• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

দেশ উন্নয়ন ভাবনা - ০৫

স্বাধীন এর ছবি
লিখেছেন স্বাধীন (তারিখ: শনি, ১৭/১০/২০০৯ - ১০:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধান ও শিক্ষা
 
মানুষ পুরোপুরি ব্লাঙ্ক স্লেট হয়ে জন্ম না নিলেও, সুন্দর পরিবেশ এবং সঠিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে একটি শিশুকে মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এ কারণে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মাঝে শিক্ষা অন্যতম এবং প্রতিটি মানুষের শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। জাতির এক অংশকে শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত রেখে কোন জাতির পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। জনগণের করের অর্থ যদি সর্বপ্রথম কোথাও ব্যবহৃত হতে হয় তবে আমি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিব। আমাদের সংবিধানেও সকলের জন্য শিক্ষার কথা বলা হয়েছে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ এ, সকলের জন্য শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
 
বৈষম্যহীন শিক্ষার জন্য প্রথমত যেটা প্রয়োজন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যন্ত অভিন্ন পাঠ্যসুচি প্রণয়ন করা। শিশুর জন্মলগ্ন থেকেই যদি তাকে বাংলা, ইংরেজী, ও আরবী মাধ্যমে বিভক্ত করে ফেলি তাহলে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি কি করে? তারপর যেটা প্রয়োজন সরকারী ও বেসরকারী এবং শহর ও গ্রাম ভিক্তিক শিক্ষার বিভাজন দূর করা। উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক হওয়া উচিত।  তবে স্নাতক পর্যায়ের পড়াশুনা নিখরচার হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং প্রয়োজনে সরকার বিনা সুদে বা অল্প সুদে ঋন দিতে পারে। কারিগরী শিক্ষার জন্য সরকার অর্ধেক ঋন এবং অর্ধেক বৃত্তি হিসেবে দিতে পারে। বিদেশ গমন কারীদের জন্য মাধ্যমিক বা উচ্চ-মাধ্যমিকের পরে ছয়মাস বা এক বছরের কারিগরী ও ভাষার প্রশিক্ষন দেওয়া যেতে পারে। যে কোন চাকুরীর ক্ষেত্রেই মাধ্যমিকের নীচে চাইতে পারবে না এমন নিয়ম করা উচিত। প্রতিবন্দ্বী শিশুদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে বা প্রতিটি জেলায় তাঁদের জন্য আলাদা বিভাগ বা বিদ্যালয় রাখা উচিত। এবং দরিদ্র শিশুদের পরিবারের জন্য বৃত্তি প্রদান করা উচিত।
 
স্নাতক পর্যায় নিয়ে খুব বেশি না বলে স্নাতকোত্তর পর্যায় নিয়ে বলছি। একটি দেশের উন্নতির জন্য খুব প্রয়োজন নিজ দেশের উপযোগী প্রযুক্তি এবং যার জন্য প্রয়োজন গবেষনা। গবেষনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বাড়ানো উচিত এবং স্নাতকোত্তর কোন ছাত্র যেন গবেষনাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সকলের স্নাতকোত্তর শিক্ষার প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র যারা শিক্ষকতা এবং গবেষনায় আগ্রহী হবে তাদেরকেই স্নাতকোত্তর শিক্ষায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া উচিত।
 
সবশেষে ভাল শিক্ষার প্রথম শর্ত হচ্ছে ভাল শিক্ষক। দেশের মেধাবীদের শিক্ষকতার পেশায় আনার জন্য শিক্ষকদের প্রতিটি স্তরে ভাল বেতন প্রদান প্রয়োজনীয়। একজন শিক্ষক যদি জীবন সংগ্রামে নিজেই নৈতিকতার পথ পরিহার করেন, তবে তিনি কি করে অন্যকে শিক্ষা দিবেন। আমরা যতদিন পর্যন্ত শিক্ষককে সম্মানিত না করবো, ততদিন আসলে কোন সংস্কার বা শিক্ষানীতিই কাজে আসবে না। উন্নত শিক্ষক তৈরীর জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন ব্যবস্থার প্রয়োজন। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই ডিজিটাল পাঠ্য পুস্তক, মাল্টিমিডিয়া লেকচার, অনলাইন গ্রন্থাগার তৈরী করতে পারি। নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির সাহায্যে দূর-শিক্ষন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে দূর-শিক্ষন পদ্ধতি আমি শুধু মাত্র উচ্চ শিক্ষা এবং  শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবো। আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যার বিচারে চাইবো যত বেশি মানুষকে কাজে লাগানো যায়।  তবে অবকাঠামো তৈরী করে রাখা যায়, যেন প্রয়োজনে দূর-শিক্ষনের সাহায্য নিতে পারে যে কেউ।
 
 
এ ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক নীতির প্রশ্ন চলে আসেঃ
 
প্রথমত - শিক্ষা দান পদ্ধতি। মূলত আমাদের দেশের শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি এবং পরীক্ষন পদ্ধতি যেটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সেটা মধ্যযুগীয় পদ্ধতি। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষককেরাই শিক্ষা দেওয়া বলতে বুঝায় একটি নির্দিষ্ট বই শুধু পড়ে যাওয়া। যদি শুধু বই এর একটি অংশ পড়তেই হয় তবে তার জন্য শিক্ষকের কি প্রয়োজন, সেটা একজন ছাত্র নিজেই তা করতে পারে। আর পরীক্ষন পদ্ধতিতে এখনো বিচার হয় কে কত বেশি মুখস্থ করতে পারে তা। প্রয়োজন একজন ছাত্র/ছাত্রী বিষয়টুকু কতটুকু বুঝতে পেরেছে সেটি। তার জন্য শিক্ষা প্রদান ও পরীক্ষণ পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন। তবে এটি সর্বাগ্রে বুঝতে হবে একজন শিক্ষককে।
 
এই শিক্ষা পদ্ধতির জন্য আমি প্রতিটি বিষয়কে তাত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাসে ভাগ করতে চাই। প্রতিটি বিষয়ে ৩০ মিনিট লেকচারের জন্য থাকবে আর এক ঘন্টা থাকবে ব্যবহারিকের জন্য। লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাস এমন ভাবে সমন্নয় করতে হবে যেন শিক্ষক বুঝতে পারেন তিনি যা দিতে চেয়েছেন তা ছাত্ররা বুঝতে পেরেছে কিনা আর ছাত্র/ছাত্রীরাও বুঝতে পারে শিক্ষক যা বুঝিয়েছেন তা তাঁরা বুঝেছে কিনা। ব্যবহারিক ক্লাসের শেষ দশ বা পনের মিনিটে শিক্ষক ছোট্ট কুইজ নিতে পারেন, যার মাধ্যমে ছাত্ররা কতটুকু বুঝতে পারলো তার একটি পরিমাপও হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে ছাত্রটির ক্লাসেই পড়া হয়ে গেল এবং তাঁর বাসায় গিয়ে আরো বেশি পড়ার প্রয়োজন পড়বে না। সমাপনী পরীক্ষায় শতকরা ৩০ বা ৪০ ভাগের বেশি নম্বর রাখা উচিত নয়।
 
দ্বিতীয় প্রশ্নটি হল পাঠ্যসূচি। কি কি বিষয় পড়ানো উচিত? মৌলিক বিষয় হিসেবে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর নিম্ন বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। উচ্চ-মাধ্যমিক শেষে একজন ছাত্র/ছাত্রী যেন এই মূল বিষয়গুলোর প্রাথমিক পর্যায়ের জ্ঞানগুলো অল্প বিস্তর জানে সেটা আমাদের নিশ্চিত করা উচিত।
 
  • ভাষাঃ বাংলা, ইংরেজী, ঐচ্ছিক বিষয়ঃ আঞ্চলিক বাংলা ভাষা, আদিবাসী ভাষা, আরবী ভাষা।
  • বিজ্ঞানঃ পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, চিকিতসা বিজ্ঞান, জ্যোতির বিজ্ঞান।
  • গণিতঃ পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতিসহ সকল ধরনের প্রাথমিক গণিত।
  • সমাজঃ সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, আইন।  
  • ইতিহাসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস, উপমহাদেশের ইতিহাস, সভ্যতার ইতিহাস, সাধারণ জ্ঞান, সম-সাময়িক ঘটনা।
  • প্রযুক্তিঃ কম্পিউটার প্রযুক্তি, অন্তর্জাল।
  • সাংস্কৃতিকঃ চিত্র কলা, সঙ্গীত, নাটক, লেখালেখি, বিতর্ক ইত্যাদি।
  • শারীরিকঃ ড্রিল, খেলাধুলা, সাতার, ভ্রমণ, স্কাউট।  
  • নৈতিকতাঃ সেইফটি জ্ঞান, ধর্ম, দর্শন ।
 
 
সবশেষে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯:  জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ এর খসড়াতে বেশ কিছু ভাল প্রস্তাব উঠে এসেছে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে এবং সকলের ক্ষেত্রে অভিন্ন পাঠ্য সূচি রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং তা অবৈতনিক রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তর ধরা হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত। বাস্তবতার বিবেচনায় আমি বলব প্রাথমিক শিক্ষাকে বর্ধিত করা এবং সে পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক রাখা ঠিক আছে। তারপরেও আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সবাই যেন মাধ্যমিক স্তর শেষ করে। ২০১১-১২ এর মাঝে ১০০ ভাগ শিশুকে শিক্ষার তলে আনার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবন্দ্বী শিশুদের জন্য বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দরিদ্র শিশুদের জন্য উপবৃত্তির কথা বলা হয়েছে। মুখস্থ বিদ্যা থেকে সরে এসে সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সার্বিকভাবে যেসব প্রস্তাব এসেছে সেগুলো বাস্তাবয়ন করা গেলে শিক্ষার মান অনেকাংশে বাড়বে বলে আমার ধারণা। তবে একটি বিষয় না বললেই নয় তা হল -বলা হয়েছে সাংবিধানিক সেকুলার নীতির কথা। কিন্তু আমাদের বর্তমান সংবিধান সেকুলার নয়। সে ক্ষেত্রে এই নীতি প্রনয়নের আগে সংবিধানের পরিবর্তন বাঞ্চনীয়। আবার সেকুলারের কথা বলেও নৈতিক শিক্ষার জন্য যার যার ধর্মের মাঝেই ফিরে যাই। এখানে একজন ছাত্র/ছাত্রী শুধু তাঁর নিজের ধর্ম পড়বে নাকি যে মূল চারটি ধর্মের কথা বলা হয়েছে সব গুলোই পড়বে তা পরিষ্কার করা হয়নি। যদিও সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা প্রদান মানেই সেকুলার নয়, তারপরেও নিদেন পক্ষে সকল ধর্ম সম্পর্কে জানলেও একজন মানুষ ধর্মের মূল সুরটি ধরতে পারবে বলে মনে হয়। তাই বৈষম্যহীন শিক্ষা দিতে হলে সকল ধর্মই প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীর পড়া উচিত।
 
সবশেষে নীতি কি করা হল সেটার চেয়ে মুখ্য বিষয় হল নীতির কতটুকু গ্রহন করার জন্য আমরা আন্তরিক। আমরা যদি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি নাই করতে পারি তবে আমাদের সকল সংস্কারই ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাই মুক্ত চিন্তার জাতি গঠনের জন্য সবার আগে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করতে হবে।  


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র, সংবিধান নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় বা প্রয়োজনীয়তা যে খুব একটা নেই তা আপনার চমৎকার লেখাটির পাঠক স্বল্পতা থেকে আরেকবার প্রমাণ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সংবিধান আর শিক্ষা নিয়ে লেখার জন্যে।
এস হোসাইন

---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আরো একটা জিনিস আপনার এই মন্তব্য থেকে বোঝা গেলো, আপনার সচল পাঠের বয়স অতি অল্প এবং সেই পাঠ খুবই অযত্নপূর্ণ। আপনি এখানে বাকি লেখক-পাঠকদের রাজনীতি অসচেতন বলে গালি দেবার মতো সিদ্ধান্ত নেবার আগে সচলায়তনের যতটা সতর্ক পাঠক হবার প্রয়োজন আপনি মোটেও তা নন। এই সতর্কতা শুধু লেখকের না পাঠকেরও দায়।



অজ্ঞাতবাস

আবির আনোয়ার [অতিথি] এর ছবি

সুমন চৌধুরীর মন্তব্যে জা-ঝা!!!

গৌতম এর ছবি

অ.
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯-এ সকল নাগরিকের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলা হলেও রাষ্ট্র কিন্তু এখনও এই দায়িত্ব নেয় নি। সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্র সব নাগরিকের শিক্ষাপ্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ! শব্দটা খেয়াল করুন, অঙ্গীকার, - রাষ্ট্র এখনও সুস্পষ্টভাবে দায়িত্ব নেয় নি। ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান লেখা হয়, তখনকার রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে এই 'অঙ্গীকার' শব্দটি যথাযথ ছিলো, কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রকেই উচিত শিক্ষাকে দায়িত্ব হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া।

আ.
সবাইকে উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পড়ানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রের নেওয়ার দরকার নেই। বদলে অন্তত অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাটা গুণগত মানের যেন হয়, সেটুকু করলেই যথেষ্ট। তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কাদের ভর্তি হওয়া উচিত, সে বিষয়ে আপনার সাথে একমত।

ই.
পাঠ্যসূচিতে কী কী পড়ানো উচিত, তা নিয়েও আপনার সাথে দ্বিমত আছে। লেখাটা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর হলে সেটি নিয়ে অনেক আলোচনা করা যেতো, সেটা যেহেতু নয়, সুতরাং সংক্ষেপে এটুকু বলে রাখি- বিশেষ করে ভাষার ব্যাপারে, শিক্ষার্থীকে এ সময়ে একটির বেশি ভাষা শেখানোর দরকার নেই (এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেবার কথা ভাবছি)। বিশেষ করে আঞ্চলিক ভাষার বিষয়টি বাহুল্য মনে হয়েছে। আর 'উপজাতীয়' ভাষা টার্মটি না ব্যবহার করার অনুরোধ রইলো- সঙ্গত কারণেই।

ঈ.
আপনার শেষ প্যারাটির সাথে একমত - পুরোপুরিই। তবে অনুরোধ থাকবে- সব বিষয়ে একটু একটু করে না ছুঁয়ে কোনো বিষয় নিয়ে আরও বিস্তারিত লিখুন। তাতে আলোচনার সুযোগ থাকবে। অন্তত আমি সেখানে অংশ নিতে চাই- এটুকু বলে রাখি। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্বাধীন এর ছবি

তবে অনুরোধ থাকবে- সব বিষয়ে একটু একটু করে না ছুঁয়ে কোনো বিষয় নিয়ে আরও বিস্তারিত লিখুন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপাতত আমি ম্যাক্রো লেভেলে আছি। সংবিধানের মূলনীতি কি হওয়া উচিত এটাকে মূল লক্ষ্য রেখেছি, এ কারণেই বিস্তারিত যাচ্ছি না। আমার কাছে মনে হয় আমরা যদি আমাদের মূল লক্ষ্যটি ঠিক করতে পারি, তখন প্রায়োগিক ব্যাপারটি তেমন সমস্যা নয়। তারপরেও বিস্তারিত আলচনা করতে পারলে আমারও ভাল লাগতো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পোস্ট পড়লাম। বেশিরভাগ কথাই ভালো।
জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া কি অনলাইনে পাওয়া যাবে? সকলের জন্য অভিন্ন পাঠ্যসূচির ব্যাপারে আমার বিশাল আপত্তি আছে। কারণ, আমি গরু, হাতি ও গাধাকে একই লোড দিতে চাই না, একই খাদ্যও খাওয়াতে চাই না। আমি বরং প্রত্যেকের আগ্রহ ও যোগ্যতা অনুযায়ী তার পছন্দের কাজটি করতে দিতে চাই, মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার চাই। এদিক দিয়ে অভিন্ন পাঠ্যসূচি মেধার বিকাশে পরিপন্থী।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

গৌতম এর ছবি

অ.
এখানে দেখেন বলাইদা। খসড়াটা পাওয়া যাবে- http://www.moedu.gov.bd/

আ.
অভিন্ন বলতে কিন্তু পুরোপুরি অভিন্ন বোঝানো হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, একটা পর্যায় পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু বিষয় অভিন্ন থাকবে। তারপর প্রত্যেকের টেন্ডেন্সি অনুযায়ী চয়েস করার সুযোগ থাকবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।