পঞ্চাশ বা ষাট দশকের সিভিল সার্ভিসের পারিবারিক ঐতিহ্যবাহী একজন সেদিন বললেন, “বুঝলে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে তো আর সিএসপি অফিসাররা নেই, তোমাদের বিসিএসেরা যে কী করবে...’। ব্যাপারটা আমার কাছে অবশ্য নতুন না। বিভিন্ন সময়েই কিছু কিছু মানুষ আমাকে তাঁদের এই ভাবনার কথা বলেছেন। ভাবলাম একটু দৃষ্টি দেয়া যাক এই বিষয়টার দিকে। আসলেই কি দাবীকৃত এই সিএসপি ঐতিহ্যের অথবা এই ব্যাক্তিবর্গের অনুপস্থিতি কোন শুন্যতার সৃষ্টি করবে? অথবা এই ঐতিহ্যে আসলে আমাদের জন্য ক্ষতিকর?
একটু পেছনে ফিরে যাই। হয়ত অনেকেই জানেন বৃটিশ আমলে এই আমলাদের উত্তরসূরীদের বলা হত আইসিএস অফিসার (ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস)। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ডেভিড গিলমোর তাঁর বিখ্যাত বই দ্য রুলিং কাস্ট, ইম্পেরিয়্যাল লাইভস ইন দ্য ভিক্টোরিয়ান রাজ বইতে দাবী করেছেন, “১৯০১ সালের দিকে, রাণী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর এই উপমহাদেশে (বৃটিশ ইন্ডিয়া) মাত্র হাজার খানেকের কিছু বেশি আইসিএস অফিসার ছিল, যাদের এক-পঞ্চমাংশ যেকোন সময়ে হয় ছুটিতে নয়ত অসুস্থ থাকত। অথচ এই গুটি কয়েক অফিসাররাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বর্তমানের বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং মায়ানমার নিয়ে গড়া এক বিশাল অঞ্চলের প্রায় ৩০ কোটি লোকের প্রশাসন চালাত”। বিখ্যাত রাশিয়ান নেতা জোসেফ স্টেলিন থেকে শুরু করে অনেক হোমরা চোমরাই এই আইসিএসদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। লয়েড জর্জ এই আইসিএসদের বৃটিশ ভারতের ‘স্টিল-ফ্রেম’ নামের সেই বিখ্যাত উপাধি দিয়েছিলেন (যা আজও ব্যবহৃত হয়)। একটা ব্যাপার উঠে এসেছে গিলমোর সহ অনেকের লেখায়, অফুরন্ত দুর্নীতির সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এই এলিট প্রশাসক শ্রেণী সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। গিলমো্রের দাবী অনুযায়ী এমন কি ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা উনিশ দশকের শেষের দিকে তাঁদের পত্রিকায় আইসিএসদের ব্যাপারে লিখেছিলেন, impartial, high-minded, conscientious, incorruptible। (আমার নিজস্ব একটা মতামত আছে এ ব্যাপারে, কিন্তু আজকের আলোচনার জন্য এটা প্রযোজ্য না।)
অক্সফোর্ডে আইসিএস প্রবেশনাররা, ১৯২১, সৌজন্যেঃ ডেভিড গিলমোর, দ্য রুলিং কাস্ট
বর্তমানে ফিরে আসি। বাংলাদেশের প্রশাসনের উপর অনেক লেখা আছে। কিন্তু এই আইসিএসদের উত্তরপূরুষ আমাদের বিসিএস অফিসারদের ব্যাপারে জানতে সবচেয়ে সহজলভ্য জ্ঞানভান্ডার উইকিপিডিয়াতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ঢুঁ মারলাম। অপেক্ষাকৃত ছোট একটা ভুক্তি, খুব বেশি নতুন কিছু নেই। কিন্তু নিচের লাইন-গুলো কিছুটা অস্বস্থিতে ফেলে দিলঃ
