সাবটাইটেল দেখে থমকে গেলেন?
আপনার ভালোর জন্যই বলছি। খালি পেটে এ বই পড়তে বসবেন না। আর যদি আমার ভালোমানুষি উপদেশ অগ্রাহ্য করে পড়তে বসেই যান বইটা, পেটে খিদে নিয়েই, তাহলে আপনার বিড়বিড় করা বকাঝকা আর চিড়বিড়ে মেজাজ এর দায় কিন্তু আমি নেবো না।
সবচে ভালো হয়, যদি এখনই এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে এসে বসেন। তাহলে আমার সাথে আপনার মেজাজের একটা কমন গ্রাউন্ড (বা কাপ) থাকলো।
বই এর গল্প করতে এসে কেন এত খানা-পিনার কথা হচ্ছে ভাবছেন? বলছি একটু পড়েই।
চাকরী এবং অজ-পাড়াগাঁয়ে বাসা, দুইয়ে মিলে অর্ধেক মাস পেড়িয়ে গেলেও বইমেলায় যাওয়া হয় নি। এদিকে কিছু পিশাচ-শ্রেণীর বন্ধু-বান্ধব প্রায় প্রতিদিন বইমেলায় গিয়ে বিকট দাঁত বের করা ছবি পোস্ট করে, অথবা মেলা থেকে কেনা রাশিরাশি- ভারাভারা বই চাদরের উপর বিছিয়ে ছবি তুলে আপলোড করে। মোটকথা, অসহ্য।
গোয়েন্দা ঝাকানাকার মোড়ক উন্মোচন হবে শুনতে পেয়েই তাই সোজা ছুটি নিয়ে বইমেলা চলে গেছি।
আগেভাগেই পৌঁছে গেছিলাম, মোড়ক উন্মোচনের আগেই দেখি দোকানে থাকা সব কপি কাড়াকাড়ি করে কিনে ফেলেছে সবাই। একটু দেরীতে এসে পৌঁছনো কেউ আর কিনতেই পায়নি কিছু।
রাতে শুধু ছবি পোস্ট করেই তুষ্ট থাকতে হয়েছে, ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি বেশি না জেগে। গোয়েন্দা ঝাকানাকার সাথে ঠিকভাবে মোলাকাত হয়েছে পরদিন সকালে, অফিসে যাবার পথে। আশা করি আপনার চা ঠান্ডা হয়ে যায়নি, কারণ এই এখন শুরু হচ্ছে 'গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও এক ডজন রহস্য' নিয়ে গালগল্প।
সকালের আলোয় বইটা হাতে নিয়েই মন ভালো হয়ে গেল। দুর্দান্ত প্রচ্ছদ!
গাঢ় নীল সন্ধ্যার আকাশের গায়ে, একটা বিল্ডিং এর পানির পাইপ বেয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে দস্যু বদরু খাঁ -কে, মুখে উৎকট হাসি নিয়ে সে পোজ দিচ্ছে যেন প্রচ্ছদের জন্যে, জানালা দিয়ে উদ্বিগ্ন কিংকু চৌধারীকে সেটা বুড়ো আঙুল তুলে পয়েন্ট করে দেখাচ্ছেন চুরুট হাতে উপমহাদেশের সবচেয়ে মারকুটে আর বিখ্যাত গোয়েন্দা ঝাকানাকা। এদের পেছনে আকাশে ঝুলছে বাঁকা চাঁদ। বই এর মুদ্রণ চমৎকার, প্রচ্ছদে আকাশের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তারার ডটগুলোও দেখা যাচ্ছে!
