প্রবাস থেকে যখন কেউ রেসিপি’র পোস্ট দেন- আমরা যারা দেশে থাকি আমাদের বড়ো বিরক্তির উদ্রেক করে। ছ্যা, এইটা একটা বিষয় হইল! দেশে আমরা অনেকেই বেলা করে উঠি। পরিবারের কেউ না কেউ গরম গরম রুটি বানিয়ে দেন। হালুয়া টালুয়ায় রুটি চুবিয়ে কপকপ করে খেতে খেতে দৈনিকে চোখ বুলাই। শালার দেশটার কিছু হবে না বলে কুৎসিত একটা গালি দেই। কোন দল যে বড়ো অমায়িক, এ নিয়ে পারলে প্রাণটা বিলিয়ে দেই। তো, কাহাতক আর কাজ ফেলে বসে থাকা যায়! বাইরে বেরিয়ে চা’র দোকানে আবারও রাজা উজিরের টুটি চেপে ধরা। আহা, বেলা যে বয়ে যায়। বিকেল করে বাসায় ফিরলে, কেউ না কেউ তো ভাত গরম করে দেবে না তা কি হয়- পাগল! ভাতঘুমটা বাদ যাবে বুঝি। মাথায় লুঙ্গি বেঁধে না ঘুমুলে বেঁচে থেকে লাভ কী!
শুধু যে প্রবাসীদের দেখাদেখি রেসিপি দিতে আগ্রহী হলাম ব্যাপার আসলে তা না। এক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখিয়েছিল, একজন সেলিব্রেটি টাইপের মানুষ (সর্বজনাব আনিসুল হক) ডিম ভাজছেন। কিসের ডিম আমি নিশ্চিত না- তবে ইয়ে মানে···(কাশি)। ইলেকট্রনিক মিডিয়া জাঁক করে এটা দেখিয়েছিল। কেন দেখিয়েছিল- এর পেছনে কাহিনী আছে। ওই প্রসঙ্গে আর যাই না।
আফসোস, আমি অগাবগা টাইপের মানুষ। কিন্ত খোদা না খাস্তা আমাকে কোন দিন কেউ যদি পাকড়াও করে বসে আমার উপায় কি? ডিম ভাজাভাজি করে তো আর লাভ নাই- ওই মানুষটা বলে বসবেন আমাকে অনুকরণ করে রে- এক্কেবারে মানায়ছে না রে এ এ এ! আচ্ছা, বাদাম ভাজলে কেমন হয়? হবে না, না? তাইলে নতুন কোন রেসিপি ট্রাই করে দেখা যেতে পারে। রেসিপিটা আপনাদের বলিনি বুঝি।
আলকাতরার হালুয়াঃ
১· ১ ডেগ আলকাতরা।
২· ১টি হাতা।
৩· পরিমাণ অনুযায়ী আগুন।
৪· অন্তত ১টি হাত(নিজের হলে ভাল হয়)।
তো হয়ে যাক। নাড়তে থাকুন মনের আনন্দে। ঘুটার পর ঘুটা। দে ঘুটা। নাড়তে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না জিনিসটা রাবারের মতো হয়। ব্যস। তো হয়ে যাক পাটি । অনন্তকাল ধরে চিবুতে থাকা।
(পরের দায়িত্ব আমার না)।
বিস্ড়্গুটের গুড়গুড়িয়াঃ
১· ১প্যাকেট মেয়াদঅলা বিস্কুট। লক্ষ রাখবেন বিস্কুটগুলো যেন ন্যাতানো না থাকে)।
২· ১টি কাঠের হাতুরী (মাথায় বাড়ি দিলে মাথা ফাটবে না এমন, মাথা ফেটে গেলে ওইটা বাদ দেবেন। রিমেম্বার মাথা না, হাতুড়ি)।
৩· ১টি টেবিল চামুচ।
৪· ২টি হাত (১টি অন্যের হলে কাজ চালানো যাবে। তবে হাতুড়ি আপনার হাতে থাকলে ভাল হয়। দু’এক ঘা অন্যের হাতে মেরে দিলে আটকাচ্ছে কে আপনাকে)।
এবার বিস্কুটগুলোকে আলতো করে পিটিয়ে গুড়া করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না বিস্কুটগুলো গুড়াগুড়া টাইপের হয়।
ব্যস। হয়ে গেল বিস্কুটের গুড়গুড়িয়া। এইবার চামচ দিয়ে খেতে থাকুন কপকপ করে। আর আরামসে সচলায়তনে ব্লগিং করুন।
শাব্বা খায়ের।
মন্তব্য
অজ্ঞাতবাস
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
দ্বিতীয় টা খুব ভালো
দ্বিতীয় টা খুব ভালো
নতুন মন্তব্য করুন