যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বরাহরা প্রস্তুত, কিন্তু আমরা প্রস্তুত তো। সচলায়তনে এই নিয়ে কিছুদিন পর পর লেখা আসছে, আলোচনা চলছে এবং এটা চলতে থাকা উচিত সরকারকে এক প্রকার চাপে রাখার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। সচলের বাহিরেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কার্যক্রম চলছে এবং এ রকমই একটি জোট হচ্ছে War Crimes Strategy Forum (WCSF) ।
এটি মূলত স্বেচ্ছাসেবকদের গড়া একটি জোট বা কোয়ালিশন যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে সর্বতোভাবে সহায়তা করা, মূলতঃ নাগরিক উদ্যোগগুলোকে সমন্বিত করার মাধ্যমে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি জটিল এবং বিস্তৃত প্রক্রিয়া। আর এটি এমনই বিস্তৃত একটি প্রক্রিয়া যে এককভাবে কোন সরকারের পক্ষেই হয়তো এর সুষ্ঠু সম্পাদন করা কঠিন, এমনকি হয়তো অসম্ভবও, যদি না নাগরিক পর্যায়ের উদ্যোগগুলো উল্লেখ করার মতো সম্পূরক ভূমিকা পালন না করে এই কর্মযজ্ঞে। এই উদ্দেশ্যটিকে মাথায় রেখে এই বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে কিছু মৌলিক বিষয়ে সমমনা সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রয়াশে এই জোট কাজ করে যাচ্ছে।
সংক্ষেপে এই কোয়ালিশন এর মূল উদ্দেশ্যগুলো হলঃ
১। যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্ট প্রাপ্য তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষন ও পর্যালোচনা করা ।
২। যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট ইস্যুতে নুতন গবেষনা এবং নুতন তথ্যের খোঁজ করা।
৩। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে গণমানুষের মাঝে সচেতনা তৈরি করা।
৪। দেশি/বিদেশি সমমনা গোত্রের মানুষ/দলের সাথে যোগযোগ রক্ষা করা।
৫। দেশি/বিদেশি মিডিয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা
৬। বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষন করা এবং
৭। অভিজ্ঞ আইনবিদদের সহায়তায় বিচারের কাজে পরামর্শ প্রদান করা।
ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে WCSF আজ প্রায় এক বছরে উল্লেখযোগ্য পথ পাড়ি দিয়েছে। WCSF এর মূল শক্তি এর স্বেচ্ছসেবকেরা এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা ছড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর সর্বত্র। ছাত্র, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিবিদ, সকল পেশাজীবিঃ যেমন আইনবিদ, চিকিৎসাবিদ, প্রকৌশলীবিদ, গবেষনাবিদ, সাংবাদিক, সামরিকবিদ, সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধে স্বজন হারানো সকল শ্রেনীর মানুষের সমন্বয়ে গড়া এই কোয়ালিশন। প্রতিদিনই নুতন নুতন মানুষ এবং নুতন নুতন সংগঠন যুক্ত হচ্ছেন বা WCSF এর সাথে সহানুভুতি জ্ঞাপন করছেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সামনে রেখে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ প্রকল্প আকারে হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রথম প্রকল্পটি হল মিডিয়া আর্কাইভ, যেখানে যুদ্ধাপরাধ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রাসঙ্গিক প্রতিদিনকার পত্রিকার খবর/নিবন্ধ/সাক্ষাতকার, ব্লগ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার খবর, অন্তর্জালে প্রাপ্ত খবর বা চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষন করা হয়। যুদ্ধাপরাধের-বিচার বিষয়ে ঘটনার গতি-প্রকৃতি-অগ্রগতি খুব সহজে একটি পোর্টালের ভেতরেই মনিটর করা এবং সে অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ-পরিবর্তন করাই মূলত এই আর্কাইভের উদ্দেশ্য।
দ্বিতীয় প্রকল্পটি হল ই-লাইব্রেরী যেখানে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ এর উপর প্রকাশিত দেশি/বিদেশি বই/জার্নাল সংগ্রহ ও সংরক্ষন করা হয়। লাইব্রেরীতে ইতোমধ্যেই শতাধিক ভুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই আরও নতুন নতুন ভুক্তি যোগ করা হচ্ছে। এই লাইব্রেরীর মূল উদ্দেশ্যে হল ভৌগলিক বাধা অতিক্রম করে উন্নততর রেফারেন্স লেখক-পাঠকদের কাছে সহজলভ্য করার মাধ্যমে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ এবং বিচার প্রক্রিয়া বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার পথকে সুগম করা।
একটি ব্লগ খোলা হয়েছে যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা যাবে এবং সে মোতাবেক কর্মপন্থা নির্ধারন করা সম্ভব হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্ভাব্য প্রকৃতি নিয়ে WCSF এর দেশি এবং বিদেশি আইনবিদগণের সমন্বয়ে গড়া প্যানেল এর মাঝেই কাজ শুরু করেছেন। এই কাজে স্বেচ্ছাসেবকদের ভিন্ন ভিন্ন দল সহায়তা করে যাচ্ছেন। কিছু সদস্য কাজ করছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য, আর কিছু সদস্য কাজ করছেন বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরিতে।
এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু রয়েছে। বাংলা ও ইংরেজী উইকিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধীদের কার্যকলাপ লিপিবদ্ধের জন্য একটি দল কাজ করে যাচ্ছে এবং এই কাজে সচলয়াতনের অনেকেই যুক্ত আছেন। এ ছাড়া একটি অনুবাদ প্রকল্প চিন্তার পর্যায়ে রয়েছে যেন মুক্তিযুদ্ধের উপর তথ্যগুলো বিদেশী গবেষকেদের কাছে সহজলভ্য করা যায়।
এই ফোরাম যদিও স্বেচ্ছেসেবকদের দ্বারা পরিচালিত, কিন্তু এটি একটি আদর্শ সমন্বয়কৃত ফোরাম। স্বেচ্ছসেবকদের মতামতের ভিক্তিতেই নুতন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় এবং স্বেচ্ছসেবকদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। তবে প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য থাকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অথবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট। WCSF এর প্রতিটি বিভাগেই প্রচুর স্বেছাসেবকের প্রয়োজন। আপনি আপনার ক্ষেত্র বুঝে যে কোন প্রকল্পে WCSF এর সাথে যুক্ত হতে পারেন। আগ্রহীরা wcsf-recruitmentএটgooglegroupsডটcom এ ইমেইল করতে পারেন।
আপনি যদি এখনই WCSF এর কাজের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত না হতে পারেন, তবে আপনি WCSF এর কথা আপনার পরিচিত জনের মাঝে ছড়িয়ে দিন। আপনি এই ব্লগটিকে ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন, কিংবা ফেইসবুকে WCSF এর ফ্যান পেইজে যুক্ত হতে পারেন। WCSF এর জন্য বেশ কিছু ব্যাজ তৈরী করে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক পৃথা। আপনি এই ব্যাজকে আপনার ফেইসবুক প্রোফাইল ছবি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কিছুদিনের জন্য। হয়তো এর মাধ্যমে WCSF কিছু নতুন সক্রিয় স্বেচ্ছসেবক পেতে পারেন কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনার সৃষ্টি হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি কোন দলের দাবি নয়, এটি গণমানুষের দাবি। কিন্তু শুধু দাবি জানানো আর আইনের মাধ্যমে এদের বিচার করা এক কথা নয়। তাই আমাদের সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে এবং এ জন্য WCSF একটি কার্যকর প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। আসুন, দল-মত নির্বিশেষে অন্তত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই ইস্যুতে আমরা সকলে মনে-প্রাণে সক্রিয় হই।
মন্তব্য
.......................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আচ্ছা বস্, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বর্তমানে কি করছে? ওদের কার্যক্রম কি বন্ধ?
কাকুল কায়েশ
!
-
কিন্তু এখানে একটা ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা নেয়া উচিৎ। বাংলাদেশের নাগরিকত্বধারী, রাজাকারদের বিচার করতে এখন আর যুদ্ধাপরাধী বিচারের মতো দীর্ঘমেয়াদী আর জটিল প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা মনেহয় না দরকার আছে। বাহাত্তুরের দালাল আইনেই সেটা সম্ভব।
এই বিচার শুরু হোক। পাশাপাশি শুরু হোক যুদ্ধাপরাধী বিচার। প্রথমে প্রচলিত আইনে তারপর আন্তর্জাতিক আইনে বিচার হোক গোআ, মতি, মুজা, কামারু নামক বরাহ আর তাদের পাকি আব্বুদের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চমৎকার উদ্দ্যোগ।
নিজের পাঠকাজে-ও উপকারী হবে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
চমৎকার উদ্যোগ ।
আমি একবার নেট এ খোঁজা খুজি করতে গিয়ে এই সাইটে গিয়েছিলাম ।
বোঝাই যাচ্ছে বেশ ভাল কাজ হচ্ছে ।
বোহেমিয়ান
চমৎকার উদ্দ্যোগ।
সন্ধ্যা
আমার কাছে মনে হচ্ছে, আবাল×োদা সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত করার জন্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। তাদের সর্বশেষ নির্বুদ্ধিতা দেখা যায় জিয়া বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা নিয়ে। এই পরিবর্তন জরুরি কেন? এরচে জরুরি কাজ কি সরকারের হাতে নাই? এইসব ×াল ফালাইতে তাদের পাবলিক ভোট দিয়া ক্ষমতায় পাঠায় নাই।
সরকারের কর্মকান্ডে এখন ধারানা করছি এরা এই টার্মে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেনা। রাজনৈতিক কারণেই এই প্রক্রিয়া যাতে শুরু করতে দেরী হয় সেজন্য এসব নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে।
সাধারণ পাবলিক হিসেবে মনে হয় এসব নিয়ে সরকার হাত ময়লা না করলেও পারতো। আর এসবের ফলাফল কখনোই সুখকর নয়। এই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সরকার (আ.লীগ না এলে) সব জায়গা থেকে শেখ মুজিব আর বঙ্গবন্ধুর নাম সরিয়ে ফেললে অবাক হবোনা। আ.লীগ আবারো পথ প্রদর্শকের ভূমিকা নিলো।
একটা জাতীয় নামকরণ কমিশন গঠন করা হোক। হাসিনা ক্ষমতায় আসলে মুজিবকীর্তন আর খালেদা ক্ষমতায় গেলে জিয়াহামদ আর দেখতে চাই না। বাংলাদেশে মুজিব আর জিয়া বাদেও বহু কীর্তিমান লোক ছিলো আছে থাকবে। তাদের নাম দেখতে চাই।
কালের কন্ঠে এই নিয়ে একটি লেখা এসেছে। জামায়াতী ফাঁদে পা দিচ্ছে না তো সরকার।
স্বাধীন ভাই, আমরা ব্লগে যতই লেখালেখি করি এতে জনমত কতটুকু প্রতিফলিত হচ্ছে আর কতটুকুই বা প্রভাবিত হচ্ছে? তবুও যেটুকুই হচ্ছে সেটুকুই লাভ, বুঝি। সরকারকে তো ভোট দিয়ে ম্যান্ডেট দিয়ে দেয়া হয়েছে, বাস্তবায়নের খবর কদ্দুর কেন জানে।
সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকান্ডে খুবই বিরক্ত লাগছে। এদের থেকে শুরুতে যা আশা করেছিলাম তা ঠিকমত এগুলোও এখন কেন যেন মনে হচ্ছে সেই আগের আ.লীগই আছে, এরা বদলায়নি।
মাঝে মাঝে এসব দেখে খুব হতাশ লাগে।
সরকারী কর্মকান্ড শুধু বিরক্তিকরই নয়, চিন্তারও কারণ। এটা অমুলক নয় যে আওয়ামীলিগ নিজেরাই যুদ্ধাপরাধী বিচারকে বিলম্বিত করতে পারে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য কিছু ঝুলিয়ে রাখার জন্য। এখন যেভাবে বিচারের আগেই শিবিরের সাথে সংঘর্ষে যাচ্ছে, ছাত্রলীগ নিজেরা এবং শিবিরের সাথে সংঘর্ষে যাচ্ছে এত মূল বিষয় থেকে জনগণের দৃষ্টি সরে যাচ্ছে। এতে আদতে জামাতেরই লাভ বেশি। আমার মতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হবার আগে ধর্ম ভিক্তিক রাজনীতি বন্ধ নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে যাওয়া উচিত হবে না। তাতে অন্যান্য ধর্ম ভিক্তিক দল গুলোকে নিয়ে জামাত বিশৃংখলা করার চেষ্টা করবে। এক বার বিচার শুরু হয়ে গেলে, আর মূল হোতাগুলোকে বিচারে দোষী সাব্যস্ত করতে পারলে তখন ধর্ম ভিক্তিক রাজনীতি বন্ধ কিংবা ধর্ম নিরপেক্ষতা, কিংবা শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সবই সম্ভব হবে।
ব্লগে লেখালেখি করে কাজ হয় না, ঠিক নয়। আমি মনে করি বর্তমান প্রজন্মের একটি বিরাট অংশ এখন অন্তর্জালেই থাকে। বরং এরা পত্রিকা কম পড়ে। তাই ফেইসবুক, ব্লগ এর মাধ্যমে সেই অংশটিকে সচেতন করা যাবে। এটাই বা কম কি?
WCSF এর প্লাটফর্মটিকে আরো বেশি যে কারণে আমি মূল্যবান মনে করি যে যদি আওয়ামিলীগ কোন কারণে এই টার্ম এ বিচারে না করে তবে এই প্লাটফর্মের নীচে সমমনা দল বা মানুষগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে আমরাই বিচারের জন্য কাজ করার জন্য চেষ্টা করতে পারবো।
ব্লগ এখনকার প্লাটফর্ম কিনা জানিনা। তবে কয়েক বছরের মধ্যে অনেক শক্তিশালী প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে আশা রাখি।
স্বাধীন ভাই, লেখার জন্য ধন্যবাদ।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমৎকার পোষ্ট। WCSF সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ভালো লাগলো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
উদ্যোগের সাথে জড়িতে সবাইকে অভিনন্দন।
উইকিতে খুব ছোট আকারে কামলা দেয়া শুরু করসিলাম। থেমে যাওয়ার জন্য নিজের অলসতা ছাড়া কিছুই দায়ী না। আবার শুরু করব আশা রাখি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই লেখাটার জন্য।WCSF এর ব্যাজ নিজের সচলের প্রোফাইলে এবং নিজের ওয়েবপেজে ধারন করছি গত কয়েক মাস ধরে।আমার একটি প্রশ্ন আছে WCSF এর ই লাইব্রেরীতে আমি কিছু বই খুঁজতে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু বইএর নাম আছে, সেক্ষেত্রে বইটি লাইব্রেরী থেকে খুজে পড়তে হবে। যদি কোনভাবে পিডিএফ পাওয়া যেত তাহলে পড়তে অনেক শুবিধে হত।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তুমি কি লাইব্রেরীতে রেজিস্ট্রেসন করেছিলে? বেশিরভাগ বইয়ের পিডিফ দেওয়া আছে। তবে ডাউনলোড করতে হলে বা পড়তে হলে সাইটটিতে রেজিস্ট্রেসন করতে হবে। স্প্যাম রোধ করার জন্য রেজিস্ট্রেসন এর অপশনটি রাখা হয়েছে। রেজিস্ট্রেসন করলে সাথে সাথেই সকল বই ডাউনলোড করতে পারবে। রেজিস্ট্রেসন এক মিনিটের ব্যাপার।
ভাইয়া রেজিস্ট্রেশন করেছি আগেই। আমি ব্যাখ্যা করছি, ধরুন আমি লগইন করে ই লাইব্রেরীতে ঢুকলাম। তারপর ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইএর তালিকায় গেলাম। প্রথম যে বইটি আছে তা হলোঃ
Al Faruque, Abdullah-International Crimes Tribunal in Bangladesh: Evolving Standard of Procedural Fairness,2009, Post-Conflict Justice, Peace and Human Rights।
এই বইটি সিলেক্ট করলে দুটি অপশন আসে, একঃ Show details দুই, Find Book Details (VIA ISBN)। এরকম অধিকাংশ বইতেই আসে। আমি কি সঠিক ভাবে খুজছি নাকি অন্য পদ্ধতি আছে?
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
@ সচল জাহিদ,
দুঃখিত আপনার সমস্যার জন্য। ই-লাইব্রেরীর প্রথম পাতায় দেয়া নিচের এই নির্দেশনাটি হয়তো আপনার নজর এড়িয়ে গেছে:
শুরুতে সবার জন্য এমনকি বিনা নিবন্ধনেই লাইব্রেরীর সমস্ত আইটেমের ডাউনলোড-সুবিধা উম্মুক্ত করে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যেহেতু লাইব্রেরীর অনেক আইটেমই নামী প্রকাশনা সংস্থাগুলোর অধীন জার্নাল থেকে নেয়া, তাই কপিরাইটের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। বিচ্ছিরি রকমের কিছু কপিরাইট সংক্রান্ত চোরাবালি পার হতে হচ্ছে এখন আমাদের; প্রচুর নেগোশিয়েশনের কাজও বাকি। তবে আশা আছে একদিন পুরো লাইব্রেরীটিই পাঠক-গবেষকদের জন্য পুরোপুরি উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।
তবে তারপরও ডাউনলোডের সুবিধা একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয়নি। নিবন্ধিতদের মধ্যে যারা আসলেই ডাউনলোড সুবিধা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক শুধু তাদের জন্যই সংরক্ষিত রাখা হয়েছে এই সুবিধাটি। লাইব্রেরী গ্রুপ এডমিনকে ইমেইল করলেই আবেদনকারী নিবন্ধিতের একাউন্টে ডাউনলোড সুবিধা যুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় আপগ্রেডেড একাউন্টের অধিকারীরা প্রতিটি আইটেমের পাশে একটি করে "পিডিএফ" আইকন দেখতে পাবেন, যেখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নেয়া যায় আইটেমগুলো।
ধন্যবাদ।
===================
মুক্তাঙ্গন: নির্মাণ ব্লগ
===================
===============================================
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF) || মুক্তাঙ্গন: নির্মাণ ব্লগ
ধন্যবাদ রায়হান রশিদ ভাই। আমি আপনার নির্দেশনামত তে ইমেইল করেছি।
আমি লক্ষ্য করলাম আমি একসেস পেয়েছি। আবারো ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জরুরী লেখার জন্য ধন্যবাদ, ভাইয়া। সদস্য হয়েও কিছু করতে পারছি না সময়ের অভাবে। প্রতি মুহূর্তে লজ্জিত হই সে-কারণে।
ভাইয়া, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। ইন্টারনেটে এটা আমার দেখা সবচেয়ে গঠনমূলক, যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনগুলোর একটি। আরেকটি হচ্ছে উইকিযুদ্ধ। যুদ্ধাপরাধী-বান্ধব অন্ধদের অপযুক্তির জন্য এই সম্ভার অনেক কাজের হবে।
ইন্টারনেটে আজকাল অনেক ব্লগে পঙ্গপালের মত সারি সারি অপযুক্তিকারীদের দেখা যায়। যারা আলোচনার নামে যুদ্ধাপরাধ প্রশ্নে, জামায়াত-শিবির প্রশ্নে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। এদের গদাম দেবার স্পৃহা থেকে সম্ভবত শুরু হয়েছিল এ-টিমের ব্লগীয় মুক্তিযুদ্ধ। আমিও বিরক্ত হয়ে একসময় ব্যক্তিগতভাবে যুক্তির হাতিয়ার দিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপযুক্তিকারীদের সেই আদি খোঁয়ারগুলোতে এখনো তাদের অপচেষ্টা বলবৎ আছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চেষ্টার সাথে সাথে যারা জানে না তাদের সচেতন করে তোলাটাও একটা গুরু-দায়িত্ব। সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারের জন্য গদামের চেয়ে তথ্য-নির্ভর যুক্তিতর্কই বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করি। WCSF সেখানে তথ্য-যোগানকারীর ভূমিকা পালন করতে পারবে।
উইকিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পোস্টের ক্ষেত্রে ইদানিং সূত্রের উপর সর্বাধিক জোর দেয়া হচ্ছে। একটা উপযুক্ত সূত্রের চেয়ে শ্রেষ্ঠ গদাম আর কিছু হতে পারে না।
সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যতিরেকে জ্ঞান লোপ পায় ধারণকারীর মৃত্যুর সাথে সাথে। এবারের যুদ্ধ হওয়া উচিত তথ্য-সংগ্রহের যুদ্ধ।
----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~
সেটাই। ধন্যবাদ। তুমি নিজেও যুক্ত হয়ে যাও উইকি যুদ্ধ বা WCSF এর কাজে। আমাদের না বসার কথা ছিল উইকির ব্যাপারে কথা বলার জন্য। এক দিন ফোনে কথা বলতে পারি বা ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারি।
নতুন মন্তব্য করুন