ছবি আঁকা দেখেই বোঝা যায়, তবু বই খুলে দেখি লেখা আছে, প্রচ্ছদঃ সুজন চৌধুরী। আমাদের অতি প্রিয় সুজনদা।
বই এর ফ্ল্যাপে দেখি প্ল্যানচেট চলছে, রীতিমত ভূতের সভা বসে গেছে, তিন বিশিষ্ট জনের ভূত এসে ঝাকানাকার গল্পের সুখ্যাতি করে গেলেন। এর মাঝে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের ভূত দেখলাম আবার অনেক ইন্ডাস্ট্রিয়াস, তিনি রবি ঠাকুরের ভূতের কাছ থেকে বাংলা শিখে নিয়ে প্রশংসাবাণী লিখে দিয়ে গেছেন।
প্রচ্ছদ আর ফ্ল্যাপ দেখেই মুগ্ধ, পাতা উল্টে দেখি, সুন্দর হরফে ঝকঝকে ছাপায় উৎসর্গ বার্তা, 'অনুজপ্রতিম সুপারম্যান সামিউল ওয়াসেক "শাহেনশাহ" সিমনকে'।
মন আরো ভালো হয়ে গেল।
পয়লা ফাল্গুনের দিনে শুরু করে টানা পাঁচদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্যামে বসেই পড়ে ফেলেছি সবগুলো গল্প। বইটা শেষ করেছি বদরুর মতই বিরাট এক উৎকট হাসি মুখে নিয়ে।
গোয়েন্দা ঝাকানাকার রহস্যগল্পের আমি অপেক্ষাকৃত নতুন পাঠক, নতুন কিছু গল্প পড়া থাকলেও বেশিরভাগই পড়া হয় নি। বইতে তাই সব গল্পই প্রায় নতুন আমার কাছে।
কিন্তু ছাপার হরফে, গল্পগুলোর যেন চেহারাই ফিরে গেছে! ব্লগে যে গল্প পড়া আছে, বইতে সেগুলো পড়তে আরো অনেক উপভোগ্য হয়েছে।
এবং এর কারণও আমি ভেবে বের করেছি।
গোয়েন্দা ঝাকানাকার গল্প গুলো ঠিক আলো-আঁধারি ভরা থ্রিলার নয়, গল্পে রহস্য তো আছে বটেই, কিন্তু আরো যেটা আছে সেটা হচ্ছে একটা নিজস্ব রকমের মজলিশী মেজাজ। সত্যজিৎ রায়ের তারিণী খুঁড়োর গল্প যারা পড়েছেন তারা জানেন, ওই গল্পগুলোতে একটা আলাদা রকম আমেজ আছে। যেন চা, কিন্তু ঠিক চা নয়, মশলার ফোড়ন দেয়া সুবাসিত চা।
এই মুচমুচে কুড়মুড়ে মেজাজটা, কম্পিউটার স্ক্রিনের চাইতে হাতে ধরা বইয়ের কাগজে খোলতাই হয়েছে বেশি।
চায়ের কথা যখন উঠলোই তখন বলি কেন আপনাকে খালিপেটে বই পড়তে নিষেধ করছিলাম। গোয়েন্দা ঝাকানাকা, তার অ্যাসিস্ট্যান্ট কিংকু চৌধারী, এমনকি তাদের সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা নিত্যনতুন অভাজনদের সকলেরই মারাত্মক চায়ের নেশা! এক 'গোঁফ চুরি' গল্পেই সবাই মিলে জিজ্ঞাসাবাদের টেবিলে কয় কেতলি চা খেয়ে উজাড় করলো তার হিসেব রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তাই পড়তে পড়তে একটু পর পরই মন উশখুশ করতে থাকে চায়ের জন্য।
ইনফ্যাক্ট গল্পগুলো পড়তে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস খাবার জন্য ব্যাকুল হতে হয়। সবচেয়ে বেশি খেতে ইচ্ছে করে আচারের তেল, চানাচুর আর শসাকুচি দিয়ে মুড়িমাখা। মাঝে মাঝে বেলা বিস্কুটে কামড় দেয়ার জন্য প্রাণ ছটফট করে, সমুচা, সিঙারা, রুটি আর কাবাব তো আছেই। সবচেয়ে ঝামেলা হয় যখন মাঝরাতে হঠাৎ করে ল্যাংড়া আম বা পরোটা দিয়ে ভুটানি কবুতরের কলিজা ভুনা খাবার খায়েশে ঘুম বরবাদ হয়।
তাই বলছিলাম, বুদ্ধিমান পাঠক, ভরপেট খেয়ে, নিদেনপক্ষে দুই ফ্লাস্ক চা এবং এক প্যাকেট বেলা বিস্কুট নিয়ে গল্প পড়তে বসলে সবদিক থেকেই সুবিধা।
চা-বিস্কুটের অত্যাচার বাদ দিলে, গল্পগুলো চমৎকার। সব গল্পই সমান মানের নয়, কিছু কিছু মোটামুটি , কিছু কিছু ভালো, আর বেশ কয়েকটা দুর্দান্ত ভালো গল্প আছে। আমার খুব, খুব পছন্দের লিস্টে আছে 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হাফমজুর হত্যা রহস্য', 'গোঁফ চুরি রহস্য', 'অজ্ঞান পার্টি রহস্য', 'গোয়েন্দা বদরু খাঁ ও ফেডারেল বিটকেল ইউনিয়নে জাল ভোট রহস্য', 'জাঙ্গিয়া (আহেম!) রহস্য' এবং ' পিসুনচ্ছাড় (আহেম আহেম!) রহস্য'।
এক এক গল্প এক এক কারণে বেশি পছন্দ, কিন্তু দুটো গল্প পছন্দ হবার পেছনের কারণ উল্লেখ করতে ইচ্ছা করছে। 'গোঁফ চুরি' গল্পটা পছন্দ এটার বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনার জন্যে। হাসিঠাট্টার মাঝেই চমৎকার করে ধরা পড়ে গেছে আপাতদৃষ্টে সৎ/মহৎ প্রতিষ্ঠানের বড় ধরণের পুকুর চুরির একটা উদাহরণ। এমনকি আশেপাশের অতি সরল 'অসৎ সনাক্তকরণে অপারগ' ব্যক্তিদের জন্য গল্পটা একরকম 'ইন্ট্রোডাকশন টু সুবিধাবাদী পলিটিক্স' হতে পারে।
মিস্টার এবং মিসেস হাফমজুর হত্যা রহস্য পছন্দ হবার পেছনে আলাদা করে কোন কারণ লাগে না, সঙ্গীতের প্রতি খানিকটা ভালোবাসা থাকলেই এ গল্প পছন্দের তালিকায় উঠতে বাধ্য। গল্পের একটা চরিত্রের সাথে আমি এতই সহমত যে গল্পে 'শরিয়তুন্নেসা টাইফুন' এর নাম পাল্টে 'সুরঞ্জনা হক' লিখেও দিব্যি চালিয়ে দেয়া যাবে।
ঝাকানাকা আর কিংকু চৌধারীর কথাবার্তা অনেক শুনতে পাওয়া গেলেও, বদরুর ব্যাপারে কৌতূহল খুব সহজে মেটানো যায় না। বদরু খাঁর চরিত্র খানিকটা বোঝা গেছে বই এর শেষ গল্প 'জাঙ্গিয়া (আহেম!) রহস্য তে এসে। আশা করি এর পরের গল্পগুলোতে বদরুর বদ বুদ্ধিগুলোর কিছু কিছু তার নিজ মুখেই শুনতে পাওয়া যাবে।
দেখেছেন, আপনার চা ঠান্ডা হতে হতে শেষ ও হয়ে গেল অথচ আমি বইটার আসল বৈশিষ্ট্য নিয়েই কিছু বললাম না এখনো!
বইয়ের সবচাইতে আকর্ষণীয় উপাদান হচ্ছে, এর ঝাঁঝালো হাস্যরস।
আপনার রসবোধ সূঁচের মত সূক্ষ্ম হোক, বা কোদালের ফলার মত স্থূল, সে ধারেই কাটুক বা ভারেই, গল্প পড়ে হাসতে আপনাকে হবেই। রসবোধ না থাকলে অবশ্য আলাদা ব্যাপার, সে ক্ষেত্রে রসের সন্ধান খেঁজুর গাছের কাছে করাই শ্রেয়।
বহু কথার পর যে কথাটা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে, বইটা দেখতে হয়েছে খুব সুন্দর। বাংলায় পেপারব্যাক এর আগে পড়িনি, এটা দারুণ হয়েছে। ছাপার মান অত্যন্ত ভালো, যদিও বেশ কিছু টাইপো আছে, তাও বই সাজানোর ক্ষেত্রে মনোযোগ আর যত্নের ছাপ চোখে পড়ে। সুন্দর একটা বই পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য লেখক, প্রকাশক, অলঙ্কারক, সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
শেষ করি বই এর উপক্রমণিকা থেকে এক লাইন উদ্বৃত করেঃ
ছোটো-বড় সকল পাঠক-পাঠিকাকে ঝাকানাকার উদ্ভট রহস্যের জগতে স্বাগতম।
[পুনশ্চঃ গল্পের নামে যে রহস্য আছে, সেটা কিন্তু আমি ভেদ করেছি। ]
মন্তব্য
পেট খালি, তাই কমেন্ট করে গেলাম
আমি কিন্তু পড়ি নাই
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
বেশ করেছেন না পড়ে, অভিশাপের লিস্টে একটা কম আছে ধরে নিচ্ছি
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
facebook
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
"মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হাফমজুর হত্যা রহস্য'"- এই গল্পটা পড়েছি।
গেল জানুয়ারি মাসে দেশ থেকে একজন এসেছিল তার কাছ থেকে রহস্য পত্রিকাসহ বেশ কিছু বই আনিয়েছিলাম, সেখানে হিমু ভাইয়ের এই গল্পটা আর অনুদার ভ্রমন কাহিনী ছিল।
গল্পটা আসলে দারুন, ফাটাফাটি।
আমি গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও (একটা কম হবে)একডজন রহস্য পড়তে না পারলেও বই আমার বাসার বুকশেলফে শোভা পাচ্ছে।একবার খালি দেশে যাই অথবা দেশ থেকে কেউ আসুক শুধু
এইগুলান সব কি লিখলেন সুরঞ্জনাদি
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এইটুকু এক প্যারা পড়েই এমন কান্না! গল্প পড়লে কি করবেন!
রহস্য ভেদ করতে দেখছি আপনিও পটু
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
একটু আগে মিসেস হাফমজুরের গানের কথা মনে পড়ল।
আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।
আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ইংরেজি ভক্তিমূলক গান-টান মনে পড়লো নাকি?
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
-এই অংশটুকু লেখা থেকে বাদ দেবার জন্য মডারেটর বরারবর অনুরোধ থাকল। এই অংশটা আমার নাজুক 'খাদ্যানুভূতি' আর 'পেটানুভূতিতে' আঘাত করেছে
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
সতর্কবার্তা টাঙিয়ে রেখেছি কি সাধে?
এই জন্যই বলে ভাবিয়া করিও কাজ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অনলাইনে রিলায়াবল কোথায় থেকে পাওয়া যাবে, জানান।
আমি জানাই, ডিয়ার পিপিদা?
লিংক এখানে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বই কিনে ঢাকায় পাঠায়া কি করব? বাংলাদেশের বাইরে কোথাও পাঠানোর সিস্টেম দেখলাম না। দেশের নামের জায়গায় শুধু বাংলাদেশ!
পরে প্রোফাইলে গিয়ে ডেলিভারি ঠিকানা দিয়ে ট্রাই করলাম। পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করলাম ভিসা (যদিও আমি এই সাইটে আমার কার্ড ইনফরমেশন দিব না), এর পর কন্টিনিউ করার পর এই এরর আসলো।
সাইটের এডমিনের কাছেও এই মন্তব্যটি পাঠিয়েছি। দেখা যাক কী হয়।
ই-বই পাওয়া যাবে? বইদ্বীপ বা এরকম সাইট থেকে যেখানে পেপালে কেনা যায়?
ওহ, আমি অবশ্য ভাবছিলাম রকমারী থেকে বুঝি দেশের বাইরেও কেনা যায়!
একটা ভালো বুদ্ধি আছে অবশ্য। সরাসরি লেখক সাহেবকে ধরা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখককে ধরলে তো অটোগ্রাফ সহই পাওয়া যাবে কিন্তু পাবলিশারের কী হবে তখন!
রকমারীডটকম থেকেই কিনতে পারবেন। দু'মাস হলো রকমারী সারাবিশ্বে বই সরবরাহ শুরু করেছে। কারিগরী কাজ চলছে, অচিতেরই ড্রপ ডাউন লিস্টে বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী, প্রোভিন্স/স্টেট/সিটি চলে আসবে। তার আগ পর্যন্ত ম্যানুয়ালি ঠিকানা দিলেই চলবে। ড্রপ ডাউনের যে অংশটুকু যোগ হয়ে যায় ঐটুকু বাদ দিয়ে শিপিং এড্রেস কনফার্ম করবে তারা। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে পেমেন্টের জন্য তারা কারেন্সি ঠিক করে দেবে। যার যার কার্ডের কারেন্সি অনুযায়ী প্যামেন্ট করা যাবে। তখন অটোমেটিক তার বিল ঐ কারেন্সিতে কনভার্ট হয়ে যাবে।
রকমারীর কর্মকর্তা রানার একটি মন্তব্যকেই আমি আমার মতো করে এখানে উপস্থাপন করলাম তার অনুমতি নিয়ে। আরো তথ্য প্রয়োজন হলে
ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এডমিনকে মেইল দিয়েছিলাম। সেটাই কপি করে আপনার দেয়া ঠিকানায় পাঠাচ্ছি। ধন্যবাদ, নজু ভাই।
অপেক্ষায় নাজির। যেদিন হাতে এসে পৌঁছাবে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
স্কুলে থাকতে বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে দেয়ালে লেখা দেখতাম-"অপেক্ষায় আছি, নাজির"
এই নাজির কে এবং কিসের অপেক্ষায় ছিলেন কারো কি জানা আছে? অনেকজন কে জিজ্ঞেস করেছি কেউ বলতে পারেনি, কিন্তু ঝান্তে মুঞ্ছায়।
স্বপ্নদা আপনার কি জানা আছে?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
'কষ্টে আছি আইজুদ্দিন' এর ঘটনাটা কি সেটাও জানতে ইচ্ছা করে
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
কয়েকটা তো সচলে আগেই পড়া। তারপরেও শুনলাম সুজন্দার জন্য পাঠাইছেন এক কপি, হাতে পাইলেই এক কাপ চা নিয়ে বসে পড়ব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একটা ফ্লাস্ক নিয়ে বসলে কাজে দেবে
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তাইলে তো ফেলাক্স কিনতে হইব!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার বাসায় চায়ের ফ্লাস্ক নাই!! আপনি বেঁচে আছেন কিভাবে!!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আমি কেমন করে বেঁচে আছি, আপনি এসে দেখে যান, সুরঞ্জনা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খাড়ান, পড়ে লই... আমিও লিখুম এইরকম রিভিউ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
গ্রন্থ-আলোচনা ভালো লেগেছে।
বিদেশ থিকা অটুগিরাফ সহ বই পাওয়ার হদিশ চাওয়ায় এই লেখক আমারে কইছিল সূর্যের দিকে তাকায়্যা মার্তন্ড, মার্তন্ড কয়্যা যাইতে আর তারপর বিরিঞ্চিবাবা দিয়া ধাওয়াইছিল । মনে হইছিল, এনার দুর্গে গিয়াই সংগ্রহ করণ লাগব। কিন্তু পিপি-দাদা আবার পাবলিশারের ভাতের ব্যাপারটা খিয়াল করায় দিলেন। নাঃ, অটুগিরাফ বাদ। রকমারী-তেই ঢুঁ মারি বরং।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অবশ্যই রকমারি তে ঢুঁ মারবেন, আর শোধ নিতে একটা গ্রন্থালোচনা নামিয়ে ফেলবেন
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অনেক ধন্যবাদ, সুরঞ্জনা, এই গ্রন্থালোচনাটির জন্য। যারা এখনো বইটি পড়েননি, তাদের উদ্বুদ্ধ করবে এই চমৎকার রিভিউটি।
পাশাপাশি বইটা প্রকাশিত হওয়ায় হিমু ভাইকেও অভিনন্দন জানিয়ে রাখছি!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আপনি এত দুর্দান্ত আঁকেন কিভাবে! প্রচ্ছদ আর অলঙ্করণ এত সুন্দর হয়েছে!!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সময়ের অভাব অথচ বইটি নিয়ে আগ্রহ চূড়াতে থাকায় অফিসে চুরি করে পড়া শুরু করেছি । মাত্র একটা গল্প পড়ে শেষ করলাম, সেটাতেই দারুন হাসির হাসির রসদ পেলাম।যেমনৎ
এ্যাপারন্টমেন্টের নাম নমরুদ প্যালেস ।
বইয়ের পেছনে লেখক পরিচিতি টাও দারুন।
মাহবুব আজাদ (১৯৮০)
গল্পকার ও স্যাটায়রিষ্ট।
নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে
উচ্চশিক্ষার্থে জার্মানিতে আছেন।
এইবার বইটি কিনে ফেলুন ।
মাসুদ সজীব
কোট যখন করলেনই, আমিও একটা করি ঃ
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তবে বইয়ের কাভার আরেকটু মজবুত হলে ভালো হতো, কারন পাঠ্য বইয়ের মতো যে কাভার দিয়েছে তাতে কয়েকদিনের মাঝে সেটা ভাজ পড়ে যাবে, আমার তো ইতিমধ্যে ভাজ পড়ে গেছে। নতুন আর নতুন থাকে না
মাসুদ সজীব
আমার অবশ্য এই মলাটই পছন্দ, ইংরেজি বইগুলো পেপারব্যাকেই বেশি চলে, আমরা এখনো শক্ত বাধাই এ অভ্যস্ত হয়তো, কিন্তু বহন করার জন্য এটাই সুবিধাজনক লাগে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ক্লাসিক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
য়্যাকদম।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
যেমন বই , তেমনি তার আলোচনা - চরম উপাদেয়
____________________________
উপাদেয় লাগলো? তারমানে আপনিও পেটুক সম্প্রদায়ভুক্ত, আপনাকে সিঙারা-সমুচার শুভেচ্ছা!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
লিখার গুণেই কিনা জানিনা ঝাকানাকার একটাও গপ না পড়েও সিনেমায় দেখানো মাথায় বাড়ি খাওয়া মানুষের মত
বলতে হলুনা, আমি কে! আমি কোথায়?? দারুণ মিষ্টি করে লিখেছেন আপনি। হায় আফসোসে ভুগতে হবে অনেকদিন।
কারণ সচলের তিন লেখকের তিনটা বই যিনি অনেক দয়া দেখিয়ে কিনে দিয়েছেন(সেই বইগুলোও যে কবে নাগাদ হাতে পাবো খোদাই জানেন।) তারপক্ষে মেলায় গিয়ে ঝাকানাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি :(। রকমারির ভীনদেশে বই পাঠানোর কার্যক্রমটা জলদি চালু করা হোক। নাকি ওটা চালুই আছে আমি জানিনা?
পেয়ে যাবেন আশা করি, আর পড়লে বুঝবেন, গল্পের কাছে বর্ণনা নস্যি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বইয়ের কাগজটা একটু অন্যরকম হলে ভাল হত!
বইটা চমৎকার হইছে স্যাম ভাই, অল্প কয়টা টাইপো বাদ দিলে, দুর্দান্ত।
'লাইনে আসুন' এর কাগজের রং আর মান আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। ওটার প্রেজেন্টেশন ও মারাত্মক হয়েছে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
গ্রন্থালোচনা অতি উপাদেয় লাগল, তবে বেশীর ভাগ প্রবাসীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রিভিউ পড়েই আপাতত কাটিয়ে দিই...
আমার মতে হিম্ভাই-এর এযাবৎকালের সেরা সৃষ্টি হলো "প্রবাসে দৈবের বশে" সিরিজ।
এই সুযোগে উনার কাছে এই সিরিজ নিয়ে একটি বই বের করার দাবি জানিয়ে গেলাম।
(এতোটুকু বুঝতে পারছি যে "প্রবাসে দৈবের বশে - ০৬১ নং পর্ব" আর কখনোই আসছেনা)
---------------
বাপ্পীহায়াত
হিমু ভাই এর বর্ণনা চমৎকার। ওনার প্রথম বই যেটা প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে 'নিদপিশাচ' নামে একটা গল্প আছে। আমার কাছে ওটা এখনো পর্যন্ত হিমু ভাই এর লেখার মাঝে সবচেয়ে প্রিয় গল্প।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এখনো নেয়া হয় নি। ২৮ তারিখ বগলদাবা করে বাড়ি ফিরব
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
কাল বা পরশু গেলে পাবো তো?
------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আরাম করে জমিয়ে পড়বো বলে বালিশের পাশে রেখে দিয়েছি।
বইটার ছাপা বাধাই, দারুণ হয়েছে।
প্রচ্ছদটাও মারাত্মক!!!
নতুন মন্তব্য করুন