গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ২৮টি ব্লকের তৃতীয় রাউন্ড বিডিঙের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। তারই ধারাবাহিকতায় এ মাসের (জুন ২০১১) ১৬ তারিখ কনোকোফিলিপসের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকের জন্য গ্যাস উৎপাদন-বন্টন চুক্তি (‘পিএসসি’) স্বাক্ষরিত হয়।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত-রক্ষা জাতীয় কমিটি (‘জাতীয় কমিটি’) এবং এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রথম থেকেই মডেল পিএসসি-২০০৮ দেশের স্বার্থ বিরোধী বলে এর বিরোধিতা এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। কনোকো-ফিলিপসের সাথে মডেল পিএসসি ২০০৮ কাঠামোতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রতিবাদে আগামী ৩ জুলাই জাতীয় কমিটি অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে।
সাপ্তাহিক সাপ্তাহিকের ৯ জুন ২০১১ সংখ্যায় এবং কালের কন্ঠ ২১ জুন এ ব্যাপারে দু’টি বিশ্লেষণী রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দু’টি বিশ্লেষণেই এই চুক্তির মারাত্মক ঋনাত্বক দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছে। ২২ জুন প্রথম আলোয় অধ্যাপক ম. তামিম ‘গ্যাস উৎপাদন অংশীদারি চুক্তির সহজ পাঠ’ শীর্ষক লেখায় তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে চুক্তির পক্ষে তার মতামত তুলে ধরে বলেছেন, ‘বিস্তারিত তথ্য না জেনে সাধারণত কারও পক্ষে একে অসম আখ্যায়িত করা ধৃষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়’। (যদিও তিনি নিজেই লেখার শেষের দিকে ‘বিস্তারিত তথ্য না জেনে’ অন্তত পক্ষে আরেকটি সেক্টর সম্বন্ধে ঢালাও মন্তব্য করেছেন)। এখানে বলে রাখা ভাল যে অধ্যাপক তামিম তৃতীয় রাউন্ড বিডিং এবং মডেল চুক্তি প্রণয়নের মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
এর মধ্যে ফরহাদ মজহার সাহেবও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছেন। এ নিয়ে বিডিনিউজ-২৪ এ স্পাই-থ্রিলারের একটা প্লট দাঁড় করিয়েছেন। জনাব মজহারের একটা প্যারা আমি কোট করতে চাই...’মডেল পিএসসি টা করেছেন, ম. তামিম। কিন্তু সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন কনকোফিলিপসকে চুক্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল তখন সেটা কীসের ভিত্তিতে হয়েছিল? সেটা প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত বিডিং-এর মারফতে নির্ধারণ করা হয়েছিল কি? নাকি আগাম বাছাই হওয়া কোম্পানি কনকোফিলিপসের সাথে পর্দার আড়ালেই রফা হয়েছিল? বিভিন্ন কোম্পানি নিজ নিজ সমীক্ষা থেকে বিনিয়োগ সম্ভাব্যতার হিসাব কষে প্রতিযোগিতামূলকভাবে যদি বাংলাদেশকে উৎপাদন বণ্টন চুক্তির প্রস্তাব দিত তাহলেই একমাত্র আমরা বুঝতে পারতাম যে ড. তামিমের যুক্তির ভিত্তি ধরেই কনকোফিলিপস বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছে। বাজার ব্যবস্থার দ্বারাই ঝুঁকি ও বিনিয়োগের অর্থনৈতিক দরকষাকষি নির্ধারিত হয়েছে। সেটা হয়নি বলেই এটা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির চাপ ও দেনদরবারের বিষয়ে পরিণত হয়েছিল।....’
ফরহাদ মজহার সাহেব বিজ্ঞ লোক, তিনি জানেন কন্সপিরেসি থিওরী দাঁড় করাতে কী ধরনের ফ্রেমওয়ার্ক দরকার।
সচলের সহলেখক আরিফ জেবতিক তার ফেসবুক নোটে হরতালের অন্যান্য ইস্যুর তুলনা করে এরকম একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে অর্ধদিবস হরতালে হতাশা প্রকাশ করেছেন। সহসচল নুরুজ্জামান মানিক অবশ্য কনোকো-ফিলিপসের চুক্তি ধরে পলাশীর আম্রকানন পর্যন্ত গেছেন।
মজহার সাহেব যে লাইনে গেছেন, ঠিক সেই একই লাইনে কথা বলেছে আমার সাথে কয়েকজন – দেশ বিক্রীর প্রথম পাঠ। শুভাশীষের ফেসবুকের রেফারেন্স ধরে সামহোয়ারইন ব্লগের একটা লেখাতে একটা মন্তব্যও পেলাম –‘পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক চুক্তি বলেছে !! [বলবেই তো এই প্রথম তারা রপ্তানির সুযোগ রেখে চুক্তি করতে পেরেছে]’। চিন্তা করেছিলাম এ বিষয়ে কিছু লিখব না, কিন্ত মনে হল এখনই এ বিষয়টা নিয়ে কয়েক প্যারা লেখা উচিত।
সারাংশ করলে কিছু জিনিস পাচ্ছি...১। মডেল পিএসসি – ২০০৮ বলে একটা নতুন পিএসসি তৈরী করা হয়েছে, যার মূল ভুমিকায় ছিলেন, সাধারনভাবে বিদেশী তেল কোম্পানির (আইওসি) মুখপাত্র হিসাবে পরিচিত ম তামিম। এই সরকার তেল কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে মাত্র। ২। এই সরকারই এই প্রথম গ্যাস রপ্তানীর সুযোগ রেখে, ৮০ ভাগের ‘মালিকানা’ সহ সমুদ্রের জ্বালানি সম্পদের মালিকানা আমেরিকান কনোকোফিলিপসের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। ৩। এই চুক্তি পিছনের দরজা দিয়েই হয়েছে, রেফারেন্স হিসাবে উইকিলিক্সের কিছু রেফারেন্স আনা হচ্ছে। সমুদ্র এবং খনিজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে তুলে দেবার জন্য। পার্ট অভ কমিটমেন্ট। ৪। আর অবধারিত ভাবে আছে ক্ষমতায় আসার ইক্যুয়্যাশন... (প্রধানমন্ত্রীও আবার তার রেটোরিকের মাধ্যমে এই থিওরীর পালে হাওয়া লাগিয়েছেন)। বেশ ভালই।
জানার কোন শেষ নেই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই
গত দুই মাস ধরে আমি প্রচুর ‘জানছি’! মারাত্মক সব ব্যাখ্যা। অধ্যাপক তামিম আবার বলেছেন, ‘...একই সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগ, গ্যাসের মূল্য, খরচের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য পেট্রোবাংলা থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। তথ্য অধিকার আইনের পর এগুলো সংগ্রহ করা কঠিন কিছু নয়’। হয়ত, কিংবা হয়ত নয়। তবে কনোকো-ফিলিপসের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে কারও এক্সেস থাকবে না এটা নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব নেই আমার। এবং এও ঠিক যে মডেল পিএসসি এবং প্রেসের কাছে দেয়া তথ্যের পর চুক্তিতে খুব বেশি কিছুই আর গোপনীয়ও নেই।
তবে কিছুটা ধৃষ্টতা নিয়েই আমি এই উপসংহারে এসেছি যে জাতীয় কমিটির আগের পিএসসি গুলোতে কোন এক্সেস নেই। অথবা থাকলেও খুব সিলেক্টিভ অংশে আছে।
মডেল পিএসসি – ২০০৮, নতুন কোন পিএসসি নয়
মডেল পিএসসি – ২০০৮ নতুন কোন পিএসসি নয়, এতে কারও আত্মতৃপ্তি লাভের সুযোগ নেই। পুরনো পিএসসি মডেলকে কিছু কিছু জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে মাত্র। সেই এলএনজি করে রপ্তানির শর্ত কিংবা ২০/৮০ নতুন কিছু নয়, সবই পুরানো – হুবহু প্যারা, দাড়ি কমা সহ। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল যে কয়টা পরিবর্তন আমি এই নতুন পিএসসিতে দেখেছি, প্রায় সবগুলোই দেশের স্বার্থের পক্ষেই যায় বলে মনে হয়েছে (যেমন কস্ট রিকোভারি অফশোরে ৬০ থেকে ৫৫ করা, করপোরেট টেক্স আরোপ, লিখিত ভাবে বার্ষিক উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা ঢোকানো, ক্লজ ২৫ – ‘এমপ্য়মেন্ট, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি ট্রাস্নফার’ কে আরও শক্তিশালী করা ইত্যাদি)। আইওসির পক্ষে শুধুমাত্র গ্যাস প্রাইসের আপার সিলিং কিছুটা বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু সেই সাথে করপোরেট টেক্সও ইমপোস করা হয়েছে।
তার মানে দাঁড়াচ্ছে রপ্তানি এবং ২০/৮০ নতুন কোন ক্লজ নয়, সবই পুরানো এবং এই ক্লজ নিয়েই আইওসিরা বছরের পর বছর কাজ করে আসছ। এই কথার বলার মাধ্যমে আমি রপ্তানিকে জাস্টিফাই করছি না কিন্তু। রপ্তানির বিশ্লেষণ অন্য প্রসঙ্গ, পর আলোচনা করব।
কনোকোফিলিপসের সাথে পর্দার আড়ালে রফা, উইকিলিক্স এবং মরিয়ার্টি
তৃতীয় রাউন্ড বিডিঙেতো বেশ স্বচ্ছতা ছিল। প্রতিটা পর্বে পত্রিকায় বিস্তারিত খবর এসেছে, ওয়েবে তথ্য দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমার কাছে তথ্য/উপাত্ত গুলি নেই, যতদূর মনে পড়ে ৮টি কোম্পানি বিড করেছিল, ২টা কোয়ালিফাই করেছিল – কনকোফিলিপস এবং টোটাল-টাল্লো। কনোকোফিলিপস বিস্তারিত টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এসেছিল, এখানে কোন পর্দার আড়ালের ব্যাপার ছিল না বলেই তো মনে হয়েছে। উইকিলিক্সের বার্তায়ও তেমন কিছু দেখলাম না। শুধু মাত্র মরিয়র্টিকে ইনফরম করা হয়েছিল যে কনোকোফিলিপসকে যোগ্যতা অর্জন করেছে। গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যাপারটা ত্বরান্বিত করার ব্যাপারটাও মরিয়র্টি বলেছে। (গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যাপারটা ত্বরান্বিত করার ব্যাপার চাপের ব্যাপারটা নতুন কিছু না, ইন্টারনেটে গ্যাস বিষয়ক এডিবির ২০০৭ সাল এবং এর আগের রিপোর্টেও এটা পাওয়া যাবে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবেও মনে করি বাংলাদেশের দ্রুত গ্যাস অনুসন্ধানের দরকার আছে।) মনে রাখতে হবে বিপির মত শক্তিশালী কোম্পানিও ঢাকায় এসেছিল, প্রস্পেক্টাস নিয়েছিল, কিন্তু বিডিং করেনি।
তথ্য-উপাত্তে প্রবেশগম্যতা
তৃতীয় রাউন্ড বিডিঙেই প্রথম মডেল পিএসসিকে জনগনের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। বিডিঙে অংশ গ্রহনকারী আইওসিএর বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। আমার মনে হয়েছে প্রকাশিত তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ করা হয়নি। আমার এও মনে হয়েছে সরকার এ ব্যাপারে জনগনকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে সাহায্য করতে পারত, কিন্তু কোন এক কারণে সরকার একেবারে নিশ্চুপ। এক সময় হাইড্রোকার্বন ইউনিটের ওয়েবে মোট গ্যাস রিজার্ভের তথ্য থাকত, এখন আর নেই। আমার মনে হয়েছে সরকার আসলে তথ্য-যত-কম-দেয়া-যায় সেই মুডে চলে গেছে। যেটা ভবিষ্যতের জন্য ভাল কোন লক্ষণ নয়।
আইওসির পক্ষ থেকে দেখা
তৃতীয় রাউন্ড বিডিঙের জন্য সরকার অনেক পয়সা খরচ করে আন্তর্জাতিক পর্য্যায়ে রোড-শো করেছিল। একই বেল্টে মায়ানমার এবং ভারতের বড় আকারের গ্যাস আবষ্কার সত্ত্বেও আইওসিদের রেসপন্স কিন্তু বেশ খারাপ। এর জন্য মায়ানমার এবং ভারতের সাথে সীমানা-দ্বন্দ্ব তেমন দায়ী নয়, কারণ সীমানা-দ্বন্দ্ব আইওসিকে তেমন প্রভাবিত করেনা (আন্তঃরাষ্ট্রিয় কুটনৈতিক ব্যাপার)। শেভ্রন বর্তমানে প্রায় অর্ধেক গ্যাস সাপ্লাই করে এবং কেয়ার্ন বাংলাদেশে একমাত্র অফশোর অভিজ্ঞতা থাকার পরও বিডিং করেনি, কিংবা মনোনিত হতে পারে এমন বিডিং করেনি। কথা বলার সুযোগ হয়েছিল শেভরন এবং কেয়ার্ন দুই কোম্পানির সাথেই, কারো কাছেই এই পিএসসি টার্মস এন্ড কন্ডিশন এট্রাক্টিভ মনে হয়নি নাকি। এই তথ্যটাও আমার জন্য ইন্টারেস্টিং ছিল।
দীর্ঘসূত্রিতা...
আচ্ছা কনোকো-বিতর্কের বাইরে আরেকটা জিনিস আমরা দেখি। বিডিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেই ২০০৭ এ, একটা চুক্তি করতে লাগল ৪ বছর। এখন যদি কনোকোফিলিপস ফাস্ট-ট্র্যাকেও অনুসন্ধান শুরু করে এবং গ্যাস পায়ও, ন্যাশানাল গ্রিড আসতে নুন্যতম ৬/৭ বছর লাগবে...। ফাস্ট-ট্র্যাকে শুরু করার চান্স নেই...। কেন? গভীর সাগরে অনুসন্ধানের জন্য কনোকোফিলিপসের মিনিম্যাম ওয়ার্ক অবলিগ্যাশন (আর্টিক্যাল ৬ দেখুন) এত কম যে ফাস্ট-ট্র্যাকের ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছি না। হয়ত আরেকটি দীর্ঘসূত্রিতার ল্যুপে পরতে যাচ্ছি...।
হীনমন্যতা, রেটোরিক এবং অবিশ্বাসের ভিসাস ল্যুপ
আওসিকে প্রতিস্থাপণ করতে হলে আমাদের বাসেক্সকে শক্তিশালী করতে হবে। এই ব্যাপারে কারোরই কোন দ্বিমত নেই। এই ব্যাপারে আমার নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে, কিন্তু সেটা পরে লিখব।
কিন্তু যে ব্যাপারটা আমাকে অবাক করছে ইদানিং তা অন্য একটা দৃষ্টিকোণ। পিএসসি মাত্র একটা কোম্পানির সাথে চুক্তি, যেটা সংসদীয় কমিটির দ্বারা অ্যাপ্রুভড। যদি বিস্তারিতভাবে কেউ পিএসসি পড়ে তবে বুঝতে পারবে কন্ট্রোল ম্যাকানিজম গুলি বেশ কঠিন। ধরুন কোন নতুন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম – পেট্রোবাংলার টেকনিক্যাল কমিটি এবং ফাইনান্স কমিটি প্রথমে অ্যাপ্রুভ করতে হবে। তেমনি যেকোন খরচ, যা কস্ট-রিকোভারির যোগ্য, তার বাজেট অ্যাপ্রুভ হবে, আসল খরচ অ্যাপ্রুভ হবে এবং তারপর আবার নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। দেখা যাচ্ছে আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না পেট্রোবাংলা এটা করতে পারবে...। একটা অফশোর ড্রিলিংএ কিন্তু বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং সেবার জন্য অনেকগুলি চুক্তি করতে হয়... জটিল সব চুক্তি, পেট্রোবাংলাকে এত অবিশ্বাস করলে বাপেক্সকে শক্তিশালী করার ব্যাপারটা স্ববিরোধী হয়ে যায় বলে মনে হয়। আমরা কী প্রাথমিক ভাবেই ধরে নিচ্ছি পেট্রোবাংলা একটা অথর্ব প্রতিষ্ঠান!!
জনপ্রতিনধি...
জাতীয় কমিটি নিশ্চিতভাবেই একধরণের ডায়লগ জারি রেখে খনিজ সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারের চেক-এন্ড-ব্যালেন্স নিশ্চিত করছে। ধন্যবাদ তাঁদের প্রাপ্য এই ব্যাপারে। কিন্তু যখন পেট্রোবাংলা জাতীয় কমিটির সাথে মিটিং করেছিল তখন আমি কিছুটা ধন্দে ছিলাম। জাতীয় কমিটি যদি এই চুক্তির ব্যাপারে সন্তুষ্ট হত তবে কি জনগন হিসাবে আমাদেরও সন্তুষ্ট হওয়া উচিত হত। খনিজ সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারে আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধর ভুমিকা কী? নাকি আমরা ধরেই নিচ্ছি আমাদের সংসদ ডিসফাংশন্যাল, তেল কোম্পানি আসলে সিদ্ধান্ত নেয় কী হবে। কিংবা তেল কোম্পানি নির্ধারন করবে নির্বাচনে কে জিতবে...।
(পরবর্তীতে পিএসসি নিয়ে আলোচনার আশারাখি)।
মন্তব্য
ধন্যবাদ পোস্টের জন্যঃ
জাতীয় কমিটির বক্তব্যগুলো স্পষ্ট ভাবে পাওয়া যবে নিচের লিঙ্কে আনু মুহাম্মদের সাক্ষাৎকারে
http://www.youtube.com/watch?v=vn9JcWajKmY
এছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের লিখিত উত্তর পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে
http://protectresourcesbd.org/pdf_file/2011020151.pdf
ধন্যবাদ। লিঙ্গগুলির জন্য।
লিঙ্গ পেলেন কই ভাই!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
টাইপো, দুঃখিত।
লেখাটা পড়লাম। নিয়মিত দেশে না থাকায় বিষয়টা ফলো করা হয়নি এবং এর টেকনিক্যাল পারসপেক্টিভগুলো বোঝার মতো অবস্থায় নেই আমি। তবে এইসব চুক্তিতে দেশের স্বার্থ সবসময় এগিয়ে রাখতে হয়। একজন ব্যাক্তি বা একটা গোষ্ঠী অথবা একটা কোম্পানীর স্বার্থের তুলনায় ১৬-১৭ কোটি মানুষের স্বার্থরক্ষা অনেক জরুরী। যেহেতু চুক্তিটা যে বিষয়ের উপর, সেই বিষয়ে আমাদের যথেষ্ঠ সক্ষমতা নেই এবং তাই বিদেশী কোম্পানীর কাছে আমাদের যেতেই হবে। এখানে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি বিপদজনক। তার উপরে নেগোশিয়েটিং অথরিটি যদি বিদেশীদের স্বার্থটাকে রক্ষা করতে সচেষ্ট হয়। তাহলেই বাম্বু! তাই বিষয়ের ভিতরের সঠিক বিষয়গুলো জেনে প্রতিবাদ পদক্ষেপ নেওয়া সমীচিন হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তৃতীয় পক্ষটা বুঝতে পারিনাই।
অনেকেই শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করে, যা অনেক সময়ই পুরোপুরি যৌক্তিক নয়!!! সমুদ্রে ব্লকে যে তেল-গ্যাস আছে তাতো ফেলে রাখলে লাভ হবে না!!! যেহেতু নিজেরা উত্তোলন করতে পারছি না সেক্ষেত্রে অন্য কোম্পানি তো আসবেই, এখন সে কোম্পানি তো আর নিজের লাভ ব্যতিরেকে আসবে/ইনভেস্ট করবে না!!! আমাদের কাজ হল এই অংশীদারত্বের শতকরা বণ্টনটা যেন ব্যালান্স্ড হয়; যাতে আমাদের স্বার্থও সংরক্ষিত হল আবার কোম্পানিও আগ্রহী হল!!! শতকরা বণ্টনটা নিয়ে তারা আলোচনা/আন্দোলন করবে তা না একবাক্যের শ্লোগান 'কাউকেই গ্যাস নিতে দিবে না'!!!! সুশীল নাগরিকও যদি রাজনৈতিক আচরণ করে(হরতাল দেয়) তাহলে কী হয়!!! প্রতিবাদের ভাষাও হবে সুশীল!!!
