গত সপ্তাহে মধ্য-জার্মানীতে ভূতুড়ে আবহাওয়া। এই রোদ এই বৃষ্টি এই তুষার। সেই তুষার আবার মাটিতে পড়তে পড়তে জল। রোদ একটু উঁকি দিতে না দিতেই অশ্লিল মেঘ। পরশু রাত থেকে একটু একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজকে দুপুরে বেশ ভালো। শীত থেকে পোলভোল্ট করে গ্রীষ্মে না গিয়ে অন্তত কয়েকটা দিন বসন্ত পাওয়া যাবে আশা করার মত।
১.
গত বছর দেড়েকের মধ্যে বেশ কয়েকটা বিমান দুর্ঘটনা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেপরেও এরকম কয়েকটা ঘটনা আবছা মনে পড়ে। যাকে শূণ্য দশকের প্রথমার্ধে এমিরেটস এর চুটিয়ে ব্যবসা করার একটা কারণ বলে অনেকে মনে করেন। তারপর অনেকগুলি বছর গেলো। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান লাটে উঠেছে। ঢাকায় আরব দেশ আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠাণ বাদে আর কোন আন্তর্জাতিক বিমান নামে না। বিমান বছর দুয়েক আগে কয়েকটা রুটে নতুন করে মূল্য প্রতিযোগীতা করে যাত্রী পাবার চেষ্টা করে আবারও খোঁয়াড়ে ঢুকেছে এই বছর। এদিকে ইউরোপেও উড়োজাহাজ কোম্পানীগুলি একের পর এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রমাদ গুনছে। উড়োজাহাজের টিকেট কাটতে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেছেন অনেকেই। একটা যন্ত্র আকাশে উড়ে যাবার পরেই জীবনটা ককপিটে থাকা সারেঙের হাতে। ভদ্রলোক প্লেনে উঠবার আগে কোথায় কী করে এসেছেন তার হিসাব কি সব সময় নেওয়া সম্ভব? যদি সম্ভব না হয় তাহলে মানুষ কোন ভরসায় জাহাজে করে উড়তে যাবে? ভাস্কো দ্য গামা'র যূগ কি ফিরেই আসছে?
২.
পলিটিক্স সিদ্ধান্তমূলক শাস্ত্র। চিরকালের নৈতিকতা জাতীয় ছাগুপ্রপঞ্চ সেখানে পরবর্তী কাচ্চির সম্ভাবনা ছাড়া কিছুই সৃষ্টি করে না। নৈতিকতা শব্দটাই অবৈজ্ঞানিক এবং আপত্তিকর। পলিটিক্স ক্ষমতা দখল/অর্জন এবং অনুশীলনের বিজ্ঞান। এখানে এক পক্ষের নিন্দা করলে কোন না কোন ভাবে অপর পক্ষের মুনাফার ভাগীদার হতেই হবে। বস্তুজগতে এই ডায়ালেক্টিকস থেকে মুক্তির রাস্তা আপাতত নাই। যদি দ্বন্দ্বমান দুইপক্ষের বিরুদ্ধেই থাকতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বিবদমান দুই পক্ষের বাইরে প্রত্যক্ষ প্রয়োগবাদী অবস্থান দৃশ্যমান স্পষ্ট করতে হবে এবং প্রতি পদে পদে আপনি কেন বিবদমান দুটি পক্ষেরই বাইরে সেই কথা গণিতের যুক্তিতে প্রমাণ করতে করতে অগ্রসর হতে হবে। লেনিনবাদী পলিটিক্সে যাকে মতাদর্শিক আধিপত্য বলে।
সেক্ষেত্রে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কার পক্ষে যাবেন। আসাদ না আইএস। কে বেশি খারাপ। বিবদমান দুইপক্ষকেই প্রত্যাখ্যান করা কোন প্রত্যক্ষ পলিটিক্যাল ফোর্স দৃশ্যমাণ নয়। সুতরাং আইএসের বিরোধি হলে আসাদকে আপনার সমর্থন করতেই হবে । আসাদের একনায়কত্বকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার সেক্ষেত্রে আপনি তখনই অর্জন করেন যখন আপনি আইএস খতমকে সমর্থন করেন। আর যদি আপনি আইএসকে আমেরিকাবিরোধি/সাম্রাজ্যবাদবিরোধি মনে করে থাকেন তাহলে ধরেই নিতে হবে আপনি হয় ছাগু নয় সাদা বাড়ির নিয়ামত প্রাপ্ত কিংবা দুটোই।
৩.
