আমি কতটা সিগারেট খেতে পারি

সুমন_সাস্ট এর ছবি
লিখেছেন সুমন_সাস্ট [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৩/০৮/২০১১ - ১:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার প্রথম সিগারেট খাওয়া শুরু যখন আমি ক্লাস নাইন এ উঠি। ক্লাসে একটা ষন্ডা প্রকৃতির ছেলে ছিল। নাকের সামনে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ত। ওকে কিছু বললে মার খাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তাই মাঝে মাঝে ধোঁয়া খেয়ে মেনে নেওয়া বা ওকে এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় পাইনি।

কলেজে উঠে কিছুদিন খেলাম সবচেয়ে কাছের এক বন্ধুর সিগারেট। না, নিজ়ের ঠোটে কোনদিন সিগারেট তুলে নিব না সেটা তীব্রভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া ছিল। এবারও তাই নাকের বদৌলতেই খেতে হয়েছে। একসময় বন্ধুটাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম। তার কারণে আর খেতে হয়নি। সত্যি বলতে সে নিজেই একসময় সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিল।

ইউনিভার্সিটিতে উঠে আমি ভাগ্যচক্রে সিগারেট বঞ্চিত হয়েছি। খুব কাছের বন্ধুদের মধ্যে ধূমপায়ীর অনুপাত কম ছিলো, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠের চাপে ওরা দূরে গিয়েই তাদের কাজকর্ম সারতো। তবে দুই-একটা টা বদ টাইপ ছেলেছোকরাদের চক্করে পড়ার সৌভাগ্য যে মাঝে মধ্যে হয়নি তা না। সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথা তুললে কিছুক্ষন তর্ক করত, একসময় মুখে ধোঁয়া ছাড়তো আর একটা গা জ্বালানো হাসি জুড়ে দিত। ওইসময়ও কথা না বাড়িয়েই খেয়েছি।

ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেয়ার পর আরো সিগারেট খেতে হবে ভাবিনি। চেহারায় যেহেতু বয়সের ছাপ নেই, নিজের বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া বেশীরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই সহপাঠী মনে করে। তাই ক্যাম্পাসের খাবার দোকানে, বিল্ডিয়ের পাশে এমন অনেক জায়গায় ছাত্রদের ধোঁয়ার শেয়ারও নিতে হয়। বিরক্ত না লাগার কোনই কারন নাই, তবুও তীব্র কোন ক্ষোভ সৃষ্টি হয়নি তখনো।

ইদানিং পাবলিক যানবাহনে উঠলে তো কোন কথাই নেই, মোটামুটি গ্যারান্টিসহ উঠানো হয় যে কেউ না কেউ ধোঁয়া খাওয়াবেই। অনেকটা অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি, তাও সম্ভব হলে এড়িয়ে যাই সেটাও। বাজারে গেলে ফার্মেসি, মুদির দোকান, মাছের দোকান, সব্জীর দোকান সহ মোটামুটি সব জায়গা ধোঁয়াচ্ছন্ন পাওয়া যায়।পরিস্থিতি এমন যে, আমার দোকানে গিয়ে ডাল কেনার যতটা অধিকার, অন্যজনেরও ততটাই অধিকার দোকানটাকে ধোঁয়ায় ভরে দেয়ার। দোকানগুলোতে ঢুকলে মনে হতে থাকে আমার সিগারেট খাওয়ার লিমিট মনে হয় পার হয়ে গেছে, কিছু একটা করা দরকার। মনে হতে থাকে এটা কি ধরনের সামাজিক পরিস্থিতি হলো যেখানে সিগারেটের ধোঁয়া না খেয়ে থাকার কোন উপায় নেই।

গত সপ্তাহে একদিন রিক্সায় করে শপিং করতে যাচ্ছি। সাথে সাড়ে তিন বছরের ছেলে। যেতে যেতে আবিষ্কার করলাম নাকে সিগারেটের ধোঁয়া লাগছে। আসছে সামনের রিক্সা থেকে। মেজাজটাই বিগড়ে গেল। শেষ পর্যন্ত আমাদের রিক্সাওয়ালার কল্যাণে ধোঁয়া থেকে বাঁচা সম্ভব হয়েছে। যেতে যেতে একটু পরে দেখলাম সেই ঘটনা, যেটা দেখে আমার সহ্যের সীমাটা স্পষ্টভাবে পার হয়ে গেছে। পাশের রিক্সায় একজন মহান বাবা তার সাথে ৫/৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং নিশ্চিন্ত মনে সিগারেট ফুঁকছেন। আমার মনে হল যথেষ্ট হয়েছে। এবার অন্তত কিছু একটা করা দরকার। পরোক্ষ ধূমপান যে একটা তীব্র সমস্যা সেটা অন্তত সবাইকে বলার চেষ্টা করা উচিত। মনে হতে থাকে আগে মানুষ লজ্জা নিয়ে সিগারেট খেত, আস্তে আস্তে এটা গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়। আর এখন এটা পরিণত হয়েছে মানুষকে অত্যাচার করার একটা অস্ত্রে।

ভাবলাম ইন্টারনেটের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরীর করে তো অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধান হচ্ছে। এই ব্যাপারেও নিশ্চয় পাশে মানুষ পাওয়া যাবে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম:

“কেন স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও নিজের পছন্দমত বাতাস পাওয়ার অধিকার বঞ্চিত হচ্ছি? কেন চিৎকার করে বলতে পারছি না যে পরোক্ষ ধূমপান আর চাইনা? কেন পাশের রিক্সার জনৈক বাবাকে বলতে পারছি না তার ছেলেকে পাশে নিয়ে সিগারেট না খেতে? কেন বলতে পারছি না যে পাবলিক টয়লেটের মতই স্মোকিং রুমও চাই? কেন আইন পাশ করাতে পারছি না যে অন্য কারো নাকে ধূঁয়া গেলেই মাইর?”

বেশ ভালো পরিমাণ সমর্থন পেলাম। পরে সাহস করে একটা গ্রুপ করে ফেললাম, “পরোক্ষ ধূমপানকে 'না' বলুন, অন্যদের সচেতন করুন। (Say NO to passive smoking)”. ওখানেও বেশ সমর্থন পেলাম। এমনকি অনেক স্মোকারদের কাছ থেকেও ভাল সমর্থন পাওয়া গেল। অনেকেই ভাবছেন যে, “স্মোকাররা স্মোকিং করাকে তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার মনে করতে পারে, কিন্তু নন-স্মোকারদের ধোঁয়া খাওয়ানোটাকে অবশ্যই অপরাধের পর্যায়ে ফেলা উচিত”। আরও অনেকে মনে করছেন, “ধোঁয়া খাওয়া যেমন স্মোকারদের অধিকার, ধোঁয়া না খাওয়াটাও তেমন নন-স্মোকারদের অধিকার”। নন-স্মোকারদের (বাচ্চারাসহ) এই অধিকার রক্ষার ব্যাপারে সচেতনতাটা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা আমাদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি আস্তে আস্তে আরো অনেককেই পাশে পাবো।
সুমন_সাস্ট


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

আমার অবস্থা অনেকটা এই রকম
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/40315

মাহমুদ.জেনেভা

guest_writer এর ছবি

http://www.youtube.com/watch?v=jhK6-iq-oAQ
আমি এই লিঙ্কটা দিয়েছিলাম জানিনা কেমনে কি হল, ভুলটা মনে হয় আমিই করেছি

mahmud.geneva@gmail.com

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

ভিডিওতে গানটা ইন্টারেস্টিং। কিন্তু বাচ্চাটার সিগারেট খাওয়া ভিডিও করে দেখানোর ব্যাপারটা আপত্তিকর মনে হচ্ছে।
সুমন_সাস্ট

অপছন্দনীয় এর ছবি

অনেক অধূমপায়ীর কাছেই সিগারেটের ধোঁয়া প্রচন্ড রকমের বিরক্তিকর একটা জিনিস। চালিয়ে যান, সাথে আছি।

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ। ফেসবুক গ্রুপের লিঙ্কটা মূল লিখায় দেয়া হয়নিঃ
http://www.facebook.com/groups/199047023485551/
আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহন আমাদের এই সচেতনতা তৈরীর আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে আশা করছি।
সুমন_সাস্ট

সাইফ জুয়েল এর ছবি

একটা কথায় সহমত হলাম না। ইদানিং পাবলিক পরিবহনে ধমপান করার যে তথ্য দিলেন সেটা ঠিক মনে হলো না। পাবলিক পরিবহনে ধুমপান করতে গত কয়েক বছরে কাউকে দেখিনি। এ ব্যাপরে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে।

guest_writer এর ছবি

আপনি মনে হয় শুধু ঢাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ঢাকার বাইরে, যেমন সিলেট, চট্টগ্রাম ইত্যাদি শহরগুলোতে পাবলিক পরিবহনে ধুমপান চলে হরদম।

------------------------------------------------------------
পরোক্ষ ধুমপান করানো আর খুন করার মধ্যে পার্থক্য নাই।
-------------------------------------------------------------

আমি জানি না

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

"পরোক্ষ ধুমপান করানো আর খুন করার মধ্যে পার্থক্য নাই।" - ধন্যবাদ আমার মনের কথাটাকে অত্যন্ত সহজ এবং স্পষ্টভাবে বলার জন্য। আপনাকেও গ্রুপে সাথে পাব বলে আশা করছি।
আর হ্যাঁ, যানবাহন সংক্রান্ত সমস্যাটা ঢাকার বাইরে অনেক তীব্র, একেবারে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার উপরেই সম্পূর্ণ লিখাটা। দোকানপাঠের সমস্যাটা মনে হয় সব যায়গাতেই আছে।
সুমন_সাস্ট

guest_writer এর ছবি

@সুমন, গ্রুপে পাবি মানে কি? তোর গ্রুপের প্রোফাইল পিকচারটা কে দিল?

------------------------------------------------------------
পরোক্ষ ধুমপান করানো আর খুন করার মধ্যে পার্থক্য নাই।
-------------------------------------------------------------

আমি জানি না

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

"guest_writer (যাচাই করা হয়নি)"/"আমি জানি না" কোনটা দিয়ে যেন চেনা উচিত ছিল চিন্তিত

কেশব এর ছবি

@ সাইফ জুয়েল : ভাইরে, আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন ? আমার তো সপ্তাহের ৪-৫ দিনই গাড়িতে ঝামেলা পাকাইতে হয় বিরিখুরদের সাথে !!!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ধুমপানে বিষপান। কেউ বিষপান করতে চাইলে নির্জনে গিয়ে করুন। একা একা মরুন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

সবচেয়ে ভালো হতো সবাই ধূমপান ছেড়ে দিলে। কিন্তু ওটা হওয়ার কোন লক্ষন যেহেতু দেখা যাচ্ছে না, বরং ধূমপায়ীরা ধূমপান বন্ধ করা নিয়ে কথা বললে ব্যাক্তিগত ব্যপারে হস্তক্ষেপ মনে করেন, তাই আপাতত অধূম্পায়ীদেরকে রক্ষা করাটাই প্রথম দায়িত্ব।
সুমন_সাস্ট

তিথীডোর এর ছবি

ধূমপানে বিষপান। কেউ বিষপান করতে চাইলে নির্জনে গিয়ে করুন। একা একা মরুন।

চলুক
উদ্যোগে সাধুবাদ।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

Tanvirrajeev এর ছবি

আমি একজন ধূমপায়ী। আমি নিজেও বিষয়টা উপলব্ধি করি। ভীষণ ভাল একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। চালিয়ে যান।

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

আমাদের গ্রুপের অন্যতম সক্রিয় সদস্যদের অনেকে ধূমপায়ী। তারাও আপনার মত উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আপনাকেও সক্রিয়ভাবে পাশে আশা করছি।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

পুরোপুরি একমত, "কেউ বিষপান করতে চাইলে নির্জনে গিয়ে করুন। একা একা মরুন"।
ধুমপানকে "না" বলুন।
এম আব্দুল্লাহ

বন্দনা এর ছবি

একদমি সহ্য করতে পারিনা। মানুষজন তো পারলে মুখের উপর ধোয়া ছাড়ে। বাংলাদেশে শুনেছিলাম আইন হয়েছিল, পাব্লিকলি ধূমপান করলে ফাইন করা হবে, কিন্তু কোন প্রয়োগ দেখিনি।

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

৫০ টাকার আইনের উপর ভরসা করে লাভ নেই। আমরা যদি ব্যপকভাবে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে পারি তাহলেই সম্ভব। ধূমপায়ীদেরকে বলতে হবে "পারলে ছাড়েন, নাহলে দূরে গিয়ে কাজ সারেন"। আর অধূমপায়ীদেরকে বোঝাতে হবে, "মেনে নিয়ে অহেতুক নিজদের ক্ষতি করবেন না, ধোঁয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা একটা গুরুত্বপূর্ণ অধিকার।"

বন্দনা এর ছবি

ছবিগুলো অসাধারন। প্লিজ প্লিজ এমন সব ছবি দেখা থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

যারা ধূমপায়ী, তারা তো নিজেরাই নিজেকে ভালবাসে না। তাই নিজের সন্তানের সামনেও তারা ধূমপান করতে পারে। মন খারাপ

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

এই ধরণের ঘটনা দেখলে প্রথমে বুঝিয়ে বলুন, কাজ না হলে ঝাড়ি নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ২/৩ জন সাথে নিন। বিবেকহীন মানুষকে ঝাড়ি দিতে কার্পণ্য করবেন না।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হা হা হা, নিজের বাবাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ধূমপান করতে চেয়েছি। তাও তো কাজ হল না। মন খারাপ

guest_writer এর ছবি

সুমন, অফিসে তোমাকে বদ্ধ ঘরের মধে্য বছর খানেক ধরে সিগারেট খাওয়ানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। বাই দ্য ওয়ে, আমি নিজেই এখন আর সিগারেট খাই না।
-মেফিস্টো

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

ডাবল সারপ্রাইজ দিলেন।
১। এতদিন পরে আপনার সাথে কথা হলো, সেটাও আবার ব্লগে। আমি রুমে ছিলাম এবং আপনি নিজ উদ্যোগে কখনো রুমে খেয়েছেন মনে পড়ে না। ওই সময়ে কোন সিরিয়াস পেইন ঘটনা পাইনি। থাকলে লিখায় আসত হাসি । তবে লিখাটায় আপনাদের সচেতনতার জন্য ধন্যবাদটা দেয়া দরকার ছিল। কমেন্টে দিয়ে দিলাম।
২। আপনি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছেন। একই সাথে অবাক হলাম এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরনা পেলাম।

সুমন_সাস্ট

অন্তরালের সাকিন এর ছবি

আমাদের প্রথমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ শুরু করতে হবে স্যার ,এই ব্যাপার গুলো এখন একটি প্রধান ইস্যু হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

এককভাবে কিছু করাটা কঠিন। তাই আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের সচেতন মানুষের দলটা ভারী করতে। যাতে যে কোন পরিস্থিতিতে যে কাউকে বুঝিয়ে বলার মত যথেষ্ট লোক পাওয়া যায়। আমাদের আন্দোলনটা ধূমপায়ীর বিরুদ্ধে না, ধূয়া সম্পর্কে অসচেতনতার বিরুদ্ধে।
সুমন_সাস্ট

মৃত্যুময়-ঈষৎ এর ছবি

যেকোন ধূমপানই আমি অপছন্দ করি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হল আমার সকল বন্ধুই চেইন স্মোকার। প্যাসিভ স্মোকিং এর আরেকজন স্বীকার। বন্ধু দেখে কিছু বলিও না; মনে হয় এটাতো ওর ব্যক্তিগত ব্যপার। যাই হোক, আপনার উদ্যোগটিকে সাধুবাদ। চলুক

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

Its not a open war against smokers. Mutual understanding between smokers and non-smokers can be enough to solve the whole issue of passive smoking. Only problem here is that most of the smokers naturally are quite united in their activities and don't care about mutual understanding with lonely non-smoker. If all the non-smokers are are aware about their right and feels united along with some sensible smokers, then we will achieve the goal.

সুমন_সাস্ট

মৌনকুহর এর ছবি

আপনার প্রচেষ্টা সফল হোক।

এই লেখাটা ঝুলিয়ে দিয়ে যাইঃ বিড়ি খাবি খা, মারা যাবি যা!!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সাইফুল এর ছবি

আপনি যদি ঢাকার বাইরে থেকেন তাহলে বাসে উঠে ধুমপানের কথাটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। কিন্তু যদি ঢাকায় থাকেন তাহলে বাসে উঠে ধুমপানের যে বর্ণনা দিলেন ওটাকে ভুল বলাটা মনে হয় অতি কল্পনা হবে। আপনার ঐ বর্ণনা মিথ্যা।

ধুমপানের জন্য অবশ্যই আলাদা জায়গা রাখ উচিত পাবলিক প্লেসে। এটার মধ্যে কোন দ্বিমত নেই।

সুমন_সাস্ট [অতিথি] এর ছবি

আমি গত দুই বছর ধরে সিলেটে আছি। এখানে পাবলিক যানবাহন বলতে সিনজি, টেম্পু আর অল্প কিছু মিনিবাস। এখানে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রায়ই হতে হয়। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এমন ঘটনা ঘটে। এমনকি ট্রেনেও অনেক সময় ধোঁয়া খেতে হয়। অনেকটুকু ধোঁয়া খেয়ে, উৎস বের করে, ঝগড়া করে বন্ধ করতে করতে কাজ যা হওয়ার হয়ে যায়। ফেসবুকে ঢাকার বাইরের অন্যরাও কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। শুধু পাবলিক যানবাহন কেন, রিক্সায় গেলেও তো রক্ষা পাওয়া যায় না; সামনের রিক্সার ধোঁয়া খেতে হয়। মাঝখানে ২ বছর ঢাকায় ছিলাম, এখনো মাঝে মাঝে যেতে হয়। যতদূর মনে পড়ে ঢাকার রাস্তার ঘটনাটা একটু অন্যরকম। ওখানে বাসে সিগারেট কেউ জ্বালাতে পারে না মার খাওয়ার ভয়ে। কিন্তু রাস্তায় হাঁটার সময়, ওভারব্রিজে উঠার সময় অনেক রকম ধোঁয়া খেতে হয়, ব্যস্ততার মাঝে তাই সিগারেটের ধোঁয়াটাকে আলাদাভাবে লক্ষ্য করা সম্ভব হয় না।
সুমন_সাস্ট

দুর্দান্ত এর ছবি

সাথে আছি।

কেশব এর ছবি

অন্যদের ধোঁয়া খাইতে খাইতে আজকাল কেমন জানি অভ্যাস হয়ে গেছে, আগে যেরকম রিফ্লেক্স নিয়ে গাড়িতে ঝগড়া করতাম, আজকাল আর সেরকম করা হয়ে উঠে না, কখনও কখনও তো চুপচাপ সহ্য করে যাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।