ভাইয়া আপনি কী বলবেন, শতকরা বণ্টনটা কত কত হলে ব্যালান্সড বলে মেনে নেওয়া যায়?
আমার জানামতে,
কেন কোন কোম্পানীকে গ্যাস নিতে দেওয়া হবে না তা আন্দোলোনকারীরা সুষ্পস্ট ভাবেই বলেছেন। আমাদের দেশের গ্যাসের যে সম্ভাব্য মজুদ তাতে আমাদের ৫০ বছরের জ্বালানী নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয় না, সম্পদ যেহেতু সীমিত কাজেই তার ব্যবহারটা হতে হবে সর্বত্তোম। আমরা যদি গ্যাস রপ্তানী করে দেই সেই গ্যাসই আবার আমাদেরকে বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে কিনতে হবে, তাহলে কেন উৎপাদনের খরচ টা আমরা বহন করে নিজেদের গ্যাস নিজেরাই রাখব না ? কনকো ফিলিপস ও তাদের অনেক কাজ বিভিন্ন কন্ট্রাক্টর দিয়ে করাবে , অর্থাৎ পেট্রোবাংলা যদি এই কন্ট্রাকটর নিয়োগ ও ম্যানেজ করার কাজটুকু করতে পারে তাহলেই পুরো গ্যাসের মালিকানা টুকু বাংলাদেশের রাখা সম্ভব।
সবচেয়ে বড় কথা পেট্রোবাংলা বা বাপেক্সের যদি দক্ষতা এবং টাকা নাই থাকে তাহলে তারা গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইন কেমন বসাবে আর যেই ২০% গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে সেইটাই বা কেমনে আনবে ?
উল্লেখ্য পাইপলাইন বসানোর মোট খরচ কনকো ফিলিপসের প্রাথমিক বিনিয়োগের চেয়েও বেশি।
তৃতীয় পক্ষ দিয়ে গ্যাস অনুসন্ধান করাতে হলে সমস্যাগুলি আসবে, বিশেষকরে যখন শেষ মুহূর্তে 'ফায়ার-ফাইটিং' করতে হয়। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনার অভাব বলে মনে হয়।
১. পেট্রবাংলাকে নজরে রাখাটা খুব জরুরি কাজ মনে করি। জাতীয় স্বার্থ দেখভালের দায়িত্ব বর্তমান (আপাতত নিরূপায়) কন্ডিশনে এবং এই বিশেষ কেইসে তাদের উপ্রেই সবচে বেশি ন্যস্ত।
২. বাপেক্স শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত সরব থাকতে হবে। কিন্তু বাদবাকি পরিস্থিতি রাষ্ট্রের সক্ষমতার অনুকূলে বদল না কইরা (যেমন হয়ত শিল্পখাতে রাষ্ট্রের মালিকানা বৃদ্ধি বা বিদেশি বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীলতা - যদি আদৌ থাইকা থাকে - হ্রাস এইসব), বাপেক্সরে শক্তিশালী কইরা কতটা লাভ হবে প্রশ্নসাপেক্ষ।
৩. 'জাতীয় কমিটি'র উদ্দেশ্য নিয়া আমি শ্রদ্ধাশীল। কেবল একটা অফ-টপিক তুলতে চাই। সিভিল সোসাইটি ('বাজার-বহির্ভুত সংগঠন' এই অর্থে) মুভমেন্ট পার্লামেন্টারি ডেমক্রেসির জন্য লাভ/ক্ষতি কতটা এইটা বুঝা দরকার। ইন্ডিয়ায় দেখা যাইতেছে আন্না হাজারে আর বাবা রামদেবও মুভমেন্ট চালায়, জনপ্রতিনিধিরা তাদের সাথে টিওআর-বহির্ভুত মিথস্ক্রিয়ায় চইলা যান। এইসব মুভমেন্টের গণভিত্তিও থাকে কম বা বেশি। কিন্তু এইরকম ঘটতে থাকলে রাষ্ট্রে ভোটাভুটি একধরণের ইস্যুতে হয়, আর 'মুভমেন্ট' আরেক ধরণের ইস্যুতে হয়। কাউকে ভোট দেয়া না দেয়ার কারণ আর রাস্তার আন্দোলনের কারণ যদি বিযুক্ত বা বিশ্লিষ্ট হয়া যায় তাইলে, অখণ্ড জাতীয় ইস্যু বইলা কিছু থাকে-টাকে না। এইটা একটা প্রব্লেম মনে করি। অফটপিক শেষ
পরের পর্ব দ্রুত আসুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অফটপিক প্রসঙ্গে - প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনগণের দাবি অথবা ইস্যুগুলো তুলতে না পারে তাহলে জনগণের একজন হিসেবে আমার কী করা?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১। হ্যাঁ + এনার্জি মিনিস্ট্রি। সচিব কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি সই করেন।
২। হ্যাঁ।
৩। অফটপিক...'জাতীয় কমিটি'র উদ্দেশ্য নিয়া আমিও শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু আমার ফোকাসটা ছিল ব্যাপারটার মিসইন্টারপ্রিটেসন।
ধন্যবাদ নৈষাদ,
বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। সরকার এর পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যদি বাংলাদেশ কনকো-ফিলিপ্স এর কাছ থেকে গ্যাস না কিনে একমাত্র তবেই তারা তৃতীয় পক্ষের কাছে টা বিক্রি বা রপ্তানি করতে পারবে।
যেকোনো কোম্পানিরই লক্ষ্য থাকে স্বল্প সময়ে তার বিনিয়োগ মুনাফাসহ তুলে আনার। তাই এক্ষেত্রে কনকো-ফিলিপ্স যদি একটা নির্দিষ্ট সময়ে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস তুলে এবং তা যদি ঐ সময়ে বাংলাদেশের চাহিদার অতিরিক্ত হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে তারা তো সেটা বাইরে বিক্রি করার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে চুক্তিতে কি এমন কোন শর্ত আছে যে বছরে সর্বোচ্চ কতটুকু গ্যাস উত্তোলন করা যাবে? নইলে তারা তো চাইবে বেশি বেশি উত্তোলন করে তা বাইরে রপ্তানি করতে। কারণ এক্ষেত্রে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে।
আপনার কাছ থেকে এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত আশা করছি।
নির্ঝরা শ্রাবণ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আর্টিক্যাল ১৫/৪ তে সর্বোচ্চ গ্যাস উত্তোলনের সীমা বলা আছে - প্রুভেন রিকোভারেবল গ্যাস রিজার্ভের ৭.৫%। পরের পর্ব, যদি লিখি এ ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
