মাকাল
উঠানে মাকাল গাছ খাড়া একখান
এতো বাইঠা যে চিনাই যায় না ।
লোক ঠেকাইতে
জাংলা আবার দিছে ঠিকঠাক।
এই বাট্টুর কপালে বড় হওয়া নাই ,
খালি হাউস আছে পাক্কা ;
রোইদ পায় ঠিকঠাক ,
ওইটা ঠিকাছে ।
মাকাল ধরে না তাই
মাকাল ডাকেনা কেউ তারে।
তবে ঐটা আসলেই মাকালের গাছ !
পাতা দ্যাহেন না ?
Der Pflaumenbaum
Im Hofe steht ein Pflaumenbaum,
Der ist so klein, man glaubt es kaum.
Er hat ein Gitter drum,
So tritt ihn keiner um.
Der Kleine kann nicht gr? wer'n,
Ja - gr? wer'n, das m?' er gern!
's ist keine Red davon:
Er hat zu wenig Sonn'.
Dem Pflaumenbaum, man glaubt ihm kaum,
Weil er nie eine Pflaume hat.
Doch er ist ein Pflaumenbaum:
Man kennt es an dem Blatt.
মন্তব্য
পড়লাম বদ্দা। চলুক অনুবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরো চাই!
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আগে পড়েছিলাম নাকি?
কবিরা কবিতায় সময় না দিলে কেমনে হয়? আরো সময় দেন ,আরো বেশী বেশী কবিতা দেন ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমি সুমন রহমান আর সুমন চৌধুরী-কে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলি। এই কবিতা পড়ার সময়ই মনে হচ্ছিল এটা ল্যাটকা খিচুড়ীর সুমন চৌধুরী (ওরফে বদ্দা)। ঠিক তাই।
তাই আপনার ভাষায়ই বলি-- কবিতাটা "ভালৈছে"।
...............................
আমার লেখাগুলো আসে স্বপ্নের মাঝে; স্বপ্ন শেষে সেগুলো হারিয়ে যায়।
গুঢ হৈছৈ।
ভিন্নস্বাদের। ভালো লেগেছে।
হেরহম অইছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কবিতা হিসেবে খুবই পছন্দ হয়েছে। অনুবাদ হিসেবে ভালো লাগলো না।
মূল জার্মান কবিতা অনেক বেশি কাব্যিক।
প্রথমে আসি, মূল ভাব-এ। এটা অনুবাদে এসেছে। কিন্তু আমার জন্য এটুকু যথেষ্ট নয়। আমি অনুবাদে মূল কবিকে যত বেশি পাওয়া সম্ভব ততোটাই চাই । কারণ আমি ব্রেখটকে বুঝতে, জানতে ও পড়তে এই অনুদিত কবিতাতে চোখ রেখেছি।
মূল কবির যে ভাষাভঙ্গি, ছন্দ, চরণ বিন্যস্ততা; অনুবাদে সেগুলো ধরার চেষ্টা করার কঠিন কাজ সুমন চৌধুরী স্পষ্টতই এড়িয়ে গেছেন। সাদাচোখে অনুবাদের পূর্ণ স্বাধীনতা (বিনয় করে তিনি বলছেন দু:সাহস) নিয়েছেন।
কেন? তার ব্যাখ্যা আমরা জানি না (সুচৌ জানালে আমরা আরেকটা লেখা পোতাম আর অনেক অনেক বিতর্ক করতাম।)। কিন্তু যে কারণেই তিনি এই এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন না কেন, তার ফলাফল হিসেবে যে অনুদিত কবিতাকে আমরা পাচ্ছি তা ব্রেখটকে আমাদের কাছে আরো ভালোভাবে পৌঁছে দিচ্ছে না। তাকে পৌঁছাচ্ছে কম কাব্যময় করে, কম ব্যঞ্জনাময় করে। জিব্রাইল এখানে আল্লাহর বাণীতে সিনটেক্স এরর ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
আমি ধারণা করি যে ব্রেখটের ভাষাভঙ্গির মধ্যে তার দশক বা সমকালীন জার্মান কবিতার একটা ছাপ আছে। অনুবাদে সেটা উধাও হয়ে সমকালীন বাংলা কবিতা ঢুকে পড়েছে।
সাদা চোখে আমরা দেখতে পাই মূল কবিতাটি দুটি অনুচ্ছেদের। ৮ ও ৪ লাইনের। মাঝে কবির একটি পরিকল্পিত ছেদ।
সেইসাথে দেখা যায় প্রতি চরণের সাথে পরবর্তী চরণের একটি অন্তমিল আছে। শব্দার্থ না বুঝে রোমান হরফ ধরে পড়ে গেলেও আমরা একটা ছন্দ ধরতে পারি।
আমরা এও দেখি যে প্রথম অনুচ্ছেদে কবি বিষয়টাকে উপস্থাপন করছেন। কেন গাছটাকে মানুষ অন্য গাছ হিসেবে ভুল বুঝে তা প্রথমেই জানিয়ে দিচ্ছেন। তারপর প্রথম অনুচ্ছেদেই আমরা দেখতে পাই কবি প্রশ্ন তুলছেন। নানা প্রশ্ন। আমি ধারণা করি এসব প্রশ্ন দিয়ে তিনি মানুষের ভুল ধারণাকে নাড়াও দিচ্ছেন, তাদের যুক্তিতে কেটেও দিচ্ছেন।
তারপর, জার্মান ভাষা না বুঝেও আমি ধরতে পারি, যে এই উপস্থাপনার অনুচ্ছেদের ৮ লাইন বাদে কবি একটা বিরতি দেন। পরিকল্পিত বিরতি। এবার তিনি অন্য কথা বলবেন। তার সিদ্ধান্ত জানাবেন এর একটা প্রস্তুতি তিনি নেন, পাঠক করেন সেই অপেক্ষা।
সুতরাং পরবর্তী অনুচ্ছেদে, আমি ধারণা করি কবি প্রথম অনুচ্ছেদে তার চিহ্নিত করা সমস্যাটাকে সংক্ষেপে দু লাইনে বলেন। অর্থাত তিনি জানান যে কেন মানুষ গাছটিকে ঠিকঠাক চিনতে পারে না। এবং শেষ দুই লাইনে কবি তার নিজস্ব সিদ্ধান্তটা দেন। এবং কাব্যের চল দেখে (জার্মান না বুঝেও) অনুমান করি মূল তথ্যটা কবি দেন শেষ লাইনে। অর্থাত এই বক্তব্যটা যে, গাছের পাতাই বলে দিচ্ছে এটা সেই গাছ।
শেষ অংশটা সম্ভবত: সুমন চৌধুরী ঠিকঠাক রেখে দিয়েছেন। তার অনুবাদে, 'পাতা দ্যাহেন না'- অর্থাত পাতার কথা শেষেই এসেছে।
কিন্তু কবি যে ভাবে, ধীরে ধীরে এই শেষ বাক্যে পৌঁছান সুমন চৌধুরী সেই ভঙ্গিটা অনুসরণ না করায় আমি মনে করি কবির সৃষ্টিকর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক - সিদ্ধান্ত উন্মোচনের ধারা- অনুবাদিত হয়ে ভেজাল হয়ে গেছে। অনুবাদে সব সময় কিছু ভেজাল ঢুকে যাওয়ার আশংকা থাকে। সেটা যদি দুই ভাষার পার্থক্যের কারণে হয় তবে মেনে নেয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্য কোনো কারণে হলে তা তীব্র সমালোচনায় উতরাতে হবে অবশ্যই।
কবিতার শেষ লাইন নিয়ে, পাতা ও গাছ চেনা নিয়ে কথা বলতে বলতে আমার মনে হয় ব্রেখট নিশ্চয় অপ্রয়োজনীয় অদরকারি কোনো গাছ নিয়ে কবিতাটি লিখেন নি। এত কষ্ট করে চেনানোর চেষ্টা করছেন যে গাছ সেটি মাকাল হতে পারে না। অবশ্যই এটা আমার অনুমান। আমি জার্মান জানি না। আমি অনুমান করি গাছটি জার্মানদের খুব চেনা, অতি পরিচিত, প্রায় সব বাগানে থাকা একটা গাছ হবে। আমাদের আম-জাম-বরই গাছের মত। কারণ কবিতায় বুঝা যাচ্ছে ফল ধরে না বলে একে লোকে চিনছে না। সুতরাং এটি অবশ্যই এমন একটি ফলের গাছ যার ফল দিয়েই লোকে একে এত বেশি চেনে যে এর পাতা, এর কান্ড বা অন্যান্য দর্শনীয় অংশগুলো মানুষের অজানা থেকে যায়, অগোচরেই থেকে যায়। সুতরাং এটি পরিচিত ফলের গাছ হওয়ার কথা। মাকাল হতে পারে না। অন্তত: আমার তাই ধারণা। সময়ের সাথে সাথে ধারণাটা আরো দৃঢ় হচ্ছে।
কেন সুমন চৌধুরী ফলের গাছকে মাকাল বলে অনুবাদ করেছেন তা আমার বোধে আসে না। শব্দটার অর্থ কি আসলেই তাই?
অনুভূতির এই পর্যায়ে এসে আমার মনে হয়, সুমন চৌধুরী অনুবাদক হিসেবে আলস্য ভেঙে যথেষ্ট খাটাখাটনি করেন নি। হয়তো তিনি প্রাথমিক একটা অনুবাদ তুলে দিয়েছেন। অথবা পাঠককে ততোটা আমলে নেননি। এটাই কি তার দু:সাহস?
(অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য। তাই আলাদা করে একটা পোস্ট দিচ্ছি। সেখানে নতুন কিছুও থাকবে।)
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অনুভূতির এই পর্যায়ে এসে আমার মনে হয়, সুমন চৌধুরী অনুবাদক হিসেবে আলস্য ভেঙে যথেষ্ট খাটাখাটনি করেন নি। হয়তো তিনি প্রাথমিক একটা অনুবাদ তুলে দিয়েছেন। অথবা পাঠককে ততোটা আমলে নেননি। এটাই কি তার দু:সাহস?
ওরে খাইছেরে! বীগ সির মন্তব্যে বাইঠা হৈয়া গেলাম!ঐটা প্রাথমিকের পরেও ঐরকমই থাকতো। আমার অনুবাদ বিষয়ক অতিক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় বলে কবিতার অনুবাদে অনুবাদক যতবেশী ক্যাৎরামী করবো অনুবাদ মূল কবিতা থিকা ততবেশী দূরে যাইবো।
আরেক্টা দিতাছি ব্রেখটের অনুবাদ। এইটাও বেশ আগে করা।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন