কেন এ্যাতোকাল লিখি নাই,কী মনে করে আজকে লিখতে বসলাম,কেন সচলে লেখা প্রকাশের গতি অতিবৃদ্ধ জলহস্তির থেকেও শ্লথ ইত্যকার জাতীয় সহজ প্রশ্নের জবাব দিব না। আৎখা ঠাডা পড়ার মতো লিখতে মনে চাইল তাই লিখলাম। কথা এইখানেই শেষ।
এক
এই বছর জার্মানীতে ভয়াবহ গরম পড়েছে। শুধু তাপমাত্রার হিসাবে গ্রীষ্মবর্ষাপ্রধান অঞ্চলের মানুষ এই ভয়াবহতা বুঝবেন না। বাতাসে পানি নাই। ঘাম হয় না। প্রবল দাবদাহে চামড়া পুড়ে যাওয়ার অনুভুতি হয়। রান্না করা তরকারি ফ্রিজের মধ্যে ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে পঁচে যায়। খাওয়ার রুচি থাকে না। লিটারের পর লিটার পানি খেয়ে পেট ভরাতে হয়। লোকজন স্কুলকলেজচাকরিবাকরি ফেলে গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে বসে থাকে। সেদিন টিভিতে দেখলাম ২০১৮ নাকি দুইশ বছরের মধ্যে সব থেকে উত্তপ্ত বছর। জেনে কোন লাভ হলো না। পরিসংখ্যান গরম কমায় না। মুমিনগণ মেনে নিতে বাধ্য হন, পরিধেয় হ্রাস পাওয়া মানেই মস্তিস্কে বীর্যারোহণ নয়।
দুই
উদ্বাস্তু প্রশ্নে জার্মান রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন এবং ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়নের কামড়াকামড়ি উগ্রডানপন্থীদের সামনে আরও সুদিনের হাতছানি দিচ্ছে। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের অধোগামী রাজনৈতিক প্রবণতা প্রবলতর উৎসাহে ধ্বংসের দিকে ছুটছে। চাকরির বাজারের পরিসংখ্যান দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর এখনো আছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেটা হৃদপিণ্ডে হামলা চালাবে না এই নিশ্চয়তা অদৃশ্যজ্ঞানীও দিতে পারবেন না। বিশ্ববাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি। কে কার গাঁঢ়ে আঙ্গুল দিয়ে নেই সেটাই দুরূহতম জিজ্ঞাস্য।
তিন
বাংলাদেশে সরকারের এই মেয়াদে শেষ বছরে টুকটাক আন্দোলনের মতো হচ্ছে। সবকটার তেজ ফেসবুকিসুর মত ক্ষণস্থায়ী। এরজন্য কে দায়ী ধরনের ভোলামন-বাস্তবতার আহ্লাদী প্রশ্নে অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসায় আপাতত নিজের চরকায় তৈল দিতেই ভাল্লাগে। বর্তমানের মুখ দেখে সামনে কতটা ভয়াবহ সময় আসছে জানার বা জানাবার আগ্রহ উবে গেছে।
চার
সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ? এই কথায় আপতত একগাল হেসে নেওয়া যেতে পারে। রজব তৈয়ব মিয়া সিরিয়াইরাকলেবাননফিলিস্তিন সংকটের গাঢ়ে স্থিতিস্থাপক বিষ্ঠারূপে আটকে আছেন। সঠিক সুসু করার পানি যে বদনায় আছে তার সন্ধান যিনি জানেন তিনি আপাতত জরুরি কাজে বাইরে গেছেন,ফিরে এসে একটা একটা করে সাফা করবেন। তিনি কবে আসবেন আরবের আঙিনায় তা তিনিও জানেন না।
পাঁচ
এতোসব রদ্দি তরকারির মাঝে গত কয়েকমাসে একটামাত্র ভালো খবর, কানাডায় জ্ঞানফুলের বৈধতা প্রাপ্তি। মার্কিন দেশে ওয়াশিংটন, কলোরাডো আর ক্যালিফোর্নিয়া লাইনে এসেছে আরো কিছু আগে। আর্যরা কবে আসবে ভোলানাথ জানেন।
ছয়
যারা না লিখতে না লিখতে না লেখার পক্ষে এরমধ্যেই প্রচুর কুযুক্তি হাসিল করে ফেলেছেন, তাঁদের প্রতি আহ্বান থাকলো কেশবহুল আলাপ বাদ দিয়ে সোজা বসে যান টাইপ করতে।
ফেসবুক খারাপ। ব্লগ ভালো।
মন্তব্য
পুরো ইউরোপেই গরম দেখলাম। আমরা অবশ্য গরম দেশেই থাকি।
কোন কোন রাজ্যে লিগ্যাল সেটা খুঁজতে গিয়ে - states where লিখার পরেই গুগল বাকিটা বুঝে নিল।
"states where recreational pot is legal"
সব মিলিয়ে নয়টা রাজ্যে লিগ্যাল হয়েছে দেখলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
১।
ইউরোপের গরমের খারাপটা আমরা এখনও জানি না। এইটা জানা যাবে আগামী বা পরশু বছর। আমার আন্দাজ গরমের কারণে হাজার হাজার মারা যাচ্ছে এবং যাবে। ২০০৩এর গরমে ১৫০০+ মারা গিয়েছিল। এইবার সংখ্যাটা বাড়বে বলে আমার ধারণা।
২।
দলগুলোর কামড়াকামড়িতে ভোট কমে বলে মনে হয় না। ইউরোপিয়ান হেটাররা সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ প্রকাশের অপেক্ষাকৃত সুশীল প্লাটফর্ম পেয়েছে যারা কথার শুরুতেই বলে দেখ আমি কিন্তু বর্ণবাদি না, কিন্তু দেখ এই যে মুসলিমরা ...... "।
চাকরির বাজার আরও বেশ কিছুদিন ভাল থাকবে। এখনও কোন খারাপের ভবিষ্যতবাণী নাই। ব্রেকজিটওয়ালা বিলেতি সায়েব সাংবাদিকরা ব্রেকজিট হলে বিলেতরে হারায় ইয়োরোপ মাটিতে গড়ায় কানবে বলছিল। তারাও অবস্থা দেখে চুপ।
৩।
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ মাইর খাচ্ছে। তাদের ধারণা সব পিটায়পুটায় তারা সবকিছু লাইনে এনে ফেলবে। পিটাপিটি যে রাজনীতির সমার্থক না সেইটা বলার মতো লোক/চাটা তাদের মধ্যে নাই।
৪।
সিরিয়ার যুদ্ধ শেষ। এখন নতুন শত্রু দরকার। ইরান দেশটা ধ্বংস করা বাকি আছে। এনশাল্লাহ।
৫।
জ্ঞানফুল মার্কিন মুলুকের সকল প্রগতিশীলদের সবচাইতে বড় মাথা ব্যাথা ছিল। এটা বৈধ বা হওয়াতে তারা বাকি পড়ে থাকা প্রগতিগুলো করে উঠতে পারতেছিলেন না। কথা হল জ্ঞানফুলের পরের স্টেপটা কি।
৬।
এইটা নিয়ে কিছু বলবো না। অজুহাতদেখনেওয়ালারা অজুহাতগুলোরে ক্লিশে বানায় ফেলছে এর মধ্যে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
৪। তুরস্ক আফরিন হজম কৈরা ফালাবে কৈতেছো?
৫। এখনো পুরা দেশে হৈয়া সারে নাই। টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো, ওহাইও এইসব পবিত্র জাগায় মোড়ে মোড়ে কফিশপ, গির্জার পিছনে গুল্মক্ষেত এখনো বাকি আছে। ইইউ ২০১২ সালে ফটাস কৈরা বৈলা দিলো যে জ্ঞানফুল প্রসঙ্গে ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি নিজেগো মত সিদ্ধান্ত নিবে। নাইলে এতোদিনে স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যাণ্ডসের রাজধানীর বাস্তবতা আউগসবুর্গেও দেখা যাইতো। জ্ঞানফুলের সাথে ১৯৬৭-৬৮'র ছাত্রআন্দোলনের ইতিহাস গুলে ফেলার কারণেই বিশেষ করে আর্যদের দেশে এতো দেরি হইতেছে। ক্যাথলিকরা যদি চার্চ থেকে বেরিয়েই বঙে মুখ দেওয়া অভ্যাস করে ফেলে তাইলে পুরা ইউরোপ পিনিকে থাকবে
৬। আমিও না। যার ইচ্ছা হয় লিখবে ।
অজ্ঞাতবাস
৪।
ফেলবে। এইখানে পয়েন্ট দুইটা। ১। আফরিন কি খারাপ কিছু? ইয়োরোপের কাছে এগিলি কিছু না। এতো ভাল মানুষ জার্মানিও হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ মারা মার্কিন ড্রোন প্রগাম হোস্ট করার অপরাধ আছে। ২। ইউরোপ চাবে না তাদের বাড়ির দরজায় আরেকটা সিরিয়া হোক। তুরস্ক + রাশা মিলে যে ক্যাচাল হবার সম্ভাবনা আছে সেটা সামাল দেবার সামর্থ্য কোন রাজনৈতিক দলেরই নাই।
৫। ক্যাথলিকরা চার্চে না গেলেও তারা মনে প্রাণে মুমিন। অনেকটা আমাদের বুয়েটের স্টুডেন্টদের মতো।
৬।
সবাই লেখক না। কন্টিনিউয়াসলি দুইভাবে লেখা বের করা সম্ভব। ১। ফিকশন লেখার ক্ষমতা থাকলে ২। রাজনৈতিক চেতনা এবং সেইটা আঁকড়ে কিছু করার তাড়না থাকলে। ১ নাম্বার হাতে গোনা। ২ নাম্বারে অনেকে কমপ্লেন করার প্রবণতারে অনেকে রাজনৈতিক চেতনা থেকে কিছু করার তাড়না ভাবে। এইটা ভুল। কমপ্লেন করণেওয়ালাদের কমপ্লেন ঘুরে ফিরে একই। মাথার মধ্যে একটা ইউটপিয়া (মানে ইউরোপ আম্রিকা) এবং সেটার মতো দেশ কেন হইতেছে না সেই নিয়ে আক্ষেপ। বোনাস হিসাবে ফ্রাস্ট্রেশন ত্যাগ করার সন্তুষ্টি। এদের দিয়ে একনাগাড়ে লেখা সম্ভব না। যে যেটা পারবে না তারে সেইটা নিয়ে গুতায়া লাভ নাই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
৪। মনে হয় না। আমার বাউখগেফুইল হৈল এই নিয়া আরো ঢুশঢাশ বাকি আছে।
৫, ৬ ঠিকাছে।
অজ্ঞাতবাস
বড়োই সাহস পাইলাম। কোনো এককালে যা কিছু লেখা হইত সেইটা নিয়া কথা কইত মাইনসে। এখন নিজের নাম কইলেও রেফারেন্স চায়। সেই ডরে কীবোর্ড আটকায়া থাকে। আপনের এই লেখা দেইখা মনে হইল রেফারেন্স ছাড়া তো আবহাওয়া নিয়াও লেখা সম্ভব
০২
ভোলানাথের বায়ু কিন্তু ভোলানাথের শিষ্যরাই বিএটিসির প্যাকেটে কিন্না খাইবেন কিছুদিন পরে
নানাবিধ সম্ভাবনা আছে। না লেখার দুর্গন্ধ ঢাকতে এই মিয়া তোমার ঈমান ঠিক আছে বলে গন্ধ ঢাকার চেষ্টা। আরেকটা সম্ভাবনা হল পাঠক এখন রেফারেন্স বিহীন এটা-ইতিহাস-নইয়-ফিকশন-কারণ-আমি-রেফারেন্স-দিতে-কষ্ট- করতে-রাজি-না লেখদের আবজাপ পড়তে পড়তে বিরক্ত।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাগড়া দিবেন না। অণুপ্রাণিত হইয়া অলরেডি একখান টাইপ করতে আছি।শুধুই কীবোর্ড ভরসা। জাজাকুল্লা খায়রান
রেফারেন্সের গুষ্টি কিলাই। লেখা নামান।
অজ্ঞাতবাস
হ।
ব্লগের সুবিধা হইত যে মানুষ ছিলো। মানুষের জন্যই লেখা। অন্তত আমার লেখা।
সচলায়তনের সুবিধা হইলে যে এখানে কান্ডজ্ঞান-ওয়ালা মানুষ থাকতো।
এখন কোথাও কেউ নাই লাগে, তাই লেখার আগ্রহ কম। লিখে দুটা কথা কওয়ার লোভ আছে, লেখা নাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ফেসবুকে লিংক পাইলে মাঝে মধ্যে সচলায়তন দেখা হয়। তবে গত দুইয়েক বতসরে আপনার কোন লিখা এখানে পড়ি নাই। কিন্তু লোকজনের লিখার নিচে আপনার ধমক এবং সহবত-শিখানি মন্তব্য কিছু পড়েছি। এই মন্তব্য পড়ে যা বুঝলাম, আপনি মনে করেন এইখানে আপনার মাপের এবং আপনার লিখা পাঠের আওকাত আছে এমন কোন কান্ডজ্ঞান-ওয়ালা মানুষ নাই। আপনার মত একজন হেভীওয়েট কাণ্ডজ্ঞানী সচলায়তনে যেহেতু লিখার আগ্রহ পায় না, ভাবতেছি দুই-চারখান কান্ডজ্ঞান-শুন্য লিখা এখানে পোস্ট করে দেখব ছাপা হয় কিনা। আপনি এসে ফাও ধমক দিলে উতসাহ পাব।
আহা, মনে কষ্ট কষ্ট চেপে রেখেছেন এতদিন। যত কষ্ট জেনে না জেনে দিয়েছি সবের জন্য ক্ষমা চাই, মাফ করে দেন।
আমার মন্তব্যের মূল বক্তব্য হচ্ছে, সচলায়তনে এখন আর (আগের মতো অনেক) মানুষ নাই। এইটা বুঝাইতে পারিনাই আপনারে। বুঝাইতে না পারানোর কারণ আমার ভাষার দূর্বলতা, নাকি মন্তব্য লেখকরে উদ্দেশ্য করে লেখা সেইটা নিশ্চিত না। ভাষার দূর্বলতাই হবে হয়তো।
সচলায়তনে লোক যে নাই সেই কথা তো আপনি নিজে বলে শুরু করেছেন। ফেসবুকের লিংক পেলেই সচলায়তনে আসেন! এরপরও আমার বক্তব্য অতি-অধিক বুঝে নিয়ে আপনি অতীতের কোন ঘায়ে মলম লাগালেন, কে জানে!
সচলায়তনে শেষ লিখেছি একবছর আগে। প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক লেখা। বিজ্ঞান-ই বেশি লিখি। মেলা সময় নিয়ে পড়তে হয়। জানা বিষয় তা-ও সূত্র যাচাই করতে হয়, নতুন কিছু জানা গেল কিনা খুঁজে দেখতে হয়। এইসব করে লিখে তাতে মৌলিক মন্তব্যের সংখ্যা ৩-৪! পাঠক সিরাজের মন্তব্যও সেখানে নাই!
অথচ পাঠক সিরাজের মন্তব্য আছে আমি কেম্নে ধমক/সহবত শিখাই সেই জ্ঞান দিয়ে, আমি কেমনে নিজেরে কাণ্ডজ্ঞানওয়ালা ভাবি সেই তথ্য দিয়ে, আমি কেমনে সচলায়তনে কারো কাণ্ডজ্ঞান নাই বলছি সেই জ্ঞান আমার মন্তব্য নিংড়ে বের করে প্রকাশ করে! তবে আপনি নতুন না। আমি বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে অনেক ঘুরেছি, অনেক ব্লগেই যে ভীতিকর পরিমাণে কাণ্ডজ্ঞানহীন ছাগল অপ্রয়োজনে বিষয়ের বাইরে গিয়ে বিরক্ত করে সময় কাটায় তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। সচলেও মাঝেমধ্যে এরকম কিছু মন্তব্য ফস্কে প্রকাশিত হয় বলে দেখেছি। তবে এসবই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
দীর্ঘদিন সচলের সঙ্গে পরিচিত বলে জানি যে, সচলে কাণ্ডজ্ঞানশূন্য লেখা প্রকাশিত হয়না। তারপরও চেষ্টা করেন। প্রকাশিত হলে এসে গালাগালি করে যাব। আমার গালাগালিতেও যে কেউ উৎসাহ পাচ্ছে জানলে খুব ভালো লাগবে। "ডার্টি টক" থেকে "উৎসাহ" নিতে যে কেউ ব্লগেও আসে সে জানা ছিল না। আপনাকে দেখে জানলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আহা আরো আরো সচলের মুখে এই বুলি ফুটুক
।
১.
এক দেশের আবহাওয়ার ভয়াবহতার সাথে অন্য দেশের আবহাওয়ার ভয়াবহতা তুলনীয় নয়। পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সৌদী আরবের মানুষের কিছু হবে না, কিন্তু এই তাপমাত্রা ফিনল্যান্ডে হলে দেশের অর্ধেক মানুষ মরে যাবে।
মস্তিষ্কে বীর্যারোহণ ঘটে চিন্তার প্যাটার্নের কারণে। চিন্তার প্যাটার্ন পাল্টালে মাথার বীর্য যথাস্থানে ফিরে যাবে।
২.
সোশ্যাল ডেমোক্রেট নামক ‘ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি’দের দলগুলো দুনিয়ার কোন দেশে দীর্ঘমেয়াদে টেকার কথা না। যারা এখনো টিকে আছে তারা নানা প্রশ্নে ভেঙে গুড়ো হয়, আবার অন্য কোন প্রশ্নে এক জোট হয় – ব্যাপারটা এভাবে চলতে থাকে। এদের এই সংশয়শীল অবস্থান সর্বকালে ছাগুকূলের পালে হাওয়া দেয়। বিপ্লবীরা দল গড়তে না পারলে এই নাটক সহ্য করে যেতে হবে।
যে কোন দেশের নির্বাচনে যে দলই জিতুক না কেন সেই দেশের চাকুরির বাজার ভালো হবার সম্ভাবনা আগামী চার/পাঁচ বছরে নাই। অর্থনীতির বারোটা বেজেছে বৈশ্বিকভাবে, স্থানীয়ভাবে এর সমাধান করা যাবে না।
৩.
যে কোন গণঅভ্যুত্থানের পেছনে পার্টিভিত্তিক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সেটার পরিণতি এমনতরো হবার কথা। ’৬৯-এ সে কাজটা করেছিল আওয়ামী লীগ, ’৯০-এ করেছিল ৮+৭+৫-দলীয় জোট। দুই বারই তারা প্রকাশ্যে সেটা করেছিল – কোন প্রকার লুকোছাপা ছাড়া, দ্বিধা ছাড়া। এখন কি কোন পার্টি বা জোট আছে যারা অমনতরো পরিকল্পনা করতে ও নেতৃত্ব দিতে সক্ষম?
৪.
আরবরা পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়। আরবের কোন এক কোনায় যুদ্ধ শেষ হলে সাথে সাথে অন্য দুইটা কোনায় যুদ্ধ চালু হয়ে যাবে। এই ভূমিতে বহু বার বহু মেসিয়াহ্ এসেছিলেন, কিন্তু পরিণতিতে যেই লাউ সেই কদু।
৫.
জ্ঞানফুল কি তাম্রকূটকে হঠিয়ে দিতে আসছে? মানে দুনিয়াজুড়ে তাম্রকূটকে হঠানোর জন্য তো সবাই লাঠিসোটা নিয়ে নেমেছে, সেক্ষেত্রে ফাঁকা মাঠে কি জ্ঞানফুল ফোটানো হবে? মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকবে এমনটা ভাবার তো কোন কারণ নাই।
৬.
না-লিখিয়েদের দলকে নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই। কিন্তু যারা এককালে ব্লগ লিখতেন আর এখন ব্লগ ছেড়ে প্রতিদিন প্রতিবেলায় ফেসবুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন তাদের মনে হয় নিজেরই নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখা উচিত। দেশে ঘটে যাওয়া দুই দুইটা আন্দোলন নিয়ে সচলে আলোচনা ‘নাই’-এর কাছাকাছি, কিন্তু একই সময়ে সচলরা নিজেদের ফেসবুকে এ’সম্পর্কে কি প্রচুর আলোচনা করেননি?
যাদের পোস্ট লেখার কথা ভাবলে গায়ে জ্বর আসে তারা আমার মতো এমন পোস্ট সাইজের মন্তব্য লেখার কথা ভেবে দেখতে পারেন। ব্লগে আলোচনাটা ফেসবুকের চেয়ে কম মজাদার নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এইরকম টুকরা টুকরা লেখা/ভাবনা অনেকদিন দেখি না সচলের পাতায়। এসব নিয়মিত দেখলে ব্লগেই পড়ে থাকতে ইচ্ছে করে। আগের ব্লগযুগে এরকম অহরহ দেখা যেতো। আজকাল লোকজন ভাবগম্ভীর লেখা দিতে পছন্দ করে কেন জানি। মাঝে মাঝে এরকম আতকা ককটেল ছাড়ার দাবী থাকলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন