টুকরো টুকরো লেখা ২৬

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শনি, ৩১/০১/২০১৫ - ৯:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

না লিখতে না লিখতে একসময় লিখতে পারাটাই থমকে যায়। বয়স বাড়তে থাকে। ক্রমশ বিষয়টা একদা লিখতাম পর্যায়ে চলে যায়। মাঝে মাঝে নিজের আর "নিজ সময়ের" বাকিদের পুরনো পোস্টগুলি দেখি। প্রতিটা মানুষেরই একটা নিজ সময় থাকে। মূল্যবোধগুলি কোন না কোনভাবে সেই সময়ের মূল্যবোধে বন্দি হয়ে যায়। নিজের সময়কাল অতিক্রম করে যাওয়ার মেধা সবার থাকে না। রবিবুড়ো অনেক চেষ্টা করে অনেকদূর এগিয়ে ছিলেন। বাকিরা তার এক-চতুর্থাংশও পারে নাই। আমি ঐ বাকিদের পঞ্চমবর্গের লোক। দাঁতগুলি স্মৃতির জাবর কেটে তুলনামূলক স্বস্তিতে থাকে।

বছর দুই হতে চলল ব্লগে ফিরবো ফিরবো করছি। ফেইসবুক বন্ধ করেছি বেশ কয়েকবার। যথারীতি কয়েকদিন পরে ফের খুলে বসেছি। আন্তর্জালে দেওয়া সময়ের প্রায় পুরোটাই ফেইসবুক খেয়ে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত একবার দুইবার ঊঁকি দেওয়া ছাড়া ব্লগের সাথে সম্পর্ক থাকে নাই। এটা রীতিমতো সিগারেট খাওয়া পর্যায়ের পাপ। ঘোরতর অন্যায় জেনেও অনবরত চালিয়ে যাওয়া। অথচ ফেইসবুকের আবেদন পড়তির দিকে। অমুকতমুক অ্যাপ্লিকেশানের কাছে তার পরাজয় অবধারিত। ভালোভাবে হোক খারাপভাবে হোক ব্লগই টিকে থাকবে। কারণ ব্লগ লেখার জায়গা। ফেইসবুক গং ফোড়ন কাটার জায়গা। ব্লগে ফিরতে হবে। বাজে, বিরক্তিকর, চর্বিতচর্বন যা হাতে আছে তাই নিয়ে ফিরতে হবে। আজ থেকে নয় বছর আগে যদি শুরুটা করে না ফেলতাম তাহলে হয়তো এই ফেরার ফেউ পেছনে লাগতো না। এসেই যখন পড়েছি, দিনের শেষে আমার পরিচয় ব্লগার।

১.

বিশ্বরাজনীতি টালমাটাল। কোন নতুন মেরুকরণ স্পষ্ট না এই মুহুর্তে। তবে মেরুকরণের পূর্বরাগপর্ব চলছে এটা নিশ্চিত। রাশিয়া প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন সরকারগুলি ন্যাটোর সাথে দৃশ্যত একমত হলেও অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে মতদ্বৈধতা প্রকট। গ্রীসে ডানপন্থীবাম ক্ষমতায় বসায় সব থেকে খুশি যুক্তরাষ্ট্র-বৃটেন। কারণ তাতে ইউরোর শ্রাদ্ধ হবার একটা সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যথারীতি বাংলাদেশের বামাতিদের মধ্যেও একটা খুশি খুশিভাব। আমার নাকে আসছে গ্রীক পলপটের গন্ধ। বিরাশি বছর আগে জার্মানীতে এনএসডিএপি'র আগমনেও তাঁরা একইভাবে প্রীত হয়েছিল। একেবারেই জামাত-মুসলিম ব্রাদারহুড-তালেবান/আল-কায়েদার ফর্মূলায় আইএস। সম্ভাব্য হিটলারের ভূমিকায় এর্ডোগান। ভারতে শক্তিশালী মার্কিনপন্থী ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ। অবশ্য মার্কিন বিরোধি ফ্যাসিবাদ আদৌ আছে কী না সেটা তর্কসাপেক্ষ। ছোট ছোট আঞ্চলিক দ্বন্দ্বগুলির নানামুখী মিথ:স্ক্রিয়া ১৯৪৫ থেকে চলতে থাকা অভ্যস্ত হিসাবনিকাশে মিলছে না। কী হবে না হবে বলতে পারবো না। চার্চিলের মতো করে বলতে পারি "ঝড় আসছে"।

২.

বহুবছরের মধ্যে ভালো খবর বলতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়ে রায় এবং রায় কার্যকর হতে শুরু করা। আদালতের কাজ সম্পর্কে বাইরে থেকে কিছু বলার নাই। তবে গতির সঙ্গে রাজনৈতিক লাভ/ক্ষতির একটা সম্পর্ক থাকেই। কাদের মোল্লার মামলা যেভাবে ২০১৩র মধ্যে নিষ্পত্তি হলো, বাকি মামলাগুলিতে সেই গতি দেখা যাচ্ছে না। দেখা গেলে ভালো হতো।

৩.

জার্মানীতে পেগিডা (পাট্রিওটিশে অয়রোপেয়ার গেগেন ইসলামিযিয়েরুঙ ডেস আবেণ্ডলাণ্ডেস) অর্থাৎ সূর্যাস্তভূমির ইসলামীকরণ বিরোধি দেশপ্রেমিক ইউরোপীয়বৃন্দের লাফালাফি ক্রমশ কমে আসছে। এই হেফাজতে ক্রিশ্চিয়ানিটির উগ্রডানপন্থী নেতারা একে একে পাততাড়ি গুটাতে শুরু করায় আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই এর পরিণতি পীরাটেন পার্টাই (Piraten Partei) এর মতো হবে। বিশেষত এই সপ্তাহে লাইপৎসিগে পেগিডার সমাবেশ সুপারফ্লপ করায় ভালো লাগছে। যেটা চোখে খুব আটকাচ্ছে তা হলো শুরু থেকেই পেগিডার সমাবেশের বাইরে পেগিডা-সমর্থকদের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে পেগিডা বিরোধিদের প্রতিরোধের কথা অজার্মান মিডিয়াতে খুব কম বা প্রায় না আসা। অভিবাসীদের কাছে প্রগতিশীল/উদারপন্থী জার্মানদের আড়াল করায় কার স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে? স্যাম চাচার? হোলেও হোতে পারে।

৪.

এমপিথ্রি থেকে ভিনুইলপন্থী হবার পর থেকে আরো বেশি করে টের পাচ্ছি বয়স হচ্ছে। ক্রমশই সরে যাচ্ছি জাজের দিকে। বিষন্ন দিনগুলিতে টাটকা বাতাস এনে দিচ্ছে গ্লেন মিলার কিংবা সাচিমো'র ট্রাম্পেট। ভূল করে হলেও ভাবতে ভালো লাগে, পৃথিবীটা কোন মিডিয়ার সৃষ্টি না, আসলেই সুন্দর।

এখানে গানের কথাসহ


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

ওয়েল্কাম্ব্যাক!

এই লেখার প্রতিটা টুকরা কিন্তু একেকটা হিট ফেসবুক স্ট্যাটাস হতে পারতো। অনেক লাইক হারাইলেন দেঁতো হাসি

লুইস আর্মস্ট্রংএর এইটাও বারবার শুনি,


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এডিথ পিয়াফেরটা আরো ভালো লাগে। ফরাসী-ইংরেজি দুইটাই।

অরফিয়াস এর ছবি

অনেক দিন পরে।

আবার বলি, 'ঝড় আসছে, খুব সাংঘাতিক একটা ঝড়।'

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তিথীডোর এর ছবি

এসেই যখন পড়েছি, দিনের শেষে আমার পরিচয় ব্লগার।

হ। হাসি

আর্মস্ট্রং এর এই গানটা শুনেছিলাম http://www.sachalayatan.com/mir178/45087 পোস্টে, এরপর থেকেই ভীষণ ফেভারিট!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মারুফ  এর ছবি

দিন শেষে লিখতে পারাটাই একটা বড় ব‌্যাপার। মাথায় লেখা গিজগিজ করে, কিনতু আলসেমির কাছে হার মানি। ব্লগার হবার খায়েশ ছিল খুব, কিন্তু আলসেমিরই জয় হচ্ছে প্রতিদিন।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

টুকরো আর বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলো মাথার ভেতর বসে খুব গান গায়। মাঝে মাঝে গান থেকে শ্লোগান হয়ে যায়। শুভকামনা রইল।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

হাসিব এর ছবি

এনএসড্যাপরে কি এই মুলুকের বামেরা স্বাগত জানাইছিলো? আমি কোথাও এরকম দেখছি মনে পড়ে না। ১৯০৬-০৭ থিকা রাশান কেবলার কমিউনিস্টেরা জার্মানিতে থাকতো। এদের একটা বড় অংশ বাঙ্গালি। এর পরে সুভাষ গিয়া হিটলারের পাণিপ্রার্থী হইছিলো। সুভাষরে কি বামপন্থী বলা ঠিক হবে?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঐখানে তারা বলতে যুক্তরাষ্ট্র-বৃটেনরে বুঝাইছি দেঁতো হাসি হিটলার ১৯৩২ সালে ক্ষমতায় আসায় যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স স্বস্তি পাইছিল আপাতত কেপিডিরে ঠেকানো গেছে বইলা। ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এই তিনটা দেশই একটার পর একটা দেশ হিটলুর হাতে তুইলা দিছিল।

অবিভক্ত সিপিআই সরাসরি হিটলারের বিপক্ষে ছিল। সুভাষ বসু বামপন্থী না। তবে ফরোয়ার্ড ব্লক নিজেগো মার্কসবাদী কয়। আর নেতাজীরে এইউসিআই আর বাসদ বামপন্থী মনে করে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কিন্তু এইদিকে ফরোয়ার্ড ব্লক আর কমিউনিষ্ট পার্টির লোকজনের কিন্তু মারামারি পিটাপিটি হতো। ফরোয়ার্ড ব্লকারদের ফ্যাসিবাদীই বলা হতো। ঐ যে গল্পকার সোমেন চন্দকে ঢাকায় খুন করা হলো। সোমেন কমিউনিষ্ট পার্টি করতো এবং বলা হয় ফরোয়ার্ড ব্লকের গুন্ডারাই খুনী ছিলো।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অতীত ভুলে সামনে তাকান। গত চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর ধরে ফরোয়ার্ড ব্লক সিপিআই-সিপিএম-আরএসপি'দের জানি দোস্ত। আশির দশকে ফরোয়ার্ড ব্লকের অতি জাতীয়তাবাদী এক ফ্যাকশনের কথা শুনেছিলাম। বাম প্রেমের কারণে তারা হারিয়ে গেছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সোমেন চন্দের খুনি তো মুসলিম লীগ জানতাম মন খারাপ যাই হোক আমার স্মৃতিভ্রমও হতে পারে।

হাসিব এর ছবি

এই হলো বর্তমান হালত

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মাঝে মাঝে মনে হয় ঐটাই ঠিক।

ভগবান নিশ্চিতভাবেই আছেন এবং তিনি নিশ্চিতভাবেই একজন তিলেখচ্চর।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ওরে শ্লা!

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হাসিব, এই সব দুষ্টু প্রশ্ন না করে সুভাষকে নিয়ে লেখাটা নামিয়ে ফেলুন। আমরা সেখানে আলোচনা করি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসিব এর ছবি

একটা বইয়ের ম্যাটেরিয়াল আছে। কিন্তু বুঝতেছি না জিনিসটা অরিজিনাল ওয়ার্ক হিসেবে দাঁড় করানো যাবে কিনা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

প্রথমে সেমি অরিজিনালটাই ছাড়ো বাজারে দেঁতো হাসি

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা  এর ছবি

"ভূল করে হলেও ভাবতে ভালো লাগে, পৃথিবীটা কোন মিডিয়ার সৃষ্টি না,আসলেই সুন্দর।"
আসলেই হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার ছোট ছোট বিশ্লেষণ মনে ধরেছে।
বিদেশে এসে অপটু হাতে প্রথম যেদিন মাংস গরমে দিলাম সেদিন আপনার এই লেখাটির মাঝে অনেকটুকুই নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাহ্, ব্লগ নিয়ে আমিও এমনটাই ভাবি। লেখালেখির জায়গা এটা। এখানেই লেখা টিকে থাকে, থাকবে। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগল।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

মাঝে মাঝে মনে হয় বুড়াকালে নিজের এই লেখাগুলো পড়তে কেমন লাগবে? দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার টুকরো টুকরো ভাবনা গুলো পড়তে ভালো লাগলো। ব্লগিং বা ফেসবুকিং শুরুতে যে আবেদন নিয়ে সামনে দাঁড়ায়, ধীরে ধীরে একটা ' কি যেন টাইপ' ভেতরে কাজ করে আর অবসন্নতা, অলসতায় পেয়ে বসে। রোজই মাথায় অনবরত লেখারা ঘুরে যাচ্ছে, মনে মনে লিখে যাচ্ছি পাতার পর পাতা কিন্তু সেসব আর আলো বাতাস দেখছে না, এমনটাই হয়!।

আপনার ৪ নাম্বার পয়েন্ট টা খুব বেশি ভালো লেগেছে। ভাবতেই ভালো লাগে জীবন কত সুন্দর !

অপর্ণা মিতু

এক লহমা এর ছবি

"না লিখতে না লিখতে একসময় লিখতে পারাটাই থমকে যায়।" চলুক
আপনার লেখা আসার অপেক্ষায় থাকি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

শিশিরকণা এর ছবি

ফেসবুকের নেশা কাটাতে অনেক রকম বুদ্ধি তরিকা চেষ্টা করেছি। হয়নি। আপাতত যে বুদ্ধিটা কাজ করছে তা হলো, নিজেকে বলা যে আজ থেকে সত্তর দিন বাদে পুরা একদিন বিঞ্জ ফেসবুকিং করবো। দিন দুনিয়ায় কি হইলো ঐদিন সব খুটায় খুটায় দেখব। একদম বাদ দেই নাই, আমার দিন আসতেছে এই আশায় ১৪ দিন যাবত ফেসবুক মুক্ত আছি। এর আগে আধা দিনের বেশি টিকে নাই কোন কায়দা। সেই হিসেবে এইটা অনেক সফল ।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনার বুদ্ধিটার বিপদ হইলো তাতে প্রতীক্ষাজনিত প্রেম বাড়তে পারে। আমার কাছে মুক্তির উপায় মনে হইছে হিল্লা বিবাহ ছাড়াই ব্লগে ফেরত আসা। লেখালেখির লাইনে জ্বেনা হালাল।

মাসুদ সজীব এর ছবি

ভুল না হয়ে থাকলে মাহবুব মোর্শেদ ভাই, হিমু ভাই, হাসিব ভাই, আরিফ ভাই, সহ আপনাদের হাত ধরে সচলের পথ চলা শুরু হয়েছিলো। পুরানো অনেককেই সচলে দেখিনা, সেই না দেখাদের মাঝে আপনি একজন। আশা করি নিয়মিত লেখবেন, কারণ দিনশেষে আপনারা সত্যিকারের ব্লগার, যাদের হাত ধরে বাংলা ব্লগ জগত অনেকবেশি আলোকিত হয়েছে হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।