খবরঃ
"বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী জুবায়েরকে রোববার সন্ধ্যায় শহীদ রফিক-জব্বার হলে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। সোমবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। "
খবরঃ
"বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রলীগের কোন দায় দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না।”
খবরঃ
"Zubair was beaten and stabbed on Sunday. He died at the capital's United Hospital early on Monday from excessive bleeding from his wounds. His body bore injuries caused by sharp weapons and his right and the legs were broken. "
খবরঃ
"The authorities would not be responsible for any activities done by Chhatra League, he (Sharif Enamul Kabir) said."
খবরঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়েরকে গত রোববার পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী। গতকাল সোমবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান।
খবরঃ
"জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ছাত্রকে আজ মঙ্গলবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।"
...কিছু প্রশ্ন জাগে মনে। উত্তর গুলো জানতে ইচ্ছুক।
* যদি একজন ছাত্র মরলে তিনজনকে ডেকে পড়তে নিষেধ করে দেয়া হয়, তাহলে, একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন, নির্বোধ, পশুপ্রেমিক উপাচার্য যদি কোন কারণে মরে (মনে করুন পোষা কুকুরের কামড়েই মরলো) তাহলে তার পোষ্যগুলোকে কি কি করতে নিষেধ করা যেতে পারে?
* বধিরতার কোন পর্যায়ে, আর ক্ষমতাসীনের আসন কত উচ্চতায় হলে, হাজার হাজার লোকের সমবেত ধিক্কার শুনতে পাওয়া যায় না?
* জাহাঙ্গীরনগরের পঞ্চম সমাবর্তনে, ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশ্ মাননীয় উপাচার্যের উপস্থিতীতে সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে, আপনি উপস্থিত থাকছেন তো?
মন্তব্য
গুণ্ডাতন্ত্রের এই রক্ষক বলছে, ‘ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ডের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না’। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মনে করে থাকে এইটা ছাত্রলীগের সাংগঠিক দায়, তাইলে, সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে না কেন? সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে জাবি থেকে বহিষ্কার করেন, দায়দায়িত্বের বোধ থাকলে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নুন্যতম আত্মসম্মানবোধ এবং চক্ষুলজ্জা থাকলেও মনে হয় ভাইস-চ্যান্সেলরগিরি করা যায় না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধিক্ তাদের শতবার ধিক্।
আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছেন। হায়াত মউতের মালিক মহান আল্লাহ'তায়ালা, মানুষ তো উছিলা মাত্র!
আফসোস, বিনা দোষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর (প্রার্থনা করি তিনি দীর্ঘজীবী হউন) তিনজন সোনার ছেলের শিক্ষা জীবন নষ্ট করে দেওয়া হলো।
রিভার্স খেলেলেও ধরা খেতে পারেন মিয়া, সাবধান।
পিপিদা, রিভার্স খেলি নাই। সত্যিই মন থেকে বলেছি কথাগুলো।
ধরা আর নতুন করে খাবো কী, জন্মের পর থেকেই ধরার উপরে আছি।
মেম্বর শিক্ষা জীবন নষ্ট হওয়া কি এতই সোজা? উপর মহল থেকে রিট আসছে বলে।
হাইকোর্ট মহান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘজীবি হোন
হাইকোর্ট মহান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর (উনি দীর্ঘজীবী হউন) সোনার ছেলেরা মহত্তর এবং অধিকাংশ ভিসি একেকটা শু...... !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
কিছু সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ মনে পড়তেছে আপনার কথা শুইনা।
দ্রোহীদা, যতটুকু জানি ওদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়নি। কাগজে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কথা উল্লেখ থাকলেও সাথে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে যেগুলো দিয়ে পরবর্তীতে অনায়াসে ওদেরকে ফিরিয়ে আনা যাবে।
কী সমস্যা এদের ! "বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরিজ ছাত্রলীগ হামলা" চলছে নাকি?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মোট খুন হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত? সেই সব খুনগুলোর মধ্যে কতটির বিচার আদালতে সম্পন্ন হয়েছে এবং অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছে? জুবায়েরকে খুনের ঘটনায় কোন মামলা হয়েছে কী? শিক্ষাঙ্গনে খুন করে অপরাধী বিচার ব্যবস্থা থেকে অঘোষিত ইনডেমনিটি কী করে পেয়ে যায়, যেখানে শিক্ষায়তন পর্যন্ত অপরাধীদের সনাক্ত করতে ও বিভাগীয় শাস্তি প্রদান করতে সক্ষম হয়?
ক্যাম্পাসে সংঘটিত অপরাধ (যেমন, হত্যা, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন) নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস আছে। কিন্তু আপাত সফল আন্দোলনে বিভাগীয় শাস্তি নিশ্চিত করা ঐসব মারাত্মক সব অপরাধীদের বিচারিক আদালতে শাস্তি কি নিশ্চিত করা গেছে? এর উত্তর যদি "না" হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের আরো একটা আন্তরিক আন্দোলন (যদি হয়) ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই ঘটাবে - দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল আনতে পারবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আচ্ছা, এই ব্যাপারটা আমি বুঝি না। ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধী সনাক্তকরণ, বিচার এগুলো করার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কতোটা? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি নিশ্চিত করে বলতেই পারে কোন তিনজন হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে, তাহলে এখন থেকে যতো খুনটুন হবে, সবকিছুর জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে আন্দোলন করলেই মনে হয় লাভ। আদালত তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কতো কতো সময় নেয় নিশ্চিত করতে যে অভিযুক্তের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ অবশিষ্ট নেই। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, র্যাব, এরা দেখি তার অনেক আগেই নিশ্চিতভাবে জেনে ফেলে কে খুনী। এই 'বিচারবিভাগ আমাত্তে বেশি বুজে'ওয়ালারাই তাহলে এখন নতুন বিচার ব্যবস্থা! ওরা রায় দিয়ে দিলে আদালতে আর যাওয়া লাগে না। আদালতে যাবে কেবল অভিযুক্তরা!
আজকে যদি আমি ছাত্রলীগ করতাম, আর কোনোভাবে আমার নাম ঢুকিয়ে আমাকে আজীবন বহিষ্কার করা হতো, এর প্রতিকার কীভাবে পেতাম? সংগঠন ব্যবস্থা নিতে পারেই না, তা ভাবছি না। তবে সেটা তো আসল বিচার না। সেটা কিছুই না। আন্দোলন করে আজীবন বহিষ্কার চাইলে যদি সেটা পাওয়া যায়, আন্দোলন করে আদালতে বিচার চাইলে সেটাও পাওয়া কঠিন হবে না বলে মনে করি। কিন্তু সেটার কথা বললেই শুনতে হয়, বাংলাদেশে সেটা সম্ভব না। কিন্তু আজীবন বহিষ্কার ঠিকই সম্ভব! তারপরেও আশা করা হয় যে এই আদেশ টিকবে। আদালতে বিচার পাওয়াটা কি সত্যিই অসম্ভব?
আজ পর্যন্ত জাবিতে ছাত্রলীগ যতো অপকর্ম করেছে, এর জন্যে তাদের বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি আদালতে বিচার চেয়ে মীমাংসা করা হতো, তাহলে সেটাকে আমলে এনে ছাত্রলীগের ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়াটাও খুব কঠিন হতো বলে মনে হয় না। এখন তো হাতে কেবল আন্তরিক আন্দোলনের ইতিহাস আছে, কোনো প্রাপ্তি নেই।
কোন হত্যারই বিচার হয়নি। এমনকি ধর্ষণ এর এর দায়ে অভিযুক্ত ছিলো যে ১৩ জন তাদের ১২ জনকে দলীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চাকুরী দেযা হয়েছিলো, মানিককে দলীয় খরচে পাঠানো হয়েছিলো ইটালি, সেখানেই সে গতবছর মারা গেছে। মানিককে বহিষ্কার করা হয়েছিলো কিন্ত বিচার হয়নি তার ভাই তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি এনামুল হক শামীমের, যার প্রত্যক্ষ মদদে মানিকের এতদূর সাহস হয়েছিলো। কথা ছিলো ফৌজদারি মামলা হবে, হয়নি, যে কারণে বহিরাগত যারা এই ধর্ষণ এর সাথে জড়িত ছিলো (পুরনো ঢাকার নবাবপুরের সোহেল গং) তাদেরও কোন বিচার হয়নি।
শিক্ষক রাজনীতি যখন ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তখন আর যাই হোক বিচার প্রত্যাশা করা ভুল। ধর্ষণ এর দায়ে অভিযুক্তদের পক্ষে ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য আলাউদ্দিন আহমদ, এবং তার কাছে চিরদিনই সেটি ছিলো ষড়যন্ত্র। বর্তমনা ভিসি শরীফ এনামুল কবির এই আলাউদ্দিন আহমদেরই লোক।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে, হত্যার দায়ভার নিয়ে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করার মত শিক্ষক যে দেশে বিরল হয়ে যায় সে দেশের রাজনৈতিক লেজ নিয়ে ঘুরতে থাকা শিক্ষকদের জন্য কেবলই ঘৃণা।
যোবায়ের হত্যার বিরুদ্ধে বিএনপি সংশ্লিষ্ট মানুষের মরাকান্না দেখে ধিক্কার দিয়ে গেলাম। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কি ছাত্র হত্যা বন্ধ হবে? তখন আবার দেখা যাবে আওয়ামী লীগ মরাকান্না জুড়ে দিয়েছে।
(জামাত-শিবির বাদ দিয়ে) কোন দল না করলেই কি শিক্ষার্থীদের উপর যা ইচ্ছা তাই করা যাবে? কেন কোন দলের মিছিল মিটিং করতেই হবে, কেন প্রতিবাদ করা যাবেনা কোন অন্যায়ের? পোড়ার দেশে একটা তৃতীয় কোন সবিশেষ “বোধ” এসে সবকিছু বদলে দিয়ে যাক!
জুবায়ের ভাইয়াকে এভাবে কুপিয়ে মারল ছাত্রলীগ এর সন্ত্রাসীরা, এরপর আবারও নির্মম ভাবে খুন হবে কেউ কারন আমাদের কর্তব্বপরায়ান ভিসি শুধু মুখেই বলতে পারেন 'we are family'! আমাদের নিরাপত্তা দিতে তারা ব্যর্থ, জানিনা আমাদের আন্দলন সফল হবে কিনা। আমাদের মনেও হাজারটা প্রশ্ন, জানিনা উত্তর পাবো কিনা।
শিক্ষার্থীদের হত্যা করার বিষয়টি কেন বহিষ্কারে সীমাবদ্ধ থাকে? আর কোনো জায়গায় তো বহিষ্কার হয় না
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
শিক্ষাঙ্গনে অপরাধের জন্য এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল খোলা দরকার, যারা দ্রুততম সময়ে শিক্ষাঙ্গনে সংঘটিত অপরাধের বিচার করবেন।
একমত।
আমরা কেউ যাই আর না যাই মাননীয় রাষ্ট্রপতি ঠিকই যাবেন। ভিসি শরীফ এনামুল কবিরের খুঁটি বেজায় শক্ত, আরো যাবার সম্ভাবনা আছে উপদেষ্টা আলাউদ্দীন আহমদের ....
তবে আজ শুক্রবার বিকেল তিনটার সময় শাহবাগে থাকবো। একটা যাত্রা শুরু হয়েছে এর সবশেষটা ভালো হোক। জাবি শুরু থেকেই একটা চলমান বিপ্লবের নাম ..
নতুন মন্তব্য করুন