দুধের রং সাদা, এটা হচ্ছে সত্য। শেখার সময় এটাই শিখবো। দুধটা সাদা গরুর, নাকি কালো গরুর, সেটা আলোচ্য বিষয় না!
এটাও আলোচ্য বিষয় না, দুধের সঙ্গে স্ট্রবেরী মিশিয়ে, না আঙ্গুর মিশিয়ে কী রং বানানো হয়েছে!
সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান, মাহমুদুর রহমান, আপনি খেপে উম্মাদ হয়ে গেলেন কেন? মে আই আস্ক, হোয়াটস য়্যুর প্রবলেম, স্যার? সমস্যাটা কী আপনার?
মাহমুদুর রহমানকে নাকি সিপিডি’র মঞ্জুর এলাহী রাজাকার বলেছেন।
৯ আগস্ট, ০৬-এ দৈনিক ইত্তেফাকে সেন্ট্যাল ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর উদ্ধৃতি দেয়, ‘···মাহমুদুর রহমানকে অনেকে রাজাকার বলেন’।
মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রমানসহ দেখিয়ে দিচ্ছি, আমি রাজাকার ছিলাম না। আমার নামে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আমাকে রাজাকার বা কোলাবরেটর বলায় বিদেশী বিনিয়োগকারী কি ভাববে’?
৯ আগস্ট, বুধবার মাহমুদুর রহমান ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির হয়ে সিপিডির বিরুদ্ধে একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেন। আদালত থেকে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী হয়। পরে তাঁরা আগাম জামিন নেন।
আহ-হা, মাহমুদুর রহমান তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, রাজাকার ভালো একটা পদবী না; যে পদবী থাকলে বিদেশে ভাবমূর্তির সমস্যা হয়।
অন্যায়ভাবে কেউ রাজাকার বললে গায়ে আগুন ধরে যায়! যায়, না?
আপনার দলের মাথার উপরে যখন রাজাকাররা বনবন করে ছড়ি ঘুরাচ্ছে, সেখানে আপনি রাজাকার শব্দটা ভারী অপছন্দ করেন, বেশ-বেশ!
কী কান্ড, দেখেন দেখি, নোংরা আবর্জনাটা নিজের উপর পড়লে বুঝি ভালো লাগে না? তখন রাজাকার শব্দটা কুৎসিত গালি মনে হয়?
আলোচ্য বিষয় এটা না, মঞ্জুর এলাহী আসলে বলেছেন, কি বলেন নাই মাহমুদ রহমান কি আসলেই রাজাকার, না রাজাকার না? আলোচ্য বিষয় এটাও না, মামলার কী মেরিট আছে, কি নাই!
আলোচ্য বিষয় হচ্ছেঃ আমি মনে করি, মাহমুদুর রহমানের এই মামলাটির গুরুত্ব অপরিসীম! এই মামলায় প্রত্যক্ষ জয় হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং পরাজয় হয়েছে রাজাকারদের। প্রমাণিত হয়েছে, রাজাকার একটি ঘৃণ্য গালি এবং অহেতুক কেউ এই গালি দিলে মামলা করা যায়; গ্রেফতারী পরোওয়ানাও জারী করা যায়!
২য় বিশ্বযুদ্ধ কি ‘৭১ এর আগে হয়েছে, না পরে? এখনও দেখি জাপান তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারে না, বিনীত হাত ঘসতে ঘসতে হাতের রেখা মুছে যাওয়ার উপক্রম।
নাৎসিরা এখনো ধিকৃত হয়।
অসাধারণ একজন মানুষ, নোবেল বিজয়ী গুন্টার গ্রাস, জীবনের শেষ সময়ে এসে ধিকৃত হচ্ছেন। কেন, তাঁর নাৎসি কানেকশনের জন্য।
তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন অথচ পৃথিবীব্যপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল! আরেক নোবেল বিজয়ী লেচ ওয়ালেসা বলেছেন, গুন্টার গ্রাস যখন ২য় বিশ্বযুদ্ধে তার ভূমিকার কারণে বিতর্কিত, গুন্টারের উচিৎ হবে পোলিশ শহর গদানস্কের ‘সম্মানসূচক নাগরিক’ এই খেতাবটি স্ব ইচ্ছায় ছেড়ে দেয়া। ১৯২৭ সালে গুন্টার গ্রাস পোলিশ শহর গদানস্কে জন্মগ্রহন করেন।
সো গাইজ, আমরা সাদাকে সাদা বলবো কালোকে কালো! রাজাকারকে রাজাকার বলবো, ছড়াকার সাধুকার না, দ্যাটস অল!
রাজাকারকে কে চুমো দিল, কে কোলে বসালো, তাতে আমাদের কী আসে যায়!
মন্তব্য
রাজাকারকে নরকের কীট বলবো।
ঠিক।
অফ টপিক, শিমুল ছিলে কোথায়? চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলে। তোমার ইমেল জানা থাকলে লিখতাম। বললে অবিশ্বাস্য মনে হবে, ব্লগে ঢোকার কয়েক মিনিট আগেই ভাবছিলাম, ছেলেটার হলো কি?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
শুভ, পুরনো লেখা মনে হলো, কিন্তু প্রাসঙ্গিক ও চমৎকার। এসব লেখা পুরনো হয় না, প্রসঙ্গও পুরনো হবে না।
মনে পড়লো, কিছুদিন আগে সামহোয়্যারে ছোট্টো একটা লেখা লিখেছিলাম "যুদ্ধাপরাধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না" শিরোনামে। ক্ষুদ্রাকার বলে উদ্ধৃত করা যায়, আশা করি দোষ নেবেন না:
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
শুরুটা শুরু থেকেই হওয়া জরুরী
--------------------------
আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হে হে, রাজাকাররাই এখন 'রাজাকার' হতে অসম্মানিত বোধ করে। হয়তো সম্মান বলেই কিছু নেই এদের। একটা জিনিস প্রায়ই ভাবি, নূ্ন্যতম আত্মসম্মানবোধ থাকলে কেউ রাজাকার হতে পারে না, দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে না, দেশের মাটির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারে না। নাকি, পারে? পারলে আত্মসম্মানটা বেঁচে থাকে কোথায়?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হক কথা!
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
তবে রাজাকার শব্দটা আল-বদর আল-শামস বা শান্তিকমিটির চেয়ে বেশি মাত্রায় ঘৃণ্য কেন হলো, সে বিষয়ে রাজাকারদের একটা ব্যাখ্যা চাওয়া যেতে পারে।
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন মন্তব্য করুন