শ্রাবণে শ্রাবণে

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৭/২০১৩ - ৯:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
শূন্যতার অর্থ জানো তুমি? অনুপস্থিতি মানেই শূন্যতা নয়। কাছাকাছি থেকেও কাছে না পাওয়ার হাহাকারটুকুই শূন্যতা। আমার কথা শুনে তুমি ভুবন ভোলানো হাসিটা ছড়িয়ে দিয়ে বললে, তাই বুঝি কাছে আসতে ভয় পাও? দূরত্ব নির্মাণ করে যাও, নৈকট্য লাভের আশায়! আমি বললাম, দূরত্ব কখনো নির্মাণ করা যায় না, দূরত্ব তৈরি হয়। নির্মাণ করা যায় নৈকট্য।

তুমি কিছু বলতে গিয়ে আবার থেমে গেলে। তোমার মুখের উজ্জ্বল রোদ্দুরটা কোথায় যেন হারিয়ে গেল, ওখানে মেঘের ঘনঘটা! তোমার সাথে প্রকৃতিও যেন জোট বেঁধেছে। শ্রাবণের আকাশ আজ কালো মেঘে ছেয়ে আছে। বাতাসে বৃষ্টির ঘ্রাণ ছড়িয়ে আকাশ জুড়ে মেঘেদের ছুটোছুটি। বৃষ্টির সুবাসে মন মাতাল! ‘এমন দিনে তারে বলা যায়...’। অথচ দেখো এমন মেঘমেদুর বরষায় আমাদের শব্দগুলো, কথাগুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়! এমন দিনে কিছুই বলা হয় না। বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে ফোঁটায় ফোঁটায়...। মুক্তোদানার ঝিরিঝিরি বর্ষণে ভিজে যাচ্ছে চরাচর। বৃষ্টির জলে অথবা চোখের জলে সব ঝাপসা হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে তোমার মুখটাও মিলিয়ে যায়...! খুঁজে পাই না আর তোমাকে।

২.
দূর গাঁয়ে আমার ছোট্ট কুটির। নাগরিক কোলাহলের উৎপাত নেই। আছে নীরবতার স্নিগ্ধতা! উঠোনে বেড়ে ওঠা জারুল, চালতা আর কদম গাছগুলোর সাথে আমার দারুণ সখ্যতা! বিশাল ডালপালা ছড়িয়ে গাছগুলো উঠোনে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। স্থবির। তবু কত প্রাণময় তারা! বর্ষা এলেই ফুলে ফুলে ভরে ওঠে গাছগুলো। এসব রূপ মাধুর্যে বুঁদ হয়ে অনায়াসে একটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। উথাল-পাথাল জোছনা রাতে মেঠো পথ বেয়ে চলে যাই নদীর ধারে। ছোট ছোট ঢেউগুলোতে চুমু খেয়ে যায় ঝকমকে চাঁদনী রাত। আনন্দের ঝিলিক জাগে নদীতটে। কখনো বা মেঘ নামে। চাঁদ মুখ লুকায়। তুমুল বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট-পথ-প্রান্তর সজীবতায় সিক্ত হয়। বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতি স্নিগ্ধতা ছড়ায় চারপাশে। তবু এক টুকরো শুষ্কতা টের পাই শুধু আমি! বৃষ্টিতে সব শুষ্কতা ভেজে না কেন, বলতে পারো?

তুমি বলেছিলে, ঝুম্ বৃষ্টিতে ভিজতে হয় প্রিয় মানুষটির হাত ধরে। বৃষ্টিতে যে সুর থাকে, যে কথা থাকে, যে বাসনা থাকে, তা দুজন মানুষের ভেতরে নতুন স্বপ্ন জাগিয়ে দেয়। তখন বুঝিনি, এখন বুঝি, স্বপ্নটুকু জাগিয়ে দেবার দায়িত্ব বৃ্ষ্টির, কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করে দেবার কোনো দায় নেই বৃষ্টির—সে দায়টুকু শুধু ওই দুজন মানুষের। বৃষ্টিসিক্ত স্বপ্নগুলো যদি বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যায় দূর দেশে, আর যদি না-ই ফেরে, তৃষ্ণার্ত চাতকের তৃষ্ণা মেটায় কার সাধ্যি! জলের আশায় দিন গুনতেই থাকে চাতক, তবু দিন ফুরায় না!

আজকাল প্রায়ই বৃষ্টির শব্দ পাই। বাইরে বৃষ্টি নেই, অথচ ভেতরে বৃষ্টি ঝরে...!

৩.
পাথর ছড়ানো পথে আমি বহুদূর হেঁটে গিয়েছি, পথের শেষ দেখবো বলে নয়—শুধু পথিক হব বলে। পথ আমাকে ফিরিয়ে দেয়নি। পথিক করেছে আমাকে। অথচ আমি কী দিয়েছি পথকে? কিছুই না! সবকিছুর বিনিময় হয় না। কোনো কোনো দানের প্রতিদান হয় না। অথচ মানুষে-মানুষে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিনিময়ের দৌরাত্ম্যটা প্রবল। পারস্পরিক সম্পর্ককে ঘিরে জীবনের সব লেনদেন হয়তো একদিন ফুরায়, তবু সব হিসেব মেলানো যায় না শেষ পর্যন্ত! তুমি বলেছিলে, একটা জন্ম আর কয়টা সাধ মেটাতে পারে! জীবন কখনো স্বপ্নের সমান হয় না। আমাকে তুমি শুনিয়েছিলে হুমায়ূন আজাদের সেই কবিতাটি —

‘অজস্র জন্ম ধরে আমি তোমার দিকে আসছি; কিন্তু পৌঁছোতে পারছি না।
তোমার দিকে আসতে আসতে আমার এক-একটি দীর্ঘ জীবন
ক্ষয় হয়ে যায় পাঁচ পয়সার মোমবাতির মতো।

আমার প্রথম জন্মটা কেটে গিয়েছিলো শুধু তোমার স্বপ্ন দেখে দেখে।
একজন্ম আমি শুধু তোমার স্বপ্ন দেখেছি।
আমার দুঃখ তোমার স্বপ্ন দেখার জন্যে আমি মাত্র একটি জন্ম পেয়েছিলাম।

আরেক জন্মে আমি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম তোমার উদ্দেশে।
পথে বেরিয়েই পলিমাটির ওপর আঁকা দেখি তোমার পায়ের দাগ।
তার প্রতিটি রেখা আমাকে পাগল ক’রে তোলে।
ওই আলতার দাগ আমার চোখ আর বুক আর স্বপ্নকে এতো লাল ক’রে তোলে
যে আমি তোমাকে সম্পূর্ণ ভুলে যাই। ওই রঙিন পায়ের দাগ
প্রদক্ষিণ করতে করতে আমার ওই জন্মটা কেটে যায়।
আমার দুঃখ মাত্র একটি জন্ম আমি পেয়েছিলাম সুন্দরকে প্রদক্ষিণ করার।

আরেক জন্মে তোমার কথা ভাবতেই আমার বুকের ভেতর থেকে
সবচেয়ে দীর্ঘ আর কোমল আর ঠাণ্ডা নদীর মতো কী যেন প্রবাহিত হ’তে
শুরু করে। সেই দীর্ঘশ্বাসে তুমি কেঁপে উঠতে পারো ভেবে আমি
একটা মর্মান্তিক দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে কাটিয়ে দেই সম্পূর্ণ জন্মটা।
আমার দুঃখ আমার কোমলতম দীর্ঘশ্বাসটি ছিলো মাত্র এক জন্মের সমান দীর্ঘ।

আমার ষোড়শ জন্মে একটি গোলাপ আমার পথ রোধ করে।
আমি গোলাপের সিঁড়ি বেয়ে তোমার দিকে উঠতে থাকি—উঁচুতে—উঁচুতে,
আরো উঁচুতে--; আর এক সময় ঝ’রে যাই চৈত্রের বাতাসে।
আমার দুঃখ মাত্র একটি জন্ম আমি গোলাপের পাপড়ি হয়ে তোমার উদ্দেশে
ছড়িয়ে পড়তে পেরেছিলাম।

এখন আমার সমস্ত পথ জুড়ে টলমল করছে একটি অশ্রুবিন্দু।
ওই অশ্রুবিন্দু পেরিয়ে এ-জন্মে হয়তো আমি তোমার কাছে পৌঁছোতে পারবো না।
কেনো পৌঁছাবো? তাহলে আগামী জন্মগুলো আমি কার দিকে আসবো?’

৪.
ঘনমেঘে আকাশ ভরপুর আজ। সকাল থেকেই মন কেমন করা হাওয়ায় ভাসছে চারপাশ। এমন বরষার দিনে কেন জানি বড় একলা-একলা লাগে! আকাশ ছাপিয়ে তুমুল বৃষ্টিটা যখন ঝমঝমিয়ে নামলো আমার উঠোনে, খুব ইচ্ছে হলো তোমার কাছে যাই। ঠিক এমন সময় তুমি ঝুপ্ করে নেমে এলে মুঠোফোন বেয়ে। বৃষ্টিজলে ধুয়ে যাওয়া আমার উঠোনে তখন শ্রাবণের হুটোপুটি! তুমি বললে, এইমাত্র সমুদ্ররাজ্যে পৌঁছালাম। আমার রুমের জানালাটা খুলতেই বৃষ্টিমাখা সমুদ্র যেন ঢেউ খেলে আমার ঘরে এলো! দারুণ বৃষ্টি! পুরো আকাশ বুঝি সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে! এমন সুন্দর বৃষ্টি একা একা দেখা যায় না। তোমার শহর থেকে সমুদ্রশহর, কত আর দূরত্ব! তুমি এখনই চলে এসো। মনে মনে ভাবলাম, দূরত্বটা খুবই ছোট, কিন্তু কোনো কোনো দূরত্ব কখনোই পারি দেওয়া যায় না। যতই ছুটতে থাকি, দূরত্বটাও সমান দূরত্ব নিয়েই ছুটতে থাকে...!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ছোট ছোট ঢেউগুলোতে চুমু খেয়ে যায় ঝকমকে চাঁদনী রাত- মারাত্বক রান্না। কবিতাটা আগেই পড়া ছিল (মনে হলো), তার বাইরে কেমন যেন মন খারাপ করা একটা সুর। ভাল লাগে নাই আমার। এভাবে ডাকতে নেই।।। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পাথর ছড়ানো পথে আমি বহুদূর হেঁটে গিয়েছি, পথের শেষ দেখবো বলে নয়—শুধু পথিক হব বলে

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

"মন খারাপ করা বিকেল মানেই মেঘ করেছে/ দূরে কোথাও দু এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে---"

কাব্যিক দ্যোতনায় ভরপুর লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো আর এক মেঘমেদুর বিষন্নতায় ছেয়ে গেলো অন্তর।
চলুক
-প্রোফেসর হিজিবিজবিজ

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আয়নামতি এর ছবি

বিষন্ন সুন্দর লেখা বুঝি একেই বলে! চলুক শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের 'যখন বৃষ্টি নামলো' কবিতা মনে
পড়ে গেলো লেখাটা পড়ে। এত দারুণ লেখার সাথে শিরোনামটা মানান সই হলো না যেন...

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, আয়নামতি।
শিরোনাম পাল্টে দিলাম। হলো তো! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ছন্দের ব্যাকরণ না মেনেও কী করে কবিতা হয় সেটা নিয়ে একবার আপনার আলোচনা পড়েছিলাম। তখন প্রশ্ন করেছিলেন। এবারে যেটা লিখলেন, সেটা আমার কাছে শুধু কাব্যিক নয়- কবিতা।

এবার একটু নির্মম বাস্তবে আসি। এই নির্মম বেরসিক কাঠফাটা রোদ্দুরের শ্রাবণে আপনি এমন স্নিগ্ধ দিন পেলেন কোথা? গরমে তো স্রেফ বেগুনপোড়া হয়ে গেলাম। বর্ষাকাল কি আর বাংলাদেশে আছে নাকি, বনের সবুজের সঙ্গে সেও আত্মাহুতি দিয়েছে লালসার সাগরে?

নির্ঝর অলয়

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

লইজ্জা লাগে
এতো প্রশংসা প্রযোজ্য নহে, নির্ঝর।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের লেখা ইন্টারনেটে ছাড়া কোথাও আমার পড়া হয়ে ওঠেনি। এ আমার এক বিষম ক্ষতি, ভীষণ পিছিয়ে থাকা। কিন্তু এ রকম এত অপূর্ণতা ভরা আমার এ জীবন যে এ নিয়ে আর আফশোষ করিনা। শুধু দু-হাতে কুড়িয়ে নি-ই অপরাহ্ন বেলায় যা পাই। হুমায়ূন আজাদের এই অসামান্য কবিতাটিকে আপনার লেখায় তুলে এনেছেন বলে যে অমৃতের স্বাদ পাওয়ার আমার পাওয়ার সৌভাগ‌্য হল তার জন্য কোন ধন্যবাদ-ই যথেষ্ট নয়! (অবশ্য আপনি বলতেই পারেন যে ধন্যবাদের কোন গুরুত্বই নেই, আপনি তো লিখেছেন নিজের খুশীতে! বলার নেই, কিছুই বলার নেই এই মূর্খ পড়ুয়ার।)

আপনার এই লেখার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
আমার সেই সুদূর ছোটবেলায় উত্তরবঙ্গের শহরটিতে যখন ক্লাস করতাম, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামত, জানালা দিয়ে দেখতে পেতাম টিনের চালের উপর দিয়ে পিছলে যাচ্ছে জলের ছাঁটের ঢেউ। মন উদাস হয়ে যেত। সে বয়সে বিরহ বোঝার কথা না। তাই কোথা থেকে আসা কোন বেদনার ভারে মন নুয়ে পড়ত বুঝতে পারতাম না। ফেরার পথে সারি দিয়ে থাকা কদমগাছের তলায় অজস্র ধ্বস্ত কদম মঞ্জরীর মাঝ থেকে তুলে নিতাম চার-পাঁচটি তখন-ও নিটোল গোল কদম মঞ্জরী। বাড়ি এসে খানিকক্ষণ তাদের গালে-কপালে-ঠোঁটে ছোঁয়ানোর পর তুলনায় আলগা কোনটি থেকে একটি একটি করে খুলে নিতাম সরু সরু ফুলগুলিকে। তার পর তাদের একটির মধ্যে আরেকটি গুঁজে গুঁজে বাঁকান দাগের চিত্রকল্পে লতা-ফুল-আঁকশির আভাষে অপটু সৃষ্টিকর্ম ধরে রাখতাম বই-এর পাতার ভাঁজে ভাঁজে। মাঝে মাঝে বারে বারে ছুটে যেত অসীম ধৈর্য্যে বানান কোন বালার জোড় - ঝুলতে থাকত সরু হাতের দুপাশ থেকে। আপনার লেখা পড়তে পড়তে ফিরে এল সেদিনের সেই কদম ফুলের গন্ধমাখা ভরা বরিষণ-এর স্মৃতি।
আপনার লেখার কথা বলতে গিয়ে কাহন কাহন নিজের কথা নামিয়ে বসে থাকলাম। বয়স বেড়ে গেলে এই হয়!

আপনার আগের নানা মেজাজের-স্বাদের-চেতনার লেখাগুলির কিছু, কিছু পড়ে এলাম। ভাল লেগেছে সব কটি, বলাই বাহুল্য।

পরবর্ত্তী লেখার জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় রইলাম।

- একলহমা

নির্ঝর অলয়  এর ছবি

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কম হয় বলেই তা আরো বেশি রোমান্টিক। আমি তো প্রায় বৃষ্টিবর্জিত এক ক্যাম্পাসে ছাত্রজীবন কাটিয়েছি। তবু যখন মেঘ জমতো আকাশ জুড়ে, পৃথিবীর সব আঁধার তখন নেমে আসত আমাদের বিস্রস্ত বারান্দায়। পূবালী হাওয়া, বর্ষার ধারা আর ভিরিডিয়ান সবুজের এক আশ্চর্য মিতালি।

তবে ভয়ের কথা বাংলার বর্ষা কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে। উপযুক্ত ডেটা পাচ্ছি না। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলছে বৃষ্টিপাত ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে! মন খারাপ মন খারাপ

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

লেখা পড়েছেন, এই যথেষ্ট। কষ্ট করে আবার প্রশংসা কেন এতো!
ধন্যবাদ, একলহমা।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
ইসরাত

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মনি শামিম এর ছবি

সুমিমা, আপনি এত চমৎকার করে লিখেছেন যা ভাষায় আমার পক্ষে বোঝানো অসম্ভব। আমি এক টানে পড়ে গেলাম, বিরতিহীন। আপনার লেখার ভেতর একটা বেদনার আভাস পেলাম যেন, মনে হল তা আমাকে ছুঁয়ে গেল। অনুভূতির এমন বাঙময় প্রকাশ সত্যিই মুগ্ধ করার মতন! আপনি আরও নিয়মিত কেন লেখেন না?

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

এভাবে বললে তো নিয়মিত লিখতেই হবে!
অনেক ধন্যবাদ, শামিম ভাই

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেকের মাঝে থেকেও একা হওয়া যায়। একা হতে হয়।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা আর একা!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'অর্ধেক জীবন কেটে গেছে তোমার আকাঙ্খায়,
আর বাকি অর্ধেক যাচ্ছে তোমার অপেক্ষায়।'
লেখা ভাল লেগেছে।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ধন্যবাদ, প্রৌঢ় ভাবনা।

তারেক অণু এর ছবি

পাথর ছড়ানো পথে আমি বহুদূর হেঁটে গিয়েছি, পথের শেষ দেখবো বলে নয়—শুধু পথিক হব বলে উত্তম জাঝা!

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

পথ পেরিয়ে পথ; শেষ বলে কিছু নেই।
অণুর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ তোমাকে।

শাব্দিক এর ছবি

পাথর ছড়ানো পথে আমি বহুদূর হেঁটে গিয়েছি, পথের শেষ দেখবো বলে নয়—শুধু পথিক হব বলে

পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এই অংশটুক অসাধারণ। মন্তব্যে দেখি আরো অনেকেরই হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
অদ্ভুত সুন্দর কথামালা।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

অনেকেরই দেখি পথিক মন!
ধন্যবাদ, শাব্দিক।

খেয়া'দি এর ছবি

সুমিমা, মনটাকে এমন স্নিগ্ধ, এমন স্বচ্ছ আর টলটলে রেখো।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

খেয়া'দি, এতো সুন্দর করে বললে!

আশালতা এর ছবি

স্নিগ্ধ লেখা। ভালো লাগলো। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

তোমার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম, আশালতা। হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।