জাফর ইকবাল স্যারের সাথে দীর্ঘ যাত্রার শুরুটা হয়েছিলো ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে। একদিন স্কুলের ভাঙ্গাচোরা লাইব্রেরি (এক আলমিরা জীর্ণশীর্ণ বই) থেকে পেয়েছিলাম ‘বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা’। বইটা দেখে মনে হলো, আরে বিজ্ঞান নিয়ে খেলাও হয় নাকি, নিয়ে দেখিতো জিনিসটা কেমন! বেশ কয়েকদিন চরম উৎসাহ নিয়ে ঐ বইয়ের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টগুলো করার চেষ্টা করে কাটিয়েছিলাম। আমার সেই বয়স এবং সেই পরিবেশের জন্যে অন্যরকম নতুন একটা অভিজ্ঞতা ছিলো ওটা।
না, তখন থেকেই আমি জাফর ইকবাল স্যারের ভক্ত, এমন দাবী করতে পারছি না। বইয়ের লেখকও যে একটা জানার ব্যাপার, সেই জিনিসটাই তখনো জানা ছিলো না। ইন ফ্যাক্ট, ভার্সিটিতে জয়েন করার পর স্যারের বাসায় গিয়ে, ওনার বইয়ের আলমিরাতে যখন ঐ বইটা আবার আবিষ্কার করলাম, তখন প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার শৈশবের সেই বিশেষ বইটা আসলে জাফর স্যারের লেখা ‘বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা’।
ওনার সাথে আমার যোগাযোগের দ্বিতীয় অধ্যায় ‘সায়েন্স ফিকশান সমগ্র-১’। সেভেন-এইটে থাকতে আমার এক বড় আপুর কাছে গল্পের বই নিতাম। উনি একদিন আমাকে এই বইটা দিলেন। নেশার মতো বই পড়ে শেষ করার যে একটা বিষয় আছে, সেটা জানলাম এই বই পড়ার সময়। তবে এই বই পড়ার সময়ও আমার মুহম্মদ জাফর ইকবাল নামের কোন চরিত্রের সাথে পরিচয় হয়নি, আমি চিনি সফদর আলী, টুকুনজিলকে। আপুদের আলোচনা থেকে একসময় জানলাম যে জাফর ইকবাল নামের একজন এই গল্পগুলো লিখেছেন। প্রথমে ভেবেছিলাম ‘নায়ক’ জাফর ইকবাল, পরে জানলাম যে এই লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভাই।
মাঝে মাঝে জাফর ইকবালের লেখা বই পেয়েছি, পড়েছি, পড়তে ভালো লেগেছে। ওনার বই পড়ে সায়েন্স ফিকশানের প্রতি একটা আগ্রহ হয়, এবং পরে অন্য সায়েন্স ফিকশান খুঁজতে গিয়ে জুলভার্ন সমগ্রও পড়া হয়। অনেকগুলো চরিত্র এবং গল্পের অনেক ভক্ত ছিলাম, কিন্তু একজন লেখকের সিরিয়াস কোন ভক্ত হওয়ার মতো পাঠক আমি তখন ছিলাম না (তাছাড়া, ‘বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা’ এবং ‘বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার’ বইয়ের লেখক যে একই মানুষ সেটাও তো আমি তখন জানতাম না - ওটা জানলে হয়তো ভক্তিটা অন্যরকম হতেও পারতো)।
যাই হোক, মুহম্মদ জাফর ইকবাল চরিত্রটি সত্যিকারভাবে আমার জীবনে প্রথম আসে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার পরে, ২০০২ সালে। শাহজালালের কম্পিউটার সায়েন্স এবং এবং জাহাঙ্গীরনগরে বিবিএসহ আরো কিছু সাবজেক্ট - এর মধ্যে কোনটাতে ভর্তি হব তা নিয়ে বেশ সিরিয়াস কনফিউশান ছিল। পারিবারিক এবং অবস্থানগত বেশ কিছু কারণে জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হওয়ার কিছু সুবিধা ছিল, আবার আমার ভাইয়ারা বলছেন আমার আগ্রহের কথা ভেবে কম্পিউটার সায়েন্স পড়াই ভালো হবে। কিন্তু সবকিছুর পাশে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা আলোচনা চলে আসছিল বারবার - অনেকেই বলছিলো, জাফর ইকবালের ডিপার্টমেন্টে চান্স পেয়েছো, ওখানে যাও। জাফর ইকবালের লেখা আমার ভালো লাগে, ওনার আশেপাশে থাকার সুযোগ পেলে হয়তো মজার অভিজ্ঞতা হবে, কিন্তু ওনার ডিপার্টমেন্টে গিয়ে কম্পিউটার শিখলে কি সুবিধা হবে সেটা তখনো আমি বুঝতে পারছিলাম না। খুব অবাক হয়েছিলাম, যখন আমি মোটামোটি শখ করে জাহাঙ্গীরনগরে ভাইবা ফেইস করতে যাই, এবং ভাইবা বোর্ডেও আমাকে শুনতে হয়েছে, তুমি জাফর ইকবালের ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছ, তাহলে আর এখানে এসেছ কেনো, ওখানেই থাকো। যাই হোক, আমার আগ্রহ, কম্পিউটার সায়েন্স, জাফর ইকবাল, সব মিলেমিশে, শেষ পর্যন্ত অনেকটা এলোমেলো ভাব নিয়েই আমার গন্তব্য হয় শাবিপ্রবি (ভাগ্যিস! শাবিপ্রবির লাইফ ছাড়া এখন নিজেকে ভাবতেই পারি না আমি!)
জাফর ইকবাল স্যার আসলে কে, এরপরে এক সপ্তাহও লাগে নাই সেটা বোঝার জন্য। বিভিন্নজনের কাছ থেকে ওনার অতীত ইতিহাসের কিছু দিক শোনার পাশাপাশি, ওনার কয়েকটা ক্লাস করাই যথেষ্ট ছিলো। মফস্বল এলাকা থেকে ইউনিভার্সিটিতে আসা ফার্স্ট ইয়ারের একটা স্টুডেন্টের চিন্তা চেতনায় যতটুকু আলোড়ন আনা সম্ভব, সেটা দুই সপ্তাহেই চলে এসেছিল। ওনার সম্পর্কে জেনে, ওনাকে দেখে শুধু ভাবি, কিভাবে সম্ভব, একজন মানুষের পক্ষে এত কিছু করা? অসাধারণ রিসার্চার হিসাবে কাজ করেছেন আমেরিকাতে, এরপর আমেরিকা ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন। এসে লিখছেন চমৎকার সব বই, কলাম, দেশের জন্য নিচ্ছেন চমৎকার সব উদ্দ্যোগ। আর শিক্ষক হিসাবে যে উনি কতোটা অসাধারণ, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। সেই ঘোরলাগা সময়ে শুধু মনে হতো, জীবনে কিছু একটা হতে চাইলে, হতে হবে ওনার মতো। সাহস করে একদিন চলে গেলাম ওনার কাছে।
ফার্স্ট ইয়ারসুলভ সরলতা নিয়ে জানতে চাইলাম, “স্যার, আপনার মতো হতে চাইলে কি করতে হবে? আমাকে বলেন, আমি আপনার কথা মতো চলবো।”
স্যার জবাব দিলেন, “তোমার স্বপ্ন এত ছোট কেন? স্বপ্ন যদি দেখতেই চাও তাহলে বড় কিছু দেখ।”
আমি মনে মনে বলি, “ওনার চেয়ে বড় আর কি হতে চাইব! কেন চাইব!” ওনাকে বললাম, “না স্যার, আমার অন্য কারো মতো হওয়ার দরকার নাই, আমি আপনার মতোই হতে চাই। আমাকে বলেন, কি করতে হবে।”
স্যার বলেন, “আমার মতো হওয়া খুব সহজ, এর জন্য তোমার তেমন বিশেষ কিছু করতে হবে না। তুমি মনযোগ দিয়ে তোমার কাজগুলো করো, তাহলেই হবে। আর আসলেই যদি খুব ভালো কিছু করতে চাও, তাহলে আরো বড় স্বপ্ন দেখ।”
আমি কিছুক্ষণ ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে ওনার চেয়ে বড় কিছুর কোন স্বপ্ন আমার দরকার নাই, আর উনি আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন দরকার আছে।
ওনার সাথে ঐদিন কথা বলার পর বুঝতে পারলাম যে আপাতত কারো মতো হওয়ার প্ল্যান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই, নিজের মতো করে কিছু কাজ করে যেতে হবে। প্রথম কয়েক সপ্তাহ মাউস কন্ট্রোল করা আর কি-বোর্ড থেকে অক্ষর খুঁজে বের করার কঠিন কাজটা শিখে, পরের কয়েক সপ্তাহে প্রোগ্রামিং জিনিসটা শেখার প্রতি আমার সিরিয়াস আগ্রহ আবিষ্কার করলাম। ডিপার্টমেন্টের অনি স্যার, বড় ভাই হিসাবে চন্দন স্যার, শিহান ভাই, বিলাশ ভাই, মাসুম ভাই এবং সুবিন ভাইদের উৎসাহে প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট করার দিকে ঝোঁকটা অনেক বেড়ে গেলো। পাশাপাশি এটাও ফিল করতে থাকলাম যে জাফর স্যারের স্টুডেন্ট হিসাবে সার্থকতা প্রমাণের জন্যে প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে ভালো করা একটা ভালো সুযোগ।
জাফর ইকবাল স্যারের ডিপার্টমেন্টে তিন বছর পার করে বুঝতে পারলাম, আমি আসলে আমার জীবনে শিক্ষক ছাড়া অন্য কিছুই হতে চাই না। তাই শিক্ষক হওয়ার সুযোগ, আর পাশাপাশি জাফর স্যারের সাথে কাজ করার সুযোগের জন্যে থার্ড ইয়ার থেকে আরো ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে আরো একটু ভালো গ্রেড পাওয়ার জন্যে সিরিয়াস হয়ে গেলাম। পাশ করার পর অবশ্য এতো সহজ হলো না জাফর স্যারের কলিগ হওয়া। দেশের রাজনৈতিক জটিলতায় অনেকদিন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে ছিলো। আমরা পাশ করার পর ২৬ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। ততদিনে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের শিকড় গজিয়ে গিয়েছে। তাই সাস্টে ফিরে যাওয়ার সময়টা যখন আসলো, তখন আমি আর আমার ওয়াইফ আলোচনা করতে বসলাম যে নিজের ইনকামটা এক রাতের ব্যবধানে অনেকগুণ কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা? কিন্তু আমাদের এক মুহুর্তের জন্যেও মনে হয় নাই যে সাস্টে না যাওয়াটা কোন অপশান হতে পারে, এবং ১ জুলাই ২০০৯ এ গিয়ে জয়েন করলাম।
এরপরে চার বছর ওনার পাশে থেকে কাজ করে, সাস্টে প্রোগ্রামিং কন্টেস্টকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ডিপার্টমেন্টের বায়োইনফরমেটিক্স রিসার্চকে নতুন মাত্রা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, সাস্টের ভর্তি পরীক্ষাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কাজ করে আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ডিজিটালাইজেশনের কাজে সাহায্য করা, কয়েকদিন পরপর স্টুডেন্টদের সুবিধার জন্যে ওনাকে দিয়ে ভার্সিটিতে নিত্য নতুন নিয়ম তৈরী করিয়ে ফেলা, স্টুডেন্টদের সাথে ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়িয়ে ওদের সার্বিক অবস্থা বুঝে ওদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করা, এরকম আরো কত কি যে চেষ্টা করেছি তার কোন শেষ নেই। চারটা বছর কেটেছে পুরো স্বপ্নের মতো - প্রতিটা মুহুর্তই কেটেছে অসাধারণ সব অনুভূতির মধ্য দিয়ে।
জাফর স্যারকে পেয়েছি শৈশব-কৈশোরের লেখক হিসেবে, পেয়েছি শিক্ষক হিসেবে, পেয়েছি শত অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে, পেয়েছি কলিগ হিসেবে, পেয়েছি একজন লিডার হিসেবে, পেয়েছি একজন গার্ডিয়ান হিসেবে, পেয়েছি একজন ফ্যামেলি ফ্রেন্ড হিসেবে, পেয়েছি আমার ছেলের 'স্যার-দাদু' হিসেবে, পেয়েছি রাজাকারবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা হিসেবে। একেকটা ভূমিকায় উনি জীবনটাকে একেকভাবে বদলে দিয়েছেন। উনি যা করেছেন, তার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানানোর কোন ভাষা আমার জানা নেই, সেই চেষ্টাও আমি করবো না। শুধু একটা কথাই বলবো, অনেক ভালো থাকবেন স্যার।
শুভ জন্মদিন।
মন্তব্য
আপনার সম্পুর্ণ কাহিনীটা পড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলা ছাড়া অন্যকিছু আর পেলাম না । পিএমই তে পড়ার সুবাদে স্যারের সাথে ভার্সিটিতে এসে খুব একটা দেখা হয়নি । তবে মজার ব্যাপার হলো স্যারের সাথে যখনই ছবি তুলেছি তখনই স্যার বেশ ভালো পোজ দিয়েছেন । স্যার অটোগ্রাফ,ফটোগ্রাফ খুব আগ্রহের সাথে তুলেন ।অসম্ভব মজার লাগে ব্যাপার টা ।
অদৃশ্য চয়ন
দ্বিতীয় পর্ব কবে আসবে?
দ্বিতীয় পর্ব , এটাকেই তো আমি ১ম এবং শেষ পর্ব ভেবেছিলাম! আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে আমার Star Wars Franchise এর মতো আগে, পেছনে, মাঝখানের ষ্টোরি নিয়ে প্রিক্যুয়েল, সিক্যুয়েল করার প্ল্যান করা উচিত, অথবা প্রতি জন্মদিনে একটা করে পর্ব।
বাই দ্যা ওয়ে, আমার লেখার অভ্যাস অনুযায়ী আপনার কমেন্টটা খুব ইন্টারেসটিং। কারণ, আমি পর্ব হিসাবে লেখা শুরু করে একাধিকবার এক পর্বেই আটকে গেছি, এখন পর্যন্ত কোন ২য় পর্ব লিখে শেষ করতে পারিনি। কিন্তু আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, এক পর্ব হিসাবে শুরু করে একাধিক পর্ব লিখাটাই হয়তো আমার জন্য যথাযত!
--
মাগো তুমি রেখো জেনে, এই আমরাই দেব এনে,
আঁধারের বাধা ভেঙে রাঙা ভোর, রোদ্দুর মাখা দিন।
http://www.youtube.com/watch?v=8OB_uPY4i4M
জাফর ইকবাল স্যারের সরাসরি ছাত্র ছিলাম না কখনোই। তবু এই জীবনে তার অসংখ্য অবদান। অনেক সময় ভাবি, স্যারকে ছাড়া আমাদের কী হতো!
শুভ জন্মদিন স্যার। অনেক ভালো থাকুন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আসলেই, অনেক কঠিন কিছু থেকেই অনেক সহজভাবে উনি আমাদেরকে আস্তে আস্তে বের করে নিয়ে এসেছেন। নাহলে, গত দুই দশকের অনেক অন্ধকার থেকেই হয়তো এখনো আমাদের বের হওয়া হতো না।
--
মাগো তুমি রেখো জেনে, এই আমরাই দেব এনে,
আঁধারের বাধা ভেঙে রাঙা ভোর, রোদ্দুর মাখা দিন।
http://www.youtube.com/watch?v=8OB_uPY4i4M
ভালো লেগেছে লেখাটা।
অফটপিক: আপনি যে শিহান ভাইয়ের কথা লিখলেন, তার নামের শেষ অংশ কি 'ফয়েজ'?
না, শিহান ফয়েজ আমার ক্লাসমেট ফ্রেন্ড । গল্পের শিহান ভাই অন্যজন, আমাদের সিনিয়র।
--
মাগো তুমি রেখো জেনে, এই আমরাই দেব এনে,
আঁধারের বাধা ভেঙে রাঙা ভোর, রোদ্দুর মাখা দিন।
http://www.youtube.com/watch?v=8OB_uPY4i4M
শুভ জন্মদিন স্যার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুভ জন্মদিন, প্রিয় জাফর ইকবাল স্যারকে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শুভ জন্মদিন স্যারকে। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা চালু করার ওঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন থেকে নারকীয় শব্দটা মুছে যাক।
নতুন মন্তব্য করুন