্থা কি?
সেদিন রাতে যখন কালের কন্ঠ তে এই রিপোর্ট চোখে পড়ল আমি তাড়াতাড়ি করার জন্য কলরব এ আপনার পোস্ট এ কমেন্ট করেছিলাম --- নাকি কন্টাক্ট এট সচলায়তন এ করা উচিত ছিল?
কন্ট্যাক্টে জানানো বেটার। কারণ কলরব অনেক সময় দ্রুত প্রথম পাতা থেকে সরে যায়। আপনার বার্তা পাওয়ার পর সচল সংসপ্তক জানালেন যে এই ছবিটি খোদ সরকারি বিলবোর্ডেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবিটি তিনিই মহাখালি এলাকা থেকে তুলে এনেছেন।
ধন্যবাদ হিমু ভাই।
যদিও এদেশে এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করে ফল পাওয়া দুরাশা, কিন্তু ভয়েস রেইজ করা জরুরি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তীব্র প্রতিবাদ জানাই। নিন্দাজনক।
জরুরী পোস্ট
facebook
সরকারী সাইনবোর্ড দেখে ভালো লাগল। নিয়ম ভঙ্গ করে চুরি করা ছবির তলায় আহবান "মানলে নিয়ম বাঁচবে জীবন", হা হা হা।
..................................................................
#Banshibir.
তীব্র প্রতিবাদ জানাই। নিন্দাজনক।
সরাসরি সচলায়তন থেকে নাও নিয়ে থাকতে পারে। ফেইসবুকের অনেকেই প্রোফাইল পিকাচারে ব্যবহার করেছিল এবং এমন হতে পারে কেউ হয়তো ছবিসূত্র ব্যবহার করে নি; সেখান থেকেই মেরে দিয়েছে। যেভাবেই নিক চুরি চুরিই।
আমি বুঝি না, সামান্য একটা অনুমতি নেবার আগ্রহ বা প্রয়োজনীয়তা এরা বোধ করে না কেন!!
এটাইতো সমস্যা। ফেইসবুকে পেলেই সরকারী সাইনবোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া যায় কিংবা সংবাদপত্রে প্রকাশ করা যায় এই মানসিকতাটাই বিপদজনক।
সচলের যে কোন ছবি বা ব্যানার কেউ ফেইসবুকে ব্যবহার করতে চাইলে তার উচিৎ ছবির নিচে স্পষ্ট ভাবে ছবিসূত্র(সচল লিংক) আর অঙ্কনশিল্পীর নাম উল্লেখ করা।
_____________________
Give Her Freedom!
সেই সাথে সচলরাও অন্যের ছবি বিনা অনুমতিতে বা বিনা ক্রেডিটে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুক।
আমি সরকারের দোষ দিবনা, বরং যে ব্যাটা এই ব্যানার বানাইছে বা যারা ডিজাইন করছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আহবান জানাই। সরকারি ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে ইমেইলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেই আমি খুশি হবো। না হলে দেখা যাবে প্রতিবাদে সুজন চৌ কী না কী এঁকে বসে! কবি বলেছেন না, ... কবিকে দু:খ দিলে সবাইকে জলে ডুবিয়ে মারবে।
একটা ব্যাপার শেয়ার করি - সচল এর সব ব্যানার ই শিল্পীদের নিজস্ব ডিজাইন যতদুর দেখেছি - কিন্তু সবসময় সব উপাদান নিজস্ব নয় হয়তো - বিশেষ করে মহামানবদের ছবি/স্কেচ/কবিতার লাইন/স্লোগান ইত্যাদি। যেমন এখনকার ব্যানারটা - কবিতার লাইন টা কার সেটা জানাতে পারা গেছে কিন্তু অনেক চেস্টা করেও বঙ্গবন্ধুর ছবিটি বা পেইন্টিংস টি কার করা উদ্ধার করতে পারিনি - ছবিটি গুগল সার্চ এ পাওয়া। অনেক সময়ই গূনীজন্দের স্মরণ করে বানানো ব্যানারগুলোয় ব্যবহ্রিত ছবির জন্য ক্রেডিট দেয়া যায়না তথ্যের অভাবে - এক্ষেত্রে কি করা যায়?
আমার মনে হয় গুগলের যেই সূত্র থেকে ছবিটা পাওয়া গেছে তার উল্লেখ করা। এবং মূল শিল্পীর নাম জানতে না পারার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা।
অজ্ঞাতবাস
অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি আলোচনার জন্যে। এই সমস্যাতে আমারও বেশ কয়েকবার পড়তে হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় একই ছবি অনেকগুলো সাইটে রয়েছে, তথ্য নেই কোনোটিতেই।
সৌরভ কবীর
বিলবোর্ডের ছবিটা তুলেছেন সচল সংসপ্তক
অজ্ঞাতবাস
পোস্টটা স্টিকি করার দাবী রইল।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
#একদম হাতে নাতে, এটার প্রতিউত্তর জানার পর সচলে পোষ্ট আশা করছি।
সেই সাংবাদিক নিশ্চয়ই ভাবেইনি যে এটা নিয়ে কেউ হৈ চৈ করা শুরু করবে। চোরের দল!
বিল বোর্ডটায় বড় কইরা প্রতিবাদলিপি সাটায় দেওনের কাম।
অলস সময়
নিন্দা জানাই।
অনুমতি-না-নিয়ে-ছবি-ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বক্তব্য আশা করছি।
তীব্র নিন্দা জানাই। কপিরাইট আইনে মামলা ঠুকে দেয়া যায় না?
-অয়ন
নিন্দা জানায়ে গেলাম
তীব্র নিন্দা!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
শুধু কালের কণ্ঠ পত্রিকার নাম কেনো আসলো বিষয়টা বুঝতে পারলাম না। যদিও লিংকে গিয়ে কোনো ছবিই পেলাম না। এতোদিন জেনে এসেছি শিল্পীরা হয় উদার, তাদের মন আকাশের মত। তবে আজ বুঝলাম কুঁড়েঘরের ছাদের মত মন নিয়েও অনেক শিল্পী বড়াই করে থাকেন। গুগলে সার্চ দিলে দেখবেন এই ছবিটা কতো সাইটে প্রকাশ হয়েছে। ভদ্রলোক শুধু কালের কণ্ঠের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসেছেন। অন্যান্য সাইটের মালিকরা কি তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে? অথচ প্রকাশের তারিখ দেখলে সেইসব সাইটরাই এগিয়ে !
চুরির পর ফিতা নিয়ে শিল্পীর উদারতা না মেপে চুরি করা থেকে কালের কণ্ঠে তোমার বাপদের বিরত থাকতে বলো গিয়া। আবাল কোথাকার।
মোটাদাগে আপনার দুটি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আছে.
দুটো কথার যেকোনো একটি বেছে নিন. হয় বলুন কালের কন্ঠ ছাপায়নি অথবা তারা ছাপিয়েছে কিন্তু বাকিরা তার আগে প্রকাশ করেছে.
"লিংকে গিয়ে কোনো ছবিই পেলাম না" এর উত্তর হলো এরা পরে বিপদ বুঝে সরিয়ে ফেলেছে. মুর্শেদ ভাইয়ের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুন.
"প্রকাশের তারিখ দেখলে সেইসব সাইটরাই এগিয়ে" এইটা যদি আপনার ক্ষোভের কারণ হয়ে থাকে তাইলে আমারে একটু বুঝায় বলেন আলাল চুরি করসে দেখে দুলালের চুরি হালাল হয়ে যাবে কেন? এছাড়া, কালের কন্ঠ বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ছবি ছাপায় এরা পয়সা রোজগার করসে. ওয়েব সাইট বা ফেসবুকে যারা দিসেন তারা অনুমতি নেননাই দেখে কাজটা ঠিক হয়নাই...কিন্তু তারা অন্তত পয়সা কামান নাই পত্রিকার মতন. পত্রিকাঅলারা বেতন দিয়া আর্টিস্ট রাখে না ক্যান? গুগল কৈরা তাদের ছবি চুরি করতে হয় ক্যান?
..................................................................
#Banshibir.
আমাদের সরকারও চুরি করে?? কিছুই বলার নাই। আমি নির্বাক, সমবেদনা জানানোর ভাষা হারাই ফেলছি!
jatra shuru
নতুন মন্তব্য করুন