নৈষাদ সাহেব ৭.৫% বলা আছে কিন্তু এরপর যে লিখা আছে অফশোর (গভীর সমুদ্রের) গ্যাসের ক্ষেত্রে এই ৭.৫% লিমিট টি প্রযোজ্য হবে না ।
এই তথ্য কি আপনি জানতেন না ? নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবে এড়িয়ে গেলেন।
জী, জানতাম। অফশোরের জন্য... or a greater percentage as may be agreed by Petrobangla and the Contractor. কথাটা ঠিক...
না।
এই ৭.৫% কথাটা আগে, যতদূর মনে পরে পিএসসিতে লেখা হত না, GPSA (গ্যাস পার্চেজ এন্ড সেল এগ্রিমেন্টে) লেখা হত, এখন পিএসসিতে আনা হয়েছে। এখানে দুটা পার্টি, ইচ্চে করলেই তো কন্ট্রাক্টর গ্রেটার পার্সেন্টেজ তুলতে পারবে না। (GPSA তে কিন্তু আরও বিস্তারিত কন্ডিশন থাকে [যেমন প্রয়োজনে কখন ৭.৫% থেকে কমাতে হবে])।
ঠিক আছে, আরেকটা পয়েন্টের ব্যাপারে বলি, এইযে প্রুভেন রিকোভারেবল গ্যাস, এটা যদি কন্ট্রাক্টর (আইওসি) যদি দু/তিন গুণ বেশি দেখায়, তাহলে? আইওসিই তো পরিমাপ করে। দ্বিগুণ দেখালেও তো ৭.৫% আসলে ১৫%, তিনগুন দেখালে ২২.৫% । এটা তো একধরনের এস্টিমেট।
কিভাবে রিজার্ভ নিশ্চিত করা হয়। স্মৃতি থেকে বলি... shall be determined in accordance with good reservoir engineering practice and by agreement between the Parties, but if they are unable to agree… shall be determined by an independent expert. এখন যদি ধরে নেই পেট্রোবাংলা কিছুই করতে পারবে না, তাহলে তো আইওসিরা রিজার্ভ ২/৩ গুন বেশি দেখাতে পারেই, এটাই সহজ প্রক্রিয়া...।
2d and 3d seismic study r por e reservoir volume estimate kora hobe, ei ta korbe 3 ta side theke, contractor (conoco), bangladesh govt appointed kono organization, and third party.....reservoir volume r sathe relation rekhe daily koto gas/oil tola jabe seta thik kora hoi.....tel-gas committee bortoman andolon, kau kei gas tule dibo na, ei ta ami kokonoi support kori na, 2011 r winter season gas exploration shuru hoile, ei gas grid e 2017-18 r aage asbe na, amader j poriman jalani sonkot, amader possible sob jaiga tei ekoni gas exploration shuru kora uchit.......1998 r por e new kono block e explore e kora hoi nai, jar jonno ei muhurte amader energy and power r eto somossa
সহমত। ২০১৭-১৮ মিনিম্যাম। আমাদের সমুদ্রে শুধুমাত্র একটা ওয়েদার উইন্ডোতেই ড্রিলিং জাতীয় কাজ করা যায় (অক্টোবর-মার্চ)। শেষ-মুহূর্তে 'ফায়ার-ফাইট' করতে চাওয়ায় আইওসিদের নেগোশিয়েশনের সুবিধা হয়।
মজহাররে অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এই লেখায়। বিষয়টা লেখকের নিয়ত সম্পর্কে সন্দেহ এনে দিতে পারে। ধরা যাক, আমেরিকা/কর্পোরেট বিরোধী আলাপে যদি কেউ বিরোধী পক্ষের কাজ কর্মের আলোচনায় সিংহভাগ আল কায়েদার কাজ কর্মের বিবরণ নিয়ে আসে তাহলে বুঝতে হবে কিছু গড়বড় আছে। এই পর্বেটা পড়ে আমার বুঝ এইরকমই।
বিএনপি জামাতের আন্দোলনের পরিকল্পনার মিটিঙের পর তার লেখা প্রথম দেখা যায় এই বিষয়ে বিডিনিউজে। মজহার বাদ দিয়ে গত দশ বছর ধরে যারা দুই সরকারের আমলেই এটা নিয়ে বিরোধিতা করেছেন তাদের লেখা নিয়ে কোন বাক্য দেখলাম না এই পর্বে। আশা করি ভবিষ্যতে তাদের কথা নিয়ে কিছু আলোকপাত দেখবো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার পর্যবেক্ষণ কিছুটা ঠিক আছে।
এধরনের একটা মুভমেন্টকে কিছু ভুল ইনফোরমেশনের ভিত্তিতে মিসইন্টারপ্রেট করা হচ্ছে এবং যারা আমার সাথে কথা বলেছে – এই মজহারিও দৃষ্টিকোণ থেকেই কথা বলেছে। তাই ব্যাপারটা অ্যাড্রেস করা।
জাতীয় কমিটির, বা অন্যান্য বিশেষজ্ঞ, যারা এটা নিয়ে বিরোধিতা করছে তাদের কোন যুক্তিকে রিইনফোর্স কিংবা খন্ডন করার চেষ্টা করা হয়নি এই লেখায়। আগামী পর্বে (যদি) ঐ দিকে দৃষ্টি দেয়া হবে।
দেশের বড় বড় প্রজেক্টগুলো তো এভাবেই হয়। একদল দুর্নীতিবাজ সাংসদ এটা সেটা এ্যাপ্রুভ করবেন। সেগুলো আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সইসাবুদ দিয়ে আমলারা কাজে পরিণত করবেন। এখানে কঠিণ জিনিসটা কোনটা বুঝলাম না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিকাছে। কিন্তু এই চুক্তিগুলিই ডিসপিউট আসলে মুল ভুমিকা পালন করে। বাংলাদেশ হুইলিং চার্জ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ২০০০ সালে শেলের কাছে হেরেছিল। ২০০৭/৮ তে একই ধরনের ডিসপিউটে শেভ্রনের সাথে আমেরিকার আদালতে জিতেছিল।
কঠিন মেকানিজমের কঠিন দুর্নীতির এই খবরটা প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমার বোধহয় এখানে লেখা উচিত হচ্ছে না :\ .. তারপরেও না বলে পারছি না.... অনেকেই এই চুক্তিকে "চুরি" "ডাকাতি" ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করছে... যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই অসম ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে, তারপরেও চুরি ডাকাতি কেমনে হইলো ঠিক বুঝলাম না..
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপাত শর্তগুলি এতই একপেশে মনে হয়েছে, তাই হয়ত এধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
ভাই নৈষাদ, আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মিস করেছেন।সরকার কনোকো-ফিলিপসকে ব্লকগুলো ইজারা দিচ্ছে, কারন ভবিষ্যতে কনোকো-ফিলিপস সাথে আম্রিকা আমাগো হয়ে ভারত-মায়ানমার'রে টাইট দিবো।(অমি রহমান পিয়াল তত্ত্ব)
উল্লেখ্য যে ব্লকগুলোরে ইজারা দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে ভারত-মায়ানমারের সাথে কুনো বিরোধও নাই।
গত দুইমাস ধরে আমি প্রচুর জানছি। মারাত্মক সব ব্যাখা.
আরেকটু কষ্ট করে জানাবেন কি মারাত্ম তথ্যগুলো কি।ও সাথে "২০০১ দেশের গ্যাসের উপরে ভাসছে, সুতরাং আমাগো রফতানি করতে হৈবে" মরহুম সাইফুর রহমান সাহেবের এই যুগান্তকারী তথ্যের উপর ভিত্তি করে তামিম সাহেব তখন গ্যাস রপ্তাণীর পক্ষে যে প্রবন্ধসমূহ ফেদেছিলেন, সেগুলো একটু জেনে নিয়েন।
পেট্রোবাংলার প্রতি আন্দোলনকারিদের মনোভাবে আপনি সবিরোধিতা খুঁজে পাচ্ছেন।
আচ্ছা একটা উদারণ দেই।আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে আবার ঢাবি কতৃপক্ষ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য "গ্রামীন ফুনের স্পন্সরে এবারে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিতে হবে" এক কর্মকান্ডের ঘোর বিরোধি-তাইলে আমার অবস্থান কি স্ববিরোধি মনে হয়।
তেল-গ্যাস কমিটি গ্যাস উত্তিলনের বিরোধিতা করছে।এইটা অপপ্রচার।যারা বলতেছেন(উপরের কাকে জানি বলতে দেখলাম) হয় তারা না জেনে তপ্ত্যবাক্য আওরাতেছেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে করতেছেন।তাদের দাবী সমুদ্রবক্ষে গ্যাস-উত্তোলনে পেট্রোবাংলাকে মূল ভুমিকাপালন কারি হিসেবে রাখা হউক।
২০০৮ পি,এস,সি থেকে এ পি,এস,পি উন্নত।কেন কিভাবে একটু বুঝায়া দেন! আর তেল-গ্যাস-কমিটি ২০০৮ পি,এস,সি কে সমর্থন জানাই নাই বরং তাদের মূল আন্দোলন এই অন্যায্য পি,এস,সি'র বিপক্ষে শুরু থেকেই।
আচ্ছা, দুর্ঘটনা যদি ঘটে তার ক্ষতিপূরন হিসেবে কি ক্লজ রাখা হয়েছে, আপনার মারাত্মক তথ্য ভান্ডার থেকে যদি সে বিষয়ে আলোকপাত করতেন।
@অনিন্দ্য, বাপেক্স নিয়ে আপনার বক্তব্যটা বুঝলাম না।একটু বিস্তারিত কইবেন।
ভাই পাঠক, ভারত-মায়ানমার টাইট দেয়া তত্ত্বটা অবশ্য আমি পড়িনি।
মারাত্মক ব্যাখ্যা গুলি বেশির ভাগই জিওপলিটিক্যাল বিশ্লেষণ, কিছু আছে টেকনিক্যাল। গ্যাস রপ্তানি তত্ত্বে অবগত আছি। লিংকটা দেখুন।
স্ববিরোধি এই কারণে বলেছি যে আমারা ধরেই নিচ্ছি পেট্রবাংলা/এনার্জি মিনিস্ট্রি সাধারন একটা তেল কোম্পানির কাছে নস্যি। তাহলে বাপেক্সকে (যেটা পেট্রোবাংলার সাবসিডিয়ারি) শক্তশালী করাটা বেশ জটিল ব্যাপার।
দেখুন আমার এই লেখাটাতে জাতীয় কমিটির যুক্তিগুলির পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলা নেই। পিএসসির ব্যাপারে আমি বলেছি এই মডেল পিএসসিটা আগের পিএসসি গুলিরই আদলে তৈরী, শুধু ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি বলিনি এটাকে সাপোর্ট করতে হবে। এই লেখাটায় পিএসসির কোন বিশ্লেষণ নেই।
মন্তব্য মিসপ্লেসড হয়ে গেছে। নীড় সন্ধানী আপনাকে ধন্যবাদ, দেখি।
বাপেক্স তো আকাশ থাইকা পড়ে নাই। রাষ্ট্রের বাদবাকি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। রাষ্ট্রকে সামগ্রিকভাবে সক্ষম/স্বনির্ভর কৈরা না তুললে, কেবল একটাদুইটা প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রায়োগিক ফল আশানরূপ হবে না।
রাষ্ট্র ক্রমবিকশমান অস্তিত্ব। এইখানে তার বিকাশের সঠিক স্তর নির্ণয়, এবং সেই স্তরে সক্রিয় প্রতিষ্ঠানসমূহ চিহ্নিত কৈরা তাতে মনযোগ দেয়া প্রয়োজন। বাপেক্স যদি সেইরকম কোনো প্রতিষ্ঠান হয়, তাইলে, বাপেক্সেও অবশ্যই মনযোগ দিতে হবে। হবে না ক্যান?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই পর্বটা পড়ে গেলাম, পরের পর্ব পড়ে আলোচনায় আসা যাবে।
পিএসসি চুক্তির প্রধান ঘাপলা হলো 'কষ্ট রিকভারি'। আইওসিদের নেগোশিয়েশানের মূল শক্তি হলো কষ্ট রিকভারি। বাপেক্সকে অকার্যকর করে রাখার পেছনে মূল কারণও সেটাই। সেই ঘাপলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আসবে আশা করছি আগামী পর্বে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পরের পর্বের অপেক্ষায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। কিন্তু তথ্যগুলো কেমন যেন ছাড়া ছাড়া মনে হচ্ছে। অপনার বক্তব্য কেমন যেন অফিসিয়াল অবস্থান থেকে দেয়া, মনে হচ্ছে। শুনেছি এগুলো নিয়ে অনেক কেনা বেচা হয়। আপনার থলেতে এসব তথ্য থাকলে জাতিকে জানতে দিন। বা, এ নিয়ে দেশের স্বার্থ কোনটা আর ব্যাবসায়িক সুবিধা কোনটা-একটু বিশ্লেষন করুন।
...সমস্যাটা তো এখানেই। অফিসিয়্যাল অবস্থান থেকে (সরকার) ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে কোন বক্তব্য আসছে না।
(পুরো ব্যাপারটার সাথে জড়িত ম, তামিম সাহেবের ডিফেন্ড করে লেখাটা ছাড়া আমি আর কোন লেখা দেখিনি)
কেনা-বেচার কথা আপনার যদি মনে হয়, এবং আমি যদি বলি ‘নাহ্’ তাতেও তো ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে না। কী আর করা।
সচলে মন্তব্য লিখা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে ইদানীং।কপি-পেষ্ট করে উদ্ধৃতি কোট করা যায়না।
@অনিন্দ্য,
আপনার কথা একার্থে ঠিক কিন্তু প্রকাশভংগীটা খুব পেসিমিস্টিক;একার্থে আন্দোলনের স্পিরিটের বিপক্ষে।আপনার জানার কথা তেল-গ্যাস-খনিজ রক্ষা আন্দোলনের অন্তর্নিহিত সারকথা হলো জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা।সেটা সময় এবং পরিস্থিতি সাপেক্ষ।আন্দোলন তো আকাশ থেকে পড়েনা।বাংলাদেশের রেলওয়ের বরাদ্দ বাড়াও এই দাবীর জন্য আপনি মিটিং-মিছিল-হরতাল হঠাৎ করে তো দিতে পারবেন না।
পেট্রোবাংলাকে মালয়েশিয় পেট্রোনাস, ভারতীয় ও,এন,জিসি কিংবা নরওয়েজিয়ান স্ট্যাট-ওয়েল পর্যায়ে সক্ষম করে তুলতে এক লাফে গাছে চড়া হবেনা ঠিক কিন্তু অনেক কিছুই হবে।রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উদাহরণও সৃষ্টি হবে।
আমি পেসিমিস্টিক। আন্দোলনের স্পিরিট নিয়াও আমার মাথাব্যাথা নাই। ভলিউম নিয়া কিছুটা আছে, কারণ কোয়ান্টিটিভ চেইঞ্জ কোয়ালিটিটিভ চেইঞ্জ আনে।
রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান নিয়া আপনার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত নাই।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ওয়েল, হয়তোবা আমার বোঝার ভুল।আপনি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প নিয়ে গল্প লেখেন(আমাদের রেল গাড়ীর ইতিহাস), নিজের ব্লগপাতায় লিখে রেখেছেন"রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘঠুক", তাই ধরে নিয়েছিলাম আন্দোলনের স্পিরিট নিয়ে আপনার কিছুটা হলেও "মাথাব্যাথা" আছে।
কি জানি "এসব আন্দোলনে কিচ্ছুটি হবেনা" কখনো হয়নি এমনধারার হতাশাবোধ মনে হয় ভালো গল্পের ভাবনার খোরাক যোগায়।
আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী জানিয়ে গল্প, প্রবন্ধ লিখি, কিন্তু যখনই কিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করা হলো, তখন বললাম আরে এদের গ্রেফতার করে আদৌ কতটুকু লাভ হবে আমি জানিনা!!!
উদাহরণ'টা যুৎসই হয়নি মানি কিন্তু আপনার অবস্থান এরকমই মনে হচ্ছে আমার কাছে।
অফটপিক: জাতীয় কমিটির আন্দোলন নিয়ে আপনার একটা সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও পর্যবেক্ষন জানাবেন।তাইলে রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের সমর্থক লেখক আর আন্দোলনকারীর অবস্থানের তুলনা বুঝতে পারতাম।
আপনার 'ধরে নেয়া'র প্রতি আমার শ্রদ্ধা। কিন্তু আমি আপনি যেমনে ধৈরা নিছেন, সেমনে ভাবি নাই। আমার মাথাব্যথা নাই, কারণ, আমি মনে করি প্রকৃত গণআন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতা আমার শ্রেণীর লোকের (আপনি বলছেন 'লেখক') চিন্তা-নিরপেক্ষ।
উপরন্তু 'লেখক' হিসাবে যেকোনো 'প্রভাববিস্তারে'র আকাঙ্ক্ষা গণমানুষের স্বয়ংক্রিয়তাকে খাটো কৈরা দেয়া। এবং তখন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত বুর্জোয়া ট্র্যাডিশনালি মনে মনে যে নেতাগিরির অভিপ্রায়কে লালন করে, সেইটা নির্লজ্জভাবে সামনে আইসা দাঁড়ায়। এই কারণে গল্পলেখকের পক্ষে নিজের সীমাবদ্ধতা মনে রাখা স্বাস্থ্যকর।
তারপরও আপনি যা ইচ্ছা তাই ধৈরা নিতে পারেন। আমি আবারও বলতেছি। কিন্তু 'এইসব আন্দোলন করে কিচ্ছুটি হবে না' এমনটা আমি ভাবছি, এইটা আপনের সৃজনশীল মানসিকতার পরিচয় দেয়।
'বিক্ষোভ' যেইদিন সত্যই 'আন্দোলনে' রূপ নিবে সেইদিন আসলেই 'কিচ্ছুটি' ঘইটা যাবে। আপনার ধৈরা নেয়া, আমার মনে করা, ইত্যাদির জন্য অপেক্ষা করবে না। বাকি আলাপ, অন্যত্র করি। আমার লেখা মনযোগের সাথে পাঠ করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বাপেক্স এর বর্তমান সাফল্যের পর আমার মনেহয় পুরো বিষয়টা নতুন করে ভাবা উচিত। অন্তত আনু স্যারের এই কথাটুকু ঠিক যে আমাদের সক্ষমতা অর্জনের দিকে বেশী মনোযোগী হওয়া উচিত, যেটা কি না কোন সরকারই কখোনও করে নি।
---------------
নিত্যানন্দ রায়
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সক্ষমতা অর্জনের দিকে বেশী মনোযোগী হওয়া উচিত এই ব্যাপারে পুরোপুরি সহমত।
১। চীনা কোন কোম্পানি যখন তেল-গ্যাস-বিজলী কন্ট্রাক্ট পায়, আনু স্যরেরা তখন মাঠে নামেন না কেনু কেনু কেনু? চীনারা কি বিদেশী নয়? তারা কি উপনিবেশ-উপনিবেশ খেলতে শেখেনি?
২। আকাশের তারা পকেটের পুরবার অধিকার আমাদের সবার আছে, কিন্তু তাই বলে কি আমরা পকেটে তারা নিয়ে ঘুরে বেড়াই? গ্যাস রপ্তানির অধিকার থাকা এক জিনিস। আগামী দশকে বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস উত্তোলন করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা আরেক জিনিস। যেখানে কনকো অনুসন্ধান কুপ খুঁড়বে, সেখান থেকে তীরের দূরত্ব কত? কিলোমিটার দেড়-আড়াই মিলিয়ন ডলার (আন্তাজ) খরচা ধরলে কিন্তু মাটিতে এনে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস আকাশের তারার চাইতেও অসম্ভব হয়ে পড়ে। বলবেন এল এন জি'র কথা? যে আকারের কূপের কথা শুনছি, সেই আকারের এল এনজির বাজার কোথায়, কেউ কি বলে দেবেন?
৩। কনকোর মত কোম্পানি কি ২০০ বিসিএফ রপ্তানির লোভে বাংলাদেশে আসে? তারা আসে আমাদের টাকায় অনুসন্ধান হাসিল করতে। মনে রাখতে হবে পাঁচ-দশ বছরে দু-দশ মিলিয়ন বানানোর লোভ আমাদের নেতাদের থাকতে পারে, বহুজাতিক তেল-খনি কোম্পানিরা সে ধান্দায় নেই। বুঝতে হবে এই বহুজাতিকের মূল উপজীব্য হল তথ্য। তারা কাজ করে বিলিয়নে এবং তারা দশকের পর দশক কোন মুনাফার মুখ না দেখেই অপেক্ষা করতে পারে। আমাদের খরচায় যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ হল তা যদি হিউস্টনে কনকোর কোন অফিসারের ড্রয়ারে বছরের পর বছর পড়ে থাকে, তাতেও তাদের কোন লোকসান নেই। যেদিন এই তথ্যের ভাল দাম উঠবে, সেদিন সেটা ঠিক ঠিক ড্রয়ার থেকে বেরিয়ে মডেলে পড়বে, এবং পাশের বাড়ীর বড় বাজারে বিক্রি হয়ে যাবে। দুনিয়ার কোন পি এস সি তাকে আটকাতে পারবেনা।
8। আগেও যেটা সচলায়তনের আলোচনায় এসেছে, সেটা হল মজুদের হিসাবে বাংলাদেশ মোটেও গ্যাস-দেশে নয়। আমরা মূলত কয়লা দেশ। যখন আমাদের কয়লায় মনোযোগ দেয়া দরকার, তখন আমার চীনা দালালদের দিয়ে তাবৎ দুনিয়ার ফেলে দেয়া ফুয়েল অয়েল বিজলী-কল এনে এনে দেশটাকে ভাগাড় বানিয়েছি। আসলে যে আন্দোলনটির প্রয়োজন, সেটা এখনো আসেনি। যেটা হচ্ছে, সেটা সেই প্রয়োজনীয় আন্দোলনে পথ আরও কঠিন করবে।
যেই ফর্মুলায় ফেলে এই সিদ্ধান্তে আসলেন সেটা আশির দশক বা তার আগের কেবলাপন্থি বাম রাজনীতির ফরমুলা। একটু রাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখলে জানতেন এই ফর্মুলা এখন আর কার্যকরি/প্রভাবশালি নয়।
চীনা কোম্পানি সম্পর্কে একটা নোট দিয়ে রাখি। বড়পুকুরিয়ায় চীনা কোম্পানি সিএমসির বিরুদ্ধে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির অবস্থান ও এই বিষয়ে কী কর্মপতপরতার ইতিহাস তাদের রয়েছে (বা আরো নির্দিষ্ট করে বললে "আনু স্যরে"দের অবস্থান কী সেটা একটু নেটে ঘাটাঘাটি করলেই জানতে পারবেন। আশপাশের ঝোপঝাড় না পিটিয়ে একটু পড়ে দেখে বুঝে শুনে মন্তব্য করলে ক্ষতি কি!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বহুদিন পর। চমৎকার মন্তব্য।
৩ নম্বর মন্তব্য (জেনুইন ৩ নম্বরটা) টাই মোটামোটি ভাবে ৪০ তেলগ্যাসের অভিজ্ঞতার একজন বাংলাদেশ ছাড়ার সময় বলল...। ইন্টারেস্টিং...।
চলুক!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন