ছাত্র রাজনীতিঃ পক্ষ-বিপক্ষ

স্বাধীন এর ছবি
লিখেছেন স্বাধীন (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১০ - ৫:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত কিছুদিনের ছাত্র সংঘর্ষে সবার সামনে আবারো ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা/অপ্রয়োজনীয়তার প্রশ্নটি চলে এসেছে।মানুষ পক্ষ এবং বিপক্ষ এই দু’দলে বিভক্ত, কিন্তু আপাত সহজ কোন সমাধান কারোর কাছেই নেই। দু’পক্ষরই উদ্দেশ্য বর্তমান ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত মুক্ত করা, শুধু তাঁদের পন্থা ভিন্ন। যারা ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে তাঁদের যুক্তি হল বর্তমান ছাত্র রাজনীতির দৈন্যদশাঃ দলীয় কোন্দল, চাঁদাবাজি, হল দখল, সংঘর্ষ, মৃত্যু। তাই তাঁরা এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে। অন্য পক্ষ যারা ছাত্র রাজনীতি বলবৎ রাখার পক্ষে তাঁরাও এই দৈন্যদশার অবসান যে চান না তা নয়, কিন্তু এ জন্য তাঁরা সরাসরি ছাত্র রাজনীতিকে দায়ী করতে রাজী নন। বরং ছাত্র রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সত্যিকার ভাবে দায়ি যে কারণ গুলো তা খুঁজে বের করার পক্ষপাতি, যদিও সমস্যার মূলে খুব কম মানুষই যায়। একটি কথা বারংবার আলোচনায় উঠে আসে তা হল দলীয় লেজুড়ভিক্তিক ছাত্র রাজনীতির কারণেই আজ এই দশা, কিন্তু এর সহজ কোন সমাধান কেউ বলতে পারেন না। কিভাবে বর্তমান অবস্থায় ছাত্র রাজীতিকে দলীয় প্রভাব মুক্ত রাখা সম্ভব সেটা নিয়ে কেউ আলোচনা করেন না। এ কারণে সহজ সমাধান হিসেবে আমরা পাই ছাত্র রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করাকে।

মূল আলোচনায় প্রবেশের আগে একটি বিষয়ে আলোকপাত করা জরুরী বলে মনে করি। প্রশ্ন হল রাজনীতি বলতে আমরা কি বুঝি? রাষ্ট্রের বা সরকারের বা জনগণের বিভিন্ন সমস্যা, সুযোগ সুবিধে, ভাল মন্দ নিয়ে কথা বলা বা সমালোচনা করা কি রাজনীতি? বর্তমানে পাহাড়ের অস্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলা বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলা কি রাজনীতি? নাকি এই সব বিষয়ে ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসাবিদ, প্রকৌশলীবিদ, সামরিকবিদ বা সরকারী চাকুরীজীবি বা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলা অনুচিত? ছাত্রদের নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা বা শিক্ষকদের নিজেদের সমস্যা নিয়ে বা শ্রমজীবি মানুষের নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা কি রাজনীতি? তাহলে রাজনীতি কি শুধু নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বীতা করা আর না করার মাঝেই সীমাবদ্ধ? নাকি চাঁদাবাজি, হল-দখল, জমি-দখল, খাল-দখল, সন্ত্রাস এই সব হল রাজনীতি।

আমার মনে হয় না রাজনীতির মাঝে এই সব সন্ত্রাস কেউ চাইবে বা এগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে কেউ থাকবে। তাহলে বাকি রইল দেশ ও দেশের মানুষের বা নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এর কি প্রয়োজন আছে বা ছাত্রদের, শিক্ষকদের, বিভিন্ন পেশাজীবিদের বা শ্রমজীবি মানুষের কি দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে? আপনার কি মনে হয়? আর দেশের কথা যদি এই সকল শ্রেনীর মানুষেরা চিন্তা না করে তবে কারা তাঁদের পক্ষে চিন্তা করবেঃ কর্পোরেট ব্যবসায়ীবৃন্দ আর বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ?

যদিও লেখাটির মূল আলোচনা ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কিন্তু আমার মতে ছাত্র রাজনীতি পৃথক কোন বিষয় নয়। এর সাথে শিক্ষক রাজনীতি , বিভিন্ন পেশাজীবিদের রাজনীতি বা শ্রমজীবি সংগঠনের বিষয়গুলো সম্পৃক্ত। কোনটিকে অন্যটির থেকে পৃথক করে দেখার অবকাশ নেই। দলীয় লেজুরভিক্তিক ছাত্র সংগঠন বা শিক্ষক সংগঠন বা পেশাজীবি বা শ্রমজীবি সংগঠনের বিরোধিতা আমিও করি কিন্তু সেই সঙ্গে এও বলতে চাই যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই সব সংগঠনের প্রয়োজনীয়তাও অপরিসীম। প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্কের অধিকার রয়েছে এবং উচিতও প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং সে আলোকে নিজের মতামত প্রদান করা। কোন আইন করে নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয় যদি না সে গোষ্ঠী বা সংগঠন আদর্শগত ভাবে হিংসাত্বক বা ধ্বংসাত্বক কাজে যুক্ত থাকে। তাই আইন করে ছাত্র বা শিক্ষক বা কোন পেশাজীবি বা শ্রমজীবি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা সম্ভবপর নয় বা করাও উচিত নয় বলে আমার মনে হয় । তাহলে এই গোলক ধাঁধার কি কোন সমাধান নেই? দলীয় লেজুড়বৃত্তি ব্যতীত সংগঠন কি সম্ভবপর নয়? সবাই দলীয় লেজুড়বৃত্তি মুক্ত সংগঠন কামনা করেন কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব সেটা নিয়ে কেউ আলোকপাত করেন না। আমি এখানে একটি সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করতে চাই।

আমার মতে এর একটি মূল কারণ হচ্ছে আমাদের বর্তমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতির একটি বড় দুর্বলতা এবং তা হল সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অক্ষমতা। আঞ্চলিক ভেদে জনসংখ্যার অনুপাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠির প্রকৃত চিত্র চিত্রিত করে না। বর্তমান জনপ্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি পুরোপুরি দলীয় নির্ভর নির্বাচন পদ্ধতি। এখানে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না হয়ে দলীয় প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। বাস্তবতায় জনগণও ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে একটি দলকেই ভোট দেয়। এই চিত্রটি যে শুধু আমাদের দেশেই তা নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অগ্রসর দেশেগুলোতেও জনগণ দলকেই নির্বাচন করে। এ কারণে সে সব দেশেও ঘুরে ফিরে একেক বার একেক দল সরকার গঠণ করে। দলীয় ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি খুব কমই দলীয় আনুগত্যের বাহিরে যেতে পারেন। তাই এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কখনই জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে গমণ করেন না। এই চিত্রটি করুণ আকার ধারণ করে উন্নয়শীল বা অনুন্নত দেশগুলোতে যেখানে শিক্ষার হার অনেক কম এবং দারিদ্রের হার অনেক বেশি। দলীয় আনুগত্য তখন সকল প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং সেটারই বহিঃপ্রকাশ দেখি দলীয় লেজুরভিক্তিক সংগঠন গুলোতে।

তবে আনুগত্য শুধু দলের প্রতি সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়। বর্তমান পদ্ধতিতে যেহেতু ছাত্র বা শিক্ষক বা শ্রমিক বা পেশাজীবিদের সরাসরি আইন প্রণয়নে কোন ভুমিকা থাকে না তাই তাঁদের যে কোন কিছুর জন্য আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধির পেছনেই অবস্থান নিতে হয়। এভাবেই জনপ্রতিনিধিরা হয়ে উঠেন ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে, এবং এভাবেই তাঁরা বিভিন্ন পেশাজীবিদের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠে আর এভাবেই শুরু হয় দলের ভেতরেও উপদল। দলীয় লেজুরভিক্তিকতার পাশাপাশি এই ব্যক্তিনির্ভরতাও দায়ী পেশাজীবি ও শ্রমজীবি সংগঠন গুলোর মাঝে সন্ত্রাসের বিষ ছড়াতে। তাই আমাদের প্রয়োজন এই পেশাজীবিদের সরাসরি সরকার ব্যবস্থায় প্রবেশ করানো যেন তাঁদের অন্যদের উপর নির্ভর না করতে হয়।

এ কারণে আমি মনে করি প্রকৃত রিপ্রজেন্টেটিভ বা জনপ্রতিনিধি শুধু অঞ্চলভেদে নির্বাচন না করে জনগণের মাঝে যত প্রকার বৈচিত্র রয়েছে সব ক্ষেত্র হতেই স্যাম্পল আসা উচিত। তাই অঞ্চলভেদে প্রতিনিধির পাশাপাশি প্রতিনিধি আসা উচিত বয়স অনুপাতে, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুপাতে, বিভিন্ন পেশাজীবিঃ ছাত্র, শিক্ষক, চিকিতসা, প্রকৌশলী অনুপাতে,, বিভিন্ন শ্রমজীবি পেশা অনুপাতে, লিঙ্গ অনুপাতে। অর্থাৎ প্রতিটি বিভাগ হতেই প্রতিনিধি নির্বাচন করে যে সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সেখানে সকল মানুষের মনোভাব উঠে আসবে। অন্যথায় জনগণ এর চিন্তার সাথে সরকারের চিন্তার মাঝে পার্থক্য রয়ে যাবে।

এখানে প্রশ্ন আসতে পারে এভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা কতটা বাস্তব সম্মত। যদি শুধু মাত্র ছাত্র প্রতিনিধির কথাই উদাহরণ হিসেবে বলি তবে প্রতিটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল একটি মাত্র ছাত্র সংসদ থাকবে যারা নির্বাচিত হবে সরাসরি ছাত্রদের ভোটের মাধ্যমে। এভাবে প্রতিটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সংসদ নির্বাচন করবে তাঁদের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সভাপতি। নির্বাচিত সভপতি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য (দু’বছর) সংসদে উক্ত সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন। এভাবে প্রতিটি পেশাজীবি বা ধর্মীয় গোত্র বা আদিবাসী সহ সকল শ্রেনীর মানুষ তাঁদের নিজ নিজ সংগঠনের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিনিধি পাঠাবেন সংসদে। এই প্রক্রিয়া আরো সহজতর করা সম্ভম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রতিটি প্রাপ্তবয়ষ্ক নাগরিক যখন ভোটার হবেন তখন তিনি তাঁর বয়স, ধর্ম, পেশা, অঞ্চল এগুলো উল্লেখ করবেন। পরবর্তীতে নির্বাচনের সময় তিনি তাঁর ক্যাটাগরি অনুসারে ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে একই ব্যক্তি একই সংসদে নিজ নিজ বয়স, ধর্ম, পেশা ও অঞ্চলভেদে বিভিন্ন প্রতিনিধি প্রেরণের মাধ্যমের সংসদকে আরো প্রতিনিধিমুলক করবেন।

এই ক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় চলে আসে। এক কক্ষ বিশিষ্ট বনাম দু’কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দু’কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষপাতি। বিভিন্ন পেশা, ধর্ম, বয়স এবং অঞ্চল অনুপাতে যে সংসদ গঠিত হবে সেটাকে আমি যেহেতু প্রকৃত প্রতিনিধিমুলক বলে মনে করি তাই এই সংসদকে আমি রাখতে চাই উচ্চ কক্ষে যাঁদের কাজ হবে কেবল আইন প্রণয়ন বা বিভিন্ন জাতীয় নীতি প্রণয়ন বা সংবিধান পর্যালোচনা করা। শুধু মাত্র অঞ্চলভেদে একটি সংসদ (বর্তমান সংসদ) হতে পারে যাঁদের কাজ হবে দেশ পরিচালনা করা এবং জনগণের করের অর্থের যথার্থ ব্যবহার করা সংবিধান অনুসারে। নিম্ন কক্ষ হবে দেশের নির্বাহী বিভাগ এবং উচ্চ কক্ষ হবে আইন প্রণয়নকারী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ হবে আইন প্রয়োগকারী বিভাগ। আবার শুধু মাত্র একটি সংসদ দিয়েও দেশ পরিচালনা সম্ভবপর হবে যদি সেই সংসদে সকল শ্রেনীর জনগণের প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকে। সে ক্ষেত্রে সংসদ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং সরকার হবে সংসদের একটি ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় সংসদ এবং সরকার একই প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারের বা সংসদের জবাবদীহিতার কোন উপায় নেই। ভোটাধিকার প্রয়োগ হচ্ছে জনগণের ক্ষমতার উৎস এবং সেই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যখন জনগণের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে বারংবার ব্যর্থ হয় তখনই জনগণ অসিহুষ্ণ হয়ে ধ্বংসাত্বক পথ অবলম্বন করে। তাই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে জনগণের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্যই প্রয়োজন সংসদে সকল শ্রেনীর প্রতিনিধি প্রেরণ।

রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমার দেশের সমস্যা এবং সরকারের ভাল মন্দ নিয়ে কথা বলার অধিকার রয়েছে। তেমনি অধিকার রয়েছে যে কোন সংগঠনে জড়িত হবার হোক না তা বিজ্ঞান ভিক্তিক কিংবা সাংস্কৃতিক ভিক্তিক বা ধর্ম ভিক্তিক বা রাজনীতি ভিক্তিক। নিজে ছাত্র বা শিক্ষক হয়েও যদি নিজের শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যহত না করে দেশ গঠনে বা সমাজ গঠনে কোন ভুমিকা রাখতে পারি তবে তা কেন করবো না। কিন্তু আজ কোন আইন করে যদি বলা হয় যে ছাত্রত্ব/শিক্ষকতা অথবা দেশ গঠনের মাঝে কেবল একটিকেই বেছে নিতে হবে তাহলে তা কতটা যুক্তিযুক্ত? কিছু ছাত্র বা শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে রাজনীতিতে যুক্ত হয় যাঁদের মাঝে নৈতিকতার কোন চিহ্ন নেই। তাঁদেরকে শাস্তি প্রদানের জন্য যদি সকল ছাত্র বা শিক্ষক সমাজের উপর আঘাত আনি সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত? শিক্ষক সমাজকে আমি মনে করি একটি জাতির চক্ষু স্বরুপ এবং একজন শিক্ষককের হওয়া উচিত একজন দার্শনিকের মত। তিনি শুধু পাঠ্যবই থেকেই শিক্ষা দিবেন না তিনি সেই শিক্ষাকে নিজের মাঝে ধারণ করবেন যা থেকে ছাত্ররা বা সমাজের অন্য ব্যক্তিরা শিক্ষা লাভ করতে পারে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে আজ সেই শিক্ষক সমাজ নেই। সমাজের অবক্ষয়ের এটাও একটি কারণ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমরা প্রবেশ করেছি এটা সত্য , কিন্তু সেই সাথে উপেক্ষা করেছি শিক্ষক সমাজকে আর মাথায় তুলে নিয়েছি জনপ্রতিনিধিদের। একজন জনপ্রতিনিধি কেবল দেশকে শাসন করতে পারে, কিন্তু একজন শিক্ষক দেশকে বা সমাজকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই প্রয়োজন উন্নত চরিত্রের মানুষদের শিক্ষকতার পেশায় আসা এবং সাথে সাথে রাজনীতিতেও আসা।


মন্তব্য

কাকুল কায়েশ এর ছবি

স্বাধীন ভাই, একটা নতুন কথা বললেন!
অনেক বছর আগে থেকেই ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তি শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে! গত দশ বছরে নতুন কিছু শুনি নাই! হয়তো আপনার বিশ্লেষনেও কিছু খুঁত পাওয়া যাবে, কিন্তু আমার কাছে ভাল লেগেছে যে একটা সুন্দর সমাধানের ইঙ্গিত আছে এতে।

দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে এটা খারাপ না! কিন্তু বাস্তবায়ন সোজা হবে না, বা বলতে গেলে অসম্ভব, বিশেষত বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে! এ ব্যাপারে আরো আলোচনা চলতে পারে......!

যাই হোক, আপনার বিশ্লেষনের একটা অংশের সাথে আমার একটা চিন্তাধারা যোগ করতে চাই। এভাবে শুরু করলে কেমন হয় (বুয়েট দিয়েই উদাহরন দিচ্ছি)......বুয়েটে একমাত্র ইউকসু ছাড়া আর কিছু থাকবে না, ইউকসুই হবে ছাত্র রাজনীতির এক ও একমাত্র কেন্দ্র! অন্য কোন ছাত্র সংগঠন ও তাদের কার্যকলাপ চিরতরে বন্ধ থাকবে (সনি হত্যার পর কিন্তু এরকম সিদ্ধান্ত দিয়েছিল কতৃপক্ষ, সেসময় কিন্তু অনেক ভাল ছিলাম আমরা)। এভাবে সব ইউনিভার্সিটিতে যদি একই নিয়ম করা যায়, তাহলে অবস্থার একটু উন্নতি আশা করা যায় হয়ত!

=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

স্বাধীন এর ছবি

ধন্যবাদ কায়েশ মন্তব্যের জন্য। লেখায় খুঁত থাকবেই, চিন্তা তো কারোর পারফেক্ট হতে পারে না। সবাই তো সরাসরি নিষিদ্ধ করার পক্ষে আর বিপক্ষে বলে খালাস। আমি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করে দেখার চেষ্টা করলাম আর কি।

আমিও মানি বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র বা শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করাই সহজ সমাধান। অন্তত কয়েক বছরের জন্য চেষ্টা করা দেখা যেতে পারে। তবে আমি লেখায় যে কথাটি বলেছি যে সে রকম আইন করা সম্ভবপর কিনা আমি জানি না। কেউ যদি সেই নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে আদালতে যায় তবে আদালতে সেটা টিকবে কিনা আমি সন্দিহান।

এ কারণেই চিন্তা করেছিলাম যে যদি এর বিকল্প হিসেবে বরং এদেরকে নিষিদ্ধ না করে, এদেরকে কাজে লাগানো যায় তবে কেমন হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে যে নিষিদ্ধ করলেই যে লেজুড়বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। তখন প্রকাশ্যে না হয়ে গোপনে হবে। তার চেয়ে বরং লেজুড়বৃত্তিকে কিভাবে ডাইভার্ট করা যায় সেটা নয়ে চিন্তা করি। তাই এই সব সংগঠন হতে প্রতিনিধি যদি সরাসরি আইন প্রণয়নে নিজেদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পারি তবে লেজুড়বৃত্তি কমে যাবে বলে মনে হয়েছে। দলীয় প্রভাব যে সেক্ষেত্রেও থাকবে না তা নয়, তবে সেটার প্রভাব অনেক কম হবে ব লে মনে হয়।

মূল সমস্যা সেটা বাস্তবায়ন করা কারণ তার জন্য প্রয়োজন সংবিধান পরিবর্তন এবং সেটা কিভাবে সম্ভব আমি জানি না। এটাই এই লেখার বড় দুর্বলতা।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

কিছু ছাত্র বা শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে রাজনীতিতে যুক্ত হয় যাঁদের মাঝে নৈতিকতার কোন চিহ্ন নেই। তাঁদেরকে শাস্তি প্রদানের জন্য যদি সকল ছাত্র বা শিক্ষক সমাজের উপর আঘাত আনি সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত?

মোটেই যুক্তিযুক্ত না - তবে এই যুক্তিটাই হলো সিস্টেমের ফাঁক। ছাত্র রাজনীতি এখন এত কলুষিত হয়ে গেছে যে নৈতিকতাসম্পন্ন কোনো ছাত্র আজকাল রাজনীতিতে যায় না - এখনকার রাজনীতির অর্থ দাঁড়িয়েছে সুবিধাবাদীতা। যার ফলে অকাট্য যুক্তির চাপে যেই লাউ সেই কদু ওঁয়া ওঁয়া

তাই প্রয়োজন উন্নত চরিত্রের মানুষদের শিক্ষকতার পেশায় আসা এবং সাথে সাথে রাজনীতিতেও আসা।

স্বপ্ন দেখা ভালো - কিন্তু দুঃখিত, এই কথাগুলি কেন যেন দূর ভবিষ্যতের কোনো সাইন্স ফিকশনের মত মনে হল মন খারাপ আপনি কি মনে করেন না আজকের শিক্ষক সমাজকে উপেক্ষা করার যথাযথ কারণ আছে? প্রাইভেট ইউনিতে হাজু হাজু, পাবলিক ইউনিতে দয়া পরবশ হয়ে দেশের সেবা। আপনি হয়ত বলবেন গুটি কয়েকের দোষ সবার উপরে চাপানো ঠিক না - কিন্তু সেই গুটি কয়েকই তো অসীম ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে, তাদের কিছু বলাও যায় না, ব্যাক আপ পাচ্ছেন তারা রাজনীতি করে - অন্যদেরও ব্যাক আপ দিচ্ছেন, রাজনৈতিক রিক্রুটিং-এর কথা তো বাদই দিলাম - সোজা পথে তাদের লেজুরবৃত্তি ছোটানোর কোনো উপায় নাই। অন্য সব থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশগুলোর মতন আমাদের দেশেও সব শক্তের ভক্ত নরমের জম। আগাছা শক্ত হাতে উপড়ে না ফেললে আরো শ খানেক বছর একই চক্র চলতে থাকবে।

অফটপিক (?): আপনার এই পোস্টে কাছাকাছি একটা মন্তব্য করেছিলাম, প্রাসঙ্গিক মনে হলো।

স্বাধীন এর ছবি

আপনার আগের পোষ্টে মন্তব্য এবং এই মন্তব্যে সত্যিকথা বলতে কি দ্বিমত করার কিছু নেই। আমি যদিও বলেছি অল্প কয়েকজন ছাত্র বা শিক্ষক অনৈতিক, আসলে তারাই যে সংখ্যা গরিষ্ঠ এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই । এবং এর জন্য ছাত্র বা শিক্ষক রাজনীতি সাময়িক বা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাই সহজ সমাধান কিন্তু আমার মতে সেটাই সর্বোত্তম সমাধান নয়।

আপনার কি মনে হয় যে ছাত্র বা শিক্ষক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করলেই কি যাঁদের রক্তে দলীয় আনুগত্যতা ঢুকে আছে তারা সব ভালো মানুষ হয়ে যাবে? আমি আমার লেখায় যেটা বলার চেষ্টা করেছি যে এই দলীয় আনুগত্যের মূল কারণ হল সর্বক্ষেত্রে দলীয় নির্ভরতা। যদি এই সব সংগঠন সরাসরি নিজেরা আইন প্রণয়নে আসার সুযোগ পায় তবে দলীয় নির্ভরতা কমে যাবে। তখন দলগুলো ব্যক্তির পেছনে ছুটবে। সেখানে ব্যক্তি দলকে নিয়ন্ত্রন করবে দল ব্যক্তিকে নয়।

লেখায় অনেক ইউটোপিয় চিন্তা আছে স্বীকার করি। কিন্তু সেই সব স্বপ্নই বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্ধৃতি
কিন্তু আজ কোন আইন করে যদি বলা হয় যে ছাত্রত্ব/শিক্ষকতা অথবা দেশ গঠনের মাঝে কেবল একটিকেই বেছে নিতে হবে তাহলে তা কতটা যুক্তিযুক্ত?
আমার মনে হয় আমাদের দেশের দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দল রাজনীতির যে জঘন্য সংস্কৃতি চালু করেছে তাতে দেশ গঠনের সবথেকে ভাল উপায় হয়ে দাড়িয়েছে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা। আর আমি একজন ছাত্র হিসাবে মনে করি একজন ছাত্র/শিক্ষক তার অর্জিত জ্ঞান দিয়েই দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখবেন দুনিয়ার কোন ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধারার রাজনীতি হয় সে ধারার রাজনীতি দেখা যায় না।
আমাদের দেশে এখন রাজনীতি আর দলীয় লেজুড়বৃত্তি শব্দ দুইটি সমার্থক হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর তথাকথিত দেশদরদী নেতাদের প্রধান কাজ হচ্ছে এখন দলীয় প্রধানদের পরিবারের মানুষদের নির্লজ্জ প্রশংসা করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এঁদের যত দূরে রাখা যায় ততই মঙ্গল।
গতকাল ছিল পঁচিশে ফেব্রুয়ারী। পিলখানা হত্যাকান্ডের এক বছর পূর্তির এই শোকাবহ দিনেও আসল অপরাধীদের খুজে বের করার কোন আন্তরিক প্রচেষ্টা না নিয়ে নির্লজ্জের মত একেঅপরের মুন্ডপাত করেছেন আমাদের তথাকথিত দেশের চিন্তায় ঘুম হারাম হওয়া রাজনীতিবিদেরা। নিহত দেশপ্রেমী সেনা অফিসেরদেরকেও নিজেদের রাজনীতির ঘুটি বানাতে এতটুকু বাধেনি তাঁদের। মানুষ হিসাবে আমি আশাবাদী।কিন্তু আশাবাদী হওয়া সত্তেও আরা যাই হোক এঁনারা আমাদের ছাত্রদের রাজনীতির সঠিক দীক্ষা দিবেন এটা মানতে আমি রাজী না।
ধন্যবাদ।
তার্কিক

স্বাধীন এর ছবি

আমাদের দেশে এখন রাজনীতি আর দলীয় লেজুড়বৃত্তি শব্দ দুইটি সমার্থক হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর তথাকথিত দেশদরদী নেতাদের প্রধান কাজ হচ্ছে এখন দলীয় প্রধানদের পরিবারের মানুষদের নির্লজ্জ প্রশংসা করা।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। এক বারে সত্য কথা, এ নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি সেটাকেই আরো একটু গভীরে নিয়ে চিন্তা করার চেষ্টা করছিলাম। চিন্তা করে দেখুন, কেন রাজনীতি আর দলীয় লেজুড়বৃত্তি সমার্থক হয়ে গিয়েছে? আমি ব্যাপারটিকে একটু সামাজিক মনস্তাত্বিক কোণ থেকে দেখার চেষ্টা করছিলাম। কেন ছাত্র সমাজ বা শিক্ষক সমাজ বা জ্ঞানীগুণী মানুষেরা লেজুড়বৃত্তির মত কাজে লিপ্ত হয় সেটাকে বুঝার চেষ্টা করছিলাম। এই চক্র যদি ভাঙ্গতে পারেন তবে কোন কিছুকে নিষিদ্ধ না করেও তাঁদের অবদানকে কাজে লাগানো যায়। আমাদের চেষ্টা হওয়া উচিত কিভাবে বরং ক্ষমতাকে কিছু মানুষের হাতে বন্দী না করে সকল শ্রেনীর মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আমি একটি উপায় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিষিদ্ধ করা ব্যতীত অন্য যে কোন বাস্তব সমাধানকেও স্বাগত জানাই সব সময়।

হিমু এর ছবি

আমরা ছাত্ররাজনীতি বললে যা চোখের সামনে দেখি, সেটা হচ্ছে কতিপয় ছাত্র এবং অছাত্র ক্যাডারের সম্মিলিত পেশীশক্তির মহড়া। এটার ওপরে ছাত্ররাজনীতি সিলটা বসালে এই ধারার বাইরে ছাত্রদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং মতপ্রকাশকেও কলঙ্কিত করা হয়।

মানুষের রাজনৈতিক মত প্রকাশের অধিকার আছে, সে ছাত্র হোক বা অছাত্র। কিন্তু ক্যাম্পাস এলাকায় যা চলে, সেটা গুণ্ডামি ছাড়া আর কিছু না।

প্রথমে দেখুন, ছাত্রদের দলীয় গুণ্ডামিতে রিক্রুট করা হয় কীভাবে। হলে সিট বরাদ্দ নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে। প্রাধ্যক্ষ এতই ন্যুব্জপৃষ্ঠ মেরুদণ্ডহীন যে তিনি কোনো এক দলীয় ক্যাডারের কথায় চলতে বাধ্য হন। কেন? তিনি তো কোয়ালিফায়েড মানুষ, তিনি কেন কোনো ছাত্রের ধমক শুনে কাজ করবেন? এটা হচ্ছে গেরো নং ১।

আপনি মেধার ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে হলে সিটবণ্টনের ব্যাপারটা নিশ্চিত করুন, গুণ্ডামির কাজটা কিন্তু আপনাআপনি কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শিক্ষকদের দলরাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধ করা গেলে ছাত্রদের পাণ্ডামি করার গ্যাস এমনিতেই বেরোবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মেধার ভিত্তিতে সীট বরাদ্দের একটা বাস্তব সমস্যা হলো দেখা যাবে বাইরের অনেক ছাত্র যাদের থাকার জায়গা নেই তারা সীট পাচ্ছেনা। হলের একটা বাসা পাওয়ার জন্য কত রকমের লেজুড়বৃত্তি যে করতে হয় তা বললে লজ্জার কিছু বাকি থাকবেনা। হলের একটা বাসা পেলে প্রাপ্ত বেতন দিয়ে কোনমতে খেয়ে পড়ে বাঁচা যায়, সেকারণেই বাসার প্রতি অধিকাংশের এত আগ্রহ।

ভিসিরা এই সব সন্ত্রাসীদের প্রতি কঠোর হলে প্রাধ্যক্ষও স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারে। ছাত্রনামধারী এসব সন্ত্রাসীদের ওঠাবসা অনেক ওপরের লেভেলে। প্রাধ্যক্ষ তাদের কাছে কিছুই না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইন্টারেস্টিং আইডিয়া। পেশা এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সমস্যা হলো এই সিস্টেমের সাফল্য অংশগ্রহণকারীদের 'স্পেশ্যলিস্ট' হওয়া, না হওয়ার ওপর নির্ভরশীল।

আসলে সবকিছুর আগে দরকার দায়িত্বশীলতা নিশ্চিতকরণ; নৈতিক চরিত্র-টরিত্র বড়ো বেশি বইয়ের কথা; প্রত্যেকে তার দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করলেই একটা সিস্টেম সুষ্ঠুভাবে চলা সম্ভব।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্বাধীন এর ছবি

পেশা এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সমস্যা হলো এই সিস্টেমের সাফল্য অংশগ্রহণকারীদের 'স্পেশ্যলিস্ট' হওয়া, না হওয়ার ওপর নির্ভরশীল।

এই স্পেশ্যলিস্ট হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত লিখবি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মানে সঠিক ক্ষেত্রে সঠিক কোয়ালিফিকেশনের লোকের অভাব। অর্থনীতির প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার পরিকল্পনা না করাই হয়তো এর প্রধান কারণ। তবে আমলা লেভেলে মনে হয় বিভিন্ন পেশা থেকে লোক নেয়া হয়। দেশের নীতিনির্ধারণে উপদেষ্টা হিসেবে এদের ফিডব্যাক তো থাকেই, শুধু ভোটে নির্বাচিত পলিটিক্যাল লীডারদের সিদ্ধান্তেই সবকিছু হয় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

"পক্ষে"-র পক্ষে আমি। কারণের বিশদ বিবরণ দিলুম না দাদা।

শাফি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।