দুইঃ দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ
মার্ক্স এর দর্শনের প্রধানত দু’টি দিক- একটি বস্তুবাদ এবং অন্যটি দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি। এই দু’য়ের সংমিশ্রনে সৃষ্ট তাঁর দর্শন দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ। বস্তুবাদ কিংবা দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি, মার্ক্সই প্রথম বলেন তা নয়। বস্তুবাদ দর্শন আমরা দেখতে পাই গ্রীক দার্শনিক থেল্স্ (Thales, 624 BC-546 BC), ডেমোক্রিটাস্ (Democritus, 460 BC-370 BC ), ইপিকিউরাস্(Epicurus, 341 BC-270 BC) এর মাঝে [১]। তারপরে দেখা যায় হব্স্ (Thomas Hobbes, 1588-1679), ফুয়েরবার্খ (Feuerbach, 1804-1872), মার্ক্স (Marx, 1818-1883), এংগেল্স্ (Engels, 1820-1895), বার্ট্রান্ড রাসেল (Bertrand Russel, 1872-1970) এর মাঝে [১]। বর্তমান সমসাময়িকে দেখা যায় ডেনেট (Dennett, 1942-), কুইন (Quin, 1908-2000), ডেভিডসন (Davidson, 1917-2003) প্রমুখ দার্শনিকের মাঝে [১]।
বস্তুবাদ দর্শনের মূল কথা হল, বস্তুই সব। পৃথিবীর সমস্তই বস্তু দ্বারা গঠিত এবং তা সর্বদা গতিশীল ও পরিবর্তনশীল। বস্তুবাদ দর্শনে মন বা আত্মার কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই। মানুষের মস্তিষ্কের ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়াই হল মন। মার্ক্স এর পিএইচডির বিষয়বস্তু ছিল “The difference between the Democritean and Epicurean philosophy of nature”. উক্ত কাজের সময় এবং পরবর্তীতে জার্মান দার্শনিক হেগেল ও ফুয়েরবার্খ নিয়ে কাজ করার সময় তিনি বস্তুবাদী দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছিলেন বলে মনে হয়।
দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিও মার্ক্স সর্বপ্রথম বলেননি। প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস্ (Socrates, 469 BC-399 BC), প্লেটো (Plato, 428/427 BC-348/347 BC), এরিষ্টটল্ (384 BC-322 BC) এর মাঝে দ্বান্দ্বিক কথোপকথন লক্ষ্য করা যায় [২]। তবে দ্বান্দ্বিক পদ্ধতির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন জার্মান দার্শনিক হেগেল (Hegel, 1770-1831), যার ধারনা তিনি পেয়েছিলেন আরেক জার্মান দার্শনিক কান্ট (Kant, 1724-1804) থেকে [২]। এই পর্যায়ে হেগেল এর কথা কিছুটা না বললেই নয়। হেগেলকে বলা হয় ভাববাদী দার্শনিকদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি। প্রাচীন গ্রীক দর্শনের যুগের পর বিশাল মধ্যযুগে (রোমান সভ্যতার পতনের পর, পঞ্চম শতাব্দি, থেকে রেনেসাঁস্, ষোড়শ শতাব্দি, এর আগ পর্যন্ত) দর্শনের বিষয়বস্তু মূলত সীমাবদ্ধ থাকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানে এবং তার ভাল গুণাবলীর আবিষ্কারে [৩]। মধ্যযুগের পর আধুনিক দর্শনকালে গ্যালিলিও (Galileo, 1564-1642), ডেস্কার্টেস (Descartes, 1596-1650), স্পিনোজা (Spinoza, 1632-1677), লিব্নিজ (Leibniz, 1646-1716) কান্ট, হেগেল অন্যতম [৩]। এই সময়কার দর্শনের মূল বিষয়বস্তু ছিল যুক্তির ব্যবহার। আর হেগেল এই যুক্তির ব্যাবহার কে এক অনন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দ্বান্দ্বিক পদ্ধতির মাধ্যমে। তাঁর Lectures on the History of philosophy [৪] পড়লে দর্শনের ইতিহাস সম্পর্কে পুরো ধারনা লাভ করা যায়। সেখানে তিনি প্রাচীন কাল হতে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের সকল দার্শনিকদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে তাঁর লেখা হচ্ছে দার্শনিকদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বোধ্য।
তাঁর দ্বান্দ্বিক পদ্ধতির মূল বিষয় হল thesis (তত্ব) এবং antithesis (প্রতিতত্ব) এর দ্বন্দ্ব এবং এই দু’য়ের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে একটি synthesis এ পৌঁছা। synthesis কে অবশ্যই antithesis কে যুক্তি দিয়ে জয় করে আসতে হবে। হেগেল যেটি দেখিয়েছেন যে প্রকৃতির মাঝে সবসময় একপ্রকার দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। এই দ্বন্দ্বের কারনে প্রতিটি বস্তু প্রতি নিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানব সভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকালেও মানব জাতির মাঝে একই রকমের দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যায়। হেগেল এবং মার্ক্স দু’জনেই মানব সভ্যতার ইতিহাসকে ভালভাবে পর্যবেক্ষন করেছেন। শুধু পার্থক্য এই যে হেগেল সবকিছুতে ছিলেন ভাববাদী আর মার্ক্স ছিলেন বস্তুবাদী। মার্ক্স এর নিজের ভাষায় তিনি হেগেল এর দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিকে মস্তিষ্ক (ভাব) থেকে পাঁয়ে (বস্তু)নামালেন, বলা যায় একেবারে উল্টিয়ে দিলেন [৫]।
হেগেল সব কিছু পর্যবেক্ষন করে যেটা শেষমেশ দাঁড় করালেন তা হল, বস্তু হচ্ছে ‘absolute idea’ এর দ্বান্দ্বিক প্রকাশ। তিনি যেটা ধরে নিয়েছেন তা হচ্ছে আইডিয়া হল ‘অরিজিনাল আইডিয়া’। কিন্তু তার মধ্যে স্ববিরোধী দ্বন্দ্ব আছে, এবং সেই দ্বন্দ্বের ফলেই বাস্তব জগতের সৃষ্টি। তাঁর কথার মানে দাঁড়ায়, বাস্তব জগৎটা হচ্ছে একটা ছবি এবং সেই অর্থে সেটা হল ‘absolute idea’ এর প্রকাশ [৫]। অর্থাৎ দুনিয়াতে যা কিছু ঘটছে তা সেই absolute idea এরই বহিঃপ্রকাশ। এই কারনে হেগেলরই কিছু ছাত্র যাদের বলা হত বাম-ঘেঁষা (Left Hegelian), তাঁরা তাঁদের শিক্ষকের ‘অরিজিনাল আইডিয়া’ কে মানতে রাজী হল না। এর মাঝে ফুয়েরবার্খ, মার্ক্স অন্যতম। তাঁরা যেটা বললেন, ভাব থেকে বস্তু সৃষ্ট নয়, বরং ভাবই বস্তু থেকে সৃষ্ট। মন বা আত্মার কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই। মানুষের মস্তিষ্কের ক্রিয়ার ফলেই মন বা ভাবের সৃষ্টি। মানুষের মস্তিষ্কেই ঈশ্বরের অবস্থান। ঈশ্বরের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই। তাঁরা বললেন হেগেলের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি সব ঠিকই আছে শুধু তাকে ভাববাদ থেকে মুক্ত করতে হবে। এভাবেই সৃষ্ট দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ।
দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের মূল কথা হল সমস্ত বস্তুই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়ের মধ্যেই সম্পর্কযুক্ত [৫]। এই দ্বন্দ্ব আবার দুই প্রকার। অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বহির্দ্বন্দ্ব। কোন বস্তু নিজের অভ্যন্তরে যে দ্বন্দ্ব তা হল অন্তর্দ্বন্দ্ব আর একটি বস্তুর সাথে অন্য বস্তুর যে দ্বন্দ্ব তা হল বহির্দ্বন্দ্ব। তবে মার্ক্স এর ভাষায় এই দুই দ্বন্দ্বের মাঝে অন্তর্দ্বন্দ্বই হল পরিবর্তনের ভিক্তি। বহির্দ্বন্দ্ব কোন কোন ক্ষেত্রে অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রভাবিত করতে পারে কিন্তু যতক্ষন পর্যন্ত অন্তর্দ্বন্দ্ব পরিপক্কতা লাভ না করে ততক্ষন পর্যন্ত বহির্দ্বন্দ্ব কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। এটার উদাহরন হিসেবে বলা যায় যখন কোন সমাজ বা গোষ্ঠী নিজেরা বিপ্লব বা পরিবর্তনের জন্য তৈরি না হয় তখন বাহির হতে কেউ তাদের কোন সাহায্য করলে বিশেষ লাভ নেই।
মানব সভতার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে সমাজের অভ্যন্তরেও প্রতি নিয়ত বহুধরনের শক্তির দ্বন্দ্ব চলছে। শ্রেনী, বর্ণ, লিংগ, ধর্ম, জাত, রাজনীতি, ব্যক্তিস্বার্থ এরকম আরো অনেক বিভাজনের মাঝে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ চলছে। তবে মার্ক্স এর মতে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সকল দ্বন্দ্বের মূল হল শ্রম ও পুঁজির মধ্যে দ্বন্দ্ব, যা নিয়ে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের তিনটি মূলনীতি বলে আজ শেষ করবো। প্রথমটি হলঃ বিরোধী শক্তির ঐক্য (unity of opposites)[৫]। একটি মানুষের মাঝে যেমন ভাল-খারাপ দুই গুণই বর্তমান, তেমনি সকল বস্তুতে এবং সমাজেও স্ববিরোধী শক্তির সহবস্থান আছে। ধনাত্মক ও ঋনাত্মক চার্জ, ইলেক্ট্রন ও প্রোটন, কিংবা সৌরজগতের আকর্ষন ও বিকর্ষন শক্তি এর উদাহরন। এই পরস্পরবিরোধী শক্তির সাম্যবস্থার কারনে সব স্বাভাবিক ভাবে চলছে। যখন কোন একটি শক্তি অন্যটি অপেক্ষা বেশী শক্তিশালী হয়ে যায় তখন দ্বিতীয় নীতিটি আসে, তা হলঃ বিকাশের পথে অবলুপ্তি, অবলুপ্তির পথে বিকাশ (Negation of the negation)[৫]। এই নীতির অর্থ হচ্ছে নিছক সৃষ্টি বা ধ্বংস বলে কিছু নেই। সৃষ্টি মানেই হচ্ছে ধ্বংস আবার ধ্বংসের মাঝেই হচ্ছে নুতনের সৃষ্টি। মানব শরীরে যেমন শৈশবের ধ্বংসের মাঝে একজন মানুষ কৈশোরে পদার্পণ করে, আবার সে কৈশোরকে ধ্বংস করেই যৌবনে পদার্পন করে। মার্ক্সের মতে সমাজেও সে রকম এক সমাজ ধ্বংস হয়ে নুতন সমাজ গড়ে উঠে। সবশেষ তৃতীয় নীতিটি হলঃ পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন (From quantitative change to qualitative change)[৫]। এই নীতির কথা হল যে সকল পরিবর্তনই গুণগত পরিবর্তন আনে না। যেমন পানিকে তাপ দিলে তা বাষ্প হয় না যতক্ষন না তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হচ্ছে। তেমনি সমাজে হয়তো প্রতিনিয়ত অল্প অল্প পরিমাণগত পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু তা যখন বিশাল আকারে হয় তখনই একে গুণগত বা বৈপ্লবিক বা মৌলিক পরিবর্তন বলা হয়।
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। দর্শন নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয়, আর আমি তেমন জানিওনে। দর্শন আমার বিষয়ও নয়। শুধু আমার মূল বক্তব্য ভালভাবে প্রকাশের জন্য একটি হালকা ধারনা দিচ্ছি। শুধু হেগেল কিংবা মার্ক্স এর দর্শন পুরোপুরি বুঝতে, যে কারো সারাজীবন চলে যাবে। আমার মূল উদ্দেশ্য মার্ক্সবাদ আর সমাজতন্ত্রের মাঝে কি পার্থক্য আছে তা খুঁজে বের করা। সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদ এর দ্বন্দ্ব থেকে কিছু সমাধান পাওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা করা। আজ আমরা দেখলাম যে বস্তুবাদ এবং দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি কিভাবে আসলো। পরবর্তীতে দেখবো সমাজতন্ত্রের এবং সাম্যবাদের ধারনা কিভাবে আসলো।
বিঃদ্রঃ সবাইকে বিশেষ অনুরোধ জানাবো কেউ যদি কোন বানান ভুল দেখে থাকেন দয়া করে জানালে খুশী হব। বহুদিন বাংলা না লেখার কারনে এবং অনেক বানান শুদ্ধটি না জানার কারনে বানান ভুল থাকতে পারে, তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তাই শুদ্ধটি জানতে পারলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
১. http://en.wikipedia.org/wiki/Materialism
২. http://en.wikipedia.org/wiki/Dialectic
৩. http://en.wikipedia.org/wiki/History_of_philosophy
৪. http://www.marxists.org/reference/archive/hegel/index.htm
৫. মার্ক্সবাদ ও দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের কয়েকটি দিক- শিবদাস ঘোষ http://www.ganadabi.in/works1/marxism_b.pdf
মন্তব্য
বেশ গুছিয়ে লেখা। দ্বান্দ্বিকতা থেকে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ কিভাবে আসল সেটা খুব ভালভাবেও বোঝা গেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
এ প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন করে রাখি। পরবর্তী পর্বগুলোর মাধ্যমে এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন আশাকরি:
"দ্য সোভিয়েত স্টোরি" প্রামাণ্য চিত্রে কার্ল মার্ক্সের একটা উক্তি পেলাম:
এই উক্তির সূত্র ধরে প্রামাণ্য চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে, মার্ক্সই হলোকস্টের ধারণার জন্মদাতা। স্টালিন ও হিটলার যেসব হলোকস্ট করেছেন তার তাত্ত্বিক ভিত্তি লুকিয়ে ছিল মার্ক্সের রচনাতেই। প্রামাণ্য চিত্রটি সম্পর্কে জানতে হলে এখানে যেতে পারেন:
http://en.wikipedia.org/wiki/The_Soviet_Story
মার্ক্স সম্পর্কে এই মনোভাব বাদ দিলে ডকুমেন্টারির বাকি পুরোটাই ভাল। কিন্তু মার্ক্সকে এতটা দোষ দেয়া উচিত হয়নি। একজন ক্রিটিক এই দিকটাই তুলে ধরেছে। ডক্যুটা ইউরোপে বেশ আলোড়ন তুলেছে। রাশিয়া ছাড়া মহাদেশটির সব দেশই এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন। আর মার্ক্স সম্পর্কে এই মনোভাবের অর্থের উপরও আলোকপাত করবেন আশাকরি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আমি প্রামান্য চিত্রটি পেয়েছি। দেখে তারপর মন্তব্য করবো। আর তোমার যে প্রশ্ন তার উত্তর আশা করি তুমি পাবে পরবর্তীতে।
প্রয়োজনীয় লেখা,গুছিয়ে লেখা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ধন্যবাদ। শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব চলে আসবে।
সহজ, বোধগম্য - পড়তে ভাল লাগছে।
কষ্টকরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্য করে তা জানানোর জন্য আরো বেশী করে ধন্যবাদ জানাই।
বেশ ভাল হচ্ছে। আরো উদাহরণ দিলে তত্ব বুঝতে সুবিধা হত।
অল্প কথায় তত্ব বুঝিয়ে প্রকাশ করা খুবই কষ্টকর। আর শুধু এটুকু লেখা পরে সেটা বুঝা আরো বেশী অসম্ভব। পাঁচ নম্বর রেফারেন্সটি অন্তর্জালে পাবেন। ডাউনলোড করে নিতে পারেন। বিস্তারিতের জন্য আমি সেটি পড়ার অনুরোধ করবো। আগ্রহ সহকারে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
দারুণ লাগলো। প্রতিটি দর্শন তত্বের সাথে আলোচনা আরো একটু বিস্তারিত হলে বুঝতে সুবিধা হয়।
শিক্ষানবিসের এই প্রশ্নটা ( এবং সেই সাথে আরো কিছু প্রশ্ন) আমার মাথাতেও এসেছিলো যখন "দ্য সোভিয়েত স্টোরি" প্রথম দেখি। মার্ক্সের তত্বের এই অংশের ব্যাখ্যা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
লেখায় পাঁচ তারা।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বাকি প্রশ্নগুলোও বলে ফেলুন। পরের পর্বগুলো লেখার সময় প্রশ্নগুলো জানা থাকলে লেখায় সুবিধে হবে।
আরিজিনাল আইডিয়ার স্ববিরোধী দ্বন্দ্ব টা কি তা আমার কাছে স্পষ্ট হলো না। আরেকটু ব্যাখ্যা কি করা যায়?
এই পর্বটাও অসাধারণ লাগল।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
নতুন মন্তব্য করুন