‘তাইইই! ওয়াও! কী নামে লিখেন আপনি’?
হাসলাম একটু, তারপর অবলীলায় বললাম, ‘ধূসর গোধুলী’।
-‘মাই গড!’ উচ্ছ্বাস মহুয়ার কন্ঠে, ‘একটা মজার ব্যাপার কি জানেন, একসময় আমি ফ্রেন্ডস সিরিয়্যালটার খুব ভক্ত ছিলাম। দশটা ডিভিডির পুরো সিরিজটাই আমার কাছে আছে। সময় পেলেই দেখতাম। একটা সময়ে মনে হত ফ্রেন্ডসের সবাই যেন খুব কাছের লোক … জ়োয়ি, রস, চেন্ডলার...। বিশ্বাস করেন, আমি সচলায়তন নিয়মিত পড়ছি বছর খানেকেরও কম হবে। আপনাদেরকে ভীষণ ভীষণ আপান মনে হয়, যেন কত দিনের চেনা’। আমি তৃপ্তির হাসি হাসলাম।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে এই রুটে এই প্রথম যাচ্ছি। মাত্র চার ঘন্টার ফ্লাইট। এই এয়ারলাইন্সের অন্য রুটের একজন রেগুলার যাত্রি হিসাবে এবং ক্রিসফ্লায়ার নামক ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার প্রোগ্রামের কল্যাণে আমাকে আজ বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দেয়া হয়েছে। মনটা এমনিতেই ফুরফুরে, তার উপর পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য এই ঘটনা। সূর্য্য কোন দিকে উঠেছে আজ?
বিমানে এত আসা যাওয়া করি, কিন্তু আমার সহযাত্রী-ভাগ্য সবসময়ই অসম্ভব খারপ, কুৎসিতই বলা যায়। আর আজ…মাই গড। মাই গড। মহুয়া নামের এই মেয়েটি তার মা-বাবার সাথে বাংলাদেশে তিন মাস কাটিয়ে পিতার প্রবাসের কর্মস্থলে ফিরে এসেছে মাত্র তিনদিন হল। আজ মা-বাবা তাকে প্লেনে তুলে দিয়ে গেল, মহুয়া ফিরে যাচ্ছে তার কলেজের শহরে এবং সেখানেই আমি যাচ্ছি দুই সপ্তাহের জন্য অফিসের একটা কাজে। পুরানো গল্প উপন্যাসে এরকম মেয়েদেরকেই কি বলা হত উদ্ভিন্ন যৌবনা?
মানুষের জীবনে সুযোগ খুব একটা বেশি আসে না, এবং সুযোগ যারা কাজে লাগাতে পারে তারাই জীবেনে এগিয়ে থাকে। কার ডায়লগ জানি এটা? আর আমার জন্য এই সুযোগ তো হেলির ধুমকেতুর মত, সারা জীবনে মাত্র একবারেই আসবে। মাত্র চার ঘন্টার সুযোগ। এই সুযোগকে কাজ লাগাতেই হবে। আগামী সুন্দর দিনগুলির জন্য বীজ বপন করতে হবে। চার ঘন্টার গ্রুমিং প্রসেস।
বিজনেস ক্লাশে এসেই প্রথমে প্ল্যান করেছিলাম পুরো চার ঘন্টাই আজ পানীয়ের উপর থাকব, এয়ার হোস্টেসকে খালি বলেছি টেক-অফ করার সাথে সাথে ভদকা সার্ভ করতে। এর মধ্যেই কেবিন আলো করে পাশের সিটে মহুয়ার আবির্ভাব। একবার ভাবলাম পানীয় স্পর্শ না করে গুডি গুডি একটা ইম্প্রেশান দেব। পানীয় স্পর্শ না করে বিজনেস ক্লাশে চড়া বড়ই কঠিন ব্যাপার। পানীয় বাদ দেয়া যাবে না, যাই থাক কপালে। আল্লাহ ভরসা।
সময় খুব কম। কথাবার্তা ইংরেজিতে শুরু হয়েছিল প্রথমে। দুজনেই বাংলাদেশের জানার পর বাংলায় উচ্ছ্বসিত কথাবর্তা। বসুন্ধরা সিটির থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনের কল্যাণে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে এল আইফোন প্রসংগ, এবং তা থেকে ফেসবুক। জানলাম মহুয়ার ফেসবুকের ব্যাপারে কোনই আকর্ষণ নেই। এবং কথা প্রসংগে চলে এল সচলায়তন। মহুয়া সচলায়তনের নাকি ভীষণ ভক্ত। আমিও পড়ি প্রায়ই। এতক্ষণ মনে মনে চিন্তা করছিলাম কিভাবে এই চার ঘন্টার মধ্যে গ্রুমিং প্রসেস শেষ করা যায়। সমাধান মহুয়া নিজেই দিল। সচলায়তন।
সচলায়তন নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখে একসময় লাজুক স্বরে স্বীকার করলাম যে আমি সচলায়তনের প্রথম দিকের একজন সচল। তারপরই মহুয়ার অকৃত্রিম উচ্ছ্বাস, ‘তাইইই! ওয়াও! কী নামে লিখেন আপনি’? নিজেকে সচল দাবী করার আগে দ্রুত ভেবেছি ইদানিং লেখেটেকে প্রথম দিকের এমন কে আছে নিকে যার ছবি নাই, কিংবা সচলাড্ডায় ফটো আসেনি। জনপ্রিয়, অবশ্যই অবিবাহিত এবং কিছুটা রহস্যজনক চরিত্র হতে হবে। দেশের বাইরে হলে সবচেয়ে ভাল হয়। ধূসর গোধুলী নামটাই যুতসই মনে হল।
‘আল্লাহ। আপনিই ধূসর গোধুলী। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আপনাকে ছোঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে’। বালিকা-সুলভ চপলতা। হু, গ্রুমিং প্রসেসটা তেমন একটা কঠিন হবে না।
-‘আচ্ছা, শালির ব্যাপারটা কী? সবাই শালির কথা আসলেই আপনার কথা বলে কেন?’ – কিভাবে বাংলাদেশের একজন নামী সচল তাঁর শালিকে আমার সাথে বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল তার এক বিশাল গল্প ফেঁদে বসলাম।
-‘কীভাবে লিখেন এত সুন্দর করে’?- অবাক চোখ মহুয়ার।
-‘কোন ব্যাপার না। আমি কিন্তু আপনার চোখে ইন্টালিজেন্স এবং ভিতরে ম্যাটেরিয়্যাল দেখতে পাচ্ছি। আই উইল গ্রুম ইউ টু অ্যা লেখিকা। আমাকে খালি কিছুটা সময় দাও’। কোন সুযোগই মিস করা যাবে না।
কিছুক্ষণ উচ্ছ্বাসের পর আমি যখন ভাবছি কীভাবে এগুবো, ঠিক তখনই প্রশ্ন এল, ‘আচ্ছা, নজু ভাই কী করেন? হৈ হৈ করে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন, আমার ভীষণ ভাল লাগে ওনাকে। ঢাকায় থাকতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল উনার সাথে যোগাযোগ করি’।
-“নজু ভাই মানে... ও নজরুল ইসলাম’। আধ ঘন্টা অলরেডি চলে গেছে, মাত্র সারে তিন ঘন্টা বাকী। বিশ ওভারের ক্রিকেটের মত মার-মার-কাট-কাট স্টাইলে খেলতে হবে, কিন্তু এধরনের বলগুলো টেস্ট প্লেয়ারের মত ঠান্ডা মাথায় আটকাতে হবে। খেলা পুরাপুরি নিজের কন্ট্রোলে রাখতে হবে। ‘আরে নজু ভাই মোটামোটি ভালই লোক, নুপুর ভাবী কিন্তু চমৎকার মানুষ’। বৈবাহিক অবস্থাটা আগেভাগে মনে করিয়ে দেয়াটা সেফ। ‘উনি ম্যারেড আপনি জানেন তো’?
-‘হ্যাঁরে বাবা, জানি। নিধি নামে উনার একটা সুইট মেয়ে আছে না’। যাক। ‘আচ্ছা লীলেন্দার বিয়ের ব্যাপারটা কী’? সিমন ভাই, সবজান্তা ভাই, পান্ডব দা হেন তেন কত প্রশ্ন। ওফ। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। মেজাজটাও সপ্তমে চড়ছে। ‘নিবিড় ভাইয়া আসলে কী করেন?’, ‘ আর এনকিদু ভাই’? নিবিড় এবং ইয়াং জেনারেসনের ব্যাপারটা কাভার করার জন্য ব্রড স্পেকট্রাম এন্টিবায়টিক দিয়ে দেই, ‘আরে নিবিড়, এনকিদু, তারেক, স্পর্শ, সোহান, তামিম এরা স্কুলের পোলাপান’।
-‘বাদ দাও এসব’। কীভাবে এগুবো ঠিক করে ফেলি। তুমিতে চলে এসেছি দ্রুতই। ‘আচ্ছা মৃদূল আহমেদের নিমকি ছড়াগুলি পড়েছ?’
‘-হু...’। কপট রাগ মিশ্রিত হাসি। আহারে কি হাসি, একদম হৃদয় ছোঁয়ে যায়। মডেল প্রভার কথা মনে পড়ল।
-‘মৃদূল ভাইয়ের একটা ব্যাপার আমার খুব ভাল লাগে...’। মহুয়ার কন্ঠে মুগ্ধতা। যত্তসব। মৃদূল ভাইয়ের দরকার নেই, উনার ছড়ার কথা বল।
-‘আচ্ছা আপনি তো জার্মানীতে থাকেন? কী করছেন ওখানে’?
-‘না, ঐ মাস্টার্সটা শেষ করলাম আরকি। পিএইচডিটা করার জন্য টিচাররা ধরছে অবশ্য, দেখি...’।
-‘সুমন চৌধুরীও ওখানে তো ওখানে থাকে। উনার কবিতা না আমার ভীষণ ভাল লাগে’।
-‘আরে সুমন চৌধুরী শেষ... শয়নে স্বপনে উনি ...’। - কবিদের ব্যাপারে মেয়েদের মনোভাবের ব্যাপারটা মিথ বা সত্যি যাই হোক, রিক্স নিলাম না।
- ‘জার্মানীতে আমার কিন্তু একজন প্রিয় লেখক আছে’।
- ‘তাই? কে সেটা?’ - প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন করি।
- ‘হিমু ভাই’। ‘হিমু ভাইয়ের লিখা আমার খুব ভাল লাগে’। আমি কাষ্ঠ হাসি হাসলাম।
পরবর্তী দশ মিনিট হিমুভাইকে নিয়ে ব্লগরব্লগর চলল। গান, কবিতা প্রচুর পড়াশুনা করে, ধুনফুন। কিছু শুনলাম কিছু শুনলাম না। কিন্তু অনুভব করলাম মাথা দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। আছে মাত্র সারে তিন ঘন্টা এবং এই পুরোটা সময় ধরে যদি হিমু নামক একটি চরিত্র মধ্যবর্তী হয়ে বসে থাকে তাহলে ক্যাম্নে কী?
-‘এক্সকিউজ মি। একটু ওয়াসরুম থেকে আসছি’। বলি আমি। সিটে বসার পর থেকে ননস্টপ পানীয় চলছে। ওয়াসরুমে হালকা হতে হতে স্ট্রেটেজি ঠিক করা যাবে। মুখেও একটু ঠান্ডা পানি দেয়া দরকার। মাথাটা গরম হয়ে গেছে। পর্দা সরাতেই এয়ারহোস্টেসের মুখোমুখি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের কেস স্টাডির কিছুই মনে নাই, শুধু মনে আছে পিয়ারে বামেইনের ডিজাইন করা বডি-হাগিং ড্রেস সারং ক্যাবায়ার কথা। আপাদমস্তক চোখ বুলাই, সারং ক্যাবায়া দেখি।
-‘এই রুটে তোমরা সিঙ্গাপুর স্লিং সার্ভ কর?’ – আমার প্রশ্ন। ‘সিওর’।
-‘এক্সট্রা ভদকা দিয়ে আমাকে একটা দাও তো’।
ফিরে আসর পর দেখলাম মহুয়া জানলা দিয়ে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে। সিটে বসার পর বলল, ‘জানেন, আমি দু’দুবার হিমু ভাইকে ইমেল লিখেও তারপর আর ছাড়ে নি, কিনা কি ভাবে’। পা থেকে মাথা পর্যন্ত জ্বলে গেল। একবার মনে করলাম হিমু প্রসংগ এখনই শেষ করে দেই। বলি আসলে হিমু বুয়েটে থাকতে প্রথম যখন ইসলামী ছাত্র শিবির বুয়েটে ঢোকে তখন তাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। তার তো জেএমবি কানেকশন ছিল ...। পরে মনে হল এটা ব্যাপারটা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কুল ডাউন। মাথা ঠান্ডা করে স্ট্রেটেজি ঠিক করতে হবে।
দ্রুত ভাবছি। সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। হিমুর বারোটা বাজিয়ে এমন একটা হাইপোথিসিস দাঁড়া করাতে হবে যাতে কনসেন্ট্রেশন টা সেখানেই থাকে। পান্ডব দাআ..., আলমগীর ভাইঈ... এনকিদু ভাই…এসব ঢং আর ভাল্লাগে না। সিংগাপুর স্লিংও ধরেছে ভাল। মাথায় একটা প্ল্যান চলে এসেছে। নিজের প্ল্যানে নিজেই চমৎকৃত হলাম। সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
কুল ডাউন। ঝট করে কিছু একটা বলে দিলে হবে না।।কিছুদিন আগে কোচিং এর গ্রো (GROW) মডেলটার উপর যে ট্রেনিংটা পেয়েছিলাম এটার একটা ভ্যারিয়েশন প্রয়োগ করা যায়। তার আগে ইগোতে একটু হালকা হাত বুলিয়ে নেই। এয়ারহোস্টেসকে ডেকে বললাম সিংগাপুর স্লিং চলুক।
-‘আর তুমি খুব বুদ্ধিমান মেয়ে, ভাল ভাবে খেয়াল করলে হিমুর ব্যাপারটা তো বোঝা তোমার জন্য তেমন কঠিন না’। - ইগোতে হালকা হাত বুলালাম।
-‘হিন্টস দিনতো দেখি’।
-‘বাংলাদেশে থাকতে তুমি কখন সাধারনত সচলায়তন পড়তে’।
-‘এই ধরুন সকাল দশটায় নাস্তা খেয়েদেয়ে বিছানায় চলে যেতাম ল্যাপটপ নিয়ে। জ্যামে রাস্থায় যাওয়ার কথা চিন্তাই করতাম না’।
-‘হিমুকে সেই সময়টায় কমেন্ট করতে দেখেছ’?
-‘হ্যাঁতো’
-‘আচ্ছা জার্মানীতে তখন কয়টা বাজে’?
-‘এই ধরুন ভোর চারটা’
-‘গুড। রাত দশটায় কমেন্ট করতে দেখেছ’?
-‘হ্যাঁ...’
-‘গুড। খেয়াল করলে দেখবে যেকোন সময়ই ঐ নিক থেকে কমেন্ট আসতে পারে। কী বুঝলে’? – জানতে চাইলাম।
-‘চিন্তা করছি’
-‘আচ্ছা ফিজিওলজিক্যাল নিডের ব্যাপারটা বোঝ’। জানতে চাইলে লাজুক হাসি দেখা গেল মহুয়ার মুখে।
-‘সাধারন সেন্সেই বলছি। একটা লোকের ঘুম, খাওয়া দাওয়া, এবং অন্যান্য জিনিস তো আছেই। তারপর আছে পড়াশুনা, চাকুরী। আবার তোমার দাবীকৃত গান কবিতা ধুনফুন। তাহলে ক্যাম্নে কী?’ – বলি আমি।
-‘আপনি কিন্তু আমাকে কনফিউজড করে দিচ্ছেন’। গুড। এটাই তো দরকার।
মহুয়ার চোখে কিছুটা বিস্ময়, কিছুটা জানার আকুলতা। গুড। ফাউন্ডেশন দেয়া হয়ে গেছে। এখন শুধু ফিনিশিং হাইপোথিসিস। এই ভাইয়া সেই ভাইঈ করে ঢং করাও বন্ধ হয়ে গেছে। আড়াই ঘন্টারও কম সময় আছে। গ্রুমিং প্রসেসটা শেষ করতে হবে। আগামী দিন গুলির কথা চিন্তা করে মনে মনে গুন গুন করি।
একটা সম্ভাব্য হাইপোথিসিস দাঁড় করানো যায় এভাবে – আরে হাসিব বলে একটা ছেলে আছে না জার্মানিতে। জিনিয়াস একটা ছেলে। হিমু তারই তৈরী একটা প্রজেক্ট। আসলে হিমু একটা ইউনিক সফটওয়ার উইথ সাম হিউম্যান ইন্টারফেস, সিঙ্ক্রোনাইজড থট প্রসেসর, এজেক্স বেইজড রেস্পন্স সিকোয়েন্স...। নিওটিক সাইন্স ফাইন্সও নিয়ে আসব কিনা ভাবছি (লস্ট সিম্বল পড়লে আবার খবর আছে, ধরে নিচ্ছি পড়েছে)। তবে অনেকেই এই সফটওয়ারে ইনপুট দেয়...। বাংলাদেশে যেমন লোকজন থিওরী দিয়ে সহজ জিনিসকে এমন অবস্থায় নিয়ে যায় শেষ পর্যন্ত যিনি বলছেন তিনিই আর বুঝতে পারেন না কী বলছেন, এমন একটা জটিল জিনিস আঁকা যায়। মহুয়া পরিবেশ বিজ্ঞানে পড়াশুনা করছে, ধরতে পারবে না।
সম্ভাব্য সমস্যার মধ্যে আছে হাসিব ভাইইই বলে আবার কিছুক্ষণ ঢং। অবশ্য এটা কাভার দেয়া যায় যদি শুরু করি – আরে বুয়েটে সিজিপিএ ২ এর নিচে নামায় ড্রপ আউট হলে কী হবে, হাসিব একটা...। না বুয়েটে সমস্যা আছে। নাহ। সফটওয়ার হাইপোথিসিসটাও তেমন বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। উফ আরেকটু টেকনিক্যাল নলেজ থাকলে দাড় করিয়ে দেয়া যেত। অন্য হাইপোথিসিস দাঁড় করাতে হবে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গ্রুমিং...।
তারপরে হঠাৎ করেই সহজ সমাধানের কথাটা মনে হল। অবশ্য এর মধ্যে মহুয়াকে বলেছি আমাকে সচলের নামেই ডাকতে। মহুয়া অবশ্য বলেছিল ধূগো, আমি বললাম না, কিছুটা রোমান্টিক নাম ধূসরই ভাল। (গ্রুমিং এর স্টেপ হিসাবে।)
-‘দেখ মহুয়া ইটস বিটুইন ইউ এন্ড মি। তোমার হাত ছোঁয়ে বলছি, কাউকেই বলা যাবে না। শুধু তুমি দেখে বলছি’। সিটের হাতলের উপর রাখা নিটোল হাতের উপর হাত রাখি। মুহুয়া হাত সরিয়ে নেয় না। ‘আমি সচলায়তনের একজন মডু। মডু কি বুঝতো? আমি ঘটনাটা জানি দেখেই তোমাকে বলছি’।
-‘কী রং এর মডু আপনি?’
-‘আহহা, এটা ইম্ম্যাটেরিয়্যাল। হিমু নামক নিকের ঘটনাটা শোন না আগে’।
-‘আচ্ছা বলুন’।
-‘আসলে হিমু বলে কেউ নেই, এটা একটা কম্বাইন্ড নিক, এখানে অন্ততপক্ষে ছয়জন লিখে বা কমেন্ট করে। অস্ট্রেলিয়ায় একজন, বাংলাদেশে দুইজন। তারপর ধর ইন-বিটুইন বাংলাদেশ এবং অস্ট্রলিয়া তাইওয়ানে একজন আছে। মামুন হক আছে না, সেও কিন্তু ওয়ান অভ দ্য হিমুজ। সেও হিমু নিকে কমেন্ট করতে পারে’।
-‘ও মামুন ভাইঈ...। ওনার খোলামকুচি পড়ে আমি ঝিম মেরে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম, চোখে জল চলে এসেছিল’।
-‘আরে রাখ তোমার মামুন ভাই...’।
-‘উনিও তো ম্যারেড, তাই না?’ – খিলখিল করে হাসে মহুয়া। আরে চরম ফাজিল মেয়েতো।
-‘কিন্তু আমি তো মামুন ভাই এবং হিমু ভাইকে একই সংগে কমেন্ট করতে দেখেছি’।
-‘আরে, এগুলি টেকনিক্যাল ব্যাপার তুমি বুঝবে না’।
-‘আচ্ছা হিমু ভাই যদি একটা কম্বাইন্ড নিক হয় তবে নিকের ঐ ছবিটা কার’।
-‘আহহা, ঐ ছবিটা ওয়ান অভ দ্যা কম্বাইন্ড লোকজন। সেও লেখেটেকে। কিন্তু সেটা অনেক অগের ছবি। সাইফুর রহমান যেমন ৭০ দশকের একটা ছবি সবসময় ব্যাবহার করত তেমনি’।
-‘উনিও ম্যারেড তাই না?’ – হাসি অন্যরকম। মনে হয় হাসিটা চোখ পর্যন্ত যাচ্ছে না। ফাইজলামি করছে? বুঝতে পারছি না। আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি। আমাকে নিয়েই খেলছে নাকি?
দেড় ঘন্টা বাকী। গ্রুমিং...। না তাড়াতাড়ি একশানে যেতে হবে। প্রসেস দ্রুতই কনক্লুড করতে হবে। হিমু হিমু করে জ্বালিয়েছে, এই হিমু দিয়েই বধ করতে হবে।
-‘মহুয়া, তুমি হিমু নিকটার শিঙালো ছড়াগুলি পড়েছ?’
-‘হু...’, - হাসি, কিছুটা তাচ্ছিল্লের কি? উচ্ছ্বাস ধরে রাখা আমার জন্য অবশ্য কষ্টকর। কথাও প্রায় জড়িয়ে আসছে।
-‘কী বলব তোমাকে? এগুলি আমার লেখা’।
আবার হাসি, অন্যরকম, জ়োরে জোরে। মনটা একেবারে ভরে গেল।
-‘আচ্ছা মৃদূল ভাইয়ের নিমকি ছড়াও কি আপনার লেখা’? – আবার হাসি, কিন্তু চোখ সরু। চরম বেয়াদব মেয়ে তো।
হাসি তো থামছেই না। জিনিস তো খেলাম আমি, ধরল তাকে? প্যাসিভ স্মোকিং এর মত প্যাসিভ মদ্যপানের কোন ব্যাপার আছে কিনা কে জানে।
-‘এত হাসির কী হল?’
-‘একটা কথা মনে হওয়ায় হাসি আসছে। শুনেছি এরশাদ চাচ্চুর পোষা কবি ছিল। আপনিও কি হিমু ভাইয়ের পোষা...’। মনে হল গ্রুমিং ফুমিং রেখে কশে একটা চড় দেই। মাথা ঠান্ডা করলাম,‘এরশাদ চাচ্চু কেন? তোমার চাচা হয় নাকি?’
-‘এমনিই ডাকলাম আরকি’।
-‘এগুলো আউল ফাউল’।
-‘কে? হিমু ভাই না এরশাদ’।
-‘আরে ঐ একই কথা। এরশাদ একটা ...’। গলা চড়া এখন আমার।
-‘আমার এক সিনিয়ার আপা বলেছেন এরশাদকে অনেক ইয়াং ছেলেরা হিংসা করে কারন উনি ৭৫ বছরে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, অনেক ইয়াং ছেলেরা পারে না’। আরে কঠিন ফাজিল মেয়ে তো? সারাটা পথই জ্বালালো।
-‘রাখ তোমার এরশাদ। পলিটিক্সের প ওতো বোঝ না’।
-‘এরশাদ কিন্ত ম্যারেড। আপনার চিন্তার কিছু নেই’। - মহুয়ার মুখে আর হাসি নাই।
এয়ার হোস্টেস কে ডাকলাম। ‘আমাকে এক পেগ রো ভদকা দাও’।
-‘উই উইল সি অ্যাবাউট দ্যাট স্যার’। এর মানে কী? এক ভদ্রলোক এসে বুঝিয়ে গেলেন আর অ্যালকোহল সার্ভ করা যাবে না, আমার এখন রেস্ট নেয়া উচিত।
কথাও জড়িয়ে যাচ্ছে, ‘শোন মহুয়া, এই এয়ারলাইন্স এটা করতে পারেনা। আই উইল...। আর শোন আমরা আগামীকাল আবার দেখা করতে পারি। আমি ... হোটেলে উঠব। শোন আমি সচলায়তনে আমার দ্রোহী জীবনের, আমার মডু জীবনের অনেক গল্প বলব...’।
-‘ধুসর গোধূলী, দ্রোহী কিংবা হিমু সাহেব। আই অ্যাম টেম্পটেড, বাট নো।’ মহুয়ার মুখ এখন শক্ত। ‘এন্ড আই অ্যাম সরি মিঃ (এখানে আশ্চর্যজনক ভাবে আমার আসল নাম বলল), আর কথা বার্তা বাড়লে কিন্তু আমাকে অথরিটিকে বলতেই হচ্ছে...’।
পাঠক, এতক্ষণ প্রথম পূরুষে যার কথা বললাম সে আসলে আমার বন্ধু কাজী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। গিয়াস আমার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জ়ীবনে ক্লাশমেট ছিল। পছন্দ করতাম একসময়, ভাল ক্রিকেট খেলত। এখন ওর এই বিশেষ অসুস্থতার জন্য আমি অ্যাভয়েডও করি। সে এই ঘটনাটা মাত্র তিন দিন আগেই আমায় বলল। অসুস্থতার জন্য নাকি কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে হয়েছে। অবশ্য ফ্যামেলি বিজনেসে আছে, নইলে তো চাকরীটা চলে যেত। যদিও আরেক সূত্রে খবর পেয়েছি, বিমান ল্যান্ড করার পর নাকি গিয়াস কিছুক্ষণের জন্য অচেতন হয়ে গিয়েছিল এবং অথোরিটি নাকি তাঁকে ডিপোর্ট করতে চেয়েছিল। পরে বাংলাদেশ মিশনের হস্তক্ষেপে...।
অবশ্য আমি কিছুটা রংচং চড়িয়েও থাকতে পারি। গিয়াসের ব্যাপারে আমার একটা ব্যাক্তিগত গ্রাজ আছে। আমার কলেজ জীবনের প্রেমিকাকে অমিয় চক্রবর্তী নামের একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদের কবিতা নিজের নামে চালিয়ে পটিয়ে ফেলেছিল। এর পর থেকে গিয়াস, কবি এবং কবিতার ব্যাপারে আমার এলার্জি। অবশ্য প্রেমিকার ব্যাপারে কেন জানি কোন সমস্যা নেই।
ঈদের পর থেকে আমার বর্তমানের সাথে দেখা নেই। ফোন করতে করতে কাল সন্ধ্যায় বিশ মিনিটের জন্য দেখা করার সুযোগ হল। শুনালাম বিদেশ ছুটিতে আসা একজন সচলের সাথে পরিচয় হয়েছে কোন এক বিয়েতে আমার বর্তমানের। কাল তার বান্ধবীর বাসায় তিনি আসবে। গিয়াসও এখন ঢাকায় ... বলা তো যায় না... আমি কাল নিশ্চই যাব দূর থেকে হলেও দেখতে হবে সেই সচলকে...।
পাঠিকাদের জন্য অনুরোধ, সচলদের সাথে দেখা হলে ছোঁয়ে দেখার আগে বাজিয়ে দেখে নিন।
মন্তব্য
বড় ভালু গপ!
লাজুক হাস্লাম
কী আর বলব...।
মজা হইসে
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ।
আমারে স্কুলের বাচ্চা মনে হয় ?? হুম- নবযৌবন সালসা আর না খাইলেও হবে তাইলে...
_________________________________________
সেরিওজা
আমার কী বলার আছে বলেন। নিক দেখে মানুষজন হয়ত এটাই ভেবেছে...।
ফাটায় ফালাইসেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
বহু দিন পর এমন দম ফাটানো লেখা পড়লাম----
আজকের সারা দিনটা ফুরফুরে হয়ে গেল রে ভাই----
খুশি হলাম...। ধন্যাবাদ আপনাকে।
পড়ে মজে পাচ্ছিলাম, তবে শেষে এসে ডরাইসি, ধরে নিয়েছিলাম রম্য রচনা পড়ছি, শেষে এসে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভয়ের কিছু নাইরে ভাই, শেষের ধাক্কাটা আসলে ব্রড স্পেকট্রাম এন্টিবায়টিকের মত। ছোট খাট সমস্যা কাভার দেয়ার জন্য চারটার একটা কোর্স দিয়ে দিলাম আরকি। ধন্যবাদ।
হা হা হা ! বেশ ভালোই তো পাঁকিয়েছেন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
গিয়াসের কল্যাণে ভবিষ্যতে আরও কয় জন পাঁকতে পারে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সচলদের নিয়ে তাইলে এইরকম চলে!
স্পার্টাকাস
কী ভাবে বলি বলেন?
মহুয়া কে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
দীর্ঘশ্বাস... কবিরাই ভাল বলতে পারে...।
হে হে হে...এই গল্পটা লেখা আপনার একেবারেই ঠিক হয় নাই। নারীদেরকে নাম বললে এখন আর সহজে বিশ্বাস করবেনা! কতকিছু হইতে পারে কল্পনা কইরা প্রোফাইলে নিজের ছবিখান দেইনাই...আপনি আমার সব আশার গুড়ে ছাই দিলেন...
তবে যাই হোক...গল্পটা হইছে অতিতীব্রবিভৎসদারুণ...সেলাম জানালাম...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে চিন্তা করবেন না। বেনিফিট অভ ডাউট কিন্তু ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়।
আমারে বাচ্চা মনে হয়
যতক্ষণ না বড় বানান হবে ততক্ষণ এই পোস্টে মাইনাস বহাল থাকবে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এ তো দেখি কঠিন সমস্যা। সুহান তো খুশিই হল, আর আপনি দুঃখ পেলেন...?
খেক খেক...
কঠিন হাসি দিলেন মনে হচ্ছে।
তুমুল!!!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধন্যবাদ রাহিন।
নৈষাদ্দা , নিচের থেকে দুই, তিন আর চার নম্বর প্যারা তিনটার কোন ওজন নাই। ওইগুলা ছাড়াই গলফো মাতোয়ারা হইসে।
আপনি আর আপনার বর্তমানকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। পরবাসী সচলের উছিলায় আপনাদের অভিসার সফল হউক।
শুভেচ্ছার জন্য আপনার মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক। সেই ভাগ্য কী আর আছে রে ভাই?
অফ টপিক, আপনার নতুন পরিচিত ব্যারিস্টারের কল্যাণে আপনার ট্রেক-রেকর্ড পুরোটাই আমি এখন জানি (অবশ্য ব্যারিস্টার এটা আবার জানে না)। আগে পরে হলেও আমরা দুজনে কিন্তু একই ফ্লোরে অনেকদিন কাটিয়েছি, একই এসেটের ...। স্মল ওয়ার্ল্ড। আমার অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়েছি...।
দেশতো একটাই। আপনিও দলে যোগ দেন। দেখি কিছু একটা খাড়া করতে পারি কি না।
ধন্যবাদ। যোগ দিয়েছি। আপাতত খেয়াল করছি। আমার ঐ লেভেলের টেকনিক্যাল নলেজ নেই হয়ত।
কষ্ট করে একটা ইমেইল করুন। ঠিক আপনার জন্যই একটি কাজ জমা হয়ে আছে।
ভালো বুদ্ধি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ...।আমি ও নিজেরে ধূগোদা বইলা চালামু এহন থিকা
নীল ভূত।
খুউব খিয়াল কৈরা, ধরা খাইলে খবর আছে।
গল্পে মনির হোসেন আকা ধুগা কিভাবে নিরীহ জনগণকে নিয়ে নিন্দে মন্দ করে সেটা উইঠা আসছে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জার্মানবাসীরাই ভাল মন্তব্য করতে পারবেন এ ব্যাপারে। ধন্যবাদ।
By the way, দ্রোহী মেম্বর তাইলে দেশে গিয়ে এই করে বেড়াচ্ছেন? ভাবির লাল টেলিফোনে ডায়াল করতে হয় এবার আমাকে...
সম্ভাবনাটা একদম উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। খেয়াল রাখছি।
হাসতে হাসতে গলা ব্যথা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুমন ভাই....
প্রথমেই বলি... গপ জোস হইসে....
আপনের ট্র্যাক কিন্তু আমি জাইনা ফেলছি... আপনার সাথে দেখা হয় নাই... কিন্তু পরিচয় মুখস্ত হয়া গেছে
চার ঘন্টার একটা বিমান সফর আমার জীবনেও ছিলো...সিঙ্গাপুরই... কিন্তু তখন আমি শুধুই মদ খাইছি... আর কোনোদিকে তাকাই নাই... কারণ আমার পাশের সিটগুলা খালিই ছিলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, ভয় পেলাম। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছি...।
দেখা নিশ্চয়ই হবে...। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এইভাবে দেশে দেশে জলেস্থলেঅন্তরীক্ষে আমার পাঠিকাদের ওপর কোথাকার কোন গিয়াসের দল লুল ফেলে যাচ্ছে, ভাবতেই মন্টা খ্রাপ হয়ে যায়।
পরের গল্পে মহুয়াকে কাসেল পাঠাইয়া দ্যান। শীত পড়সে খুব। গরীবখানায় কিছু কফি আর কামড়ের বন্দোবস্ত সবসময়ই করা যাবে।
@ হিমু, মন্তব্যে
সাহসে কুলাচ্ছে না...।
ব্যাপক মজা পাইলাম
স্বপ্নদ্রোহ
ধন্যবাদ।
আসলেই আপনি একদম লিখতে পারেননা। কাউকে বলাই যাবেনা-আপনি লিখেন বা লিখতে পারেন....(মুচকি হাসির ইমো)
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ধন্যবাদ আপনাকে। সর্বনাশ করেন না কিন্তু। ঘোলা পানিতে স্বাধীনতা বেশি থাকে। (দেতো হাসির ইমোটিকন)
আজকে সচলে না এল ঠকতাম, আমি একটা সাইটে নিয়মিত লিখি, সক্কাল বেলাই ওখানে গিয়ে ব্যাপক মন খারাপ হয়েছে, সেই পুরনো তর্ক, সেই দুদেশীয় বাঙালী নিয়ে তুমুল কথার ঝাঁঝ,এইক্ষণে সচলে এসে মনে হল সকালটা মজার হয়ে গেল,ফুরফুরে।
চমৎকার লেখা। নৈষাদ,আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ব্যপক ভালো লেখা
----------------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
"মহুয়া নামের এই মেয়েটি তার মা-বাবার সাথে বাংলাদেশে তিন মাস কাটিয়ে পিতার প্রবাসের কর্মস্থলে ফিরে এসেছে মাত্র তিনদিন হল। আজ মা-বাবা তাকে প্লেনে তুলে দিয়ে গেল, মহুয়া ফিরে যাচ্ছে তার কলেজের শহরে"
এইটুকু বুঝি নাই, বুঝিয়ে দেন।
আচ্ছা, বালিকারা যদি এই বয়সী আমার ব্যাপারে এক আধটু আগ্রহ দেখায় তাতে আপনার ক্ষতি কি? হিংসা একটু কমান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মহুয়ার বাবা ফার ইস্ট এশিয়ার একটি দেশে কাজ করেন। মহুয়া সেখানে থেকে চার ঘন্টার ফ্লাইটের দূরত্বে আরেকটি দেশে পড়াশুনা করে। বোঝাতে পারলাম আশাকরি। পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে এবং আমার বন্ধুর পক্ষ থেকে আমার ক্ষমা চাওয়ার প্রথম সুযোগটা বজায় রাখতে আর বিস্তারিত লেখলাম না।
ভাই আমি তো আপনাকে হিংসা করেনি। করেছে অন্য একজন।
লেখা চ্রম হইসে। তয় ঘটনা আসলে কতটা সইত্য ?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভাল হয়েছে, তবে গ্রুমিং এর ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি রকমের বেশীবার উচ্চারিত হওয়ায় গল্পের তাল কেটে যাচ্ছিল।
মহুয়া কেঠায়? ইমেইল অ্যাড্রেস কী? কী নামে ব্লগায়?
বেশ মজা পেলাম লেখাটা পড়ে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ঠিকি আছে, গায়ে গতরে বড় হয়েছি বটে কিন্তু আমি ভেতরে এখনো স্কুল বয় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হা হা হা চমৎকার লাগলো গল্পটি !!! তবে এটাই কিন্তু হয় !!!
বাহ্ বেড়ে লিকেচেন নৈষাদ
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হায় রে ধুগোদার নাম ভাঙিয়ে কত জন কত কিছু করে ফেলে...
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
কথা সত্য, মেয়েরা ধুগোদার লেখা বড়ই পছন্দ করে।।
- আহেম!!!
কিন্তু আপনে কেমনে বুঝলেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধোঁকা খেয়েছি...ধোঁকা খেয়েছি...
হাসান ভাইয়া, জনতা জানতে চায়...
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
- আমার নাম নিয়া ক্যাডা আপনার ধোঁকা দিলো। কে সেই পাপিষ্ঠ!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তানভীর ভাই দেখি সব সময় প্রবাসিনীর পিছে পিছেই আছেন।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
জোশ লেখা। পঞ্চবটিকা দিয়ে গেলাম!
- আমার ফ্যানক্লাবের একজন সম্মানীত সদস্যাকে হিমু নামক 'বট সফ্টওয়্যার'এর কবলে ফেলে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি গল্পটা রি-রাইট করার আহ্বান জানাই লেখককে।
সেই গল্পে কোনো হাড্ডি গুড্ডি থাকবে না কাবাবে। থাকবে কেবল মহুয়া আর (রোমান্টিক) ধুসর। কাহিনীর প্রয়োজনে মাঝাকাশে বিমান থামিয়ে একটা বৃষ্টিভেজা গানের শ্যুটিং-এরও আয়োজন করা যেতে পারে, আমি কিছু মনে করবো না।
আর হ্যাঁ, ঐ গল্পে এইসব উত্তমপুরুষ, মধ্যমপুরুষ, ধলাপুরুষ, কালুপুরুষ, লাল্পুরুষ, লুল্পুরুষ, গেসু, মেসু, লুলু— সব বাদ! গল্পে আদি এবং অকৃত্রিম ধুসরই থাকবেন নায়ক এবং ভিলেন উভয় চরিত্রে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সারং পরিহিতা বিমানবালাও কি বাদ যাবে ? নাকি কাবাবের সাথে সালাদ হিসেবে তাদের থাকার অনুমতি আছে ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এমন কঠিন রোমান্টিকতা আনার অক্ষমতা এই লেখক সবিনয়ে জানাচ্ছে।
আমার প্রস্তাব থাকবে জনাব নজরুল ইসলাম যদি আপনার মতমত সহ একটা স্ক্রিপ্টের নির্দেশনা দেন তবে এই অধম একবার চেষ্টা করে দেখতে পারে। নাটকের রূপান্তরেরও একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। মহুয়ার চরিত্র চিত্রনের ব্যাপারে সামান্য হিন্টস তো দেয়াই আছে…। এনকিদু তো আরও এগিয়ে আছে…।
হিমু নামক সফটওয়ারের প্রজেক্ট সফল হয়নি।
মুচকি হাসতে হাসতে অট্টহাসিতে দিয়ে শেষ করলাম। দারুন লেগেছে।
চরম জটিলজজজজজ!!!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এ রকম নিটোল মজা খুব কম ই পেয়েছি আগে,
বেশী মজা পেয়েছি আমার নামটি দেখে ----এরশাদ
আশম এরশাদ
গল্পের মেকিং জব্বর হইছে নৈশাদ ভাই।
=))
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। তয় হিমু ভাই আর ধুগোদার ফাইটে কে জিতবে বলা মুশকিল।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
এই পোস্টে একটা গুতা দেয়া উচিৎ এবার
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এইটা আমার প্রচণ্ড প্রিয় একটা গল্প। তাই গুতা আমিও দিয়ে গেলাম।
আমি ইমো দিতে পারি না ...কেউ আমাকে 'হাসতে হাসতে গড়াগড়ি' অথবা 'টেবিল থাপ্রাইয়া হাসি'র ইমোগুলা কেম্নে দেয় শিখায়া দেন প্লিইইইইজ
নতুন মন্তব্য করুন