(কাছাকাছি বাংলা অনুবাদ) ... বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এখনও কলোনিয়্যাল মডেল অনুসরন করছে, যা বাংলাদেশের মত একটি দেশের জন্য যুগপোযোগী না। বাংলাদেশের যেকোন ক্যাডার সার্ভিস থেকে একজন বিসিএস অফিসার সরকারের সর্বোচ্চ পদ সেক্রেটারি হতে পারে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের জন্য হয়ত স্বাভাবিক না। বাংলাদেশের সেক্রেটারিরা খুবই আমলাতান্ত্রিক। গুটিকয়েক দেশপ্রেমিক অফিসার ছাড়া বেশির ভাগ আমলারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তেমন কোন ভুমিকা রাখেন নি। তাদের বেশির ভাগই পাকিস্তান সরকারের কাজ করেছেন।
অস্বস্থিতে ফেলল কেন? ভুল বলা হয়েছে? হয়ত কথা গুলোতে গভীর সত্য লুকিয়ে আছে, পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে, কিন্তু রেফারেন্স ছাড়া উইকি এত বড় সিদ্ধান্ত নেয়ায় এই অস্বস্থি।
পূর্বপুরুষ আইসিএসদের আমল
যেহেতু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে এখনও কলোনিয়্যাল মডেল অনুসরনের দাবী করা হচ্ছে, ফিরে যাই ইতিহাসে আবার। আমার কিছু নিজস্ব বিশ্লেষণ ছাড়া, বেশির ভাগ তথ্যই কিন্তু রেফারেন্স-ভিত্তিক, যেহেতু এটা লঘুচালে লেখা একটা ব্লগ, রেফারেন্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকলাম।
দেখা যাচ্ছে খোদ বৃটেনে বৃটিশ সিভিল সার্ভিস ‘প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবার (বৃটিশ) জন্য উন্মুক্ত’ করে দেয়া হয় ১৮৭০ এর দশকে। অথচ এই উপমহাদেশে সিভিল সার্ভিস ‘প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবার (বৃটিশ) জন্য উন্মুক্ত’ করা হয়েছিল আরও আগে, ১৮৫০ এর দশকে, কিন্তু তখনও আইসিএস নেটিভদের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। (এর আগে ছিল ‘সিলেকসন বাই পেট্রোন্যাজ’) এবং সেই দশকেই অবশ্য নেটিভদের জন্য (অল নেচারেল বর্ন সাবজেক্ট অভ দ্য ক্রাউন এবং যাদের সাধারন ভাবে বলা হত ইন্ডিয়ান) উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। বলে রাখা উচিত এর আগে ইন্ডিয়ানদের উঁচু পদে যাবার অধিকার ছিল না। (আমি এই লেখায় ইন্ডিয়ান বলতে বৃটিশ ইন্ডিয়ার নেটিভদের বুঝাব, এবং ভারতীয় বলতে ১৯৪৭ এর পরে ভারতের নাগরিকদের বুঝাব)
নেটিভদের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও আইসিএসে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটা এত সোজা ছিল না। কালাপানি পাড়ি দিয়ে বিলেতে গিয়ে বৃটিশদের সাথে প্রতিযোগিতার করে সুযোগ পাওয়া কঠিন একটা কাজ ছিল। যার ফলে পরবর্তী চৌদ্দ বছরে শুধু মাত্র একজন নেটিভ আইসিএস হতে পেরেছিল। এবং তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রথম নেটিভ আইসিএস।
তবে যাঁরা বাংগালির তখনকার মেধার ঐতিহ্য নিয়ে সন্ধিহান, তাঁদের জন্য একটা ছোট্ট তথ্য। প্রথম দশজন নেটিভ আইসিএসের সাতজনই (৭০%) ছিলেন বাংগালি (সূত্রঃ ডেভিড গিলমোর)। প্রতিযোগিতা কিন্তু উন্মুক্ত ছিল বর্তমান বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং মায়ানমার নিয়ে গড়া এক বিশাল অঞ্চলের নেটিভদের জন্য।
এই আইসিএসদের ব্যাপারে যে মডেলটা অনুসরন করা হত তা হল, কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন। বাছাইয়ের পরে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়াশুনা করা এবং অন্যান্য কঠিন প্রশিক্ষণের ভেতর দিয়ে যাওয়া। এই আইসিএসরা ছিল ‘জেনারেলিস্ট’। বোধকরি এদের মধ্যে superiority ও আরোপ করা হত (হিটলার সাহেবের এই তত্ত্বটা খুবই কার্যকরী)। দৃশ্যতই বৃটিশ-রাজ একটা এলিট প্রশাসক শ্রেণী গঠন করতে চেয়েছিল। এবং স্বীকার করতেই হয় সফলও হয়েছিল।
বড় সব সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী এবং আমলাতন্ত্রের উপরের পদ গুলো (সেন্ট্রাল, প্রভিন্সিয়্যাল এবং জেলা পর্যায়ে) আইসিএসদের দখলে থাকত। অন্যান্য স্পেশালাইজ ক্যাডারের লোকজন উপরের পদ গুলোতে যাওয়া প্রায় অসম্ভবই ছিল, এবং তারা সাধারনত আইসিএসদের সাবোর্ডিনেট হিসাবেই থাকত।
আইসিএসদের ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট হল, বৃটিশ-রাজ এই এলিট শ্রেণী তৈরী করতে চেয়েছিল প্রশাসনের (পড়ুন শাসন) জন্য, উন্নয়ন তাদের এজেন্ডাতে উপরের দিকে ছিল না। আরেকটা ব্যাপার, চল্লিশের দশকেই কিন্তু গ্লোবালাইজেশন আবার পুনর্জন্ম লাভ করে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পরে (দু’দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং গ্রেট ডিপ্রেশনের পর)। এর একটা প্রভাব কিন্তু পাবলিক সেক্টারে ভালভাবেই পড়েছিল, যাতে পাবলিক সেক্টার নিজেদের পরিবর্তন করেতে শুরু করেছিল। আর সেই দশকই ছিল আইসিএসদের শেষ দশক। এই তথ্যগুলোর মানে হল এই সফল মডেল পরবর্তী দশকগুলোর জন্য হয়ত কিছুটা পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল।
(চা শিল্পেও কিন্তু একধরনের এলিট-প্রশাসক শ্রেণী তৈরীর বৃটিশ ধারাবাহিকতা এখনও বর্তমান)
বিচার বিভাগ (judiciary) – কিছুটা অফ টপিক
প্রথমেই স্বীকার করে নেই জুডিশ্যারির আক্ষরিক বাংলা বিচার বিভাগ না, কিন্তু এখানেই এটাই প্রযোজ্য মনে হল। জুডিশ্যারির উপরেও কিছুটা অলোকপাত করার ইচ্ছে হল। (যদিও কিছুটা অফ টপিক এবং লেখাটা বড় হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তারপরও লিখতে ইচ্ছে হল।)
আইসিএসেরে একটা অংশ জুডিশ্যারিতেও যেত। এবং এই জুডিশ্যারিই একমাত্র ক্ষেত্র যেখানে উপরের পদ গুলো আইসিএসরা দখল করত না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অপেক্ষাকৃত অসফল সিভিল সার্ভেন্ট এবং ‘দোজ লস্ট দেয়ার যেস্ট’, তাদেরকেই জাজের পদে প্রমোশন দেয়া হত।
এখানে একটা মজার ব্যাপার উল্লেখ করতে হয়। ১৮৭২ সাল পর্যন্ত বৃটিশদের (বৃটিশ-বর্ণ প্রজাদের) ফৌজদারি মামলার বিচার শুধুমাত্র প্রেসিডেন্সি শহরের হাইকোর্টেই হত। (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা সেসান জাজ এদের বিচার করতে পারত না।)। এবং, শুধুমাত্র ১৮৭৭ সালে ইন্ডিয়ানরা (নেটিভরা) বৃটিশদের বিচার করতে পারবে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে একটা বিল আনা হল। এর আগে নেটিভদের পক্ষে বৃটিশ-বর্ণ প্রজাদের বিচার করা সম্ভব ছিল না।
এই বিলের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে উঠল। দুইটা গ্রুপের প্রতিক্রিয়ার কথাই শুধু বলব এখানে। প্রথমত আসামের টি-প্ল্যান্টার্সরা (প্ল্যান্টার্স বলতে সধারনত চা শিল্পের মালিক এবং ব্যবস্থাপক শ্রেনীকেই বুঝায়)। চা-শ্রমিকদের সাথে খারাপ ব্যবহারে অভ্যস্থ প্ল্যান্টার্সদের ব্যাপারে বৃটিশ ম্যাজিস্ট্রটরা অনেক উদার ছিল। তাদের ভয় ছিল ভারতীয় ম্যাজিস্ট্রটরা বৃটিশদের বিচারের অধিকার পেলে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
দ্বিতীয় গ্রুপটা চিন্তিত ছিল বৃটিশ মহিলাদের নিয়ে। যুক্তি ছিল হিন্দুরা (গিলমোর) নিজেদের মহিলাদের পর্দার আড়ালে রাখতে চায়, তাদেরকে স্বাধীন-সাদা-মহিলাদের বিচারের ভার দেয়া একেবারেরই উচিত হবে না। হেনরী বেভারিজের (একজন জেলা-জাজ ছিলেন এবং এই বিলকে সমর্থন করেছিলেন) স্ত্রী যিনি একসময় ভারতীয় মেয়েদের জন্য একটি স্কুল চালাতেন, কঠিন কথা বলেছিলেন। তিনি পত্রিকায় এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত এক ধরনের অপামান। তিনি তার জাতিসত্তার গৌরব থেকে এই কথা বলছেন না, বরং ওমেন-হুডের গৌরব থেকে বলছেন’। তিনি এই বলে প্রতিবাদ করেছিলেন, ‘সভ্য মেয়েদের বিচার করার দায়িত্ব দেয়া হবে যাদেরকে তারা তাদের জাতির মেয়েদের জন্য কিছুই করেননি, এবং তাদের সামাজিক ধ্যান-ধারনা অন দ্যা আউটার ভার্জ অভ সিভিলাইজেশান’?
ফিরে যাই তাদের উত্তরসূরীদের কাছে।
সিএসপি জামানা
১৯৪৭ সালে, পাকিস্তান এবং ভারত নামের দুটি নতুন রাষ্ট্রই এই সিভিল সার্ভিসের জন্য গর্বিত ছিল। আমাদের এই বিশ্লষণে ভারতের সিভিল সার্ভিসের তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেই, তাই আলোচনা করা হল না। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরেই করাচিতে একটি সরকারি প্রচারপত্রে পাকিস্তনের সিভিল সার্ভিসকে আইসিএসদের উত্তরসূরী বলে গর্বভরে প্রচার করা হয়েছিল। আইসিএসকে বলা হয়েছিল, ‘দ্য মোস্ট ডিস্টিংগুইসড সিভিল সার্ভিস ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’।
১৯৪৭ স্বাধীনতার পরেই আইসিএসের আদলে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলা হয়েছিল, ১৯৫০ এর নামকরণ করা হয় সিভিল সার্ভিস অভ পাকিস্তান বা সিএসপি।
পাকিস্তানে সিএসপি নামের এই এলিট শ্রেণী কিন্তু মন্ত্রীদের কিংবা আইনসভার (legislative direction) দ্বারা চালিত না হয়ে শক্তিশালী ruling clique হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রায়ই তারা মন্ত্রী এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করত। আইসিএসদের ঐতিহ্য বজায় রেখে কেন্দ্রীয় এবং প্রভিন্সিয়্যাল সেক্রেটারিয়েটের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রেখেছিল। Goodnow বলেছেন, ‘সিএসপিরা আইসিএসদের মত স্বায়ত্তশাসিত ছিল। তারা তাদের বাছাই প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ, ইনডোক্ট্রিনেশন, ডিসিপ্লিনারি ব্যাপার, প্রমোশন এমনকি বিভাগীয় অনুসন্ধান সবকিছুই একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করত”। আর সেই জেনারেলিস্ট, স্পেশালিস্ট দ্বন্দ্ব তো ছিলই। জেনারেলিস্ট সিএসপিরা সবসময় স্পেশালিস্টদের অবদমিত করে রাখত।
পাকিস্তান আমলে পূর্ববাংলার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। ১৯৪৭ সালের পরবর্তীতে পূর্ববাংলার সচিবালয়ের সমস্ত উচ্চপদগুলি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী (এবং ভারত থেকে উদ্বাস্তু অবাঙ্গালীরা) আমলাদের দখলে। এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সাথে তাদের ব্যবহার ছিল প্রভূর মত। আমলাদের অধিকারে ছিল পৃষ্টপোষকতার সম্পদ। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় পূর্ব বাংলার মুখ্য সচিব আজিজ আহমদের হাতে বিপুল ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। সচিবদের বদলির ব্যাপারে তার কথাই ছিল ফাইল্যাল।
দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রথম গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানও আমলাদের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এমনকি আমলাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজনীতিবিদদের উপর নজর রাখতে। আরেকটা উদাহরন দেয়া যেতে পারে। সিএসপি চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর জন্য সেক্রেটারী জেনারেলের পদ তৈরী করা হয়েছিল। ১৯৫১ তে তিনি যখন আর্থমন্ত্রী হলেন তখন এই পদ বিলুপ্ত করা হয়েছিল।
কাশ্মির এবং ভারত ইস্যুতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী দ্রুতই শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। আশ্চর্যজনক ভাবে আমলা এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে আঁতাত খুব ভালই হত এবং রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির ব্যাপারে তারা সোচ্চার ছিলে।
আরেকটা ব্যাপার। পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র তাদের পূর্বপুরুষদের incorruptible খ্যাতি বজায় রাখতে পারেনি। রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন বিহীন হয়ে, পৃষ্টপোষকতার সম্পদ তাদের করেছিল দুর্নীতিবাজ। মজার ব্যাপার আইয়ূব খান এবং ইয়াহিয়া খান দু’জনেই আমলাতন্ত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, কিন্তু আমালাদের সাপোর্ট ছাড়া তাদের নিজেদেরই ভিত ছিল নড়বড়ে।
(চলবে...)
মন্তব্য
দৌড়াবে!
চেষ্টা থাকবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাথার এক মাইল উপর দিয়া গেল।
নীল ভূত।
আমারই অক্ষমতা। অবশ্য বিষয়টা তেমন ইন্টারেস্টিং কিংবা সমসাময়িক না।
দ্বিতীয়ত, অ্যাকাডেমিকরা ছাড়া এ বিষয়ে তেমন কেউ লিখে-টিখে না। আমি অ্যাকাডেমিক নই, তাই এই অবস্থা...।
অবশ্যই ইন্টারেস্টিং। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের।
একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী হিসেবে আপনার ব্লগটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।পরের পর্বের অপেক্ষাই রয়েছি...
ধন্যবাদ। আশাকরি তাড়াতাড়িই লেখা হবে।
চলুক..................
দৌড়াবে
---------------------
আমার ফ্লিকার
চলুক। এবং দ্রুত চলুক।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
স্বাধীন এবং পলাশ দত্ত, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
প্রথম পর্ব পড়লাম এবং পরের পর্বগুলোতে আর বিস্তারিত পড়ার আশায় রইলাম। আর একটা প্রশ্ন আছে, পরের পর্ব গুলোতে প্রশাসনের জেনারেলিস্ট ভার্সেস স্পেশালিস্ট দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোকপাত থাকবে নাকি?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ নিবিড়।
জেনারেলিস্ট ভার্সেস স্পেশালিস্ট দ্বন্দ্বের আলোকপাত ছাড়া আমলাতন্ত্রের বিশ্লেষণ অসম্পূর্ন থেকে যায়। আলোকপাতের ইচ্ছা আছে। (কয়দিন আগে প্রশাসন থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া এক ভদ্রলোক বললেন সাহাবুদ্দিন সাহেব (তত্ত্বাবধায়ক এবং পরে প্রেসিডেন্ট) একজন জেনারেলিস্ট সিএসপি ছিলেন, তিনি কিন্তু বিচার-বিভাগের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। ব্যাপারটা অন্যান্য সূত্র থেকে সত্যতা যাচাই করতে হবে।)
স্বাধীনতার পরে প্রথম আমলাতন্ত্রের রিফোর্মের চেষ্টা এবং এর ব্যার্থতা নিয়েও আলোকপাতের ইচ্ছা আছে। ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক কী হয়।
এই বিষয়টি নিয়েই আজ নিবিড় ভাইয়ের সাথে আলোচনা হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে লেখার দাবি তাই আমিও জানিয়ে গেলাম।
_________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ঠিক বলেছেন জেনারেলিস্ট ভার্সেস স্পেশালিস্ট দ্বন্দ্বের উপর কোন আলোকপাত না থাকলে বাংলাদেশের প্রশাসনের বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ হবে না। আর আপনার একটা কষ্ট আমি কমিয়ে দিতে পারি একটা তথ্য দিয়ে সেটা হল শাহাবুদ্দীন সাহেব আসলেই একজন সিএসপি অফিসার ছিলেন যিনি পড়ে এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ হিসেবে জুডিশিয়ারী সার্ভিসে আসেন। আমার হাতের কাছেই এ,এম,এম শওকত আলীর Bangladesh civil service বইটা আছে যার পৃষ্ঠা নাম্বার ৭৭ এ তথ্য দেওয়া আছে।
আর আমলাতন্ত্রের রিফর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন শুনে আর আশাবাদী হলাম। আশা করি SARC থেকে পরবর্তীতে সমস্ত বড় বড় রিফর্ম গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। আর পাঠক হিসেবে আমি আপনার কাছ থেকে একটা জিনিস চাইব সেটা হল সমস্ত রিফর্ম কমিটি গুলো কে নিয়ে আলোচনা করার সময় যেন তখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতা সেখানে তুলে আনেন এবং সেটা এই কমিটির সুপারিশ ও এর বাস্তবায়নে কিভাবে প্রভাবিত করেছে তা তুলে ধরবেন। পাঠক হিসেবে আমার মত তাইলে আলোচনা আর মজাদার আর আকর্ষণীয় হবে।
আপনারা সিরিজের পরবর্তী পর্ব গুলোর অপেক্ষায় থাকব আশা করি সচলের প্রথা বজায় রেখে চা পানের বিরতিতে চলে যাবেন না। আর আগের মন্তব্যে মনে হয় বলা হয় নাই আপনার বিষয় উপস্থাপনের ভংগী ভাল লেগেছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মন্তব্য এবং তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মনে হচ্ছে চা খাবার জন্য চলে যাওয়াই ভাল।
