আমিও ইশতি ভাইয়ের মতো প্রকৌশল এর লোক। অর্থনীতি বলতে বুঝি শুধু চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বাড়ে, আর চাহিদা কমে গেলে দাম কমে। এই পর্যন্ত আমার জ্ঞ্যান।
অর্থনীতি একটি দেশের জন্য মোটামোটি বলা যায় ব্যাকবোন। আমি বরাবরই একজন আশাবাদি লোক (ডেল কার্নেগীর সৌজন্যে)। তাই আমি যখন দেশ নিয়ে চিন্তা করি (অচিরেই সেই চিন্তাগুলো কে নিয়ে একটি সিরিজ লিখা দিবো) তখন একটি দেশের অর্থনীতি কিভাবে চলে সেইটা বুঝি না। কোথা থেকে যে শুরু করবো সেটাই বুঝি না। প্রাথমিক জ্ঞ্যান টা পেলে হয়তো এগুতে পারা যাবে পরবর্তিতে।
আমি যেটা বুঝতে চাই একটি দেশের প্রধান আয় কি আর ব্যায় কি? একটি পরিবারের কথাই যদি ধরি। আমি যখন আমার পরিবার চালাই আমি সব সময় মাথায় রাখি মাসিক আমার আয় কতো, আর আমি কতো ব্যায় করতে পারবো। আমি বুঝিনা একটি দেশ কিভাবে আজীবন ঋণ নিয়ে চলে। আবার উন্নত দেশগুল এত টাকা কিভাবে পায় যে আমাদের দান করতে পারে। তারাই আবার ডেফিসিট এ যায়। একটি দেশ ডেফিসিট এ যেয়ে কিভাবে চলে? তারাই আবার এতো টাকা বানিয়ে বাজার এ ছাড়ছে, কিভাবে? তাদের ডলার এর মান তো কামছে না। আন্তর্জাতিক এই মুদ্রার বাজার কিভাবে নিয়ন্ত্রন হয়?
আমি চাইলেই কি আমাদের দেশের লোকদের (বিশেষ করে সরকারি চাকুরিজীবিদের ) বেতন অনেক বাড়াতে পারবো, জিনিস পত্রের দাম ঠিক রেখে। আমাদের টাকার মান কিভাবে বাড়ানো যায়? এলোমেলো ভাবে অনেক প্রস্ন ক রলাম। আমি বুঝি ব্যাপারগুলো এতো স হজ নয় যে এক ক থায় উত্তর দেওয়া যাবে। যদি সারংশ ক রি তা হ্লে যেটা বুঝতে চাই ত হ লো একটি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি যদি আমাদের দেশ ও পাশ্চাত্য (আমেরিকাই ধরি) এর আলোকে ব লতেন তা হ লে আমি বিশেষ ক রে উপক্রিত হ বো। অগ্রিম ধ ন্যবাদ দিয়ে রাখলাম। আমার তাড়াহুড়া নেই, স ময় নিয়ে সিরিজ দিতে পারেন।
মানি আমার দেশের অনেক সমস্যা। দুর্নিতি, জনসংখা, গনতন্ত্র আরো আনেক। আমি যেভাবে দেখি তাহলো এই সব গুলো ইন্টার-কানেক্টেট্ এবং বড়ই নন্-লিনিয়ার প্রবলেম। যদি আমরা সবগুলো কে একসাথে (ইন্টিগ্রেটেড ভাবে) চিন্তা করি এবং সৎ ইচ্ছা পোষন করি তবে একটা কিছু বের হবে। এবং এটা আমদের মতো প্রকৌশলিবিদ, অর্থনীতিবিদ , আইনবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, চিকিৎসাবিদ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং আরো সকল পেশাবিদদের কেই করতে হবে। শুধু রাজনীবিদরা আমাদের জন্য করে দিবেন তার আশায় বসে থাকলে হবে না। আর উনারা যে সেটা করবেন না এবং করার মাতো জ্ঞ্যান ও ইচ্ছা যে তাদের নেই তা এই ৩৮ বৎসরে প্রমানিত।
মন্তব্য
অপেক্ষায় আছি, কমেন্টায় গেলাম সুবিনয় বাবুর নজরে আনার জন্য।
আরে ইশতি ভাই, আমি সুবিনয় ভাইয়ের ওখানে আপনার কমেন্ট এর জবাব লিখছিলাম। আপনার নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্রঃ পড়ে শেষ করলাম। এ নিয়ে নিজের একটি সিরিজ লেখার ইচ্ছে এর মাঝেই প্রকাশ করেছি। দেখি কতটুকু সময় বের করা যায়।
লেখায় বেশ কিছু বানান ভুল ধরা পড়েছে, আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সকলের কাছে। এই প্রথম বাংলা টাইপ করছি। কিছুটা টাইপো, আর কিছুটা তাড়াহুড়ায়, আর কিছুটা মনে হয় অনেকদিন বাংলা না লিখার কারনে নিশ্চিত করে না জানার ফল।
ভাইয়া আমারে পড়তে বসতে বইলা নিজে লেখা শুরু করছেন !! কামডা কি ঠিক করলেন।
আপনার লেখার প্রশ্নগুলি ঘুরে ফিরে আমারও মনে আসে। আড্ডাতে যখনই অর্থনীতির ব্যাপারগুলো আসে কিছুটা বিব্রত বোধ করি। বুয়েট জীবনে বিতর্ক করার সময় ঘুরে ফিরে অর্থনীতির বিষয়গুলি আসত।প্রকৌশল বিদ্যার ছাত্র হিসেবে অর্থনীতির বড় বড় তত্ত্ব বুঝতামনা তাই তখন ভরসা ছিল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সারের বইগুলো। সারের অতি সহজ ভাষার অর্থনীতির বইগুলো বিতর্কের সময় খুবই কাজে লাগত। বোধকরি ইশতিও ব্যাপারটা জানে ( ও বুয়েটের প্রাক্তন বিতার্কিক)। সুবিনয় ভাইয়ের কাছে সেই সহজবোধ্য অর্থনীতি চাই!!
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এত বড় সিরিজ রাতারাতি পড়ে শেষ করে ফেলার জন্য অনেক ধন্যবাদ! অবাক ও খুশি হলাম খুবই। অপেক্ষায় রইলাম আপনার মন্তব্যের। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে যেটুকু কুলায়, লেখার চেষ্টা করেছি। ইচ্ছা আছে সমাজ ও অর্থনীতি নিয়েও কিছু ভাবার, লেখার। যে-প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজি, তার অনেক গুলোই বলে দিলেন।
বিতর্কের সময় সিরাজুল ইসলাম স্যারের বইগুলো খুবই কাজে দিত। তবে সত্যি বলতে কী, একটা পর্যায়ের পর সবটাকেই rinse-and-repeat মনে হয়। কিছু খুব, খুব মৌলিক পার্থক্য আছে সমাজতন্ত্র ও পুঁজিতন্ত্রের মধ্যে। কোন পথ অনুসরণ করা হবে, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল দু'টোরই দোষগুণ সম্পর্কে খুব স্পষ্ট জ্ঞান রাখা। বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নেই, তবে বিশেষজ্ঞের কথার সারবস্তু বোঝার মত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
বিতর্কের জন্য অনেকেই অনেক রকম চোথা পড়ে। এক কালে ডাস-ক্যাপিটাল ঘেটেছিলাম খুব। বিতর্কে চটকদারিতা ঢুকে গেছে খুব বেশি। আমার মনে হয়, প্রতি বিতার্কিকের উচিত ৩ টি বই পড়া।
১) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো -- মানতে হবে, এমন কথা নেই। যুক্তির হিসেব দিয়ে কীভাবে প্রচলিত কাঠামোর বাইরে চিন্তা করা যায়, সেটা শিখতে।
২) সঞ্চিতা -- আবেগকে চিনতে, মানবতাকে বুঝতে। তরুন বয়সের অরুণরাঙা কিছু আবেগ মানুষ খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলে। সেই আবেগগুলো ফিরে পেতে।
৩) সাহিত্যকথা -- লিখতে, বলতে শিখতে। যেকোন জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছু বলতে শেখা খুব সহজ, কিন্তু যেকোন কিছুকেই শুনবার মত করে বলতে পারা খুব কঠিন কাজ।
আমার মতে, প্রাথমিক অবস্থায় এই ৩ টা বইয়ের শিক্ষাগুলো আত্মস্থ করলে মানুষ বাকিটা সময়ের সাথে নিজে মিলিয়ে নিতে পারবে। আফসোস, কেউ এই কষ্টটুকুও করে না।
বিতার্কিক আমি নই, তবে তর্ক করে প্রভূত আনন্দ পেয়ে থাকি, যদিও আপনার উল্লেখিত তিনটি বইয়ের একটি কেবল পড়া আছে আংশিক
এবার কিছু পয়েন্ট কামাই:
দু'টো (হবে "দুটো", যেহেতু "দুইটো" বলে কিছু নেই। তবে "দুটি" নয়, "দু'টি"।)
ঘেটেছিলাম ("ঘেঁটেছিলাম")
তরুন ("তরুণ")
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
উফ, সন্ন্যাসীর কাছে পয়েন্ট হারাতে হারাতে ফতুর হয়ে গেলাম!
দু'টি লেখার অভ্যাস থেকেই প্রথম ভুল। খুবই বেখেয়াল ভুল। এই ভুল আমার আব্বাজানের চোখে পড়লে খড়মপেটা করতো।
ঘেঁটেছিলাম-ই লিখেছিলাম, কী মনে করে সম্পাদনা করে ঠিকটা বদলে ভুলটা লিখেছি।
তরুণ ভুল লিখলাম?! মরে যাওয়া উচিত আমার, এটুকুই জানি।
কোন বইটি পড়া আছে? সঞ্চিতা?
স্বাধীন, এ তো বিশাল কাজ দিলেন। মোটামুটি একটা দেশের সামগ্রিক ম্যাক্রো-ইকনমির কাঠামো বর্ণনা - তার সাথে কিছু আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। আপনার আস্থার প্রতি সুবিচার করতে পারবো কি না, এ নিয়ে আমার নিজেরই ঢের সন্দেহ আছে! সময়সাপেক্ষ লেখা হবে তবে আপনি যেহেতু বলেছেন তাড়া নেই, ধীরে-সুস্থেই হয়তো লেখা যাবে। অনেক অসমাপ্ত সিরিজ আমার সচল-অতীতকে পংকিল করে রেখেছে (!) তাই আজকাল আর 'সিরিজ' শব্দটা ব্যবহারের দুঃসাহস দেখাই না। মুর্শেদ যেমন বলেছিল -কোনো লেখার নীচে 'চলবে' শব্দটা দেয়ার মানে হলো ঐ সিরিজ ঐখানেই খতম
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সিরিজ না, এক পর্বেই লেখা চাই। এই পোস্টের লেখকের তাড়া না থাক, আমাদের তাড়া আছে। কুইক মার্চ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমারও একটা মাতাল প্রশ্ন আছে... সেইটা খুবই হাস্যকর... তা হইলো- এই বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা...
চট করে কিছু ডলার ছাপায়ে ফেললে সমস্যা কী?
আমরা এতো গরীব... তো টাকা বেশি কইরা ছাপাইলেই হয়... ছাপায় না ক্যান? পার্চমেন্ট কাগজের দাম কি এতোই বেশি?
_____________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার স্মৃতিশক্তি খুব খারাপ, তাই আগোছালো ভাবে মনে পড়ছে শওকত ওসমানের কোন এক পাঠ্য গল্পের কথা। ইন্টারে পড়েছিলাম। যেখানে বলা ছিল যে মানুষ অন্যের অন্যায়/উপরি ভোগ সহ্য করতে পারে না। ঐ যে, বাড়ি দখলের গল্পটা... নাম মনে নেই আর।
বাড়তি টাকা ছাপানো মানে হাওয়া থেকে কিছু আমদানি করা। এই 'ফাও' জিনিসের ভাগের জন্য তো আরো কামড়া-কামড়ি পড়ে যাবে! আপনি মিয়া ছাপানো টাকায় বড়লোক হয়ে যাবেন, আমাকে দিবেন না? ঠিক আছে, না দেন তো দিলাম আমি আমার আড়তের চালের দাম বাড়ায়। না দিয়ে যাবেন কই এবার? মুহা-হা-হা!!
এবারের ধসটার একটা বড় কারণ তো এই নেই-টাকা দিয়ে আকাশ-কুসুম গড়া (সুবিনয়দা, ভুল হলে ধরে দিয়েন)। কেউ কোথাও ৫ টাকা জমা রেখেছিল। তারপর থেকে সবাই কাজী হয়ে গেছে; খাতায় গরু আছে, গোয়ালে নাই। একই ৫ টাকা হাজার জায়গায় দিয়ে-থুয়ে শেষ। এখন আসল মালিক তার ৫ টাকা ফেরত চাইতেই তাসের ঘর ভেঙে পড়লো। এই শিক্ষা থেকে হলেও তো আর এই পথে যাওয়া ঠিক না।
তবে, সাম্প্রতিকতম ১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজটা তো অনেকটাই প্রিন্টেড মানি শুনলাম। আলোকপাত করতে পারেন, সুবিনয়দা?
এইটা কিছুটা বুঝি। টাকা ছাপাতে গেলে তার বিপরীতে সমপরিমান সম্পদ থাকতে হয়। এক্ষেত্রে স্বর্ণ বা বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিছুটা আগের যুগের বিনিময় প্রথার উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ধরুন আপনার কাছে একটা কুমড়া আছে কিন্তু চাল নেই অপরদিকে আরেকজনের কাছে চাল আছে কিন্তু কুমড়া নেই। আপনি কুমড়ার বদলে চাল নিলেন আইটাই বিনিময় প্রথা। অর্থ্যাৎ একটি সম্পদের বিপরীতে আরেকতি সম্পদ অর্জন। যেহেতু টাকা দিয়ে আপনি কুমড়া চাল দুটিই কিনতে পারবেন তাই ঐ কুমড়া বা চালের সমপরিমান সম্পদ থাকতে হবে দেশে আর সেটার মাপ কাঠিই হল স্বর্ন আর বৈদেশিক মুদ্রা কিন্তু সম্পদ না বাড়িয়ে টাকা ছাড়লে এই সাম্যাবস্থা ব্যাহত হবে। তাই ইচ্ছে করলেই টাকা ছাপানো যাবেনা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শুরুটা ছিল বিনিময় অর্থনীতির তারল্যের সমস্যা দূর করতে মাধ্যম হিসেবে অর্থকে এনে। সম্পর্কটা ছিলঃ
পণ্য - অর্থ - পণ্য
পুঁজিবাদ বিভিন্ন ভাবে এই ধারণাকে পালটে করে ফেলেছে এরকমঃ
অর্থ - পণ্য - আরও অর্থ
এই বাড়তি অর্থটাই কাজীর গরু। ঠিক মত দেখেশুনে রাখতে পারলে এই 'ত্রুটি'কেই কাজে লাগিয়ে অনেক গতিশীল করা যায় সবকিছু। আল্লাহর রাহে ছেড়ে দিলে কী হয়, সে তো দেখতেই পারছি।
এই বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা...
চট করে কিছু ডলার ছাপায়ে ফেললে সমস্যা কী?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি যেমনটা বুঝি হঠাৎ মুদ্রা ছাপালে এর যোগান বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফিতি ঘটবে, সাধারনের ক্রয় ক্ষমতা যাবে কমে। সমপরিমান সম্পদ থাকতে হবে এই ধারনাটি ঠিক নয়। ব্যংক ব্যবস্থার মূলনিতি এটাই। অর্থনীতিতে কাজির গরু খাতায় থেকেও অনেক কাজ করতে পারে। ভেবে দেখুন আপনার যা সম্পত্তি তার তুলনায় আপনার কাছে নগদ মুদ্রা কি পরিমান আছে? যেকোন দেশের ক্ষেত্রেও কথাটি সত্য।
আমি মাইক্রো অর্থনীতির একখানা প্রশ্ন রাখিঃ ব্যাক্তিগত অর্থনীতির রিসেশন কাটানোর কোন উন্নত তরিকা আছে?
আছে বৈ কি, শাঁসালো একপিস শ্বশুর পাকরাও করুন, যিনি মেয়েকে ভালোবেসে আপনার জন্য বেইল-আউট প্যাকেজের ব্যবস্থা করবেন।
আর যারা ইতোমধ্যে বিয়া কইরা ফেলছে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি ঠিক জানিনা অফটপিক হয়ে যাবে কিনা কথাগুলি কিন্তু
না বলে পারছিনা
বাংলাদেশে কাজির গরু (ইশতিয়াক ভাই এর কথায়) রেখে খেতে পারে না
বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি রেমিট্যান্স আসতো প্রবাসী শ্রমিকদের থেকে অথচ এই শ্রমিকদের দেশের বাইরে যাওয়া থেকে শুরু করে এবং টিকে থাকা দেশে টাকা পাঠানো পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের অবহেলা অসহযোগিতা আজকে বাজার হারানোর মূল কারন।
আজকে এই ইন্টারনেটের যুগেও বাংলাদেশ সরকার আদম ব্যাপারী প্রথা কিভাবে বন্ধ হবে বা তার বিপরীতে সরকারী বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা করতে পারলো না।
একজন প্রবাসী বিদেশে অন্যায় ভাবে চাকরি হারালে বাংলাদেশ হাইকমিশন বা সরকার কোনোদিন শুনতেও চায়নি কেনো তার চাকরি গেলো।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে ধুমায়ে বাংলাদেশিদের বের করে দেয়ার আগে থেকেই বেশ পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনা হয়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী পত্র পত্রিকায় এমনকি টিভিতেও অথচ বাংলাদেশের প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের টাকায় চলা হাইকমিশনের লোকজন কোনোদিন ভুল করেও একটা প্রতিবাদ পত্র দেবার প্রয়োজনীয়তা মনে করেন নি।
আর বাংলাদেশের ভিতরে জনগন কয় টাকা ট্যাক্স দেয় কারে দেয় কিভাবে দেয় সেইটাই জানে না বা আদৌ দিতে হয় কিনা সেই খবরই রাখে না সরকারের টাকা আসবে কোথা থেকে?
বড় বড় দেশি বিদেশী কোম্পানীগুলি কত টাকা ট্যাক্স ফাকি দিয়ে যাচ্ছে কোনো পত্রিকার সাংবাদিক একটু কঠিন করে মানে প্রমান সহ ছাপলে সেই পত্রিকা সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়।
বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম কোনোদিন কমে নাই কমবে না এইটা একটা সামাজিক ব্যাধী এর কাছে অর্থনিতীর সকল সূত্র ফেল।
সামাজিক ব্যাধী এই কারনে বললাম যে একজন কৃষক তার পন্যের যথাযথ মূল্য পান না অথচ পেট ফুলে মোটা হন আড়তদাররা আর শহরের নিম্ন থেকে মধ্য আয়ের লোকদের রিতিমত নাভিশ্বাস ওঠে একবেলা খাবার জোগার করতে।
কেনো বাংলাদেশ সরকার কি পারে না এর কোনো প্রতিকার খুজে বের করতে?
নতুন মন্তব্য করুন