অফিসে আমার পাশের টেবিলে বসে কাজ করতো উচ্ছল একটা মেয়ে। খুব ভালো আবৃত্তি করতো সে।
তার সাথে প্রেম ছিল আমাদের আরেক সহকর্মীর। সেই ছেলে ভীষণ বাকপটু। কথার জালে সবাইকে জড়িয়ে রাখতে জানে। জুটি হিসেবে তারা চমৎকার!
প্রেমের বিষয়টা তারা স্বীকার না করলেও অফিসের প্রায় সবাই জানতো। মেয়েটিকে কেউ এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে মিষ্টি একটা হাসি দিতো। ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলে গম্ভীর হয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যেতো।
একদিন সকালে অফিসে এসে মেয়েটি খুব কাঁদছে! জানলাম, তার প্রেমিক বিয়ে করে ফেলেছে; তাকে না জানিয়ে, হুট করে। এরপর থেকে মেয়েটি আর অফিসে আসে না। ছেলেটি কয়েকদিন পর অফিসে এসে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ায়। বলে, হঠাৎ করে হয়ে গেল।
মধ্যবয়সী এক সহকর্মী বলেন, এসব তো হঠাৎ করেই হয়। তা পেয়েছেন নাকি কচি একখান সুন্দরী মেয়ে!
ছেলেটি উৎফুল্ল হাসিতে সায় দেয়।
আরেক সহকর্মী গজগজ করে বলে, এরা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী, তথাকথিত আধুনিক, উদার মানুষ! আমি একদম দেখতে পারি না এমন হিপোক্রেটদের।
আমি বললাম, তাহলে আয়নাটাও এড়িয়ে চলবেন...।
‘আমার কেসটা তো আলাদা’ বলেই মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলেন তিনি।
আমার আর বলা হলো না, প্রত্যেকেরই আলাদা-আলাদা ‘কেস’।
মন্তব্য
ভালো লাগলো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
শেষের ধাক্কাটা বেশ। শুভকামনা রইল।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ, সাদিয়া।
ছোট্ট একটা চরমপত্র! দারুণ
ফাহিমা দিলশাদ
ধন্যবাদ, ফাহিমা। এমন মন্তব্যে পরম আনন্দিত হলাম।
অন্য একটা গল্পের ইঙ্গিত রেখে শেষ হয়ে গেল ছোটগল্পটি। আসলেই সবার আলাদা আলাদা 'কেস'!
চলুক।
লোক-লোকান্তর
আসলেই, অন্য একটা গল্পও আছে। পরে বলবো কখনও। ধন্যবাদ, লোক-লোকান্তর
নতুন মন্তব্য করুন