ভোরবেলা দুধ দিতে এসে দুধ-ওয়ালা কথাটা রাষ্ট্র করলো।
বেদেরা এসেছে নাকি শহরে।
উর্মির মা নাশতার টেবিলে খবরটা দিলেন উর্মির বাবাকে।
উর্মির বাবা শহরের পুলিশের বড়কর্তা। হাঁই তুলতে তুলতে বললেন, ‘তাই নাকি? খোঁজ করে দেখতে হয় তাহলে। দরজা-জানালা গুলো ভালো করে দিয়ে রেখো, ওগুলোকে কোনো বিশ্বাস নেই, সব চোর-ছ্যাঁচোড়ের দল।'
উর্মি-সুর্মি খাওয়া বন্ধ করে বেদের গল্প শুনছিলো, মা ধমক দিতে আবার রুটি ছিঁড়ে মুখে দিলো।
দুপুরবেলায় ভীষণ রোদ। রাস্তাগুলো নিঝুম, কুকুরগুলো পর্যন্ত ছায়া খুঁজে নিয়ে চুপচাপ জিরচ্ছে।
উর্মিদের খিড়কি দরজার কড়া নড়ে উঠলো।
মা ঘুমোচ্ছে, কাজের লোকগুলোর কোনো সাড়া নেই। উর্মি এসে দাঁড়ালো দোতলার পেছনদিকের জানালায়, নিচে দরজার ওপাশে পাঁচিলের বাইরে একটা সাদা মতো টুপি দেখা যাচ্ছে ওপর থেকে।
‘কে?’ নিস্তব্ধতা ভেঙে উর্মির গলা শোনা গেল জোরে।
সাদা টুপিটা পিছিয়ে গেল একটু, এবার উর্মি দেখতে পেলো লোকটাকে।
সাদা মতো টুপি একটা মাথায়, কালোমতো, ভাঙা-চোরা চেহারা, লম্বা-ঝুলের একটা কালি-ঝুলি মাখা জামা গায়ে একজন বুড়ো মতো লোক, বেদে। কাঁধে একটা কাপড়ের ঝোলা, আর হাতে একটা...
উর্মি চমকে উঠলো।
ঝপ করে কোত্থেকে পাঁচিলের উপর উঠে বসলো একটা বড়-সর বাঁদর। উর্মির দিকে তাকিয়ে কেমন যেন খ্যাঁচম্যাচ করে উঠলো, বাঁদরের হাতে টিনের মগ, সেটা পাচিলে ঠুকলো কয়েকবার। বুড়ো লোকটা শব্দ করে কি বলতে বাঁদর মগ ঠোকা বন্ধ করলো। উর্মি দেখলো বাঁদরের গলায় শেকল বাঁধা, তার একপ্রান্ত ধরা আছে বুড়োর হাতে।
উর্মির দিকে চোখ পড়তে বুড়োর চোখ কুঁচকালো, মুখের ভাঁজগুলো অদ্ভুত ভাবে ভেঙে এক রকম হাসি ফুটে উঠলো মুখে। হাতছানি দিয়ে উর্মিকে ডাকলো সে, বাঁদরের দিকে ইশারা করলো। অস্ফুট স্বরে ভাঙাগলায় শোনা গেল ‘পানি...’।
‘পানি চায় বুবু’, সুর্মি এসে দাঁড়িয়েছে পেছনে কখন।
‘পানি দিয়ে আসবো?’ সুর্মি জিজ্ঞাসা করে।
উর্মি কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখে লোকটাকে, সরে আসে জানালা থেকে।
‘না।'
‘কিন্তু...’ সুর্মি বুবুর পেছন পেছন আসে ‘কিন্তু বাইরে খুব গরম না...?’
উর্মি চোয়াল শক্ত করে তাকায় বোনের দিকে। ‘তো? বাবা কি বলেছে সকালে?’
আবারো কড়া নড়ার শব্দ হয়।
‘ডাকছে যে বুবু?’ সুর্মি ভয়ে ভয়ে বলে।
‘ডাকুক।' উর্মি বিছানায় শোয় গল্পের বই নিয়ে।
সুর্মি ‘কিন্তু কিন্তু’ চেহারা করে একবার বাইরের দিকে আর একবার বইয়ের আড়ালে থাকা বোনের দিকে তাকায়।
দিন দুই পর বিকেল বেলা উর্মি-সুর্মি পাড়ার আরো কয়জন মেয়ের সাথে বেড়াতে বেরিয়েছে। হাটতে হাটতে স্কুলের মাঠের কাছাকাছি এসে দেখে এক জায়গায় বেশ জটলা হয়েছে, সোরগোল চলছে।
ভিড়ের মাঝে পাড়ার কিছু পরিচিত ছেলেমেয়ের মুখ দেখা যাচ্ছে, সুর্মিও তার বান্ধবীকে দেখতে পেয়ে আগে আগে ওদিক চলে গেলো।
একটু পরে দৌড়ে এসে বললো, ‘বুবু! ম্যাজিক! ম্যাজিক!’
কৌতূহল নিয়ে উর্মি জটলার কাছে এসে পৌঁছল।
সেই সাদা-টুপি বেদে বুড়ো লোকটা!
বুড়োর সামনে একটা চাদর পাতা, তাতে একটা বাটি রাখা। বুড়ো হাসি হাসি চেহারা করে লোকজনের দিকে তাকাচ্ছে।
একজন এসে বুড়োর সামনে রাখলো একটা কলম।
বুড়ো তার দিকে চেয়ে হাসলো, বাটিটা দিয়ে সেটা ঢাকলো, তারপর একটা কাঠি দিয়ে বাটিটায় তিনবার টোকা দিয়ে বললো ‘ফুঃ!’
বাটি সরানো হলো, কলম উধাও।
ভিড় থেকে বিস্ময়সূচক শব্দ শোনা গেল।
আরেকজন এসে বুড়োর সামনে রেখে গেলো একটা রুমাল।
বুড়ো আবারো সেই বাটি দিয়ে ঢেকে একই ভাবে রুমাল উধাও করে দিলো।
একে একে কলম, রুমাল, খুচরো পয়সা, চিরুনি, জর্দার কৌটা, চশমা এমন হরেক রকম জিনিস বুড়ো গায়েব করে দেখালো।
ভিড়ের মাঝে লোকজন খানিকটা চঞ্চল হয়ে উঠেছে এবার। গায়েব না হয় হলো, জিনিসগুলো ফেরত দেবে না নাকি?
কোত্থেকে বুড়োর সেই বাঁদর টা এসে উপস্থিত। হাতে থলে একটা। থলে থেকে একে একে গায়েব-কৃত জিনিস গুলো বার করে করে দেখাতে লাগলো সে, যার জিনিস সে এগিয়ে গিয়ে ফেরত নিলো। সব দেয়া শেষ হলে বাঁদরটা ভিড়ের উদ্দেশ্যে একটা সালাম ঠুকলো, লোকজন হাততালি দিলো। বাঁদরটা সেই থলে নিয়ে লোকজনের সামনে ঘুরতে লাগলো, লোকে তাতে পয়সা ফেললো যার যার মতো।
খেলা শেষ, জটলা ভেঙে গেলো। বাঁদর ওয়ালা তার চাদর গুটাচ্ছে।
সুর্মির খুব শখ হোলো সেও কিছু একটা গায়েব করতে দেখবে সামনে থেকে। সে কাছে গিয়ে বুড়োর সামনে একটা পয়সা রাখলো। বুড়ো সুর্মির দিকে চেয়ে, হাসি হাসি চেহারা করে বাটি দিয়ে ঢেকে পয়সা গায়েব করে দিলো।
সুর্মির দেখাদেখি তার বান্ধবীও বুড়োর সামনে রাখলো চুলের ক্লিপ। বুড়ো সেটাও গায়েব করে দিলো। সুর্মি আর তার বান্ধবী খুব খুশি।
উর্মিও তার বোনের মতো বুড়োর সামনে গিয়ে একটা পয়সা রাখলো।
বুড়ো হাসি হাসি চেহারা করে পয়সা বাটি দিয়ে ঢেকে কাঠি দিয়ে টোকা দিলো তিনবার। ‘ফুঃ!’ বলে ঢাকা সরানোর আগে সে উর্মির দিকে তাকালো।
মুহূর্তে বুড়োর হাসি হাসি চেহারা গম্ভীর হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে সে ঢাকা সরালো। পয়সা গায়েব হয় নি, যেমন ছিলো তেমনি আছে।
সুর্মি অবাক হয়ে বোনের দিকে তাকালো।
উর্মির মুখ থমথমে হয়ে উঠেছে।
সে কিছু না বলে পয়সা উঠিয়ে বাড়ির পথে হাটা ধরলো। সুর্মি তার পিছু পিছু।
বুড়ো লোকটা তার বাঁদরের শেকল ধরে আস্তে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। শেষ বিকেলের আলোর মতো এক চিলিতে হাসি তার মুখে দেখা দিয়ে আবার মিলিয়ে গেল।
পরদিন সরকারী ছুটি। নাশতার টেবিলে উর্মি-সুর্মি আর তাদের বাবা বসে। মা এটা সেটা এগিয়ে দিচ্ছে।
উর্মি খেতে খেতে বললো, বাবা, তুমি আমাকে গতবছর আংটি গড়িয়ে দিয়েছিলে জন্মদিনে মনে আছে?
উর্মির বাবা খবরের কাগজ পড়ছিলেন, চোখ না তুলেই বললেন, ‘হুম ,আছে মনে। কেন?’
উর্মি নির্লিপ্ত গলায় উত্তর দিলো, ‘সেটা হারিয়েছে।‘
সুর্মি অবাক হয়ে তাকালো, উর্মির মা বললেন, সে কি!
উর্মির বাবা কাগজ সরিয়ে মেয়ের দিকে তাকালেন।
উর্মি গড়গড় করে আগের দিনের ম্যাজিক দেখার কথা বললো। শুধু শেষে এসে ওর পয়সা গায়েব না হবার ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়ে বললো, ‘আমার আংটিটা খুলে দিয়েছিলাম গায়েব করতে, সেটা গায়েব হোলো, কিন্তু বাকি সব ফিরে এলেও ওটা ফেরত এলো না।'
সুর্মি হা করে ছিলো, কিছু বলতে যাবার আগেই টেবিলের নিচে উর্মির লাথি টের পেয়ে চুপ করে রইলো।
উর্মির বাবা অনেকক্ষণ বকলেন উর্মিকে, বোকামির জন্যে।
এরপর কিছুক্ষণ বকলেন উর্মির মা কে, মেয়ের বোকামির জন্যে।
তারপর ডেকে এনে বকলেন থানার লোকেদের, চোর-চোট্টাদের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বেড়াতে দেবার জন্যে, এরপর যত দ্রুত সম্ভব চোর ধরে আংটি খুঁজে আনার নির্দেশ দিলেন। এরপর বিড়বিড় করে আরো কাকে কাকে বকতে বকতে কাগজ পড়ায় মন দিলেন।
সন্ধ্যায় দুজন পুলিশ বুড়ো লোকটাকে টেনে-হিঁচড়ে উর্মিদের বাড়ির সামনে হাজির করলো। উর্মির বাবা উর্মিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এই সেই?’ উর্মি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো।
পুলিশ দুজন হাঁপাতে হাঁপাতে জানালো লোকটাকে তন্ন-তন্ন করে খুঁজেও কিছু পাওয়া যায় নি। এর সাথে একটা পোষা বাঁদর ছিলো, বড় যন্ত্রণা করছিলো, তাই সেটাকে কয়েকটা লাঠির বাড়ি দিয়ে থানায় বেঁধে রাখা হয়েছে।
অন্ধকারে বুড়ো লোকটাকে ভালো দেখা যাচ্ছিলো না। তবু তার সর্বত্র ক্লান্তি আর ধকলের ছাপ টের পাওয়া যাচ্ছিলো।
উর্মির বাবা একে সহ বেদেদের সবাইকে শহর থেকে একেবারে দূর করে দেয়ার আদেশ দিলেন। পুলিশগুলো যেমন এসেছিলো তেমনি টানা-হ্যাচড়া করতে করতে চলে গেলো।
উর্মি-সুর্মির মা ওদের খাইয়ে বিছানায় পাঠিয়ে দিলেন।
উর্মি কিছুক্ষণ পরই ঘুমিয়ে গেল।
সুর্মি অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঘুমোতে না পেরে বালিশ নিয়ে মায়ের কাছে চলে গেলো।
সেদিন রাতে উর্মি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলো।
দেখলো ওদের খিড়কি দরজার ওপাশে বাঁদর ওয়ালা বুড়ো বেদেটা দাঁড়িয়ে স্থিরদৃষ্টে দোতলার জানালায় ওর দিকে তাকিয়ে আছে। তার মাথায় সেই সাদা টুপি, গায়ে সেই ময়লা পোশাক। আর হাতে...
হাতে একটা কাঠি। বাঁদরটাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
উর্মির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে লোকটার চোখের দুপাশ কুঁচকে গেল। মুখের ভাঁজগুলো ভেঙে ভেঙে হাসি ফুটে উঠলো। কিন্তু এ হাসি দেখে উর্মির কেমন যেন গা ছমছম করে উঠলো।
লোকটা উর্মির দিকে কাঠিটা উঁচিয়ে ধরলো, তার হাসি আরো বিস্তৃত হোলো।
উর্মি জানালার কাছ থেকে সরে আসতে চেষ্টা করছিলো কিন্তু স্বপ্নের জানালাটা যেন কিছুতেই সরছে না সামনে থেকে..
...‘ফুঃ!’
উর্মি ঘুম ভেঙে ধরমর করে উঠে বসলো বিছানায়।
ঘর ভর্তি রোদের আলো। পাখি ডাকছে, রাস্তায় সাইকেল রিকশার শব্দ টুং-টাং, পাশের ঘরে ঝি-এর সাথে মায়ের বকবক শোনা যাচ্ছে। নিচে দুধ ওয়ালা এসে ডাকাডাকি শুরু করেছে।
উর্মি নিশ্চিন্ত হয়। স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছে নিজের ওপর রাগ হয় । ডাক দেয়, ‘মা!...’
পাশের ঘরে মা ঝি-এর সাথে কথা বলছে। বাথরুমের কলে পানি পড়ার শব্দ হচ্ছে, বাবার হাঁক-ডাক শোনা যাচ্ছে নিচে...
উর্মি আবার ডাকে, ‘মা!...মা! আই মা!’
ঘর ভর্তি রোদের আলো।
পাখি ডাকছে, রাস্তায় সাইকেল রিকশার টুং-টাং শব্দ।
সুর্মি এসে টেবিল থেকে বই নিয়ে গেলো। ঝি এসে ঝাট দেয়া শুরু করলো। মা এসে জানালার পর্দা টান-টান করে দিলো। ঝি কে বকা দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে কড়া নজরে ঝাট দেয়া পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন।
উর্মি বিছানায় বসে বার বার আকুল হয়ে ডেকে চললো, ‘মা!...মা! ওমা! মা!..., মা...!’
মন্তব্য
এরকম মানবীয় টানাপোড়েনেও যে লিখেছো তা-ই সই! ভালো হয়েছে। তুমি আমার খুব প্রিয় লেখক বলেই অসাধারণ হয়েছে বললাম না। কারণ লেখাটাতে তাড়াহুড়ার ছাপ আছে, অমনোযোগের চিহ্ন আছে। আমি জানি। লেখাটাকে তোমার মানে নিতে আরেকবার সম্পাদনা করে দিও, যদি ইচ্ছে করে। না করলে নাই।
বৈজ্ঞানিক মহোদয় নিশ্চয়ই সব দেখছেন, বুঝছেন। তবে কিনা বৈজ্ঞানিকদের সবকিছু স্বীকার করতে নেই! তুমিও নিশ্চয়ই সেটা বুঝতে পারো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ দাদা। গল্পটাতে রদবদল করতে পারলো ভালো হয় সন্দেহ নেই।
আপাতত সময় পাচ্ছি না বলে এভাবেই রেখে দিলাম। দেখি আজ রাতে বাড়ি ফিরে...
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভালো লাগলো, তবে প্রত্যাশা তুমি নিজেই বাড়িয়ে দিয়েছো সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়া কঠিন।
অটঃ অনার্য দেখি সবাইকে লেখা নিয়ে চাপাচাপি করে, পুরোই অন্যায্য সঙ্গীত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
আর প্রত্যাশা, একটা গল্প সাজাতে বসলে গলদঘর্ম হয়ে যাই।
অন্যায্য আপনাকেও ধরেছিলো নাকি। বাহ, কাজের কাজ করেছে একটা!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আমি কই সবাইরে লেখা নিয়া চাপাচাপি করি। সুরঞ্জনারে তো আমি অন্য একটা বিষয় নিয়ে চাপাচাপি করি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার খুঁতখুঁতুমি একদম নেই।
তোমার লেখা নিয়ে তো আরোই নেই। তুমি যাইই লিখো, আমার খুবই ভাল লাগে।
এইটেও লাগল। অনেক মাথা চুল্কেও কোন খুঁত পেলাম না---ক্ষমা করো!
লজ্জার সাথে আবারো স্বীকার করে গেলাম---দারুণ হয়েছে লেখাটা!
ভিন্ন প্রসঙ্গঃ আজ সচলে একের পর এক দুর্দান্ত গল্প হাজির হচ্ছে! গল্প দিবস নাকি আজকে? এট্টূ আগে বইখাতার একটা দারুণ গল্প পড়লাম--এখন তোমার। দিনটা খুব আনন্দে কাটবে মনে হচ্ছে---
অনেক ধন্যবাদ দাদা
আমার অবশ্য খুঁতখুঁতানি আছে এ গল্পটা নিয়ে। হেলাফেলা করে বানানো।
আরেকবার ভাবতে হবে দেখি...
আর হ্যাঁ, গল্প দিবস বলেই মনে হচ্ছে, অনিন্দ্যদারও নাম দেখলাম যেন প্রথম পাতায়। এখন পড়ার সময় নেই বলে আফসোস হচ্ছে। পরীক্ষা আছে, বাড়ি ফিরেই তাড়িয়ে তাড়িয়ে পড়তে হবে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এই ছেমড়ির প্রশংসা কইরেন না অনিকেত দা। আবার ডুব দিবো! ঝাড়ির উপর রাইখা যতো লেখা বাইর করতে পারেন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রথম পাতায় লেখাটার প্রিভিউ আসছে না। ঠিক করে দ্যান।
দিলাম
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব উপকৃত হলাম, গল্প বানানোর সময় সেটা নিজের কাছে স্পষ্ট থাকে বলে মাঝে মাঝে অন্যের কাছে কি কি ঝাঁপসা হতে পারে সেটা টের পাওয়া যায় না।
আপাতত পাদটীকাটা গায়েব করে দিয়ে আপনার দেখার খানিকটা সুবিধা করে দিচ্ছি। বাকীটা পরে বাড়ি এসে চিন্তা করে ঠিক করতে হবে।
এখনের জন্যে, বিদায় হে মহাভারতীয় মণিকা!!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আসলে প্রথমবার চটপট পড়ে ভালো বুঝতে পারি নি, দ্বিতীয়বার পড়ে বোধগম্য হল। তবুও ভাবলাম একটু দুষ্টুমি করা যাক।
কিন্তু পাদটীকার বক্তব্যটা ঘোটালা-ই রয়ে গেল, মনে হল চটপট সেটা মুছে দিয়ে লেখিকা কিছু এড়াতে চাইছেন...
গল্পটার অনেককিছুই বুঝলাম না। বুড়োটা কী করে পয়সাটা না সরিয়ে রেখে দিল, মেয়েটা কেন আংটির গল্পটা পাড়ল, তার ডাককে তার মা পাত্তা দিচ্ছে না কেন...
আর পাদটীকারও সবই ঝাপসা থেকে গেল। কে বৈজ্ঞানিক, কোথাকার নিঝুম দ্বীপ, তার জন্য কিসের এত মন খারাপ...
লেখিকা, প্ররোচক, অথবা কোনো সহৃদয় ব্যক্তি কিঞ্চিৎ আলোকপাত করলে বাধিত হই।
বরাবরের মতোই দারুন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
স্টোরি ভাল লাগল। (কিন্তু তোমরা সকলেই বান্দর নিয়া পড়লা নাকি?)
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বটে? আরো কেউ কেউ বান্দর নিয়ে পড়লো নাকি?
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
দারুন!
ধন্যবাদ ভাই।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এতো তাড়াহুড়ো করে লিখলে হয় সুর?
ছিল-রইলো, দিলেন-দিলেন, এই ক্রিয়াপদ গুলো পরপর পড়তে ভালো লাগেনা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আসলেই ভীষণ অযত্ন হয়েছে।
খারাপ লাগছে গল্পটা নষ্ট করলাম দেখে। ধুর।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
(গুড়)
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আচ্ছা, আমি এমনিতেও লেইটে রান করি, বের হয়েই গেছিলাম, মনে হলো গল্পকারের নাম যেন দেখেছিলাম কয়দিন আগে, নীড়ে। এখানে পাদটীকা আর কোন এক বৈজ্ঞানিকের স্মরণ ছিল নাকি? হুম্মম্ ...
যাই হোক, সচল হবার পরে সবচেয়ে দারুণ শীতনিদ্রাটা মনে হয় তুমি দিচ্ছ।
গল্পটা অত দারুণ মনে হয়নি, কারণ তোমার লেখা এর চেয়ে মারাত্মক গল্প পড়েছি। তবে এটাও মন্দ নয়, শেষের টুইস্টটা বেশি ভালো, মাঝে কিছু অংশ যেন অতিরিক্ত... তবে সেটাও তোমার অতি সংক্ষিপ্ত আকারের গল্পেও জোরে একটা ঝটকা দিতে পারার ক্ষমতাটা আছে বলেই মনে হলো হয়তো...
একটা জিনিস, 'বেদে' টার্মটা কি সাপুড়েদের জন্যেই ব্যবহার হয় না? তুমি মনে হয় জিপসি বুঝাচ্ছিলে, যাযাবর বেদুইনের (?) দল, যারা বানরের খেলাও দেখিয়ে থাকে, অন্যান্য রকমারী খেলা আর প্রদর্শনীর সাথে... অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করলে হত, বেদে টার্মটা বানরের খেলা দেখান যারা তাদের ক্ষেত্রে শুনিনি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভালো লেগেছে গল্পটা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বাহ।।। সুরন্জনা কে এখানে পা্ওয়া যাবে ভাবিনি। গল্পটা ভাল। এখন কি অবস্থা? কি কর?
নতুন মন্তব্য করুন