ছবি আঁকতে সবচে ভালো লাগে।
তুলি ছাদে বসে বসে শেষ পর্যন্ত এটা স্থির করলো।
একটু আগে তুলিকে যখন ওই বুড়ো মত লোকটা জিজ্ঞেস করছিলো, নাম কি, কোন ক্লাসে পড়ো, তুলি ঠিক ঠিক বলতে পেরেছে। কিন্তু বড় হয়ে কি হতে চাও, এ প্রশ্নের উত্তরটা তখন ও দিতে পারে নি।
লোকটা স্নেহসিক্ত গলায় প্রশ্ন করলো, কি হতে চাও মা? ডাক্তার, টিচার?
বাবা তুলির বিপদ বুঝে বলে উঠলেন, আসলে ও তো এখনো ছোট, আমরা এখনো এসব নিয়ে আলোচনা করিনি ওর সামনে।
ভদ্রলোক মাথা নেড়ে বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ তা তো বটেই, এখনো তো শিশুই।
বাবা দ্রুত বললেন, হ্যাঁ, আমরা আসলে চাই ও ওর মতো করে ভাবতে শিখুক, ওর যা করতে ভালো লাগবে, তেমনই যেন করতে পারে, জোর করে চাপিয়ে দিলে মানুষের মন তো...
ভদ্রলোক বাবার কথা শেষ করার আগেই বললেন, হ্যাঁ তা তো অবশ্যই অবশ্যই... তবে কি রঞ্জন, আমার মতে, আমাদের স্ত্রী-কন্যা দের জন্যে ডাক্তারি বা শিক্ষকতাই সবচে ভালো পেশা। দ্যাখো বাড়িতে একটা ডাক্তার বৌমা থাকলে কত সুবিধে, বয়স কালে ওরাই তো দেখবে।
আপনার বড়ছেলের বৌ তো ডাক্তার না মেসো-মশাই?
হ্যাঁ, খুব লক্ষ্মী আমার বৌ-মা, ভদ্রলোক প্রসন্নচিত্তে হাসলেন।
বাহ, শুনে খুশি হলাম, পরিচিত ডাক্তার পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার, সময়ে-অসময়ে কত দরকার পড়ে। কোথায় বসছে এখন তাহলে? বাড়ির কাছেই কোথাও?
না না, এখন ছেলে হয়েছে সংসার হয়েছে, এখন কি আর ওসব... আমি তো বলে দিয়েছি, দ্যাখো মা, নারীর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব তার স্বামী, সংসার, ছেলেপুলে। বিদ্যা অর্জন করেছ, তা বাড়ি ভর্তি রোগী তো আমরা রইলামই , হা হা হা।
ভদ্রলোকের প্রাণ খোলা হাসিতে তুলিদের দোতলার বারান্দা গম গম করে উঠলো। বাবা কি বলতে যাচ্ছিলেন সেটা আর কেউ শুনলো না, কারণ তখুনি চায়ের সরঞ্জামের ট্রে হাতে রেণু আপা বারান্দায় দেখা দিলো। বাবা, আর বাকি লোকজন সবাই নড়েচড়ে বসলেন, আর তুলি হঠাৎ খুব মনোযোগ দিয়ে টবের গাছগুলোর পাতা পরীক্ষা করতে শুরু করলো।
গাছের পাতা পরীক্ষা করার ব্যাপারে উৎসাহী হবার কারণ আছে। রেণু আপা ওকে যোগ বিয়োগের অংক করতে দিয়েছিলো সকালে। ভেতর থেকে কাকীমা একটু যেই ডেকেছে রেণু আপাকে, তুলি খাতা-পত্র নিয়ে একবারে নিজেদের বাসায়। একটু পর সিঁড়ি ঘর থেকে রেণু আপার চড়া গলার আওয়াজ পাওয়া গেলো, ‘অংক করতে দিলেই তার আর দেখা পাওয়া যায় না! তুলি!! যাবি না ছাদে বিকালে?! তখন টের পাওয়াচ্ছি দাঁড়া!’।
বিকেল বেলায় ছাদ বাদ দিয়ে যে তুলি এখন বারান্দায় বাবার লোকজনের সামনে বসে আছে, সেটার কারণ ওই রেণু আপাই। অবশ্য তুলির ভয়ের কারণ ছিলো না, রেণু আপা যেন তুলিকে দেখতেই পায় নি। মা-কাকীমা দরজার ওপাশ থেকে একটা একটা করে খাবারের থালা এগিয়ে দিচ্ছে, রেণু আপা চুপচাপ সেগুলো এনে এনে সকলের সামনে দিচ্ছে।
কিছুক্ষণ এসব দেখে টেখে তুলি আস্তে আস্তে বারান্দা থেকে সরে পড়লো। রেণু আপা কাজ করছে , এই সুযোগে তুলি ছাদে যেতে পারে।
ছাদে এসে তুলি ঘুর ঘুর করতে করতে ভাবছিলো, বড় হয়ে কি করতে ওর ভালো লাগবে। শেষ মেশ ছবি আঁকতে সবচে ভালো লাগবে বলে মনস্থির করলো।
ঘুরতে ঘুরতে গাছের সারির কাছে এসেই ভয়ে তুলির আত্মা শুকিয়ে গেল। ওখানে থমথমে চেহারা করে রেণু আপা বসে আছে। কখন এলো ছাদে, কেন এখনো ডেকে নিয়ে কানমলা দেয় নি, সেসব না বুঝলেও, কেউ রাগ করলে কেমন দেখায় সেটা তুলি ভালই বোঝে।
ঘুরে চলে আসতে যাবে, তখন চাপা গলায় রেণু আপা ডাকলো, ‘তুলি...’
তুলির কেমন কান্না পেতে লাগলো।
তুলি রেণু আপার কাছে এসে থেমে থেমে বললো, আমি বড় হয়ে ছবি আঁকবো।
রেণু আপা কি বলতে গিয়েছিলো, অবাক হয়ে থেমে গেলো, '...কী?'
আমি বড় হয়ে ছবি আঁকবো। বাবা বলেছে আমার যা করতে ভালো লাগবে আমি তাই করবো। আমি তোমার মতো ডাক্তার হবো না, টিচার ও হবো না। আমি ছবি আঁকবো। তাই আমার অংক করতে হবে না। আমার অংক করতে ভালো লাগে না।
রেণু আপা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ, তারপর বললো, ‘কাকু বলেছে এই কথা? যা করতে ইচ্ছা তাই করবি বলেছে?’
‘হুঁ’
আরো কিছুক্ষণ তাকিয়ে রেণু আপা হঠাৎ হো হো করে হেসে উঠলো।
হাসতে হাসতে বললো, ‘বড় হলে আর কি কি হবে সেসব বলেনি বুঝি?? আমি বলে দেই শোন, বড় হলে সবার আগে তোকে বিয়ে দেবে, সারাজীবন তুই আর কখনোই ছবি আঁকতে যেন না পারিস, সেই ব্যবস্থাটাই করা হবে গাধা মেয়ে কোথাকার!’
বলে বলে রেণু আপা হেসে কুটিপাটি হচ্ছিলো।
তুলি রাগে দুঃখে ভীষণ মন খারাপ করে নিচে চলে এলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো, বড় হয়ে আর যাই হোক না কেন, কখনো, কক্ষনো, রেণু আপার মতো হবে না।
ছাদের রেলিঙে হেলান দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে তুলির সাথে সাথে এই কথাটাই তখন রেণু আপাও ভাবছিলো।
বড় হয়ে আর যাই হোক না কেন, কখনো, কক্ষনো... তুলিকে যেন রেণু আপার মতো হতে না হয়।
মন্তব্য
গল্পের ধার কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে। আগের কিছু গল্প পড়ে বেশ খানিকটা ধাক্কা মতন খেয়েছিলাম, সেগুলোর তুলনায় এটা বেশ মোলায়েম।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
হু, সত্যি। আসলে ঘুরে ফিরে একই গল্প বার বার বলা হয়ে যাচ্ছে, তাই বোধহয় অনুভূতি প্রকাশের তীব্রতা লঘু হয়ে গিয়েছে। দেখি, এক গল্প আর বলা যাবে না, এই গল্পের ক্রুর চক্র ভেঙে বেরোতে হবে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সুরঞ্জনা, আপনার লেখা এমন আশ্চর্য করে কথাগুলো বলে! সেই ডানার গল্প মনে পড়ে। বারে বারে পেতে ইচ্ছে করে ওরকম লেখা। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ দিদি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আঁকার পাশাপাশি গল্প লেখা, থুড়ি চিন্তাভাবনা করা ছেড়ো না যেন দিদি, তোমাকে দিয়েই হবে
একরাশ মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুম, চেষ্টা তো করি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সুরঞ্জনা, তোমার লেখার এবং গানের যে আমি মুগ্ধ ভক্ত সে অনেক আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছি। নতুন করে আর কী বলব...
আমার খুব সৌভাগ্য আমি তোমাদের মত কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত। আমার চারপাশে এতো গুণী মানুষ দেখে আমি মাঝেমধ্যে হতবাক হয়ে যাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দিন ফাই-ফাইভ দিন। আপনাদের দেখে দেখে আমিও হতবাক। শুধু বিজ্ঞানী হলে কথা ছিলো, তারপর আবার বেহালা-বাদক। বেহালায় এসে থামলেও একটা কথা ছিলো, তারপর আবার সুলেখক।
নাহ, জীবনে সুখ বলে কিছু রইলো না আর।
ধন্যবাদ!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
চমৎকার গল্প। গল্প লিখতে গেলেই চমক তৈরী করতে হবে, ঝাঁকি দিয়ে দিয়ে পাঠককে মনে করাতে হবে গল্পের লেখক কী কুশলী লেখক---আমি এই ধারণার ঘোর বিরোধী। গল্প সহজ হতে পারে, বলার ভঙ্গী সহজ হতে পারে---তাতে গল্পের আবেদন একটুও কমে না। আসল কথা হল তুমি যে কথা বলতে চাইছ, সেটা আমরা শুনতে পারছি কি না। আমার কাছে এইটাই সবচেয়ে জরুরি শর্ত।
আর এই কথাটা মাথায় রেখে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি---সুরঞ্জনা, তোমার কথা আমরা শুনতে পেয়েছি!
আবারো ধন্যবাদ একটা সুন্দর গল্প শোনানোর জন্য।
আরো গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর-----
অনিকেত দা, আমাদের উচিত আপনাকে কেন্দ্র করে একটা ইন্সপিরেশন ক্লাব গঠন করা। সেখানে আমরা, এবং যারাই একটু দমে গিয়েছে জীবনে, তারা সবাই গিয়ে আপনার কথা শুনবে আর নতুন উদ্দ্যম নিয়ে নিজের জগতে ফিরে আসবে। এখনকার পৃথিবীতে, এর প্রয়োজন আছে।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মুগ্ধতা জানায়ে গেলাম একরাশ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু ভাই!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সুন্দর।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
অনেক ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সুন্দর!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আরে, চমৎকার গল্প! সব গল্পেরই কি একটা সারপ্রাইজ ভ্যালু থাকতে হবে নাকি? আর দেখেন, আপ্নেও কিন্তু বুঝেশুনে এমন বিয়েথা'ই করবেন যাতে গল্পটল্প লেখা ছাড়তে না হয়...
বেশি বুঝতে-শুনতে গেলে, দেখা যাবে 'বিয়েথা'টাই তখন ছাড়তে হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তা কেন? একজন ভালো দেখে গৃহক রাখেন নাহয়...
খুবই ভালো লাগলো সুরঞ্জনা আপু। সহজপাঠ্য কিন্তু গভীর। জীবনের বিভিন্ন আঙ্গিকগুলো তুলে এনেছেন লেখায়।
এরকম ভাবনা তো মনে হয় সবারই থাকে শৈশবে। মুগ্ধতা থেকে ভাবনাগুলো আসে। আবার মিলিয়ে যায়। ছোটমামা অসাধারণ তবলা বাজাতেন, একবার ভাবলাম বড় হলে তার মতো তবলচী হবো। এরপর কি যেনো একটা অপকর্ম করার পর ছোটোমামার হাতে ধোলাই খেয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম যে ছোটো মামার মতো হওয়া যাবে না। তবলচী হওয়ার স্বপ্নের ইতি। এই আর কি .............................................
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আহারে, ছোটমামার ওপর রাগ করে সুন্দর একটা বাজনার গুণ থেকে বঞ্চিত হলেন।
পড়ার, এবং মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এই টাইপের লেখা পড়তে গেলে আসলে খেয়ালই থাকে না যে এটা গল্প হলেও তা অন্তত দুটো মহাজটিল প্রক্রিয়া পার হয়ে এসেছে। এক, কাহিনীর প্লট ও বাস্তবতা আর দুই, মস্তিষ্কপ্রসূত হয়ে হাত গলে কীবোর্ডের চাপ খেয়ে তারপর দর্শকের-পাঠকের সামনে উপবেশন। এত সহজ ভাষায় জীবনের সাথে মিশে যাওয়া এমন ঘটনা পড়ার পরে হঠাৎ যখন মনে হয় এটা কারও লেখা; তখন একরাশ মুগ্ধতা ছাড়া আর কিছু আসেনা কল্পনায়।
-অতীত
এত সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করলেন, আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগবে আন্দাজ করছি।
অনেক ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সহজ সরল ভাষায় অনেক গভীর কথা বলে ফেললেন!
ভালো লাগলো খুব।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ শিমুল আপা।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সচলত্বের অভিনন্দন!
গল্পে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথী!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বাহ, চমৎকার।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভালো।
শেষ তিনপ্যারা ছেঁটে দিলে আরো ভালো হতো মনে হয়।
ধন্যবাদ সুহান!
হ্যা, হতে পারে। লেখাটায় ঝোল বেশি হয়ে গিয়েছে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সচলাভিনন্দন
গল্প সহজ করে বলা কঠিন কাজ, আপনি কাজটা ভালই পারে্ন
গল্প ভাল লাগছে তবে মনে হয় আরেকটু আটোসাটো হলে আর ভাল হত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আসলেই।
অনেক ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
গল্পের সংলাপগুলো বাস্তবের সাথে একদম খাপে খাপ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তাই? যাক বাঁচা গেলো, আমার সব সময় চিন্তা হয়, বেশি শুদ্ধ ভাষা হয়ে গেল কি না।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
কি জানেন ব্যাপারটা , রেণুর মত হতেই হবে সবাইকে। কিংবা বড় বউমার মত। অনেক তো দেখলাম , নিজেকে , অন্যদের। কই যে হারিয়ে যাই আমরা ?
অনেক ভালো লাগলো , নিজে লিখতে পারি না তো , পড়ে মনে হলো পারলে বুঝি এমনটাই লিখতাম ।
আস্তে আস্তে তো এগুচ্ছে। হয়তো একদিন, এসব গল্প অবাস্তব ঠেকবে। সেই যেন দ্রুত আসে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভাল লেগেছে গল্পটি। তবে আমি হলে এইভাবে শেষ করতাম।
অবশ্য তাতে গল্পটির নামটা বদলাতে হতো।
-নিলম্বিত গণিতক
এই সমাপনীটা সুন্দর। নাম তো বদলে দেয়াই যায়।
ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সচলাভিনন্দন সুরাপু
গল্প বরাবরের মতই দারূণ লাগলো
ধৈবত
অনেক ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এইটা সবচেয়ে সেরা লাইন। আজকাল এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যেন, মেডিকেল কলেজগুলো 'সুপাত্রী তৈরির কারখানা'।
তবে বিয়ে শাদি করে 'ডাক্তারি-মাক্তারি' করার হাত থেকে বাঁচতে চায় এমন মেয়েও দেখেছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ্যা, মুদ্রার দুটো পিঠই আছে।
জানি না মেডিকেল কলেজে পড়ুয়ারা কি বলবেন।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
গল্পটার মধ্যে সুক্ষ্ণ একটা প্রয়োজনীয় বক্তব্য রয়েছে। ওটাই সবচেয়ে ভালো লাগলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বেশ লাগল লেখাটা। আমিও তুলির মত ছিলুম এক সময়।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
চমৎকার লাগলো, সুর। এটা প্রয়োজনীয় না যে, প্রতিটা গল্পই "কৌটোর গুণ" বা "ঈর্ষা"-র মতো হতে হবে। একেক গল্পের একেক আমেজ। তুলনা করাটা আমার কাছে ঠিক বলে মনেও হয় না। এতে করে লেখকের উপর চাপ বাড়ে। তোমার স্বাভাবিক লেখাটাই লিখে যাও। কখনও এটা ভেব না যে লেখাটা আগের লেখাগুলোর তুলনায় কতটুকু ধারালো বা ম্যাড়ম্যাড়ে হলো!
এই গল্পে যে মেসেজটা দিতে চেয়েছ, সেটা দিব্যি পৌঁছে গেছে পাঠকের কাছে। এটাই গল্পের সার্থকতা। অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। সহজ-সরল ভাষায় কী সুন্দর করে সব বলে দিলে।
সচলত্ব প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন।
ইয়ে... অনেক ধন্যবাদ।
লেখা দিচ্ছেন কবে ??
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভালো লাগলো অনেক।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
অনেক ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সচলত্ব প্রাপ্তিতে অনেক অনেক অভিনন্দন সুরঞ্জনা। এমনিতে তো ঘুমিয়েই থাকেন, নতুন করে সচলকালীন শীতনিদ্রায় যাওয়ার জন্য আর শুভকামনা জানিয়ে কী হবে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক অনেক ধন্যবাদ। শীতনিদ্রা... হুম। কী করব, বুদ্ধি না পেলে লেখা আসবে কই থেকে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আপনি এদ্দিন সচল ছিলেন না?
না না, এই তো কদিন আগে মেইল পেয়েছি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
একটা ভোট নিন। কতজন ডাক্তার সখের বশে (অর্থাৎ কিনা ডাক্তারি ভালো লাগে তাই) ডাক্তারি করে, মহিলা - পুরুষ নির্বিশেষে? যার এই escape রুট তা থাকে সে কিন্তু ভাগ্যবান / ভাগ্যবতী, যার অন্নসংস্থানের চিন্তা নেই।
(ডাক্তার = সকল পেশাজীবি)
নতুন মন্তব্য করুন