• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

দশ বছর

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: রবি, ০২/০৭/২০১৭ - ৯:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দশ বছর। বয়স বাড়ছে। দশকগুলি ছোট হচ্ছে। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই সেদিনকার কথা। কয়েকজন বন্ধু ব্লগার/ব্লগার বন্ধু ব্লগিঙের নেশায় সচলায়তন বানিয়ে ফেলল। অনেক অদেখা মানুষ বন্ধু হলো। অনেক পুরনো বন্ধু দূরে সরে গেল। ব্লগিঙের গতি বাড়লো কমলো সবই হলো। সব মিলে শেষ কথায় এসে সচলায়তন দশ বছর পার করে দিলো।

কোন কিছুই কোন কালে আগের মতো হয় না। হওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। কিন্তু পরের কথা তৈরির বর্তমান অবিনশ্বর। বর্তমান এবং ভবিষ‌্যত সচলদের কাছে সচলায়তন সেই বর্তমান। লেখা একদিন হবে তো তিন দিন হবে না। কখনো টানা পাঁচদিন হবে তো পাঁচ মাস বা বছরও ঘুরে যেতে পারে। তাতে লেখক মরে না। পরবর্তী লেখক আর লেখার জন্ম হতে থাকে। হতে থাকবে। উৎপাদন এবং পুনরুৎপাদন ইতিহাসের একমাত্র চালিকা শক্তি।

কয়েকজন বন্ধু লিখতে চেয়েছিল। ইচ্ছেমত লিখতে চেয়েছিল। ইচ্ছেটাকে বাস্তবরূপ দিতে লেখার জায়গাটাও বানিয়েছিল, যাতে লিখতে চাওয়া আরো অনেক আঙ্গুলের সন্ধান পাওয়া যায়। পাওয়া গেছে, যাচ্ছে।

সময়ের চলমান যুদ্ধগুলি লিখতে চাইলেই আঙ্গুলে চলে আসে। ব‌্যাপারটা এমন না যে, লিখতে লিখতে কোথাও একটা গন্তব‌্য পেয়ে লেখা বাদ দিয়ে মোক্ষলোকে অন্তর্হিত হওয়া যাবে। মোক্ষ মিলবে না অথবা লিখতে থাকাই মোক্ষ। দশ বছর পেরিয়ে এইটুকুই সচলের বোধিস্বত্ত্ব।

আমরা যারা আগে অনেক লিখতাম এখন লিখি না বা কম লিখি, তাদের না লেখা বা কম লেখার দায় পুরোপুরি ব‌্যক্তিগত। উদ্ভূত পরিস্থিতির দোহাই অপ্রাসঙ্গিক। লিখে মুক্তি আছে না নাই, সেই কথা না লিখলে বা না লিখতে থাকলে কোনদিনও জানা হবে না। যে লিখবে না সে বিস্মৃত হবেই।

লেখার খাতাটা বেঁচে আছে। শুধু আঙ্গুলের জাড্য ছাড়ুন।

জয় সচলায়তন !


মন্তব্য

Aaynamoti এর ছবি

জয় সচলায়তন ! :)

মন মাঝি এর ছবি

পাসওয়ার্ড হারিয়েছেন? দেখবেন, রূপন চৌধুরির মতো অবস্থা হয় না যেন আপনার! :D

****************************************

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লেখার খাতাটা বেঁচে আছে। শুধু আঙ্গুলের জাড্য ছাড়ুন।

হ। খাতা বাইচা আছে শতে শতে সাদা পৃষ্ঠা নিয়া। খালি আঙুলের আইলসামিটাই তো ছাড়ে না

সুমন চৌধুরী এর ছবি
সোহেল ইমাম এর ছবি

মোক্ষ মিলবে না অথবা লিখতে থাকাই মোক্ষ। দশ বছর পেরিয়ে এইটুকুই সচলের বোধিস্বত্ত্ব।

(Y)

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

লেখার খাতাটা বেঁচে আছে। শুধু আঙ্গুলের জাড্য ছাড়ুন।

জয় সচলায়তন !

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সাদা পাতা পড়ে আছে। আঙ্গুলটাই আর চলে না!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

চালালেই চলবে ...

তিথীডোর এর ছবি

জনৈক সচলকে মাসখানেক আগে বিয়েই করে ফেলেছি। জীবন ও জীবিকার চাপে আপাতত আঙুল অসাড় হয়তো, তবে অচল হইনি।
বর্তমান এবং ভবিষ‌্যত সচলদের কাছে সচলায়তনের প্রতি ভালবাসা থাকবেই। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অভিনন্দন তিথীডোর

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

জীবন-যৌবন-জীবিকা কোনটা থিকাই মুক্ত হওয়ার কোন দরকার নাই। বইসা লেইখা ফালান মনে যা চায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কোন কিছু আগের মতো হবার দরকার নেই। কারণ এতে অগ্রগতির পথ রুদ্ধ হয়, বিকাশ স্থবির হয়। ক্রমপরিবর্তন, ক্রমবিবর্তন, ক্রমোন্নতি।

লেখক আকছার মারা যায়। কেউ লেখার ভাণ্ডার ফুরিয়ে গিয়ে মরে যায়, আর কেউ চামড়া বদলে গিয়ে মরে যায়। তবে এটা ঠিক যে নতুন লেখক আর লেখার আগমনের পথ রুদ্ধ হয় না।

মোক্ষ, মোক্ষধাম, নির্বাণ ইত্যাদি যারা লাভ করে তারা আসলে পঞ্চত্বলাভ করে। মৃত মানুষ দিয়ে আমাদের কী কাজ!

