এক,
এ মাসের আট তারিখ রাতে টিভিতে খবরটা শুনেছিলাম, নয় তারিখের পত্রিকায় বিস্তারিত দেখলাম। ‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প নাগরিক সমাজ বা যাদের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তাদের মাধ্যমে তদারকি করা হবে’। আরও বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পের ফলে যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা, সেসব নাগরিকই এসব প্রকল্পে অনিয়ম হচ্ছে কি না, সেবার মান বাড়ানো প্রয়োজন কি না ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবে’।
নাগরিক সমাজের প্রকৃত ক্ষমতায়ন, আমি অভিভুত হলাম!! আরও পড়লাম, ‘বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা কৌশলের তৃতীয় পক্ষের তদারকি শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় এই কাজ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে অনুমোদনও দিয়েছে’। এই ক্ষমতায়নে সরকারও অনুমোদন দিয়েছে, সুতরাং তাদের পক্ষ থেকে আর কোন বাধা নেই।
এই নাগরিকদেরই বিশ্বব্যাংক বলছে ‘তৃতীয় পক্ষ’। এটাও ইন্টারেস্টিং লাগল।তৃতীয় পক্ষ, তৃতীয় শক্তি এধরণের রহস্যময় শক্তিমাত্তার প্রতিভূ।
বুধবারে কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিইডি) সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি দুর্নীতি নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন, বর্তমান সরকার যে দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপোস করছে না সেটাও বলেছেন। আবার এটাও বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু এনজিওকে দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা ঠিকমতো কাজ করেনি। তাদের কাজে অনেক অসম্পূর্ণতা ছিল’। ইটারেস্টিং।
বুঝতে চাইলাম এই পদক্ষেপ কি ‘পাইলটিং’ কিনা? ওয়ার্ড ব্যাংকের গোল্ডস্টেইন সাহেব ব্যাপারটা পরিষ্কার করেন, ‘পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত সবগুলো প্রকল্পেই এই তৃতীয় পক্ষের মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে’।
যারা নাগরিক সমাজের এই ক্ষমতায়নে খুশি তাদের জন্য আরেকটা ছোট্ট খবর। ‘প্রকল্পগুলো তদারকিতে কমিউনিটি স্কোরকার্ড, গণশুনানি, ফোকাস গ্রুপ আলোচনা ও সামাজিক নিরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। তাদের এ কাজে সহায়তা করবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তার নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা বিভিন্ন এনজিও’। ‘ফ্রেমওয়ার্কের’ ব্যাপারটা বুঝা গেল।
সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মানুষের জন্যর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম (ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের স্ত্রী) এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আইনুন নিশাত।
এ বিষয়ে কোথাও আর লেখা কিংবা বিশ্লেষণ পেলাম না। বিশ্বব্যাংক এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ওয়েব ‘তন্ন তন্ন’ করে খোঁজলাম, কিচ্ছু নেই।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, সাধারনভাবে আমরা যাকে বলি, একটি এনজিও। ফাউন্ডেশনের ওয়েব সাইটে গিয়ে আরেকটা ভাল বিজ্ঞপ্তি পেলাম, “বন্ধুরা তোমায় ডাকছে” । ডাকছে, “বংলাদেশ ইয়্যুথ পার্লামেন্ট” । তাদের লক্ষ্য, “বর্তমান প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করে নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে আগামীর যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা” । ওকে!
যতটুকু বোঝা গেল বিশ্বব্যাংক প্রজেক্টের তদারকিতে নাগরিক সমাজের ক্ষমতায়নের নামেএনজিওরা আসছে।
দুই,
থাক এসব বড় বড় কথা। তার চেয়ে বরং পুরানো দিনের গালগল্প করি। তখন চাকুরীতে নতুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট মাত্র চুকিয়েছি। পাবলিক কনসাল্টেশন, পার্টিশিপেশন এসব নিয়ে বড় বড় থিওরী এবং ভাষণ দিচ্ছি। ঢাকাতে বড় হওয়া আমার খুব প্রিয় এক সহকর্মী একদিন বলেছিল, “ইংরেজীতে তো বহুত কিছু কইলেন, ঢাকাইয়া বাংলায় আপানার এই পার্টিসিপেশনের দুইলাইনের সংজ্ঞা আছে – ‘আমার কথা আমি কই, তরে শুধু জিগাই লই’”।
আরেকটা কথা মনে পরছে। একযুগ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয়ের একজন শিক্ষক বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্রদের একটা অদ্ভুত কথা বলেছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে ‘নাগরিক সমাজের’ উপকারে আসা বিষয়ক এটা ফিলসফিক্যাল ডিসকাশনে বলেছিলেন, ‘তোমারা যে সব ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসাবে নিজেদের তৈরী করছ, সেসব অফিসে দেশের আশি ভাগ ‘নাগরিকের’ সদর দরজা ঠেলে ঝা-চকচকে কার্পেটে পা দেয়ার সাহসই হবে না। তার কী ‘নাগরিক’ নাকি ‘আম জনতা’?
তিন,
হিমু কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল, ‘৪০ বছরে আমাদের একমাত্র অর্জন আলুপেপারের মহিউদ্দিন আহমদ, যে দুইদিন পর পর এসে বলে, ৪০ বছরে আমাদের কোনো অর্জন নাই’। ইদানিং মালয়শিয়া এবং সিংগাপুরের উন্নয়ন মডেলের কথা শুনতে শুনতে অস্থির হয়ে গেলাম। এইখানে ছোট্ট একটা ডিলেমা আছে, মালয়শিয়া এবং সিংগাপুরের মডেলের উন্নয়নে কিন্তু আপনি ইচ্ছামত ‘এসে বলে যেতে পারবেন না।‘। সেখানে ‘বলার’ কোন স্থান নেই – শুধুই শুনতে হবে এবং মাথা দোলাতে হবে।
বিরাজনীতিকরণের এই ‘কনসার্টেড এফোর্টে’, ‘নাগরিক সমাজকে’ তৃতীয় পক্ষ বলাটা মজারই মনে হল।
মন্তব্য
"তৃতীয় পক্ষ" সম্পর্কে জেনে মজা পেলাম।
ধন্যবাদ এ খবরটি পরিবেশনের জন্য।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ।
প্ল্যান ওয়ান কাজ করেনি, কাজ করেনি প্ল্যান টু-- ওক্কে নো প্রবস প্ল্যান ত্রি, ফোর, ফাইভ রেডি আছে। যে প্ল্যানই কাজ করুক- শেষ পর্যন্ত গোল এচিভ হওয়া নিয়ে কথা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সেটাই। গোল এচিভ হলেই হল।
এই মডেলটা বহু পুরনো। খান-ই-আজম আগা আইয়ুব খান গণতন্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞ ও গণতান্ত্রিক চর্চায় অনভ্যস্ত আমাদের দেশের মানুষদের জন্য একবার মৌলিক গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। সেই ব্যবস্থার বিডি মেম্বারদের সাথে এখানকার মত প্রদানকারী সুবিধাভোগীদের বিশেষ পার্থক্য দেখতে পাই না। যেমন পার্থক্য দেখতে পাই না সেখানকার রঙবেরঙের মুসলিম লীগের সাথে এখানকার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বা বিশ্ব ব্যাংকের সাথে খান-ই-আজমের ভূমিকার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হু। মৌলিক গনতন্ত্র।
ইন ফ্যাক্ট এটা পড়ে আমারও বেসিক ডেমক্রেসির কথা মনে পড়ছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কোর্টে যাওয়া যায় না এইগুলা নিয়া? মৌলিক গণতন্ত্রের পশ্চাতে অকস্মাৎ লাত্থি দেওয়া তো মনে হয় এইভাবেই সম্ভব। বিশ্বব্যাংকওয়ালাদেরকে একটা কইরা বাংলাদেশ সংবিধানের কপি ধরায়ে দেয়া দরকার। আইয়ুব শাসন পাইছে নাকি?
বিশ্ব ব্যাংকের এই পদক্ষেপে তো আপাত কোন ভায়লেশন নেই। 'কোটিং' 'খুউব খিয়াল কৈরা' -‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প নাগরিক সমাজ বা যাদের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তাদের মাধ্যমে তদারকি করা হবে। প্রকল্পের ফলে যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা, সেসব নাগরিকই এসব প্রকল্পে অনিয়ম হচ্ছে কি না, সেবার মান বাড়ানো প্রয়োজন কি না ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবে’।
ভায়োলেশান না থাকলে আপনার অভিযোগটা আরেকটু স্পষ্ট করুন। হয়তো অর্থনৈতিক কাঠামোটাকে পরিবর্তন করার সুপারিশ করছেন, যেই ফ্রেইমওয়ার্কে এটা একটা ভায়োলেশান হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে আপনার অভিযোগ, সন্দেহ ও সুপারিশ আরেকটু স্পষ্ট হলে ভালো হয়। আইন যদি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত না হয়, এই ধরনের বৃহৎ উদ্যোগের সমস্যা কীভাবে রোধ করবেন, পরিষ্কার না।
যেহেতু সরকার অনুমোদন দিয়েছে এবং কোন পত্রিকাতে কোন সমালোচনা আসেনি, সুতরাং সার্বিকভাবে কোন ‘অভিযোগ’ না থাকারই কথা। প্রোগ্রাম লঞ্চ করা হয়েছে, কিন্তু ওয়েবে কোন ইনফোরমেশন নেই। অর্থনৈতিক অবকাঠামো পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়নি। তবে আমার পরিষ্কার অভিযোগ আছে।
‘তদারকি’ একটা স্পেশালাইজড কাজ। সরকারের বড় উন্নয়ন প্রকল্প ‘তদারকি’র দ্বায়িত্ব স্থানীয় এনজিওকে দেয়াটা আমার কাছে অস্বস্তিকর। দেশে প্রচুর স্থানীয় এনজিও আছে, এর মধ্যে একটা বড় অংশ প্রাথমিক ভাবে ‘প্রফিট মোটিভ’ নিয়ে কাজ করে, এখানে একটা ‘কনফ্লিক্ট অভ ইন্টারেস্ট’ আছে। উইদিন ডিফাইন্ড ফ্রেমওয়র্ক প্রকল্প বাস্তবায়নে এদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে কিন্তু তদারকির দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ ধরনের এনজিও প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা নেই, তারা মূলত সুশাসন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। এধরণের এনজিও যখন ‘তদারকির’ দায়িত্ব পায় তখনও আমার অস্বস্তি হয়। একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, একটা নির্বাচিত সরকারের সুশাসনের ‘তদারকির’ দায়িত্ব একটা এনজিও হঠাৎ করে নিতে পারে না। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনে’ কর্মকান্ডে বিরাজনীতিকরণের ইস্যুও দেখতে পেলাম।
তার মানে প্রকল্পটা নিয়ে আপনার মৌলিক সমস্যা নাই।
তদারকি কার কাছে গেলে কম অস্বস্তিকর হয় এমন একটা উদাহরণ যদি বলতেন . . .
১। প্রকল্পগুলি নিয়ে আমার সমস্যার প্রশ্ন অবান্তর – প্রকল্পগুলি নিয়ে এখানে আলোচনা হয়নি।
২। আমার সমস্যা সেই কার্যক্রম নিয়ে যার মাধ্যমে প্রকল্প গুলি ‘নাগরিক সমাজের’ মাধ্যমে তদারকি করা হবে’।
৩। আমার সমস্যাটা মৌলিক সমস্যা কিনা জানিনা, যেহেতু মৌলিক সমস্যা ব্যাপারটা এখানে ‘ডিফাইন্ড’ না – তবে ‘নাগরিক সমাজের’ মাধ্যমে তদারকির এই কার্যক্রমে আমার ‘সমস্যা’ আছে।
৪। আপনার প্রশ্ন, “তদারকি কার কাছে গেলে কম অস্বস্তিকর হয় এমন একটা উদাহরণ যদি বলতেন” – ইট ডিপেন্ডস। ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে হয়ত বিশ্বব্যাংকের টেকনিক্যাল উইংগ। অথবা তৃতীয় পক্ষ হলে, সে, বুয়েট অথবা তৃতীয় কোন প্রফেশন্যাল বডি। কোন প্রকল্পে যখন বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করে, নিশ্চিত ভাবে তার জন্য একটা প্রোপজাল তৈরী হয়, যাতে সাকসেস ফ্যাক্টর গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৫। এটা একটা পাইলট ফেজ, পরবর্তীতে সব বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের তদারকি এভাবে হবে। (পদ্মা সেতু প্রকল্পের মত হাইলি টেকনিক্যাল প্রকল্পের তদারকি কি এই মডেলে হবে?)
৬। এই ‘কার্যক্রম’কে ‘ইন আইসোলেসন’ দেখলে হবে না। পদ্মা সেতুতে দুর্ণীতি হয়েছে যার জন্য ফান্ড রিলিজ করা হয়নি এই ব্যাপারটা যে এদেশের নাগরিক হিসাবে আমার কাছে কতটুকু লজ্জার সেটা আমি জানিনা আপনি বুঝতে পারেন কীনা? কিন্তু বিশ্বব্যাংক পরিস্কার করে বলেনি ঠিক কী কী দুর্নীতি হয়েছেল। এখন ‘এটা টেকেন ফর গ্রান্টেড’ এই দেশের জনগনের দ্বারা নির্বাচিত সরকার সুশাসনের অভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে না/পারে না। সুতরাং ‘সুশাসন শিখাতে পারবে’ এমন এনজিও দিয়ে টেকনিক্যাল প্রকল্প তদারকির মাধ্যমে আমাদের ‘সুশাসনের’ শিক্ষা দেয়া হবে। একই এনজিও আবার আমাদের জন্য ‘দেশপ্রেমের’ ট্রেনিংও দিচ্ছে।
৭। আমি শেষের লাইনে ‘বিরাজনীতিকরণ’ প্রক্রিয়ার একটা কথা বলেছি। পাজলের বিভিন্ন অংশ মিলালে হয়ত দেখতে পাবেন। কিংবা হয়ত পাবেন না, আমি ‘দেশপ্রেমের’ ট্রেনিং এ গিয়ে শিখে আসব দেশকে কিভাবে ভালবাসতে হয়।
পুরানো কথা মনে করিয়ে দিলেন বস।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন নতুন প্রয়োগ দেখি কিন্তু অহরহই।
ঞলিবারল পচন।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হু। দেখছি।
এইটা তো আমরা ছোটবেলা থেকেই জানি - 'বিচার সবই মানলাম কিন্তু তালগাছটা আমার।' এই তৃতীয় পক্ষর দাওয়া রিপোর্টের ব্যাপারেও এদের মনোভাব এইটাই থাকবে। কিছুই বলার নাই।
এর কিন্তু ইমপ্লিক্যাশন আছে। এখানে একধরণের 'কনফ্লিক্ট অভ ইন্টারেস্টের' ব্যাপারও আছে।
এতে করে স্পষ্টতই রাইটসহোল্ডাররা চতুর্থ পক্ষে পরিণত হবে এবং এমজে তৃতীয়পক্ষের স্থানটা দখল করবে। পরষ্পবিরোধিতার কি চমৎকার উদাহরণ, যে এনজিওগুলো ভালো কাজ করতে পারেনি বলে এতো বদনাম, সেই এনজিওদেরকেই আবার রাইটসহোল্ডারদের সক্ষমতার উন্নয়নের জন্যে সহায়কের ভূমিকায় রাখা!
ইউএনডিপির একটা কর্মসূচীতে আমরা রাইটসহোল্ডারদের মাধ্যমে প্রকল্প তদারকীর একটা সম্ভাব্যতা নিয়ে কিছু কাজ করেছিলাম। সেই পরিকল্পনা কিন্তু ভালোভাবে এগোয়নি। এর পিছনে মূলত কারন ছিলো স্থানীয় রাইটসহোল্ডারদের উপর মাঠ পর্যায়ের আমলাতন্ত্র এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অসীম প্রভাব। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের সংকটও একটা বড়ো কারন ছিলো। এই নেতৃত্বের সংকটের সূযোগটা নিতো আমলাতন্ত্র এবং জনপ্রতিনিধিরা। মোটের উপর এটা একটা ফ্লপ আইডিয়া ছিলো। আবার এক্সটার্নাল মনিটর দিয়ে কাজ করালেও ঝুঁকি থেকে যায়- সেটা স্পষ্টতই দুর্নীতির ঝুঁকি। শেষমেষ, আমার কিন্তু মনে হয় না যে এইসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এনজিওগুলোর সংশ্লিষ্ঠতার থেকে ভালো কোনও অপশন হাতে আছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যখন 'হুগো' কর্মসূচী নাম নিয়ে বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছিলো, তখন থেকেই একে জানি। কেয়ার বাংলাদেশ তখন এদের হোস্টিং করতো। শাহীন আনামসহ এখানে কর্মরত অর্ধেকের বেশি কর্মী আমার কোনও না কোনও সময়ের সহকর্মী। দাতাগোষ্ঠি পর্যায়ে শাহীন আনামের নেটওয়ার্ক মারাত্মক রকম শক্তিশালী। তাদের এই কর্মসূচীতে ঢোকার পিছনে একটা পলিটিক্যাল মোটিফ থাকতে পারে- ডিএফআইডির উপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং কিছু সমান্তরাল প্লাটফর্মে পদচারনা।
ল্যান্ড রোভার আর কতো ভালো লাগে, ফোর্ড-টোর্ডে কি চড়তে একটু মঞ্চায় না!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পদ্মা সেতুর ডিলটা হাতছাড়া (?) হবার পর এখন ঝাপিয়ে পড়েছে টাকা বিভিন্ন দিকে খরচ করার জন্যে। আফটার অল এইটা একটা ব্যান্ক - এদের সেলসম্যানদের টার্গেট আছে - আছে মোটা বোনাসের হাতছানি। জাতিসংঘ বা ডিএফআইডি দেয় গ্রান্ট, আর ওয়ার্লড ব্যান্কের আছে একমাত্র পণ্য সুদ যুক্ত ঋণ। তারপরও কিভাবে এরাই ঘুরে ফিরে মাতব্বরি করে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ডিএফআইডি গ্রান্ট দেয় ঠিকাছে, কিন্তু জাতিসংঘ নয়। জাতিসংঘ যেটা দেয় তা হলো সাবগ্রান্ট। জাতিসংঘের নিজের বলতে একটা ফুটো পয়সাও নেই। ওদের সমস্ত মাতব্বারী ব্যাক ডোনারের পয়সায়। প্রাতিষ্ঠানিক দাতাগোষ্ঠির ইন্টারমেডিয়ারীদের মধ্যে জাতিসংঘ সবথেকে ব্যায়বহুল। জাতিসংঘ একটা প্রকল্প থেকে যে পরিমান পয়সা ওভারহেড নেয়, সেই পরিমান পয়সা দিয়ে কেয়ার, অক্সফ্যাম, সেভ দ্য চিলড্রেন, বা এদের মতো সংস্থাগুলো গোটা প্রকল্পটাই বাস্তবায়ন করে ফেলতে পারে। তারপরও ব্যাক ডোনাররা জাতিসংঘকে পয়সা দেয় শুধুমাত্র জাতিসংঘের রাজনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করার জন্যে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘে মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিতভাবে ছোট দলের কাছ থেকে গোল খেয়ে যাচ্ছে কুটনৈতিক খেলার মাঠে (যেমন মিয়ানমারে), তার পরও বলতে হবে পৃথিবীতে সবথেকে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর একটা হচ্ছে জাতিসংঘ।
পক্ষান্তরে আপনি ঠিকই বলেছেন, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কর্মকাণ্ড সুদনির্ভর। এদের লক্ষ্য হচ্ছে কনজুমার প্রোডাক্ট তৈরী এবং তা চড়াসুদে বিক্রি করা। অবাক হবোনা যদি দেখি আগামী ২০-২৫ বছর পর বিশ্বব্যাংক পারসোনাল ব্যাংকিং শুরু করে বসেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি বলেছেন, 'শেষমেষ, আমার কিন্তু মনে হয় না যে এইসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এনজিওগুলোর সংশ্লিষ্ঠতার থেকে ভালো কোনও অপশন হাতে আছে'।
- প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে এনজিও সংশ্লিষ্ঠতায় আমার ব্যক্তিগত কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু বড় প্রকল্প 'তদারকিতে' 'লোকাল এনজিও' কে দাযিত্ব দেয়াতে আমার চরম অস্বস্তি আছে।
আপনার অস্বস্তি যৌক্তিক যেখানে সক্ষমতা এবং পারদর্শীতার বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ। তবে দেশীয় স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা কতটুকু মানসন্মত তদারকী সম্ভব সেটাও বিবেচনা করতে হবে। আর সক্ষমতার পাশাপাশি দুর্নীতির বিষয়টিও ঝুঁকি পরিমাপণে বিবেচনা করতে হবে। প্রকল্পের আকার অনুযায়ী যদি তা তদারকীতে যথাযথ সক্ষমতাধারী স্থানীয় এনজিও খুঁজে না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে যেসব পেশাদার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকল্প তদারকীর কাজ করে থাকে, যেমন প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্স, ডেলয়েট এন্ড টশ, কেপিএমজি, বা এই ধরনের মানসম্পন্নে একটা-দুটো প্রতিষ্ঠানকে এই কাজে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এনজিওগুলি কি দুর্নীতিমুক্ত সাধুপুরুষেরা চালায়?
নাহ, একেবারেই না। এনজিওদের কাজের অনেক সমালোচনা আছে। তবে এনজিওগুলোকে অনেক অডিট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশের এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর অডিট, মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অডিট, দাতার অডিট, ইত্যাদি।
এনজিওগুলোর এমন অনেক খাতে নিয়মিত খরচ করতে হয় যা কোনওদিনও কোনও দাতার হিসেবে চার্জ করা যায়না। এগুলো জোটাতে গিয়ে এনজিওগুলোকে সবসময় দাতার তহবিল থেকে পয়সা মরতে হয়। এগুলো নতুন কিছু নয়। আর এই মারার সাথে সাথে একশ্রেণীর দুষ্টু এনজিও ‘মালিক‘ নিজের পকেটটাও ভারী করতে থাকে। মূলত: এই পয়সা মারামারি হয় কর্মীদের বেতন আর প্রকিউরমেন্ট থেকে। তবে নিয়মিত মনিটরিং এবং অডিটিং থাকলে এই পয়সা মারা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তার মানে, "মানুষের জন্যে"র তদারকিকর্ম তদারকি করবে সরকারের এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো ?
যে কোনও ধরণের বৈদেশিক তহবিল এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া খরচ করা যায়না, একমাত্র ব্যাতিক্রম দুই সরকারের মধ্যেকার বাইল্যাটারাল প্রকল্প। তবে এনজিও ব্যুরো তদারকি করে মূলত প্রকল্প প্রতিবেদন পড়ার মাধ্যমে। প্রতিবেদন পড়ে সম্তষ্ট হলে তবেই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে অর্থছাড়ের নির্দেশ দেয়। এরা কালেভদ্রে মাঠ পরিদর্শনে যায়।
সেই হিসেবে, বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত তহবিলের প্রকল্পের তদারকী সরকারের পক্ষ থেকে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোরই করার কথা। এখানে সরকার অন্য তদারকী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারে তবে অর্থছাড়ের নির্দেশ অন্য কেউ দিতে পারে না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি কি দুবলা গোড়ালিটা দেখতে পাচ্ছেন? বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে সরকার তদারকিতে অক্ষম (সোজা বাংলায় চোর)। সেই চোরকে পাহারা দিতে তারা বসাচ্ছে তাদের পছন্দের এনজিওকে (তারা কি বাটপার? হতেও পারে)। চোরকে পাহারা দিচ্ছে বাটপার, যেই বাটপারের তহবিল ছাড় করার ক্ষমতা আবার চোরের হাতে। হাহাহা।
এখানে তো তা'ই মনে হচ্ছে।
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে সরকারের অক্ষমতার কারনেই বিশ্বব্যাংক প্রকল্প তদারকীর দায়িত্ব অধিকারভোগীদের উপর ন্যাস্ত করতে চাচ্ছে। এবং অধিকারভোগীদের সক্ষমতার উন্নয়ণ সাধনের জন্যে দায়িত্ব দিচ্ছে এমজে‘কে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে সক্ষমতা কি গাছের পাকা বরই যে শাহীন আনাম গাছ ধরে ঝাকা দিলো আর সক্ষমতা ঝরে ঝরে পড়তে লাগলো! সক্ষমতার উন্নয়ণ একটা প্রক্রিয়ালব্ধ বিষয়, রাতারাতি নিশ্চিত হওয়ার মতো কিছু নয়। তার উপর যেখানে কারিগরী দক্ষতারও কিছু বিষয়ও থেকে যায়।
এমজে দেশীয় এনজিও হলেও এর কায়দাকানুন আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর মতোই। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আর্থিক দুর্নীতির সুযোগ আছে বলে মনে হয়না। ব্যাক্তি পর্যায়ে দুর্নীতির উদাহরন অবশ্য সব জায়গাতেই পা্ওয়া যাবে। তবে পরের কাধে বন্দুক রেখে অনেককেই গুলি করতে হয়। বিশ্বব্যাংক যদি তাদের অর্থনৈতিক সেবাগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্যে বন্দুক রাখতে মজবুত একটা কাধের খোঁজ করে, সেক্ষেত্রে আমি বলবো তাদের পছন্দ সঠিক, শাহীন আনামের কাধ প্রকৃতার্থেই মজবুত। এমজের নেট্ওয়ার্ক যথেষ্ঠ শক্তিশালী এবং এই নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাংক তাদের মহানুভবতার প্রসার অতি সহজেই ঘটাতে সক্ষম হবে।
এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তবে বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অবশ্য এদের কোনওরকম খরচাপাতি দেয়না বলেই জানি। শুধু তোয়াজ করে কাজ করে আনতে হয়।
হঠাত করেই আমার একটা প্রশ্ন এলো, আমি সোমালিয়ায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কম্যুনিটি ড্রিভেন রিকভারী এন্ড ডেভলপমেন্টের (http://somcdrd.org/home/) কয়েকটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প ম্যানেজ করতাম। সেখানে সরকার বা এনজিও নয়, অধিকারভোগীরাই প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতো। আমার টিম কেবল প্রশিক্ষণ এবং কারিগরী সহযোগিতাটুকুই দিতো। সেখানে বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব মনিটরিংএর ব্যবস্থা ছিলো। বাংলাদেশে ওরা তাহলে এধরণের মডালিটি নিয়ে চিন্তা করে না কেনো! বাংলাদেশের অধিকারভোগীদেরও কি তাহলে ওরা চোর মনে করে?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মানুষের জন্য আর বিশ্বব্যাঙ্ক, দুইজনই আসলে গোলাগুলি করছে শেষ পর্যন্ত পাবলিকের কাঁধে বন্দুক রেখে। কারণ পয়সাটা পাবলিক ধার নিচ্ছে, আর পাবলিকই শোধ করছে।
দেশ থেকে বিশ্বব্যাঙ্ককে লাইত্থাইয়া কীভাবে বের করা যায়, সেটার একটা উপায় খোঁজা দরকার।
আঙ্কেলরা ইনডেমনিফায়েড। দেশের আইন তাদের দারোয়ানদেরও ছুতে পারে না। এদের তাড়ানো কষ্টকর হবে। এছাড়া এদের সাপোর্টে আছে ঞলিবারেল ধান্দু আর অরাজনৈতিক ভুদাইয়ের দল।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বিশ্বব্যাঙ্কের ধার দেয়া পয়সা পাহারা দিতেছে মাহফুজ আনামের বউ। ব্যাপারটা প্রভূত আমোদদায়ক।
সহমত। তবে বড় করপোরেট কিন্তু ঠিকই বিশ্বব্যাংককে 'ব্যবহার করে'। আইএফসির ঋণে এত শর্তের বেড়াজাল দেখিনি। প্রশার দেয়ার জন্যও বিশ্বব্যাংককে ব্যবহারের অনেক নজির আছে।
সবকিছু নিয়েই সমস্যা http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-13/news/224335
বিশ্বব্যাংকের হুমকি ধামকি ন্যাক্কারজনক। বিশ্বব্যাংক যে ভাবতে পারছে যে হাইকোর্টের নোটিশের চেয়ে সরকার ভিক্ষা না পাওয়ারে বেশি ডরায়, এটা দুঃখজনক।
অ্যাপার্ট ফ্রম দ্যাট, সংবিধান পরিপন্থী আইনের বিপক্ষে রাজনৈতিক কোনো পক্ষের উচ্চবাচ্য নেই কেনো? আমাদের সংবিধান নিয়ে আমাদেরই মাথা ব্যথা বেশি থাকাটা দরকার ছিলো না? আইনটাতো দেখা যাচ্ছে সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকারের ব্যাপারে কাচকলা দেখাচ্ছে। নাকি সংবিধান একটু আধটু লঙ্ঘন করতে দোষ নাই?
ঠিক কী বিষয় নিয়ে লিখেছেন পরিষ্কার হল না, সাথে লিংকটা দিলে পাঠকের জন্য সুবিধা হত।
---
অফটপিকঃ আপনার "নেগোসিয়্যাশন" লেখাটা দুর্দান্ত!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জবাবদিহিতা তথা আইনকে বাইপাস করা। আইনের ভিতরে আমি আছি, এমনকি সরকারও আছে। খালি ওরা নাই!
ধন্যবাদ ভাইয়া
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লজ্জাজনক ব্যাপার হল, আমি এই নতুন সেটআপে লিঙ্ক করার অপশনটা পাচ্ছি না, লিঙ্কটা দেয়ার ইচ্ছে ছিল। http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-09/news/223217
নেগোসিয়্যাশনের একটা দ্বিতীয় পর্ব আছে, কখনো ব্লগে দিব।
লিংকের জন্য ধন্যবাদ। আপনি নেগোসিয়েশান এর ২য় পর্ব তাত্তাড়ি দিন
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ত্রিপুরা নিয়ে লেখাটার পরের পর্ব এলে ভাল লাগবে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
টেক্সটবক্সের ঠিক ওপরে বাম কর্ণারে, প্রথম থেকে দ্বিতীয় বাটনটা। কম্পোজ করার আগে যদি কোনো কারণে ঐ টুলবারটা লোড হতে না দেখেন, তাহলে এফ ফাইভ চেপে আবার লোড করে নিতে হবে। লেখার মাঝখানে এফ ফাইভ চাপ দেবেন না কিন্তু। তাহলে আমছালা সব যাবে।
এফ ফাইভেও টুল লোড হচ্ছে না, আমার এখানে অন্য কোন সমস্যা আছে বোধহয়। দেখি আরেকটু চেষ্টা করে।
তাহলে url ট্যাগটা হাতে লিখে ব্যবহার করতে হবে। [*url=websiteadress]Text[/*url] এইভাবে। * চিহ্নটা মুছে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ। (টেকিকানা হওয়ার এই সমস্যা।)
প্রকল্পগুলো নিয়েও কিছু জানা গেলে ভাল লাগত।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
প্রাথমিক অবস্থায় গ্রামীণ পরিবহনব্যবস্থা উন্নতকরণ, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন, সাইক্লোন-পরবর্তী জরুরি উদ্ধারকাজ, স্থানীয় সরকারসহায়তা, বিশুদ্ধ পানি সবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, জাতীয় কৃষিপ্রযুক্তি, সরকারি কেনাকাটা সংস্কার—এই সাত প্রকল্পের কাজ তদারকি করবে তৃতীয় পক্ষ।
এইসব কাজে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকার বিকল্প কি কি আছে?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি ঠিক জানিনা। প্রাথমিকভাবে আমি প্রকল্পগুলি নিয়ে ইন্টারেস্টেড ছিলাম না।
দান অনুদান ঋন সব মিলে আশির দশকের তুলনায় বিশ্বব্যাংকের উপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা ১০%ও হবে না। তবু আমাদের কাঁধের উপর সিন্দাবাদের ভুত হয়ে চেপে থাকার যুক্তি কি? দুই টাকা দান করে দুইশো টাকার খবরদারি করে জনগণের পকেটে ব্যয়ভার বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোন কাজ তো চোখে পড়ে না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
শুধু মাতব্বরিই না, প্রেশার গ্রুপ হিসাবেও কাজ করে।
এই জায়গায় একটু ধন্ধে পড়ে গেলাম! একটু ক্লিয়ার করে বলুন দেখি এরা কার পক্ষে এবং কার উপর প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করে?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বড় অংকের ইনভেস্ট করেছে এমন করপোরেটের পক্ষে। কথা হয়েছে এগুলির রেফারেন্স সমসময় পাওয়া যায় না। শেভরনের জন্য সরাসরি বলেছিল মনে আছে যেটা পেপারে এসেছিল, কিন্তু পেপারের লিঙ্ক এই মুহূর্তে খোঁজে পাচ্ছি না। (পেলে লিঙ্ক দিযে যাব)
না ঠিক আছে, ক্লিয়ার হয়েছে। রেফেরেন্স লাগবে না, আইডিয়া নিতে চেয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাই, আপনার লেখা পড়ে আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের গন্ধ পাচ্ছি! তবে এইবার মনে হয়, আগেরটার চেয়েও ইফেক্টিভ করা হবে একে। বিশেষত, পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক আর গণতান্ত্রিক সরকারে মুখোমুখি অবস্থানে তথাকথিত নাগরিক সমাজ ভাল ভূমিকাই তো পালন করছে!
আপনি কি আশরাফুল ইসলামের সাথে একমত?
জটিল লাগল। আসলে আমাদের অবস্থান এমনই হওয়া উচিৎ। আমরা দরকার হলে বিদেশী দাতাগোষ্ঠী পরামর্শ নেব; কিন্তু কাজ করব নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনা খাঁটিয়ে!
এখানে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর অবদানকে মনে হয় সামান্য অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়েছে। দেখুন, আমাদের প্রাইভেট ব্যাংকগুলো কিন্তু এখন এসএমই লোন দিচ্ছে, যা আপনার কথিত আশি ভাগ নাগরিকের একটা অংশকে ঝা-চকচকে কার্পেটে পা ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে! তাছাড়া প্রাইভেট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যখন ব্যবসা প্রসারিত হয়, তখন সেখানে ঐ আশি ভাগের একটি অংশই কিন্তু কাজ পায়।
আপনার কথাটা মানছি! মালয়েশিয়া, সিংগাপুর অর্থনৈতিক উন্নতি করলেও তাদের সবসময় প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে হয়। কথাটা জাপানের ক্ষেত্রেও বোধ করি সত্য। কিন্তু আমার একটা জানার আছে আপনার কাছে; তা হল, আমার দেশের ফুটপাতে যদি উদোম গায়ে শুয়ে থাকা মানুষ আর না দেখতে হয় এবং এইটা যদি সম্ভব হয় মাথা দোলানো উন্নয়ন মডেল থেকে, তা হলে তাকে কি আপনি গ্রহণ করবেন? যদি গ্রহণ না করেন, কেন করবেন না?
বলেছেন, “আপনার লেখা পড়ে আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের গন্ধ পাচ্ছি!”
- নাহ্, এত বড় কিছু আমার মাথায় এই মুহূর্তে নেই।
বলেছেন,‘আপনি কি আশরাফুল ইসলামের সাথে একমত?’
- স্থানীয় এনজিও হলে কাজে অসম্পূর্ণতা থাকা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু না।
বলেছেন,‘এখানে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর অবদানকে মনে হয় সামান্য অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়েছে।‘
- অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়নাই। সেই লাইনটা আমি ব্যবহার করেছি অনেকটা কৌতুক করে ‘নাগরিক’ এবং ‘আম-জনতা’র মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য। রেফারেন্সটা বিদেশী ব্যাংকের জন্য দেয়া হয়েছিল (সেই সময়ে মিনিমাম ডিপোজিট সম্ভবত ছিল ৫০,০০০ – ১০০,০০০)। তবে বিদেশী ব্যাংকের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নেই। তারা নিশ মার্কেটে ব্যবসা করছে, এবং বিদেশি ব্যাংকও আমাদের এফডিআইয়ের জন্য দরকার।
বলেছেন,“এইটা যদি সম্ভব হয় মাথা দোলানো উন্নয়ন মডেল থেকে, তা হলে তাকে কি আপনি গ্রহণ করবেন? যদি গ্রহণ না করেন, কেন করবেন না”?
– সিংগাপুরের জনসংখ্যা ৫.২ মিলিয়ন যার মধ্যে মাত্র ৩.৮ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরিয়ান। বাকীদের বাইরে থেকে আসার সুযোগ দেয়া হয়েছে, দরকারে চলে যেতে হবে। বিশাল জনসংখ্যার আমাদের এই ছোট্ট দেশে সিঙ্গাপুরের মডেল কাজ করবে না। নইলে ১/১১ ই আমাদের মুক্তির পথ ছিল।
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন