প্রথম প্রথম জামাতি ব্লগাররা মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে না গিয়ে বিভিন্ন আহ্লাদী কথাবার্তার ফাঁকে ফাঁকে ডেনমার্কে মহানবীর কার্টুনের মতো বিষয়গুলি গুঁজে দিতো। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, ধর্ম-অধর্ম এইসব নিয়েই চলছিল প্রথম সপ্তাহগুলি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পোস্ট আসতো। রাজাকারী পোস্টও আসতো। প্রতিবাদও হতো। এইসব কিছুর পাশাপাশি আবার সাহিত্যচর্চাও চলছিল। ফেব্রুয়ারী মাসের ২য় সপ্তাহে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর আক্রমণ। কামারুজ্জামানপুত্র ওয়ালীর পরিচয় বেরিয়ে পড়ায় সে প্রতিরোধের মুখে পড়ে। মলি নামের ব্লগারটি তার প্রতিবাদে "মেরুদন্ডহীন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি...." নামের পোস্টটা দেন। তুমুল প্রতিবাদ হয়। তারপর থেকে ব্লগের যাবতীয় তর্কবিতর্কের কেন্দ্রে এসে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের তর্কে যারা যারা ধর্মীয় মৌলবাদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন তাঁদের সবাই চলে যান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের পক্ষে। মার্চের শুরুতে জঙ্গীবাদ নিয়ে লেখা মাসুদা ভাট্টির ধারাবাহিক উপন্যাস "তরবারির ছায়াতলে"র প্রথম কিস্তি জামাতিব্লগারদের চাপের মুখে বা স্বেচ্ছায় সামহোয়ারইন কর্তৃপক্ষ মুছে দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্লগে মুক্তচিন্তার সমর্থক ব্লগাররা ৫ ও ৬ মার্চ ধর্মঘট করে। এর পর থেকে ব্লগ পরিস্কার দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোর্শেদ, সাদিক মোহাম্মদ আলম ধরণের কিছু ব্লগার "নিরপেক্ষ" ভাব দেখানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বটম লাইনে এসে রাজাকারপক্ষ গ্রহণ করে ফেলেন। এরপর ১৩ মার্চ আস্তমেয়ের এই পোস্টের ১১ নম্বর কমেন্টে আলবদরপুত্র ওয়ালি প্রগতিশীল ব্লগারদের বেইসবল ব্যাট দিয়ে পেটানোর হুমকি দিলে মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক ব্লগাররা তার প্রতিবাদে শিম্পাঞ্জি দিবস পালন করেন। দুষ্টু ছেলে অরূপ কোত্থেকে যেন এই ছবিটা জোগাড় করেন।। ঐ ছবিকে সামনে রেখে শুরু হয় একের পর এক স্যাটায়ার। জামাতিরা চেষ্টা করলো প্রতিরোধের। কিন্তু হলো না। স্যাটায়ার লেখার ক্ষমতা থাকলে ওরা আর মৌলবাদী হবে কেন? ব্রাত্য রাইস, মাহবুব মোর্শেদরা "নিরপেক্ষ"ভাবে ওয়ালিকে বাঁচাতে এসে গনরোষের মুখে পড়লো। যাই হোক, বেইসবলব্যাট হাতে শিম্পাঞ্জিই ছিল ঐ মুহুর্তে একই সাথে ধর্মীয় জঙ্গী আর জামাতশিবিরের প্রতীক।
অনেক কথা বলে ফেলছি। কিন্তু ছাগু আগমনের প্রেক্ষিতটা বোঝাতে কিছুটা অন্তত ইতিহাস জানতেই হবে। এর মধ্যে জামাতিব্লগারদের মধ্যে আবির্ভাব হয় ত্রিভুজের। শুরুতে ওয়ালি, আস্তমেয়ে, ভুত ইত্যাদির দিকে মনোযোগ বেশি থাকায় সে তেমন নজরে পড়েনি। কিন্তু মার্চের শেষ থেকে সেই ক্রমশ সকলের নজর কেড়ে নিলো এই ব্লগারের লেখালেখি। মার্চের সেই সোনাঝরা পোস্টগুলি সে মুছে ফেললেও তার পুরনো ব্লগগুলিতে নজর দিলেই মন ভালো হয়ে যেত। কখনো ডারউইন, কখনো ধর্মতত্ত্ব, কখনো টেকমোল্লাবাদ নিয়ে তার প্রচুর জ্ঞানগর্ভ লেখা আর তাতে জামাতচক্রের মুর্হুমুহু সমর্থনে এপ্রিল নাগাদ সরাসরি জামাতশিবির পরিবারের সদস্যদের ছাড়িয়ে ত্রিভুজই হয়ে ওঠে নতুন প্রজন্মে টেকমোল্লাবাদের আইকন। মে মাসের শুরুতে অমি রহমান পিয়াল প্রাপ্তি নামে ক্যান্সার আক্রান্ত একটি শিশুর চিকিৎসার জন্য ব্লগারদের সহায়তা কামনা করে একটি পোস্ট দেন। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার সামর্থ্যমতো চেষ্টা করতে থাকে। এই সময় দীক্ষক দ্রাবিড়ের এই পোস্টকে কেন্দ্র করে ত্রিভুজ ক্ষেপে ওঠে। একে গুতা দেয় তাকে গুতা দেয় পরিস্থিতি। তখন অরূপ এই ছবিটা তৈরি করে সমমনা ব্লগারদের শেয়ার করে। দুষ্টু ব্লগাররা এবার পালন করে রামছাগল দিবস। সেটা ছিল ২০০৬ সালের ২১ মে। ত্রিভুজ সেইসময়কার বেশিরভাগ পোস্টই মুছে ফেলেছে। শুধু এইটা অবশিষ্ট। ২১ মে ত্রিভুজগলে রামছাগলের মাথা বেরিয়ে আসার সেই ছবিটাই ছিল ত্রিভুজকে পঁচিয়ে করা রামছাগল দিবসের সবগুলি পোস্টের আইকন। সেখানে সমমনা ব্লগারদের প্রায় সবাই পোস্টালেও মুখফোড় লিখলেন না। পাঠকরা রীতিমতো অপেক্ষা করেছিল কিন্তু তার দেখা পাওয়া গেল না। তিনদিন পরে এই পোস্ট।। লেখাটায় তেমন মন্তব্য না থাকলেও "ছাগুরাম" শব্দটা ব্লগারদের মনে গেঁথে গেল। ৩১ মে মুখফোড় লেখেন প্রথম ছাগুরাম কাব্য।
তারপর দিন যায়। মাস যায়। ব্লগে লোক বাড়তে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ সমর্থকদের সাথে যোগ দেন কনফুসিয়াস,হাসিব(শুরু থেকেই ব্লগে থাকলেও লিখতে আর কমেন্ট করতে শুরু করে জুলাই-আগস্টের পরে), চোর, এস.এম. মাহবুব মুর্শেদ, গোপাল ভাড়, ঝরাপাতা, প্রজাপতি, অন্যমনস্ক শরৎ, হাসান মোরশেদ, আরিফ জেবতিক, নজমুল আলবাব, আনোয়ার সাদাত শিমুল, আরণ্যক সৌরভ, জামাল ভাস্কর, বাকী বিল্লাহ, রাকিব হাসনাত সুমন এবং আরো অনেকে। যোগ দেন মানে যোগ হতে থাকেন। সেটা ছিল ঝড়ের বেগে বাংলাব্লগের বেড়ে ওঠার সময়। রাজাকার পক্ষেও ফজলে এলাহী মুজাহিদ, আশরাফ রহমান, সাইমুম প্রমূখরা যোগ দেন। আরো নানান কথায় মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক আর বিরোধীদের লড়াই চলতেই থাকে। স্বভাবতই তর্কযুদ্ধে বিরোধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সরাসরি জামাতি পোস্টের বদলে বিনোদোনমূলক নির্বুদ্ধিতাসম্পন্ন ডানপন্থী পোস্ট পড়তে থাকে রাজাকার পক্ষ থেকে। সেইসব বিনোদোনের স্রোতে ছাগুরাম থেকে কখন যে রামটা খসে গেল সেটা হলফ করে বলা মুশকিল। যে কোন ধর্মীয় মৌলবাদী, রাজাকারপন্থীই ছাগু বলে চিহ্নিত হতে থাকলেন। মৌলবাদ এবং রাজাকার প্রশ্নে "মধ্যপন্থা" অবলম্বনকারীরাও ব্লগারদের কাছে ছাগু বলে অভিহিত হতে থাকলেন।
তারপর চলে গেল অনেকগুলি বছর। ছাগুর সংজ্ঞার্থ তেমন আর বদলায় নাই। ২০০৮ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগাররা ছাগু বলতে সাধারণভাবে মৌলবাদী এবং বেইসবল ব্যাট হাতে শিম্পাঞ্জি বলতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী/সমর্থকদের বুঝতো। তারপর সময়ের সাথে ছাগু ছাড়া বাকি পরিভাষাগুলি হারিয়ে গেল। ফখরুদ্দীনের আমলে "নিরপেক্ষ" ভাব দেখানো ব্লগারদের সুশীল বলা শুরু হয়। কিছুদিনের মধ্যেই তারা হয়ে যান সুশীল ছাগু। একইভাবে এসেছে বামছাগু, উত্তরাধুনিক ছাগু, আওয়ামীছাগু, কর্পোরেটছাগু এইসব টার্ম। অর্থাৎ যেখানেই যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের ধরণে ত্রিভুজের মেথাড পাওয়া গেছে সেখানেই ছাগু শব্দটা জুড়ে গেছে। সব ছাগুদেরই পলিটিক্যাল কেবলা কোন না কোনভাবে চাঁদতারাতে গিয়ে মিশেছে।
এই হল মোটের উপর বাংলাব্লগে "ছাগু" শব্দের ইতিহাস। এর সাথে আরো অনেক তথ্য যোগ হতেই পারে। কিন্তু মূল ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত যা লিখলাম ঠিক তাই। এর মধ্যে বাইরে থেকে কোন অবান্তর উপাদান সংযোজন ইতিহাস বিকৃতি বলে ধরা হবে। ২০০৬ এর পরে ব্লগ লিখতে শুরু করা কেউ ছাগুনাম ইতিহাস লিখতে গেলে কোন অবস্থাতেই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে লিখতে পারবেন না।
মন্তব্য
ভাল লিখছেন। মুখার ঐ সময়ের পোস্টগুলার কোন তুলনা নাই।
বাকী বিল্লাহ কবে ছাগু বিতারন করসে সেটা জানতে ইচ্ছুক?
আর রাজাকার সহায়তাকারী হিসাবে কৌশিক আর অন্যমনস্ক শরতের নাম বাদ পড়ায় বেপক টাসকিত হইলাম!!
ওগুলা তুমি আসার আগের কথা আইজু। ২০০৬ সালে অনেকেই ছাগতাড়ুয়া ছিল যারা ফখরুদ্দীনের আমলের শুরু থিকা একে একে সইরা পড়তে থাকে। এটিম যূগ শুরু হইছে ২০০৭ এর মে মাসে। আর এইখানে প্রসঙ্গ হইতেছে ছাগু শব্দের উৎপত্তি। প্রসঙ্গে থাকো।
অজ্ঞাতবাস
জটিলিক্স। বাংলা ব্লগে ছাগু আর ত্রিভুজ সমার্থক শব্দ।
এই লেখাটার জন্যে আমি আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই কোনদিন আমাদের ইউনিভার্সিট বটতলার চা-সিঙারা-পুরী খাওয়াবো বদ্দা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমাকে বিদ্যুৎ এর কলিজু সিংগারা খাওয়ালেই হবে।
খাওয়াবোনে, বদ্দা যে সময় করে এই ইতিহাসগুলোর কিছুটা হলেও টুকে রাখার চেষ্টা করেছেন, সেই খুশিতেই খাওয়াবো!
আমি বছর তিনেকে পুরনো সচলদের আলাপ শুনে বুঝার চেষ্টায় লিংক ঘেঁটে ঘেঁটে যেটুকু পেয়েছি, বুঝেছি তা নতুন কেউ জিজ্ঞেস করলে বুঝিয়ে উঠতে পারি না এত চমৎকার করে। এই যে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশের ব্লগগুলোর ইতিহাস এগুলো হারাবার আগেই সঠিকটা নোট করে না রাখলে খুব বাজে ব্যাপার হবে। এখন যে চমৎকার ভিত্তি নানারকম ব্লগের, যেখানে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত লিখছে, যেটা খুলে সবার প্রবাসী আত্মীয়রা চোখ রাখছেন কাজের শেষে একটুকরা বাংলাদেশের আশায়, সেগুলো কী করে এলো, কীভাবে সক্রিয় জামাতী আক্রমণকে শুরুতেই পয়েন্ট আউট করে রুখে দেয়া হয়েছিলো, সেগুলো নোটেড না থাকলে সুবিধাবাদী ফারুক ওয়াসিফ, ফাহমিদুল হক, ব্রাত্য রাইসুরা আবারও এসে ল্যাং মেরে ব্লগোমণ্ডলের স্বঘোষিত মোড়ল হয়েই ছাড়বে একদিন।
বদ্দা, যদি সময় থাকে, প্লিজ বাকি আরও ঘটনাগুলো নিয়ে লিখুন। আমরা জানতে আগ্রহী। সেই পোস্টগুলোর লিংক শেয়ার করতে আগ্রহী ছোট ভাইবোনদের এলার্ট করার জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
২০০৭এ ছাগু নিয়ে একটা রিভিউ লিখছিলাম
অসাধারণ।
২০০৭ এর দিকে আমি কিন্তু ছাগু (পড়ুন সামু) ব্লগে বহু ছাগল োন্দাইসি! এক সময় দেথা গেল ওখানে ছাগু ছাড়া আর কিছু নাই। বহুদিন হল সামুতে যাই নাই। এখন মনে হয় ওখানে কেবল ছাগুরাই চইড়া বেড়ায়।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ওরেব্বাস এত্তো কাহিনী!! ব্যাপক জ্ঞানার্জন হইলো, ব্লগের ইতিহাস কিছুই জানা ছিলো না।
ভাই আমরা ব্লগে নতুন। ব্লগে টুকটাক খোচাখুচি করে নিজেরে ব্লগার পরিচয় দিতে আনন্দ পাই। তবে আমরা বাংলা ব্লগ ইতিহাস সম্পর্কে পুরোপুরিই অজ্ঞ। ঘাটতে ঘাটতে আবছা আবছা ভাবে জেনেছি আপনাদের প্রায় সবারই শুরু সামু থেকে হয়েছে। মাঝখানে জন্ম হয়েছে ছাগুর, এইসব ছাগু নিধনে জন্ম হয়েছে এ-টিমের এইসব এবং তারপর কোন এক কারনে বড় বড় সেলিব্রিটি ব্লগাররা একসাথে সেখানে বের হয়ে এসেছেন।
অনেক পোষ্ট মুছে ফেলায় অনেক কিছুই জানতে পারিনি কিন্ত আমার এই সমস্ত ব্লগ ইতিহাস সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে চাই। আশা করি ভবিষ্যতে এই ধরনের পোষ্ট পড়ার সুযোগ আমাদের হবে ।
এই পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ব্লগের প্রায় শুরুর দিকে থাকলেও এত শুরুতে ছিলাম না। এই ইতিহাসও জানা ছিল না। জ্ঞান বাড়িল, জ্ঞানী হইলাম
নতুন যোগ হওয়া লোকদের ভেতর পিয়াল ভাই বা হাসিব ভাইর নাম নাই কেন?
জেবতিক ভাইর ব্লগিং বয়স ৬ বছর ২ মাস তার নাম আপনার মনে থাকলো এই পোষ্টা লেখার সময় অথচ যে পিয়াল ভাইর ব্লগিং বয়স প্রায় ৭ বছরেরো বেশী, তাকে আপনার মনে পড়লো না সুমন চেৌধুরী সাব?
পিয়াল ভাইয়ের নাম দেখতে পারছিতো!
এর লিংকটাও তো পিয়াল ভাইয়ের লেখা পোস্টের। প্রলয় হাসান মনে হয় পোস্ট ভাল করে পড়েননি।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
নারে ভাই আমার মনে হয় বয়সই হইছে। নাম যোগ করছি দুই একটা আরো তবে পিয়াল ভাইয়ের নাম শুরুতেই আছে। হাসিবের কথা আলাদাভাবে কমু ভাবছিলাম। তো পোস্টাইয়া সারার অনেক্ষণ পরে খিয়াল হইছে থুক্কু...হাসিব কৈ....
অজ্ঞাতবাস
এইবার মনে হয় তালিকাটা এট্টু জুইতের হইছে।
অজ্ঞাতবাস
আপনার বয়স হচ্ছে, আমাদেরও হচ্ছে। কিন্তু নতুন প্রাণ আসছে বাংলা ব্লগে। এজন্যই ইতিহাস লিখে রাখা জরুরী। দুইদিনেরবৈরাগী দ্দীণূ যখন ব্লগনামা লেখা শুরু করেছিল, খুব হতাশ হয়েছিলাম। ২০০৭-৮ সালে ৮/৯ মাস আপলোডপনা করে দ্দীণূ ও ইতিহাস লিখে। আজ সে হতাশা অনেক কেটে গেলো। জানি আপনার ব্যস্ততা অনেক! কিন্তু, এরকম নিঁখুত ইতিহাস দরকার। ছাগুদের লিংকগুলার প্রিন্টস্ক্রিণ রাখা দরকার, নইলে মুছে দেবে। এইটা ধারাবাহিক হোক।।।
_____________________
Give Her Freedom!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এদ্দিন আমি আরো ভাবছিলাম, আর চা-বিড়ির ধোয়াও শেষ করছিলাম এই আলোচনায় যে ছাগু কই দিয়া আইছে, উপসংহার আছিল এইরকম "পাকিগো জাতীয় পশু ছাগল, সেইখান দিয়া ছাগু শব্দের উৎপত্তি"।
হায়, কত অজানারে!!!
এইজন্যি কেডা জানি কইছিল যে আগে ইতিহাসের পাঠ নাও বালক!!! এই ইতিহাস এদ্দিন বাদে জানলাম। এখনো শিশু রইয়া গ্যালাম। বদ্দা, এই জ্ঞান অতি জরুলী আছেল। আরো কিছু ইতিহাসের পাঠ দিয়েন।
দারুণ!
প্রশ্ন হইল, ছাগুবধের এই তুমুল সময়ে ছাগুচীফ ত্রিভুজ এখন কোথায়? সে কি কোন ম্যাতকার করে নাই?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শরীফ ছাগু হায়াত ছাগুচীফের মার্কেট দখল করে নিয়েছে। মাঝে একদিন দেখি ছাগুরাম তিরিভুজ ছাগু হায়াতের সঙ্গে বাহাসে বামপন্থী কথাবার্তা বলা শুরু কর্ছে।
ও বলে এরশাদের সাপোর্টার
অজ্ঞাতবাস
ত্রিভুজ এখানে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিসের লিংক? জিরো-টু-ইনফিনিটি? (লিংক আসে নাই)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লিংক কি ছিল?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ছাগু ইতিহাস।
জানার আছে অনেক কিছু।
ধন্যবাদ।
দারুন সুমনদা।
এইটা একটা To Whom It May Concern সার্টিফিকেট হইছে। যার যখন দরকার ধরায়া দেয়া হবে...হা হা ।
আমার পারসোনাল ফেভারিট দ্রোহী'দার কথাও কিন্তু লিখেন নাই বদ্দা! মাইন্ড খাইলাম
ইস্পশালি সামু'তে উনার প্রথম পোস্টা এখনো রকজ (যদিও ২০০৭ সালের)
http://www.somewhereinblog.net/blog/droheeblog/28712901
আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ব্লগারদের পুরা তালিকা করা খুবই জটিল কাজ - সবারই কম বেশি অবদান আছে
জব বদ্দা
----------------------
বাপ্পীহায়াত
দ্রোহী ২০০৬ এ ছিল না। আমি সময় অনুসারে ব্লগারদের নাম উল্লেখ করেছি। আর পোস্টের বিষয় হচ্ছে ছাগু শব্দটার উৎপত্তি।
অজ্ঞাতবাস
হ, এই পোস্টের ঘটনাপঞ্জি ২০০৬ এর শুরুর দিককার। তখন আমি সামু ব্লগে ছিলাম না।আমি সামু ব্লগে নিয়মিত হয়েছি ২০০৬ এর শেষভাগে। আর দ্রোহী নামের যাত্রা ২০০৭ সালের পহেলা জানুয়ারী।
কত কিছু মনে পড়ে গেল!! কালে কালে ছাগুরা চরিত্রে অপরিবর্তনীয়। জামা পোষাক যাই বদলাক, সেই একই লাদি একই ম্যাতকার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দেশে দুই ধরণের ছাগু পাওয়া যায়। ছুপা আর সলিড। সলিড ছাগু হচ্ছে আদি অকৃত্রিম প্রকাশ্য জামাতী। আর ছুপা ছাগু হলো বিএনপি অথবা নিরপেক্ষতার মুখোশ পরা জামাত শিবির। কোনটা বেশী খারাপ? সলিড না ছুপা?
আমার কাছে সলিডের চেয়ে ছুপাকে বেশী ক্ষতিকর মনে হয়েছে। শাহবাগ নিয়ে উত্তাল সময়ে যে কোন চ্যানেল খুললেই আন্দোলনের ছবি। ছাগু ম্যাতকারের জায়গা ছোট হয়ে গেছে, কিছু ছাগু ঘাপটি মেরে গেছে গর্তে। তবু যে কয়টা এখনো ম্যাৎকারে আগ্রহী তাদের জন্য দিগন্ত বা ইসলামিক টিভি খোলা আছে। দেখা গেছে জামাতিগুলো পুরা গর্তে ঢুকে গেছে, প্রক্সি দিতেছে ছুপাগুলো। বিশেষ করে যারা প্রকাশ্যে বিএনপি, অন্তরে জামাতী।
কালরাতে সেরকম দুটো ম্যাৎকার দেখলাম দিগন্ত টিভিতে। একটা জামাতী ম্যাৎকার, আরেকটা বিএনপি ম্যাৎকার। অবাক হইছি যে জামাতী ম্যাৎকারের চেয়ে বিএনপি ম্যাৎকার অনেক বেশী নিকৃষ্ট। শওকত মাহমুদ নামের বিএনপির ওই শুয়োরের বাচ্চা বলে কিনা কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ করছে!!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
শুয়োরের বাচ্চা না বলে বলেন পয়সার বাচ্চা। পয়সায় জন্ম দিছে।
ওয়ালেদ অপেক্ষা ওয়ালেট অধিক পূজণীয়!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছাগুর সাথে বাহাস.....
অজ্ঞাতবাস
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
আমি একজন বরস্ক ব্লগার হলেও ব্লগ জগতে নতুন। এ জগতের অনেক কিছুই অজানা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, বহু চর্চিত এই শব্দটির উৎপত্তি এবং সংযোজনের ইতিহাস জানাবার জন্য।
ত্রিভুজের ছাগুপনা ব্লগাতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
ছাগুসম্রাট ত্রিভুজকে কি কেউ হারাতে পেরেছে এখনো? সামুতে যাই না বহু বছর ।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ব্লগের উন্মেষ বাংলাদেশে কীভাবে হলো সেটাও জানলাম। আমি মাঝে মাঝেই টাইমলাইন ধরে শুরুর দিকের পোস্টে যেয়ে পালসটা ধরার চেষ্টা করতাম কিন্তু এইভাবে সারাংশ পাই নাই। কৃতজ্ঞতা সুমনদা।
এই আন্দোলনের তরুণরা আসলে আপনাদের কাছে চিরঋণী, আপনাদের তৈরী করা প্ল্যাটফর্মের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
ছাগুবধ চলেছে, চলছে, চলবে.................
_____________________
Give Her Freedom!
ছাগুরাম কাগুদের সম্পর্কে অজানা অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ!
বুল'স আই বদ্দা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে অতি প্রয়োজনীয় ইতিহাস পাঠ। ইতিহাস রচনা জারী রাখেন প্লীজ। বহুৎ লোকের উপকার হবে।
খুব জরুরী পোস্ট - ধন্যবাদ সুমন চৌধুরী
এই সেই ঐতিহাসিক পোস্ট!
১৯ মে ২০০৭। এটিমের অফিশিয়াল জন্মদিন।
অজ্ঞাতবাস
এ-টিম নিয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এটিমের ইতিহাস কিন্তু লেখা হয়ে গেছে ২০০৮ এই। এইখানে আর এইখানেও পাবেন। এটিম পর্ব ২০০৯ এর প্রথমার্ধে শেষ।
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
২০০৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাংলাব্লগ বলতে একমাত্র সামহোয়ারইন। প্যাচালী নামে একটা ব্লগ খোলার চেষ্টা করেছিল ছাগুরা। লোকে খায় নাই। সামহোয়ারইনের বেটা পর্বের অর্থাৎ ২০০৫ এর ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ এর ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের রেফারেন্স দেওয়ার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে পুরনো বহু মন্তব্যে মন্তব্যকারীকে আর চেনা যায় না। যার ফলে অমুকে অমুক কথা বলেছে এই ব্যাপারে ঐ সময়কার প্রত্যক্ষদর্শীর কথা বিশ্বাস করে নেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না। এছাড়া সময়ের সাথে অনেকেই অনেকদিকে পরিবর্তিত হয়েছে। নানা ধরণের নানা মাত্রার পল্টি মেরেছে। কিন্তু ইতিহাস লিখতে গেলে সুনির্দিষ্ট সময়ের সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিটির ভুমিকা উল্লেখ করতে হয়। উদাহরণ অনেক। খুব সহজ একটা উদাহরণ দেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই সময়কার একজন কেন্দ্রীয় অ্যাক্টিভিস্ট ছিল আনোয়ার জাহিদ। গ্রেফতারও হয়েছিল। এই লোক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনিকে মুরগী সাপ্লাই করেছে এবং আশির দশকে এরশাদের ঝাড়ুদার তথ্যমন্ত্রী ছিল। আমি যখন ১৯৬১ সালের কথা লিখবো তখন রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী উৎযাপন কমিটিতে আনোয়ার জাহিদের ভুমিকার কথা বলতেই হবে। ১৯৬১ সালেই কিন্তু আমি ১৯৭১ এ চলে যেতে পারছি না। মাঝের দশটা বছর পার হয়ে আসতে হচ্ছে। এই বোধটা পাঠককেও রাখতে হবে।
অজ্ঞাতবাস
" বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই সময়কার একজন কেন্দ্রীয় অ্যাক্টিভিস্ট ছিল আনোয়ার জাহিদ। গ্রেফতারও হয়েছিল। এই লোক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনিকে মুরগী সাপ্লাই করেছে এবং আশির দশকে এরশাদের ঝাড়ুদার তথ্যমন্ত্রী ছিল। আমি যখন ১৯৬১ সালের কথা লিখবো তখন রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী উৎযাপন কমিটিতে আনোয়ার জাহিদের ভুমিকার কথা বলতেই হবে। ১৯৬১ সালেই কিন্তু আমি ১৯৭১ এ চলে যেতে পারছি না। "
আমিও মনে করি , ইতিহাসের কোন ব্যক্তি বা ঘটনার বিচার করতে হয় ওই সময়কালে / পটভুমিতে ব্যক্তি বা ঘটনার ভূমিকা কি ছিল তা’ দিয়ে । অতীত বা ভবিষ্যতের কোন ঘটনায় ব্যক্তির ভূমিকা দ্বারা বায়াসড না হয়ে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এতেও, অনেকের, যেমন বদ্রু উমরের, ভাবমূর্তির ইতর-বিশেষ হবে না। আচ্ছা ৭১ এ বদ্রু কী করতেছিল?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কিছুই করে নাই। যা করছে বইলা সে তার বইয়ে লিখছে সেইটা তার আবর্তের বাইরের লোকে হয় বুঝবে না আর বুঝলেও পাত্তা দিবে না। আর সেই পাত্তা না পাওয়ার দায় তার নিজেরই।
কিছুই না করা কোন ভালো অবস্থান না।
অজ্ঞাতবাস
তবে এখন যখন রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষিকী উৎযাপন উৎযাপন বিষয়ে আনোয়ার জাহিদ সম্পর্কে কিছু লিখবেন, তখন আনোয়ার জাহিদের চুরান্ত গন্তব্য/পরিনতি বিষয়ে একটি ফুটনোট থাকাও জরুরী, তা না হলে নবীন পাঠক একটা অর্ধসত্য বিষয় জানবে।
সেটা আলোচ্য বিষয়ের অগ্রাধিকার অনুসারে হবে। আমি বলতে চাচ্ছি যে পাঠকেরও সময়ের প্রেক্ষিত মাথায় রেখে পড়ার দায় থাকে।
অজ্ঞাতবাস
মারিচ্চে। এত দেখি ছাগু বিবর্তনের ইতিহাস
দিনই আছিলো একেকটা তখন। 'ছানারাম' শব্দটাও হারায়ে গেলো কালের গর্ভে, হায় হুসেন!
ছাগুরাম ত্রিভুজ কোনো পোস্টে মন্তব্য করলেই পরের মন্তব্যগুলোতে আর পোস্টের মেরিটের আলোকে সিরিয়াস কথাবার্তা বজায় রাখা সম্ভব হতো না। 'ছাগলে মুখ দিছে, এই পোস্ট আর বাড়বো না'। ছাগুচীফের পোস্টের ডিসএ্যাডভান্টেজ ছিলো, মেজাজ খারাপ হয়ে যাইতো। আর এ্যাডভান্টেজ ছিলো, মেজাজ যতো খারাপ থাকুক ছাগুর পোস্টে ঢুকলেই সেটা ফুরফুরা হয়ে যেতো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্লগাবর্তে আমার বিচরণ ২০০৭ এর শেষদিকে শুরু বলে সবকিছু পরিষ্কার জানা ছিল না। কিছুদিন আগে সচল সবজান্তার সাথে 'ছাগু' শব্দটার ব্যুৎপত্তি নিয়ে কথা হয়েছিল। এখন এই লেখায় আর সংযোগকৃত লিংকগুলোর মারফত ইতিহাসটা ভালোভাবেই জানা হয়ে গেল।
দারুণ! কিছু ইতিহাস জানা ছিল, বাকিসব জানলাম আজকে।
আধুনা বাংলা ভাষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই আবিস্কার - ছাগু এবং পুটু। এই দুই শব্দের আবিষ্কর্তা কে একুশে পদক দেয়ার আবেদন জানিয়ে গেলাম।
আমি ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০০৬তে প্রথম পোস্ট করি এবং এপ্রিলে নিয়মিত হই। শুরুতে নীরব পাঠক থাকলেও বর্দ্দার উল্লেখিত আন্দোলনগুলিতে যোগ দিয়েছিলাম নীরবে।
আমি কালকে ভাবতেছিলাম এইটা। তোমারে চিন্তাভাবনা কইরাই ত্রিভুজ ছাগুর আইকন হওয়ার পরে অর্থাৎ মে মাসের পরের ফেইজে রাখছি। এইখানেই মনে হয় সেই ঘটনা যেইটা নিয়া মুখফোড় পরে এইটা লিখছিল।
অজ্ঞাতবাস
এইখানে কিছু ভিনটেজ ছাগুপোস্টের ব্যাক আপ পাইলাম।
অজ্ঞাতবাস
মাথায় বেসবল ব্যাটের বাড়ি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার একটা ইমোর দাবী জানাচ্ছি।
এতোগুলা লাদি পরিষ্কার করতেই তো যুগের পর যুগ লেগে যাওয়ার কথা।
ফারাসাত
ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া ভাই।
খাইছে! সোনাব্লগেও তো এমন নগ্ন রাজাকার তোষন চলে না। অবশ্য কামারুজ্জামানের বাচ্চার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত। তবে যাই বলেন আস্তমেয়ের 'দাড়িওয়ালা বনাম দাড়িহীন' একটা ক্লাসিক। এমন ইরোটিক দাড়িপ্রশস্তি আর দেখি নি। বদ্দা, আপনারতো খুশিতে লাফ দেওয়া উচিৎ (অবশ্য জেএমবি স্টাইলের দাড়ি হলে কিন্তু আবার বিগ ফ্যাট "নো"
আইশশালা! একের পর এক ক্লাসিক! ত্রিভুজের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে লেখা পোস্ট পড়লাম। তখন নিশ্চিতভাবেই সঠিকভাবে পোন্দানো হতো না। এখন এই পোস্ট দিলে যা হতো তাতে ও ব্লগিং-ফ্লগিং ছাইড়া সুন্দরবনে চলে যেতো।
এত এত ছাগু পোস্ট দেখে ভয় খাইছি
এইটা ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ এর।
অজ্ঞাতবাস
শাহবাগের আন্দোলনের ফলে অনেকেই নতুন করে ব্লগ জিনিসটা কি এবং এর ভিতরের ব্যাপার স্যাপার বুঝার চেষ্টা করছেন। সেই রকম কেউ এই পোস্ট পড়লে অনেক তথ্য ও ঘটনা একসাথে জানতে পারবেন - এই বিষয়টা মাথায় রেখে একটা অনুরুধ করছি – সামুর ছাগু পোস্ট দাতা এবং ছাগু বিরোধী পোস্ট দাতা হিসেবে যাদের নাম এসেছে তাদের নামের সাথে তাদের ব্লগের লিংকটা যদি যোগ করে দিতেন খুব ভাল হত ।
অনেক কৃতজ্ঞতা সুমনদা।
ছাগু শব্দের জন্ম ইতিহাস জানা ছিলনা।
আমরা নতুন যারা ব্লগ লিখছি তাদের জন্য এই লেখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
উদাস দার সাথে একমত ছাগু শব্দকে একুশে পদক দেওয়া হোক।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
রাগ ইমন আর কালপুরুষ মিসিং। (ধানসিঁড়িও আসতে পারে। টাইমলাইন খেয়াল নাই।)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আসবে। আমি আসলে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা রাখতে চাইতেছি।
অজ্ঞাতবাস
আমি ত্রিভুজকে সবসময়ই পছন্দ করি। তার প্রশংসাকারীদের মধ্যে আমি একজন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হ, তর্কে সুবিধা করতে না পারলেই, "আমি কী বলতে চেয়েছি তা আপনি বুঝেননি। আরেকবার পড়ুন।" বলেই জরুরী কাজে বাইরে "ঘুড়তে" বের হয়ে পড়তো।
ছাগুরাম চাঁদপুরে "ড্যানস করা" আর "ড্রিংক" করার মত ক্লাব পাইছিল কৈ?
এই প্রোফাইলটা আমার খুব "পসন্দের"
অজ্ঞাতবাস
সিরিকাস নস্টালিজক হয়ে গেলাম।
এইটা দেখো। এই সেই ডারুইনবাদ।
অজ্ঞাতবাস
এই পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
উপরের কমেনট কারী এস এম মাহবুব মুর্শেদ ও মাহবুব মোশেদ (মামো) কি একি লোক??
ঘোরতর দুঃস্বপ্নেও না। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান আর মতিউর রহমান নিজামী যেরকম খুবই মারাত্মক রকমের ভিন্ন দুইজন মানুষ, এরাও তাই। এস এম মাহবুব মুর্শেদ হচ্ছেন মানুষ মুর্শেদ, আর মাহবুব মোর্শেদ ওরফে মাইগ্যা মোর্শেদ ওরফে কলুমর্ষেদ ওরফে মামো হচ্ছে মামো।
সারাজীবন কলু মোর্শেদের অভিশাপ মাথায় নিয়ে ঘুরতে হবে আমাকে। ওর কে আছিস আমাকে ধর!!!
মাইরালছে রে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
সময় ধরে আলোচনা করলে নজমুল আলবাব আসবে ২০০৬ এর শেষ দিকে। এইটা যে সময়ের কথা লিখলেন, তখন নজমুল আলবাব ছিলো না। তার ভাই বিরাদররা ছিলো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ভাই, আলিফ দেওয়ান লোকটা কোথায়??
আমি ২০০৯ থেকে ব্লগ পড়ি। প্রথমে ধারণা ছিল এইটা আরিফ জেবতিক। পরে মনে হইছে এইটা হিমু হইলেও হইতে পারে। তার প্রশ্ন উত্তরের একটা ব্লগ ছিল যেইটা আমার ধারণা আমি ৫০ বার পড়সি।
কাগুরে খুব মিস করি তার গল্প গুলোর জন্য।
না রে ভাই, আমি না। বাংলাদেশ রসিকপ্রজ দেশ। নেটে কোথাও কাউরে দুষ্টামি করতে দেখলেই ইনি অমুক ইনি তমুক এরকম ভাবা ঠিক নয়। আলিফ দেওয়ান নামে একজন বামপন্থী নেতা ছিলেন বলে জানতাম। দেওয়ান কাগু সম্ভবত তার ওপর কোনো কারণে ক্ষিপ্ত একজন ব্যক্তি। আবার আলিফ দেওয়ান তার প্রকৃত নামও হতে পারে। কাগু মনে হয় কাগিমা পেয়ে যাওয়ার পর জরুরি কাজে বাইরে আছেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপডেটঃ সামহয়ারিনে তিনকোনার শেষ পোস্ট পোকার শিক্ষা (মার্চ ২০১৪) বিষয়ক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আগে সচলে একটা বাটন ছিলো, কোনো পোস্ট নিজের ফেভারিটে রাখার জন্য...
বহুদিন পর সেই বাটন খুঁজলাম, পাইলাম না
পাইলে এইটা ফেভারিটে রাখতাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আইচ্ছা, এই ছাগুরাম "ত্রিভুজ" নিকের আড়ালের মার্খোরটা অজ্জিনালি কে?
http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubblog/19591
ইটা পড়েন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মার্খোর হল পাহাড়ি ছাগল জাতিয় প্রাণি যা পাকিস্তানের জাতিয় পশু
একটু এডিট কইরা উইকিতে দিয়ে দেন,এই ইতিহাস লিপিবদ্ধ হওয়ার দাবি রাখে
আরে কত্ত কিছু অজানা রে একটু আগে সামুতে ঢুকছিলাম সেইখানে ছাগু শব্দের মানে কি এইরকম একটা পোস্ট থেকে আইলাম এখানে কে যেন লিঙ্ক দিছিলো ,ওহ তারপর তো পুরা টাইম মেশিনে চইড়া ভ্রমন দিয়ে আসলাম, দারুন লাগছে ছাগু শব্দের উত্পত্তির ইতিহাস জানতে গিয়ে অনেক কিছুই জানা হইলো ধন্যবাদ সুমন দা ,সেইসাথে ছাগুজাতীকেও ধন্যবাদ:-P
সচলের সব পোস্ট পড়া একমাত্র পাঠক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ব করতাম মনে মনে আজ আমার সব গর্ব ধূলিস্মাত্ ,এগারো দিন আগের পোস্ট পড়লাম আজকে তাও আবার অন্য ব্লগের লিঙ্ক থেকে এসে:-(
ছাগুরাম ইদানিং এক অনলাইন পত্রিকার উপদেষ্টা হইছে শুনতে পাই!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অসাধারণ! অনেক কথা জানা গেল। অনেকটা আন্দাজ পাওয়া গেল। সচলায়তনের পক্ষে থাকার জন্য শুধু 'ভাল লাগে' বলে নয়, ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার যুক্তিনির্ভর কারণও পাওয়া গেল। আরও আগেই যদি এই পোস্টটা পড়া থাকত আরো ভাল হত।
অনেক ধন্যবাদ সুমন এই লেখার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ সচলদের এই বোধ, এই চেতনা, এই মুক্তিযুদ্ধ জারি রাখার জন্য।
- একলহমা
বাংলা ব্লগের ইতিবৃত্ত কিছুটা হলেও জানা গেল। শুধু ভাবছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগাররা ওদের সাথে ছিল কি করে এতদিন!
যাইহোক, লেখককে ধন্যবাদ।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
নতুনদের জন্যে অবশ্যপাঠ। অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা সুমনা দা’র প্রতি।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
এরপরের অন্তত বছর খানেকের ইতিহাসও খুব জরুরি। লেখা হচ্ছে না নানান ঝামেলায়। সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে ঐ সময়ের বহু পোস্ট সামু কর্তৃপক্ষ মুছে ফেলেছে। এখন আর ওয়েব্যাকেও অনেক কিছু পাওয়া যায় না।
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন