লোরিস্টন প্লেসের সন্ধ্যা

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: রবি, ২৪/০১/২০১০ - ১০:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-‘ডানদিকে তাকাও। এখন চেনা যাচ্ছে’?

আমি ডানে তাকিয়ে পাশাপাশি দু’টা নাইট ক্লাব দেখি, দরজায় শেডের নীচে ষন্ডা-মার্কা ব্যাটম্যান দাঁড়িয়ে আছে। ‘না ঠিক চিনতে পারছি না’।

-‘আমরা লোরিস্টন প্লেসে চলে এসেছি, তোমার হোটেলের পিছনের রাস্থা দিয়ে আসছি। তুমি বলতে চাচ্ছ একসপ্তাহের উপর হয়ে গেল এই হোটেলে আছ, অথচ পিছনের বিখ্যাত তিনটা স্ট্রিপ-ক্লাব সম্বন্ধে কিছুই জান না? ঠিক আছে, না জানলে থাক।’ – হাসিটা কি অবিশ্বাসের?

নভোটেল নামের একটা ফ্রেঞ্চ চেইন-হোটেলের সামনে গাড়ি দাড় করায় এই ইংলিশ তরুণী। জলপাই রংয়ের চমৎকার অডি সিডানটা একবার এডিনবরার বৈচিত্রহীন রাস্থায় চালাতে খুব ইচ্ছে হয়। বাইরে ডিসেম্বরের ঝিরঝিরে বৃষ্টি ভেজা ভীষণ ঠান্ডা এক সন্ধ্যা। ‘বসকে তো বললে উইক-এন্ডের আগামী দু’দিনের প্রোগ্রাম ঠিক করাই আছে। তা নাহলে আমি কিছুটা সময় দিতে পারতাম’। - চোখ টিপে তরুণী। নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না।

গাড়ী থেকে নেমে বিদায় জানিয়ে দৌড়ে হোটেলের দরজা পর্যন্ত যেতে যেতে শীতে কাঁপা শুরু হয়। লিফটের দিকে যেতে যেতে রিসেপশনে দাঁড়ানো চশমা পরা কোঁকড়া চুলের ফরাসী মেয়েটার দিকে তাকালে মাপা হাসি দেয়।

লিফট এবং করিডো্রের আরামদায়ক উষ্ণতায় কাপুনি থামে না। রুমে ঢুকেই বুঝি বিকালে যে ভুল করে গেছি তার মাশুল দিতে হবে ভালভাবেই। সকালে টেম্পারেচার ৩০ শে সেট করে যাওয়ায় বিকেলে অফিস থেকে ফিরে দেখলাম ঘর বেশ গরম হয়ে আছে। বিকালে বাইরে যাওয়ার আগে হিটার বন্ধ করে জানালা একটু করে খোলে গেছলাম। এখন ঘরে ঢুকে দেখি ভীষণ ঠান্ডা হয়ে আছে ঘর। কাপুনি আরও বেড়ে যায়।

রুমে ঢুকে কোন মতে জানালা বন্ধ করি, হিটার চালাই, জুতা-জ্যাকেট খুলে বিছানায় লাফিয়ে পরে লেপের ভিতর ঢুকি। ঠান্ডা বিছানা-লেপে শরীরের কাপুনি আরও বাড়িয়ে দেয়। আজ লেপের নীচ থেকে বের হওয়া যাবে না। রাতের খাবার ব্যাপারে তিনটা সিদ্ধান্ত নেই – এক, হোটেলের বাইরে যাবার প্রশ্ন আসে না, নীচের রেস্তোঁরাতেও যাওয়া যাবে না। রুম সার্ভিসই ভরসা। দুই, ইংরেজীতে লিখা এই ফরাসী খাবার মেনু থেকে খাবার সম্বন্ধে বোঝতে পারার চেষ্টা করে লাভ নেই। সেফ সাইডে থাকতে একমাত্র পরিচিত ইংলিশ খাবার ফিস অ্যান্ড চিপস এর অর্ডার দিব। তিন, রুম সার্ভিসকে বলব রিসেপশন থেকে আমার রুমের একটা সুয়্যিপ কার্ড নিয়ে এসে দরজা খুলতে। বিছানা থেকে উঠে গিয়ে দরজা খুলা আমার পক্ষে সম্ভব না।
বিকালেই লো-ভলিউমে চালিয়ে যাওয়া টিভির দিকে তাকিয়ে মন খারাপ হয়।

বিবিসি ২৪ ঘন্টা ছাড়া আর কোন দর্শনযোগ্য চ্যানেল নেই। নয় পাউন্ডের পে-চ্যানেলেও ভাল কিছু নাই। টেবিলের উপরে ঢাউস স্কট-ম্যান পরে আছে। খুব ইচ্ছে হয় অর্ধেক পড়া হাসনাত আব্দুল হাইয়ের সুলতান বইটা টেবিলের উপর থেকে নিয়ে এসে পড়তে। ভাবি এমন যদি রুম সার্ভিস থাকত যে খাটের পাশে বসে কেউ একজন বইয়ের পাতা উল্টে দিত। লেপের ভেতর থেকে বার বার হাত বের করা সম্ভব না। আমি অবশ্য কোকড়া চুলের চশমা পরা ফরাসী সুন্দরীকেই প্রিফার করব। আচ্ছা…

ফোন আসে। খোরশেদ আলমের আমুদে গলা, ‘কিরে ঘরে একা একা কী করছিস? চল বাইরে যাব খেতে। শালার এক সপ্তাহ থেকে ভাত খাওয়া হয় না। দুপুরে আজগুবী সব ওয়ার্কিং লাঞ্চ, সন্ধ্যায় অফিসিয়্যাল ডিনার। ওফ! ফেড-আপ হয়ে গেছিরে’। আমি দ্বিধা করি। আমার বয়স, পুরুষত্ব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। কম দূরত্বে টেক্সি যাবে না ধরনের যুক্তিতেও কাজ হয় না। ‘তোদের বাংলাদেশ নাকি? রিসেপশন থেকে ফোন করে আনাব’। খাওয়া আর আড্ডার প্রত্যাশায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই অবশেষে।

রেডি হতে হতে, রিসেপশনে বসে এবং টেক্সিতে চার বছর ইউরোপ প্রবাসী খোরশেদের মহিলা বিষয়ক জ্ঞানে আমি আলোকিত হই। ‘অফিসে তো দেখি রংঢং ভালই করিস। ইংলিশ মেয়েটা…’। আমি প্রতিবাদ করি, ‘তুই কি আমার চরিত্র প্রশ্নের মুখোমুখি করতে চাস নাকি’। অশ্লীল ভঙ্গিতে হাসে খোরশেদ, ‘সাহস এবং সুযোগের অভাবই যে চরিত্র কথাটা কোন বস জানি বলেছে, বার্নাড শো’?

-‘আচ্ছা আমার সাহসের অভাব, কিভাবে অ্যাপ্রোচ করব বলে দে’।

-‘এই তো লাইনে আয়। দেখ আমাদের মুজতবা আলী বস কিন্তু একটা কথা ভুল বলে গেছে। ইয়োরোপের মেয়েরা আসলে ভয়াবহ প্রেডিক্টেবল। ইজি প্লাগ-এন্ড-প্লে টাইপ সফটওয়ারের মত, তোদের মত টেকি-রিটার্ডেড লোকেরাও ইজি ইনস্টল করতে পারে’। - বলে ওরাকল বিশেষজ্ঞ খোরশেদ।

-‘তা বল ইংলিশকে কীভাবে ইনস্টল করব’।

-‘ইংলিশের সেন্টার অভ এট্রাকসন টা কী’?

-‘জানি না। …ওকে, চোখ বলা যায়। চমৎকার বড় বড় নীল চোখ। আবার কাজলও পরে। আমারতো ধারনা ছিল কাজল সম্ভবত আমাদের ললনাদেরই একমাত্র অধিকার’।

-‘তোর তো এ ধরনের অনেক প্রাগৈতিহাসিক ধারনাই আছে। তবে চোখের ব্যাপারটা ঠিক। চমৎকার চোখ। ইনস্টলেশন কিন্তু সহজ। বলবি, এবার ইউরোপে এসে তোর আইরিশ সাগর দেখার ভীষণ ইচ্ছা ছিল। জানতে চাইবে যাবি কিনা। চোখের দিকে তাকিয়ে বলবি আরেক জনের নীল চোখে তুই যে সাগর দেখেছি তুই নিশ্চিত তার কাছে আইরিশ সাগর কিছু না। ব্যাস। ইনস্টলে ক্লিক করা হয়ে গেলে, তারপর খালি প্রোমট আসতে থাকবে, তুই ইয়েসে চাপ দিয়ে যাবি’।

-‘আরে বেশ সহজই তো! তা তুই আশা করি গত চার বছরে তোর অসংখ্য পূর্ব ইউরোপ ট্রিপে আদিগন্ত ইউরোপে প্রচুর প্লাগ-এন্ড-প্লে সফটওয়ার ইনস্টল করেছিস’।

-‘ওয়েল। থিওরিটিক্যালি আই কুড হ্যাভ’।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ভারতীয় নামের একটা বাঙ্গালী রেস্তোঁরায় চলে আসি, অবশ্য টেক্সিতে চড়েই।

রেঁস্তোরায় উইক-এন্ডের আগের রাত্রির কোলাহল। বাঙ্গালী ওয়েটার মেনু এগিয়ে দিয়ে খাঁটি বৃটিশ এসসেন্টে রুটিন মাফিক শুভ-সন্ধ্যা বলে ড্রিংকস লাগবে কিনা জানতে চায়। খাঁটি বাংলায় খোরশেদের অনুরোধ করে, ‘ডুবো তেলে ভাজা চাক চাক করে কাটা বেগুন, গরম ডাল এবং প্রচুর মরিচ দিয়ে ডিম ভাজা দেয়া যাবে কিনা?’ - ওয়েটারের দ্বিধা, তারপর রিসেপসনে বসা ম্যানেজার বা মালিকের সাথে কথা, কিন্তু কাজ হয়।

বাইরে বৃষ্টি, ঠান্ডা, অপ্রত্যাশিত এবং রেস্তোঁরার মানুষগুলোর সাথে সামঞ্জস্যহীন লো-ভলিয়ুমে মৃদু লয়ের শ্রীকান্তের গান এবং এই খাওয়া, সব মিলিয়ে আসলেই চমৎকার লাগে। আমি এই ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টি ভিজে ফিরে যাবার চিন্তায় কাতর হই এবং খোরশেদকে বার বার মনে করিয়ে দেই। খোরশেদকে আমার ঠান্ডা-কাতরতায় হেসে মন্তব্য করে, ‘তোকে ৩০ কুইড দিচ্ছি, সামনেই ল্যাপ-ড্যান্সিং এর একটা ক্লাব আছে, যা ঘুরে আয়। দেখবি সেন্ডো মেরে হেটে চলে যাচ্ছিস হোটেলে’।

কাঁপতে কাঁপতে ফিরে আসি হোটেলে, অবশ্যই হেঁটেই। সারা রাস্তা বিড়বিড় করে বিশেষণের অমুল্য সম্ভার খোরশেদের উপর প্রয়োগ করি। হোটেলে এসে বলি কিছুক্ষণ এলিমেন্টস বারে বসে আড্ড দেয়া যাক। - ‘উইক-এন্ডের আগের রাতে, এরকম ডাল বারে আমার মত সাহস এবং সুযোগের অভাবী আর তোর মত থিওরিস্ট ছাড়া আর কেউ থাকার কথা না’।

মেঝে থেকে ছাঁদ পর্যন্ত ঝকঝকে কাঁচের দেয়ালের ওপাশে মেঝে সমান উচুঁতে রাস্থা যেন সেখানেই বসে আছি এরকম একটা অনুভুতি দেয়। হলুদ স্ট্রিট লাইটের আলোতে উজ্জ্বল ভেজা কালো রাস্থা, ওপাশে ধূসর পাথুরে দেয়াল। নিস্প্রাণ রাস্থায় শুধু বৃষ্টির ফোঁটা কিছুটা প্রাণের সন্ধান যেন।

আমরা কলেজের সুন্দর দিন গুলির কথা গল্প করি, সযত্নে এড়িয়ে যাই কিছু কথা।
‘কিরে, ইউরোপেই সেটেল করবি নাকি’? – একসময় জানতে চাই।

‘দেখি।’ – আনমনা হয় খোরশেদ। একসময় বলি, ‘কিরে, নার্গিসকে বোধহয় ভুলতে পারিসনি?’। মলিন হাসে খোরশেদ, ‘আরে দূর! তোদের মধ্যবিত্ত-মার্কা সেন্টিমেন্ট আর গেল না। গন আর দোস দেজ, ম্যান। ঢাকার জ্যামে বসে বসে তোরা স্লো হয়ে গেছিস। পশ্চিম যেটা প্রথমে শিক্ষা দেয় – লাইফ গোজ অন’।

আমরা চুপ করে থাকি। কাঁচের বাইরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি দেখি।

নীরবতা ভেঙ্গে একসময় খোরশেদ বলে, ‘তুইও তো নার্গিসের প্রেমে পড়েছিলি’। ‘বাদ দে তো’ – আমি বলি। মনে পড়ে নার্গিসকে কেন্দ্র করে আমাদের তিক্ততার কথা। আমি একসময় সরে এসেছিলাম।

‘তুই জানিস না, নার্গিসের শ্বশুরবাড়ি আসলে আমার আত্ত্বীয়। এবার দেশে যাবার পর তার শ্বাশুড়ীর চাপে আমাকে তাদের বাড়ি যেতে হয়েছিল। অনেকদিন পর দেখলামরে। কত স্বাভাবিক আচরণ। ... কিন্তু মাঝে মাঝে যখনই চোখ পড়েছে, দেখেছি কী গভীর বেদনায় আমার দিকে তাকিয়ে আছে। নীচে আমাকে এগিয়ে দিতে এসেছিল। বলল বিয়েটিয়ে করে সুখি হলে নাকি সে সবচেয়ে খুশি হবে। শালার মেয়েরা যে কী চীজ। শালা মেয়েদের কখনই বুঝা হল না?’। আপন মনে বিড়বিড় করে খোরশেদ। মাঝে মাঝে শুধু শালা শব্দটা শুনতে পাই।

আমার মন গভীর বিষাদে ছেয়ে যায়। আমি বুঝতে পারি না, একটা কি নার্গিসের জন্য, খোরশেদের জন্য, নাকি এই পাথুরে নিস্প্রাণ পরিবেশ এবং পানীয়ের মিলিত প্রভাব।

আমরা নীরবে এলিমেন্টস বারে বসে থাকি। বাইয়ে হলুদ আলোতে পাথুরে নিস্প্রাণ লোরিস্টন প্লেসের কালো পীচের উপর বৃষ্টি পড়া দেখি।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চমৎকার। ভাষা, কাহিনী, কাঠামো - সব। লেখাটি ব্লগরব্লগরের চেয়ে ভালো কোন মর্যাদা পেলনা কেন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ব্লগরব্লগর... আসলে আমি নিজেই নিশ্চিত নই এটার ট্যাগিং কী হবে? (ট্যাগিং এর সাধারন অর্থে, হেজিমোনিয়াস অর্থে নয়)।

তিথীডোর এর ছবি

দারুণ ভাল্লাগলো!!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গল্পটি সুখপাঠ্য, ঝরঝরে এবং একটা কাহিনীও আছে। আরেকটু গভীরতা থাকলে আরও মজা হত। যেমন এই নার্গিস প্রসংগটা আরেকটু বেশী আসতে পারত। কাহিনী জমার আগে চরিত্রগুলোকে আরও রয়েসয়ে নিয়ে আসা যেত। ইত্যাদি।

পাঁচ দিলাম। আরো লেখা চাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নৈষাদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনার ফিড-ব্যাক মনে থাকবে।

খেকশিয়াল এর ছবি

ভালো লাগলো বেশ, কিন্তু আরো একটু বড় করা যেত না কি?

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভালো লাগলো বেশ। নার্গিসের প্রসঙ্গটা আরেকটু আনলে ভালো লাগত!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুরঞ্জনা এর ছবি

সুন্দর হয়েছে। আরো গল্প আসবে আশা করি।
হাসি
-----------------------------------------------
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

স্পর্শ এর ছবি

লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। ছুঁয়ে গেল যেন...
এরকম আরো চাই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নৈষাদ এর ছবি

খেকশিয়াল, দুষ্ট বালিকা, সুরঞ্জনা এবং স্পর্শ - মন্তব্যের জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
দারুণ লাগলো আসলেই...। ব্লগরব্লগর ক্যাটাগরীতে এটা যায় না বোধহয়। আরেকবার ভেবে দেখতে পারেন।

_________________________________________

সেরিওজা

নৈষাদ এর ছবি

গল্প ভাবছেন নাকি??

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আরে, গপ্পো নয় বুঝি ?? !!! আমি যে বর্ণনায় তাই ভাব্লাম...

_________________________________________

সেরিওজা

শেখ নজরুল এর ছবি

লেখার গাঁথুনি বেশ ভালো লাগলো।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

নিবিড় এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগছে চলুক

অফটপিকঃ একটা সিরিজ শুরু করেছিলেন মনে আছে?


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। অফটপিকঃ মনে আছে। প্রক্রেষ্টিনেশন্‌.....।

ফকির লালন এর ছবি

বাহ, খাসা। এটা কেনো গল্প হলোনা?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত লাগলো পড়তে! ভীষণ ভালো। কিন্তু সবকিছুর পরেও মনে হলো লবণ এক চিমটি কম ছিলো হাসি

বেশ কিছু বানান ভুল আছে।

লিখুন আরও।

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। বানান ভুলের ব্যাপারে কোন এক্সকিউজ দাঁড়া করানো যাবে না। আমি দুঃখিত। আমি ভুলগুলো দেখতে পারছি...। সাবধান হব।

দুর্দান্ত এর ছবি

বেশ ভাল লাগলো।
কবে গিয়েছিলেন এডিনবরাহ? একটি গ্রীষ্মে কিছুদিন ছিলাম। অস্বাভাবিক রকম সুন্দর লেগেছিল তখন। আপনার হোটেলের আশেপাশে কি এডিনবরাহ আর্ট কলেজ ছিল? তাহলে আমরাও সেই নভোতেলেই ছিলাম। ছোট পৃথিবী।

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ। বিভিন্ন ঋতুতে বেশ অনেকবার যাওয়া হয়েছিল এডিনবরায়। শেষ বার গিয়েছিলাম ২০০৮ এর ডিসেম্বরে। আর যাওয়া হবে না বোধহয়।

ঠিকাছে, এডিনবরাহ আর্ট কলেজ খুব কাছেই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নভোটেল ফ্রেঞ্চ নাকি? জানতাম না একদমই।
এডিনবরা শহরটা আমার বাকেট লিস্টে ঢুকে আছে সেই ছেলেবেলা থেকে। ওখানে গিয়ে ভয়ানক রকমের সবুজ ঘাসের গালিচার মাঠে, যার আশে পাশে কোথাও সেই দাদারআমলের একটা ক্যাসেল থাকবে, সেখানে একটু গড়াগড়ি খাওয়ার বড়ই শখ আমার। আরেকটা শখ হলো, ঐ রকম কোনো মাঠের মাঝখান দিয়ে সিঁথির মতো আঁকাবাঁকা পথে সাইকেল চালানো! একটা আন্তরিক আমন্ত্রন আছে এডিনবরা থেকে, দেখা যাক বাকেট লিস্টে আরেকটা টিক দিতে পারি কিনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নৈষাদ এর ছবি

বৈশ্বিক মন্দার আগে ফ্রেঞ্চ একর গ্রুপের ছিল (accor)। এখন জানিনা।

যা যা বলছেন সবই কিন্তু পাবেন। (জার্মানী থেকে যাওয়াতো আমাদের এখানে ধরুন উত্তরা থেকে গুলিস্থান যাওয়া থেকে সহজ)। আমার বাকেট লিস্টে ছিল অটামের পাতা ঝরা দিনে দুজনে পার্কের ভিতর দিয়ে হেঁটে যাব, গাছ থেকে লালচে পাতা ঝরে পরে ওভার কোটের ল্যাপেলে আটকে থাকবে... হল কই?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার বাকেট লিস্টের জায়গাটার মতো একটা জায়গা আছে বন-এ। বিশাল উঁচু ম্যাপল গাছের বাগান। হেমন্তে পাতাঝরে জায়গাটা ক্যালেণ্ডার ক্যালেণ্ডার রূপ ধারণ করে। ঐ জায়গাটা দিয়ে হেঁটে গেলেই মনটা কেমন জানি করে ওঠে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নৈষাদ এর ছবি

বন বাকেট লিস্টে চলে আসল। দেখা যাক কখনও জার্মানীতে যাওয়া যায় কিনা?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল। বিশেষ করে শেষ বাক্যটা পুরো লেখাটির আবেগ তুলে ধরেছে।

===অনন্ত===

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভালো লাগল। গল্পই বলা চলে লেখাটিকে, অন্তত সেরকম আবেশ আসে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তাসনীম এর ছবি

অনেক দেরিতে পড়লাম, খুবই সুখপাঠ্য লেখা।

ভালো লাগা জানিয়ে দিলাম।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দময়ন্তী এর ছবি

সুন্দর গল্প একটা৷ ভালো লাগল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হিমু এর ছবি
সবজান্তা এর ছবি
নৈষাদ এর ছবি

আরে... !!! জন্মদিনের ... সেরা গিফট...।

ইকারুস এর ছবি

বেশ!

রানা মেহের এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো নৈষাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ভালো লাগলো চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।