ASRC (Administrative and Services Reorganisation Committee) র ব্যাপাটা খুবই গুরুত্ববহ। চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায়, ১৯৭২ সালের মার্চ এই কমিটি গঠন করে কিন্তু অগ্রভাগে থাকা রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁদের প্রায়োরিটির একটা দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। আমি গুরুত্বপূর্ণ রিফোর্ম গুলিতে আলোকপাত করতে চেষ্টা করব, আমার মতামতও দিব হয়ত, কিন্তু আমার মত একজন জেনারেলিস্টের পক্ষে হয়ত রাজনৈতিক বাস্তবতা সেখানে তুলে ধরা সম্ভব না। দেখা যাক, যদি চা বিরতিতে চলে না যাই...।
আগের মন্তব্যে একটা ভুল হয়ে গেছে sarc লিখে ফেলেছি carc( civil administration restoration committee) এর জায়গায়। আমার মতে asrc এর আলোচনার আগে একটু করে হলেও carc কে আনা দরকার যেহেতু বাংলাদেশের প্রথম রিফর্ম কমিটি সেটাই। আর আমার মতে একজন এক্যাডেমেশিয়ান এর থেকে কিছু কিছু দিক আপনার পক্ষেই ভাল করে তুলে আনা সম্ভব কারণ জেনারেলিস্টদের মনভাব আপনি অনেক ভাল করে বুঝবেন।
অতিরিক্ত চা পান স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর তাই বুঝতেই পারছেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ভাই নিবিড়, একটা জিনিস প্রথমেই ক্লারিফাই করে নেই, আমি জেনারেলিস্ট বলেতে কিন্তু আম পাবলিক টাইপের কিছু বুঝিয়েছি। আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউই সিভিল সার্ভিসের ধারে কাছে কখন ছিল না...।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখাটা যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দীপক। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। দেখা যাক কী হয়।
খুব আগ্রহ জাগানো লেখা
সচলে বা অন্য কোথাও এ বিষয়ে লেখা পড়েছি বলে মনে করতে পারছিনা।
শুধু একটা অনুরোধ 'লঘু চালে' লেখা বলে রেফারেন্স দেয়া থেকে বিরত থাকবেন না।
আপনার বক্তব্য যাচাইয়ের জন্য রেফারেন্স থাকা জরুরী। সুত্রবিহীন লেখা উইকির সেই ভুক্তির মতোই মনে হবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ পর্বে আমার মতামত থাকবে আশাকরি। তবুও খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রেফেরেন্স দিতে চেষ্টা করব।
আমলারা তাদের× নিজেদের দুর্নীতির ব্যাপারে কদ্দুর কি করেছে সেটা জানতে পরবর্তী পর্ব(গুলোর) অপেক্ষায় থাকলাম ।
× চন্দ্রবিন্দু দিলাম না ইচ্ছে করেই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার মাথায় লেখাটার যে নকশা ছিল সেখানে এই বিষয়টা ছিলনা, দেখা যাক কিছুটা আলোকপাত করা যায় কিনা।
১। কোন অজুহাতে রেফারেন্স দেয়া থেকে বিরত থাকা এই ধরণের লেখায় কাম্য নয়।
২। যত পর্ব লাগুক এমন লেখায় সংক্ষেপিকরণ বা লাফ দেয়াও কাম্য নয়।
৩। সিভিল প্রশাসনের সাথে রাজনৈতিক প্রশাসনের জন্মলগ্ন থেকে যে দ্বন্দ্ব আছে তার কথা জানতে চাই - অবশ্যই বিস্তারিত।
৪। Born-কে বর্ন আর রঙকে বর্ণ লিখুন। সেটাই মনে হয় ঠিক।
৫। এই ধরণের লেখা পড়িনি বলাই ঠিক হবে। আমলাদের লেখা নিজেদের গুণগান আর রাজনীতিবিদদের করা আমলাদের বদনামই বেশি চোখে পড়ে।
৬। সিএসপি ব্যবস্থা আইসিএস ব্যবস্থার সন্তান, আর বিসিএস ব্যবস্থা সিএসপি ব্যবস্থার সন্তান। দেশভাগ বা স্বাধীনতার মত ব্যাপারে এখানে বিশেষ হালে পানি পায়নি। অথচ এমন ইতিহাসে পিতা যখন সন্তানের অদক্ষতার কথা বলেন তখন পিতার যোগ্যতা নিয়েই সন্দেহ হয়।
৭। একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশের সিভিল প্রশাসনের রূপরেখা কী হওয়া উচিত তা কি আজ পর্যন্ত কেউ বিস্তারিত বলেছেন - লিখেছেন? দোষ দেয়া খুব সহজ, কিন্তু পথ দেখাতে পারে কয়জন?
চা খাওয়ার কালচার নিষিদ্ধ করা উচিত। এমন সিরিজ পর পর পোস্ট দিয়ে যাওয়াটাই উচিত। পাঠকের প্রত্যাশাও তাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খাইসে।
আপনি এবং নিবিড় কিন্তু কিছুটা এক্সপেক্টেশন আরোপ করলেন। লেখাটা শুরু করেছিলাম লঘুচালে সিএসপি এবং বিসিএস নিয়ে...।
পরবর্তীতে রেফারেন্স দিব, যেখানে দরকার। আসলে এত ঘটনা, কোনটা রেখে কোনটা লিখব। ভাল হত যদি পরবর্তী বাংলাদেশ পর্ব (গূলি) তে রাজনৈতিক এবং মিলিটারী ইন্টারেকশান গুলি আনতে পারতাম।
যাই হোক, আপনাকে আশেষ ধন্যবাদ বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।
লেখাটা প্রভুখন্ড হবার যোগ্যতা রাখে, শুধু রেফারেন্সগুলো দরকার।
বিস্তারিত ভাবেই লিখুন। যাদের পড়ার তারা অবশ্যই পড়বেন।
খুবই খাঁটি কথা। ... ... ভারত, বাংলাদেশ আর পাকি (পড়ুন ফাকি)-স্তানে কিভাবে এরপরেও মহিলারা ক্ষমতার শীর্ষে উঠে আসল সে বিষয়ে অবাক হই! পারলে কিঞ্চিত আলো ফেলবেন।
অসাধারণ লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা!!
ধন্যবাদ। এই বিলের পরবর্তী কিছু লেখার ইচ্ছা আছে কখনও।
আরেকটু হলেই মিস করে যেতাম৷ চমত্কার বিষয়৷ বেশ আগ্রহজাগানিয়া পোস্ট৷
ভারতে এখন পশ্চিমবঙ্গের ছেলেপুলেরা আই এ এস বা বিসিএসে খুব একটা যেতে চায় না৷ কিন্তু বিহারের ছেলেমেয়েরা খুবই আগ্রহী৷ তাই এখন বিহার কিছু ইউ পি আর দক্ষিণের তামিলনাড়ু থেকে বেশীরভাগ নির্বাচিত হয় বলে শুনেছি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ। পরবর্তীতে কী লিখব চিন্তা করে রেখেছিলাম। এখন এক্সপেক্টেশন আরোপ করায় পিছিয়ে যাব কিনা ভাবছি...।
আপনি আপনার ভাবনা বরাবর লিখে যান। পাঠকের প্রত্যাশার একটা ফুটপ্রিন্টও পাশাপাশি রইলো।
হিমু ভাই ঠিক কথা বলেছেন, আপনি আপনার মত লিখে যান
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দুর্দান্ত। চলবে, দৌড়াবে। তবে চা খাওয়া বাদ দিয়ে লিখুন দয়া করে।
প্রচন্ড ইন্টারেস্টিং পোস্ট । লিখে যান বিশদে ।
আইসিএস-এর মতো এলিট গ্রুপের প্রতি আমার (মনে হয় অনেকেরই) একধরণের দূর্বলতা আছে যদিও জানি তারা সাধারণ থেকে দূরে থাকা, শ্রেণীভেদ তৈরি করা মানুষ এবং আমার প্রিয় মতাদর্শগুলি থেকে অনেক দূরের কিছু । তারপরও তাদের দক্ষতা, নিষ্ঠা, অনেকক্ষেত্রে কঠোরতা, পরস্পরের সাথে ভদ্র প্রতিযোগিতা, সামাজিক উত্থান-পতনের মাঝে নিজেদের চরিত্র বদলে না ফেলার মাঝে শ্রদ্ধা জাগানোর মতো কিছু আছে।
আরো চলুক।
বুনোহাঁস
নতুন মন্তব্য করুন