চলমান সময়ের যুদ্ধগুলো লেখার নানা কায়দা আছে। যাদের লেখার ইচ্ছে আছে তারা সে কায়দাগুলো জানে, চর্চ্চাও করে। যারা জিজ্ঞেস করে, “কী সে কায়দা?” তারা আসলে যুদ্ধে আগ্রহী না।

উদ্ভূত পরিস্থিতির দোহাই অপ্রাসঙ্গিক নয়। তবে সেটা সবার জন্য সমানভাবে সত্য নয়। যাদের লক্ষ্য ছিল খাল পাড়ি দেয়া তারা নানা দোহাই দিয়ে, যেন তেন প্রকারেণ ঐ পাড়ে গেছে। তারা আগেও লিখতো না, এখনো লেখে না। যারা সব সময় বটগাছের ছায়ায় ছিল (এবং এখনো আছে) তারা যখন পরিস্থিতির দোহাই দেয় তখন মাথায় রক্ত উঠে যায়।

বিস্মৃতিতে সবাই যাবে — লিখুক আর না-ই লিখুক। তবে লিখলে নিজে ভালো থাকা যায়।

রণদামামা বাজিয়ে মাঠ সরগরম করা অনেকে নাই হয়ে গেছে অথবা নাইয়ের মতো হয়ে গেছে। ঢাকঢোল না পিটিয়েও সচল টিকে গেছে। লিখতে ভালোবাসে, পড়তে ভালোবাসে এমন মানুষরা যতদিন সাথে আছে সচল ততদিন টিকে থাকবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার একজন পাঠক হিসেবে আপনাকে ইদানীং খুব মিস করি। এখানে এইভাবে বলাটা হয়ত পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক হলোনা। তারপরও বললাম। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। অনিচ্ছাকৃত অনুপস্থিতির জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করি অচিরেই আপনাদের সামনে নতুন কোন লেখা নিয়ে উপস্থিত হতে পারবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কল্যাণ এর ছবি

(পপ্পন)

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনাকেও মিস্‌ করি হে ফৌজদার!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অনেকদিন ধইরা লেখার পরিকল্পনা করতেছিলাম। সম্ভবত ঐজন্যই লেখা হয় নাই। বইসা টাইপ কইরা ফালানোর পরে বুঝলাম পরিকল্পনা সবসময় তত জরুরি কিছু না। :D

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার কথা ঠিক। আগে যখন নিয়মিত লিখতাম তখন যখনই মনে হতো বসে টাইপ করে ফেলতাম। একবার টাইপ হয়ে গেলে সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধণ, পরিমার্জন ইত্যাদি ইত্যাদি কোন সমস্যা হয় না। এখন ঐ টপ্‌ করে বসে টাইপ করাটা হয়ে ওঠে না। জাড্যতাটা আঙুলের চেয়েও মাথায় বোধকরি বেশি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্পর্শ এর ছবি

দশ বছরের মধ্যে সচল থেকে যা যা করে ফেলব ভাবছিলাম তার অনেক কিছুই কিন্তু হয়নাই। সবার মধ্যে যে আশাবাদের স্ফুরন ছিলো সেগুলোও মিইয়ে যেতে বসেছে। হয়তো স্যোশাল মিডিয়ার ফ্যাড কাটিয়ে এক সময় আবার মুখর হয়ে উঠবে লেখালিখির যায়গা। দেখা যাক সামনের দিনগুলোতে কী আছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পরিকল্পনা+আশা বাদ্দেন। লিখতে মন চাইলেই লেইখা ফালান।

দেবদ্যুতি এর ছবি

জয় সচলায়তন। ভালবাসা।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বন্ধুগণ,

মুখরোচক চানাচুর তো অনেক খেলেন, লাভ কী কিছু হল? এবার জীবনদায়ী ভাত-মাছের কাছে ফিরে আসুন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সুস্থ শরীরে একটা কমিউনিটি ব্লগের দশ বছর পার করার সফলতা অনেক বড় অর্জন। অভিনন্দন।
কেউ আগের মতো লেখে না বলে হতাশ হবার কিছু নাই। বাঙালী এখন ফেসবুক দিয়ে ব্লগিং করে বলে এই মাঠ খালি পড়ে থাকে।
আরেকটা টকঝাল কথা। বাঙালী সেলেব হতে পছন্দ করে। এখানে সেলেব হওয়া সহজ না, ফেসবুকে সহজ। সেই মাঠ বেছে নেবার অন্যতম আরো একটি কারণ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ। ছেলেবিটি হওয়ার স্বপ্নই বাঙ্গালীর গাঢ় মেরে দিচ্ছে ....

নজমুল আলবাব এর ছবি

লেইক্যাইলচি একখান গফ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

=DX (পপ্পন)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লিখে মুক্তি আছে না নাই, সেই কথা না লিখলে বা না লিখতে থাকলে কোনদিনও জানা হবে না। যে লিখবে না সে বিস্মৃত হবেই।

(Y)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।