ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের "মনে এলো" সিরিজটা অসাধারণ লেগেছিল। লেখা অনুশীলণের একটা জবরদস্ত ফরম্যাট। দিনলিপির আদলে লেখা ঠিক দিনলিপি নয়,অনেকটাই রম্য যা কখনো ছোটগল্প বা উপন্যাসের খসড়া বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা ধারণ করে। সুনির্দিষ্ট কোনকিছু লিখবার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে পড়া,ফরমায়েসী প্রবন্ধ বাদে অন্য কিছুর ক্ষেত্রে কাজে লাগানো মুশকিল। নিয়মিত টুকটাক টাইপিং চালিয়ে গেলে মাথার সার্চ ইঞ্জিন জং ধরার বিপদ থেকে বেঁচে যায়।
ব্লগ কথাটি ওয়েবলগের সংক্ষেপণ। সেদিক থেকে ব্লগের লেখার মানে দাড়ায় ভার্চুয়াল ডায়েরী। তাতে লেখালেখি-কাটাকুটি চলে ইচ্ছামতো। সেখান থেকে একটা বক্তব্য দাড়াতে থাকে, যে ব্লগের লেখা আসলে নিয়মিত বা অভ্যস্ত লেখা নয়, অর্থাৎযে লেখাগুলি আমরা নিয়মিত পত্রিকা বা পুস্তকে দেখে থাকি তেমন কিছু নয়। জন্ম থেকেই ব্লগকে এই ধরণের খেরোখাতার আদল দেবার একটা চেষ্টা বা প্রবণতা দেখা গেছে বিশেষত: পেশাদার লেখকদের মধ্যে। তাতে করে খেটেখুটে তৈরী করা লেখাগুলো জনগনকে মুফতে খাওয়াবার দায় বাঁচে। সচলায়তনকে গোড়া থেকেই অনলাইন রাইটার্স ফোরাম বলার পেছনে অসচেতনভাবে হলেও এই মনোভাব কাজ করেছে। সেটা দোষের কিছু না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মতামত এর খানিক বিপরীত। টুকটাক টাইপিং এর মধ্যে একই সাথে অনেক প্লট লুকিয়ে থাকে। এই সম্ভাবনার সমাবেশও লেখা হিসেবে একটা ভিন্নমাত্রা দাড় করাতে পারে। এইমাত্রা লেখকের সিদ্ধান্তমতো পূর্ণাঙ্গ ফরম্যাটের কাজের পাশাপাশি স্বচ্ছন্দে অবস্থান করতে পারে। লেখার নিরেট শ্রেণীবিভাজনের দেওয়াল থেকে ক্রমশ প্লাস্টার খসে পড়তে থাকার যূগে নতুন দেওয়াল তৈরীতে তাই চৈতন্য তেমন সায় দেয় না। এই টাটকা স্বাদের কাটাকুটি সমেত লেখাকেও লেখাই বলি। এই টুকরো টুকরো মনে হওয়াগুলো শুধু পকেট নোটবুকে টুকে রেখে বিস্মৃত হতে দেবার সময় ফুরিয়েছে। চট করে টুকে রাখার মধ্যে টাটকা লেখার স্বাদ। বৃদ্ধসম্মতি হিসেবে স্মরণ করছি ধূর্জটিবাবুকে। তিনি কী-বোর্ডের বদলে কলম চালিয়েছিলেন। কিন্তু ব্লগিঙের দর্শনটি ধারণ করেছিলেন, অন্তত আমার দৃষ্টিতে।
লেখার জায়গা হিসেবে ব্লগিং প্লাটফর্মের আরেক চমৎকার হচ্ছে পাঠকের সরাসরি প্রতিক্রিয়া। পাঠকের প্রতিক্রিয়া, লেখকের জবাব তর্ক-বিতর্ক সবকিছু মিলিয়ে এক একটি ব্লগ সনাতনী লেখার টোট্যালিটিকে অনেকখানি বদলে দেয়। মন্তব্যসমেত মূল লেখাটি তখন আর লেখকের একার থাকে না। সেটা তখন সমবেত শিল্পকর্ম। সেদিক থেকে ব্লগের লেখা বরং সনাতনী লেখার চাইতে আরো বেশী কিছু।
মন্তব্য
আগে চিঠি লিখতাম। এখন ব্লগ লিখি, ডাইরি কোনো কালেই লিখি না,জানালার বাইরে যদিও তুমুল বৃষ্টি, এলোমেলো সবুজে গদ্যেরা বেঁকে যায়।
যদি বলি এই বাঁকটুকু ধরে রাখতেই ব্লগ লিখি। হ্যাঁ গদ্য লিখি জানেমন।
আর যা গান দেখি-শুনি,অবাক হতে হতে আরো কিছুটা লিখি। প্লট -ট্লট ভেবে টেবে নয়। আমার মুখের রং বেগুনি হলে বলব, হাত মকসোই করছি, আর উদ্ধৃতি চাইলে জ্য লুক গোদার।
সুনন্দের জার্ণাল বা শঙ্খ ঘোষের মত ফি বছরের রাস্তা সারানোর কনডাক্টারি আমি নিলাম না। ধুর্জুটিবাবু উহ্য থাক,ব্রাহ্মীশাক দিয়ে নিউজপেপার বেটে খাওয়ানো জীবন আমার, যেভাবে খুশি বেঁচে থাক, মরে-টরে যাওয়ার আগে আরো দু-একটা ব্লগ লিখে যাব মাল-টাল( ওয়াহ কি যুগলবন্দী) খাওয়ার সাথে।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
পথে এসো ভায়া...তবে ঐ যে বল্লাম আজগের ককটেলটা তুমিই বানাবে..
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
জোহা ভাইয়ের ডাইরি লেখা শিক্ষা থেকে ব্লগ লেখা।
কিবোর্ডে আঙুল সচল রাখতে এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
হুম
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সেই রকমই।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
আইচ্ছা।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
হ
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
অ!
ঠিকাছে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- "রসের বাইদানী"!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রস?
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- তাইলে কি 'কষ' হৈবো?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছি ছি...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- কি হৈলো বদ্দা! মাছি উড়ে?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাছি তো উড়তেই আছে...কাঁঠালের খোজ নাই......
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- অফসিজনে কাঁঠাল পাইবেন কই?
রোজার ঈদের গান কি আর বকরি ছোলানের সময় মজা লাগে?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন