নভেম্বর ২০১০
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে সাধারনত নভেম্বর মাসে বৃষ্টি হবার কথা না, তারপরও সেদিন বিকেলে সিঙ্গলটনে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেঁতসেঁতে ঠান্ডা সেই বিকেলে সেনাবাহিনীর স্বল্প-ব্যবহৃত Dochra এয়ারফিল্ডে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুখই-গালফস্ট্রিম এস-২১ মডেলের একটা সুপারসনিক প্রাইভেট-জেট অবতরন করল।
নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া জেটে মাত্র দুজন আরোহী। এডওয়ার্ড স্টিফেন বুশ পেন্টাগনে কাজ করছে প্রায় ২৫ বছর হল। সেই তুলানায় সারা ব্রুককে তরুণীই বলা যায়, বয়স মাত্র ২৮। দু’বছর হল পেন্টাগনে যোগ দিয়েছে। ডিপ্লোমেটিক ফরমালিটি শেষ করে সারা এগিয়ে গেল পাশের রুমে বসা বিজ্ঞানীর দিকে। বিশাল জানলার সামনে বসে বিজ্ঞানী উদাস মনে কফিতে আয়েশী চুমুক দিচ্ছেন।
‘গ
'গুড ইভনিং ডঃ হোসেন’! অবাকই হল সারা। যেমনটি ভেবেছিল তার ধারেকাছেও নয়। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ডঃ সাহাদাত হোসেন পুরাদস্তুর একজন যুবক, বয়স পয়ত্রিশও ছোঁয়নি। হ্যান্ডশেক করার সময় সারার মনে হল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি সময় হাত ধরে রাখলেন ডঃ হোসেন। কথা বলার সময় ডঃ হোসেনের চোখের দৃষ্টিও বার বার মুখ ছেড়ে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিল যেন।
বৃষ্টিস্নাত বিকেলে ডঃ হোসেনের গল্পের মুড ছেড়ে বিমানে উঠতে কিছুটা দেড়ি হল। জেটের ভিতরে আরাম আয়েশের এলাহি ব্যবস্থা। এস-২১ সুপারসনিক জেট পুরো আমেরিকার উপর দিয়ে উড়ে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এয়ারপোর্টে অবতরন করল মাত্র ছ-ঘন্টায়। সিআইএর এক বিশেষ লিমোজিনে ডঃ হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হল ঝকঝকে এক গেস্ট হাউজে।
সিএনএনের ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট ডেভিড পিলগ্রিম পেন্টাগনের কর্মী সারা ব্রুকের শ্লীলতাহানী সংক্রান্ত একটি গোপনীয় ঘটনার ব্যর্থ অনুসন্ধানে গিয়ে অস্ট্রিলিয়ার সেই প্রাইভেট-জেট অভিযানের ঘটনা জানতে পারেন। তিনি আরেকটু খবর বের করতে পারেন যে পরদিন সেই বিজ্ঞানীর সাথে এক মিটিংএ থুরাইয়া, ইন্মারসেট এবং টেরেস্টারের প্রতিনিধিরা দেখা করেন। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল তিনটি কোম্পানিই স্যাটফোন অপারেশনের সাথে জড়িত। কিন্তু এর থেকে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারলেন না ডেভিড। সেটফোন কোম্পানিগুলোও থেকেও ‘জাস্ট বিজনেস মিটিং’ ছাড়া কিছু জানা গেল না।
চমকহীন এই খবরটা ইন্টারেনেটে কোথাও দেখেছিলাম, কোন বিশেষত্ব নেই, শুধু বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্যাপারটা আমাকে আকর্ষণ করেছিল। বিজ্ঞানী ডঃ সাহাদাত হোসেন, নামটা মাথায় গেথে রইল। খবরটা বের করতে হবে।
এপ্রিল ২০১১
হওয়ার কথা কালবৈশেখীর ঝড়, নেমেছে ঝমঝম করে মুষলধারে বৃষ্টি। একা বাসায় বিশাল এক পাত্রে মুড়ি- চানাচুর-কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ-তেল-মশলা-আচার-মাংসকুচি মাখা, এক ফ্লাক্স কফি, একগাদা বই, ল্যাপটপ নিয়ে জানালার ধারের বিছানায় বসে মনে হল জীবনটা আসলেই সুন্দর। দালানের কেয়ারটেকারকে বললাম লালমাটিয়ার স্বাদ তেহারী ঘর থেকে খিচুড়ি নিয়ে আসতে।
বৃষ্টি দেখছি, কিছুটা বই পড়ছি, কিছুটা গান শুনছি, আবার ফেসবুকে অলস চোখও বুলাচ্ছি। আনোয়ার সাদাত শিমুল রোমান হরফে বাংলা স্ট্যাটাস দিয়েছে ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভাল হয়’। নির্দোষ স্ট্যাটাস। মোবাইল ফোনে সরকারের কাছ থেকে নাকি ক্ষুদে বার্তা এসেছে। আচ্ছা, আমার তিনটা ফোনে একটাতেও এই ক্ষুদে বার্তা আসল না কেন?
৪ মে ২০১১
কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। আজ রাতে খিচুড়ির বিকল্প নেই। ইন্টারনেটে ওসামা আর ওবামাকে নিয়ে পরলাম। ইন্টারনেটে এই দুজনকে নিয়ে যাই খবর পাওয়া যায় তাই পড়ছি। কী করে এত কনফার্ম হল ওসামা সেই বাড়িতেই আছে? শুধু কি স্যাটেলাইট থেকেই ওয়াচ করা হত?
ঝুম বৃষ্টি নেমেছে। যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় ওসামার ডায়রীর অংশবিশেষের অনুবাদ পেলাম। ডিশ-ওয়াসার কি ব্লাস্ফেম্যাস? একেবারে শেষে এসে ডায়রীর একটা ভুক্তি পেলাম। অ্যান্টেনা লাগানো একটা মাইক্রোবাস কয়েকদিন ধরে আবোট্টাবাদে আছে। ওসামা অস্বস্তিতে। আইএসআইকে ফোন করলে তারা বলেছে, ‘ইউ বিং প্যারানয়্যাড’।
৮ মে ২০১১
অফিসে কাজ বাদ দিয়ে বিশাল জানলায় বৃষ্টি দেখছি। স্পর্শ ফোন করে জানালো ডঃ সাহাদাত হোসেন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে তিনি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। অনিন্দ্যকে ধরে অধ্যাপক বদরুল ইমামের সাথে দেখা করলাম। তেমন কিছু জানা গেল না। বললেন ছেলেটাতো ভালই ছিল। কোন মেয়ের পাল্লায় পর নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। ওর একটু ইয়ে ছিল।
১০ মে ২০১১
আচ্ছা অনেকের ফোনে ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভাল হয়’ ক্ষুদে বার্তা আসল আমার ফোন গুলোতে আসল না কেন? কিছু পরিচিত জন এবং কয়েকজন সচলের সাথে যোগাযোগ করলাম। দেখা গেল ক্ষুদে বার্তাটা কেউ কেউ পেয়েছে আবার কেউ কেউ পায়নি। ঘটনাটা কী? কারা পেয়েছে আর কারা পায়নি এমন কিছু ডেটা যোগাড় করলাম। বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোন ট্রেন্ড বের করা গেল না। বয়স, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা কোন বেসিসই কাজ করে না। যেমন নজরুল ভাই পেয়েছে কিন্তু ষষ্ঠ পান্ডব পায়নি। কোন ধরনের টেকনিক্যাল ডিফিকাল্টি?
দ্বিধা নিয়ে কৌস্তুভকে পাঠালাম ডেটাগুলি কিছু বোঝা যায় কীনা জানার জন্য। মশা মারতে কামান দাগলে যা হয়, কৌস্তুভের ত্রিশ শতাংশ কথাবার্তা যা আমি বুঝতে পারলাম তাতে ব্যাপারটা আরও জটিল আকার ধারন করল।
১১ মে ২০১১
নাম জানাতে অনিচ্ছুক ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠরত একজন সচল যুক্তরাষ্ট্র থেকে জানালো ডঃ হোসেন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’বার পিএইচডি করেছেন। প্রথমটার বিষয় বুঝতে চাইলাম, বুঝলাম না। শুধু দুটো শব্দ মনে আছে, বায়োস্ট্রেটিগ্রাফি এবং হিউম্যান ব্রেইন। ইন্টারনেট খোঁজে দেখলাম বায়োস্ট্রেটিগ্রাফি পাথর-টাথরের ব্যাপার। এটার সাথে হিউম্যান ব্রেইনের কী সম্পর্ক? দ্বিতীয়টাতো আরও বিদঘুটে। যৌনাচার, ধর্মাচার, শিষ্টাচার, কর্পোরেট সাফল্য ইত্যাদি ইত্যাদির আন্তঃসম্পর্ক। ধূর। এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আর নিকোবিনা আচারই ভাল।
১২ মে ২০১১
বিকেলে আবার আকাশ কালো করে মেঘ করেছে। ইউটিউবে বাজছে শ্রীকান্তের ...আমার সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম শুধু শ্রাবন সন্ধ্যাটুকু ...। মাথায়, ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভাল হয়’ ক্ষুদে বার্তা। শেষ পর্যন্ত সিনিয়র বুয়েটের এক সচলকে ধরে টেলিকম সেক্টারের সবচেয়ে পুরানো লোকটাকে ধরলাম – ভাই ঘটনাটা কী? এড়িয়ে যেতে না পেরে শেষে স্বীকার করল একটা ইকুইপমেন্ট টেস্ট করা হয়েছে, শুধু পটেনশিয়্যালদের টার্গেট করা হয়েছে। মানে, ইকুইপমেন্ট কী গড নাকি। সেই এঞ্জিনিয়ারিং টার্ম। শেমমেশ বললাম, ভাই বাংলায় বলতে পারলে বলেন।
বাংলাদেশে বংশোদ্ভূত ডঃ সাহাদাত হোসেন বাংলাদেশ সরকারকে ফ্রিতে নাকি একটা ইক্যুইপমেন্ট দিয়েছে। টেস্ট করা হচ্ছে, খুব গোপনে। বার ত্রিশেক ‘আপনি তো টেকনিক্যাল ব্যাপার বুঝবেন না’ শোনার পর যেটা বোঝা গেল তা হল সেই যন্ত্র ফ্রিকোয়েন্সিতে ইন্টারাপ্ট করে কথার পিচের প্যাটার্ন ধরতে পারে।
‘আরে এটা নতুন কি? আমরা পাব্লিক তো জানি ল’ফুল ইন্টারেপসনের মাধ্যমে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যে কোন কথা ল’ফুলি ইন্টারসেপ্ট করতে পারে’। ‘আপনি তো টেকনিক্যাল ব্যাপার বুঝবেন না ভাই, সেটা তো ম্যানুয়্যাল ইন্টারসেপশন, নির্দিষ্ট ফোনে ট্যাপ করা হয় এবং টেক্স বেইজ। এটা ম্যানুয়্যাল নারে ভাই’। আমি বলি, ‘আপনারা না সিউডো র্যান্ডম ভয়েজ কোর ফোর করে কোড করে দেন’।
তিনি বলেন, ‘সেটাইতো ভাই। সব ডিকোড করে ফেলে এটা। এখানে কথা টা বড় না, টোন, পীচ, এগুলি অ্যানালাইসিস করে। টেক্সট কোন ব্যাপার না। সেখান থেকেই... ভাই টেকনিক্যাল ব্যাপার বুঝবেন না’। ‘আচ্ছা বাদ দেন’, আমি বলি। ‘কথার টোন থেকে ভবিষ্যত জন্মহার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে কীনা কী করে বুঝা যাবে’?
বিরক্ত হন তিনি। ‘ধরুন, একজন লোক অন্য লিঙ্গের কারো সাথে অনেক রাতে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলছে। ভয়েসের পীচ উঠানামা করছে... ইত্যাদির উপর অ্যানালাইসিস করে...’।
১৫ মে ২০১১
ডমিনিক স্ট্রস-কান, স্ট্রস-কান, নামটা পরিচিত পরিচিত লাগছে। এত নামের ভীড়ে ডমিনিক নামটা... তখনই মনে হল কান নাকি খান হবে সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়েছে তাই নামটা মনে আছে। আর তারপরেই মনে হল স্ট্রস-কান ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ডঃ সাহাদাত হোসেনের প্রজেক্টে ফান্ড করেছিল এমন একটা খবর পড়েছিলাম কোথাও। দুজনের বন্ধুত্ব নাকি খুব নিবিড়। ভাবি এই অসমবয়সের দুজনের বন্ধুত্বের কমন ডিনমিনেটরটা কী?
২২ মে ২০১১
আমি আবার টেলিকম বিশেষজ্ঞের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরি। ‘আপনার যুক্তি আমি মানি না। কথা বলা আর কাজের পার্থক্য আছে। একটা ছেলে সারা রাত বিভিন্ন পিচে একটা মেয়ের সাথে কথা বলল আর সে পটেনশিল্যাল জন্মবৃদ্ধি সহায়ক হয়ে গেল? আমি অনেককে জানি মেয়েদের সাথে কথাই বলে না কিন্তু বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে...। আপনার কথাই ধরুন, মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকানই না, কিন্তু নাম্বার অভ চিল্ড্রেনের ক্ষেত্রে... মাহশাল্লাহ। আমার কাছে তো অন্য ফ্যাক্টর আরও গুরুত্ববহ মনে হয়। ধরুন যেমন আপনাদের এঞ্জিনিয়ারিং কিংবা একাউন্টিংএর ক্ষেত্রে আগে মেয়েরা তেমন আসত না, যার ফলে...ধরুন আপনাদের সময়ের ছেলেরা একধরণের পার্ভার...’।
কথাবার্তা এই পর্যায়ে ঝগড়ায় রূপ নিল।
২৩ মে ২০১১
‘আচ্ছা, ডঃ হোসেনের ইন্টারসেপ্টের ক্ষেত্রে অ্যান্টেনা লাগে নাকি’?
না, এমনিতে লাগে না। কিন্তু সেটফোনে অব্যার্থ আর ক্লোজ মনিটরিংএর ক্ষেত্রে লাগে...।
হঠাৎ করেই গার্ডিয়ান পত্রিকার কথা মনে হল।
মন্তব্য
এক ঢিলে এতগুলো পাখি!
রহস্যময় বৈজ্ঞানিক কী সম্প্রতি বাবা হয়েছেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
টু দ্য বেস্ট আওয়ার নলেজ এন্ড ইনফোরমেশন - তিনি বাবা হয়েছেন।
সুপার ... খালি বদরুল ইমামের অফ দ্য রেকর্ড কনভার্সেশনের কিছু পয়েন্ট বাদ পড়ছে। থাক, জার্নালিস্টিক এথিকস বইলা একটা বিষয় আছে না
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অফ দ্য রেকর্ড আরও কিছু বাদ দিতে হয়েছে।
ইয়াল্লা!
(কিছু লোকের ভাগ্য আসলেই অতীব ভালা...)
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ড. হোসেন এর উদ্ভাবিত 'টেকনিক্যাল জিনিস' এর টার্গেট আনোযার সাদাত শিমুল হবে, এটা তো জানা সত্য। শুধু তাই না, আমার জানামতে বাংলাদেশ সরকার ড. হোসেনের ঐ 'টেকনিক্যাল জিনিস' ব্যবহার করে জর্ম্মন দেশের 'জনৈক পটেনশিয়্যাল'-এর মুঠোফোনেও নাকি একই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তো, আমার যেটা মনেহয়— ড. হোসেন ব্যক্তিগত জীবনে একজন চরম লুল্বাজ। শুরুতেই সারা'র সাথে তাঁর নানারকম নাড়াচাড়া চোখে পড়ে। এখান থেকেই আসল সন্দেহ ঘনীভূত হয়। যাঁরা যাঁরা মুঠোফোনে এক সন্তানের হুঁশিয়ারী পাচ্ছেন, তাঁরা সবাই ড. হোসেনের খোমাখাতায় লতায়পাতায় হলেও কানেক্টেড ননতো! হাজার হোক, খোমাখাতায় তো আর লুল্বাজী লুকিয়ে রাখা যায় না! "আপনার লুল্বাজী দমিয়ে রাখুন"— এই উপদেশ তো আর মুঠোফোনে বিতরণ করা যায় না। তাই বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের স্কন্ধে একেফোর্টিসেভেন রেখে এক সন্তানের হুঁশিয়ারীই পাঠানো হচ্ছে পূর্ণ ও অতিথি লুল্বাজদেরকে। কারণ, একজন দক্ষ লুল্বাজই বুঝতে পারেন আরেকজন লুল্বাজের গন্তব্য...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আনোয়ার সাদাত শিমুল et al বলেন, নাইলে আবার টেকনিক্যাল সমস্যায় পড়ব।
লতায় পাতায় কানেকশনের ট্রেন্ডটা অ্যানালিসিস করা হয়নি। ভাল আইডিয়া।
ম্যাসেজের ইন্টারপ্রিটেশনটা
আমি মারাত্মক ভয় পেয়েছিলাম। কারণ, গত ৫ দিনে একজনের সঙ্গে আমি মোবাইল ফোনে ২১ ঘন্টার মতো কথা বলেছি ঃ)
ইনি নিশ্চয়ই জনপ্রতিনিধি বিজ্ঞানী?
ইন্টারেস্টিং ধারণা...।
বিজ্ঞানের্জয়হৌক।
হ,
এই ঘরাণার দ্বিতীয় অ্যাটম বোমাটা ফাটালেন বস্! দুর্নীতিবাজ লোকটার কপাল বটে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি আরো ভাবতেছিলাম সবাইকে প্রধানমন্ত্রী গণহারে মেসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছেন ,আমি পাইনা ক্যানো, এটা কি আমার দেলোয়ার নানার সাথে আমার ফেসবুকপ্রোফাইল ছবির কারনে? পলিটিকাল রিজন?? আই ওয়াজ জাস্ট বিয়িং প্যারানয়েড।
কিন্তু এখন তো প্যারানয়া বাইড়া গ্যালো আবার
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই ডাইমেনশনটা (স্বত্বঃ বাবর) ভাল লাগল।
হ... পুরোই আষাঢ়ে গল্প হইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি ভাবছি 'কবির চৌধুরী' ধরা পড়ছে।
গত দুদিন ধরে মাথার ভেতর মাসুদ রানা ঘুরপাক খাচ্ছিল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গলফের মালা ডা বেশ বড় হইলেও ব্যাপক সৌন্দর্য হইছে। অবশ্য বিষয়ডা আফনার না, বৃষ্টিমুখর অলস সময়ের মনে লয়!!
মাথার উপর দিয়ে গেছে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
এইরকম একটা 'বোমা' এত দেরিতে পড়লাম!
রহস্যময় বিজ্ঞানী ডঃ সাহাদাত হোসেন লোকটা দেখি চরম সুদানী, মহালুলবাজ এক লোক!
জনৈক "জম্মন শিয়াল" বলতে মনির কাকে ইঙ্গিত করলো? জম্মন দেশে - হিমু, বদ্দা, হাসিব্বাই, মনির হোশেন, অনার্য সঙ্গীত, পুতুল ভাই, তীরুদা, রেজওয়ান ভাই, বলাইদাসহ আরো অনেকেই থাকেন। এদের মধ্যে কে সেই
জম্মন শিয়াল'?
মনের মুকুরেতে ঝুলতে দেখে আরেকবার পড়লাম। জট্টিল একখান গল্প হইছিল এইটা। একেবারে এক ঢিলে গাছের সব কাক পড়ে গেছে।
ঢিলের 'প্রাইমারি টার্গেট' কিন্তু একজনই ছিল। বাকিরা 'কোলাট্যরাল ড্যামেজ'।
সে আর বলতে! মহালুলবাজ, চরম সুদানী ড. সাহাদাত হোসেন যে এই গল্পের এমেজলিল অনন্ত সেটা কি আর বলে দিতে হয়?
মনের মুকুরেতে আরেকবার পড়লাম। আগুনের গোলার বয়স দুই হলো নাকি??
নতুন মন্তব্য করুন