কামারুর ফাঁসী নিয়ে জাগলিঙে প্রথমে রাগই লাগছিল। পরে মনে হলো ভালোই তো। এভাবেই এই জানোয়ারটাকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে মারা যাবে। সেটাও একটা বিরাট বিনোদন। সব চাইতে ভালো হয় কেউ যদি তার কানে দিয়ে আসে যে রাষ্ট্রপতির তাকে ক্ষমা করার অন্তত ৫০% চান্স আছে কিংবা আগামী রবিবারের মধ্যেই একটা ১৫ আগস্ট হতে যাচ্ছে আর তাতে সে আশায় বুক বাঁধলো তারপর সেই আশার উচ্চতম বিন্দুতে ঠাস করে জেলের লোক এসে তাকে নিয়ে গিয়ে টুক করে ঝুলিয়ে দিলো এইটার মজাই আলাদা। ৭ ঘন্টা ধরে অল্প জ্বালে প্রৌঢ় ষাড়ের মাংস কষানোর মতো।
চালারে কাদিরা .....
মন্তব্য
হ, ভাবুকের ভাব দেইখা দুইদিন ধইরা ক্যান জানি ঘুইরা ফিইরা কানে বাজতাছে-
"ক্যানোওওও পিরীতি বাড়াইলারে কামড়ুউউউ, ঝুলে যাইবাআআ যোওওদিইইই"
[এই বিশেষ রায়টা কার্যকর করা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ন, বদ্দা ওয়ামীর আপডেট জানেন কিছু?]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তিষ্ঠ তিষ্ঠ তিষ্ঠ !!!
নিজের কাজে মন্দ্যান। দৈনিক আলুপটলের হিসাব করতে করতেই দেখবেন কোন এক ফাঁকে কামারু হালাক।
অজ্ঞাতবাস
তবে তাই হোক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আকাশের উড়ার টিকেট কাটতে আজকাল আসলেই বেশ ভয় লাগে, ভ্রমনের খায়েশ অনেকটাই কমে গেছে ইদানিং এই দূর্ঘটনা দেখে।
ঘুম থেকে উঠে যেন শুনতে পাই কামরুকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে, এই আশা নিয়ে রোজ ঘুমাতে যাই আজকাল।
বদ্দা! না, আপনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। আমার পক্ষ থেকে আপনাকে 'বদ্দা' সম্বোধন ঠিক মানানসই নয়! এবার আপনার লেখার প্রসঙ্গে আসি।
সোমালিয় দস্যুদের কথা ভুললে চলবেনাতো! রাজনীতি! সে বড্ড জটিল বিষয়। যৌবনে বুঝতাম বটে, এখন দুর্বোধ্য।
হ্যাঁ, কামারুজ্জানের বিষয়টা, তারই মতো কোন এক রাজাকারের জন্য আমার যৌবন বয়সের প্রিয় একজনকে হারিয়েছিলাম। কাদের মোল্লার ফাঁসির দিনে খুব খুব করে তার কথা মনে পড়েছিলো!
কামারুজ্জামান যত সময় পাবে, তত প্যাচ লাগানোর সুযোগ পাবে। জামায়াতের আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, নেতা-কর্মী সব মিলে সম্যকভাবে একটা জৈব সত্ত্বা। একটা অঙ্গ যতক্ষণ বেঁচে থাকবে, ততক্ষণ বাকি অঙ্গগুলাকে কো-অরডিনেট করবে। কামারুজ্জামান স্রেফ একজন ব্যক্তি হলে মাইন্ডগেমটা কার্যকরী হত। সে উলটো সময়ক্ষেপনের আড়ালে কী খেলা খেলছে সেটাই বরং আশংকাজনক।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
এই আশঙ্কা মনে আসবে এবং তাকে পত্রপাঠ তাড়াতে হবে।
বুঝতে পারলেন আশা করি।
অজ্ঞাতবাস
আজ মনে হয় কুমার কামারুর ঝুলে যাবার চান্স আছে বদ্দা।
আপনাদের পুরনো দোস্ত ওয়ামী ওয়ালীকে একটু স্বান্তনা দিয়েন :-দ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হয়ে যাক আজকেই-
facebook
১। মানুষ প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় পেছন হাঁটবে না। মাঝেমধ্যে 'দাও ফিরিয়ে সেই অরণ্য'-টাইপ যা কিছু রব তোলা হয় সেটার পেছনে শর্টটার্ম ব্যবসায়ের ধান্দা থাকে। আর এইরকম প্যাঁচঘোজ যখন লাগানো হয় তখন বুঝতে হবে জাদুকর তার ডান হাতটা নাড়িয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে আর বাম হাতে সাফাইটা করছে।
২। মতাদর্শিক আধিপত্য সৃষ্টি করার মতো কাউকে তো দেখছি না, কোন আওয়াজও শুনতে পাচ্ছি না। তো এমন পরিস্থিতিতে যুযুধান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে 'অপেক্ষাকৃত কম শয়তান'কে বেছে নেবার ডাইকোটমি এড়ানোর উপায় কী? প্রশ্নটা নৈতিকতার চেয়েও ঢেড় বেশি মূল্যবান অস্তিত্ত্বের প্রশ্নের সাথে জড়িত।
৩। আদালতের প্রক্রিয়ায় পূর্বের উদাহরণ একটা বড় ব্যাপার। খোদ আইনের বইগুলো জুড়ে দবির ভার্সাস সাবেত মামলায় কী কী হয়েছিল জাতীয় উদাহরণে ভরপুর। আদালতের কার্যক্রমেও তাই। সুতরাং, আজ যা কিছু হবে আগামীকাল সেটাকে রেফারেন্স হিসেবে টানা হবে। যত দিন যাচ্ছে তাতে বিচারিক প্রক্রিয়াতে আমরা একের পর এক নতুন ধাপ যুক্ত হতে দেখছি। এক একটা নতুন ধাপ মানে আরো কয়েকটা দিন/মাস/বছর।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ঠিক। রাজনীতিতে আধিপত্য স্থাপনই সবচেয়ে জরুরি। এটি না অর্জন করা পর্যন্ত, কোনো বক্তব্যই স্পষ্ট নয়। যার জন্য উচ্চারণ তার কােছেও নয়। একটা কথা পষ্ট যে, মুখে বলে আর বক্তৃতা বিবৃতিতে অবস্থান তৈরি হয় না। মাঠের কাজ রেখে বিবৃতিসর্বস্ব হলে, দু'পক্ষের খেলার মাঝে ফুটবলের পরিণতি েভাগ করতে হয়।
লেখাটা আগেই পড়েছি। মন্তব্য করা হয়নি।
আজ বোধ হয় কামারু ঝুলবে। ফরমান আলী সব ঠিকঠাক আছে কিনা দেখতেছে।
স্বয়ম
জেলে এম্বুলেন্সটেন্স সব ঢুকেছে সন্ধেবেলায়ই! বেটা মনে হয় আর নতুন বছরের সুরুয দেখতে পারলো না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
৭ ঘন্টা শ্যাষ। জ্বাল কমপ্লিট।
..................................................................
#Banshibir.
"৭ ঘন্টা ধরে অল্প জ্বালে প্রৌঢ় ষাড়ের মাংস কষানোর মতো।" - মনে রাখার মতো একটা বাক্য!
নতুন মন্তব্য করুন