তাঁর কথা ভাবতে চাইনা, ভাবতে ভালো লাগেনা। তবু প্রতি ফেব্রুয়ারি শেষে আত্রান্ত হই তীব্র নীরর্থকতাবোধে, দিগন্ত জুড়ে নেমে আসে মহাজগতের মতো বিপুল অন্ধকার; কোনো রাতও অতো অন্ধকার নয়। রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোকটুকুও আর নেই। আর ফেরা নেই, আর অগ্রগতি নেই, চিরকালের মতো থেমে গেছে তাঁর মৃত্যুহীন প্রাণ। আর কখনো তিনি নিঃশ্বাস নেবেন না; আলো তাঁকে আর চকিত করবেনা; তাঁকে সুখী করবেনা নক্ষত্র, শিশির, ঘাসফড়িং, ইন্দ্রিয়, নদী বা নারী; তাঁর অনন্য মগজে সাড়া দেবেনা বর্ণমালা আর ধ্বণিপুঞ্জ; খাবার খুঁজতে এসে ফিরে যাবে উদাসীন দাঁড়কাক।
তাঁর কথা ভাবতে চাইনা, ভাবতে ভালো লাগে না। তীব্র শুন্যতা ঘিরে ধরে চারপাশ।
সংঘটিত হয়েছে একটি অসামান্য জীবনের ট্র্যাজিক পরিসমাপ্তি; আমাদের নষ্ট অসভ্য ইতর জংলি মূর্খধর্মগ্রস্থ, বর্বরশাসিত সমাজরাষ্ট্র তাঁকে বেঁচে থাকতে দেয়নি। কিন্তু তাঁকে কি আরো আগে স্তব্ধ করে দেয়া যেতো না? তিনি কি চিরকাল প্রথা, কুপমন্ডকতা, আর সংস্কারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন না? বাংলাদেশের প্রগতিশীলদের মাঝে আর কেউ তাঁর মতো স্পষ্টভাষী ছিলেন না, আর কেউ এমন তীব্র ভাষার শানিত চাবুকে বাঙালিকে চাবকানোর সাহস করেন নি। আমাদের দুর্বল, আপোষকামী প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবিরা সাধারণত ধর্মীয় কুসংস্কার আর ধর্মান্ধতা নিয়ে দু’চারটি কথা বলেই উপসংহারে পৌছে যান। শুধু তিনি ছিলেন অনন্য ব্যতিক্রম; শুধু কুসংস্কারকে আক্রমণ করেই দায়িত্ব শেষ করেন নি, খোদ বিশ্বাস আর সংস্কারের গায়ে করেছেন আঘাতের পর আঘাত। প্রায় ৭০টি গ্রন্থের অজস্র পৃষ্ঠায় তিনি ছিন্নভিন্ন করেছেন প্রতিক্রিয়াশীলতার যুগযুগলালিত দূর্গ। তাঁর সৃষ্টি আলোড়ন জাগিয়েছে প্রচণ্ড, বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তীব্র; এবং বছরের পর বছর তিনি ছিলেন আমাদের পাঠক ও জাগ্রত চেতনার মধ্যে।
প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন আমাদের একমাত্র প্রথাবিরোধী। চুড়ান্ত বাকদক্ষ তাঁর বক্তব্যে আক্রান্ত হয়েছে ধর্ম, ঐতিহ্য, পুরুষতন্ত্র - এমন আরো অনেক সামাজিক আবর্জনা। আরো অনেক বিভ্রান্তিকর, তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবিগণ, যাদের লেখকজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মাঝখানে বাস করে অসততার মহাসাগর, তাদের তুলনায় তিনি ছিলেন সৎ ও সুস্পষ্ট। তাঁর সাথে মুখোমুখি দেখা করার আগে তাঁকে ঘিরে আমার মধ্যে বাস করতো রহস্য, মনে হতো এই মানুষটি আলো আঁধারির সান্ধ্য রহস্যঘেরা এক কবি। কিন্তু প্রথম সাক্ষাতেই আবিষ্কার করি তিনি কোনো রহস্যময় ঐন্দ্রজালিক নন, তাঁর সবটাই ভোরের আলোর মতো স্বচ্ছ। তিনি একজন সুস্পষ্ট মানুষ, যাঁর লেখা কথা কাজ বক্তব্য ও জীবনধারণ পদ্ধতি সুস্পষ্ট। কিছুটা উদ্ধত মনে হয়েছিলো তাঁকে, কিন্তু প্রতিভার ঔদ্ধত্যে সততা যতোটা প্রকাশিত হতে দেখি, প্রতিভার বিনয়ে কি ততোটা দেখি? বিনয় আর সুবিধাবাদের মাঝে রয়েছে কি কোনো সূক্ষ্ম যোগাযোগ?
একথা দিবালোকের মতো নিশ্চিত জানি, প্রথা ও প্রতিক্রিয়ার কালো দানবিক সুর কখনো তাঁর ভেতরে প্রবেশ করেনি। তাঁকে ঘিরে ধরেনি সুবিধার সোনালি খড়কুটো, যেমন ঘিরে ধরেছিলো আরো অনেককে। শুধু তিনিই সাফল্যের ক্ষুদকুড়ো ভিক্ষে চান নি কোনো দল, সংঘ বা গোত্রের কাছে। মূর্খদের রচিত ইতিহাসে তিনি হয়তো বহুকাল ‘বিতর্কিত লেখক’ হিসেবেই আখ্যায়িত হয়ে থাকবেন, তিনি বলতেনও তাঁর সম্পর্কে এই নিরর্থক বিশেষনটি বেশ প্রচলন পেয়েছে; তবে সভ্যতার বিকাশের জন্যে বিতর্ক খুবই দরকার।
প্রথাগত বাঙালিত্বের সীমানা পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আধুনিক; সমালোচনা সাহিত্যে এনেছিলেন নতুন মাত্রা, চিরে দিয়েছিলেন নিম্নমানসম্পন্ন জনপ্রিয়দের খোলস। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন বাংলা তুলনামূলক সাহিত্যে প্রগতিশীল ও প্রগতিবিরোধী ধারার পার্থক্যকে। তাঁর সেই সমালোচনা সুখকর মনে হয়নি আল মাহমুদ, সৈয়দ আবুল আহসান, আবদুল মান্নান সৈয়দ ও আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ'র মতো আরো অনেক কবিযশোপ্রার্থীদের কাছে।
চারিদিকে তিনি যখন দেখেছেন ভয়, স্থবিরতা ও শ্বাসরুদ্ধকরতা তখন তিনি কথা বলেছেন। যখন সকলে চোখ বুজে আরাধনা করেছেন প্রতিক্রিয়ার তখন তিনি কথা বলেছেন। যখন চারিদিকে চলছিলো মুদ্রিত মিথ্যাচারের মহোৎসব তখন তিনি প্রতিবাদ করে উঠেছেন। তাই অনেকে তাঁকে বলতেন ‘সাহসী'। তিনি বলতেন, আমাদের মাতৃভূমি আজ এতোটাই নষ্ট যে, অকপট সত্য কথা বলাও এখানে সাহসের পরিচায়ক। যেখানে রাষ্ট্র প্রথাবাদী, মানুষ সৃষ্টিশীলতাহীন, সমাজ নৈতিক দুর্দশাগ্রস্থ সেখানে সত্য বলা টাওয়ারের বিশতলা থেকে লাফিয়ে পড়ার চেয়েও বিপদজনক।
আমরা কি তাঁর মতো স্বাভাবিক সত্য বলতে পারি?
কবিতায় তিনি ছিলেন আমাদের আধুনিকতম প্রতিনিধি। জনপ্রিয় শ্লোগান বা স্তুতি রচনা করেননি তিনি, কবিতার নামে পদ্য দিয়ে প্রতারণা করেননি আমাদের চিরপ্রতারিত বিহ্বল পাঠককে। তাঁর কবিতাই পাই ভাষিক বিশুদ্ধতার সুস্থতম সৃষ্টিশীল রূপ, পাই এ-সময়ের শ্রেষ্ঠ আবেগ উপলব্ধি কামনা বাসনা হতাশা ও সৌন্দর্যবোধ। সমকালীন সমাজ-রাষ্ট্র-সভ্যতা নামে পচাগলা দুর্গন্ধময় আবর্জনাসমষ্টি হয়ে উঠেছে তাঁর সুতীব্র ব্যঙ্গ আর আক্রমণের লক্ষ্য। ব্যক্তিগত যন্ত্রণা ও প্রতিবাদকে তিনি এমন শৈল্পিক অথচ আন্তরিক প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবিতায়, যার তুলনা পাইনা। শুধুমাত্র খ্যাতির জন্যে তিনি প্রলাপ ও কবিতাকে এক করে দেখেননি, দাবি করতেন, তিনি ভোগেন নি বাঙলা কবিতার এই জনপ্রিয়তম রোগে।
পিঠে কূঁজ বেছে নিতে পছন্দ করেন আমাদের বুদ্ধিজীবিরা, কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছিলেন কুঁজের বদলে ছুরিকাকে, অস্বীকার করেছিলেন মাথা নিচু করে দাঁড়াতে। আমাদের বর্বর সমাজরাষ্ট্র কেঁপে কেঁপে উঠেছে তাঁর লেখায়, আতঙ্কিত হয়েছে জঘন্য মৌলবাদ। এই পঙ্গু, নষ্ট, বিষাক্ত, বিশ্বাসঘাতক রাষ্ট্র পারে শুধু একজন মুক্তচিন্তককে ছিন্নভিন্ন করে দিতে, ভয়াবহ হিংস্র নেকড়েচালিত রাষ্ট্রের কাছে এরচেয়ে উন্নত সংস্কৃতি কি করে আশা করতে পারি? চারপাশে যখন ভেজাল মূর্খ ভণ্ড কপট সুবিধাবাদী ও দালালদের গলা ভরে গেছে বাৎসরিক সোনার পদকে, তখন আক্রান্ত হয়েই পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি।
মৃত্যুকে তাঁর মতো কবিতাময় করে তুলতে কে পেরেছে?
তাঁর কদর্য মৃত্যুদাতারা যখন হারিয়ে যাবে ইতিহাসের কালো গর্ভে, তখন তাঁর বিপুল রচনাবলী বদলে দিতে থাকবে আমাদের মননরাজ্য, ঘটাবে চিন্তার বিপ্লব। তিনি আলো জ্বেলে যাবেন হাজার বছর ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, শতাব্দীপরম্পরায়।
তিনি হুমায়ুন আজাদ; মৃত্যুঞ্জয়ী।
-------------------------------
মন্তব্য
অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটি। হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে কিছু বলতে কিংবা লিখতে গেলেই কী এক ভীষণ আবেগ ভর করে আমার মধ্যে। খুব পছন্দের মানুষ/লেখক ছিলেন তিনি।
(রাড়িখাল এলে / কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
হুমায়ুন আজাদ অজেয় অক্ষয় হয়ে থাকবেন তার লেখায়, নষ্ট সমাজ আর নষ্ট ধর্ম জীবনকে যতই কলুষিত করুক না কেনো, কখনই অমর হতে পারবেনা, কিন্তু তার সাহিত্য অমর হয়ে থাকবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই বলার নেই
(কবির লাশ / সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অসৎ, ভ্রষ্ট, কঁুজবিশিষ্ট আল মাহমুদকে নিয়ে হুমায়ুন আজাদের সেই আলোচিত কবিতাটি:
(গোলামের গর্ভধারিণী / আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
শ্রদ্ধা। কদিন আগে ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না আরেকবার পড়লাম। ভাষার জাদুকর আমাদের লেখক।
facebook
(ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না / হুমায়ুন আজাদ)
অসাধারণ রূপময় গদ্য!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
তাঁর কদর্য মৃত্যুদাতারা যখন হারিয়ে যাবে ইতিহাসের কালো গর্ভে, তখন তাঁর বিপুল রচনাবলী বদলে দিতে থাকবে আমাদের মননরাজ্য, ঘটাবে চিন্তার বিপ্লব। তিনি আলো জ্বেলে যাবেন হাজার বছর ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, শতাব্দীপরম্পরায় ........
(হ্যামেলিনের বাঁশিঅলার প্রতি আবেদন / আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
বাঙালি এতটাই বর্বর যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে কখনো বাঁচতে দেয় না। বেচে থাকে ইতিহাসের কলঙ্কিত, পচা ,গান্দা ,ঘৃণ্য জানোয়ার গুলি।
(প্রার্থনালয় / কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
হুমায়ুন আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
(বেশি কাজ বাকি নেই / কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটি।
হুমায়ুন আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ধন্যবাদ রাজাসাহেব!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
মানুষে মানুষে মতভেদ থাকতেই পারে কিন্তু এই মানুষটি শুধু তার ভিন্নমত নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেনি, সুতীব্র লেখনির বাক্য-বাণে বিদ্বেষে রূপ দিয়েছেন, আর নিউটনের তৃতীয় সুত্রানুযায়ী তিনি তার প্রতিক্রিয়ার স্বীকার হয়েছেন মাত্র। আর নাস্তিকরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে কোন "free will" এর অস্তিত্ব স্বীকার করেনা। কাজেই হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই ঘটেছে...কাউকে দায়ী করার অর্থ, নাস্তিকতা থেকে আস্তিকতার দিকে ধাবিত হওয়া। (http://www.susanblackmore.co.uk/Conferences/Sharpham Aug 2006.htm
বাহ অসাধারণ, এভাবেই আমরা খুনকে জায়েজ করে চলি, তাই না?? !! তিনি "নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন মাত্র" বাহ চমত্কার, তা আপনার বা আপনাদের থিসিস অনুযায়ী আর কার কার নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুযায়ী প্রতিক্রিয়ার শিকার হওয়া উচিত ছিলো ?? আর কি কি প্রমান করতে চলেছেন সূত্র থেকে, আর কে কে এই লিস্টে আছে??
প্রকৃতির নিয়মে কালকে আপনাকে এসে একদল কল্লা কেটে রেখে গেলো তো আপনার পরিবার বা বন্ধুরা আশা করি বিচার প্রত্যাশা করবেনা, মামলা-ঠামলার ধারে কাছেও যাবেনা, কারণ প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই যুগে যুগে মানুষের কল্লা কাটা হয়েছে তাইনা??!! নাস্তিকতা আর আস্তিকতার এই মহান পাঠ কোথায় পেয়েছেন, কোন সে মহাগুরু জানাবেন ??
কারো নির্যাতন-খুন-হত্যার জন্য তাহলে আর আমরা থানা-পুলিশ কোর্ট-কাচারী কেনো রাখি, সরকারেরই বা কি দরকার, কি দরকার এতো চিল্লাচিল্লি করে, সব তো প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই হয় তাই না???
আশা করি এটাও জানেন প্রকৃতির নিয়মেই কিছু মানুষরুপী হায়েনার জন্ম হয় যাদের আসল চেহারা মুখোশের আড়ালে থাকে আর এরই সাথে জন্ম হয় কিছু মানুষরুপী কুকুরের।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বোধ করি, আপনি নাস্তিকদের দলে না। আমার দেয়া লিঙ্কটা তে ঢু মেরেছেন তো?
আপনার জন্য Stefen Hawking এর "The Grand Design থেকে উদ্ধৃত করলাম,
"Though we feel that we can choose what we do, our understanding of the molecular basis of biology shows that biological processes are governed by the laws of physics and chemistry and therefore are as determined as the orbits of the planets. Recent experiments in neuroscience support the view that it is our physical brain, following the known laws of science, that determines our actions, and not some agency that exists outside those laws. For example, a study of patients undergoing awake brain surgery found that by electrically stimulating the appropriate regions of the brain, one could create in the patient the desire to move the hand, arm, or foot, or to move the lips and talk. It is hard to imagine how free will can operate if our behavior is determined by physical law, so it seems that we are no more than biological machines and that free will is just an illusion.”
আমরা biological machine বৈ তো আর কিছু নই, "free will" আসবে কোথা থেকে?
আর নাস্তিকরা থানা-পুলিশ কোর্ট-কাচারী কেন করে, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।
(পৃথিবীতে একটিও বন্দুক থাকবে না / সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে / হুমায়ুন আজাদ)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
ওরে আল্মিন ভাইরে কদ্দিন পর দেকলাম রে, ভাই এদ্দিন কৈ আছিলেন? আন্নের ছাগুগিরি এদ্দিন মিছাইছি হাছা কৈলাম.........আন্নি এলা আয়া পড়ছেন আবার.........
_____________________
Give Her Freedom!
এই শোকের দিনেও মানুষরূপী হায়েনারা সেই নৃশংস হামলাকে জায়েজ করার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
চালাবেনা কেনো, সুযোগ তো আমরাই করে দেই, খুনি হয়ে যায় ভাষা সৈনিক আমাদের দেশে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
সবার নিকট এক সময় হুমায়ুন আজাদ একদিন অনিবার্য হয়ে যাবে, সেই আশায় বুক বাঁধা..........
লেখা হিসেবে এটা উচু শৈল্পিক মানে বৈভবী। একটু কি নিয়মিত হতে পারবেন আজকাল, প্রিয় কবি?
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ কবি। সময় করে উঠতে পারছি না কিছুতেই। আর পড়তে যতো ভালো লাগে, লিখতে ততো ভালো লাগে না। তবে চেষ্টা করবো।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
শ্রদ্ধা!
ধন্যবাদ, চিলতে রোদ!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
নতুন মন্তব্য করুন